25/10/2025
📢 মুসলিমদের জন্য সতর্কবার্তা 🛑🛑
আমরা আপনাদের সতর্ক করছিঃ উগ্র হিন্দুরা সমস্ত সীমা অতিক্রম করছে❗️
সাম্প্রতিক সময়ে দেশে হিন্দুদের দুঃসাহস বেড়ে ওঠা, ঝুঁকি পূর্ণ দৌরাত্ম, ধ্বংসাত্মক সহিংস মহড়া এবং বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলোর প্যাটার্নে রুপ নেয়া - অবশ্যই সতর্কতার দাবী রাখে!
🛑 ১) কয়েক মাস আগে আখাউড়ায় চুরির অভিযোগে তিনজন মুসলিম নারীর মাথার চুল কেটে দেয়া হয়েছে। এই জঘণ্য কাজ করেছে সুমন শীল নামে এক উগ্র হিন্দু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়—আরও কয়েকজন হিন্দুকে সাথে নিয়ে মব তৈরি করে, সে মুসলিম নারীদের নির্মম ভাবে পেটাচ্ছে!
উগ্র হিন্দুদের হাতে মুসলিম নারীর চুল কেটে দেয়া—এই লজ্জা, এই অপমান কি শুধু আখাউড়াবাসীর? কখনোই না; বরং এই ঘটনা এদেশের পুরো মুসলিম সমাজের জন্য অপমানের!
এটি ভারত নয় যে, একজন মুর্তি পূজারী একজন মুসলিম নারীর উপরে আরপিত অভিযোগ এনে তাকে নির্মম ভাবে পিটিয়ে প্রকাশ্যে তার চুল কেটে দিবে! কিন্ত এটিই বাস্তব যে এমন হয়েছে!
🛑 ২) আমরা এখনো ভুলিনি প্রকাশ্য দিবালোকে ইসকনের উগ্র হিন্দু সন্ত্রাসীরা কিভাবে অ্যাডভোকেট আলিফ কে হত্যা করেছে!
🛑 ৩) আমরা আরো লক্ষ্য করেছি -
“মার্চ ফর গাজা” থেকে ছোট বাচ্চার হাতে থাকা খেলনা বন্দুক কেড়ে নেয়া হয় অথচ চৈত্র সংক্রান্তি উৎসবে দেশীয় অস্ত্র, তরবারি নিয়ে মহড়া দেয় হিন্দুরা। আমাদের হাত থেকে “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” লেখা পতাকা কেড়ে নেয়া হয় অথচ পূজা উপলক্ষ্যে ভারতের গেরুয়া পতাকা নিয়ে হিন্দুরা ডিজে পার্টি করে। “পহেলা বৈশাখ মানি না” বলার কারণে সন্ত্রাসী হিসেবে চিত্রিত করা হয়।
🛑 ৪) ১৩ বছরের আমাদের মাদ্রাসার বোনকে এক হিন্দু নাপাক মুশরিক কয়দিন আগে ৩ দিন ধরে ধর্ষণ করে! এমনকি নাপাক পুলিশরাও কোন সহায়তা করেনি।
🛑 ৫) চরম দুঃসাহস দেখিয়ে হিন্দু সন্ত্রাসীরা আমাদের সম্মানিত একজন ইমামকে অপহরণ করে চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে শিকলবাঁধা অবস্থায় ফেলে গেছে পঞ্চগড়ে। ইমামের ছেলে থানায় গেলে নাপাক পুলিশরা তার ছেলেকে বের করে দেয়!
🛑 ৬) বিভিন্ন গ্রূপগুলোকে হিন্দু নাপাক ছেলেরা মুসলিম মেয়েদের টার্গেট করে তাদের নিয়ে জঘন্য সব আলাপ করছে এবং তাদের সতীত্ব নষ্ট করার প্ল্যান করছে!
লক্ষ্য করুন, ভারতের উগ্র হিন্দুরা মুসলিম নারীদের শরীরে জোর করে হোলির রঙ ঢেলে দেয়, কখনো হিজাব টেনে ধরে রাস্তায় প্রকাশ্যে হেনস্তা করে, কখনো নির্যাতন করে, প্রহার করে! ঠিক একই প্যাটার্ন আমরা বাংলাদেশেও দেখতে পাচ্ছি!
আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই -
এগুলো কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন নয়। এ দেশে উগ্র হিন্দুদের বিভিন্ন মিশন, এজেন্ডা, ভাগওয়া প্রজেক্ট, প্রকাশ্যে তাদের তরবারি, ত্রিশুল নিয়ে মহড়া দেয়া, ডিজে বাজিয়ে মসজিদের সামনে জয় শ্রী রাম ব্যাটেল ক্রাই এগুলো কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন নয়!
আমরা যদি এগুলো উপেক্ষা করার মত যথেষ্ট কাপুরুষ হই কিংবা ভান ধরে ভুলে থাকার বিলাসিতায় লিপ্ত হই তবে, রক্তাক্ত গুজরাট কিংবা দিল্লি পগরমের ইতিহাস এবং দৃশ্যগুলো আমাদের আরেকবার স্মরণ করা উচিৎ!
প্রশাসন ও রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে হিন্দুত্ববাদীরা তাই তাদের কাছে কোনো সমাধান আশা করা নিষ্ফল, বরং তারাই মূল উস্কানিদাতা!
মুসলিমদের নিজেদেরই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আল্লাহ এই মুশরিকদের নাপাক বলেছেন (সূরা তাওবা, আয়াত ২৮) তাদের এই মূর্তিপূজা করার কারণে। এই নাপাক জনগোষ্ঠীকে সামাজিকভাবে বয়কট করুন।
প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লা, স্কুল-কলেজ, ইউনিভার্সিটিতে হিন্দুদের সাথে সম্পর্ক করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার সন্তানকে হিন্দু ক্লাসমেট, প্রতিবেশী এদের সাথে মেশা থেকে বিরত রাখুন। তারা আপনার সন্তানকে টার্গেট বানাবে ভবিষ্যতে!
তাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ করে দিন। পাড়া-মহল্লাতে মাইকিং করে এবং লিফলেট বিলি করে মুসলিমদের সতর্ক করুন।
🚫ক) আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেন,
"মুমিনগন যেন অন্য মুমিনকে ছেড়ে কেন কাফেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করে। যারা এরূপ করবে আল্লাহর সাথে তাদের কেন সম্পর্ক থাকবে না।" (সূরা আল-ইমরান ৩: ২৮)
🚫খ) ‘হে নবী! কাফির এবং মুনাফিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করুন, আর তাদের প্রতি কঠোর নীতি অবলম্বন করুন। তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম এবং তা হল নিকৃষ্ট ঠিকানা। (সূরা তাওবা ৯: ৭৩)
🚫গ) হে ঈমানদার লোকেরা! লড়াই করো সেইসব কাফিরদের বিরুদ্ধে যারা তোমাদের কাছাকাছি রয়েছে। তারা যেন তোমাদের মধ্যে দৃঢ়তা ও কঠোরতা দেখতে পায়। জেনে রাখ, আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। (সূরা তাওবা ৯: ১২৩)
আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীসে বলা হয়েছে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেছেন,
اذا لقيم المشركين في الطريق فلا تبدءوهم بالسلام واضطروهم الى اضيقها
‘তোমরা যদি রাস্তা চলার সময় কোনো মুশরিককে (মূর্তিপূজারী) দেখ তাহলে তাদের সালাম দেবে না। বরং তাদেরকে রাস্তার সবচেয়ে সংকীর্ণ অংশে যেতে বাধ্য করবে।' (সহীহ মুসলিম ২১৬৭, সুনান তিরমিজি ১৬০২)
এই হাদীসের তাৎপর্য হলো - আল্লাহর জমিনে আল্লাহ্তে অবিশ্বাসকারীদের (কাফির) প্রতি সম্মান প্রদর্শনের পরিবর্তে তাদেরকে অবমাননা করা। এই হাদিসের মাধ্যমে মুসলিমদেরকে তাদের মর্যাদা ও আত্মমর্যাদা রক্ষার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।
আল্লাহ মুসলিমদের সেই গৌরবের ও সম্মানের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনুক। আমীন