Jhenaidah Somoy ঝিনাইদহ সময়

Jhenaidah Somoy ঝিনাইদহ সময় Online News portal for Jhenaidah.

15/12/2024
আমরাতো প্রায়ই সাকিবকে ক্লাসের মাঝে থেকে কোচ উঠিয়ে নিয়ে যাবার গল্প শুনি। চলুন আমি আপনাদের আরেক ক্রিকেটারের গল্প শুনাই যা ...
19/03/2023

আমরাতো প্রায়ই সাকিবকে ক্লাসের মাঝে থেকে কোচ উঠিয়ে নিয়ে যাবার গল্প শুনি। চলুন আমি আপনাদের আরেক ক্রিকেটারের গল্প শুনাই যা খুবই কম শুনি আমরা।
ঘটনাটা ১৯৯৮ সালের। নির্মান স্কুল ক্রিকেট চলছে। সেখানে অংশ নিবে খুলনা জিলা স্কুলও। ছেলেটা খুলনা জিলা স্কুলের অধিনায়ক। অসাধারণ ব্যাটসম্যান, পাশাপাশি বল হাতেও অসাধারণ দক্ষতা তার। কিন্তু তার যে খেলা হবে না।
কারণ সামনে এসএসসি পরিক্ষা। মা জামিলা খাতুনের কথা সে হবে ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। ক্রিকেট খেলে কি হবে? বড় ছেলেটা মাত্র এক নম্বরের জন্য স্ট্যান্ড করতে পারেনি। তবে খুলনাবাসীর যে দরকার তাকে। কারণ সে দলে খেললেই নাকি দল জিতবে।
এইদিকে পরিক্ষার বাকি দুদিন। এর মধ্যে ঘটে গেলো আরেক ঘটনা। ছেলেটির বাবা মনিরুল ইসলামকে ডেকে পাঠান খুলনার প্রশাসক স্বয়ং। শুনে ভড়কে যান মনিরুল ইসলাম। তিনি নিরীহ মানুষ। কারও সাতে পাঁচে থাকেন না। ভড়কে যাওয়ারই কথা। তাকে জেলা প্রশাসক কেন ডাকবেন? মনে খানিকটা ভয় নিয়ে বিকেল বেলা দেখা করতে যান জেলা প্রশাসকের সাথে। জেলা প্রশাসক খুব খাতির যত্ন করলেন রানার বাবা মনিরুল ইসলামকে। শেষে বললেন, “ভাই, আপনার কাছে আমার একটা আবদার আছে। আপনার ছেলেকে আমাদের দেন। আমি জানি, এটা আমার অন্যায় আবদার। কিন্তু সারা খুলনাবাসী ওকে চায়। দরকার হলে আমার নিজের গাড়ি ওকে স্টেডিয়ামে নিয়ে যাবে। আবার বাড়িতে নিয়ে যাবে।”
মনিরুল ইসলাম ফেরার পথে ব্যাপারটা ভাবলেন। স্ত্রীকে জানালেন না কিছুই। রাতের বেলা পড়ার টেবিলে গিয়ে ফিসফাস করে রানাকে বললেন জেলা প্রশাসকের কথাটা। ছেলেটিও যেতে সম্মত হলো।
পরের দিন সকাল সাতটায় রানার বাসার সামনে জেলা প্রশাসকের গাড়ি হাজির। রানাকে নিয়ে চলে গেলো কুষ্টিয়াতে। সেদিন ছেলেটি বল হাতে নিলেন ৪ উইকেট আর ব্যাট হাতে করলেন ৬৬ রান। তবুও মা জামিলা খাতুনের মন ভরে না। স্বামীকে সোজা জানিয়ে দিলেন, তার সব ছেলেকে তিনি পরীক্ষার হলে নিয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু তিনি তাকে নিয়ে যাবেন না। অভিমান করেছেন তিনি। না বলে কুষ্টিয়াতে খেলতে পাঠানোর জন্য।
মনিরুল ইসলাম যেন তার ছেলেকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে যায়। বাবা মনিরুল ইসলাম পড়লেন মহাবিপদে। ছেলেটিও তার বাবাকে বলে, বাবা তুমি দেখে নিও আমি স্টার মার্ক পাবই ইনশাআল্লাহ। শুনে বাবার মন ঠাণ্ডা হয়। মনিরুল ইসলাম সুযোগ বুঝে এই কথাটা বলেন রাগ করে বসে থাকা মা জামিলা খাতুনকে। এই কথা শুনে জামিলা খাতুন আরো রেগে যান। বলেন, "হ স্টার মার্কস তো গাছের পাতা, তোমরা বাপে-ছাওয়ালে ঝাড়া দিবা আর ঝুরঝুর কইরে পড়বে।”
এসএসসি পরীক্ষার ফল বেরোয়। রাগ করে জামিলা খাতুন রেজাল্ট আনতে যাননি স্কুলে। বিকেলে বাধ্য হয়ে রেজাল্ট আনতে মনিরুল ইসলাম নিজেই যান স্কুলে। মনিরুল ইসলামকে দেখে স্কুলের সবাই ছুটে আসেন। ছেলেটি ছয়টি লেটারসহ স্টার মার্কস পেয়েছে।
গল্পটি আর কারও নয়, বাংলাদেশের একসময়ের সেরা অলরাউন্ডার মাঞ্জারুল ইসলাম রানা ভাইয়ের।
সূত্র: মাঞ্জারুল ইসলাম রানা, জার্সি নম্বর ৯৬ (স্বপ্নীল চৌধুরী)
আজ থেকে ১৬ বছর আগে একটি দুর্ঘটনায় তিনি পরপারে চলে যান। ভালো থাকবেন মাঞ্জারুল ইসলাম রানা।
©

Address

Jhenida
7300

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jhenaidah Somoy ঝিনাইদহ সময় posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jhenaidah Somoy ঝিনাইদহ সময়:

Share