26/05/2024
কিছু কিছু কথা এমন আছে যা আমাদের সমাজের প্রায় সবার মুখে মুখে প্রচার হয়, অথচ কুরআন সুন্নাহর আলোকে এগুলোর কোনো ভিত্তি থাকে না। এমনই একটি কথা হচ্ছে, পাপীকে নয়; পাপকে ঘৃণা কর। এটি যেন একটি মূলনীতিতে পরিণত হয়ে গেছে।
আর এই প্রসিদ্ধ কথাটির উপর ভিত্তি করেই গুরুত্বপূর্ণ যে সিদ্ধান্তটি নেওয়া হয় সেটা হচ্ছে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক, যিন্দিক, শাতিমুর রসুল, ইসলাম বিদ্বেষী, এবং বিদআতি ও পাপাচারীদের প্রতি কোনোরূপ বিদ্বেষ এবং ঘৃণা পোষণ করা যাবে না।
শুধু তাই নয়, মাঠে ময়দানে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অমুসলিমদেরকে ভালবাসতে বলা হচ্ছে, তাদের প্রতি মহব্বাতের আহবান করা হচ্ছে। অমুসলিমদেরকে অসম্মান করলে মহব্বত না করলে মহা পাপী সাব্যস্ত হবে বলা হচ্ছে।
আমরা এভাবেই তাদের প্রতি প্রীতি ও ভালবাসা পোষণ করে চলছি অথচ তারা তাদের ভ্রান্ত ধর্ম বা মতবাদে এতই কট্টর যে, আমাদের প্রতি ভালবাসা তো দূরের কথা, আমাদেরকে তারা হীনতম শত্রু মনে করে এবং আমাদেরকে যন্ত্রণা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেশে দেশে আমাদের ভাইবোনদের ব্যাপক হত্যা নির্যাতনের ক্ষেত্রে কোনো অপচেষ্টা বাদ রাখে না।
পাপীকে নয়; পাপকে ঘৃণা কর কথাটি সম্পূর্ণ কোরআন হাদিসের বিরোধী একটি কথা।
কেননা কোরআন সুন্নাহয় সুস্পষ্টভাবে কাফের মুশরিকদের প্রতি বিদ্বেষ রাখতে, তাদেরকে ঘৃণা করতে বলা হয়েছে। নিচে এসংক্রান্ত কিছু আয়াত এবং হাদিস লক্ষ করুন-
এক.
কোরআনে কারিমে সূরা মুমতাহানার চার নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
ﻗَﺪْ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﻟَﻜُﻢْ ﺃُﺳْﻮَﺓٌ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ ﻓِﻲ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻭَﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣَﻌَﻪُ ﺇِﺫْ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ ﻟِﻘَﻮْﻣِﻬِﻢْ ﺇِﻧَّﺎ ﺑُﺮَﺁَﺀُ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﻣِﻤَّﺎ ﺗَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻛَﻔَﺮْﻧَﺎ ﺑِﻜُﻢْ ﻭَﺑَﺪَﺍ ﺑَﻴْﻨَﻨَﺎ ﻭَﺑَﻴْﻨَﻜُﻢُ ﺍﻟْﻌَﺪَﺍﻭَﺓُ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ ﺃَﺑَﺪًﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﺗُﺆْﻣِﻨُﻮﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﻗَﻮْﻝَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴﻢَ ﻟِﺄَﺑِﻴﻪِ ﻟَﺄَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮَﻥَّ ﻟَﻚَ ﻭَﻣَﺎ ﺃَﻣْﻠِﻚُ ﻟَﻚَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻣِﻦْ ﺷَﻲْﺀٍ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﺗَﻮَﻛَّﻠْﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺃَﻧَﺒْﻨَﺎ ﻭَﺇِﻟَﻴْﻚَ ﺍﻟْﻤَﺼِﻴﺮُ
‘তোমার জন্য ইবরাহীম ও তার অনুসারীদের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ। যখন তারা তাদের সম্প্রদায়কে বলেছিল, ‘তোমাদের সঙ্গে এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর তার সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা তোমাদেরকে মানি না। তোমাদের ও আমাদের মধ্যে সৃষ্টি হল শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যদি না তোমরা এক আল্লাহতে ঈমান আন।’
লক্ষ করুন, উক্ত আয়াতে কাফেরদের সাথে চিরকালের জন্য ﺍﻟْﻌَﺪَﺍﻭَﺓُ ﻭَﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ এর কথা বলা হয়েছে। আর ﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ শব্দের অর্থই হচ্ছে, ঘৃণা এবং বিদ্বেষ। সুতরাং উক্ত আয়াতের আলোকেই কাফেরদের সাথে চিরকালের জন্য একজন মুমিনের ঘৃণা এবং বিদ্বেষ থাকবে; শুধু কুফরের প্রতি ঘৃণা থাকলেই চলবে না।
আরো লক্ষ করুন, উক্ত আয়াতে প্রথমেই বলা হয়েছে ﺇِﻧَّﺎ ﺑُﺮَﺁَﺀُ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ‘তোমাদের সাথে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই’ এরপর বলা হয়েছে ‘এবং তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যার ইবাদত কর।’ বুঝা গেল শুধু গাইরুল্লাহর ইবাদত অপছন্দ এবং এথেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখলেই হবে না; বরং ঐসব ইবাদতকারী থেকেও বারাআত তথা সম্পর্কহীনতা লাগবে।
দুই.
সূরা মারইয়াম এর ৪৯ নং আয়াতে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-
ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺍﻋْﺘَﺰَﻟَﻬُﻢْ ﻭَﻣَﺎ ﻳَﻌْﺒُﺪُﻭﻥَ ﻣِﻦْ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻫَﺒْﻨَﺎ ﻟَﻪُ ﺇِﺳْﺤَﺎﻕَ ﻭَﻳَﻌْﻘُﻮﺏَ ﻭَﻛُﻠًّﺎ ﺟَﻌَﻠْﻨَﺎ ﻧَﺒِﻴًّﺎ
‘অত:পর সে যখন তাদের থেকে এবং আল্লাহ ছাড়া যাদের তারা ইবাদত করত তাদেরকে পরিত্যাগ করল তখন আমি তাকে দান করলাম ইসহাক ও ইয়াকুব এবং প্রত্যেককে নবী বানালাম।’-
আল্লাহ তাআলা হযরত ইবরাহিম আলাইহিস সালাম এর বড় বড় নেয়ামপ্রাপ্তির কারণ হিসেবে শুধু তাদের উপাস্য থেকে পৃথক হওয়ার কথা বলেন নি বরং উপাস্যের পাশাপাশি যারা উপাসনা করত তাদের থেকেও পৃথক হওয়া তাদেরকেও পরিত্যাগ করার কথা বলেছেন। বুঝা গেল শুধু অপরাধকে ঘৃণা করে পরিত্যাগ করলেই চলবে না যারা অপরাধী তাদেরকেও পরিত্যাগ করতে হবে।
কোরআনে কারিমের পাশাপাশি হাদিস শরিফেও এবিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
তিন.
সুনানে আবু দাউদ (৪৬৮১) বর্ণিত হয়েছে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন-
ﻣَﻦْ ﺃَﺣَﺐَّ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﺑْﻐَﺾَ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﺃَﻋْﻄَﻰ ﻟِﻠَّﻪِ ﻭَﻣَﻨَﻊَ ﻟِﻠَّﻪِ، ﻓَﻘَﺪِ ﺍﺳْﺘَﻜْﻤَﻞَ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥَ
‘‘যে ব্যক্তির ভালবাসা ও ঘৃণা, দান করা ও না করা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য হয়ে থাকে সে ব্যক্তি পূর্ণ ঈমানদার।’’
উলামায়ে কেরাম এই হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে শুধু আল্লাহর জন্যে ভালবাসে, নিজের কুপ্রবৃত্তির অনুসরণের জন্যে নয় এবং শুধু একারণে কারো প্রতি ঘৃণা এবং বিদ্বেষ রাখে যে সে কুফরি করেছে এবং গোনাহ করেছে; এজন্য নয় যে সে তাকে কষ্ট দিয়েছে....তাহলে সে হচ্ছে পূর্ণ ঈমানদার।-মিরকাতুল মাফাতিহ: আউনুল মাবুদ: ১২/২৮৫; ফাইযুল কাদির, মুনাভি: ৬/২৯; মিরআতুল মাফাতিহ: ১/১০২
আব্দুল্লাহ বিন বায রহ. বলেন, আল্লাহর জন্যে ‘বুগয’ (ঘৃণা এবং বিদ্বেষ) এর অর্থ হচ্ছে, তুমি কোনো কাফেরকে দেখলে আল্লাহর অবাধ্য করছে তাহলে শুধু আল্লাহর জন্যে তার প্রতি ‘বুগয’ (তথা ঘৃণা এবং বিদ্বেষ) রাখবে অথবা কোনো মুসলামকে আল্লাহর অবাধ্যতা করতে দেখলে তাহলে তার অবাধ্যতার পরিমাণ অনুযায়ী তার প্রতি ‘বুগয’ রাখবে...। আল্লাহর জন্যেই মুত্তাকি এবং ঈমান ওয়ালাদেরকে মহব্বত করবে আর আল্লাহর জন্যেই কাফের এবং পাপাচারীদের প্রতি বিদ্বেষ রাখবে ...।
কোনো ব্যক্তির মধ্যে যদি ভাল মন্দ দু’টি দিকই পাওয়া যায় যেমন পাপাচারী মুমিন তাহলে তাকে তার ইসলামের কারণে মহব্বত করবে আর তার পাপের কারণে তাকে ঘৃণা করবে। একই সাথে ভালবাসা এবং ঘৃণা দু’টি দিকই পাওয়া যাবে। সারকথা মুমিন এবং সৎ লোকদেরকে পূর্ণ মহব্বত করবে আর আহলুল কুফরদের প্রতি পুরোপুরি ঘৃণা এবং বিদ্বেষ রাখবে। আর যার মধ্যে পাপ এবং পুণ্যের দু’টি দিকই আছে তাকে তার ঈমান এবং ইসলামের পরিমাণ অনুযায়ী মহব্বত করবে আর পাপ এবং শরিয়ত বিরোধিতার পরিমাণ অনুযায়ী তাকে ঘৃণা করবে।
চার.
সহিহ মুসলিমে (২৬৩৯) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
ﺇِﺫَﺍ ﺃَﺑْﻐَﺾَ ﻋَﺒْﺪًﺍ ﺩَﻋَﺎ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞَ، ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ : ﺇِﻧِّﻲ ﺃُﺑْﻐِﺾُ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺑْﻐِﻀْﻪُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻴُﺒْﻐِﻀُﻪُ ﺟِﺒْﺮِﻳﻞُ، ﺛُﻢَّ ﻳُﻨَﺎﺩِﻱ ﻓِﻲ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺒْﻐِﺾُ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺑْﻐِﻀُﻮﻩُ، ﻗَﺎﻝَ : ﻓَﻴُﺒْﻐِﻀُﻮﻧَﻪُ ﺛُﻢَّ ﺗُﻮﺿَﻊُ ﻟَﻪُ ﺍﻟْﺒَﻐْﻀَﺎﺀُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ
অর্থ: আল্লাহ তাআলা যখন কোনো লোককে অপছন্দ করেন তখন জিবরিল আ. কে ডাক দিয়ে বলেন, আমি অমুক বান্দাকে অপছন্দ করি তুমিও তাকে অপছন্দ কর, তখন জিবরিল আ. তাকে অপছন্দ করেন।
তারপর তিনি আকাশবাসীদেরকে ডাক দিয়ে বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা অমুক বান্দাকে অপছন্দ করেন, তাই আপনারাও অপছন্দ করুন, তখন লোকেরা তার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে। অত:পর পৃথিবীতে তার জন্য ঘৃণা লিখে দেওয়া হয়।
খুব ভাল করে লক্ষ করুন, হাদিস শরিফে বারবার ﺑﻐﺾ শব্দ এসেছে, যার অর্থ ঘৃণা করা , বিদ্বেষ পোষণ করা, অপছন্দ করা। অর্থাৎ আল্লাহ তাআলা বান্দার কর্মের প্রতি অসন্তষ্ট হয়ে তার প্রতি ‘বুগয’ পোষণ করেন, এরপর জিবরিল আ. ঘোষণা দিয়ে বলেন- ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻳُﺒْﻐِﺾُ ﻓُﻠَﺎﻧًﺎ ﻓَﺄَﺑْﻐِﻀُﻮﻩُ ‘আল্লাহ তাআলা অমুকের প্রতি ﺑﻐﺾ তথা ঘৃণা এবং বিদ্বেষ পোষণ করেন তোমরাও তারা প্রতি ঘৃণা এবং বিদ্বেষ পোষণ কর।
সুতরাং একথা সুস্পষ্ট যে পাপাচারীদের প্রতি তাদের পাপের পরিমাণ অনুপাতে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ থাকতে হবে। মুমিন হলে তার ঈমানের কারণে তার প্রতি মহব্বত থাকবে আবার পাপের কারণে তার প্রতি এক প্রকারের ঘৃণা এবং অসন্তুষ্টিও থাকবে। পাপাচারী যদি কাফের হয় তাহলে তো তার প্রতি পুরোপুরিই ঘৃণা থাকবে। মহব্বতের লেশও থাকবে না।
কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক, যিন্দিক, শাতিমুর রসুল, ইসলাম বিদ্বেষী, এবং বিদআতি ও পাপাচারীদের প্রতি ঘৃণা এবং বিদ্বেষ থাকা কোরআন হাদিসের নির্দেশের পাশাপাশি সাধারণ যুক্তির দাবীও।
কারণ আপনি যাকে ভালবাসেন ও মহব্বত করেন তার দুশমনের সাথে আপনার ভালবাসা থাকবে না। আর কাফেররা হচ্ছে আল্লাহর দুশমন। সুতরাং আল্লাহর সাথে মহব্বত থাকলে তার দুশমনের সাথে আপনার ভালবাসা থাকতে পারে না। যা থাকবে সেটা হচ্ছে ঘৃণা এবং বিদ্বেষ।
দেখুন ভাই আপনি কাউকে মহব্বত করার অবশ্যম্ভাবী ফলাফল হচ্ছে তার প্রিয় বস্তুটি আপনার কাছেও প্রিয় হবে, তার অপ্রিয় বস্তুটি আপনার কাছেও অপ্রিয় হবে। এখন আপনিই চিন্তা করুন কাফের মুশরিক যিন্দিক, নাস্তিক ইসলাম বিদ্বেষী এরা আল্লাহর দুশমন। সুতরাং আপনার অন্তরে আল্লাহর মহব্বত থাকতে তাদের প্রতি কোনো মহব্বত থাকতে পারে না। একটি কথাও যদি সে ইসলাম বিরোধী বলে তার প্রতি কি আপনার আন্তরিকতা থাকতে পারে?
আপনার সামনে আপনার অন্তরঙ্গ কোনো বন্ধুর সমালোচনা করলে, কুৎসা রটনা করলে আপনার অবস্থা কেমন হবে বলুন তো? তাহলে মুমিনের প্রকৃত ওলী আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে, তার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সম্পর্কে তার প্রিয় দ্বীন সম্পর্কে কুৎসা রটনার পর, সমালোচনা করার পর তাদের প্রতি আপনার টান থাকাটা একজন মুমিন হিসেবে আপনার জন্য কি তা কাম্য হতে পারে?!!
পাপীকে নয়; পাপকে ঘৃণা কর কথাটি সম্পূর্ণ কোরআন হাদিসের বিরোধী একটি কথা।
সংগৃহীত