03/08/2025
কর্পোরেট বিশ্বাসঘাতকতা: টেবিলের হাসির আড়ালের গল্প :
কর্পোরেট বিশ্বাসঘাতকতা শত্রুদের কাছ থেকে আসে না — আসে টেবিলের হাসিমাখা সহকর্মীর কাছ থেকে।"
কর্পোরেট জগৎ মানেই কঠোর পরিশ্রম, লক্ষ্যপূরণ, আর অনিশ্চয়তা। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিপদটা আসে তখন, যখন আপনি মনে করেন — আপনি নিরাপদ। শত্রু তো চিনে রাখা যায়, কিন্তু যারা প্রতিদিন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে, একসাথে চা/কফি ব্রেকে গল্প করে, সফলতায় বাহবা দেয় — তারাই যদি বিশ্বাসঘাতক হয়, তবে সেই আঘাতটাই সবচেয়ে ভয়ঙ্কর।
সবচেয়ে ভয়ংকর আঘাতটা শত্রুর ছোড়া নয় —
ওটা হয়ত তুমি সামলাতে পারো, কারণ তুমি প্রস্তুত থাকো।
কিন্তু যে সহকর্মীর সঙ্গে প্রতিদিন চা খাও, একসঙ্গে হেসে মিটিং রুমে বসো, যার সামনে তুমি নিজের হতাশা পর্যন্ত প্রকাশ করো —
যখন সেই মানুষটাই পেছন থেকে ছুরি মারে, তখন শুধু ক্যারিয়ার নয়, মনটাও থমকে যায়। তবে আত্নবিশ্বাসী দের এতে কোন যায় আসে না।
আসলে কর্পোরেট জগতে প্রতিযোগিতা স্বাভাবিক। কিন্তু মুখে হাসি আর মনে ছুরি— এই দ্বিচারিতা ধ্বংস করে দেয় বিশ্বাস, টিম স্পিরিট আর ন্যায়ের ভিত। সবাই সফল হতে চায় — কিন্তু কেউ কেউ অন্যকে ধাক্কা দিয়ে উপরে উঠতে চায়। আর এই উঠাটা-ই যে একধরনের পতন, তা ধাক্কাদানকারী বুঝতে পারে না।
সে নিজেকে অনেক চালাক মনে করে, তার ধারনাই নাই, যে তার সামনের ব্যক্তি হয়ত তার চেয়েও দ্বিগুন চালাক।
আজকাল প্রেজেন্টেশনের চেয়ে পলিটিকস বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে। পারফরম্যান্স নয়, পারসেপশন দিয়ে ক্যারিয়ার তৈরি হয়। আর সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে সেই ‘বন্ধু’ —যে তোমার ওপর ভরসা করে তোমারই চেয়ারে বসার স্বপ্ন দেখে এবং নিজের অবস্থান কে ভুলে যায়।
তবুও, হতাশ হইও না। প্রত্যেকটা কষ্ট তোমার ভেতর শক্তির একটা নতুন স্তর তৈরি করছে।
আসলে, অন্ধকার যত গভীরই হোক, সূর্য উঠবেই।
সময় সব কিছু দেখে, ন্যায় নিজেই নিজের পথ খুঁজে নেয়।
অতএব, কর্পোরেট দুনিয়ায় চোখ খোলা রাখাটা শুধু বুদ্ধিমানের কাজ নয়, বেঁচে থাকার কৌশল।
সবাইকে বন্ধু ভাববেন না — কারণ প্রতিযোগিতার মুখে বন্ধুত্ব মুখোশ পরে আসে।
বিশ্বাস করুন, কিন্তু হিসেব রেখে। চা/কফি টেবিলের হাসির আড়ালে অনেক গল্প লুকিয়ে থাকে — সব গল্প সুখের হয় না।
মনে রাখবা - একদিন সত্য চুপচাপ হাসবে — তখন অসৎ/ মিথ্যাবাদীরা
মুখ দেখানোর সাহস পাবে না অথবা চলে যাবে পরিচিত জনের চোখের অন্তরালে।
আর এভাবেই অসত্যের ধ্বংস হয়, আর সততা নিজ গতিতে সামনে এগিয়ে যায়।