STG Gaming 2.0

STG Gaming 2.0 �✿

~শেষ ঠিকানা হোক �

╣জান্নাত╠ �

�✿

25/12/2024
আমি কিন্তু Touch করিনি🙂
31/03/2024

আমি কিন্তু Touch করিনি🙂

ওহ
27/03/2024

ওহ

একপাশে পূ'র্ণতা অন্য পাশে শূ'ন্যতা। 😅💔
27/03/2024

একপাশে পূ'র্ণতা অন্য পাশে শূ'ন্যতা। 😅💔

🙃🙃
27/03/2024

🙃🙃

Pola khaite kemon?🫣🔪
27/03/2024

Pola khaite kemon?🫣🔪

পরিস্কার🙂
27/03/2024

পরিস্কার🙂

আমি যখন প্রেমে তলিয়ে গেছি তখন শুনলাম আমার ফুপাত বোন চারুও তাকে ভালোবাসে। ফুপু মারা গিয়েছেন চারুর বয়স যখন ছয় বছর তখন। তার...
19/03/2024

আমি যখন প্রেমে তলিয়ে গেছি তখন শুনলাম আমার ফুপাত বোন চারুও তাকে ভালোবাসে। ফুপু মারা গিয়েছেন চারুর বয়স যখন ছয় বছর তখন। তারপর বাবা চারুকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এলেন। সেই থেকে সে এখানেই থাকে। মা বাবা কখনও তাকে বাবা মায়ের অভাব বুঝতে দেননি। ফুপা আবার বিয়ে করে সংসার শুরু করলেও চারুর খোঁজ খবর নেন। মা মরা এই মেয়েটার প্রতি সবার ভালোবাসাই যেন একটু বেশি। আমি নিজেও তাকে খুব ভালোবাসি। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে বাবা মায়ের ভালোবাসার ভাগ দিয়েছি বলে প্রেমিকের ভাগও দেবো? অবশ্য অশ্রুনীলকে প্রেমিক বললে ভুল হবে। সে বাবার বন্ধুর ছেলে। আজও তাকে বলা হয়নি যে, ছোটবেলা থেকেই আমি তাকে ভালোবাসি। ঠিক কবে থেকে সেই ভালোবাসার সূচনা তা আমি নিজেও জানি না। চারু কি জানে কবে থেকে সে অশ্রুনীলকে ভালোবাসে? জিজ্ঞেস করতেও বুক কাঁপছে। রুমালে যদি "অশ্রুনীল" লিখে সেলাই না করত তাহলে তো জানতেই পারতাম না যে, সে অশ্রুনীলকে ভালোবাসে। আমি নিজেও জানি না আমি কী করব। চারু আর আমার বিয়ের সম্বন্ধ আসে। আমরা মাত্র দেড় মাসের ছোট বড়। চারু বড় আমার চেয়ে। তাই বাবা চারুকে বিয়ে দিয়ে তবেই আমাকে বিয়ে দেবেন।
কলেজে ভর্তি হবার পর থেকে মাঝে মাঝে আমাকে আর চারুকে ম্যাথ দেখিয়ে দিতে আসত অশ্রুনীল। সে এসেছে এই খবর পেয়েই চারু সাজতে বসে যেত। বেশ সেজেগুজে সে অশ্রুনীলের সামনা-সামনি বসে অংক করত। আর আমি তো চিরকালের নিরামিষ। সাজগোজ আমার আসে না। তখনও বুঝতে পারিনি চারুর এই সাজের কারণ। আমি বরাবর মাথা নিচু করেই অংক করে গেছি। এতটাই লজ্জা পেতাম যে, অংক না বুঝলেও অশ্রুনীলকে জিজ্ঞেস করতে পারতাম না। কিন্তু সে খুঁটে খুঁটে আমাকেই ধরত। যেটুকু পারতাম নার্ভাস হয়ে সেটুকুও ভুলে যেতাম। সে ধৈর্য্য ধরে আবার বুঝিয়ে দিত। না বুঝলেও মাথা ঝাঁকিয়ে বুঝাতাম, বুঝেছি। কিন্তু চারু ছিল আমার উল্টা। বুঝার পরেও বারবার বুঝিয়ে নিত সে। অশ্রুনীলের সাথে কথা বলার বাহানা ছিল যে এসব তা তখন বুঝতে পারিনি। আজ যখন সব পরিষ্কার তখন কী বা করার আছে আমার? কিন্তু আমি যে বড় মনের পরিচয় দিয়ে নিজের ভালোবাসাকে বলি দিতে পারছি না।
গত একটা সপ্তাহ ধরে আমি ঘুমাই না। তন্দ্রা ভাব এলেও চমকে উঠে ঘুম ভেঙে যায়। কবে যে ভালোবাসা এত গভীর হলো তা নিজেও জানি না। সকালে বাবা অশ্রুনীলের সাথে চারুর বিয়ের কথা বলছিলেন। আমি সরে যাবার স্থান না পেয়ে ভার্সিটিতে চলে এসেছি। একটাও ক্লাস করিনি। সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের কোণের পুকুর পাড়ে বসে আছি। বিকেল গড়িয়ে যাচ্ছে, আমার বাড়ি ফিরতে ইচ্ছে করছে না। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। মা কল করেছে।
কল রিসিভ করতে মায়ের উৎকন্ঠিত কন্ঠস্বর, তুই কোথায় নীরা?
__ক্যাম্পাসে।
__সন্ধ্যে হতে চলল, এতক্ষণ ক্যাম্পাসে কী করছিস?
আমি চুপ করে রইলাম। মা বললেন, বাড়ি ফিরে আয় তাড়াতাড়ি !
__হুঁ
ইচ্ছে থাকলেও বাড়ির এই কোলাহল থেকে দূরে থাকতে পারি না। এ কেমন আবদ্ধ জীবন?
বাড়ি ফিরে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে রইলাম। চারু আর মা বেশ কয়েকবার খাওয়ার জন্য ডেকে গিয়েছে, আমি যাইনি। আমার সাথেই এক বিছানাতেই ঘুমায় চারু। আজকাল তাকে আমার সহ্য হয় না। অথচ সে আমার সবচেয়ে প্রিয় বান্ধবী।
__তোর কী হয়েছে নীরা?
ক্ষীণ স্বরে জবাব দিলাম, কিছু না তো।
__আজকাল আমার সাথে কথা বলিস না দেখছি।
__শরীরটা ভালো নেই। ঘুমাতে দে।
আমি পাশ ফিরে শুলাম। সে আমার মাথায় হাত রেখে বলল, কাল পহেলা ফাল্গুন। শাড়ি পরবি না?
__না।
__কেন?
__আমাকে কবে শাড়ি পরতে দেখেছিস? আর কবেই বা তোর মতো আমাকে সাজতে দেখেছিস?
__এবছর না হয় প্রথম পরবি।
আমি ভীষণ বিরক্ত হয়ে বললাম, চুপ কর না চারু! এসব ভাবা বাদ দিয়ে নিজের বিয়ে নিয়ে ভাব আর আমাকে ঘুমাতে দে।
চারু আর কিছু বলল না।
সকালে ফ্রেশ হয়ে ড্রয়িংরুমে গিয়ে দেখি অশ্রুনীল বসে আছে। বাবা তার সাথে কথা বলছেন। চারু লাজুক মুখে এককোণে দাঁড়িয়ে আছে। কী সুন্দর সেজে আছে সে, যেন তাকে পাত্র দেখতে এসেছে। অশ্রুনীল যে চারুকে পছন্দ করবে সেটা আমি জানি। অমন চঞ্চল চপলাকে কোন ছেলেই বা অপছন্দ করবে?
আমি সেখান থেকে সরে যেতেই অশ্রুনীল আমাকে পেছন থেকে ডাকল, নীরা।
আমার বুকের ভেতরটা ধপ করে উঠে চেপে এলো। আমি মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে গেলাম। পিছু ফিরে তার দিকে তাকানোর ক্ষমতা আমার নেই। এমনিতেই আমি তাকে লজ্জা পাই, এখন আবার সে আত্মীয় হতে চলেছে। আর কয়েকদিন পরে তাকে আমার দুলাভাই বলে ডাকতে হবে। শালি দুলাভাইয়ের যে মধুর সম্পর্কটা থাকে তা হয়তো অশ্রুনীলের সাথে আমার কখনও হবে না। কিন্তু চারুর এই বিয়েটা চোখের সামনে সহ্য করব কী করে সেটাই ভাবছি।
সে আবার ডাকলো আমায়।
__নীরা এদিকে এসো।
আমি অনেক কষ্টে মুখটাকে ঘুরাতে পারলেও চোখ তুলে তার দিকে তাকাতে পারলাম না। সে উঠে এসে আমার হাতে একটা শপিং ব্যাগ ধরিয়ে দিয়ে বলল, বাসন্তী উপহার তোমার জন্য।
হঠাৎ বাবা বলে উঠলেন, চারুরটা কই? আসলে আমি তো কখনও একজনকে কিছু কিনে দিই না। যখন যা কিনি দু'জনের জন্যই কিনি।
অশ্রুনীল ম্লান হেসে বলল, ভালোবাসার উপহার তো একজনকেই দিতে হয়, যাকে ভালোবাসা যায়।
বাবা অবাক হয়ে বললেন, মানে? বুঝলাম না।
অশ্রুনীল খুব দৃঢ় স্বরে বলল, আমি নীরাকে ভালোবাসি।
বাবা হতবাক হয়ে তার দিকে তাকালেন। তার চেয়ে বেশি হতবাক হলাম আমি। আর চারু?
বাবা বললেন, কিন্তু আমরা তো চারুর সাথে....
চারুর চোখদুটো জলে ভিজে একাকার হয়ে গিয়েছে। আমি তার দিকে তাকিয়ে আছি।
অশ্রুনীল বলল, আঙ্কেল, আমি অনেক বছর ধরেই নীরাকে ভালোবাসি। তার লেখাপড়ার ক্ষতি হবে বলে আমি কখনও এসব তাকে বুঝতে দিইনি। আমার বাড়িতে সবাইকে নীরার ব্যাপারে বলা আছে। কাল যখন আপনি বাবাকে চারুর সাথে আমার বিয়ের কথা বলেছিলেন তখন মনে হলো, এখন না বললে বড্ড দেরি হয়ে যাবে। আমার পক্ষে চারুকে বিয়ে করা সম্ভব নয়। আমি কখনও তাকে অন্য দৃষ্টিতে দেখিনি।
বাবা আর কিছু বললেন না। আমরা সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। অশ্রুনীল কিছুক্ষণ চুপ থেকে উঠে দাঁড়িয়ে আমাকে বলল, বিকেলে আমি আসব তোমায় নিয়ে ঘুরতে যাব। ব্যাগে শাড়ি চুড়ি আছে, তুমি শাড়ি পরে রেডি থেকো।
আমি কিছু বললাম না। এমন কী মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতিও দিলাম না। অশ্রুনীল চলে গেল। আমি নিজের ঘরে এলাম। চারু ঘরে এলো না। এমনকি সারাটা দিনেও সে একবারও ঘরে আসেনি। এতে আমার একটুও খারাপ লাগেনি। আমার ভেতরে অচেনা এক অনুভূতি কাজ করছে। যা আমি বর্ণনা করতে পারছি না।
আমি আর অশ্রুনীল রিকশায় বসে আছি পাশাপাশি। কারও মুখে কোনো কথা নেই। আমি লজ্জায় তার দিকে তাকাতেও পারছি না। চারু এখন কী করছে তা আমি জানি না। জানতেও চাই না। মানুষ মাঝে মাঝে খুব স্বার্থপর হয়ে যায়। বাবা-মা, বিছানা এবং নিজের জামা কাপড় যার সাথে ভাগ করেছি তার সাথে প্রেম ভাগ করা যায়নি। শুনেছি যুদ্ধে আর প্রেমে ভুল বা অন্যায় বলে কিছু নেই। আমিও অন্যায় করিনি। নীরবতা ভেঙে হঠাৎ অশ্রুনীল বলল, চোখ বন্ধ করো, নীরা।
আমি কিছু না বলেই চোখ বন্ধ করলাম। সে আমার খোপায় কাঠগোলাপ গুজে দিলো। বসন্তের রঙে রঙিন হলাম আমি। ছড়িয়ে দিলো সে ভালোবাসার পরাগ। আমার বন্ধ চোখ থেকে জল গড়িয়ে পড়ছে অবিরাম....
"অশ্রু সুখে অশ্রুনীল"

গল্পের শহর

-ডেয়ার দিয়ে সে'**ক্স করতে চাইলে কি সে'**ক্স করতে হবে নাকি! আমার তো মনে হয় তুমি সেটাতেও রাজি হয়ে যেতে।অরুণা বিরক্ত হয়ে বল...
12/03/2024

-ডেয়ার দিয়ে সে'**ক্স করতে চাইলে কি সে'**ক্স করতে হবে নাকি! আমার তো মনে হয় তুমি সেটাতেও রাজি হয়ে যেতে।
অরুণা বিরক্ত হয়ে বলল,
-আজব! কিসের সাথে তুমি কী মিলাচ্ছ! তুমি ছোট একটা ব্যাপার নিয়ে শুধু শুধু এত ঝগড়া করছ।
আবির বলল,
-এটা কোনো ছোট ব্যাপার নয়। একটা অপরিচিত ছেলে তোমাকে তার সাথে কফি ডেটে যাওয়ার জন্য ডেয়ার দিলো, আর তুমি নাচতে নাচতে চলে গেলে! তার সাথে বসে কফি খেলে, এটা ছোট ব্যাপার নয়। এমনিতে দেখা করলে বা কফি খেলে কিছু মনে করতাম না। ডেয়ার দিয়েছে দেখে করেছ এটা আমার ভালো লাগেনি। এরপরে তো রুম ডেট করার ডেয়ার দিবে।
-ছিঃ আবির! মুখে যা আসছে তা-ই বলে যাচ্ছ। তুমি যেভাবে ব্যাপারটা তুলে ধরছ, ব্যাপারটা এমন না। এটা জাস্ট ফান ছিল। এর বেশি কিছু না।
-এগুলো ফান না, এগুলো নষ্টামি।
অরুণা এবার রেগে গিয়ে বলল,
-আমি নষ্ট মেয়ে তাই তো বলতে চাচ্ছ? তোমার মতো এত নিচু মনমানসিকতার ছেলের সাথে রিলেশন কনটিনিউ করা সম্ভব নয়। আমি কী করবো, না করবো, সব তোমার থেকে পারমিশন নিয়ে করতে হবে নাকি! আমার নিজের কি কোনো স্বাধীনতা নাই! তোমার হাতের পুতুল মনে করো নাকি আমাকে!
নারীদের সেই চিরাচরিত স্বাধীনতার বুলির কাছে পরাস্ত হলো আবির। সে আর কোনো তর্কে না গিয়ে বলল,
-আচ্ছা সরি। তোমার লাইফ, তোমার যা ভালো মনে হয় সেটাই করো। সরি। আমি চলে যাচ্ছি তোমার জীবন থেকে।
-যাও। তোমার মতো এত টক্সিক মানুষের সাথে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না।
এই ঘটনার পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। সেইদিনই ছিল তাদের শেষ কথোপকথন। এর ছয়মাসের মধ্যেই আবির বিদেশে পাড়ি জমিয়েছিল পড়ালেখার উদ্দেশ্যে। বেশ কিছুদিন হলো সে দেশে ফিরেছে। আজ ঢাকা শহরটা ঘুরে দেখতে বের হয়েছে। নিউ মার্কেটের সামনে এক পাগলীকে দেখে থমকে গেল সে। হঠাৎ চোখে ভেসে উঠল অরুণার সাথে কাটানোর স্মৃতির ঝলক। মেয়েটিকে অবিকল অরুণার মতো দেখতে। তবে এটাই কি অরুণা? এই অবস্থা হলো কী করে তার! এটা আবির কল্পনাও করতে পারেনি। অরুণার যেসব বান্ধবীর সাথে আবিরের পরিচয় ছিল, ব্রেকাপের পরে সবাইকে ব্লক করে রেখেছিল সে। নুসরাত নামে অরুণার একজন ক্লোজফ্রেন্ড ছিল। নুসরাতকে আনব্লক করে ম্যাসেজ দিলো আবির। ঘন্টাখানেক পরে ম্যাসেজের রিপ্লাইও পেল। এরপরে কল দিয়ে অরুণার ব্যাপারে জানতে চাইলো। নুসরাত বলল,
-আপনার সাথে ব্রেকাপের পরে অরুণা ছেলেদের সাথে বেশি মিশতে শুরু করে। এক একদিন এক এক ছেলের সাথে ঘুরতে যায়। আর এত পরিমাণ গিফট পেত ছেলেদের কাছ থেকে, বলার বাইরে। বেশ ভালোই কাটছিল ওর দিন।
আবির প্রশ্ন করলো,
-আমার কথা কখনো বলতো না?
-না।
-পরে কী হলো?
-আমাদের থেকেও দূর যাওয়া শুরু করলো। আমাদের সাথে তেমন মিশতো না, আগের মতো কথা বলতো না। অনেক রাত করে বাসায় ফিরতো। আঙ্কেল, আন্টি আমাদেরকে কল করতো ও কোথায় জানার জন্য। কিন্তু আমরা তো কিছু জানতাম না ওর ব্যাপারে। এরপরে শুনলাম মদ খেয়ে বসায় ফিরতো। কিছু বললে ভাঙচুর করতো। একদম বেপরোয়া হয়ে গিয়েছিল।
বলে চুপ করে রইলো নুসরাত। আবির প্রশ্ন করলো,
-এরপরে কী হলো?
-এরপরে আপনার আর না জানাই ভালো হবে। কিছু কিছু ব্যাপার অজানা থাকাই ভালো।
-না। বলো প্লিজ। আমি জানতে চাই।
-অন্য একদিন বলবো। আপনার কী খবর বলুন? বিয়ে সাদি করেছেন?
-না। তুমি পুরো ঘটনাটা বলো প্লিজ।
-আমি এখন বলতে পারবো না। আশেপাশে লোকজন আছে।
কল কেটে দিলো নুসরাত। এরপরে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও নুসরাতের কাছ থেকে
ঘটনার বাকি অংশ শোনা সম্ভব হয়নি। নানা অজুহাতে সে এড়িয়ে যেতে চেয়েছে। আজ হঠাৎ লিমনের সাথে দেখা হলো আবিরের। লিমন, অরুণা এবং আবির একসাথেই পড়ালেখা করতো। একসাথে চা খেতে খেতে স্মৃতিরপাতাগুলো উল্টেপাল্টে আলোচনা করা হলো। একসময়ে আবির জিজ্ঞেস করলো সে অরুণার ব্যাপারে কিছু জানে কিনা? লিমন বলল,
-অরুণার কথা তো সবাই জানে। কয়েকটা পত্র-পত্রিকায়ও ওকে নিয়ে লেখালিখি হয়েছিল।
-কেন?
-কথাটা শুনলে তোর অনেক কষ্ট লাগবে বন্ধু। বাদ দে।
-বল না?
-গ্যাঙ রেপ হয়েছিল ওর। কোনো একটা ফ্রেন্ডের বার্থডে পার্টতে গিয়েছিল। দুইদিন ধরে ওর বাবা-মা ওর কোনো খোঁজ পায়নি। পরে জানতে পারে ও হাসপাতালে ভর্তি এবং ওর অবস্থা খুব খারাপ। প্রায় ছয় মাসের মতো হাসপাতালে ছিল। শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
-দোষীদের কোনো শাস্তি হয়নি?
-দোষীরা সব ধনীর দুলাল। কী আর হবে? মামলা চলেছে কিছুদিন তারপরে এক একজন জামিনে বের হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আর মেইন কথা হচ্ছে এর আগে অরুণার একবার গর্ভপাতও করা হয়েছে। বিয়েই আগেই গর্ভপাত, যেকারণে বিরোধীপক্ষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করছে, অরুণা স্বেচ্ছায় কাজটি করেছে।
-ওর চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা হয়নি?
-কে করাবে? ওর মা-বাবা দুইজনই মারা গেছেন। এখন ওকে দেখার কেউ নেই। আত্মীয়-স্বজনরা কেউ এই পাগলীর দায়িত্ব নেয়নি।
আবির দীর্ঘশ্বাস ফেলল। বলল,
-এখন সে একদম স্বাধীন। নিজের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে। পাগলের কোনো পরাধীনতা নেই। আমরা চাইলেই পোশাক খুলে হাঁটতে পারিনা। কারণ আমরা সমাজের নিয়মকানুনের কাছে দায়বদ্ধ। একজন পাগল চাইলে পোশাক খুলে হাঁটতে পারে। যা ইচ্ছা করতে পারে, তার কিছু ভাবতে হয়না। সে সমাজের সব দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত। এটাই তো ভালো।
মুখে এই কথা বললেও ওর ভিতরটা কষ্টে ফেটে যাচ্ছে। অরুণাকে খুঁজতে সে বেরিয়ে পড়লো। নিউ মার্কেটের কাছেই তাকে খুঁজে পাওয়া গেল। আবির কাছে যেতেই লাঠি দিয়ে মারতে আসলো তাকে। বলল,
-তোর ফাঁসি চাই।
-কেন আমি কী করেছি?
-তুই ধর্ষক। তোরা সবাই ধর্ষক।
বলতে বলতে দৌঁড় দিলো সে। আবির একটি প্রাইভেট মানসিক হাসপাতালে যোগাযোগ করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলো। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে আবির ভাবতে লাগল, এইযে মেয়েদের অবাধ স্বাধীনতার বুলি আওড়ানো ছেলেগুলো, এরা নিজেরাও এমন মেয়ে বিয়ে করবে না যেসব মেয়ে তাদের সাথেই রাত-বেরাতে পার্টি করে বেড়ায়, একসাথে নেশা করে বা অবাধ শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। অথচ এরা নিজেরা ঠিকই মেয়েদেরকে স্বাধীনতার ব্যাপারে ইনফ্লুয়েন্স করার চেষ্টা করবে। তাদের সাথে মেলামেশা করতে ইনফ্লুয়েন্স করবে। তাদের সুপ্ত উদ্দেশ্য একটাই ভোগ করা। দিনশেষে এই মেয়েগুলোই ভিক্টিম হয়। দিনশেষে তারা না পায় সেসব বন্ধুগুলোকে, না পায় স্বামী-সংসার।
#স্বাধীন_পাগলী
©️অংকুর রায় অনিক

আমার বউ  তরী এতই বেশী হিন্দি সিরিয়াল দেখে যে, বাসর রাতে সে স্টার-প্লাস লাগিয়ে দিয়েছে।তবে হিন্দি সিরিয়ালে আমার কোন প্রবলে...
04/03/2024

আমার বউ তরী এতই বেশী হিন্দি সিরিয়াল দেখে যে, বাসর রাতে সে স্টার-প্লাস লাগিয়ে দিয়েছে।
তবে হিন্দি সিরিয়ালে আমার কোন প্রবলেম নেই, কিন্তু প্রবলেম হলো ওর হিন্দি বলাতে।

সে সব কিছু বাংলাতে বললেও, শুধু একটা শব্দ হিন্দি বলে। আর সেটা হলো ও চুল'কে বাল বলে।

ওইদিন আম্মাজান বউকে বললেন... মা! চিরুনি'টা নিয়ে আয় তো!
বউ বলল," মা বালের জন্য কি আনবো !"

মা তো কথাটা শুনে মৃদু স্ট্রোক করলেন। শেষে কোনো রকম বুঝিয়ে দমানো গেলো আর কি।

আমার বিয়ের পর প্রথম আমার বউকে দেখতে আসলেন আমার অফিসের বস । এসে সোফায় বসে আমাকে বললেন,, ,শাওন তোমার বউকে তো দেখি নি,,, কোথাও তোমার বউ ডাকো। তাড়াতাড়ি কর,,আমার আবার কাজ আছে।"

বউ, নাস্তার ট্রে নিয়ে সালাম দিয়ে বলল," স্যার! কেমন আছেন? স্যার, আপনি তো অনেক স্মার্ট।

স্যার খুশি হয়ে বললেন," আলহামদুলিল্লাহ এবং ধন্যবাদ।

তরী বলল: স্যার আপনার বাল থাকলে, আরো সুন্দর লাগত। লম্বা বাল, স্যার'দের বেশ মানায় ভালো। আমি তো শাওন'কে বালের জন্যই বিয়ে করিছি। বাল না হলে কি বিয়ে করতাম?"

স্যার,বুকে হাত দিয়ে রেখেছেন। মনে হয় হার্ট এটাক
করে ফেলেছেন বোধহয় । বস তাড়াতাড়ি করে উঠে হাসপাতাল এর দিকে স্ব-ইচ্ছায় চলে গেলেন।

ওইদিন গ্রাম থেকে ফুঁপি এসেছেন বউকে দেখতে।
বউ এর চেহারা দেখে বললেন, মাশাল্লাহ! বউয়ের চেহারা তো জব্বর সুন্দর। চুলটা লম্বা করলে আরো ভাল লাগত।

বউ বলে কিনা," আপনি কি বালের কথা বলতেছেন। বাল বড় করতে আপনাদের ভাতিজা'ই দেয় না!"
ফুঁপি কথাটা শুনে অজ্ঞান হয়ে গেলেন। শেষে গ্রামেই গিয়ে জ্ঞান ফিরলো।

শেষমেশ এই বালের শব্দের জন্য বাবার দুইবার হার্ট এটাক ও মায়ের দুইবার স্টোক হয়ে গেছে অলরেডি। ডাক্তার বলেছে, আরেকবার হলে বাঁচানো যাবে না।

তাই চিন্তা করলাম "তরী" কে ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
ডিভোর্স দিতে বউকে নিয়ে গেলাম আদালতে, জজ সাহেব "তরী" কে জিজ্ঞাসা করলেন: মা! ডিভোর্স কেন দিচ্ছে তোমার হাজবেন্ড? প্রবলেম কিসে?"

বউ বলে উঠলো," আমার কোনো প্রবলেম নেই। প্রবলেম হলো আমার বালের। আপনি কি বালের জজ, যে বালের রায় দিবেন এখন?"। বাল বলা কি অপরাধ স্যার। স্যার আপনে বলেন,,সেটাকি আমার দোষ।

জজ সাহেব দেখলাম অজ্ঞান হয়ে টেবিলের উপর থেকে দপাশ করে নিচে পড়ে গেলেন। মনে হয় বেঁচে নেই।

তারাতারি কেউ দেখার আগে বউকে নিয়ে কেটে পড়লাম। সে ঘটনার পর ভাবলাম, ডিভোর্স তো দিতে পারলাম না, তাই এক কাজ করা যাক । বউকে বাংলা শেখানোর জন্য মাস্টার রেখে দেই, যাতে শব্দটা চেঞ্জ করা যায়।

বাংলা মাস্টার বউকে পড়াচ্ছেন," বাল মানে চুল, চুল মানে বাল নয়!"

মুখে মুখে তরীও পড়ছে। "বাল মানে বাল, বাল মানে বাল নয়!"
আমি এবার সত্যি সত্যি মনে মনে হিন্দি সিরিয়াল'কে বাল বলে গা'লি দিয়ে বসলাম।

আমি একটা চুলের শ্যাম্পু কোম্পানিতে চাকরী করি। ঘরে বউয়ের বাল শব্দটা শুনতে শুনতে কখন যে আমার মাঝে, বালের ভাইরাস'টা ঢুকে গেছে, সেটা আমি বুঝতে পারিনি।

ওইদিন আমাদের প্রোডাক্ট নিয়ে লাইভে মার্কেটিং করছিলাম। শ্যাম্পু'টা হাতে নিয়ে বললাম,"এই হলো বালের শ্যাম্পু। এই শ্যাম্পু দিলে,আপনার বাল হবে, চকচকে, উজ্জ্বল ও রেশমি নরম। আপনার বালকে যদি সুন্দর ও চিল্কি করতে চান, তাহলে আজই সংগ্রহ করুন বালের শাম্পু, তাই বেশি বেশি বালের শ্যাম্পু মাখুন,আপনার বাল লম্বা করুন!"
-----
এইদিকে আমার এই বালের চক্করে আমাদের পুরা কোম্পানি টাই শেষ হয়ে গেল। সরকার কোম্পানিকে বাজেয়াপ্ত করলো, আর আমাদের বস উপরে চলে গেলেন।

শেষে, অনেক সাধনা ও কষ্টে আমি আমার বাল শব্দ থেকে চুল শব্দটা ফেরত আসলাম । কিন্তু যতো চিন্তা রয়ে গেল আমার বউ তরীকে নিয়ে।।

আপনাদের কে বলছি একটু বালের যত্ন নিবেন, সরি চুলের যত্ন নিবেন, কেমন।

30/10/2023

🖤🌸:~ মানুষের জীবনে সব সপ্ন পূরন হবার নয়,☺️কিছু সপ্ন না বলা কথার মতো অ'প্রকাশিত রাখাই শ্রেয় এতেই জীবন সুন্দর!'🖤

20/08/2023

Need Fllower
GO 5K
👇👇
STG Gaming 2.0

Address

New Market
Jessore
7400

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when STG Gaming 2.0 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category