জীবন সঙ্গী

জীবন সঙ্গী ‘‘তারা তোমাদের পোশাক এবং তোমরা তাদের পোশাক।’’
,,,
(সুরা আল-বাকারা,১৮৭)

স্ত্রী সহবাসের দো‌আ,,,,👇পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ 🥰
26/08/2025

স্ত্রী সহবাসের দো‌আ,,,,👇

পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ 🥰

সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,,
21/08/2025

সুবাহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,,

👉 কিয়ামতের আলামত Done ✅😥
20/08/2025

👉 কিয়ামতের আলামত Done ✅😥

জাহান্নামের যাক্কুম গাছ,, 😥😥😥 জীবন সঙ্গী
20/08/2025

জাহান্নামের যাক্কুম গাছ,, 😥😥😥

জীবন সঙ্গী

أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ“নাকি আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষদেরকে যা দান করেছেন সে...
17/08/2025

أَمْ يَحْسُدُونَ النَّاسَ عَلَىٰ مَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ

“নাকি আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে মানুষদেরকে যা দান করেছেন সে বিষয়ে তারা তাদেরকে হিংসা করে।” (৪-সূরা আন নিসা: আয়াত-৫৪)

হিংসা এমন এক ব্যাধি যা শুধুমাত্র মনেরই নয় দেহেরও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। বলা হয় যে, হিংসুক লোকের কোন বিশ্রাম (ঘুম) নেই ও সে বন্ধুর লেবাসে একজন শক্র । হিংসারোগ সম্বন্ধে ঠিকই বলা হয় যে, এটা কম পক্ষে একটা ভয়; কেননা, এটা হিংসুককেই প্রথমে হত্যা করে (অর্থাৎ হিংসা হিংসুককে তিলে তিলে ধ্বংস করে। -অনুবাদক) আমি আমাকে ও আপনাকে উভয়কেই হিংসা করতে নিষেধ করছি; কেননা অন্যদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করার পূর্বে আমাদেরকে অবশ্যই প্রথমে নিজেদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করতে হবে। অন্যের প্রতি হিংসা করে আমাদের রক্তে মাংসে গড়া দেহখানাকে দুর্দশাগ্রস্ত করছি ও আমাদের গভীর ঘুমকে নষ্ট করছি। হিংসুক ব্যক্তি (যেন) আগুন জ্বালিয়ে সে আগুনে নিজেই বাপ দেয়। হিংসা দুঃখ-বেদনা ও ভোগান্তি এনে এক সময়ের শান্তিপূর্ণ ও পূর্ণময় জীবনকে ধ্বংস সাধন করে।

হিংসুক ব্যক্তির অভিশাপ এই যে, সে ভাগ্যকে অস্বীকার করে এবং তার সষ্টাকে অবিবেচক মনে করে।

হিংসা কোন রোগের মতো? এটাতো অন্যান্য রোগের মতো নয়। হিংসুক ব্যক্তি এ রোগের কারণে পরকালে কোন পুরস্কার পাবে না। (অথচ অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা তাদের রোগ ভোগ ও তাতে ধৈর্য ধরার কারণে পরকালে পুরস্কার পাবে। -অনুবাদক)

হিংসুক ব্যক্তি তার মৃত্যুর দিন পর্যন্ত বা অন্যদের সৌভাগ্য তাদের থেকে বিদায় না নেয়া পর্যন্ত প্রচণ্ড ক্রোধে জ্বলে পুড়ে শেষ হতে থাকবে। হিংসুক ব্যক্তি ছাড়া সকলের সাথেই মীমাংসা করা সম্ভব। কেননা, তার সাথে মীমাংসার জন্য যা প্রয়োজন তা হলো- আপনি আপনার থেকে আল্লাহর সব কল্যাণ ও করুণা দূর করবেন বা আপনার সকল প্রতিভা ও সদগুণ পরিত্যাগ করবেন। যদি আপনি এরূপ করেন তবে হয়তোবা সে সুখী হবে। আল্লাহর নিকট আমরা হিংসুকের ক্ষতি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করি। হিংসুক এমন এক বিষধর কালো সাপের মতো হয়ে যায়- যে সাপ একটি নির্দোষ দেহে এর বিষ ঢেলে না দেয়া পর্যন্ত কোন বিশ্রাম পায় না।

সুতরাং হিংসা থেকে বহু দূরে থাকুন এবং হিংসুক লোক থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন। কেননা, সে সর্বদা আপনাকে সতর্কভাবে লক্ষ্য করছে।

🙏 পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ 🥰

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًاঅবশ্যই দুঃখের সাথে সুখ আছে।” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহ: আয়াত ৬)আহার করার পর পুনরায় ক্ষুধা লাগে, ...
16/08/2025

إِنَّ مَعَ الْعُسْرِ يُسْرًا

অবশ্যই দুঃখের সাথে সুখ আছে।” (৯৪-সূরা আল ইনশিরাহ: আয়াত ৬)

আহার করার পর পুনরায় ক্ষুধা লাগে, পান করার পর পুনরায় পিপাসা জাগে। অস্থিরতার পর ঘুম আসে। অসুস্থতার পর সুস্থতা আসে, পথ হারার পর পথ খুঁজে পাবে আর রাতের পর দিন আসবে এটাই নিয়ম।

"সম্ভবত আল্লাহ বিজয় ঘটাবেন অথবা তার ইচ্ছানুযায়ী কোন সিদ্ধান্ত নিবেন।" (সূরা-৫ মায়িদা: আয়াত-৫২)

অন্ধকার রাত্রিতে এক আলোকিত সুপ্রভাতের আগমনের সংবাদ জানাও, যে প্রভাতের আলো পাহাড় ও উপত্যকাসমূহে ছড়িয়ে পড়বে। দুঃখ-পীড়িতদেরকে এমন ত্বরিত প্রশান্তির শুভসংবাদ দাও যা নাকি তাদের কাছে আলোর গতিতে বা একপলকে পৌঁছে যাবে, যদিও বা আপনি মরুভূমিকে মাইলকে মাইল বিস্তৃত দেখছেন, তবুও জেনে রাখুন যে, এই দূরত্বের পরেও পর্যাপ্ত পরিমাণ ছায়াঘেরা অনেক সবুজ অবারিত মাঠ রয়েছে।

আপনি যদি দেখেন যে, রশি শুধু কষছে আর কষছেই তবে জেনে রাখুন যে, এটা অচিরেই পটু করে ছিড়ে যাবে। কান্নার পর হাসি, ভয়ের পর সান্ত্বনা এবং উদ্বিগ্নতার পর প্রশান্তি আসে। যখন ইব্রাহীম (আঃ)-কে আগুনে ফেলা হল তখন তার প্রভুর সাহায্য পাওয়ার কারণে তিনি আগুনের তাপ অনুভব করেননি।

قُلْنَا يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلَامًا عَلَىٰ إِبْرَاهِيمَ

“আমি (আল্লাহ) বললাম: হে আগুন! তুমি ইব্রাহীমের জন্য শীতলতা প্রদানকারী ও নিরাপত্তা দানকারী হয়ে যাও।” (২১-সূরা আল আম্বিয়া: আয়াত-৬৯)

সাগরতো মূসা (আঃ)-কে ডুবাতে পারেনি; কেননা, তিনি অত্যন্ত আত্মপ্রত্যয়ী দৃঢ় ও সৎভাবে বলেছিলেন-

كَلَّا إِنَّ مَعِيَ رَبِّي سَيَهْدِينِ

“কখনও নয়; নিশ্চয় আমার সাথে আমার প্রভু আছেন, তিনি আমাকে পথ দেখাবেন।” (২৬-সূরা আশ শোয়ারা: আয়াত-৬২)

নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর (রাঃ)-কে গুহাতে বলেছিলেন যে, আল্লাহ তাদের সাথে আছেন, তারপর তাদের উপর শান্তি ও প্রশান্তি অবতীর্ণ হয়েছিল।

যারা দুর্দিনের শিকার তারাতো শুধু দুর্দশা ও দুর্ভাগ্যই দেখে। এর কারণ এই যে, তারা কেবল ঘরের দেয়াল ও দরজাই দেখতে পায়, যখন নাকি তাদের সামনে যে বাধার প্রাচীরসমূহ আছে সেগুলোর বাইরে তাদের তাকানো উচিত।

অতএব, হতাশ হবেন না; অবস্থা একই রকম থাকা অসম্ভব। দিনগুলো ও বছরগুলো পালা করে ঘুরে ঘুরে আসে, ভবিষ্যৎ অদৃশ্য আর প্রতিদিনই আল্লাহ্ তায়ালার কিছু কাজ করার থাকে। আপনি তো এটা জানেন না, তবে এমনটা হতে পারে যে, আল্লাহ তায়ালা পরবর্তীতে নতুন কিছু আনবেন। আর অবশ্যই, কষ্টের সাথে আরাম আছে।

🙏 পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন ইনশাআল্লাহ।🥰

💝💖❤️💞
16/08/2025

💝💖❤️💞

✅সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য 💝💖💞
16/08/2025

✅সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য 💝💖💞

💔😥
15/08/2025

💔😥

✅ পুত্র পোষার মত জামাই পোষার রেওয়াজও একান্ত নিরুপায় বা শখের ক্ষেত্রে কোন কোন লোকে মেনে থাকে। আর সাধারণতঃ কোন নিরুপায় অথব...
15/08/2025

✅ পুত্র পোষার মত জামাই পোষার রেওয়াজও একান্ত নিরুপায় বা শখের ক্ষেত্রে কোন কোন লোকে মেনে থাকে। আর সাধারণতঃ কোন নিরুপায় অথবা আদরলোভী যুবকই ঘর-জামাই গিয়ে থাকে। অবশ্য ইসলামের নীতি হল, স্বামী তার স্ত্রী নিজের কাছে রাখবে। অর্থাৎ স্ত্রীর ভরণ-পোষণ ও বাসস্থানের দায়িত্ব স্বামীর উপর।[1]

❎ এর বিপরীত হলে সাধারণতঃ ফলও বিপরীত হয়। অর্থাৎ দ্বীনদারী না থাকলে অথবা কম থাকলে স্ত্রীই স্বামী সেজে বসে। তাছাড়া একজন গরীব লোক যদি ধনীর মেয়ে বিয়ে করে এবং তারই বাসস্থান ও ভরণ-পোষণে স্বামী অনুগৃহীত হয়, তাহলে সে স্ত্রী পায় না বরং পায় একজন শাসক। আর তখন সেই জামাইয়ের অসম্মান, অনাদর ও অশান্তির কথা সীমা অতিক্রম করে যায়। সমাজে ঘর-জামাই প্রসঙ্গে যে সকল প্রবাদ প্রচলিত আছে তা এ কথারই বাস্তবতা প্রমাণ করে।

যেমন বলা হয়, ‘ঘর-জামায়ের মান নাই।’

‘ঘর-জামাইরাই বদ হয়।’

‘ঘর-জামাই উড়নচন্ডেই হয়। কারণ, ধন-মাল তার নিজের কামাই নয় তো।’

‘আহমক নম্বর ছয়,

যে পরের বাড়ি ঘর জামাই রয়।’

‘কালো বামন, কটা শুদ্র, বেঁটে মুসলমান,

ঘর-জামাই পোষ্যপুত্র পাঁচজনাই সমান!’

‘ঘর জামায়ের পোড়ার মুখ,

মরা-বাঁচা সমান সুখ!’

‘বাইরের জামাই নুরুল আলম, ঘরের জামাই নুরো,

ভাত খেয়ে নাও নুরুল আলম, ভাত খেসেরে নুরো!’

‘রুয়ের মুড়ো কাষ্ঠ মুড়ো দাও আমার পাতে,

আড়ের মুড়ো ঘৃত মুড়ো দাও জামায়ের পাতে!’

‘যা ছিল আমানী-পান্তা মায়ে-ঝিয়ে খেনু,

ঘর-জামাই শামুর তরে ধান শুকাতে দিনু!’

সুতরাং এমন সংসারে যে সুখ নেই তা বলাই বাহুল্য।

🙏 পেজটি ফলো করে সাথে থাকবেন, ইনশাআল্লাহ।

✅ মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বাস তার সবভাব-সিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর...
15/08/2025

✅ মানুষ প্রকৃতিগতভাবে সমাজবদ্ধ হয়ে বাস করতে অভ্যস্ত। একাকী বাস তার সবভাব-সিদ্ধ নয়। তাই প্রয়োজন পড়ে সঙ্গিনীর ও কিছু সাথীর; যারা হবে একান্ত আপন। বিবাহ মানুষকে এমন সাথী দান করে।

মানুষ সংসারে সবয়ংসম্পূর্ণ নয়। বিবাহ মানুষকে দান করে বহু আত্মীয়-স্বজন, বহু সহায় ও সহচর।

মানুষের প্রকৃতিতে যে যৌন-ক্ষুধা আছে, তা দূর করার বৈধ ও সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা হল বিবাহ।

বিবাহ মানুষকে সুন্দর চরিত্র দান করে, অবৈধ দৃষ্টি থেকে চক্ষুকে সংযত রাখে, লজ্জাস্থান সংরক্ষণ করে।

বিবাহের মাধ্যমে আবির্ভাব হয় মুসলিম প্রজন্মের। এতে হয় বংশ বৃদ্ধি, রসূল (ﷺ) এর উম্মত বৃদ্ধি।

পৃথিবী আবাদ রাখার সঠিক ও সুশৃঙ্খল বৈধ ব্যবস্থা বিবাহ। বিবাহ আনে মনে শান্তি, হৃদয়ে স্থিরতা, চরিত্রে পবিত্রতা, জীবনে পরম সুখ। বংশে আনে আভিজাত্য, অনাবিলতা। নারী-পুরুষকে করে চিরপ্রেমে আবদ্ধ। দান করে এমন সুখময় দাম্পত্য, যাতে থাকে ত্যাগ ও তিতিক্ষা, শ্রদ্ধা, প্রেম, স্নেহ ও উৎসর্গ।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُمْ مِنْ أَنْفُسِكُمْ أَزْوَاجاً لِتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُمْ مَوَدَّةً وَرَحْمَةً إِنَّ فِي ذَلِكَ لَآياتٍ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ﴾

অর্থাৎ, তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন; যাতে তোমরা ওদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও স্নেহ সৃষ্টি করেছেন। চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই নিদর্শন রয়েছে।[1]

ইসলামে বৈরাগ্যের কোন স্থান নেই।
‘‘বৈরাগ্য সাধনে মুক্তি সে আমার নয়,
অসংখ্য বন্ধন মাঝে মহানন্দময়
লভিব মুক্তির স্বাদ----।’’

এই হল মুসলিমের জীবন। তাই তো বিবাহ করা প্রত্যেক নবীর সুন্নত ও তরীকা। বিবাহ করা এক ইবাদত। স্ত্রী-সঙ্গম করা সদকাহ্তুল্য।[2] যেহেতু এই পরিণয়ে মুসলিমের বিশেষ উদ্দেশ্য থাকে নিজেকে ব্যভিচার থেকে রক্ষা করা, স্ত্রীর অধিকার আদায় করা এবং তাকেও ব্যভিচারের হাত হতে রক্ষা করা, নেক সন্তান আশা করা, অবৈধ দৃষ্টি, চিন্তা প্রভৃতি থেকে নিজেকে দূরে রাখা। প্রিয় নবী (ﷺ) বলেন,

إذَا تَزَوَّجَ العَبدُ فَقَد استَكمَلَ نِصْفَ الدِّين فَلْيَتَّقِ اللهَ في النِّصف البَاقي.

‘‘(মুসলিম) বান্দা যখন বিবাহ করে, তখন সে তার অর্ধেক ঈমান (দ্বীন) পূর্ণ করে, অতএব বাকী অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’’[3]

ব্যভিচার থেকে বাঁচার জন্য ও পবিত্র জীবন গঠনের উদ্দেশ্যে বিবাহ করলে দাম্পত্যে আল্লাহর সাহায্য আসে।[4]

আল্লাহ তাআলা বলেন,

﴿وَأَنْكِحُوا الأَيَامَى مِنْكُمْ وَالصَّالِحِينَ مِنْ عِبَادِكُمْ وَإِمَائِكُمْ إِنْ يَكُونُوا فُقَرَاءَ يُغْنِهِمُ اللهُ مِنْ فَضْلِهِ وَاللهُ وَاسِعٌ عَلِيمٌ﴾

‘‘তোমাদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তাদের বিবাহ সম্পাদন কর এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদেরও। তারা অভাবগ্রস্ত হলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন। আল্লাহ তো প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।[5]

জগদ্গুরু মুহাম্মাদ (ﷺ) বলেন,

يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ.

‘‘হে যুবকদল! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি (বিবাহের অর্থাৎ স্ত্রীর ভরণপোষণ ও রতিক্রিয়ার) সামর্থ্য রাখে সে যেন বিবাহ করে। কারণ, বিবাহ চক্ষুকে দস্ত্তরমত সংযত করে এবং লজ্জাস্থান হিফাযত করে। আর যে ব্যক্তি ঐ সামর্থ্য রাখে না, সে যেন রোযা রাখে। কারণ, তা যৌনেন্দ্রিয় দমনকারী।’’[6]

তিনি আরো বলেন,

النِّكَاحُ من سُنَّتي . فَمَن لَم يَعمَل بسُنَّتي فَلَيسَ مني.

‘‘বিবাহ করা আমার সুন্নত (তরীকা)। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নত (তরীকা) অনুযায়ী আমল করে না, সে আমার দলভুক্ত নয়।’’[7]

সুতরাং বিয়ের বয়স হলে, যৌন-পিপাসায় অতিষ্ঠ হলে এবং নিজের উপর ব্যভিচারের অথবা গুপ্ত অভ্যাসে স্বাস্থ্য ভাঙ্গার আশঙ্কা হলে বিলম্ব না করে যুবকের বিবাহ করা ওয়াজেব। বাড়ির লোকের উচিৎ, এতে তাকে সহায়তা করা এবং ‘ছোট’ বা ‘পড়ছে’ বলে বিবাহে বাধা না দেওয়া। যেমন পূর্বে আরো অবিবাহিত ভাই বা বোন থাকলে এবং তাদের বিয়ের ব্যবস্থা বা ইচ্ছা না হলে এই যুবককে বিবাহে বাধা দেওয়ার অধিকার পিতা-মাতার বা আর কারো নেই। আল্লাহর আনুগত্যে গুরুজনের আনুগত্য ওয়াজেব। যেখানে আল্লাহর অবাধ্যতার ভয় ও আশঙ্কা হবে, সেখানে আর কারো আনুগত্য নেই। বরং এই সব ক্ষেত্রে বিশেষ করে ‘মনমত পণ’ না পাওয়ার জন্য বিয়ে না দিলে মা-বাপের আনুগত্য হারাম। সুতরাং যুবকের উচিৎ, যথাসময়ে বিনা পণে মা-বাপ রাজী না হলেও রাজী করতে চেষ্টা করে বিবাহ করা। নচেৎ তার অভিভাবক আল্লাহ।

অনেক সময় দ্বীনদার-পরহেজগার পরিবেশের পুণ্যময়ী সুশীলা তরুণীর সাথে বিবাহে মা-বাপ নিজস্ব কোন স্বার্থে রাজী হয় না। অথবা এমন পাত্রী দিতে চায়; যে দ্বীনদার নয়। দ্বীনদার যুবকের এ ক্ষেত্রেও মা-বাপের কথা না মানা দ্বীনদারী।[8]

বৈবাহিক জীবন দু-একদিনের সফর নয়; যাতে দু-একদিন পর সহজভাবে সঙ্গী পরিবর্তন করা যাবে। সুতরাং এখানে ছেলে-মেয়ে সকলেরই বুঝাপড়া ও পছন্দের অধিকার আছে।­

পক্ষান্তরে দ্বীন ছাড়া অন্য স্বার্থে ছেলে যদি মা-বাপের কথা না মেনে তাদেরকে নারাজ করে বিবাহ করে, তবে এমন ছেলে নিশ্চয়ই অবাধ্য। অবাধ্য মাতা-পিতার এবং অবাধ্য আল্লাহ ও তাঁর রসূলের। এ বিষয়ে আরো কিছু আলোচনা আসবে ‘বিবাহ প্রস্তাব ও তার শর্তাবলী’তে।

[1] (সূরা আর-রূম (৩০) : ২১) [2] (মুসলিম ১০০৬নং) [3] (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ৬১৪৮নং) [4] (সহীহ আল-জা-মিউস সাগীর অযিয়াদাতুহ ৩০৫০নং, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩০৮৯নং) [5] (সূরা আন-নূর (২৪) : ৩২) [6] (বুখারী, মুসলিম, মিশকাতুল মাসাবীহ ৩০৮০নং) [7] (ইবনে মাজাহ ১৮৪৬নং) [8] (আল-লিকাউশ শাহরী ৩/৪২পৃঃ, ফাতাওয়াল মারআহ ৫৬পৃঃ)

🙏পেজটি ফলো দিয়ে আমাদের সাথে থাকবেন ইনশাল্লাহ। 🥰

👉 আজ জুম্মাবার দরুদ পাঠের দিন 💞
15/08/2025

👉 আজ জুম্মাবার দরুদ পাঠের দিন 💞

Address

Jhenida

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জীবন সঙ্গী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share