Point of View

Point of View It’s Fariya, I'm a Bangladeshi Vlogger.
(1)

08/08/2025

"সোহেল ভাই" টাইপ মানুষরা, অর্থাৎ অফিসের ভেতরে থাকা অযোগ্য কিন্তু ক্ষমতাবান/ঘনিষ্ঠ লোকেরা, কেন একজন মেধাবী, যোগ্য, বা নতুন কাউকে টার্গেট করে পেছনে লেগে থাকে এবং তাকে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য করে — সেটা অনেক সময় গভীর মনোভাব আর অফিস রাজনীতির কারণে হয়ে থাকে।

নিচে তাদের মূল কারণগুলো বিশ্লেষণ করে বলছি:

🔍 ১. হিংসা ও নিরাপত্তাহীনতা (Insecurity & Jealousy)
নতুন কেউ ভালো পারফর্ম করলে, বসের নজরে আসলে — তারা ভয় পায় নিজের জায়গা হারাতে পারে।

তারা জানে, নিজেরা অতটা দক্ষ নয় — তাই যোগ্য লোককে সরিয়ে রাখতে চায়।

👉 “যদি ও থাকে, তাহলে আমি ফিকে হয়ে যাবো” — এই ভয় থেকেই হিংসা জন্মায়।

🔍 ২. ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা (Control Syndrome)
তারা চায় অফিসে নিজের আধিপত্য বজায় রাখতে।

কেউ নতুন করে এসে যদি নিয়মভঙ্গ না করে, কাজ করে, জনপ্রিয় হয় — তখন তাদের মনে হয় তারা গুরুত্ব হারাচ্ছে।

👉 “সবাই আমার অনুমতি ছাড়া এগোচ্ছে কেন?” — এই মনোভাব থেকেই বাধা তৈরি করে।

🔍 ৩. চাটুকারিতা করে অর্জিত পজিশন রক্ষা (Fear of Exposure)
তারা জানে, তারা চাকরি ধরে রেখেছে বসের চাটুকারিতা করে, না-জেনে, না-করে।

যদি কেউ প্রকৃত কাজ জানে এবং ফলাফল দেখাতে পারে — তাহলে বসের চোখ খুলে যেতে পারে।

👉 “যদি বস বুঝে যায় আমি আসলে তেমন কিছু পারি না?” — এই ভয় তাদের আক্রমণাত্মক করে তোলে।
🔍 ৪. অফিস রাজনীতিতে ‘চেক-মেট’ খেলা
যোগ্য লোকরা সাধারণত অফিস পলিটিক্সে অংশ নিতে চায় না।

“সোহেল ভাই”-রা জানে, কেউ যদি কাজ দিয়ে প্রভাব বিস্তার করে, তাহলে পলিটিক্সের খেলা কমে যাবে।

👉 “ওর মতো কাজ জানা লোক থাকলে, আমার দালালি কাজ করবে না” — এই ভয় থেকেই তারা বাঁধা দেয়।

🔍 ৫. মালিক/ম্যানেজমেন্টকে ভুল বোঝানো (Poisoning the Well)
তারা বসের কান ভারী করে দেয় — বলে,

"নতুন ছেলেটা বেয়াদব"

"টিমে মানায় না"

"নিজেকে খুব কিছু ভাবছে"

"টিমওয়ার্কে সমস্যা করছে"

বস অনেক সময় না বুঝে বা সময় না দিয়ে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়।

👉 এর ফলেই যোগ্য লোক হঠাৎ চাকরি ছাড়তে বাধ্য
হয়।

🔍 ৬. আত্মবিশ্বাস ভাঙার কৌশল (Psychological Warfare)
রোজ ছোটখাটো খোঁটা

কাজের সম্মান না দেওয়া

প্রাপ্য কৃতিত্ব কেড়ে নেওয়া

মিটিংয়ে অপমান

মিথ্যে দোষ চাপানো

👉 এগুলো মিলে মানুষ মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, নিজেই চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

🔚 সারাংশে বলা যায়:
"সোহেল ভাই" টাইপ মানুষরা নিজেরা যতটা অযোগ্য, তার চেয়েও বেশি ভয় পায় যোগ্য লোকদের উপস্থিতি।
তাই তারা —

হিংসা করে

ভয় পায়

অপমান করে

এবং শেষমেশ বসকে ব্যবহার করে ওই মানুষটাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করে।

✅ কীভাবে বোঝা যায় তারা পেছনে লেগেছে?
হঠাৎ কাজের মূল্যায়ন কমে যাওয়া

রেগুলার রিপোর্টে খুঁত ধরা

বসের আচরণ বদলে যাওয়া

টিমে একঘরে করে ফেলা

“তুমি নিজেই চাকরি ছাড়লে ভালো হবে” — এমন ইঙ্গিত।

#অফিসপলিটিক্স #বাস্তবতা

🎯 গল্পের নাম: “হেরে না যাওয়া মানুষটা”তানভীর — বয়স ৩২, একটা ছোট বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেছে। কোম্পানির নামটা বড় না, কি...
07/08/2025

🎯 গল্পের নাম: “হেরে না যাওয়া মানুষটা”
তানভীর — বয়স ৩২, একটা ছোট বেসরকারি কোম্পানিতে কাজ করেছে। কোম্পানির নামটা বড় না, কিন্তু তানভীর তার কাজটা ভালোবাসত।
বেতন কম, তবুও চেষ্টা করত সংসারের চাকা চালিয়ে রাখতে।

বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী মিতু আর দশ মাসের মেয়ে রাইসা।
স্ত্রী একটা প্রাইভেট অফিসে কাজ করে — মাসে মাত্র ১২,০০০ টাকা বেতন।

হঠাৎ একদিন কোম্পানির বস তাকে ডেকে বলে —

“দুঃখিত তানভীর, অফিসে খরচ কমাতে হচ্ছে। তোমাকে রাখাটা এখন সম্ভব নয়।”

চোখের সামনে যেন অন্ধকার নেমে আসে।

চাকরি চলে যাওয়ার পর প্রথম কয়েকদিন তানভীর বোঝে না — কী করবে?
বাইরে কাউকে বলতেও লজ্জা পায়, আত্মসম্মান আঘাত
পায়।
মেয়ের দুধ শেষ হয়ে যায়, স্ত্রীর মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট।

মিতু একদিন চুপচাপ বলল:
“তুমি চাকরি হারিয়েছো, তুমি মানুষ হারাওনি। আমরা আছি তোমার পাশে।”

তানভীর কাঁদে না, চিৎকার করে না — বরং একটা খাতা নেয়, কলম হাতে তুলে নেয়।
প্রতিদিন লিখে:

কোথায় আবেদন করল,

কোন কোন কাজ শেখা দরকার,

কীভাবে নিজেকে গড়বে নতুনভাবে।

সকালে মেয়েকে কোলে নিয়ে অনলাইনে চাকরির ওয়েবসাইট ঘাঁটে।
দুপুরে পুরোনো অফিসের কলিগদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।
রাতে নিজের মোবাইলে ইউটিউব দেখে ছোট ছোট স্কিল শেখে — ডিজিটাল মার্কেটিং, Canva, Resume Writing।
তানভীর এখনো চাকরি পায়নি।
তবুও সে থেমে যায়নি।

কারণ সে জানে —

“চাকরি পাওয়া না পাওয়া আমার নিয়ন্ত্রণে না,
কিন্তু চেষ্টা করা, শেখা আর লড়াই করা আমার হাতে।”

রোজ সন্ধ্যায় মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে,
“তুই দেখিস রাইসা, তোর বাবা একদিন ঠিক ঘুরে দাঁড়াবে।”

🌱 শেষ দৃশ্য:
এক সন্ধ্যায় বারান্দায় বসে তানভীর মিতুকে বলে:

“আমার এখনো চাকরি নেই। কিন্তু আমি এখন ভেঙে পড়িনি, আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছি।”

মিতু পাশে বসে মাথায় হাত রেখে বলে:

“এই মনোবলই একদিন আমাদের জিতিয়ে দেবে।”

✅ গল্পের বার্তা:
সব মানুষ সফল হয় না একদিনেই।
কিন্তু যারা হেরে না গিয়ে প্রতিদিন একটু একটু করে এগোয়, তাদেরই গল্প একদিন অনুপ্রেরণা হয় হাজার মানুষের জন্য।

তানভীর এখনো বেকার — কিন্তু হেরে যায়নি।

🌒 গল্পের নাম: “ছায়ার দেয়াল”রাহিন — স্নাতক শেষে যোগ দিয়েছিল রাজধানীর একটি বড় নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে।কাজের প্রতি ভালোব...
07/08/2025

🌒 গল্পের নাম: “ছায়ার দেয়াল”
রাহিন — স্নাতক শেষে যোগ দিয়েছিল রাজধানীর একটি বড় নামকরা প্রাইভেট কোম্পানিতে।
কাজের প্রতি ভালোবাসা, সময়ানুবর্তিতা, আর নতুন আইডিয়া দিয়ে অল্প কয়েক মাসেই হয়ে ওঠে বসের নজরে আসা একজন কর্মী।

কিন্তু এই উজ্জ্বলতার ঠিক পেছনে লুকিয়ে ছিল এক অন্ধকার ছায়া — নাম সোহেল ভাই।

১০ বছর ধরে অফিসে আছেন। কাজ না জানলেও বসকে চা এনে দেওয়া, কানে কানে “তথ্য” দেওয়া আর জুনিয়রদের দমিয়ে রাখার কাজ ভালোই জানতেন।

প্রথম থেকেই রাহিনের সাফল্য তাকে অস্বস্তিতে ফেলছিল।
যেখানে রাহিন ৫ দিনে কাজ শেষ করে, সোহেল ভাই ১৫ দিনেও পারতেন না।
কিন্তু ক্ষমতা ছিল তার হাতে — কারণ তিনি ছিলেন “ম্যানেজমেন্ট ঘনিষ্ঠ”।

⚠️ শুরু হলো অপমানের রাজনীতি:
রাহিনের রিপোর্টে ইচ্ছাকৃত ভুল দেখানো

ক্লায়েন্ট মিটিং থেকে বাদ দেওয়া

বসকে বলে, “এই ছেলে নাকি অহংকারী, টিমে কাজ করতে পারে না”

এমনকি, একবার রাহিনের আইডিয়া নিজের নামে পেশ করেও বসের প্রশংসা কুড়ালেন সোহেল ভাই

দিনদিন রাহিন বুঝে গেল — এই ছায়ার দেয়ালের ভেতর তার আলো আটকে যাচ্ছে।

প্রচণ্ড মানসিক চাপ, হতাশা, এবং অবমূল্যায়ন — সব মিলে একদিন রাহিন অফিস শেষে বাসায় ফিরে কেঁদে ফেলল।
মা জিজ্ঞেস করলেন:
“কি হয়েছে বাবা? এত কষ্ট পাচ্ছো কেন?”

রাহিন শুধু বলল,
“আমি কাজ করতে চাই, কিন্তু এখানে কাজের চেয়ে চাটুকারিতাই বড় যোগ্যতা।”

📌 তারপর একদিন…
রাহিন একটা ছোট ভুল করে বসে — খুব সাধারণ, কিন্তু সোহেল ভাই সেটা এমনভাবে সাজিয়ে বসের কাছে উপস্থাপন করলেন যেন পুরো অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

রাহিন চেষ্টা করল নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে —
কিন্তু বস শুধু বলল:

“তুমি অনেক ভালো, কিন্তু টিমের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছো না। তুমি চাইলে চাকরিটা নিজেই ছেড়ে দিতে পারো।”

😔 রাহিন বুঝে গেল —
এখানে তার জ্ঞান, দক্ষতা বা শ্রমের কোনো দাম নেই।
এখানে ছায়ারাই রাজা।

🎯 সে দিনই রাতে রাহিন সিদ্ধান্ত নেয়:
“আমি আর সময় নষ্ট করবো না তাদের সাথে যুদ্ধ করে যারা আলো ভয় পায়।”

চাকরি ছাড়ে — চোখে জল নয়, চোখে আগুন নিয়ে।

একদিন রাহিনের সাবেক কোম্পানির একজন জুনিয়র কল করে বলে —
“আপনার কথা এখনো অফিসে ঘুরে বেড়ায় ভাই! অনেকে বুঝেছে আপনি কি ছিলেন।”

রাহিন ফোন রেখে মুচকি হেসে বলে:

“আমি ছায়ার নিচে বড় হতে পারিনি, তাই নিজের আকাশ খুঁজে নিয়েছি।”

✅ গল্পের বার্তা:
প্রাইভেট কোম্পানির সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো —
অযোগ্য কিন্তু প্রভাবশালী ছায়ারা।
তারা আলোর সামনে দাঁড়িয়ে থাকেই, যাতে কেউ চোখে না পড়ে।

কিন্তু যে আলোর উৎস নিজের ভিতর তৈরি করে —
তাকে থামানো যায় না, শুধু দেরি হয়।

চাকরি হারানো শেষ না — নিজের মূল্য বোঝা শুরু মাত্র।

06/08/2025

🎞️ শিরোনাম: “আমি ঠিক মানুষটা ছিলাম না, কিন্তু চেষ্টা করেছি মানুষ হতে”
(একজন ছেলের গল্প, একজন বাবার গল্প, একজন স্বামীর গল্প, একজন সন্তানের গল্প)

ছেলেটা ক্লাস এইট পর্যন্ত ছিল অসাধারণ মেধাবী। স্কুলে যখন তার নামটা পুরস্কার তালিকার উপরে থাকত, মা-বাবা গর্বে বুক ফুলিয়ে বলত, "আমার ছেলে অনেক বড় হবে।"

কিন্তু হঠাৎ সব বদলে গেল।
জীবনের মোড় ঘুরে গেল একদম ভুল পথে।

পলিটিক্সে জড়িয়ে গেল ছেলেটা।
ভাইয়া-দাদা'দের হাত ধরে মিছিল-মিটিং, ক্ষমতার নেশা, বড় বড় কথাবার্তা—সবকিছু তাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে, কিন্তু কেড়ে নিয়েছে নিজের ছায়াকেও।

স্বেচ্ছাচারিতা তখন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। রাতজেগে
আড্ডা, ক্যাম্পাসে দৌড়াদৌড়ি, ঝগড়া-বিবাদ—এইসবের মধ্যেই সে মানুষ হতে চেয়েছে। তবুও, আশ্চর্যভাবে, কোনো এক অপার জেদে সে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে।

তারপর শুরু হলো চাকরির দৌড়।

চাকরি পেল, আবার হারাল।
অভিজ্ঞতা হলো, স্কিল্ড হলো—কিন্তু কোথাও টিকতে পারল না। কাগজে ‘চাকরিজীবী’, বাস্তবে ‘অস্থির আত্মা’। প্রতিষ্ঠান চায় স্থায়িত্ব, আর তার মধ্যে ছিল ছটফটানি—নিজেকে খুঁজে পাওয়ার।

তারপর একদিন, সে স্বামী হলো।
একটি দায়িত্ব ঘাড়ে এসে পড়ল—

আরও পরে সে বাবা হলো।
একটা ছোট্ট মেয়ের হাত যখন তার বুকের ওপর পড়ল, সে বুঝল—এই পৃথিবীতে এখন সে কারো জন্য আবশ্যক।
সে তখন আর শুধু এক “স্বেচ্ছাচারী ছেলে” না—
সে একজন “চিন্তিত স্বামী”
একজন “অস্থির কিন্তু চেষ্টাবান বাবা”
একজন “ব্যর্থ হলেও হার না মানা সন্তান”
একজন মানুষ, যে শুধু একটা জিনিস করে—চেষ্টা।

তাকে সবাই ভুল বুঝেছে, কেউ ভালো বলেনি—তবু সে চেষ্টা করেছে সোজা পথে হাঁটতে। নিজেকে গড়তে। পারিবারিক দায়িত্ব পালনে ক্লান্ত হলেও পিছু হটেনি।

🎙️ শেষ কথা:
"আমি কখনোই নিখুঁত ছিলাম না।
আমি কখনো তোমাদের গর্বের মানুষ হতে পারিনি।
কিন্তু বিশ্বাস করো, আমি প্রতিদিন ভাঙা আয়নাতে তাকিয়ে নিজেকে গড়ার চেষ্টা করেছি।
আমি মানুষ হতে চেয়েছি।
এটাই কি যথেষ্ট না?"
#জীবনেরগল্প #বাবারচোখে #স্বামীরমনে #ছেলেরদায়িত্ব #চেষ্টারগল্প

06/08/2025

Celebrating my 4th year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

06/08/2025

একজন মধ্যবিত্ত ছেলের চিন্তিত দিনলিপি 🕯️
১০ মাসের একটা ফুটফুটে মেয়ে আমার—ওর ছোট্ট হাত ধরে যখন তাকাই, মনে হয় পুরো পৃথিবীটা হাতের মুঠোয়। আর যখন ভবিষ্যতের কথা ভাবি, বুকটা হালকা কেঁপে ওঠে। কারণ, আমি এখন বেকার।

কিছুদিন হলো চাকরি ছেড়েছি। মাথার ভেতরে অনেক চিন্তা—চাকরি ছেড়ে দিয়ে কি ভুল করলাম? এখন কী হবে? নতুন চাকরি কবে হবে? সংসার কীভাবে চলবে?

আমার স্ত্রী ছোটখাটো একটা চাকরি করে। চেষ্টা করে, সংগ্রাম করে, হাসে। কিন্তু আমিই জানি, এই অল্প আয়ে সংসারের চাকা কতটা ভারী।

বাবা-মা একটা বাসায়, স্ত্রী-সন্তান আরেকটা বাসায় থাকে। আমি দুপাশে দৌড়াই—কখনো মা-বাবার অসুস্থতার দিকে কখনো স্ত্রীর ক্লান্ত মুখ আর বাচ্চার কান্নার দিকে। কোথাও থিতু হতে পারিনি। কোথাও পুরোপুরি শান্তি পাই না।

মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি নিজেই কে জানি ভুলে গেছি।

রাতে ঘুম আসে না। মাথার মধ্যে হিসাব চলতে থাকে—আগামী মাসে খরচ কত? মেয়ের দুধ, ডায়াপার, নিজের ও অন্যান্য খরচ—সবই তো লাগবে। কিন্তু আয় কোথায়?

বাইরে সবাই ভাবে আমি হাসিখুশি, দায়িত্বশীল, "ভালো আছি"—কিন্তু ভেতরে আমি যেন অদৃশ্য এক যুদ্ধ করছি প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে।

কেউ বোঝে না, এই যুদ্ধটা কতটা নিঃশব্দ আর ক্লান্তিকর।

আমার মেয়েটা এখনো জানে না তার বাবার মাথার ভেতরে কতটা ঝড় বয়ে যায়। ও শুধু হাসে। আমি ওর সেই নিষ্পাপ হাসির কাছে মাথা নত করে বলি—

"তুই থাক, আমার সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।"

এই তো চলছি—চিন্তায়, চাপে, দায়িত্বে আর ভালোবাসায় মিশে থাকা এক অদ্ভুত ভারসাম্যে।
চেষ্টা করছি—নিজেকে হারিয়ে না ফেলে, পরিবারটাকে গুছিয়ে রাখতে।

আপনিও যদি এমন পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যান—জানেন, আপনি একা নন। আমরা অনেকেই হাঁটছি এই অনিশ্চিত পথ ধরে।

#চিন্তা #মধ্যবিত্তসংগ্রাম #পরিবার #জীবনেরজার্নি #বাবারচোখে

Happy birthday 🎉 Dear 💕💕💕,  Allah bless you.
16/10/2023

Happy birthday 🎉 Dear 💕💕💕, Allah bless you.

Address

Jessore
7400

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Point of View posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Point of View:

Share