12/06/2025
প্রশ্নঃ জ্বিনের সাথে মানুষের শারীরিক মিলন কি সম্ভব?
কোনো ঘুমন্ত মহিলার সাথে কি জিন সহবাস করতে পারে?
জ্বীনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আত্মরক্ষার উপায় কি ❓
উত্তর :
ইসলামী বিশ্বাস অনুযায়ী, জিন জাতি মানুষের মতোই পুরুষ ও স্ত্রী জাতিতে বিভক্ত। জিনরা মানুষের সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, এমনকি শারীরিক সম্পর্কের বিষয়টিও কিছু বর্ণনায় উঠে এসেছে। তবে, এই বিষয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে।
কিছু কিছু ইসলামিক স্কলার মনে করেন যে, জিনের সাথে মানুষের শারীরিক সম্পর্ক সম্ভব নয়। এর কারণ হিসেবে তারা বলেন যে, জিন এবং মানুষ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন সৃষ্টি, এবং তাদের শারীরিক গঠন ও প্রকৃতি একে অপরের সাথে সঙ্গম করার জন্য উপযুক্ত নয়।
অন্যদিকে, কিছু বর্ণনায় এমন ঘটনার কথা বলা হয়েছে, যেখানে জিনরা মানুষের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। তারা বলেন, জাগ্রত ও ঘুমন্ত উভয় অবস্থায় মহিলার সাথে জিন সহবাস করতে পারে।
আর মানুষের সাথে জিনের মিলন সম্ভব বলেই রাসূল (সা.) মিলনের পূর্বে দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন— 'আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা' (বুখারী হা/৫১৬৫; ফাতহুল বারী।
জ্বিনের সাথে মানুষের শারীরিক মিলন সম্ভব।
আল্লাহ তায়ালা বলেন,
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
'তথায় (জান্নাতে) থাকবে আয়ত নয়না রমনীগণ, কোনো জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।'(সুরা আর-রহমান -৫৬)
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় ইমাম বাগাবী তাফসীরে বাগাবীতে লিখেছেন,
في الآية دليل على أن الجني يغشى كما يغشى الإنسي.
"এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, মানুষের মতো জিনের সাথেও মানুষের শারীরিক মিলন সম্ভব।" (তাফসীরে বাগাবি : ৪/২৭৫)
ইমাম খাযেন তাফসীরে খাযেনে লিখেছেন,
في الآية دليل على أن الجني يغشى كما يغشى الإنسي.
"এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, মানুষের মতো জিনের সাথেও যৌন সঙ্গম সম্ভব।" (৬/৩১)
ইমাম ইবনুল জাওযী রহ. লিখেছেন,
فيه دليل على أن الجني يغشى المرأة كالإنس
"এই আয়াতে দলীল রয়েছে যে, জিনের সাথে মানুষের শারীরিক মিলন সম্ভব।" (যাদুল মাসীর, ৪/২১৪)
আর মানুষের সাথে জিনের মিলন সম্ভব বলেই রাসূল (সা.) মিলনের পূর্বে দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন— 'আল্লাহুম্মা জান্নিবনিশ শায়তানা ওয়া জান্নিবিশ শায়তানা মা রাযাক্বতানা' (বুখারী হা/৫১৬৫; ফাতহুল বারী।
ইমাম ইবনে তাইমিয়ার রহ. বলেন,
وصرعهم للإنس قد يكون عن ش**ة وهوى وعشق كما يتفق للإنس مع الإنس وقد يتناكح الإنس والجن ويولد بينهما ولد
"মানুষের মতো জিনের সাথেও শারীরিক সম্পর্ক হতে পারে আবেগ বা প্রেম-ভালোবাসার কারনে। এমনিভাবে জিন ও মানুষের মাঝে বিবাহ ও সন্তানও হতে পারে।" (মাজমাউল ফাতাওয়া, ১৯/৩৯)
ইমাম সুয়ূতী রহ. বলেন, মানুষের সাথে জ্বিনের শারীরিক সম্পর্ক করা সম্ভব। (আল আলাম, পৃ. ৩০১)
শায়খ উসাইমীন রহ. বলেন,
يقول العلماء: إن هذا ممكن، وإنه يمكن للجني أن يجامع امرأة، وإنها تحس بذلك، وكذلك الإنسي يجامع الجنية، الشيخ ابن عثيمين من لقاءات الباب المفتوح، لقاء رقم(٥)
আলেমগণ বলেছেন, কোনো পুরুষ জিন কোনো মহিলা মানুষের সাথে যৌন মিলনে সক্ষম, এমনিভাবে কোনো পুরুষ মানুষ কোনো মহিলা জিনের সাথে যৌন মিলনে সক্ষম। তারা সেটা অনুভবও করতে পারে।
বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায় জ্বিন যখন কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তখন তা ঘুমন্ত ও জাগ্রত উভয় অবস্থাতেই হতে পারে
(১) ঘুমন্ত অবস্থায়:
কোনো জ্বীন যদি কোনো মানুষকে পছন্দ করে তখন ওই জ্বীন সব সময় তার আশেপাশে থাকে।সে যখন ঘুমায় তখন আসে। ঘুমের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করে। রোগী তখন বাস্তবতা অনুভব করতে পারে কিন্তু কাউকে দেখে না এবং বলার মতো অনুভূতি শক্তি থাকে না। অর্থাৎ স্বপ্নদোষের মাধ্যমে হয়। তখন অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়। এটা অনেক সময় বদনজরে আক্রান্ত বা যাদুগ্রস্ত হলে অতিরিক্ত স্বপ্নদোষ হয়। নারী পুরুষ উভয়ের হয়।
(২) জাগ্রত অবস্থায়:
রোগীর শরীর সাময়িকের জন্য অবশ হয়ে যায় বিশেষ করে তার হাত-পা। আর জ্বীন যখন তার সংগে মিলন করে যা রোগী বুঝতে পারে কিন্তু কাউকে ডাক দেওয়া বা কিছু করার উপায় থাকেনা। জাগ্রত অবস্থায় মিলনের সময় জ্বীনকে রোগী দেখতেও পারে, নাও দেখতে পারে। তবে অনুভব হয়।মিলনের সময় যৌনাঙ্গে গরম বাতাসের মত অনুভূত হয়।
আরো বিশেষ কিছু লক্ষ্মণ যা রোগীর মাঝে পরিলক্ষিত হয়
(১) জ্বীনরা দীর্ঘক্ষণ সঙ্গম করে। তাই এই সঙ্গমের পরে রোগী দুর্বল হয়ে যায়, খুব শুকিয়ে যায়, শরীরে ব্যথা অনুভব করে অনেক। এসব লক্ষণ নারী পুরুষ সকলের অনুভব হয়।
(২) রোগী গায়ে বিভিন্ন জায়গায় লাল দাগ দেখা যায়। খামচি বা কামড়ের দাগ। বিশেষ করে গলার নিচের দিকে। শারীরিক সম্পর্ক না হলেও এ রকম দাগ দেখা যায়।
(৩) রোগীর স্মৃতি শক্তি কমে যায়, খাওয়ায় অনীহা সৃষ্টি হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এবং পড়াশোনা ও সংসারের প্রতি অমনোযোগী হয়ে যায়।
(৪) পুরুষ জ্বীন দ্বারা আক্রান্ত মেয়েরা সাধারণত পুরুষদের পছন্দ করে না। একাকী থাকতে পছন্দ করে। বিবাহিত মেয়েরা স্বামী থেকে দুরে থাকতে পছন্দ করে।অনেক সময় স্বামীর সাথে মিলনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।অবিবাহিত মেয়ের সাথে জ্বীন শারীরিক সম্পর্ক করলে সেই মেয়ে বিয়ে বসতে চায় না।
এছাড়াও আরো অনেক আলামত রয়েছে ভুক্তভোগীগনই তা অনুভব করে।
জ্বীনের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিছু ইসলামিক স্কলাররা বলে থাকেন
এমন হতে পারে যে জ্বীনের বাচ্চা মানুষের পেটেও জন্ম হয় তবে সারাসরি জ্বীন হয় না মানুষ এই হয় কিন্তু জ্বীন ঐ বাচ্চার সাথে সারা জীবন এই থাকে।
অনেক সময় স্বপ্নদোষ হয় আপনি সপ্নে সহবাস করছেন ঘুম ভাংগার পরে দেখলেন আপনার বীর্য বের হয়েছে, এখন স্বপ্নে কার সাথে করলেন সেটা দেখলেন না কিন্তু করেছেন হয়তো, এটাই জিন ছিলো
লেখাটি পড়ে অনেকেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ? ভাবছেন আত্মীয়-স্বজনের ভিতর বন্ধু মহলে অস্বাভাবিক আচরণ যারা করে থাকে তাহলে তারা কি সবাই জ্বীনের সাথে কোন না কোন ভাবে আছরগ্রস্থ ?!
এ বিষয়ে দীর্ঘ গবেষণায় আমি যা বুঝতে পেরেছি
দুষ্ট জ্বীনে আক্রান্ত ব্যাক্তির লক্ষ্মণ সমুহ।
১) শরীরে বিভিন্ন জায়গায় আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া।
২) হঠাৎ চোখের সামনে কোন কিছুর ছায়া নজরে পড়া, কিছুক্ষণ পর সেটা অদৃশ্য হয়ে যাওয়া।
৩) শরীরে স্পর্শকাতর অংশে কেউ হাত দিচ্ছে বা শারীরিকভাবে লাঞ্চের করছে এমন টা স্বপ্নে বা বাস্তবে অনুভব করা।
৪) মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রচুর সা*দা*স্রাব এর সমস্যা দেখা দেওয়া।
৫) ছেলেদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যৌ*ন উ*ত্তে*জক পদার্থ বের হওয়া সাধারণ হয়ে যাওয়া।
৬) স্বপ্নে প্রায়ই অস্বাভাবিক যৌ*ন অনুভূতি দৃশ্য দেখতে পাওয়া।
৭) মাঝে মাঝে শরীরের বিশেষ অংশ অবশ হয়ে যাওয়া।
৮) মাহরাম কারো সাথে স্বপ্নে যি*না করতে দেখা।
৯) অস্বাভাবিক যৌ*ন আকাঙ্ক্ষা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সেই আকাঙ্ক্ষা মেটাতে চাওয়ার প্রবণতা।
১০) শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের প্রতি অস্বাভাবিক আকর্ষণ অনুভব করে।
১১) বিয়ের আলোচনায় চেহারায় পরিবর্তন আসে, যেমন ব্রণ ওঠা বা কালো হয়ে যাওয়া।
১২) ঘুম থেকে উঠলে সারা গায়ে ব্যাথা থাকা একটি সাধারণ লক্ষণ। মনে হবে যেন শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে।
১৩) মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে বেশি বেশি চুল পড়া শুরু হওয়া।
১৩) অ*শ্লী*ল চিন্তা ভাবনা এবং অস্বাভাবিক যৌ*নাচারের ঝোক থাকা। বিশেষ করে, স*ম*কা*মি*তা, পশু*কাম, শিশু*কাম এবং হ*স্ত*মৈ*থু*নের প্রতি প্রবণতা দেখা যায়।
১৪) অজানা কারণে বিবাহের আলোচনা আটকে যাওয়া, প্রস্তাব না আসা।
১৫) ঘুম থেকে উঠে লজ্জা*স্থা*নে ব্যাথার অনুভূতি এবং বিছানায় শুতে গেলেই অস্বাভাবিক যৌ*ন উ*ত্তে*জ*না বৃদ্ধি পাওয়া।
১৬) বিবাহের প্রতি আগ্রহ হারানো এবং বিবাহ জীবনেও শা*রী*রি*ক সম্পর্কে অনিহা চলে আসা।
১৭) অজানা কারণে সন্তান জন্ম না হওয়া।
১৮) স্বপ্নে নিজের অথবা অন্যের বিয়ে হতে দেখা।
১৯) অকারণে প্রচন্ড কান্না আসা।
২০) বিপরীত লি*ঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া।
২১) আক্রান্ত ব্যাক্তি সব সময় নিজেকে একা অনুভব করে।
২২) অস্বাভাবিক ভাবে খারাপ বা ভারী উপস্তিতি অনুভব করে, বিশেষত রাতের বেলায়।
Dr Abd Hannan
একসময় দুষ্ট আশ্বিক জ্বীনের প্রভাবে মানুষ নিজেকে অসুখী ও নিঃসঙ্গ মনে করতে শুরু করে।
এর ফলে, দিনের পর দিন জ্বীনের অত্যাচারে আক্রান্ত ব্যাক্তি ক্রমশ মানসিক অবসাদে ডুবে যায়। তার বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং আশেপাশের মানুষের সাথে তার সম্পর্কেরও অবনতি ঘটে
•••••••••••••
জিনের অপকারিতা থেকে রেহাই পেতে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে হবে ।
১. আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা-أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ، مِنْ هَمْزِهِ وَنَفْخِهِ وَنَفْثِهِউচ্চারণ : ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বানির রাঝিম; মিনহামযিহি ওয়া নাফখিহি ওয়া নাফছিহি।’অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে তার প্ররোচনা ও ফুৎকার থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’
২. জিন-শয়তান থেকে বেঁচে থাকার মাসনুন আমল বাড়িতে প্রবেশ করতে দোয়া পড়া। তাহলে শয়তান বাড়িতে প্রবেশ করতে পারবে না আর ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে ঘরের মূল্যবান মালামাল সিন্দুক বা সংরক্ষিত কোনও স্থানে রেখে তার মুখ বন্ধ করা। তাহলে শয়তান বন্ধ মুখ খুলে তা চুরি করতে পারবে না।
হাদিসে এসেছে-
إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللَّهَ عِنْدَ دُخُولِهِ وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قالَ الشَّيْطَانُ: لا مَبِيتَ لَكُمْ، وَلَا عَشَاءَ‘
যখন কোনো ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশের সময় ও খাবারের সময় আল্লাহকে স্মরণ করে তখন শয়তান (নিজ সঙ্গীদেরকে) বলে, তোমাদের রাত কাটানোর কোনো জায়গা নেই; তোমাদের রাতের কোনো খাবারও নেই।’ (মুসলিম)
জিন ও শয়তান থেকে হেফাজত থাকতে রাতের কিছু করণীয়ও রয়েছে। হাদিসে পাকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন এভাবে
তোমরা (রাতের বেলা) পাত্রগুলো ঢেকে দাও;> মশকগুলো (চামড়ার তৈরি পানি রাখার পাত্র বিশেষ) এর মুখ আটকিয়ে দাও;> ঘরের দরজা বন্ধ করে দাও এবং> চেরাগ (আলো) নিভিয়ে দাও।কারণ, শয়তান মশকের বাঁধন খুলতে পারে না, দরজা খুলতে পারে না এবং পাত্রও উন্মুক্ত করতে পারে না। তবে তোমাদের কেউ পাত্র ঢাকার জন্য একটা কাঠি ছাড়া অন্য কিছু না পেলে যেন তাই রাখে এবং সাথে আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে- ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ পড়ে নেয়। কেননা ইঁদুর চেরাগের আগুন থেকে লোক-জনসহ বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।’ (মুসলিম)
সুতরাং রাতে পাত্র আচ্ছাদিত করা বা ঢেকে রাখা, মশকের মুখ আঁটকে দেওয়া, দরজা বন্ধ করা এবং এ সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা; ঘুমের সময় চেরাগের আগুন নিভিয়ে দেওয়া আর সন্ধ্যার পর শিশু ও গৃহপালিত জন্তুগুলোকে (বাড়িতে) আটকে রাখা উত্তম।
৩. সকাল-সন্ধ্যার দোয়া ও জিকির পড়া।
৪. ঘরে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন
-إِنَّ الشَّيْطَانَ يَنْفِرُ مِنَ الْبَيْتِ الَّذِى تُقْرَأُ فِيهِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ
‘যে ঘরে সুরা বাকারা পড়া হয়; শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।’ (মুসলিম)
৫. বাড়িতে নফল নামাজ পড়া মোসতাহাব। তবে মসজিদেও পড়া জায়েজ।
৬. সন্ধ্যার সময় আয়াতুল কুরসি পড়া। যা শয়তান কর্তৃক জাকাতের খেজুর চুরির হাদিসে বর্ণিত হয়েছে।
সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জিন ও শয়তান থেকে বেঁচে থাকতে সুন্নাহভিত্তিক আমল ও দোয়া যথাযথভাবে পড়া। হাদিসের উপর যথাযথ আমল করা।
সর্বদা ওযুর সাথে থাকবেন , নাপাক অবস্থাকে এড়িয়ে চলবেন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচার তাওফিক দান করুন। হাদিসে দিকনির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
(Collected)