
03/06/2025
কৃমি থেকে দূরে রাখত, কিছু প্রচলিত ঘরোয়া উপায় আপনাদের সাথে শেয়ার করি। তবে গুরুতর সংক্রমণ বা কোনো সন্দেহ হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন।
📌কিছু প্রচলিত ঘরোয়া উপায়ঃ
১. কাঁচা হলুদ:
সামান্য কাঁচা হলুদ (খুব অল্প পরিমাণে, প্রায় এক চিমটি) সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানির সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো যেতে পারে। হলুদে থাকা কারকিউমিন কৃমিনাশক হিসেবে কাজ করতে পারে। (শিশুর বয়স ১ বছরের বেশি হলে এবং নিয়মিত না দিয়ে মাঝে মাঝে)।
২. গাজর:
কাঁচা গাজর নিয়মিত খেলে কৃমি প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে। গাজরে থাকা ফাইবার ও বিটা-ক্যারোটিন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
৩. নিম পাতা:
নিম পাতার রস (খুব অল্প পরিমাণে) বা নিম পাতা ভেজানো পানি কৃমিনাশক হিসেবে পরিচিত। তবে এর তেতো স্বাদের কারণে শিশুরা খেতে চায় না এবং অতিরিক্ত সেবনে ক্ষতি হতে পারে।
৪. নারকেল:
কাঁচা নারকেল বা নারকেলের পানি কৃমির জন্য অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে পারে।
৫. লবঙ্গ:
কয়েকটি লবঙ্গ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে (অল্প পরিমাণে) খাওয়ানো যেতে পারে। লবঙ্গেরও কৃমিনাশক গুণ রয়েছে বলে মনে করা হয়।
৬. রসুন:
কাঁচা রসুন (খুব অল্প পরিমাণে, যেমন এক কোয়া) মধুর সাথে মিশিয়ে খাওয়ানো হয় কিছু ক্ষেত্রে। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ রয়েছে। (শিশুর হজম ক্ষমতা দেখে)।
৭. মিষ্টি কুমড়োর বীজ:
তিন কাপ পানিতে দুই টেবিল-চামচ মিষ্টি কুমড়োর বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে ফুঁটতে দিন ৩০ মিনিট। ঠান্ডা হলে বাচ্চাকে দিন।
🔴 গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা:
✅ খুব ছোট শিশুদের (বিশেষ করে ১ বছরের কম) ক্ষেত্রে কোনো ঘরোয়া প্রতিকার ব্যবহার করা যাবে না।
✅ যেকোনো উপাদানই খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন। অতিরিক্ত ব্যবহারে শিশুর ক্ষতি হতে পারে।
✅ যদি শিশুর কৃমির লক্ষণ প্রকট হয় তাহলে ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান।
মনে রাখবেন, প্রতিরোধই প্রতিকারের চেয়ে উত্তম। আপনার বাচ্চাকে কৃমি থেকে দূরে রাখতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের অভ্যাস গড়ে তুলুন। ❤️
কৃমির সমস্যা নিয়ে আপনার কোনো অভিজ্ঞতা বা প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানাতে পারেন।
#বাচ্চা #কৃমি
Collected