11/03/2025
১. তাদের প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য বুঝুন
মানুষকে পর্যবেক্ষণ করুন। যদি কেউ সবসময় নেতিবাচক কথা বলে, অন্যকে ঠকানোর চেষ্টা করে বা আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে, তবে বুঝতে হবে তারা খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে।
২. সীমা নির্ধারণ করুন
ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে তাদের সাথে যোগাযোগের পরিমাণ সীমিত করুন।
তাদের সাথে কথোপকথনে নিজের মূল্যবোধ বজায় রাখুন এবং অপ্রয়োজনীয় আলোচনা এড়িয়ে চলুন।
৩. যুক্তি এবং বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিন
খারাপ মানুষ অনেক সময় আবেগ দিয়ে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে। আবেগের চেয়ে যুক্তির উপর নির্ভর করুন।
মিথ্যা প্রলোভন বা চাটুকারিতা থেকে সচেতন থাকুন।
৪. নেতিবাচকতা এড়িয়ে চলুন
যদি কেউ সর্বদা সমালোচনা করে, গুজব ছড়ায় বা আপনাকে হতাশ করে, তবে তাদের সাথে সময় কম কাটান।
ইতিবাচক ও সৎ মানুষদের সাথে সময় কাটান, যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে।
৫. স্পষ্টভাবে 'না' বলতে শিখুন
যদি কেউ আপনাকে খারাপ কাজে জড়াতে চায় বা অনৈতিক কোনো কিছুতে রাজি করানোর চেষ্টা করে, তাহলে দ্বিধা না করে 'না' বলুন।
নিজের সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকুন।
৬. আত্মবিশ্বাসী থাকুন
দুর্বলতা দেখালে খারাপ মানুষ সেটার সুযোগ নিতে পারে। তাই নিজের ওপর আস্থা রাখুন।
আত্মসম্মান বজায় রাখুন এবং নিজের নীতি মেনে চলুন।
৭. নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন
যদি কেউ মানসিক বা শারীরিকভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকুন।
পরিস্থিতি অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নিতেও দ্বিধা করবেন না।
৮. প্রয়োজন হলে পরামর্শ নিন
বিশ্বস্ত বন্ধু, পরিবার বা পরামর্শদাতার সাথে কথা বলুন যদি কোনো খারাপ মানুষের কারণে সমস্যায় পড়েন।
মানসিক শান্তি বজায় রাখতে ভালো বই পড়ুন, মেডিটেশন করুন বা পছন্দের কাজে ব্যস্ত থাকুন।
খারাপ মানুষ থেকে দূরে থাকার মূল চাবিকাঠি হলো সচেতনতা, আত্মবিশ্বাস ও সীমারেখা তৈরি করা।