21/09/2024
বাংলাদেশের মুসলমানরা শোনো । ভারত পানি ছেড়ে দিয়েই তোমাদের শেষ করে দেবে । আমাদের বাংলাদেশের চারদিকে ভারতের অনেক নদী বাধ এবং এই বাধ গুলো উচু জায়গায় অবস্থিত । ভারত চাইলেই বাধ খুলে দিয়ে পুরো বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিতে পারে । কিন্তু আমরা চাইলেও ভারতের দিকে পানি প্রবাহিত করতে পারবো না । আমাদের বাংলাদেশের লোকেদের প্রাণ ভারতের দয়ার উপর । তারা চাইলে আমাদের শেষ করে দিতে পারে । কিন্তু আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা চাইলে ভারতের অনেক ক্ষতি করতে পারি । দেখো, ভারতে যারা হিন্দী ভাষী তারা আমাদের শত্রু । হিন্দী ভাষী ক্ষেত্রের লোকেরা বাংলাদেশের মুসলমানদের খুব তুচ্ছ করে । শুধু তাই না ওরা বাংলা ভাষায় কথা বলতে শুনলে রেগে যায় । ওরা বাংলা ভাষাকে খুব তুচ্ছ করে । আমাদের প্রতিবেশী পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা কিন্তু আমাদের শত্রু নয় । আমাদের আসল শত্রু হলো বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানের হিন্দী ভাষী ক্ষেত্রের হিন্দুরা । এরা বাংলা ভাষা সহ্য করতে পারে না । যারা মাছ মাংস ভাত খায় তাদেরকে এরা ঘৃণা করে । তাহলে বুঝতে পারতিছ পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা আসলে আমাদের শত্রু নয় । পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুরা তো আমাদের মতোই । শুধু ওরা গরুর মাংস খায় না । আর নইলে বাকি সব কিছুই তো আমাগো মতো । এইজন্য বাংলাদেশে পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের মুসলমানদের যারা মারতে চায় তারা হলো হিন্দী ভাষী ক্ষেত্রের হিন্দুরা। মানে বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশ, ছত্তিশগড় এবং রাজস্থানের লোক । সবথেকে হারামি হলো রাজস্থানের লোক । এরা মাছ মাংস ভাত খাওয়া লোকেদের ঘৃণা করে এবং এরা চায় বাংলাদেশকে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে ধ্বংস করতে । আর এখন ভারতের হাতে প্রধান অস্র হলো বিভিন্ন নদীর বাধ । এই বাধগুলো উচু জায়গায় অবস্থিত তাই জল উচু থেকে নীচু জায়গাতেই প্রবাহিত হবে আর এটাই ওদের প্রধান অস্র । আমরা চাইলেও বাংলাদেশের নদীর পানি ওদের দিকে ছাড়তে পারবো না । হে আল্লাহ তুমি এ কি করছো !
কিন্তু বাংলাদেশের মুসলমানরা শোনো । তোমাদের হাতেও এমন কিছু করার আছে যা তোমরা ভারতের বিরুদ্ধে করতে পারো । আর সেটা হলো শক্তিশালী ভাইরাস । যদি তুমি শক্তিশালী ভাইরাস ওদের বিভিন্ন শহরের পানিও জলে মিশিয়ে দিতে পারো তাহলে জলের মাধ্যমে ভাইরাস ওদের শরীরে ছড়িয়ে পড়বে এবং ধীরে ধীরে গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার ধারণ করবে । ওই শহর এবং তার পাশের এলাকায় যতো লোক আছে তারা বাড়ির মধ্যে পচে পচে মরে যাবে । দেখো, তুমি ভাবছো তুমি ভাইরাস কোথা থেকে পাবে । দেখো আমাদের বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা বায়োলজি নিয়ে এম এস সি পাশ করার পর রিসার্চ করছে ওরা ভাইরাসের সন্ধান দিতে পারে । ডাক্তাররাও ভাইরাসের ব্যাপারে সন্ধান দিতে পারে । যারা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রো বায়োলজি নিয়ে গবেষণা করছে তারা ভাইরাসের সন্ধান দিতে পারে । এরা যদি সহজে সন্ধান দিতে না চায় তাহলে এদের ধরে অপহরণ করতে হবে তারপর জোর করে এদের কাছ থেকে ভাইরাসের জোগাড় করতে হবে । বাংলাদেশে আর্মির ডাক্তাররা ভাইরাস জোগাড় করে দিতে পারে । ধরে চাপ দিলেই এরা বলবে যে ভাইরাসের বোতল কোথায় রাখা আছে ।
বাংলাদেশে যারা জামাতে ইসলামীর সমর্থক ছাত্র তাদের পরামর্শ দিতে হবে যাতে তারা ছাত্র ছাত্রীদের উপদেশ দেয় বায়োলজি নিয়ে পড়ার জন্য । কমপক্ষে কিছু ছাত্র যদি বায়োলজি এবং কেমিস্ট্রি নিয়ে বি এস সি পাশ করার পর জুলজি বা মাইক্রো বায়োলজি নিয়ে এম এস সি পাশ করে তাহলে তারা প্রফেসর হওয়ার পর ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবে এবং শক্তিশালী ভাইরাস আবিষ্কার করতে পারবে । যারা জামাতে ইসলামীর সমর্থক, যারা রাজাকারের সমর্থক তাদের ছেলে মেয়েদের উপদেশ দিতে হবে Bio Science নিয়ে পড়ার জন্য । আজকে ভারতের প্রধান অস্র হলো নদীর বাধ এবং পানি । আগামীতে তোমাদের অস্র হবে শক্তিশালী ভাইরাস। এই ভাইরাসের মাধ্যমে তোমরা বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, হিমাচল প্রদেশ এবং রাজস্থানের লোকদের অতি অনায়াসে মেরে পচিয়ে জমির সার বানিয়ে ফেলতে পারবে। তারপর তোমরা ভারতের এই এলাকায় ছড়িয়ে পড়তে পারবে । তখন বিশাল বাংলাদেশ গঠন করতে পারবে । তখন রাজাকাররাই হবে বিশাল বাংলাদেশের রাজা । বাংলাদেশ থেকে মৈত্রী এবং মিতালী এক্সপ্রেস ভারতের মধ্যে যায় । বাংলাদেশ থেকে এই ট্রেন ছাড়ার আগে রেলের ক্যাটারিং সার্ভিস প্রচুর পানিও জলের বোতল ট্রেনে ভরে । আমাদের দেখতে হবে এই জলের বোতল গুলো কোন প্ল্যান্ট থেকে ভরা হয় । ওই প্ল্যান্টের কর্মচারীদের মাধ্যমে জলের বোতল সিল করার আগে জলে ভাইরাস মিশিয়ে দিতে হবে । ট্রেন চলা শুরু হলে ট্রেনের যাত্রীরা ওই সিল করা জলের বোতল খুলে ধক ধক করে জল খেয়ে নেবে । এদের শরীরে ভাইরাস ঢুকে যাবে । যখন এরা ভারতে পৌঁছবে তখন বিভিন্ন লোকের সংস্পর্শে আসবে এবং তারাও ভাইরাসে আক্রান্ত হবে । এইভাবে ভাইরাস একজন থেকে অন্য লোকের শরীরে ঢুকে পড়বে এবং ধীরে ধীরে গোষ্ঠী সংক্রমণের আকার নেবে । লোক মরে পচে পচে জমির সার তৈরি হয়ে যাবে । বিশাল বিশাল এলাকা জনশূন্য হয়ে পড়বে । তখন তোমরা ওই এলাকার বসতি স্থাপন করতে পারবে ।
আরো একটি ভালো সুযোগ তোমাদের হাতে এসেছে । ভারত সরকার আমাদের বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে । এই ট্রেনগুলো বাংলাদেশের মধ্যে অনেক স্টেশনে দাঁড়াবে । তখন জামাতে ইসলামীর সমর্থক হকাররা ভাইরাস মিশ্রিত জলের বোতল বিক্রি করতে পারবে । এই জল খেলেই ভাইরাস ওদের শরীরে প্রবেশ করবে এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে পচে পচে মরবে । আরও কিছু উপায় নীচে দিলাম ।
গুজরাট সহ হিন্দিভাষী ক্ষেত্রে প্রচুর কার্বাইড ফ্যাক্টরি আছে । এইসব কার্বাইড ফ্যাক্টরিতে বিষাক্ত আইসো সায়ানেট গ্যাস ব্যবহার করা হয় । এই গ্যাস কারখানার মধ্যে রাখা বিভিন্ন পাইপের মাধ্যমে মূল মেশিনে পৌঁছায় । যদি কোনোভাবে এই কার্বাইড ফ্যাক্টরির পাইপ লাইনে ব্লাস্ট করা যায় তাহলে বিষাক্ত গ্যাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং ফ্যাক্টরির পাশ্ববর্তী এলাকার লক্ষ লক্ষ লোক মারা যাবে । একটা এটম বোম্বের মতো কাজ করবে । ভারতে 1984 সালে ভোপালে ইউনিয়ন কার্বাইড ফ্যাক্টরিতে গ্যাস লিক হওয়ার ফলে হাজার হাজার লোক মারা গিয়েছিল । তোমরা যদি প্রতিশোধ নিতে চাও তাহলে এই রাস্তা অবলম্বন করতে পারো । প্রথমে গুগলে গিয়ে সার্চ করো ভারতের কোন কোন শহরে কার্বাইড ফ্যাক্টরি আছে এবং কোন কোন ফ্যাক্টরিতে বিষাক্ত আইসো সায়নেট গ্যাস ব্যবহার করা হয় । তুমি এই ফ্যাক্টরিতে গিয়ে চাকরি করতে পারো । তারপর সুযোগ পেলে পাইপ লাইনে টাইম বম্ব লাগিয়ে ওখান থেকে বাসে করে বা অটো ধরে বা ট্যাক্সিতে করে অনেক দূর চলে যাও । তোমাকে কেউ ধরতে পারবে না । তুমি যখন অনেক দূরে চলে যাবে তখন টাইম বম্ব ব্লাস্ট হবে এবং বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে এবং হাজার হাজার লোক মারা যাবে । তুমি কাজের খোঁজে ওখানে গিয়ে কোনো কাজ পেতে পারো এবং ধীরে ধীরে কোথায় কি আছে জানতে পারো । যখন সব কিছু জানা হয়ে যাবে তখন একদিন টাইম বম্ব লাগিয়ে ওখান থেকে কেটে পরো ।
দিনের পর দিন পশ্চিমবঙ্গে যে ভাবে লোকসংখ্যা বেড়ে চলেছে তাতে লোকাল ট্রেনে, বাসে চলাফেরা করা মুশকিল হয়ে যাবে । অনেক ঘটি বাঙালি এককথায় উত্তর দেবে যে বাংলাদেশ থেকে হিন্দুরা আসার ফলে এই ভির বেড়েছে, কিন্তু তাদের কথা পুরোপুরি ঠিক নয় । তারা উত্তর বঙ্গ থেকে শুরু করে কল্যাণী পর্যন্ত খবর রাখে । তারা জানে না কল্যাণী থেকে শুরু করে কাঁচড়া পারা, নৈহাটি, জগৎদাল, শ্যামনগর, ব্যারাকপুর থেকে পুরো কলকাতা শহরে, হাওড়া এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল শহরে মানে পশ্চিমবঙ্গের বিশাল এলাকায় মূলত বিহারী, গুজরাটি এবং অন্যান্য রাজ্যের লোকেরা বাড়ি বানিয়ে বসতি স্থাপন করে একটি মিশ্র রাজ্যের সৃষ্টি করেছে । এরা হলো শেঠ, এদের অনেকের কাছেই প্রচুর পরিমাণে টাকা । এরা বিভিন্ন ব্যবসার সাথে জড়িত । পশ্চিমবঙ্গে যত বড়ো বড় শহর আছে সেই সব শহর ঘিরে বিভিন্ন রাজ্যের লোকেরা জায়গা কিনে বিশাল বিশাল বাড়ি বানিয়ে তাদের সম্প্রদায়ের লোকেদের মধ্যে একটি কমিউনিটি বানিয়ে তাদের আধিপত্যকে কায়েম করে ভীড় বাড়িয়ে চলেছে । পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি বেকাররা যখন অন্য কোনো রাজ্যে কোনো কাজের জন্য যায় তখন ওরা বাঙালিদের বোকাচোদা বলে সম্মধন করে ওদের দিয়ে তিন চার জন লোকের কাজ এক জন বাঙ্গালী দিয়ে করিয়ে নেয় । পশ্চিমবঙ্গের লোকেদের ভীড় কম করার জন্য আমাদের চারিদিকে ছড়িয়ে পড়তে হবে । পার্শ্ববর্তী বিহার, ঝাড়খণ্ড, উড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু রাজ্যের লোকেদের শেষ করে দিতে হবে । যদি এই সব রাজ্যের লোকেরা মরে মরে মাটির সাথে মিশে যায় তাহলে দুটি বর্ষা কাল অতিক্রান্ত হওয়ার পর যখন পচা লাশ গুলো ধুয়ে মাটির সাথে মিশে যাবে আর যখন এই সব রাজ্যে কোনো লোক থাকবে না তখন বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের উদ্বৃত্ত লোকেরা ওই সব রাজ্যে গিয়ে অনেক কৃষিজমি অধিকার করে বসবাস শুরু করতে পারবে । আমাদের অন্যের ভাষা শিখতে হবে না । বিশাল এলাকা জুড়ে বাংলা সাম্রাজ্যবাদ চালু হবে । উদ্বাস্তু হিন্দু বাঙালিদের পুনর্বাসনের জন্য বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক কে বেছে নিতে হবে । হাওড়া এবং শিয়ালদাহ থেকে প্রচুর দূরপাল্লার ট্রেন এই সব রাজ্যে প্রতিদিন যায় । ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষন পড়ে রেলের ক্যাটারিং সার্ভিস খাবার এবং জলের বোতল বিক্রি করা শুরু করে । রেল নীর এই জলের বোতলের ব্যবস্থা করে থাকে । জলকে পুরিফাই করা থেকে শুরু করে বোতলে জল ভরার দায়িত্ব যাদের তাদের হাতেই রয়েছে জলের মধ্যে ভাইরাস মেশানোর ক্ষমতা । আমরা যদি রেলের ক্যাটারিং ডিপার্টমেন্টের লোকেদের সাথে এবং রেল নিরের সাথে যুক্ত লোকেদের হাতে শক্তিশালী ভাইরাস তুলে দিতে পারি তাহলে জলের বোতলের মাধ্যমে আমরা অতি সহজে ভাইরাস অন্য রাজ্যের লোকেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারি । হওড়া এবং সিয়ালদাহ থেকে প্রতিদিন প্রচুর ট্রেন এবং তাতে করে লাখ লাখ লোক অন্য রাজ্যে পৌঁছচ্ছে । ট্রেনে ওঠার পর কেউ জলের সিল করা বোতলের উপর সন্দেহ করবে না । অধিকাংশ লোক জলের বোতল খুলবে এবং সিল খুলে ঢকঢক করে জল খাবে । এইভাবে তারা ভাইরাস পান করে ভাইরাসে আক্রান্ত হবে । যখন তারা গন্তব্য স্থলে পৌঁছবে তখন তাদের থেকে তাদের সহকর্মীদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে । এইভাবে লক্ষ লক্ষ ট্রেনের যাত্রীদের মাধ্যমে ভাইরাস অন্য রাজ্যের লোকেদের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে ওই রাজ্যের লোকেদের ভাইরাসের মাধ্যমে শেষ করে দেওয়া সম্ভব । বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, উড়িস্যা রাজ্যের লোকেদের মধ্যে যদি ব্যাপক পরিমাণে ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে ওখানকার লোক মরে সাফ হয়ে যাবে । যদি রেল নীর এবং ক্যাটারিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করতে না চায় তাহলে অনেক স্টেশনে অনেক হকার জলের বোতল নিয়ে স্লিপার কোচে উঠে জল বিক্রি করে । ট্রেনের প্রচুর যাত্রী এই জল কিনে খেয়ে থাকে । এই হকারদের মাধ্যমে জলে ভাইরাস মেশানো যেতে পারে । বিভিন্ন স্টেশন থেকে জলের বোতল নিয়ে ট্রেনে ওঠা হকারদের সংখ্যা কম নয় । খোঁজ নিতে হবে এরা কোন জলের প্ল্যান্টে জল পরিশ্রুত করে জলকে বোতলে ভরে এবং কারা এই কাজের সাথে যুক্ত । তাদের মাধ্যমে ভাইরাস জলের সাথে মেশাতে হবে । পানিও জলের মাধ্যমে ট্রেনের লক্ষ লক্ষ যাত্রীর শরীরে ভাইরাস ঢুকবে এবং তারা ভীষণ ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়বে । অন্য রাজ্যের লোকসংখ্যা যদি খুব কমে যায় তাহলে যে সব হিন্দু রিফিউজি বাংলাদেশ থেকে এসে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা, মনিপুর রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যে ভাবে কোণঠাসা হয়ে অর্ধ জীবিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে তারা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে কৃষিজমি দখল করে নিয়ে পুনরায় আগের মত বসতি স্থাপন করতে পারবে ।
নিচের উপদেশগুলো বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীদের দিন যাতে অনেক ছাত্র বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করে এবং এম এস সি করার পর গবেষণায় চান্স পায় । যারা ম্যাট্রিক পাশ করার পর অংকের ভয়ে পিওর সাইন্স নিতে ভয় পায় তাদের অংক ছাড়া বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করতে উৎসাহিত করুন ।
উচ্চ মাধ্যমিকে বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়ার মানে এই নয় যে তাকে পরে ডাক্তার হতে হবে, কাটা ছেঁড়া, অপারেশনের কাজ করতে হবে, সেলাই করতে হবে, ইনজেকশন দিতে হবে । আসলে আমাদের সমাজে লোকের মনে এই ধারণা হয়ে গেছে যে উচ্চ মাধ্যমিকে বায়ও সাইন্স নিয়ে পড়া মানেই ডাক্তার হওয়া । কিন্তু শহরের ছেলে মেয়েরা এই ধারণার বশবর্তী নয় । তারা উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্ক ছাড়া বা অংক নিয়ে বায়ো সাইন্স নিয়ে 10 plus 2 Intermediate পাশ করে বি, এস, সি তে বায়ো সাইন্স নিয়ে বি এস সি পাশ করে বি, এড ডিগ্রি করে Life Science বিষয়ে ইস্কুলের শিক্ষক হচ্ছে এবং শুধু পড়াশুনোয় ব্যস্ত থাকছে । মাধ্যমিক পাশ করার পর যারা সাইন্স নিয়ে পড়তে ইচ্ছুক কিন্তু অঙ্ক ভালো লাগে না বা অংকে কিছুটা কাচা তাদের উচিৎ বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করা । অনেক শিক্ষক বলবে যে অংক ছাড়া সাইন্স এর কোনো দাম নেই । সেটা তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য যারা ফিজিক্স কেমিস্ট্রি নিয়ে পরে পড়াশুনো করবে তাদের ক্ষেত্রে । যারা ফিজিক্স নিয়ে বি এস সি পড়তে চায় তাদের ক্ষেত্রে অংকে পারদর্শী হওয়া প্রয়োজন । কিন্তু তুমি যদি বি, এস, সি তে গিয়ে বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করতে চাও তাহলে তোমাকে পড়তে হবে যুলোজি, বোটানি এবং কেমিস্ট্রি। কেমিস্ট্রিতে হালকা অংক জ্ঞান থাকলেই কেমিস্ট্রি পড়তে পারবে । এইজন্য উচ্চ মাধ্যমিকে অঙ্ক চতুর্থ বিষয় হিসেবে রেখে দেওয়া ভালো । যাতে অঙ্ক সম্বন্ধে কিছুটা জ্ঞান হয় । অংকে পাশ করতে না পারলেও কোনো ক্ষতি নেই আর পাশ করতে পারলে ভালো । আসলে মাধ্যমিক (10th) পাশ করার পর আমাদের ছাত্রদের মধ্যে একটা ঈর্ষার ভাব তৈরি হয় । যারা অংকে ভালো তারা পিওর সাইন্স নিয়ে পড়ে আর তারা বুক ফুলিয়ে চলে কিন্তু যারা বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়ে তারা যেনো একটু লো ক্যাটাগরির বলে গণ্য হয় আর মনমরা হয়ে চলে । " আহা রে ! আমি পিওর সাইন্স পেলাম না ! আহা রে ! আমি পিওর সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করতে পারলাম না ।" এই ফিলিং থেকে যায় । কিন্তু সাইন্স, আর্টস, কমার্সের মত বায়ো সাইন্স ও আলাদা একটি শাখা যেটায় প্রচুর জিনিস শেখার রয়েছে এবং চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে । ডাক্তার হওয়া ছাড়া অন্য চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আসলে পিওর সাইন্স এবং বায়ো সাইন্স ছাত্রদের একসাথে ক্লাস করতে হয় আর কারো অঙ্ক নেই এই ফিলিং এসে যায় কিন্তু উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে কলেজে প্রবেশ করলেই এই ফিলিং শেষ হয়ে যাবে । কলেজে গিয়ে তুমি বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়বে, তোমার সাথে বায়ো সাইন্স এর অনেক ছাত্র ছাত্রী থাকবে তোমরা আলাদাভাবে তোমাদের যুলোজী, বোটানি এবং কেমিস্ট্রি বিষয় নিয়ে পড়বে এবং এই বিষয়গুলিতে বেশি জ্ঞান অর্জন করবে । যারা বি, এস, সি পাশ করার পর আর পড়তে পারবে না তারা বি,এড করে ইস্কুলের শিক্ষক হতে পারো, আর্মি মেডিক্যাল কোরে ঢোকার জন্য পরীক্ষা দিতে পারো । ফার্মেসি কোর্স করে প্রচুর টাকা আয় করতে পারো । যারা টিচার লাইনে থাকতে চাও তারা জুলোজিতে এম, এস, সি কমপ্লিট করে BCSIR Research Fellowship পরীক্ষায় বসে রিসার্চ ফেলোশিপ পেতে পারো । রিসার্চ ফেলোশিপ পেলে তুমি প্রতি মাসে সরকারি মোটা টাকা বেতন পাবে এবং কোনো বিষয়ের উপর গবেষণা করার সুযোগ পাবে। গবেষণা করতে করতে তুমি পি এইচ ডি ডিগ্রি লাভ করবে এবং কোনো কলেজে বা ইউনিভার্সিটিতে প্রফেসর হিসেবে চাকরি করবে । তখন তুমি খুব রেলার জীবন অতিবাহিত করবে । তুমি ভাইরাস নিয়ে গবেষণা করার সুযোগ পাবে। তুমি নতুন নতুন ভাইরাসের সন্ধান পাবে এবং ওগুলোকে মারার প্রতিষেধক বানাতে পারবে।
আর রিসার্চ করতে পারলে তুমি করোনা ভাইরাস বানাতে পারবে আবার করোনা ভাইরাসের ঔষধ ও আবিষ্কার করার সুযোগ পাবে । তুমি লোকেদের প্রকৃত ভাগ্য বিধাতা হয়ে উঠতে পারবে । একদিকে তুমি শক্তিশালী ভাইরাস আবিষ্কার করতে পারবে আবার সেই ভাইরাসকে ধ্বংস করার জন্য গবেষণা করে ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারবে । আর এই কাজে তোমাকে ডাক্তারদের মত কাটা ছেরার কাজ করতে হবে না, অপারেশন করতে হবে না, কাউকে ইনজেকশন দিতে হবে না, সেলাই করতে হবে না । শুধু বায়োলজির বিভিন্ন বই পড়তে হবে আর বিভিন্ন কেমিক্যালের সাথে অন্য কেমিক্যাল মিশিয়ে ফানেলে পরীক্ষা করতে হবে । যে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করবে সেটা এয়ার কন্ডিশনের । তুমি খুব আরামে তোমার গবেষণাগারে বসে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে থাকবে । পরীক্ষা করে কি হলো সেটা কাগজে লিখে রাখবে তোমার সিনিয়রদের দেখানোর জন্য । এই কাজের জন্য মোটা বেতন পাবে । ইস্কুলের শিক্ষকদের থেকে অনেক বেশি বেতন পাবে । তোমার জিবন খুব সুখে কাটবে । তুমি লোকেদের ভাগ্য বিধাতা হয়ে উঠবে ।
মনে রাখবে পিওর সাইন্স নিয়ে যারা পড়াশুনো করে তারা বেশি জোর একটা নিউক্লিয়ার বম্ব বানাতে পারে আর এই নিউক্লিয়ার বম্ব মাত্র একটি শহরের সব লোককে ধ্বংস করতে পারে । কিন্তু অংক ছাড়া যারা বায়ো সাইন্স নিয়ে পড়াশুনো করে ভাইরাস বানাতে পারবে সেই ভাইরাসের পরিধি পুরো পৃথিবী । শুধু এক বোতল ভাইরাস সারা পৃথিবীর লোককে ধ্বংস করে দেবে । নিউক্লিয়ার বম্ব মানুষের সাথে সাথে মাটি জল বায়ু গাছ সবকিছু ধ্বংস করবে কিন্তু স্বল্প খরচে নির্মিত এক বোতল ভাইরাস শুধু মানুষ মারবে, বাকি সব থাকবে আর তখন তোমরা বাংলাদেশের লোকেরা সেই জায়গা জমি বাড়িঘর দখল করে নিতে পারবে । Okay