10/07/2025
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বাংলাদেশের দুর্ভাগ্য!
রেজাউল করিম
========================================
একটু গভীরভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাবেন—বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো কোন যোগ্য গভর্নরের দেখা মেলেনি যিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়ে বড় কোন পরিবর্তন,Remarkable Development দেখাতে পেরেছেন যা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় ‘Impactful Contribution’ বা অর্থনীতিতে প্রভাববিস্তার করতে পেরেছে। তবে এতো কিছুর পরেও জুলাই অভ্যূত্থানের পরে হতভাগ্য সাধারণ জনগণ আশায় বুক বেঁধেছিল যে —এইবারে অন্তত একজন যোগ্য ব্যক্তি গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কিন্তু তা না হয়ে হলো উল্টোটা। কর্মচারীরা মনে করেছিলেন ডেপুটি গভর্নরদের মধ্যে থেকে কেউ দায়িত্ব নিলে অথবা Bangladesh financial intelligence unit (BFIU)-এর প্রধান কর্মকর্তার জায়গায়টিতে কোন যোগ্য ব্যক্তি অধিষ্ঠিত হলে হয়ত সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা হয়নি বরং এর চরম দুর্নীতি বরং বেড়েছে কারণ গভর্নর থেকে শুরু করে প্রতিটা রন্ধ্রে রন্দ্রে দুর্নীতির কলাকৌশল গুলো অত্যন্ত অভিনব।
অতি নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে জানতে পেরেছি—টাকার লেয়ারিং -এ জড়িত থাকে বিভিন্ন বড় বড় কোম্পানিগুলো, বিশেষ করে এস আলম গ্রুপ, নাবিল গ্রুপ এই ধরনের কাজগুলো করে থাকে; যেমন: একবার এস আলম গ্রুপ থেকে সিঙ্গেল চেক দিয়ে ব্রাঞ্চ থেকে ৫০০ কোটি টাকা উইতড্র করে নিয়েছিল যা অনেকটা অসম্ভব ব্যাপার। যে ব্রাঞ্চ থেকে টাকা নেয়া হয়েছিলো তার ভোল্ট লিমিট ম্যাক্সিমাম ৫ কোটি টাকা বা তার কিছু কমবেশি হতে পারে। যে ব্যাংকের ভোল্ট লিমিট ৫ কোটি টাকা থাকার কথা, সেখানে বাস্তবে কিন্তু সর্বোচ্চ ৩ কোটি টাকা থাকতে পারে। আবার ঈদের সময় সর্বোচ্চ সাড়ে তিন থেকে চার কোটি টাকাও থাকতে পারে। তাহলে প্রশ্ন আসতে পারে ৫০০ কোটি টাকা ক্যাশমোড নিয়ে কিভাবে তা আবার উইথড্রো করতে পারে? এই প্রশ্নের মুখোমুখি হলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট অফ হয়ে যায়।
এখন জানুন, প্রকৃত পক্ষে কি ঘটনা ঘটছে—
প্রতারকচক্রের কারসাজিতে বিভিন্ন ভাউচার ডিপোজিটে বিভিন্ন ফ্রাকশন ফিগার ব্যবহার করে পুরো এমাউন্ট অনেকগুলো চেক দিয়ে অনেকগুলো ব্রাঞ্চ এ পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু সেই উইথড্রলকৃত ৫০০ কোটি টাকার সাথে ঐ চেকগুলোর কোন সম্পর্ক থাকে না। প্রতারকচক্রের সহায়তায় কমপক্ষে ১১৯ থেকে ১