Siyam vay

Siyam vay Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Siyam vay, Digital creator, Jamalpur Sadar Upazila.

07/09/2025

রাসুল (সা.) বিখ্যাত নারী সাহাবি উম্মে সালমা (রা.)-কে বলেছিলেন, তোমাদের কেউ কি এতে খুশি নয় যে সে যখন স্বামীর পক্ষ থেকে গর্ভবতী হয় এবং স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্টও থাকে, তখন (এই গর্ভকালীন) সে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সর্বদা রোজা পালনকারী ও সারা রাত নফল ইবাদতকারীর মতো সওয়াব পেতে থাকবে। তার যখন প্রসব ব্যথা শুরু হয়, তখন তার জন্য নয়ন শীতলকারী কী কী নিয়ামত লুকিয়ে রাখা হয়, তা আসমান-জমিনের কোনো অধিবাসীই জানে না। সে যখন সন্তান প্রসব করে, তখন তার দুধের প্রতিটি ফোঁটার পরিবর্তে একটি করে নেকি দেওয়া হয়।

এ সন্তান যদি কোনো রাতে তাকে জাগিয়ে রাখে (অসুখ ইত্যাদির কারণে বিরক্ত করে মাকে ঘুমাতে না দেয়) তাহলে সে আল্লাহর পথে নিখুঁত ৭০টি গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাবে।

তাবরানি, হাদিস: ৬৯০৮

06/09/2025

(ক)

আমরা সবাই জানি, পবিত্র কাবা ঘর সর্বপ্রথম নির্মাণ করেছিলেন আমাদের পিতা ইবরাহিম আলাইহিস সালাম। তিনি তাঁর পুত্র ইসমাইল আলাইহিস সালামকে সাথে নিয়ে, মরুভূমির বালুকাময় উপত্যকার সেই বিজন প্রান্তরে দাঁড়িয়ে, পাথরের উপর পাথর দিয়ে বিনির্মাণ করেন বাইতুল্লাহ।

কিন্তু, বর্তমানে আমরা বাইতুল্লাহকে যেভাবে দেখি, ইবরাহিম আলাইহিস সালামের হাতে নির্মিত বাইতুল্লাহ কি দেখতে ঠিক এমনই ছিল? উত্তর হচ্ছে—না। এই ইতিহাসটুকু জানতে হলে আমাদেরকে একটু অতীতে ফিরে যেতে হবে।

রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বয়স তখন ৩৫ বছর। সে-বছর মক্কায় প্রচণ্ড রকমের বন্যা হয়। বাইতুল্লাহর চারপাশে ছিল অসংখ্য ছোট বড় পাথুরে পাহাড়। সেইসব পাহাড় থেকে বন্যার ঢল নেমে এসে বাইতুল্লাহর দেয়ালে আছড়ে পড়তে পড়তে বাইতুল্লাহর দেয়াল ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আরেকটা অপ্রীতিকর একটা ঘটনাও সে-বছর ঘটেছিল। একদল নরাধম বাইতুল্লাহর দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে, ভেতরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। ফলে বন্যা আর লুটপাট, দুই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তখনকার মক্কাবাসী সিদ্ধান্ত নেয় যে—বাইতুল্লাহকে আগাগোড়া ভেঙে সংস্কার করা হবে।

সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাইতুল্লাহকে ভাঙা হলো। একেক গোত্রের কাঁধে বাইতুল্লাহর একেক পাশের দেয়াল নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে। সবাই একটা বিষয়ে সম্মত হয় যে—বাইতুল্লাহর পুনঃনির্মাণ কাজে কেউ তাদের হারাম টাকা ব্যবহার করবে না। অর্থাৎ সুদ, ব্যভিচার হতে লব্ধ অর্থ ইত্যাদি বাইতুল্লাহর নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা যাবে না। শুধুমাত্র হালাল উৎস থেকে উপার্জিত অর্থই এই কাজে ব্যয় করা যাবে।

বাইতুল্লাহর চারটা দেয়াল। এরমধ্যে উত্তর দিকের দেয়াল নির্মাণের দায়িত্ব পড়ে বনু আদি বিন কাব বিন লুওয়াই গোত্রের উপর। কিন্তু হায়, তাদের কাছে পর্যাপ্ত হালাল অর্থ মজুদ না থাকায় তারা উত্তরাংশের সেই দেয়াল নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয়। সেই যে তারা উত্তরের দেয়াল নির্মাণ করতে পারল না, বাইতুল্লাহর সেই দেয়াল আজও সেভাবেই আছে। বাইতুল্লাহর যে অংশটাকে আমরা হাতীম বলে চিনি, সেটাই মূলত বনু আদি বিন কাব বিন লুওয়াইয়ের অসমাপ্ত রেখে দেওয়া অংশ। হাতীম শব্দের অর্থই হলো—পরিত্যক্ত। হাতীম মূলত কাবারই অংশ। এজন্যেই হাজিদেরকে হাতীমের বাইরে দিয়ে তাওয়াফ করতে হয়।

যাহোক, সেবার তো বাইতুল্লাহ পুনঃর্নিমিত হলো, কিন্তু ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মাণ করা আকৃতি থেকে কিছুটা রদবদল হয়ে গেল। হাতীমের অংশটা ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মাণ করা আকৃতিতে বাইতুল্লাহর ভেতরেই ছিল। কিন্তু হাজার হাজার বছর পরে এসে, কুরাইশেরা যখন এটার পুনঃনির্মাণ করল, তাতে হাতীম তথা উত্তরের অংশটা বাইরে থেকে গেল।

ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মিত বাইতুল্লাহয় দরোজা ছিল একদম নিচে। অনায়াসে মানুষ ঢুকতে পারত সেই দরোজা দিয়ে। কিন্তু কুরাইশেরা দরোজা রাখল বেশ উঁচুতে, যাতে চোরের দল আর কখনো বাইতুল্লাহয় ঢুকতে না পারে। ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মিত বাইতুল্লাহয় দরোজা ছিল দুটো। একটা পূর্বে, অন্যটা পশ্চিমে। মানুষজন পূর্ব দরোজা দিয়ে প্রবেশ করত, প্রার্থনা শেষে পশ্চিম দরোজা দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু কুরাইশেরা পশ্চিমে কোনো দরোজা রাখেনি।

মোটামুটি ইবরাহিম আলাইহিস সালামের নির্মিত বাইতুল্লাহর আকৃতির সাথে কুরাইশদের হাতে পুনঃনির্মিত বাইতুল্লাহর এমনকিছু পার্থক্য তৈরি হয়ে যায়। কিন্তু, নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্তরে সর্বদা সেই ইবরাহিমি আকৃতির প্রতি একটা টান বিদ্যমান ছিল।

মক্কা বিজয়ের পর তিনি কুরাইশদের হাতে গড়া আকৃতি ভেঙে দিয়ে, ইবরাহিম আলাইহিস সালামের হাতে গড়া আকৃতির বাইতুল্লাহয় ফেরত যেতে চেয়েছিলেন। তবে, খুব ইচ্ছাপোষণ করলেও শেষ পর্যন্ত নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই কাজ করেননি। তিনি এই ভয় পেয়েছিলেন যে—তিনি যদি কুরাইশদের হাতে নির্মিত বাইতুল্লাহ ভেঙে, ইবরাহিমি আকৃতিতে ফেরত যান, এই ঘটনা নতুন ইসলাম গ্রহণ করা মক্কার লোকজনের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে।

এই যে ইবরাহিমি আকৃতিতে নবিজি শেষ পর্যন্ত ফেরত গেলেন না নতুন মুসলিমদের মনোভাব বিবেচনা করে, এটাই হলো হিকমাহ তথা কৌশল। নবিজি সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স।

(খ)

রাজবাড়ির গোয়ালন্দে গতকাল যে ঘটনাটা ঘটল, সেই ঘটনাটা বুঝতে আমাদের বাইতুল্লাহর উপরোক্ত ইতিহাসটা কিছুটা প্রাসঙ্গিক হতে পারে।

নুরা পাগলা নামের কোনো এক ভণ্ড নিজেকে ইমাম মাহদি দাবি করত এবং তার মৃত্যুর পর, তারই বাড়ির উঠোনে তার মৃতদেহকে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। মাটি থেকে কিছুটা উঁচুতে। তার কবরকে ঘিরে যে স্থাপনা তার শাগরেদ তথা ভক্তকূলেরা তৈরি করেছিল তা ছিল প্রায় হুবহু কাবা ঘরের আকৃতিতে। নাউযুবিল্লাহ। এটা শারিয়াহর স্পষ্ট লঙ্গন এবং চরম মাত্রার বাড়াবাড়ি।

অনেক প্রতিরোধ, প্রতিবাদ এলাকার সচেতন লোকজন জানিয়ে আসছিল বহুদিন থেকে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও, নুরা পাগলার ভক্তবৃন্দও এতে গা করে না, স্থানীয় প্রশাসনও রা করে না। শেষমেশ কী হলো? এলাকার লোকজন গিয়ে নুরা পাগলের সেই কাবা আকৃতির মাজার ভেঙে দিলো এবং তার মৃতদেহকে কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা হলো।

কাবা আকৃতির যে মাজার তারা তৈরি করেছে, সেই মাজারটা ভেঙে ফেলা অবধি ঠিক ছিল। কারণ এইটাকে নিয়ে দুনিয়ার কেউ রাজনীতি বা বয়ান তৈরি করতে পারত না। কাবা হলো মুসলমানদের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থাপনা। সেই পবিত্র স্থাপনার ব্যাপারে কোনো ছাড় কখনোই বরদাস্ত করার মতো নয়।

কিন্তু, নুরা পাগলার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে ফেলা, এই কাজটা বাড়াবাড়ি হয়েছে বলে মনে করি। এই কাজটা না করেও পুরো ঘটনাকে নিজেদের পক্ষে রাখা যেত। কারণ দেখুন, যাদের কাজ ভণ্ডামি করা, তারা ইচ্ছা করলে নুরা পাগলার পুড়ে যাওয়া মৃতদেহের ছাঁই দিয়েও ভণ্ডামি করতে পারবে। এই দেশে এমন ভণ্ডামি যারা করে, তারা তাদের তথাকথিত বাবাদের বদনা, পাতিল, কাপড় কতোকিছুকেই তো পবিত্র (!) বানিয়ে তুলে। সেখানে নুরা পাগলার অঙ্গার হওয়া দেহের ছাঁই তো ভণ্ডামির উপাদান হিশেবে আরও আকর্ষণীয়।

কিন্তু বিপদ হলো, গোটা দুনিয়াতে এখন এই ঘটনাকে ফ্রেইমিং করা হবে ভিন্নভাবে। তারা বলবে—বাংলাদেশের মুসলমানেরা এত অসহিষ্ণু, এত উগ্র আর বর্বর যে, কবর থেকে মৃতদেহ তুলে এনে তারা পুড়িয়ে ফেলে।

সত্যি বলতে এরকম ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম এবং এই ঘটনার রাজনৈতিক বয়ান আর কনসিকোয়েন্স যে কীভাবে আসতে পারে তা আমাদের ধারণারও হয়ত বাইরে। আল্লাহ হিফাযত করুন।

আল্লাহর রাসুল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে তাকান। তাঁর খুব ইচ্ছা ছিল বাইতুল্লাহকে ইবরাহিমি আকৃতিতে ফিরিয়ে নেওয়ার। কিন্তু তিনি সেই কাজ করেননি। কারণ, তিনি তার সময়কার আর্থ সামাজিক অবস্থাকে তাঁর ইচ্ছার উপরে স্থান দিয়েছেন। তিনি যদি সেদিন বাইতুল্লাহকে ভাঙতে যেতেন, তাহলে সদ্য ইসলামে আসা অসংখ্য মানুষের মনে সেই ঘটনা যে বিরূপ প্রভাব ফেলত, সেটাকে তিনি আঁচ করতে পেরেছিলেন।

গোয়ালন্দে যে ঘটনাটা ঘটল, কবর থেকে মৃতদেহ তুলে পুড়িয়ে ফেলা—এই ঘটনাতে ইসলামপন্থীদের কী বিজয় অর্জিত হয়েছে জানি না। তবে অনেক সাধারণ মুসলিম, যাদের ধর্মীয় জ্ঞান একেবারে অপ্রতুল, তাদের মনে এটা বেশ বাজেভাবে দাগ কেটে যেতে পারে। এই ঘটনাকে দেশে এবং বিদেশে খুব চতুরতার সাথে ফ্রেইমিং করা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। মুসলমানরা কতো খারাপ, কতো অসভ্য, বর্বর এসব বয়ান তৈরি কাজে ঘি ঢালা হলো এমন একটা কাজে।

অবশ্য, এখানে সরকার আর প্রশাসনের দায়টাও কম কোথায়? এতোদিনের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ আর বাদানুবাদের ঘটনাতে তারা কি জানত না যে—পরিস্থিতি এমন একটা দিকে মোড় নিতে পারে? আর কতো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সরকারের প্রশাসন নড়েচড়ে বসবে আর এই ধরণের বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আগে সুরাহা করার দিকে ঝুঁকবে তা বলতে পারি না।

সবশেষে বলি—জজবা নিঃসন্দেহে ভালো জিনিস। তবে তার ভুল প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত খারাপ ফল বয়ে আনতে পারে অধিকাংশ সময়।

04/09/2025

সন্তানের জন্য সঞ্চয়ী ও তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার নামে ভবিষ্যৎ ধ্বংসকারী বাবা-মায়ের জন্য লেখাটি পড়া খুবই জরুরি।

এক পোস্ট হতে কপি করা………

। আমাদের 'ছেলে'রা কীভাবে 'পুরুষ' হবে? |

গ্রামের বাড়িতে গেছি বেড়াতে। রাতের বেলা শুধু মুরগির বাচ্চার কিচিরমিচির শুনছি। একটু ডিস্টার্বই হচ্ছে। দোতলার বারান্দায় নাকি আম্মু মুরগির বাচ্চা এনে রেখেছেন। জানতে চাইলাম, মুরগির খোপ রেখে এখানে এগুলো কেন রেখেছেন? আম্মু জানালেন যে, মুরগির বাচ্চা মায়ের সাথে যত বেশিদিন থাকে তত দেরিতে ডিম দেয়, আর মা থেকে আলাদা করে রাখলে দ্রুত ডিম দেওয়া শুরু করে।

চট করে আমার চিন্তাটা মুরগির বাচ্চা থেকে সরে আমাদের বর্তমান সমাজের আধুনিক প্রজন্মের ‘ছেলেবাবুদের’ দিকে সরে গেল, যারা বয়স পচিশ-ত্রিশে এসেও মানসিকভাবে প্রাপ্তবয়স্ক হতে পারে না।

আমার বন্ধু শরিফ। ওরা দ্বিতীয় প্রজন্মের বাংলাদেশি বৃটিশ। ওর বাবা গিয়েছিলেন ষাটের দশকে। ও ওর নিজের জীবনের দারুণ একটা ঘটনা শুনিয়েছিল আমাকে। ওর বয়স যেদিন ষোলো বছর পূর্ণ হয়ে সতেরোতে পড়ল, সেদিন ওর বাবা ওকে ডেকে বললেন, এখন থেকে তুমি বৃটিশ আইন অনুযায়ী প্রাপ্তবয়স্ক, স্বাধীন ও স্বনির্ভর পুরুষ। এখন থেকে তোমার দায়িত্ব তোমাকেই বহন করতে হবে। তোমার লেখাপড়ার খরচা তোমাকেই যোগাতে হবে। আর আমার বাসায় থাকতে হলে বাসা ভাড়া, আর খেতে হলে খাবার খরচ দিতে হবে। যেই কথা সেই কাজ। কোনো ছাড় নেই। শরিফ বাধ্য হয়ে একটা শপে পার্টটাইম কাজ জোগাড় করল। স্কুল শেষে সেখানে কাজ করত। সেই টাকা দিয়ে বাসা ভাড়া আর খাবার বিল দিত। লেখাপড়া তো সরকারি স্কুলে, তাই এক বাচা বাঁচল। বৃটিশ কালচারে এটা স্বাভাবিক হলেও বাঙালী হিসেবে বাবার এই আচরণ মেনে নিতে ওর বেশ কষ্ট হয়েছিল। এই সময়টাতে বাবার প্রতি জমেছিল এক রাশ ঘৃণা আর অভিমান। এই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল তা আমরা একটু পরে বলছি।

জীবনের এই প্রথম ধাক্কাই তাকে অনেকটা পরিপক্বতা এনে দিয়েছিল। ১৯ বছর বয়সে বিয়ে করেছিল। এখন মাত্র ৪৫ বছর বয়সে ছেলেমেয়েরা বড় হয়ে গেছে। আমি শরিফকে আমার এই বিশ বছরের বন্ধুত্বের জীবনে অসংখ্য ভালো কাজের উদ্যোগ নিতে ও অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। অনেক অসহায় মানুষকে, পরিবারকে ও সাহায্য করেছে।

ঠিক এর বিপরীতে গেলে আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ দেখতে পাবেন, যারা ত্রিশে এসেও বালকসুলভ জীবন কাটায়, পুরুষ হয় না। কোনো দায়িত্ব নিতে সক্ষম নয়, কোনোকিছুতে স্থির নয়, কোনো লক্ষ্যপানে ধাবিত নয়, কোনো অর্জনের জন্য স্থির নয়।

আমাদের অধিকাংশ মানুষদের দেখবেন বলতে, ছেলেমেয়েদের জন্যই তারা খেটে মরে, বাড়িগাড়ি বানায়। জিজ্ঞেস করলে বলে, আমরা যে কষ্টের মধ্য দিয়ে গেছি আমার ছেলেমেয়েরা যেন তার মধ্য দিয়ে না যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় এ ধরণের চিন্তার বাবা-মায়ের সন্তানরা খুবই অযোগ্য ও দায়িত্বজ্ঞানহীন হয়। যে বাবা-মা তাদের জন্য খেটে মরেছে, তাদের জন্য কিছু করা তো দূরের কথা, তারা নিজেদের দায়িত্বই নিতে সক্ষম হয় না। বাবা-মায়ের রেখে যাওয়া সম্পদের উপর নির্ভরশীল হয়। সেটা ফুরিয়ে গেলে চরম মানবেতর জীবনযাপন করে।

আমাদের ভিতরে যারা একটু স্মার্ট এবং বাস্তবসম্মত চিন্তা করেন, তারা ভাবেন—ছেলেমেয়েদের জন্য বাড়িগাড়ি রেখে যাওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়, তাদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলাই আমাদের দায়িত্ব। তারা দেখা যায় উন্নত লেখাপড়ার জন্য ছেলেমেয়ের পিছনে অঢেল টাকাপয়সা ব্যয় করেন, দুনিয়ার সকল ঝুটঝামেলা ও বাস্তবতা থেকে এমনভাবে দূরে রাখেন, ফলে তারা হয় ‘শিক্ষিত বলদ’।

সত্যিকারভাবে ছেলেদেরকে পুরুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ খুব কম মানুষই গ্রহণ করতে পারেন। আর এর অবধারিত ফল হলো ব্যক্তি হিসেবে, পরিবার হিসেবে, সমাজ ও জাতি হিসেবে পিছিয়ে পড়া।

একটা মানুষ যদি পৃথিবীর জন্য পনেরো-ষোলো বছর থেকে অবদান রাখা শুরু করতে পারে, তাহলে তার অবদানের মাত্রা ও মান দুটোই অনেক বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে কথিত মাস্টার্স শেষ করে কর্পোরেট স্লেইভ হতে হতে যে সময় ব্যয় হয়ে যায়, তাতে অবদান রাখার সময় যেমন হারিয়ে যায়, তেমনই অবদানের মানও আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভালো হয়ে ওঠে না।

আমি ড্রাইভিং শিখেছিলাম ৩৩ বছর বয়সের দিকে। আমার এক বন্ধু তখন বলেছিল—তুমি এখন আর ফার্স্ট ক্লাস এফিশিয়েন্ট ড্রাইভার হতে পারবা না, তুমি হবা ‘আংকেল ড্রাইভার’। সামনের আরেকটা গাড়ির পেছনে পেছনে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালিয়ে তোমার জীবন যাবে। আমি খুব গভীরভাবে লক্ষ্য করলাম যে, কথা খুবই সত্য। আমার পাশ দিয়ে বহু গাড়ি কাটিয়ে চলে যায়, আর আমার কাছে সামনের গাড়ির পিছনে ধরে রাখাকেই নিরাপদ ও আরামদায়ক মনে হয়। তাই দেরি করে দায়িত্ব নেওয়ার ব্যাপারটা শুধু দায়িত্বজ্ঞানহীন করে তা-ই নয়, দায়িত্ববোধের মান ও দায়িত্ব পালনের যোগ্যতাও হ্রাস করে ফেলে।

বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা আর অভিমানের কথা মনে আছে? এবার বলি সেই ঘৃণা আর অভিমান কিভাবে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় রূপ নিয়েছিল। বিয়ের দু’বছর পর যখন একটা ব্যবসা দাড় করানোর জন্য ভালো অংকের একটা নগদ অর্থ দরকার হলো তখন সেই কঠোর বাবা তার হাতে পাউন্ডের একটা বান্ডিল দিয়ে বলেছিলেন, ‘এটা বাসা ভাড়া আর খাওয়ার খরচ হিসেবে দেওয়া তোমার সেই অর্থ। এমন কোনো প্রয়োজনের সময় দেওয়ার জন্য জমা করে রেখেছিলাম’। জীবনে কোনো এক সময় যদিও বাবার প্রতি শরিফের ঘৃণা জন্মেছিল, কিন্তু এখন বাবার সেই কঠোরতাটুকুকে সে তার জীবনের অমুল্য সম্বল মনে করে এবং বাবাকে নিয়ে সে আজ সত্যিকারে গর্ব অনুভব করে।

সেই মুরগির গল্পে ফিরে আসুন। ফিরে আসুন ইসলামের বাতলানো সমাজ চিন্তায়। মুরগির বাচ্চা যেমন মায়ের ডানার তলে থাকলে ডিম দেবে না, তেমনি আপনার ছেলেকে যতদিন ডানার নিচে রাখবেন সে দায়িত্বশীল হবে না। এটা সৃষ্টির প্রকৃতির মধ্যে দেওয়া স্রষ্টার অমোঘ নিয়ম। ইসলাম বলে একটা ছেলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর তার উপর শরিয়তের সকল আইন কার্যকর। মহান আল্লাহ এই সীমাটা এইজন্যই নির্ধারণ করেছেন যে, এই বয়স থেকে সে জীবন ও জগতে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন শুরু করবে। আমাদের উচিত ছিলো, আমাদের সন্তানদেরকে এই বয়সে উপনীত হওয়ার আগেই তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও যোগ্য করে গড়ে তোলা; কিন্তু সেটা না করে একটা দীর্ঘ সময় তাদেরকে স্পুন ফিডিং করে আমরা একটি অকর্মন্য ও অযোগ্য প্রজন্ম গড়ে তুলছি।

আমরা কি বিষয়টা নিয়ে একটুও ভাবার প্রয়োজন বোধ করি?

পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপের কামড়ে হাতি মারা যায়, কিন্তু একটা প্রাণী মরে না। 🍁প্রাণীটির নাম ঘোড়া। সাপের কামড়ে কোনদিন ...
02/09/2025

পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপের কামড়ে হাতি মারা যায়, কিন্তু একটা প্রাণী মরে না। 🍁

প্রাণীটির নাম ঘোড়া। সাপের কামড়ে কোনদিন ঘোড়া মরে না। তিনদিন অসুস্থ থাকে। তারপর সুস্থ হয়ে যায়। আর এই ঘোড়া থেকে আসে দুনিয়ার সব সাপের বিষের প্রতিষেধক anti venom

কোনএকটি সাপ, ধরেন কিং কোবরা’র anti venom তৈরি করতে হলে যা করা লাগে তা হল, ওই সাপের বিষ ঘোড়ার শরীরে ঢুকিয়ে দিতে হয়। একগাঁদি পরিমাণ ঢুকালেও সমস্যা নেই। ঘোড়ার কিছু হবে না। কিছু হবে না বলতে, ঘোড়া মরবে না।

ঘোড়া তিনদিন অসুস্থ থাকবে। এরপর সুস্থ হয়ে যাবে। এই তিনদিনে ঘোড়ার রক্তে ওই সাপের বিষের anti venom তৈরি হয়ে গেছে।

এবার ঘোড়ার শরীর থেকে কিছু পরিমাণ রক্ত নিয়ে তার লাল অংশ আলাদা করা হয়। সাদা অংশ অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স থেকে অ্যান্টি ভেনাম আলাদা করা হয়। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে পাঠানো হয়।

মানুষ’কে সাপে কামড়া’লে ডাইরেক্ট ইনজেকশন দিয়ে পুশ করা হয়।

খোদ ইন্ডিয়াতে গাদা গাদা অ্যান্টি ভেনাম প্রস্তুতকারক কোম্পানি আছে। পালের পর পাল ঘোড়া তাদের মূল সম্বল। ঘোড়া না থাকলে সাপের কামড় খেয়ে মানুষের আর বাঁচা লাগত না। এক ছোবলে ডাইরেক্ট উপরে।

فَبِأَىِّ ءَالَآءِ رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ

"অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে?" 💚

(সূরাহ আর-রহমান,আয়াত-১৩)

তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথেযখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট...
07/08/2025

তাহাজ্জুদ প্রতিযোগিতা আমার শাশুড়ির সাথে

যখন জানতে পারলাম আমি গর্ভবতী, আমি গোপনে একটি ছেলের জন্য দোয়া করতাম। আমি আমার ছোট বোনকে নিজের সন্তানের মতো বড় করেছি—তাই এবার আমি শুধু একজন ছেলেকে বড় করার আনন্দ অনুভব করতে চেয়েছিলাম।

কিন্তু আমার শাশুড়ির ছিল অন্য পরিকল্পনা। তিনি সব সময় একটি কন্যা সন্তানের স্বপ্ন দেখতেন, কিন্তু কখনও তা পাননি।

তিনি হাসলেন এবং বললেন, “চলো, তাহাজ্জুদের প্রতিযোগিতা করি। তুমি একটি ছেলের জন্য দোয়া করো, আমি একটি মেয়ের জন্য দোয়া করবো। দেখি কে জেতে।”
আর সেই থেকেই আমরা দুজনেই রাতে শেষ অংশে আমাদের দোয়া ফিসফিস করে বলতে শুরু করলাম।

প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড… যমজ!
আমরা দুজনেই হাসলাম এবং কেঁদে ফেললাম। যেন আল্লাহ মৃদুস্বরে বললেন: প্রতিযোগিতার দরকার নেই। তোমরা দুজনেই জিতেছো।

একটি কন্যা শিশু। একটি পুত্র সন্তান।
আমার ছেলে দুর্বল ছিল এবং এনআইসিইউ-তে থাকতে হয়েছিল।
কিন্তু আলহামদুলিল্লাহ, আজ তারা দুজনেই সুস্থ এবং তিন বছর বয়সে পদার্পণ করছে—আমাদের দ্বিগুণ আনন্দ, আমাদের দ্বিগুণ দোয়ার ফল।

তাহাজ্জুদ সত্যিই এক অসাধারণ কিছু!

— ঘটনাটি সংগ্রহ করে অনুবাদ করা হয়েছে

post collect

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় বোধ হয় মানুষের মন। এই মন নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। মনোবিজ্ঞানীদের করা কিছু এক্সপের...
06/08/2025

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় বিষয় বোধ হয় মানুষের মন। এই মন নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে, এখনো হচ্ছে। মনোবিজ্ঞানীদের করা কিছু এক্সপেরিমেন্ট তথা পরীক্ষা পাল্টে দিয়েছে মানুষের মন নিয়ে চিরন্তন ধারণা। সেরকমই কিছু পরীক্ষার কথা আজ বলবো।



A Class Divided
যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়া স্টেটের স্কুল শিক্ষক জেন এলিয়ট তার শিক্ষার্থীদের উপর এই এক্সপেরিমেন্টটি চালান। মার্টিন লুথার কিংয়ের চিন্তাধারা তাকে সবসময় প্রভাবিত করত। ১৯৬৮ সালে যখন মার্টিন লুথার কিংকে খুন করা হয় তারপর থেকেই তিনি তার ছাত্র-ছাত্রীদের বর্ণবাদ, বৈষম্য এই ব্যাপারগুলো বোঝাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ফলপ্রসূ হচ্ছিলো না। তারা আগের মতোই মফস্বল থেকে আসা শিক্ষার্থীদের অবজ্ঞার চোখেই দেখে যাচ্ছিল।

এলিয়ট তার শিক্ষার্থীদের উপর দুইদিনব্যাপী একটি এক্সপেরিমেন্ট চালালেন। প্রথমে তিনি তার ক্লাসটিকে দুটি গ্রুপে ভাগ করলেন। প্রথম গ্রুপে রাখলেন যাদের চোখের রং নীল এবং দ্বিতীয় গ্রুপে রাখলেন যাদের চোখের রং বাদামী। প্রথম দিন তিনি প্রথম গ্রুপ অর্থাৎ যাদের চোখের রঙ নীল তাদেরকে বাদামী চোখের শিক্ষার্থীদের চেয়ে সুপিরিয়র তথা উঁচু মর্যাদার বলে ধরে নিলেন এবং বেশি সুযোগ সুবিধা দিতে শুরু করলেন। এমনকি তিনি এক গ্রুপের শিক্ষার্থীদেরকে অন্য গ্রুপের শিক্ষার্থীদের সাথে মেলামেশা করতে নিষেধ করে দিলেন। দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যদের আরও কোণঠাসা করার জন্য তিনি তাদের বিভিন্ন দোষ-ত্রুটি সবার সামনে বর্ণনা করতে শুরু করলেন।

এর ফলাফল হলো খুবই চমকপ্রদ। প্রথম গ্রুপের শিক্ষার্থীরা অর্থাৎ যারা নিজেদেরকে এখন সুপিরিয়র ভাবে তাদের আচরণ খুব দ্রুত পরিবর্তিত হতে লাগল। তারা ক্লাসে এখন সবচেয়ে মনোযোগী এবং কোন কিছু না বুঝলে তারা সাথে সাথে প্রশ্ন করে। ক্লাস টেস্টেও তারা দ্বিতীয় গ্রুপের সদস্যদের চেয়ে অনেক ভাল করল। সবথেকে মন খারাপ করা যে ব্যাপারটা ঘটল তা হলো, তারা তাদের দ্বিতীয় গ্রুপের বন্ধুদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করল এবং তাদের উপর এক ধরনের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করতে লাগল। অন্যদিকে দ্বিতীয় গ্রুপের শিক্ষার্থীরা হীনমন্যতায় ভুগতে লাগল এবং সবদিক থেকে পিছিয়ে পড়তে লাগল।

পরের দিন এলিয়ট একই এক্সপেরিমেন্ট চালালেন। কিন্তু এবার যাদের চোখের রঙ বাদামী তাদেরকে নীল চোখের শিক্ষার্থীদের চেয়ে সুপিরিয়র হিসেবে ধরে নিলেন। তখন ফলাফলও উল্টে গেল। অর্থাৎ নীল চোখ যাদের তারা সবকিছুতে পিছিয়ে পড়তে লাগল।

এই এক্সপেরিমেন্টটি তখনকার সময়ে খুবই আলোচিত হয়। পরীক্ষাটি করার সময়কার ভিডিওগুলো নিয়ে ২৫ মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি তৈরি করা হয় যার নাম ‘The Eye of the Storm’। এছাড়া ‘A Class Devided’ নামে আরও একটি ডকুমেন্টারি আছে একই বিষয়ের উপর। এই এক্সপেরিমেন্টটি আমাদেরকে বোঝাতে পারে যে সমাজে যারা অবহেলিত তারা কেন পিছিয়ে পড়ে এবং নানা অপরাধের সাথে যুক্ত হয়।


ভালো লাগলে এমন পোস্ট আরো পেতে ফলো করুন এবং আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না।😊 جزاكم الله وجاء

20/01/2025

তার কাছে কখনো ভালোবাসার আশা করোনা।
যে মনে করে তুমি তার টাকার মুখাপেক্ষী।

03/03/2024

assalamoalaikom

01/09/2023

নিজের যোগ্যতার চেয়ে কম যোগ্যতার মানুষকে ভালোবাসোন,? ❤️
সে আপনাকে অনেক মূল্য দিবে।

Address

Jamalpur Sadar Upazila

Telephone

+8801868356026

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Siyam vay posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Siyam vay:

Share