18/07/2025
পোষ্ট সংগৃহীত ❤️
চট্টগ্রামের রাউজানের বিখ্যাত জমিদার বাড়ি ‘রামধন জমিদার বাড়ি’। ‘ডাবুয়া জমিদার বাড়ি’ হিসেবেও এলাকায় পরিচিত।
জমিদার রামধন ধর এই জমিদারিত্ব এবং বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ৮৬ বছর বয়সী রাজকন্যা ছবি ধর জমিদার রামধন ধরের নাতনি। রামধন মারা যাবার পর জমিদারির দায়িত্ব পড়ে ছবি ধরের বাবা কেশব চন্দ্রের ওপর। কেশব চন্দ্র ছিলেন রামধন ধরের পালক সন্তান। ১৯৫৫ সালে জমিদার কেশব চন্দ্র মারা যাবার দুই বছর পর ১৯৫৭ সালে জমিদারি প্রথা বিলুপ্ত হয়ে যায়। জমিদারি প্রথা বিলুপ্তির পর পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে গেছেন। এতে জমিদারির জৌলুশ হারিয়ে যায়।
ছবি ধর বিয়ে করেননি। অর্থাৎ, তিনি এখনও কুমারী। ভাইদের ছেলে-সন্তান নিয়ে এখনও জমিদার বাড়ির একটি অংশে বসবাস করেন। অন্যরা সবাই চলে গেলেও তিনি এখনও বাড়িটি ছেড়ে যাননি।
ছবি ধর জানিয়েছেন, দাদার জমিদারির সম্পত্তি ছাড়াও জমিদার বাবা কেশব চন্দ্রের চট্টগ্রাম শহরে ছিল ৫৪টি বিল্ডিং। যার কিছুই এখন অবশিষ্ট নেই।
একসময় যে জমিদার বাড়িতে শতাধিক লোক কাজ করতো, প্রতিবেলায় ৩০০/৪০০ মানুষের রান্না হতো, অথচ থালা-বাসন ছিল স্বর্ণ-রূপার, এখন সেই বাড়িতে শুধুই অভাব-অনটন। কথিত আছে, বাড়ির অনেক আসবাবপত্রও রূপা ও স্বর্ণের তৈরি ছিল।
ডাবুয়া জগন্নাথ হাট, ডাবুয়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, চিকদাইর পুলিশ ফাঁড়িসহ রাউজান আর আর এসি মডেল হাই স্কুলের প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রয়েছে ছবি ধরদের বংশধরদের।