22/07/2025
সময় ছিল ২০১৬। বেশ কয়েক বছর কেটে গেছে তুমি আমাদের ছেড়ে চলে গেছো। জানিনা কে কে তোমাকে মনে করে কিন্তু আমি তোমাকে আজও ভুলতে পারিনি দাদি। সবকিছু চোখের সামনে স্পষ্ট ভাষে।দিনে শত ব্যস্ততার মাঝে তোমাকে মনে না করলেও কোন রাতে তোমার জন্য দোয়া করতে মিস হয় না। তুমি যে আমার খুব আহ্লাদের জায়গা ছিলে যেটা আমি তুমি থাকতে বুঝিনি। আমি কারো কাছে তোমাকে নিয়ে গল্প করি না কিন্তু আমার যখন খুব মন খারাপ হয় কল্পনায় তোমার সাথে কত কথা বলি জানি এটা আমার পাগলামি ছাড়া কিছুই না। আমি যখন অসুস্থ হই তোমার কথা খুব মনে হয় জানো দাদি,এখনো আমার ওষুধ খেতে কষ্ট হয় কিন্তু কেউ আর তোমার মত এক হাতে পানির গ্লাস আর এক হাতে মিষ্টি জাতীয় কিছু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না। আমি যে এখন বড় হয়ে গেছি আর তুমিও তো নেই। ওই মুহূর্তে তোমার কথা খুব মনে পড়ে। আজ আর বলতে কোন দ্বিধা নেই তুমি লুকিয়ে লুকিয়ে কত যে টাকা দিয়েছো আমাকে স্কুলে যাওয়ার সময় কুলফি মালাই খাওয়ার জন্য। আর প্রকাশ্য তো দিয়েছোই।আমাকে সাজুগুজুর জিনিস কিনে দিতে।
তুমি থাকতে কত গল্প করতাম তোমার সাথে। আমি খুব চাপা স্বভাবের তোমার মত বিশ্বস্ত কাউকে আর জীবনে পাইনি সবাই ঠকায়, ভুল বুঝে। তোমাকে কত জ্বালিয়েছি তুমি তো কখনো আমার উপর রাগ করো না তোমার সাথে ঝগড়াও করেছি তুমি তো কথা না বলে কখনো থাকোনি। স্কুল থেকে ফেরার পর আমি দেখেছি বাড়ির পিছনে তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছো বাবা-মার পরে তোমার মত কেউ আমাকে খুব ভালোবাসে নি এমনও হতে পারে তাদের থেকেও হয়তো তুমি আমাকে বেশি ভালবাসতে।
আমি বিয়েটা দেখে যাওয়ার তোমার খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু আল্লাহ তোমার সেই ইচ্ছা পূরণ করলে না।
হারিয়ে গেছে সোনালী ছেলেবেলা, হারিয়ে গেছো তুমি আর কোনদিন সেদিন গুলো ফিরে পাবো না জানি কিন্তু তুমি আমার প্রার্থনাতে সব সময় জল জল কর। তোমাকে কখনোই বলা হয়নি আমি তোমাকে এখনো খুব ভালোবাসি দাদি।তুমি চলে যাওয়ার পরে যেন বেশি ভালোবাসি।
আরশে আজিমের মালিকের কাছে সব সময় প্রার্থনা করি তোমাকে যেন জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করেন তোমার সাথে আমার যেন আবার দেখা করিয়ে দেন। আপনজনদের ছাড়া যে দুনিয়াতে থাকা খুব কঠিন।