30/06/2025
#পরকীয়া: যে প্রেমের পরিণতি শুধুই প্রতারণা
একজন পুরুষ যখন পরকীয়ায় জড়ায়, তখন সে যেন এক অদ্ভুত দ্বৈতজীবন বেছে নেয়। তার জীবনে আপনি আসেন এক রঙিন পর্দার মতো—যেখানে সাময়িক ভালোবাসা, কিছু উত্তেজনা, কিছু সময়ের প্রশান্তি থাকে। সে হয়তো আপনাকে বলে, “তোমাকে ছাড়া আমি বাঁচতে পারবো না”, “আমার সংসারে আমি একদম একা”, “বউ আমার প্রতি খেয়াল রাখে না, ভালোবাসে না”—এইরকম নানা করুণ কাহিনি শুনিয়ে সে আপনাকে তার জীবনে টেনে আনে। আপনি ভাবেন, আপনার কাঁধে ভর দিয়ে হয়তো সে মুক্তি পাবে, একদিন সব ছেড়ে আপনাকেই গ্রহণ করবে।
আপনিও হয়তো এমন ভাবে বলেন আপনি একা নিঃসন্গ আপনার স্বামী আপনাকে নির্যাতন করে, সময় দেয় না, পান না শারীরীক সুখ। কিন্তু আসলে কি তাই, না পরকীয়া একটা নেশা। হয়তো হতে পারে--কারো কারো ক্ষেত্রে হতেও পারে কিন্তু যাই হউক এর পরিণীতি অত্যন্ত ভয়ংকর।
কিন্তু দিনের শেষে, পুরুষটি যায় কোথায়? নিজের বৈধ ঘরেই। তার স্ত্রী, তার সন্তান, তার পরিবার—সব কিছু সে আগের মতোই আঁকড়ে ধরে রাখে। এমনকি আপনাকে নিয়েও তার ভিতরে ভয় কাজ করে। যদি সবকিছু প্রকাশ পেয়ে যায়? যদি তার সম্মান, সামাজিক অবস্থান, সম্পর্ক সব কিছু ভেঙে পড়ে? তাই সে আপনাকে ভালোবাসা দেয়ার নাম করে বাস্তবতা থেকে আড়াল করে রাখে।
আপনি এই সম্পর্কের মধ্যে থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে হারিয়ে ফেলেন। নিজেকে প্রশ্ন করেন—আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন? দিনের পর দিন অপেক্ষা করেন, সে কবে এসে বলবে “চলো, এবার আমরা একসাথে শুরু করি”। কিন্তু সেই দিনটা আসে না। আসবেও না কখনো।অনেক সময় আসে ঝড় হয়ে। যেদিন আপনি অপমানজনক ভাবে সমাজের সামনে আপনার এ অনৈতিক সম্পর্ক ধরা পড়ে।
সেদিন কিছু বলার মত থাকে না দুজনেই হন তাচ্ছিল্য আর ঘৃনার পাত্র। নয়তো সময় যত যায়, সে তত নিখুঁতভাবে তার সংসারটাকে সামলে নেয়। আপনাকে রাখে একটি লুকানো, অপ্রকাশিত আবেগের খাঁচায়। আর আপনি সেই খাঁচার পাখি হয়েই থেকে যান—ভালোবাসার নামে বন্দী, অথচ মুক্তির কোনো আশা নেই। শুরু হয় আর এক নরক যন্ত্রণা।
আপনি হয়তো নিজেকে বোঝাতে থাকেন—সে একদিন বুঝবে, একদিন ফিরে আসবে, একদিন আপনাকেই চায় বলবে। কিন্তু আপনি ভুলে যান, পুরুষটি আপনাকে চেয়েছিল ‘পাশে’, 'পেছনে’, সামনে নয়। কারণ সমাজে তার জায়গা, সম্মান, পরিচয়—সবকিছু সেই ‘লিগ্যাল’ সংসারের ভেতরেই সীমাবদ্ধ।
এই খেলায় আপনি কী পান? কেবল একরাশ শূন্যতা, অপমান, আর অস্পষ্ট ভবিষ্যৎ। তার জীবনে আপনি ছিলেন এক পর্ব, আর তার স্ত্রী ছিল পুরোটাই বইয়ের মূল কাহিনি। আপনি নিজের আবেগ, বিশ্বাস, সময় দিয়ে তাকে বুঝতে চাইলেন, গড়তে চাইলেন, অথচ সে কেবল আপনাকে ব্যবহার করে নিজের ক্লান্তি ঘোচাতে। দিনের শেষে সে যখন তার ঘরে ফিরে যায়, তখন আপনি একা, বিষাদগ্রস্ত, অথচ তার চোখে কোনো দুঃখ নেই।
আর সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়? আজ পর্যন্ত কয়জন পুরুষকে দেখেছেন, যারা সত্যি পরকীয়ার সম্পর্কের জন্য সব কিছু হারিয়ে আপনাকে গ্রহণ করেছে? হয়তো এক-দুজন আছে, যারা সমাজে ব্যতিক্রম, কিন্তু তারা ব্যতিক্রম বলেই তারা গল্প হয়, বাস্তবতা নয়।
তাই নিজের জীবনকে এমন কাউকে ঘিরে তৈরি করবেন না, যার কাছে আপনি কোনোদিনও প্রথম পছন্দ হয়ে উঠবেন না। যে মানুষটি দিনের আলোয় আপনাকে প্রকাশ করতে চায় না, তাকে নিয়ে রাতের অন্ধকারে ভবিষ্যৎ গড়ার স্বপ্ন দেখবেন না।
যে ভালোবাসায় সাহস নেই, স্বীকৃতি নেই—সেটা ভালোবাসা নয়, সেটা একতরফা প্রতারণা। আপনি নিজে তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান অধ্যায় লিখতে চাইবেন, কিন্তু সে হয়তো আপনাকে পাদটীকাতেও রাখবে না।
নিজেকে ভালোবাসুন। নিজেকে গুরুত্ব দিন। কারণ আপনি কারও গল্পের গোপন চরিত্র হয়ে থাকতে আসেননি—আপনি মূলনায়িকা হওয়ার যোগ্য, সবসময়।
পরকিয়া মানে ধবংস অনিবার্য। আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন আপনি যে পুরুষটির সাথে পরকিয়ায় লিপ্ত তার সংসার আছে, সন্তান আছে।সেই সন্তান হবে আপনার জন্য বাবা হারা। আরেকটা মেয়ের সংসার ভান্গার কারন হবেন আপনি। এ কাজে সমাজের কেউ আপনাকে সাপোর্ট করবে না, কারন আপনি জেনে শুনে আর একটি সংসার ভেন্গেছেন। আপনি এখানে চরিত্রহীন বলেই ধিক্কার পাবেন।আর এটা প্রকাশ হওয়ার পর কোন সন্মান থাকবে না এ সমাজে আপনার।
যে পুরুষটি আপনার সাথে ভিডিও কলে সারাদিন প্রেমের কথা বলে।যে পুরুষটি গোপনে আপনার দেহ ভোগ করে বলে তার বউকে ডিভোর্স দিয়ে দিবে।আসলে কি তাই? একবার পরীক্ষা করে দেখেন, বিয়ের জন্য চাপ দিয়ে দেখবেন হয়তো তার আসল মুখোশটা দেখতে পাবেন। এটা পরকীয়া না সব ক্ষেত্রে।
শুধু তাই নয় আপনি কি ভেবে দেখেছেন এটা প্রকাশ হওয়ার পর আপনার বাবা মা অর্থাৎ আপনার বাবার বাড়ির আশ্রয় হারাবেন।তাদেরকে কতটুকু ছোট করবেন।
শুধু তাই নয় আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনি যে স্বামী সন্তানকে রেখে রঙ্গীন স্বপ্ন দেখছেন যদি আপনার পরকীয়া প্রেমিক আপনার সাথে বেঈমানী করে তাহলে আপনার স্বামী গ্রহন করলেও শশুর বাড়িতে আগের সন্মান কি আর ফিরে পাবেন।
শুধু তাই নয় আপনার পরকীয়া প্রেমিক আপনাকে ব্লেকমেইল করতে পারে।ধরুন আপনা কোন গোপন ভিডিও নিয়ে আপনাকে হমকিও দিতে পারে? একবার পরীক্ষা করে দেখুন। আসল মুখোশ বেরিয়ে পড়লে হয়তো তার সাথে এখনো মিল দিয়ে অনেক প্রমাণ আদায় করে নিতে পারবেন যা আপনাকে সামাজীক মর্যাদা ফিরিয়ে দিবে।
দুদিন তার কথার অবাধ্য অথবা মুখোশ উন্মাোচনের জন্য একটু অভিনয় করলেই বুঝে যাবেন আপনার পুরুষ প্রেমিকটি নারী শিকারী কিনা। আসলে এটা একটা উন্মদনা যেখানে হারানোর ছাড়া পাওয়ার আশা একদম শুন্য।একজন নারী শিকারী পুরুষ আপনাকে পাওয়ার জন্য সব করবে।অথচ ঘরে বউ রয়েছে সন্তান রয়েছে।যেখানে তার নিজের বউ সন্তানের জন্য একটু সময় নেয় সেখানে আপনার জন্য সময়ের অভাব নেই। বুঝতেই পারছেন আপনি কেমন লম্পট দায়িত্বহীন পুরুষের খপ্পড়ে পড়েছেন?
এ লেখাটা পড়ার পর পরকীয়ায় আসক্ত বৌদিরা যে ভালো হয়ে যাবেন তা নয়।তবে আপনার জন্য আপনার প্রেমিক কতটা ত্যাগ স্বীকার করতে পারবে পরীক্ষা করে নিন।তার কাছে গোপন কিছু থাকলে সেগুলো ডিলেট করে দিন।আর এটা মিল থাকতেই করতে পারবেন।অন্তত এটুকু তো পারবেন।
পরকীয়া একটা নেশা। যারা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাদের বাকি জীবনটা কাটাতে হয় অসন্মান আর অনিশ্চয়তা নিয়ে।না পাশে দাড়াই প্রেমিক পুরুষ, না পাশে দাড়ায় সন্তান, না পাশে দাড়ায় বাবা মা। হয়তো সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে আপনার স্বামীই পাশে দাড়ালো কিন্তু সবাইকে দিলেন সমাজের একরাশ অপমান আর ঘৃণা। আর প্রেমিক পুরষটি গ্রহন করার পর আপনার পরিচয় আপনার পরকীয়া প্রেমিক স্বামীর কাছে চরিত্রহীন নারী ছাড়া আর কিছুই নয়।
এখানে আর কখনো কারো সাথে হেসে কথা বলতে পারবেন না কারন আপনার স্বামী আপনাকে সন্দেহই করবে।কারন এমন কিছু আপনি করতেই পারেন কারন। -------+আপনি তার সাথেই করেছেন।আপনার মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ হবে।একটা ফোন আসলে বার বার জিজ্ঞাসা করবে।আপনার বর্তমান স্বামী কিন্তু তা করেনি।
দিয়েছে অনেক স্বাধীনতা, করেছে অনেক বিশ্বাস। তাই আপনার জীবনটা নরকে পরিণত হবে, যেখান থেকে ফিরে আসা আর সম্ভব না। অনুশোচনা করা ছাড়া আর কিছুই থাকবে না।তা হওয়ার আগে আপনি আপনার প্রেমিক পুরুষ টিকে পরীক্ষা করুন কৌশলে। হয়তো আপনার নেশা কেটে যেতে পারে। আপনার ভুল ভেন্গে যেতে পারে।
আর সমাজের কথা ভাবুন এভাবে যে মেয়েটি নিজের স্বামী রেখে অন্যের স্বামীর দিকে হাত বাড়ায় তাকে কি আপনি সন্মান করেন।তাহলে আপনাকেও কেউ সন্মান করবে না এটাই স্বাভাবিক। জানি কথা গুলো এ কান দিয়ে গিয়ে ও কান দিয়ে বেরিয়ে যাবে।সাবধান সামনে কপালে খারাপি আছে।
✴️ একটা কথা মনে রাখতে হবে পরকীয়া প্রেমের বউ আর দ্বিতীয় বউ কিন্তু এক না।
➡️দ্বিতীয় বউ স্বামী সন্তান ফেলে আসে না বরং অনেক শর্ত সাপেক্ষে বিয়ে বসে, যেখানে থাকে নিরাপওা এমনকি প্রথম বউ থেকে দ্বিতীয় বউ অনেক ক্ষমতাবানও হতে পারে।
➡️পরকীয়া প্রেমের দ্বিতীয় বউ অনেক
সময় স্বামীর বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার অধিকার টা হয়ে যায় চেলেন্জিং। তার আসার পর যাওয়ার কোন স্হান নেয় বলেই থেকে যায়।না হলে সবাই ফেরত আসতো তার আগের স্বামীর সংসারে।
===