BNCC Air Wing - Jashore Govt. City College, 58 squadron.

BNCC  Air Wing  - Jashore Govt. City College, 58 squadron. knowledge & discipline the volunteers
—————————————
শিক্ষা- কর্ম- ধর্ম- সাফল্য
(1)

২০শে- আগস্ট ২০২৫আজ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী১৯৭১ সালের আজকের দিনে করাচির মাশরু...
20/08/2025

২০শে- আগস্ট ২০২৫
আজ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমানের ৫৪ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

১৯৭১ সালের আজকের দিনে করাচির মাশরুর বিমানঘাঁটি থেকে একটি Lockheed T-33 বিমান ছিনতাই করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদানের উদ্দেশ্যে আকাশে উড়াল দেন বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান। কিন্তু মাঝ আকাশে পাকিস্তানী পাইলট মিনহাজ শরীফের সাথে বিমানের কন্ট্রোল নিয়ে ধস্তাধস্তি হয় এবং ভারতীয় সীমান্ত থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে থাট্টা নামক স্থানে বিমানটি বিদ্ধস্ত হয় এবং উভয় পাইলট নিহত হোন।

বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান একজন পাকিস্তানী ফাইটার পাইলট ও ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর ছিলেন। ১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধে তিনি অংশগ্রহন করেন এবং বেশ কয়েকটি সফল অপারেশনও সম্পন্ন করেন। তিনি আমেরিকান F-86 Sabre, T-33, চায়নিজ Shenyang F-6 বিমান চালনায় পারদর্শী ছিলেন।

মহান আল্লাহ বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমানকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করুন.....আমিন

Maturity Fact - ইমম্যাচুর দুধের বাচ্ছারা একটু উল্টা পাল্টা বলবেই। "Stupid people have strong kind of confidence which co...
20/08/2025

Maturity Fact - ইমম্যাচুর দুধের বাচ্ছারা একটু উল্টা পাল্টা বলবেই। "Stupid people have strong kind of confidence which comes from ignorance" যাদের যোগ্যতা যত কম, তারা মুড়ির টিনের মত শব্দ করে তত বেশি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব ছিল, আছে এবং সারাজীবন থাকবে।

আজকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সম্পর্কে নানা কটূক্তি নিয়ে মন্তব্য করেছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। তিনি বলেছেন, "এসব মন্তব্যে অখুশি হওয়ার কিছু নেই। যারা এসব করছে, তাদের বয়স কম, আমাদের সন্তানের বয়সী। তারা বড় হলে নিজেদের ভুল বুঝতে পারবে, তখন নিজেরাই লজ্জিত হবে।"
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়ানো প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বার্তা ছড়ানো হচ্ছে। এসব দেখে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না। সতর্ক থাকতে হবে, যাতে কেউ ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে না পারে।

তিনি আরো বলেন, "দেশের মানুষ এখন সেনাসদস্যদের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তোমরাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে এবং বাহিনীর চেইন অব কমান্ড অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।"

27/07/2025
পাখির মতো আকাশে ওড়ার স্বপ্ন থেকেই মানুষ বিমান বানিয়েছিল। আবার পাখির মতো আকাশে ক্ষণিক ভেসে থাকার জন্য বানিয়েছিল প্যারাসুট...
26/07/2025

পাখির মতো আকাশে ওড়ার স্বপ্ন থেকেই মানুষ বিমান বানিয়েছিল। আবার পাখির মতো আকাশে ক্ষণিক ভেসে থাকার জন্য বানিয়েছিল প্যারাসুট, যা আজকের দিনে বিমান দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়ার প্রধান সম্বল। সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপারদের দুঃসাহসী প্যারা জাম্প নিয়ে অনেকেই রোমাঞ্চিত হন। এই রোমাঞ্চের জন্যই সিভিলিয়ান স্পোর্টস হিসেবে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা পেয়েছে স্কাইডাইভিং বা প্যারাসুটিং-এর মতো বিপদজনক ও রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু একজন মানুষ সর্বোচ্চ কত উচ্চতা থেকে লাফ দিতে পারে?

সাধারণ স্কাইডাইভিংয়ের ক্ষেত্রে ১০ হাজার থেকে ১৪ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দেয়া হয়। এটি সিভিলিয়ান স্কাইডাইভিংয়ের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত উচ্চতা, এবং এই পরিসরের মধ্যে অতিরিক্ত অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়ে না। তবে অভিজ্ঞ স্কাইডাইভাররা বিশেষ গিয়ার ব্যবহার করে ১৮ হাজার ফুট পর্যন্তও যেতে পারেন। সেনাবাহিনীতে প্যারাজাম্পের উচ্চতা মিশনের ধরন ও গোপনীয়তার প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। বিশেষ অভিযান বা ট্যাকটিক্যাল ইনসার্শনের ক্ষেত্রে HALO (High Altitude, Low Opening) এবং HAHO (High Altitude, High Opening) দুই ধরনের প্যারাজাম্প ব্যবহার করা হয়। HALO জাম্পে সাধারণত ২৫-৩৫ হাজার ফুট উচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে মাত্র ৩ থেকে ৪ হাজার ফুটে প্যারাসুট খোলা হয়, যাতে শত্রুর নজরে না পড়ে গোপনে অবতরণ করা যায়। অন্যদিকে, HAHO জাম্পে একই উচ্চতা থেকে লাফ দিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই, সাধারণত ২০-২২ হাজার ফুটের মতো উচ্চতায় প্যারাসুট খোলা হয় এবং প্যারাট্রুপাররা কম্পাস ও জিপিএসের সাহায্যে ৩০-৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসে ভেসে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছায়। যদিও বিশেষ পরিস্থিতিতে এ দূরত্ব আরও বেশি হতে পারে, তবে এটি নির্ভর করে আবহাওয়া ও প্যারাসুটের ধরনের উপর। আর সাধারণ মিলিটারি প্যারাসুট জাম্প হয়ে থাকে প্রায় ৮-১৩ হাজার ফুট থেকে। স্ট্যাটিক লাইন জাম্প, যেখানে ট্রুপারদের প্যারাসুট স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যায়, তা সাধারণত ৩,৫০০–৪,০০০ ফুট উচ্চতা থেকে দেওয়া হয়। সব ধরনের জাম্পেই উচ্চতা নির্ধারণ করা হয় অপারেশনাল চাহিদা, গোপনীয়তা, ও নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রেখে।

অত্যন্ত নাজুক বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা...ইসরায়েলের আকাশে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন বৃষ্টির মতো ঝরেছে, তখ...
26/06/2025

অত্যন্ত নাজুক বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা...

ইসরায়েলের আকাশে ইরানি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র যখন বৃষ্টির মতো ঝরেছে, তখন আকাশেই তার অধিকাংশ ঠেকিয়ে দিয়েছে ‘আয়রন ডোম’। ১২ দিনের যুদ্ধে ইরান প্রায় ৫৩২টি মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলে, যার মধ্যে ৪২টি মিসাইল ভূমিতে আঘাত হেনেছে। অর্থাৎ প্রায় ৯২ শতাংশ মিসাইল আকাশেই ঠেকিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়ার ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল ঠেকাতে ইউক্রেনের আকাশে গর্জে উঠছে আমেরিকান প্যাট্রিয়ট, জার্মান আইআরআইএস-টি ও ইসরায়েলি ডেভিডস স্লিং। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত-পাকিস্তানের অতিসাম্প্রতিক যুদ্ধে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ভারতে গর্জে উঠতে দেখা গেছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ কিংবা ভারত-ইসরায়েলের যৌথভাবে তৈরি বারাক-৮। বিপরীতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে চীনে দীর্ঘপাল্লার এইচকিউ ৯/পি ও মাঝারি পাল্লার এলওয়াই-৮০। রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশের বেশি এলাকা আরাকান আর্মির দখলে চলে যাওয়ার পর বিপর্যস্ত জান্তা সরকার একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। যার অভিঘাত বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলেও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। সব মিলিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিণত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধের প্রথম ও প্রধান প্রাচীর হিসেবে। প্রতিটি দেশ এখন আকাশকে পরিণত করছে রাডার ও ক্ষেপণাস্ত্র-নিয়ন্ত্রিত প্রতিরক্ষার অভেদ্য দুর্গে।

ভারত ও চীনের আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের মধ্যে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূলে এবং মিয়ানমারের সীমান্তসংলগ্ন বাংলাদেশ এখন ভূরাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত স্পর্শকাতর অবস্থানে রয়েছে। কিন্তু ভূরাজনৈতিকভাবে এমন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা বাংলাদেশের আকাশ কতটা সুরক্ষিত? দেশের সামরিক বাহিনী কতটা প্রস্তুত একটি উচ্চগতির ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল বা স্টিলথ ড্রোন মোকাবেলা করতে? তথ্য বলছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও পূর্ণাঙ্গ আকাশ প্রতিরক্ষা বলয় গড়ে তুলতে পারেনি। বিশ্বের সামরিক শক্তিগুলো যখন নিজেদের নিরাপত্তা বলয় গঠনে ‘মাল্টি-লেয়ার্ড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’-এর ওপর নির্ভর করছে, তখন বাংলাদেশ এখনো মূলত পুরনো স্বল্পপাল্লার প্রতিরক্ষা কাঠামোর মধ্যেই আবদ্ধ।

বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষার বর্তমান বাস্তবতা রীতিমতো উদ্বেগজনক। সূত্র জানায়, ২০১১ সালে কেনা চীনের তৈরি এফএম-৯০ স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাই এখনো সবচেয়ে কার্যকর ভূমিভিত্তিক প্রতিরক্ষা অস্ত্র। এ মিসাইল সিস্টেম ড্রোন, হেলিকপ্টার ও নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া বিমান শনাক্ত ও আঘাত হানার জন্য কার্যকর হলেও উচ্চগতির ফাইটার জেট বা দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়।

বিমান বাহিনীর হাতে আছে ৪৪টি যুদ্ধবিমান, যার মধ্যে ৩৬টি চীনের তৈরি পুরনো মডেলের এফ-৭ ও ৮টি সোভিয়েত যুগের মিগ-২৯। প্রশিক্ষণ কাজে ব্যবহৃত রুশ ইয়াক-১৩০ যুদ্ধবিমান ১৪টি, যা হালকা আক্রমণেও ব্যবহারযোগ্য। এসব বিমানের অনেকগুলোই দ্বিতীয় বা তৃতীয় প্রজন্মের, যার ফলে এরা আধুনিক স্টিলথ বা রাডার-অ্যাভাসিভ প্রযুক্তির মুখোমুখি হলে অকার্যকর হতে পারে। বিমানবাহিনীর বহরে হেলিকপ্টার রয়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে রাশিয়ার এমআই সিরিজের ৩৬টি হেলিকপ্টার আছে। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত সেসনা, বেলের বিভিন্ন মডেলের হেলিকপ্টার আছে ২৪টি।

দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, ‘আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে জিরো না হলেও জিরোর কাছাকাছি। যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে এগুলোর কার্যকারিতা আছে বলে মনে করি না। এসব বিষয়ে নজর দেয়া জরুরি। পাকিস্তানের জিডিপি আর মাথাপিছু আয় আমাদের তুলনায় কত কম দেখুন। কিন্তু সামরিক শক্তিতে কিছুদিন আগে সেই পাকিস্তান কীভাবে ভারতকে নাকানি-চুবানি খাইয়েছে। সেখানে আমাদের ওপর যদি কোনো আক্রমণ হয় আমাদের বর্তমান ব্যবস্থা মাকড়সার জালের নিরাপত্তা দেবে বলেও আমি মনে করি না।’

তার মতে, ‘গত ১৬ বছরে ডিফেন্সে চাকচিক্যর ওপর যেভাবে নজর দেয়া হয়েছে, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার দিকে সেভাবে নজর দেয়া হয়নি। আগামীতে যে সরকারই আসুক এদিকে নজর দিতে হবে। মনে রাখতে হবে ডিটরেন্স ছাড়া কূটনীতি জিরো। আপনি সামরিকভাবে সক্ষমতা অর্জন করেন, দেখবেন কূটনীতিতে সবাই আপনাকে গুরুত্ব দেবে, ওয়েলকাম জানাবে। আমাদের না আছে অর্থনীতি, না আছে ফরেন পলিসি, না আছে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। বাজেট যেটাই থাকুক সেটার ব্যবহার যথোপযুক্ত বণ্টন করতে হবে। এখন সময় আকাশ প্রতিরক্ষায় মনোযোগ দেয়া।’

আধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ড্রোন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৪টি ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টিই স্লোভেনিয়ায় নির্মিত ব্রামর সি ফোর আই। তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি টু আছে ছয়টি। গত বছরই এগুলো যুক্ত হয়। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সাবমেরিন রয়েছে দুটি। দুটিই চীনের তৈরি এবং ২০১৭ সালে এগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। ওয়্যারপাওয়ার বাংলাদেশে এ সাবমেরিনগুলোকে ‘অ্যাটাক সাবমেরিন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া আন্তর্জাতিক সামরিক গবেষণা প্লাটফর্ম গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে নৌযান রয়েছে ১১৭টি। এর মধ্যে সাতটি ফ্রিগেট বা রণতরী আছে বাংলাদেশের। সঙ্গে আরো আছে ছয়টি কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ। ফ্রিগেটগুলোর চারটির নির্মাতা চীন, দুটির যুক্তরাষ্ট্র আর একটি দক্ষিণ কোরিয়ার। কর্ভেট জাহাজগুলোর মধ্যে চারটি চীনের, দুটি যুক্তরাজ্যের। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের তথ্য বলছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে রয়েছে ৩২০টি ট্যাংক। এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে ৪৬৪টি কামান রয়েছে বলে জানিয়েছে গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার। এর মধ্যে স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে ২৭টি। বাংলাদেশের অ্যান্টি এয়ার ক্রাফট গান বা বিমান বিধ্বংসী কামানের উৎস দুটি দেশ। এর মধ্যে সুইজারল্যান্ডের একটি এবং চীনের চারটি সিরিজের কামান রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম (এমএলআরএস) আছে ৭৭টি। এর মধ্যে চীনের তৈরি ৪৯টি এবং তুরস্কের দুই ধরনের মোট ২৮টি এমএলআরএস রয়েছে তাদের ভাণ্ডারে।

এ বিষয়ে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আধুনিককালের যুদ্ধে এখন আর কেউই সরাসরি গ্রাউন্ড ট্রুপ নামায় না। আক্রমণটা হয় আকাশসীমায়। যে কারণে সামরিক বাহিনীর শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থাকা অনস্বীকার্য। সোজা কথায় স্কাই সুপিরিয়রিটি বা আকাশে যার কর্তৃত্ব থাকে যুদ্ধে এগিয়ে থাকে তারাই।’

সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলায় ইরানের ক্ষয়ক্ষতি বেশি হওয়ার কারণ তেহরানের এত শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে তারা ইসরায়েলের আক্রমণগুলো সেভাবে ঠেকিয়ে দিতে পারেনি। আর ইসরায়েল ইরানের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশে ঠেকিয়ে দিয়ে তারা ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে এনেছে। যদি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের কথাই ধরি, পাকিস্তান চূড়ান্ত পরাজিত হয় শেষ ১৩ (৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর) দিনের যুদ্ধে। যেখানে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে বিমান হামলা।’

আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া। যেখানে উচ্চগতির ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল কিংবা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে মধ্য ও দীর্ঘপাল্লার সমন্বিত ব্যবস্থা আবশ্যক জানিয়ে মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্ততপক্ষে এমন হওয়া উচিত যাতে সমুদ্রসীমার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বা নজরদারি করা যায়। মিসাইল সিস্টেমটা ওভাবে উন্নত হতে হবে। এর সঙ্গে ফাইটার এয়ার ক্রাফট থাকতে হবে। এগুলো ব্যয়সাপেক্ষ বিষয় কিন্তু ইচ্ছা থাকলে সম্ভব।’ স্থানীয়ভাবে মেধাবী কর্মকর্তা তৈরির ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘আকাশ প্রতিরক্ষায় উচ্চতর গণিত, পদার্থ থেকে শুরু করে প্রকৌশল পর্যন্ত সবই অন্তর্ভুক্ত। ভারত-পাকিস্তানে সবচেয়ে মেধাবীরাই বিমান বাহিনীতে আসে। অথচ আমাদের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে মিলিটারি স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট পর্যন্ত নেই।’

বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে বড় যে ফাঁকটি রয়েছে, তা হলো মাঝারি ও দূরপাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এর অনুপস্থিতির কারণে দেশের আকাশসীমা পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে উচ্চমাত্রার হামলার সামনে। ভারত এরই মধ্যে এস-৪০০ ট্রায়াম্প সিস্টেম মোতায়েন করেছে, যার ফলে তাদের আকাশসীমা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুরক্ষিত। মিয়ানমারও সংগ্রহ করেছে এসইউ৩০এসএমই এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। এমনকি ভিয়েতনামের মতো মধ্যম শক্তির দেশেও এখন ড্রোন ও মিসাইল প্রতিহত করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে। এ বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বাংলাদেশ। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনো নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া হেলিকপ্টার ঠেকানোর স্তরে সীমাবদ্ধ।

আকাশ প্রতিরক্ষায় উন্নয়নে রাডার ব্যবস্থাও আবশ্যক। সামরিক সূত্র জানায়, ড্রোনের মতো হুমকি মোকাবেলায় কাউন্টার ড্রোন সার্ভিল্যান্স ব্যবস্থা কেনা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলতি মাসে বিমান বাহিনীর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত হয়েছে নতুন রাডার ‘জিএম ৪০৩ এম’। বাংলাদেশ সামরিক শক্তির সূচকে (জিএফপি ইনডেক্স ২০২৪) বিশ্বে ৩৭তম অবস্থানে থাকলেও অস্ত্র আধুনিকায়নের দিক থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বে ২৮তম বৃহৎ অস্ত্র আমদানিকারক হলেও তা মূলত ভূমি যুদ্ধের উপকরণে সীমাবদ্ধ থেকেছে।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্মি এভিয়েশনে কর্মরত ছিলেন কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ সোহেল রানা। সার্বিক বিষয়ে তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর নীতি কাউকে আক্রমণ করা নয়, বরং ডিফেন্সিভ। এটাই আমাদের পলিসি। এটা করতে হলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে। এক্ষেত্রে আমরা একবারে লোয়ার টায়ারেই আছি। তবে গত ১০ বছর এ খাতে বেশ নজর দেয়া হয়েছে। ডিফেন্সিড রাডার বসানো হয়েছে। হোস্টাইল এয়ারক্রাফট বা শত্রু বিমান শনাক্তে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অ্যাডাপ্ট করা হয়েছে। সেনাবাহিনীতেও মিসাইল ব্যাটারি সংযুক্ত করা হয়েছে। তবে উন্নতির অবকাশ রয়েছে। গোলাবারুদ অনেক পুরনো। আধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একটা ইন্টিগ্রেটেড সিস্টেম। যেটা আমরা করতে পারছি না। যার অন্যতম কারণ অর্থ। প্রতিরক্ষা বাজেটের কম অংশ এখানে ব্যয় করা হয়।’

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা সাম্প্রতিক সময়ে ভারত-পাকিস্তান, রাশিয়া-ইউক্রেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের উদাহরণ টেনে বলেন, ‘আমাদের কিন্তু এখানে থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। বড় শিক্ষা হচ্ছে আধুনিক ও শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতেই হবে।’ অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে বন্ধুরাষ্ট্র নির্বাচনের দিকেও নজর দেয়া উচিত বলে মত দেন তিনি।

এছাড়া দেশে প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে ওঠেনি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভারত-পাকিস্তানে এরই মধ্যে একটা ডিফেন্স শিল্প গড়ে উঠেছে, যেটা আমাদের এখানে হয়ে ওঠেনি। এখানে বেসরকারি বিনিয়োগ এলে একটা বড় শিল্প গড়ে উঠত। এখানে একটি বড় ঘাটতি রয়ে গেছে। সবকিছুতে সেনাবাহিনী ও সরকারের ওপর দোষ চাপিয়ে দিলে হবে না। সবারই এগিয়ে আসতে হবে। একাডেমিশিয়ান ও গবেষকদের সঙ্গে সামরিক বাহিনীর যোগাযোগ ও সমন্বয়ের ক্ষেত্রেও উন্নতির অবকাশ রয়েছে।’

© বণিক বার্তা

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নতুন নিয়োগ প্রকাশিত হয়েছে।শিক্ষাগত যোগ্যতা- এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ২.৫০।বয়স- ২৪ জুলাই ২০২...
26/06/2025

বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবলে নতুন নিয়োগ প্রকাশিত হয়েছে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা- এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় ২.৫০।
বয়স- ২৪ জুলাই ২০২৫ তারিখে ১৮-২০ বছর।
উচ্চতা- ৫ ফুট ৬" (ছেলে) এবং ৫ ফুট ৪" (মেয়ে)
আবেদন শুরু ১ জুলাই ২০২৫ এবং শেষ ২৪ জুলাই ২০২৫।
সকল জেলার ছেলে মেয়েরা আবেদন করতে পারবা।
Follow: Defence Care for more updates.

Aero L-39ZA & Lockheed C-130B বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হারকিউলিস।এরা সবাই অবসরপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জাদুঘরে স...
04/06/2025

Aero L-39ZA & Lockheed C-130B বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর হারকিউলিস।

এরা সবাই অবসরপ্রাপ্ত এবং বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর জাদুঘরে সংরক্ষিত

প্রতিরক্ষা সার্ভিসের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা...প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০...
03/06/2025

প্রতিরক্ষা সার্ভিসের জন্য বাজেট বরাদ্দ ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা...

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে ৪০ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।সোমবার (২ জুন) বাংলাদেশ টেলিভিশনে ঘোষিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এ বরাদ্দের কথা জানিয়েছেন।

প্রতিরক্ষা বাজেটে মন্ত্রণালয়ের প্রতিরক্ষা সার্ভিসে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৭ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ৯১৬ কোটি টাকা। মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য সার্ভিসের জন্য পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা। সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পরিচালন ব্যয়ের জন্য রাখা হয়েছে ৪৭ কোটি টাকা।

প্রস্তাবিত বাজেটে যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে আর্টিলারি উইপন্স বা যুদ্ধাস্ত্র।
এসব যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন ধরনের বন্দুক, হাওইটজার, মর্টার ইত্যাদি। বিদায়ী অর্থবছরে এসব যুদ্ধাস্ত্রের আমদানি শুল্ক রয়েছে ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে এই আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া রকেট লাঞ্চার, ফ্লেইম থ্রোয়ারস, গ্রেনেড লাঞ্চার, টর্পেডো টিউব এবং এ ধরনের অস্ত্র আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্য অস্ত্রের ক্ষেত্রেও আমদানি শুল্ক শূন্য শতাংশ করা হয়েছে।

হাতের তালুর রেখায় ভাগ্য দেখতে যেও না গালিব, ভাগ্য তাদেরও আছে যাদের হাত নেই।" - মির্জা গালিব  পুরো নাম মির্জা আসাদুল্লাহ ...
01/06/2025

হাতের তালুর রেখায় ভাগ্য দেখতে যেও না গালিব, ভাগ্য তাদেরও আছে যাদের হাত নেই।"
- মির্জা গালিব

পুরো নাম মির্জা আসাদুল্লাহ বেগ। ডাক নাম গালিব। তাকে মোঘল সম্রাজ্যের সর্বশেষ কবি হিসেবে ও দক্ষিণ এশিয়ায় তাকে উর্দু ভাষার সবচেয়ে প্রভাবশালী কবি বলে মনে করা হয়। তিনি তার নিজের সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন যে, তিনি বেঁচে থাকতে তার গুণকে কেউ স্বীকৃতি না দিলেও, পরবর্তী প্রজন্ম তাকে স্বীকৃতি দিবে। ইতিহাস এর সত্যতা প্রমাণ করেছে। উর্দূ কবিদের মধ্যে তাকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি লেখা হয়েছে।

খুব সম্ভবত ভারতের ইতিহাসে মির্জা গালিবের মতো প্রভাবশালী কবি দ্বিতীয়টি নেই। তার লেখা অজস্র গজল, শায়েরি, রুবাইয়াতে বিহ্বল হয়েছে সদ্য প্রেমে পড়া তরুণ থেকে পরিণত পণ্ডিত পর্যন্ত। উর্দু সাহিত্যের বিশ্বখ্যাত গবেষক ও গালিব বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রশিদ আহম্মদ সিদ্দিকী বলেছেন, 'মোগলরা হিন্দুস্থানকে তিনটে জিনিস দিয়েছেন- উর্দু, তাজমহল এবং গালিব।'

এমনকি, উর্দু সাহিত্যের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এই কবিকে নিয়ে Ralf Rasel বলেছেন, 'গালিব যদি ইংরেজিতে কবিতা লিখতেন তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কবি হিসেবে গণ্য হতেন।' শেষ মুঘল সম্রাট আবদুল জাফর সিরাজুদ্দিন বাহাদুর শাহের মৃত্যু হলে গালিব আরও নিঃসঙ্গ ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কারণ এই সম্রাট শুধু তার শাসকই ছিলেন না, ছিলেন বন্ধু ও সহযাত্রী-কবি।

১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৬৯ সালে মির্জা গালিব যখন মারা যান তখন তিনি নিঃস্ব, সহায়-সম্বলহীন ও প্রায়-বিচ্ছিন্ন একজন গুটিয়ে যাওয়া মানুষ। সম্ভবত জীবন থেকে চলে যাওয়ার অপেক্ষাই তার একমাত্র অবলম্বন আর স্রষ্টার প্রযত্নেই তার একমাত্র আশ্রয় ছিল।

১৮৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরবেলা তাঁকে সুলতানজী’তে কবরস্থ করা হয়। এটি ছিল সেই পবিত্র তীর্থস্থান যা ফকির নিজামুদ্দিন আউলিয়ার কবরের কাছে, লোহারু বংশের পারিবারিক কবরখানা। তার অন্তিমযাত্রার খরচটুকু বহন করে নবাব জিয়াউদ্দিন খান।

গোল বাঁধল, শেষকৃত্যের নিয়মগুলি নিয়ে। অর্থাৎ, শিয়া না সুন্নি কোন মতে মির্জা আসাদুল্লাহ খাঁ গালিবকে গৌর করা হবে! শেষে নবাব জিয়াউদ্দিনের কথামতো উর্দু সাহিত্যের এই দেবদূতকে সুন্নি মতেই কবর দেওয়া হয়। যতকাল পৃথিবীতে প্রেম থাকবে, মির্জা গালিবও মিশে থাকবে প্রতিটি মানবিক স্নায়ুতে! নিজের মৃত্যুশয্যায় গালিব লিখেছিলেন,
"বিপদ বিধ্বস্ত গালিবের অভাবে
কোনো কাজই কি থেমে থেকেছে?
এত কান্নাকাটির প্রয়োজন নেই
প্রয়োজন নেই উচ্চস্বরে বিলাপ করবার।"

ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:১. ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে জে...
31/05/2025

ব্যর্থ সমাজ চিনবেন কিভাবে? ১২ টি লক্ষণ আছে যা দেখে আপনি ব্যর্থ সমাজ চিনতে পারবেন:

১. ব্যর্থ সমাজে মানুষ জ্ঞান-বিজ্ঞানে জেগে ওঠে না, জেগে ওঠে হুজুগে। সেখানে বই পড়া, মুক্তচিন্তা, বিজ্ঞানচর্চার অভ্যাস কম থাকে।

২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ অর্থহীন সস্তা বিনোদনের পিছনে ছোটে। ফলে সস্তা বিনোদন দিয়েও এক শ্রেণীর মানুষ রাতারাতি প্রচুর জনপ্রিয়তা পায়।

৩. ব্যর্থ সমাজে দুর্নীতিবাজদের সবচেয়ে সফল মানুষ হিসেবে গণ্য করা হয়। লোকের চোখে তারাই রোল মডেল।

৪. ব্যর্থ সমাজে অশিক্ষিতরা আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করার দায়িত্ব নেয়। মানুষ শিক্ষাকে কম, টাকা আর ক্ষমতাকে বেশি মূল্যায়ন করে।

৫. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি চিন্তাশীল মানুষের বিপরীতে হাজার হাজার বোকার হদ্দ থাকে এবং প্রতিটি সচেতন শব্দের বিপরীতে থাকে শত শত পচনশীল শব্দ।

৬. ব্যর্থ সমাজে উদ্যোক্তার চেয়ে চাকরিজীবীর দাম বেশি হয়। সেখানে উদ্যোক্তাদের কেউ সম্মান করে না।

৭. ব্যর্থ সমাজে চিন্তাশীল ব্যক্তির মূল্য বা ওজন কেউ বোঝে না। যে কঠিন সত্য বলে বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে তাকে কেউ গ্রহণ করে না।

৮. ব্যর্থ সমাজে তরুণ প্রজন্মের সামনে মহৎ কোনো লক্ষ্য থাকে না। যুবসমাজ সেখানে শর্টকাটে বড়লোক হবার রাস্তা খোঁজে।

৯. ব্যর্থ সমাজে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হয় নির্বোধ। সমাজের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মানুষ আলোচনায় মেতে থাকে, মূল টপিকগুলো হারিয়ে যায়।

১০. ব্যর্থ সমাজে অর্থহীন তত্ত্ব দিয়ে মানুষকে দিনের পর দিন নেশাগ্রস্ত করে রাখা হয়। লোকজন এই নেশা কাটিয়ে উঠে সৃষ্টিশীল কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না।

১১. ব্যর্থ সমাজে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সবার একটি করে মতামত থাকে, কারণ সবাই সেখানে সবজান্তা!

১২. ব্যর্থ সমাজে মানুষ সমস্যার উপর দিয়ে ভেসে বেড়ায়, কিন্তু গভীরে প্রবেশ করতে পারে না। সমস্যা সমাধানের চেয়ে অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপাতে সবাই বেশি সিদ্ধহস্ত হয়।

Address

Jessore
7400

Telephone

+8801766004550

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when BNCC Air Wing - Jashore Govt. City College, 58 squadron. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to BNCC Air Wing - Jashore Govt. City College, 58 squadron.:

Share