অল্প অল্প প্রেমের গল্প

অল্প অল্প প্রেমের গল্প “জীবনে এমন একটা সম্পর্ক করা উচিৎ। যার সাথে সকল কিছু শেয়ার করা যায়, রাগ করা যায়, অভিমান করা যায়, ঝগড়া করা যায়। কিন্তু তাকে কখনোই ভুলে থাকা যায় না।”

চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ, চিন্তিত ভারত
18/11/2024

চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তানি জাহাজ, চিন্তিত ভারত

21/09/2024

একটা মেসের সদস্য সংখ্যা ৩০ । শৃঙ্খলার স্বার্থে একজনকে ম্যানেজার বানানো হবে, বানানো হবে বললে আসলে ভুল হবে উনি নিজেই ম্যানেজারের পদ সিস্টেমে দখলে নিলেন । পদটা তো আর মাগনা না, বেতন আছে, আলাদা রুম আছে, সাথে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ☺️

মাসে মাসে সবাই যে টাকা পয়সা দেয়, সেই অনুপাতে বাজার সদাই করা হয়, ইন্টারনেট বিল , বিদ্যুৎ বিল,বাবুর্চি বিল প্রভৃতি দেয়া হয়। এই ফাকে ম্যানেজার মেসের কিছু সদস্যদের এক্সট্রা কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়ে সে তার অনুসারী করে চ্যালা, চামুণ্ডা, চাটার গুষ্টি তৈরি করে নেয়, যাদের কাজ হচ্ছে ম্যানেজার যাই করে তাতে সহমত বলা ও সকল কাজে সাপোর্ট দেয়া সেটা ন্যায় অন্যায় যাই হোক🥴

ওমা কিছু দিন পর দেখি ম্যানেজার বলা শুরু করছে, আমি তোমাদের খাওয়াই, দাওয়াই। বেশী তেরি বেরি করলে খাওন বন্ধ করে দিবো, বিদ্যুৎ, পানি বন্ধ করে দিবো। যাই হোক শেষ মেশ বিক্ষুব্ধ মেসের সদস্যদের দৌড়ানি খেয়ে ম্যানেজার হোস্টেল ছেড়েই পালালো😁

সবাই মিলে শলাপরামর্শ করে নতুন একজন তত্ত্বাবধায়ক নিয়োগ দিলেন। নতুন তত্ত্বাবধায়ক হোস্টেলের সদস্যদের জন্য বাজার করতে গিয়ে দেখে, দোকানদারের কাছে আগের ম্যানেজারের লাখ লাখ টাকা বাকী। তারা নতুন করে সদাই দিবেন না। পরদিন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন আসলো হোস্টেলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেওয়ার জন্য। বিদ্যুতের লোকজন জানালো, আগের বিল সব বকেয়া। সেসব শোধ না করলে বিদ্যুৎ মিলবে না😐

হোস্টেলের সদস্যরা এখন খেয়ে না খেয়ে আধা পেটে অন্ধকার জীবন যাপন করছেন। ওদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার থেকে সাবেক সুদানি ম্যানেজারের চ্যালা, চামুণ্ডা, চাটার গুষ্টি এই বলে হুঁক্কা হুয়ো ডাক তুলছে👉👇

"আগেই ভালো ছিলাম, বলছিলাম না, উনার কোনও বিকল্প নাই"🥴

👉কালেক্টেড☺️

09/06/2024

সময়ের দাবি সকল প্রকার কোটা বাতিল চাই।

09/06/2024

মুক্তিযুদ্ধা কোটা ভারতের মানুষের ও দেওয়া দরকার তার কারণ আমাদের দেশ স্বাধীন করার জন্য তাদের অনেক অবদান আছে। তারা আমাদের পূর্ব বাংলার মানুষের আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিকদের ও অনেক অবদান আছে।

12/05/2024

তুমি তো বিসিএস ক্যাডার পাত্র চেয়েছিলে।
হুম!
আজ আমি বিসিএস ক্যাডার। আজ তোমার আপত্তি কিসের?
জানি না!
তখন আমার ক্যারিয়ার ছিলো না বলে ব্রেকআপ করেছিলে। তোমার বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছিলে। তাহলে বিয়ে করো নি কেন?
তোমার কাছে জবাবদিহি করতে আমি বাধ্য নই।
জবাবদিহি করতে হবে না। আমাকে কেন গ্রহণ করবে না সেটা বলো।
সেটাও বলতে আমি বাধ্য নই।
- অবশ্যই তুমি এটা বলতে বাধ্য। তখন আমাকে রিজেক্ট করার কারণ বলেছিলে। কারণ শুনে আমি চুপ হয়ে গিয়েছিলাম। আজও উপযুক্ত কারণ বলতে হবে।
তখন ব্রেকআপ করার পরও আজ আবার কেন এসেছো আমার কাছে? আমাকে ছোটো করার জন্য?
তোমাকে ছোটো করবো কেন?
সেদিন তোমার ক্যারিয়ার এর জন্য ব্রেকআপ করেছিলাম। আজ তুমি ভালো ক্যারিয়ার নিয়ে আমাকে বিয়ে করতে চাওয়া মানেই আমাকে অপমান করা। ইনডিরেক্টলি আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে আমি স্বার্থপর।
তুমি স্বার্থপর কি না আমি জানি না। তবে আমি স্বার্থপর। আমি ভালো থাকতে চাই। আমার ভালো থাকার জন্য তোমাকে প্রয়োজন। তাই আবার তোমার কাছে এসেছি।
আমি দুঃখিত। আজও তোমাকে ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে।
কারণটা তো বলবে?
তোমাকে আমার পছন্দ না।
পছন্দ না মানে? কোন দিক দিয়ে?
আমার ফর্সা ছেলে পছন্দ। তুমি কালো।
এই কালো ছেলেটার হাত ধরেই চারটি বছর ভালো ছিলে।
এখন ভালো থাকতে পারবো না। আমি বিজি। উঠলাম। ভালো থেকো।

রেস্টুরেন্ট এ বসা নেহালকে পেছনে ফেলে হাঁটতে শুরু করে নিসা। পেছনে ফিরে তাকায় না, পাছে নেহাল ওর অশ্রু দেখে ফেলে।
রিক্সায় বসে কল দেয় বান্ধবি শোভাকে।
কোথায় তুই?
অফিসে।
একবার দেখা করতে পারবি?
অফিস শেষে দেখা করছি।
না, এখনই।
কি হয়েছে? তুই কি কান্না করছিস? কণ্ঠ এমন শোনাচ্ছে কেন?

চুপ করে আছিস কেন? বল কি হয়েছে।
প্লিজ এখনই দেখা কর।
আচ্ছা আমি ম্যানেজ করে আসছি। কোথায় আসবো বল।
পার্কে আয়।

কিছুক্ষণ পর.....

কি হয়েছে নিসা? ফোনে কান্না করছিলি কেন? চোখ মুখ ফোলা কেন?
(হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে নিসা)
আরে বাবা এত কান্না করলে শুনবো কিভাবে? এই নে পানি খা। তারপর বল কি হয়েছে।
নেহাল দেখা করতে বলছিলো ক'দিন ধরে। আজ দেখা করলাম।
বলিস কি? এতদিন পর? কি বললো নেহাল ভাই?
বিয়ে করতে চায় আমাকে।
তুই ব্রেকআপ করার পরও বিয়ে করতে চায়? শুনেছি উনি নাকি এখন বিসিএস ক্যাডার?
ঠিক শুনেছিস।
তাহলে তো খুব ভালো। তুই কি বলেছিস?
আমি কি বলতে পারি তুই বল? পাঁচ বছর আগে যে ছেলেটার সাথে তার ক্যারিয়ার এর জন্য ব্রেকআপ করেছি, বাবার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে রাজি হয়েছি, আজ কোন মুখে তার বউ হওয়ার আশা করবো?
কিন্তু তুই তো বিয়ে করিস নি। তুই তো নেহাল ভাইকেই ভালোবাসতি।
সেটা আমি জানি, তুই জানিস, নেহাল তো জানে না।
- তুই ওনাকে বুঝিয়ে বল।
কোনো লাভ নেই। ওকে আমি যতই বোঝাই না কেন, ও ভাববে আমি ওর ক্যারিয়ারের জন্যই ওকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছি। এমনও তো হতে পারে ও প্রতিশোধ নিতে চায়। হতে পারে ও মজা নিচ্ছে। আমি হ্যাঁ বললেই অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়বে।
তুই সবসময় নেগেটিভ ভাবিস কেন বলতো?
আমি যা করেছি তারপর পজিটিভ ভাববো কিভাবে?
তাহলে কেন করেছিলি?
আর কি করতাম আমি বল? বাবা-মাকে খুব ভালোবাসতাম। বাবাকে কষ্ট দিয়ে যদি নেহালকে বিয়ে করতাম তাহলে নিজেকে ক্ষমা করতে পারতাম না। বাবার কষ্টভরা মুখটা যখনই সামনে ভেসে উঠতো নেহালের ভালোবাসা খুব তুচ্ছ মনে হতো। বেকার নেহালকে বাবা তখন কিছুতেই মেনে নেন নি। যে বাবা-মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন, লেখাপড়া শিখিয়েছেন, এত বছর ধরে আদর-যত্ন-ভালোবাসা দিয়ে বড়ো করেছেন, নেহালের সাথে চার বছরের সম্পর্কের জন্য আমি চব্বিশ বছরের ভালোবাসা ভুলে যেতাম? কষ্ট দিতাম ওনাদের? কি গ্যারান্টি যে ওনাদের কষ্ট দিয়ে আমি সুখী হতাম? বাবা-মাকে কষ্ট দিয়ে কোনও সন্তান সুখী হতে পারে?
তাহলে বিয়েটা করিস নি কেন? আঙ্কেল তোর জন্য বিসিএস ক্যাডার পাত্র আনলেন। বিয়েও ঠিক হলো। পরে বিয়েটা করলি না।
নেহালকে যে বড্ড ভালোবাসতাম। একজনকে মনে বসিয়ে রেখে আরেকজনের সাথে কিভাবে সংসার করতাম? তাকে যে ঠকানো হতো। প্রথমে বাবাকে খুশি করার জন্য বিয়েতে রাজি হলেও পরে এসব গভীরভাবে ভেবেছিলাম। যতদিন নেহাল আমার মনের মধ্যে থাকবে ততদিন যত ভালো ছেলেই হোক না কেন, আমি তাকে ভালোবাসতে পারবো না। আর ভালোবাসা ছাড়া কারো সাথে সংসার করা মানে তার সাথে অভিনয় করা, তাকে ঠকানো। কেন তাকে আমি ঠকাবো? সে তো কোনো দোষ করে নি। তাই তো পরে বিয়েটা ভেঙে দিলাম। কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গিয়েছিলো। নেহালের ক্যারিয়ারের জন্য ব্রেকআপ করে ওর কাছে ফিরে যাওয়ার রাস্তা আমি নিজেই বন্ধ করেছিলাম। পারি নি ওকে বলতে যে ওকেই আমি ভালোবাসি।
তাহলে আজ কেন নেহাল ভাইকে ফিরিয়ে দিলি?
আজ ওকে গ্রহণ করলে আমি নিজের কাছে ছোটো হয়ে যাবো। এতদিন যেমন ওকে একা ভালোবেসেছি, পরের সময়টুকুও নাহয় একাই ভালোবেসে যাবো। সব সম্পর্ক সম্পূর্ণ হতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।

কিন্তু আমার যে পূর্ণ সম্পর্ক চাই(পেছন থেকে বলে উঠলো নেহাল)
- তুমি? এখানে কি করছো? কখন এসেছো? তুমি কিভাবে জানলে আমি এখানে আসবো? তুমি আমাকে ফলো করছিলে?
- ভার্সিটিতে যখন ছিলাম তখন থেকেই তো তোমাকে ফলো করি। এ আর নতুন কি?
- তু....তুমি কখন থেকে আমাদের কথা শুনছো?
- যে মেয়ে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সবসময় কথা বলতো, আজ সে আমাকে কালো বলে ফিরিয়ে দিচ্ছে, এটা কি বিশ্বাস করার মতো কথা?
মানে?
- তুমি কি জানো আমি গত পাঁচ বছর ধরেই তোমাকে ফলো করছি?
মানে কি?
যখন শুনেছিলাম তুমি বিয়ে ভেঙে দিয়েছো তখনই বুঝেছিলাম কিছু একটা ব্যাপার আছে। তখন তোমার সেই হবু বরের সাথে দেখা করি। উনিই আমাকে বলেন যে তুমি কাউকে ভালোবাসো। তাই ওনাকে বিয়ে করতে চাও না। আমি ছাড়া আর কেই বা ছিলো যাকে তুমি ভালোবাসতে। তখনই ঠিক করি, আগে ক্যারিয়ার, তারপর বিয়ে। তোমার সাথে যোগাযোগ করি নি কারণ নিজেকে যোগ্য বানাতে চেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম আগে ক্যারিয়ার গড়ি, তারপর তুমি কপালে থাকলে আমার হবে। এই পাঁচ বছরে তোমার প্রতিটি স্টেপের খবর রেখেছি আমি। কখন কোন বাড়িতে টিউশনে যেতে, কোন ছেলে তোমাকে প্রপোজ করতো, কোন ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ের জন্য তোমাদের বাড়িতে গিয়েছে সবই আমি জানি। সবগুলো বিয়ের প্রপোজাল তুমি ফিরিয়ে দিয়েছো সেটাও আমি জানি।
সব জানার পরও একবার সামনে আসার প্রয়োজন মনে করলে না? তখন সামনে আসলে কি এখন এই খুশিটা তোমার চোখে দেখতাম?
কিসের খুশি? আমি মোটেও খুশি না। আমি তোমাকে বিয়েও করবো না।
বিয়ে তো তুমি আমাকেই করবে। হয়তো তোমার বাড়িতে কাজি নিয়ে যাবো, নতুবা কাজি অফিসে তোমাকে তুলে নিয়ে যাবো।
আমি গেলে তো? তুমি একটা অসহ্যকর ছেলে।
এই অসহ্যকর ছেলেটার সাথেই সারাজীবন থাকতে হবে ম্যাডাম।
কথাটা বলার সাথে সাথেই নিসা কান্না করতে করতে নিহালের পায়ে লুটিয়ে পড়লো।

নেহাল পরম যত্নে নিসাকে বুকে টেনে নিলো। আর ঠোঁটে ভালোবাসার পরশ দিয়ে বলে তোমার স্থান পায়ে নয়, তোমার স্থান আমার হিয়ার মাঝে,কথাটা শুনে নিসা নিহাল কে আঁকড়ে ধরে আরো জোরে কাঁদতে লাগলো।
তবে এ কান্না আনন্দের, এ কান্না সুখের,এ কান্না প্রিয় মানুষকে কাছে পাওয়ার।

( সমাপ্ত)

#হিয়ার_মাঝে_লুকিয়ে_আছো
#আবির_মাহমুদ (মাহমুদ)
#অণুগল্প

07/05/2024

এক মেয়ে নক দিয়ে বললো, “আচ্ছা ভাইয়া, ফ্রী ফেসবুক ইউজ করলে কি মেসেঞ্জার কলে কথা বলা যায়?”

বললাম, “একচুয়ালি আমি জানি না আপু।”

মেয়েটা বললো, “আমাকে একটা কল দেন তো, পরীক্ষা করে দেখি!”

আমি সাদা মনে তাকে কল দিলাম।

মেয়েটা সেই কলের স্ক্রিনশট নিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে পাঠিয়েছে। কিছুক্ষণ পর তার বয়ফ্রেন্ড নক দিয়ে বললো, “এই আপনি আমার গার্লফ্রেন্ডকে কল দিছেন কেন? আমাদের মধ্যে না হয় একটু ঝগড়া হয়েছে, তাই বলে আপনি এন্ট্রি নিবেন?”

বললাম, “কেন ভাই কি হয়েছে?”

ছেলেটা বললো, “আমার গার্লফ্রেন্ড আপনি কল দিছেন সেই স্ক্রিনশট আমাকে পাঠিয়ে বলতেছে, দেখ ছোটলোক দেখ, কত বড় বড় ব্যক্তিবর্গ আমাকে কল দেয়, তোর মতো ছ্যাচড়ার সাথে কথা না বললে আমার ঠ্যাকা?”

এই ঘটনার পর আমি পায়ের উপর পা তুলে চিত হয়ে শুয়ে আছি। কারণ মেয়েটা বলছে, আমি বড় ব্যক্তিবর্গ! '

কাল থেকে চা বাদ। কফি খাবো!!

( সমাপ্ত)
#অণুগল্প

নিয়মিত গল্প পড়তে পেইজটি ফলো করুন

05/05/2024

" বাড়ি ঘর জায়গা জমি সন্তানদের লিখে দিবেন না । আপনার ঘরে আপনি বসবাস করবেন । দরকার হলে ছেলে মেয়েরা বাড়ি ঘর তৈরি করে 'যৌবনাশ্রমে ' থাকবে " :

পরিণত বয়সে এসে আমাদের অনেকেরই হয়তো কাজেও লাগতে পারে গল্পটি!!!

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!"

আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে।

দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না ।

এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল।

আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন।

একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে।

এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল।

সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে।

বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝলেন সংসারে তাঁর প্রয়োজন ফুরিয়েছে।

নিজের মনকে বললেন-- মন তুই তৈরী থাক।

এরপর থেকে বৌদের নানা আচরণে তাঁর প্রতি বিরূপতা প্রকাশ পেতে থাকল।

একদিন সকালে বড় ছেলে রাগত গলায় বৌকে বলছে--আমার শার্টটা লণ্ড্রী থেকে আনা হয়নি?

বড় বৌ বললো-- না যাবার সময় হয়নি।

বড় ছেলে -বাবা একটু আনতে পারল না? সারাদিন তো বসেই থাকে।

আব্দুর রহমান সাহেবের কানে গেলে ভাবলেন-- যুগধর্ম!

এরপর একদিন এক ছুটির দিনে সকালে ব্রেকফাস্ট টেবিলে এসে দেখলেন--সবাই আগে ভাগেই উপস্থিত।

জয়নব প্লেটে গরম লুচি, আলু ভাজি আর সন্দেশ পরিবেশন করছে।

বড় ছেলে বলল --বাবা একটা কথা ছিল।

আব্দুর রহমান সাহেব বুঝলেন এরা সকলে কিছু প্ল্যান করেছে। বললেন, বল।

বড় ছেলে বললো, জানো বাবা কাল অফিসের কাজে গাজীপুর গিয়েছিলাম। কাজের ফাঁকে সময় পেয়ে ওখানকার দর্শনীয় জায়গা গুলো দেখতে বেড়িয়েছিলাম। দেখলাম নদীর ধারে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে একটা সুন্দর বৃদ্ধাশ্রম চালু হয়েছে। দেখেই ভাবলাম তুমি ওখানে মনোরম পরিবেশে শেষ জীবনটা থাকতে পারো। আমরা যাব আসব। কিরে ভাই কি বলিস?

ছোট ছেলে বলল, বেশ ভালো হবে।

আব্দুর রহমান সাহেব হেসে বললেন--সব তো শুনলাম। কিন্তু বাবারা তোমরা যেমন আমার জন্য ভাবো, আমিও তোমাদের জন্য ভাবি। তাই আমারও একটা প্রস্তাব আছে তোমাদের জন্য। তোমরাই বরং যুতসই এবং মনোরম পরিবেশের একটা যৌবনাশ্রমের খোঁজ করে নিয়ে সেখানে গিয়ে থাকোনা কেন। বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল। জয়নব মাকে নিয়ে আমরা বাপ বেটিতে বেশ ভালই থাকব। তোমরাও আসবে যাবে।

এই ভাবে তিনি এক ছক্কায় বাজীমাত করে দিলেন। জয়নবকে বললেন--জয়নব মা, লুচিগুলো ঠাণ্ডা হয়ে গেল। গরম গরম নিয়ে আয় তো।

ছেলেরা আর ছেলেদের বৌয়েরা রীতিমতো হতভম্ব হয়ে গেল, বাকরুদ্ধ হয়ে বসে রইলো.....!!

দিন কাল পালটাচ্ছে। তাই যোগ্য জবাব দেবার জন্য তৈরী থাকা উচিৎ ........

তা নাহলে ভবিষ্যতে বড় বিপদে পড়তে হতে পারে।
___সংগৃহীত

04/05/2024

আজ দীর্ঘ ৩টা বছর পর প্রিয় মানুষটাকে দেখলাম। বাচ্চা কোলে নিয়ে দাড়িয়ে আছে ডাক্তারের চেম্বারের সামনে। প্রচন্ড ঘামতেছে আর অস্থির হয়ে এ্যাটেন্ডেন্সকে বলতেছে একটু তাড়াতাড়ি করেন।

৩ বছর পর দেখে একটু থমকেই গিয়েছিলাম আর এমন জায়গায় দেখা হবে কল্পনাও করতে পারি নাই। ওর অস্থিরতা দেখে আর থাকতে পারলাম না দ্রুত উঠে গিয়ে তার দিকে যেতে লাগলাম পরক্ষণেই মনে পরলো সে চিনে ফেলবে তো আমায়।

তাই দ্রুত পকেট থেকে মাস্ক বের করে পরে নিলাম৷

কাছে গিয়ে বলবো আসুন আমার সাথে আমি চেম্বারে ঢুকিয়ে দিচ্ছি বাট ওর পাশে যাওয়ার সাথে সাথে শরীরের স'ম'স্ত শ'ক্তি শেষ হয়ে গেলো। আর পারছিলাম না দাড়ায় থাকতে।

তখন সৃতি(আমার অতীত) বলতেছে কি হয়েছে আপনার? কিছু বলবেন? ওর ভয়েস এতদিন পর শুনার পর পা'গ'ল হয়ে যাচ্ছিলাম মনে হচ্ছিলো চিৎ'কা'র দিয়ে বলি আমি তোমাকে

এখনো ভালোবাসি কিন্ত সেটা তো সম্ভব না।

এরপর দ্রুত নিজেকে সামলে নিয়ে চেম্বারে ঢুকাচ্ছি তখনি ওর জামাই চলে আসলো।

সত্যিই তো ওর জামাই অনেক সুন্দর আর যাই হোক আমার থেকে শত কোটি গুন সুন্দর🥰।

এরপর ওদের চেম্বারে তখনি ঢুকিয়ে দিলাম কারন ডাক্তার ছিলেন আমার দুলাভাই তাই সিরিয়াল ছাড়াই ঢুকিয়ে দিলাম।
নিয়মিত মজার সব গল্প পড়তে পে ইজটি ফ লো দিয়ে রাখুন।

আর আমি বাইরে বসে অপেক্ষা করতে লাগলাম৷ কিছুক্ষণ পর বের হলো বের হয়ে সৃতি বলতেছে অনেক ধন্যবাদ আপনি না থাকলে আজকে অনেক দেরী হয়ে যেতো।

তারপর চলে গেলো। আমিও একটা রিক্সায় করে বাসায় চলে আসলাম অ'ঝো'রে কা'ন্না শুরু করলাম রুম আ'ট'কি'য়ে। হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন আসলো চেক করতে গিয়ে দেখি ৩ বছর আগে বন্ধ হওয়া আইডির সবুজবাতি জ্ব'লে'ছে একটা ছোট্ট ম্যাসেজ

" কি মনে করেছো মাস্ক পড়লে চিনতে পারবো না?😢💔

04/05/2024

এতো অনিশ্চয়তা!
দুশ্চিন্তা আর হতাশা দিয়ে জীবন কেটে যাচ্ছে। হয়তো এক রুপকথার গল্পের মতো বদলে যাবো এ জীবন শেষে!🥹❤️‍🩹

04/05/2024

মানসিক শান্তির জন্য আল্লাহর সেজদায় পড়ুন! ❤

ভালোবাসার মানুষ আপনাকে মানসিক শান্তি দিবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারনা! পৃথিবীতে আজ পর্যন্ত কোনো মানুষ-ই অন্য মানুষকে পরিপূর্ণ মানসিক শান্তি দিতে পারেনি!

"প্রতিটা ভালোবাসাই একদিন আপনাকে আঘাত করবে, শুধুমাত্র আল্লাহর ভালোবাসা ব্যতীত!" 🌸❤

-নোমান আলী খান

Address

Jhenida

Telephone

+8801987211763

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অল্প অল্প প্রেমের গল্প posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অল্প অল্প প্রেমের গল্প:

Share