রোগী কল্যান সমিতি

রোগী কল্যান সমিতি ঝিনাইদহের সকল ডাক্তার, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারের খোজ খবর পেতে আমাদের পেইজে যুক্ত থাকুন।

ঝিনাইদহের যে সকল সচেতন মানুষ সাংবাদিকতা ও ঝিনাইদহের গন মানুষের জীবন যাত্রা সম্পর্কে সবাইকে জানাতে চান, তাদেরকে অল টাইম টিভির জন্য ঝিনাইদহের তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক সাইটে ঝিনাইদহ জেলার সকল উপজেলা, ইউনিয়ন, ও ওয়ার্ড ভিত্তিক প্রতিনিধি আবশ্যক। ঝিনাইদহ কে বিশ্ব দরবারে পৌছেদিতে আমাদের সাথে যোগ দিন। আপনি যদি সৎ সাহসী, শিক্ষিত, সৃজনশীল ঝিনাইদহ প্রেমী মানুষ হন তাহলে আমরা আপনাকে খুজছি ।

আমাদের সাথে যোগাযোগ

করুন অল টাইম টিভি আপনাদের সূ-চিন্তিত ভিডিও, তথ্য দেবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ফলে আপনার লেখা ও তথ্য ঝিনাইদহের কয়েক লক্ষ মানুষ জানতে পারবে। আমাদের সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করলে আপনার দ্বারা ঝিনাইদহের মানুষের জন্য একটা সামাজিক কাজ বলে গন্য হবে, আশা করি।

আসসালামুয়ালাইকুম, আজ মেলার শেষ দিন। বিকাল ৪টা থেকে শুরু রাত ১০ পর্যন্ত চলবে মেলা । শহীদ মিনার, ঝিনাইদহে চলে আসবেন সবাই।...
16/04/2025

আসসালামুয়ালাইকুম,


আজ মেলার শেষ দিন।
বিকাল ৪টা থেকে শুরু রাত ১০ পর্যন্ত চলবে মেলা ।
শহীদ মিনার, ঝিনাইদহে

চলে আসবেন সবাই।
মেলার আকর্ষণীয় আয়োজন গুলো আজ থাকবে।

আয়োজনেঃ অল টাইম বেচাকেনা

ধন্যবাদ সবাইকে।

19/12/2024

অ্যাডাপটিভ এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং (Adaptive and Maladaptive Coping)

কপিং (Coping) হলো এমন একটি মানসিক প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন চাপ বা সমস্যা মোকাবিলা করে মানসিক শান্তি বজায় রাখার চেষ্টা করে। কপিং প্রক্রিয়াটি আমাদের জীবনের মানসিক চাপ, উদ্বেগ, দুঃখ, বা প্রতিকূল পরিস্থিতির মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে, কপিং কৌশলগুলি সবসময়ই কার্যকরী বা স্বাস্থ্যকর হতে পারে না। সেগুলিকে দুটি প্রধান ধরনের মধ্যে ভাগ করা হয়: অ্যাডাপটিভ কপিং এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং।

১. অ্যাডাপটিভ কপিং (Adaptive Coping):

অ্যাডাপটিভ কপিং হলো এমন কৌশল যা একজন ব্যক্তিকে চাপ বা সমস্যা থেকে সহজে উত্তরণ এবং মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। এটি সুস্থ, কার্যকরী এবং বাস্তবসম্মত কৌশল হিসেবে বিবেচিত হয়। অ্যাডাপটিভ কপিং প্রক্রিয়া চাপের সঙ্গে সঠিকভাবে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদী ইতিবাচক ফলাফল দেয়।

উদাহরণ:

সমস্যা সমাধান (Problem-solving): সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলে, কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। যেমন, কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।

অর্থপূর্ণ চর্চা (Mindfulness or Meditation): মানসিক শান্তি বজায় রাখতে মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের চর্চা করা।

আবেগ প্রকাশ (Emotional Expression): অনুভূতি ও আবেগ স্বীকার করে বন্ধু বা পরিবারকে শেয়ার করা।

সামাজিক সহায়তা (Seeking Social Support): বন্ধু, পরিবার বা সহকর্মীদের কাছে সাহায্য বা পরামর্শ নেওয়া।

হাস্যরস (Humor): পরিস্থিতির মাঝে হাস্যরসের মাধ্যমে চাপ কমানো।
অ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য এবং সামাজিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে। এটি একজন ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং তাকে কঠিন পরিস্থিতিতে স্থির থাকতে সাহায্য করে।

২. মালঅ্যাডাপটিভ কপিং (Maladaptive Coping):

মালঅ্যাডাপটিভ কপিং হলো এমন কৌশল যা চাপ বা সমস্যার সাথে সঠিকভাবে মোকাবিলা না করে, বরং সাময়িকভাবে সমস্যা এড়িয়ে চলে বা আরো জটিলতা সৃষ্টি করে। এটি সাধারণত অসুস্থ এবং দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। মালঅ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তি বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে এবং মানসিক বা শারীরিক স্বাস্থ্য খারাপ করতে পারে।

উদাহরণ:
মাদকসেবন বা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ (Substance Abuse): সমস্যার থেকে পালানোর জন্য মাদক বা অ্যালকোহল ব্যবহার করা।

আবেগ দমন (Emotional Suppression): অনুভূতিগুলো দমন বা এড়িয়ে চলা, যেমন রাগ বা দুঃখ অনুভূতি প্রকাশ না করা।

অতিরিক্ত খাওয়া (Overeating): মানসিক চাপ কমানোর জন্য অতিরিক্ত খাবার খাওয়া (এটি একটি খাদ্যজনিত ব্যাধির দিকে পরিচালিত করতে পারে)।

প্রত্যাখ্যান (Denial): চাপ বা সমস্যা সম্পর্কে অস্বীকার করা বা মনে না করা, যেমন একজন ব্যক্তি তার স্বাস্থ্যের সমস্যা সম্পর্কে অবহেলা করা।

অতিসক্রিয়তা বা মিথ্যা রূপে প্রতিক্রিয়া (Overcompensation): অন্যদের সাথে সঠিক সম্পর্ক স্থাপনে অতিরিক্ত চেষ্টা বা চাপের মধ্যে ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া।

মালঅ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলো সাধারণত সমস্যার স্থায়ী সমাধান না দিয়ে সাময়িকভাবে পিছু হটানোর চেষ্টা করে, যা শেষে আরো গুরুতর মানসিক বা শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাডাপটিভ এবং মালঅ্যাডাপটিভ কপিং-এর মধ্যে পার্থক্য:

বিষয়
অ্যাডাপটিভ কপিং
মালঅ্যাডাপটিভ কপিং

উদ্দেশ্য
সমস্যা সমাধান ও মানসিক শান্তি অর্জন
সমস্যা এড়িয়ে যাওয়া বা চাপ সাময়িকভাবে কমানো

প্রভাব
সুস্থ, স্থিতিশীল মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্য
দীর্ঘমেয়াদী মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে

কৌশল
সমস্যা সমাধান, আবেগ প্রকাশ, সামাজিক সহায়তা
মাদকসেবন, আবেগ দমন, অস্বীকার, অতিরিক্ত খাওয়া

ফলাফল
আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি, সুস্থ সম্পর্ক, মানসিক শান্তি
মানসিক অবসাদ, শারীরিক সমস্যা, সম্পর্কের টানাপোড়েন

কেন কপিং গুরুত্বপূর্ণ?

কপিং কৌশল একজন ব্যক্তির মানসিক সুস্থতা, দৈনন্দিন জীবনযাপন এবং সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সঠিক কপিং কৌশলগুলো ব্যক্তি ও তার পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করে। অপরদিকে, ভুল বা অসুস্থ কপিং কৌশলগুলি চাপ এবং সমস্যাকে আরও জটিল করে তোলে, যা দীর্ঘমেয়াদী মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

অ্যাডাপটিভ কপিং কৌশলগুলি সঠিকভাবে চাপ মোকাবিলা করতে সহায়ক, এবং এটি ব্যক্তির মানসিক এবং শারীরিক সুস্থতা রক্ষা করে। অন্যদিকে, মালঅ্যাডাপটিভ কপিং সাধারণত সাময়িক শান্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যা তৈরি করতে পারে। সুতরাং, কপিং কৌশলগুলির মধ্যে সঠিক সমন্বয় প্রয়োজন, যাতে চাপ এবং সমস্যার মোকাবিলা করার সময় একজন ব্যক্তি সুস্থ এবং স্থিতিশীল থাকতে পারে।

উচ্চবিত্তের মত স্বপ্নমধ্যবিত্তের মত চলাফেরানিম্নমধ্যবিত্তের মত বাজারনিম্নবিত্তের মত জীবনমিসকিনের মত মানিব্যাগ নিয়েও ভালো...
04/11/2024

উচ্চবিত্তের মত স্বপ্ন
মধ্যবিত্তের মত চলাফেরা
নিম্নমধ্যবিত্তের মত বাজার
নিম্নবিত্তের মত জীবন
মিসকিনের মত মানিব্যাগ নিয়েও ভালো আছি
আলহামদুলিল্লাহ

আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াজবুরনি, ওয়াহদিনি, ওয়ারজুকনি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার প্রতি দয়া করুন, আমার সব ক্ষয়ক্ষতি পূরণ করে দিন, আমাকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন, আমাকে রিজিক দান করুন।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতিকগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের ...
24/10/2024

কগনিটিভ ডিস্টরশানস: একটি পরিচিতি

কগনিটিভ ডিস্টরশানস (Cognitive Distortions) হল চিন্তা প্রক্রিয়ার কিছু বিকৃতি, যা মানুষের বাস্তবতা উপলব্ধিতে প্রভাব ফেলে। এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের অনুভূতি এবং আচরণকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে, বিশেষ করে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, এবং আত্মবিশ্বাসের অভাবে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কিছু সাধারণ ধরনঃ

১. অতি সাধারীকরণ (Overgeneralization):
একটি নেতিবাচক ঘটনা ঘটে গেলে, আমরা তা থেকে একটি সাধারণ নীতিতে পৌঁছে যাই। যেমন, "আমি পরীক্ষায় ফেলেছি, তাই আমি কখনো সফল হব না।"

২. নেগেটিভ ফিল্টারিং (Negative Filtering):
ভালো কিছু ঘটলেও, শুধুমাত্র নেতিবাচক দিকগুলোকে দেখার প্রবণতা। উদাহরণস্বরূপ, "আমি একটি প্রকল্পের প্রশংসা পেলাম, কিন্তু কিছু ছোটখাটো ভুল ছিল, তাই আমি ব্যর্থ।"

৩. মাইন্ড রিডিং (Mind Reading):
অন্যদের চিন্তা এবং অনুভূতি অনুমান করা। যেমন, "আমার বন্ধুরা আমার কথা শুনছে না, তারা আমাকে আর ভালোবাসে না।"

৪. দর্শনগত চিন্তা (Black-and-White Thinking):কোন কিছুকে সম্পূর্ণ ভালো বা পুরোপুরি খারাপ হিসেবে দেখা। উদাহরণস্বরূপ, "যদি আমি সেরা না হই, তবে আমি পুরোপুরি ব্যর্থ।"

৫. অনুরোধ ও দায়িত্ববোধের অবমূল্যায়ন (Disqualifying the Positive):
ইতিবাচক ঘটনা বা প্রশংসাকে অবমূল্যায়ন করা। যেমন, "আমার সফলতা কোনও অর্থ নেই, কারণ আমি কঠিন পরিশ্রম করিনি।"
কগনিটিভ ডিস্টরশানসের প্রভাব

এই ধরনের বিকৃত চিন্তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এটি উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আত্মবিশ্বাসের অভাব, এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কগনিটিভ ডিস্টরশানসের কারণে আমরা নেতিবাচক অনুভূতিতে ডুবে যাই এবং এটি আমাদের জীবনকে ব্যাহত করতে পারে।

সমাধান ও প্রতিকারঃ

কগনিটিভ ডিস্টরশানস মোকাবেলার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে:

১. কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT):
এই থেরাপির মাধ্যমে, একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ আমাদের চিন্তাধারাগুলো চিহ্নিত করতে এবং সেগুলোকে বাস্তবতার সাথে পুনর্মূল্যায়ন করতে সহায়তা করে।

২. জার্নালিং:
দৈনন্দিন অনুভূতি ও চিন্তা লিখে রাখলে, সেগুলোকে বিশ্লেষণ করা সহজ হয় এবং বিকৃত চিন্তা চিহ্নিত করা যায়।

৩. সমর্থন ব্যবস্থা:
বন্ধু ও পরিবারের সাথে কথা বলা আমাদের চিন্তা পরিষ্কার করতে এবং নতুন দৃষ্টিকোণ পেতে সাহায্য করতে পারে।

৩. মাইন্ডফুলনেস:
বর্তমান মুহূর্তে মনোনিবেশ করা, চিন্তার তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে।

কগনিটিভ ডিস্টরশানস আমাদের চিন্তা এবং অনুভূতিতে গভীর প্রভাব ফেলে। এগুলো চিহ্নিত করে এবং সঠিক কৌশল ব্যবহার করে আমরা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারি। মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বুঝে চলা এবং কগনিটিভ ডিস্টরশানসের বিরুদ্ধে সচেতন থাকা আমাদের জীবনকে আরো সুন্দর ও সমৃদ্ধ করতে সাহায্য করবে। ©

23/10/2024

এগ্রেশন ও আচরণ: আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণ

আক্রমণাত্মক আচরণ বা এগ্রেশন মানব সমাজের একটি জটিল এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি ব্যক্তির মনে, সামাজিক পরিবেশে এবং সম্পর্কের মধ্যে ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব ফেলে। আক্রমণাত্মক আচরণের মনস্তাত্ত্বিক কারণগুলি বোঝা মানে একাধিক দিক থেকে মানুষের আচরণকে বিশ্লেষণ করা।

ক. আক্রমণাত্মক আচরণের সংজ্ঞা

আক্রমণাত্মক আচরণ হল এমন একটি কার্যকলাপ যা অন্যের প্রতি শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে পরিচালিত হয়। এটি বিভিন্ন রূপে প্রকাশিত হতে পারে, যেমন:

শারীরিক সহিংসতা (যেমন মারধর, লড়াই)
মানসিক সহিংসতা (যেমন গালি দেওয়া, অপমান)

খ. মনস্তাত্ত্বিক কারণ

১. জিনগত প্রভাব:

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, জিনগত উপাদান আক্রমণাত্মক আচরণের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে। পারিবারিক ইতিহাস, বিশেষ করে বাবা-মা বা পরিবারের অন্য সদস্যদের আক্রমণাত্মক আচরণ, সন্তানের আচরণে প্রতিফলিত হতে পারে।

২. পরিবেশগত প্রভাব:

সামাজিক পরিবেশ এবং সংস্কৃতি আক্রমণাত্মক আচরণকে প্রভাবিত করতে পারে। যেসব পরিবেশে সহিংসতা সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য, সেখানে মানুষদের মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

৩. মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ:

জীবনের চাপ, হতাশা, এবং উদ্বেগ আক্রমণাত্মক আচরণের প্রধান কারণ। যখন কেউ মানসিক চাপ অনুভব করে, তখন তারা ক্রমাগত অসন্তোষ এবং বিরক্তির মধ্যে থাকতে পারে, যা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ধাবিত করে।

৪. সামাজিক শিখন তত্ত্ব:

আলবার্ট বন্দুরা (Albert Bandura) এর গবেষণা অনুযায়ী, মানুষ অন্যদের আচরণ দেখে শিখে এবং মডেলিং করে। যদি একজন ব্যক্তি সহিংস আচরণ দেখেন, তাহলে তিনি সেটি গ্রহণ করতে পারেন।

৫. আবেগের অভাব:

যখন কেউ তাদের আবেগকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারে, তখন তারা আক্রমণাত্মক আচরণের দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। ক্ষোভ বা রাগ সংবরণের অভাব আক্রমণাত্মক আচরণ তৈরি করতে পারে।

৬. মস্তিষ্কের রাসায়নিক পরিবর্তন:

কিছু গবেষণা দেখিয়েছে যে মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট রাসায়নিক, যেমন সেরোটোনিনের কম স্তর আক্রমণাত্মক আচরণের সাথে যুক্ত। মস্তিষ্কের কিছু অংশ, যেমন অ্যামিগডালা, আবেগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩. আচরণগত ফলাফল

আক্রমণাত্মক আচরণ সমাজের জন্য বেশ কিছু নেতিবাচক ফলাফল নিয়ে আসে:
সম্পর্কের অবনতি: আক্রমণাত্মক আচরণ মানুষের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটায়, যা সামাজিক বিচ্ছিন্নতার কারণ হতে পারে।

আইনি সমস্যা: শারীরিক সহিংসতা আইনত অপরাধ হিসাবে গণ্য হয়, যা ব্যক্তির জীবনে জটিলতা সৃষ্টি করে।

মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা: আক্রমণাত্মক আচরণের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা যেমন উদ্বেগ, অবসাদ বৃদ্ধি পায়।

আক্রমণাত্মক আচরণ একটি জটিল বিষয়, যার পেছনে নানা মনস্তাত্ত্বিক কারণ রয়েছে। এটি ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন ধরনের প্রভাব ফেলে, যা সমাজের জন্যও হুমকি। আক্রমণাত্মক আচরণ প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সমাজে সহানুভূতি ও সংবেদনশীলতার উন্নয়ন ঘটালে, আক্রমণাত্মক আচরণের হার কমানো সম্ভব। ©


সাব্বির আহমদ জুয়েল
কনসালট্যান্ট (সাইকোলজি)
অটিজম ও এনডিডি সেবাদান কেন্দ্র, যশোর

স্ব-যত্নের কৌশল: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়স্ব-যত্ন হল নিজের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগীয় স্বাস্থ্য রক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি ...
22/10/2024

স্ব-যত্নের কৌশল: নিজের যত্ন নেওয়ার উপায়

স্ব-যত্ন হল নিজের শারীরিক, মানসিক এবং আবেগীয় স্বাস্থ্য রক্ষা করার প্রক্রিয়া। এটি আমাদের সুস্থ জীবনযাপনের জন্য অপরিহার্য। সঠিকভাবে স্ব-যত্ন গ্রহণ করা আমাদের মানসিক চাপ কমাতে, আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করতে এবং সার্বিক সুখ ও শান্তি অর্জনে সহায়তা করে। এখানে কিছু কার্যকর স্ব-যত্নের কৌশল আলোচনা করা হলো।

🦹‍♂️১. শারীরিক স্ব-যত্ন

🥗সুষম খাদ্য: স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন, যেমন ফল, সবজি, গোটা শস্য, এবং প্রোটিন। খাদ্য আমাদের শারীরিক স্বাস্থ্য এবং শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

🏋️‍♀️নিয়মিত ব্যায়াম: সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিটের মাঝারি শারীরিক কার্যকলাপ করুন। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা নাচ—যা আপনার জন্য উপভোগ্য।

🙇‍♂️প্রয়োজনীয় নিদ্রা: পর্যাপ্ত ঘুম নিন। একজন প্রাপ্তবয়স্কের জন্য সাধারণত ৭-৯ ঘণ্টা নিদ্রা প্রয়োজন।

🧘‍♂️২. মানসিক স্ব-যত্ন

🧑‍🏭আবেগের প্রকাশ: নিজের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করুন। ডায়েরি লিখুন, বা শিল্পকর্ম করুন—এতে মানসিক চাপ হ্রাস পায়।

👨‍🎤মাইন্ডফুলনেস ও মেডিটেশন: প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন করুন। এটি মানসিক শান্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করে।

🏝প্রকৃতির সাথে সংযোগ: প্রকৃতিতে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে। পার্কে হাঁটা বা গাছপালা নিয়ে কাজ করা উপকারী।

👫৩. আবেগীয় স্ব-যত্ন

🫂সামাজিক সংযোগ: প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগ রাখুন। বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো বা তাদের সাথে কথা বলা মানসিক চাপ কমায়।

⏺সীমা নির্ধারণ: নিজের জন্য সময় নির্ধারণ করুন। কাজের চাপ বা অন্যদের প্রয়োজনের ওপর নির্ভর না হয়ে নিজের চাহিদাগুলোকে প্রাধান্য দিন।

👩‍🎤হবি ও শখ: আপনার শখ অনুসরণ করুন। গান শোনা, বই পড়া বা ছবি আঁকা—এগুলো মানসিক শান্তি দেয়।

👥৪. প্রফেশনাল সহায়তা

🤝থেরাপি বা কাউন্সেলিং: যদি আপনি মানসিকভাবে অস্থির অনুভব করেন, তবে একজন থেরাপিস্ট বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন। এটি সমর্থন পেতে এবং নতুন দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে সাহায্য করে।

স্ব-যত্ন আপনার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি শুধুমাত্র শারীরিক স্বাস্থ্য নয়, বরং মানসিক ও আবেগীয় স্বাস্থ্যের জন্যও অপরিহার্য। সঠিকভাবে নিজের যত্ন নিলে আপনি আরও সুখী এবং সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবেন। তাই আজ থেকেই এই কৌশলগুলো প্রয়োগ শুরু করুন এবং নিজের জন্য একটু সময় নিন—আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ!

16/10/2024

#রোগীর_অধিকার

আমাদের হাসপাতালের রোগীদের অধিকার আছে :

🎗️তাঁদের অধিকার সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার
🎗️জাতি, ধর্ম, বর্ণ, জাতিগত উৎস, বয়স ও লিঙ্গ নির্বিশেষে পরিচর্যা পাওয়ার
🎗️পরিষেবা প্রদানকারী সব ব্যক্তির নাম, পরিচয় এবং পেশাদারি মর্যাদা জানার এবং তাঁদের পরিচর্যায় প্রাথমিকভাবে দায়িত্ববান ডাক্তারকে জানার
🎗️অনুরোধ করতে এবং পরিচর্যা পেতে যা তাঁদের ব্যক্তিগত সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক মূল্যবোধ ও বিশ্বাসকে সম্মান করে
🎗️মৌখিক, শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন বা লাঞ্ছনা মুক্ত পরিচর্যা পেতে
🎗️পরিচর্যা পেতে যা তাঁদের সম্মান, আত্মাভিমান, গোপনীয়তা, সুরক্ষা বজায় রাখে ও স্বাচ্ছন্দ্য প্রদান করে
🎗️রোগীর ওপর ব্যক্তিগত, সাংস্কৃতিক, সামাজিক প্রভাবের ফলে যন্ত্রণার কার্যকরী মূল্যায়ন এবং উপশমের চিকিৎসা পাওয়ার
🎗️প্রচেষ্টা প্রত্যাশা করা যা ধারাবাহিক, সমন্বয়িত এবং উপযুক্ত পরিচর্যা প্রদান করতে তৈরি হবে
🎗️রোগের প্রকৃতি, চিকিৎসা বিকল্প সহ সম্ভাব্য ঝুঁকি, সুবিধা, বিকল্প, অপ্রত্যাশিত ফলাফল ও খরচ সহ তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা জানার এবং তাঁদের স্বাস্থ্য পরিচর্যা সিদ্ধান্তে পূর্ণভাবে অংশগ্রহণের
🎗️এটা আশা করা যে আমরা তাঁদের সঙ্গে কথাবার্তা বলব যেভাবে তাঁরা বুঝতে পারেন
🎗️তাঁদের পরিচর্যার প্রেক্ষিতে পরিচর্যা পরিকল্পনা ও চিকিৎসায় জড়িত হওয়া দ্বারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে। এর অন্তর্গত তাঁদের পরিচর্যা সম্পর্কিত সিদ্ধান্তে অবগত করতে হবে পাশাপাশি প্রস্তাবিত কোনো টেস্ট বা চিকিৎসা গ্রহণ বা বাতিল করার বা অন্য কোনো চিকিৎসার অনুরোধ করা।
🎗️হাসপাতাল নীতি অনুযায়ী ভিজিটর অ্যাকসেস করার
পরিচর্যার গুণমান সম্পর্কে অভিযোগ বা আপত্তি প্রকাশের এবং বৈষম্য বা বঞ্চিত হওয়ার কোনো ভীতি ছাড়াই প্রতিবাদ করার এবং তাঁদের সংশয়ের তাৎক্ষণিক ও সৌজন্যমূলক প্রতিক্রিয়া পাওয়ার
🎗️তাঁদের মেডিক্যাল রেকর্ডে যেসব তথ্য আছে তা অনুরোধের পর নির্দিষ্ট সময় পর তাঁদের প্রাথমিক কনসালট্যান্টের মাধ্যমে অ্যাকসেস করার
🎗️যে কোনো চিকিৎসার খরচ সম্পর্কে তথ্যের অনুরোধ ও তা পাওয়ার এবং অনুরোধের ভিত্তিতে বিলের ব্যাখ্যা পাওয়ার
🎗️নিরাপদ অবস্থান ও পরিবেশে পরিচর্যা পাওয়ার এবং এইসঙ্গে লাঞ্ছনা থেকে প্রতিরক্ষা এবং আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট সুরক্ষা বিধি
🎗️মেডিক্যাল পরামর্শের বিরুদ্ধে ডিসচার্জ এবং পরিচর্যা প্রত্যাখ্যানের
🎗️হাসপাতাল বা হাসপাতালের বাইরে তাঁদের পরিচর্যায় আপসের কোনো ভীতি ছাড়াই দ্বিতীয় মতামত গ্রহণের
🎗️মুমূ্র্ষু রোগীর প্রয়োজন কার্যকরীভাবে মূল্যায়ন এবং পরিচালনা, এর অন্তর্গত ব্যক্তিগত, সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রভাব, প্রত্যঙ্গ দানের

জীবনকে বদলানোর জন্য ৩৩% নিয়মকে ব্যবহার করুনজীবনকে খুব জটিল মনে না করে যদি একটু সহজ ভাবে তৈরী করতে চান, তাহলে পোস্টটি আপ...
07/10/2024

জীবনকে বদলানোর জন্য ৩৩% নিয়মকে ব্যবহার করুন

জীবনকে খুব জটিল মনে না করে যদি একটু সহজ ভাবে তৈরী করতে চান, তাহলে পোস্টটি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হবে।

এই ৩৩% নিয়ম ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার জীবনকে অনেকটা সমৃদ্ধশালী এবং সুশৃংখল তৈরি করতে পারবেন।

তাত্ত্বিক বিদ্যা এবং প্রায়োগিক বিদ্যার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে, তাই শুধুমাত্র জ্ঞান গ্রহণ করলে হবেনা সে গুলোকে বাস্তবে প্রয়োগ করতে হবে।

১. আপনি যে অবস্থানে আছেন তার থেকে নিচের ধাপের মানুষজনের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন। এই মানুষজনকে আপনি সাহায্য করুন দেখবেন এতে আপনি আপনার আত্মতৃপ্তিকে খুঁজে পাবেন।

২. আপনার সমতুল্য মানুষজনের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন, যেমন: আপনার বন্ধু-বান্ধব এবং যাদের কাছ থেকে আপনি প্রভাবিত হচ্ছেন দেখবেন, এতে আপনার একঘেয়েমিতা এবং একাকীত্বতা দূর হয়ে যাবে এবং কাজকর্মে অনুপ্রাণিত হবেন।

৩. আপনার থেকে বয়সে বিশ, পঁচিশ বছর বড় এবং অভিজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের সাথে ৩৩% সময় ব্যয় করুন, দেখবেন জীবন সম্পর্কে খুব তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন এবং সত্তিকারের সমৃদ্ধি খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাবেন।

03/10/2024

#স্বপ্ন তত্ত্ব
ড্রিম থিওরি: আবেগ ও মানসিক স্বাস্থ্য বোঝার একটি উপায়

ড্রিম থিওরি একটি মনোবিজ্ঞানের শাখা যা মানুষের স্বপ্নের মানে এবং তাদের অবচেতন মনে থাকা চিন্তাভাবনা ও অনুভূতিগুলোর মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করতে চেষ্টা করে। গবেষণার মাধ্যমে জানা গেছে যে, আমাদের স্বপ্নগুলি কেবল র্যান্ডম চিন্তা নয়; বরং তারা আমাদের জীবনের অভিজ্ঞতা, ইচ্ছা, এবং উদ্বেগের একটি প্রতিবিম্ব। নিচে ড্রিম থিওরি সম্পর্কিত বিভিন্ন দিক আলোচনা করা হলো।

১. স্বপ্নের প্রকারভেদ

স্বপ্ন সাধারণত বিভিন্ন প্রকারে বিভক্ত করা যায়:

মৌলিক স্বপ্ন: এগুলি সাধারণত দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা, অনুভূতি বা চিন্তা থেকে উদ্ভূত হয়।

সিম্বলিক স্বপ্ন: এ ধরনের স্বপ্নে অবচেতন চিন্তা ও অনুভূতি প্রতীক হিসেবে প্রকাশ পায়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি উড়ন্ত স্বপ্ন দেখেন, তবে এটি আপনার স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষার প্রতীক হতে পারে।

লুসিড ড্রিম: এ ধরনের স্বপ্নে স্বপ্নদর্শক জানে যে তারা স্বপ্ন দেখছে এবং মাঝে মাঝে তারা স্বপ্নটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

২. ফ্রয়েডের তত্ত্ব

মনোবিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা সিগমন্ড ফ্রয়েড স্বপ্নের মানে নিয়ে ব্যাপক কাজ করেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে স্বপ্ন আমাদের অবচেতন মন থেকে উদ্ভূত হয় এবং এটি আমাদের গোপন ইচ্ছা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে। ফ্রয়েডের তত্ত্ব অনুযায়ী:

স্বপ্নগুলো বিশেষভাবে আমাদের প্যাশন এবং স্বপ্নগুলির বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা প্রকাশ করে।
ফ্রয়েড "স্বপ্নের বিশ্লেষণ" নামক একটি পদ্ধতি প্রবর্তন করেন, যা মানুষের স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের অবচেতন মনকে বুঝতে সাহায্য করে।

৩. যৌক্তিকতা এবং উদ্বেগ

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের উদ্বেগ এবং মানসিক চাপকে প্রকাশ করা হয়। যখন আমরা উদ্বেগে থাকি, তখন আমাদের স্বপ্নগুলো সেই উদ্বেগকে প্রতিফলিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পরীক্ষার আগে অনেকেই একাধিক পরীক্ষার স্বপ্ন দেখতে পারেন।

৪. মেমরি প্রসেসিং

স্বপ্নগুলির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা হল মেমরি প্রসেসিং। যখন আমরা ঘুমাই, তখন আমাদের মস্তিষ্ক দৈনন্দিন অভিজ্ঞতাগুলিকে সংগঠিত করে এবং তা মনে রাখতে সহায়তা করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যেসব তথ্য আমরা দিনের বেলায় শিখি, তা রাতের স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের স্মৃতিতে সংরক্ষিত হয়।

৫. সৃজনশীলতা এবং উদ্ভাবন

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, স্বপ্ন আমাদের সৃজনশীলতার উৎস হতে পারে। অনেক সৃজনশীল মানুষ তাদের কাজের জন্য স্বপ্ন থেকে অনুপ্রেরণা পান। উদাহরণস্বরূপ, বিখ্যাত শিল্পী পল গগাঁ এবং লেখক ফ্রাঞ্জ কাফকারের কিছু কাজ স্বপ্নের দ্বারা অনুপ্রাণিত।

৬. স্বপ্নের বিশ্লেষণ

স্বপ্ন বিশ্লেষণ একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে পরিচিত। এটি আমাদের আত্ম-জ্ঞান ও উপলব্ধির উন্নতি করতে সাহায্য করে। স্বপ্নের চিত্র এবং অনুভূতির বিশ্লেষণের মাধ্যমে, আমরা আমাদের ভেতরের চিন্তা এবং ইচ্ছাগুলো সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে পারি।

৭. স্বপ্ন এবং মানসিক স্বাস্থ্য

স্বপ্নের অভিজ্ঞতা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। ইতিবাচক স্বপ্ন মানুষের মনোভাবকে উন্নত করতে সাহায্য করতে পারে, যেখানে নেতিবাচক স্বপ্ন (যেমন রাতে দুঃস্বপ্ন) উদ্বেগ এবং বিষণ্নতার সৃষ্টি করতে পারে। তাই, আমাদের স্বপ্নের অভিজ্ঞতা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ।

ড্রিম থিওরি আমাদের স্বপ্নের মধ্যে লুকিয়ে থাকা মানে ও অনুভূতিগুলো বিশ্লেষণ করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। ফ্রয়েডের তত্ত্ব, উদ্বেগের প্রতিফলন, মেমরি প্রসেসিং এবং সৃজনশীলতার সঙ্গে স্বপ্নের সম্পর্ক আমাদের মনের গভীরতা ও জটিলতা বুঝতে সাহায্য করে। স্বপ্নের বিশ্লেষণ করে আমরা নিজের সম্পর্কে আরও গভীরভাবে জানতে পারি এবং আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে পারি। স্বপ্নকে কেবল রাতের কল্পনা ভাবা উচিত নয়; বরং এটি আমাদের অবচেতন মনের দরজা খোলার একটি মাধ্যম।

12/09/2024

জীবনের সেরা কিছু নিয়ম

১. বন্ধু-বান্ধ‌বের সংখ্যা কম রাখা। আপ‌নি হয়‌তো একটা কথার সা‌থে প‌রি‌চিত যে বাঁশ সর্বদাই আপন মানু‌ষেরাই দেয়। সেই আপন মানু‌ষের কাতা‌রের প্রথম স্থা‌নে থা‌কে সব‌চে‌য়ে কা‌ছের বন্ধু-বান্ধ‌‌বেরাই। তারপ‌রে থা‌কে আত্মীয়সজ‌নেরা। তাই বন্ধু-বান্ধব থেকে নিজেকে রক্ষা করার দায়িত্ব আপনার নিজের।

২. বিবা‌হিত না হ‌লে রু‌মে একা থাকুন (য‌দি আপনার প‌রিবা‌রের প‌ক্ষে একা একটা রুম ডিজার্ভ করা সম্ভব না হয় সে ক্ষে‌ত্রে বিষয়টা আলাদা) আর কা‌ছের বন্ধু-বান্ধব যা‌দের প্র‌তি আপনার আস্থা র‌য়ে‌ছে এমন বন্ধু ছাড়া এক-দু‌দি‌নের প‌রিচয় এমন বন্ধু‌দের নি‌য়ে কোথাও বেড়া‌তে যাবেন না।

৩. বারবার ভুল করুন। প্র‌তিবার ভুল করুন ক্ষ‌তি নেই! ত‌বে ভু‌লের মাধ‌্যমে শিক্ষা নি‌তে ভুল কর‌বেন না। একটা কথাই আ‌ছে ‌শেখার কোন বয়স নেই। আর শেখার জন‌্য সুদুর চীন দে‌শে যে‌তে হ‌লে তাই যাও। তবুও থে‌মে থে‌কো না!

৪. অন্যের ব‌্যাপা‌রে চিন্তা করা বাদ দি‌তে হ‌বে। স্রষ্টা যখন নি‌জেই তার সৃ‌ষ্টি‌কে এই ধরনী‌তে পা‌ঠি‌য়ে‌ছেন ত‌বে তি‌নিই তার রি‌জি‌কের ব‌ন্দোবস্ত ক‌রে দি‌বেন। তাই ‌নি‌জের জন‌্য চিন্তা ক‌রো অ‌ন্যের কথা ভে‌বে বাড়‌তি প্রেসার নেয়ার কোন মা‌নেই হয়না। খোঁজ নিয়ে দেখ যার চিন্তায় তোমার নাজেহাল অবস্থা সেই তোমাকে ভুলে বিন্দাস চিল করে বেড়াচ্ছে।

৫. নি‌জের চরকায় নি‌জে‌কেই তেল ‌দি‌তে হ‌বে। আপনার খারাপ দি‌নে ‌কেউ আপনার পা‌শে থাক‌বে না! তাই সুস্থ থাক‌তে কিছু সম্পদ সংগ্রহ করুন। আপনার বিপ‌দের দি‌নে সেইগু‌লোই আপনার হয়ে যুদ্ধ কর‌বে। অনন্ত ১০% সেভিংস করবেন।

৬. প্রচুর বই পড়‌তে হ‌বে। কারণ, বই মানু‌ষের জ্ঞান‌কে সমৃদ্ধ ক‌রে। বই পড়‌লে নি‌জে‌কে নি‌য়ে যাওয়া যায় সেই সম‌য়ে যেখা‌নে যাওয়ার সৌভাগ‌্য আপনার হয়নাই। বই প‌ড়ে অসংখ‌্য এমন অ‌ভিজ্ঞতা হ‌বে যা ‌ঠে‌কে শিখ‌তে গে‌লে আপনার অ‌নেক টাকা লোকসান হ‌য়ে যা‌বে। তাই বলে পড়ালেখা করে সরকারি চাকরি করতে হবে এমন দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে চলবেনা।

৭. অ‌ন্যের সা‌থে কখ‌নো নি‌জে‌কে তুলনা কর‌বেন না! আপ‌নি ব‌্যা‌তিক্রম। স্রষ্টা আপনা‌‌কে ইউ‌নিক হি‌সে‌বেই তৈ‌রি ক‌রে‌ছেন। তাই নি‌জে‌কে খুঁজুন নি‌জে‌কে জানুন আর সেই মা‌‌ফিক নি‌জের জীবন প‌রিচালনা করুন।

ভা‌‌লো থাকুন সুস্থ থাকুন।

Address

Jhenida

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when রোগী কল্যান সমিতি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

নিউজ ঝিনাইদহ ডট কম সম্পূর্ণ ঝিনাইদহ তথ্য ও সংবাদ ভিত্তিক সাইট

প্রিয় ঝিনাইদহবাসী আস-সালামু ওয়ালাইকুম, আশাকরি ভালো আছেন, আমরা অত্যান্ত আনান্দের সাথে জানাচ্ছি যে, শুধুমাত্র ঝিনাইদহ জেলার সংবাদ ভিত্তিক অন লাইন নিউজ www.newsjhenaidah.comদীর্ঘদিন কারিগরী ত্রুটির জন্য বন্ধ থাকার পর গত ২৬ মার্চ থেকে সম্পুর্ন নতুন রুপে, ঝিনাইদহের আনাচে কানাচের, অলি গলির সকল সংবাদ সবার আগে নিয়ে, সত্য ও সঠিক উপস্থাপনায় আত্নপ্রকাশ করেছে। এ ব্যাপারে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝিনাইদহের সকল মানুষের মতামত, পরামর্শ, সহযোগীতা কামনা করছি। আপনি যদি ঝিনাইদহকে নিয়ে কিছু ভেবে থাকেন, ঝিনাইদহকে নিয়ে কোন স্বপ্ন দেখেন তাহলে আপনার কথা গুলো আমাদেরকে জানান। www.newsjhenaidah.com শুধু মাত্র ঝিনাইদহের তথা ঝিনাইদহবাসীর সংবাদ প্রকাশ করতে প্রতিশ্রুতি বদ্ধ। বিশ্বের যে প্রান্তে ঝিনাইদহবাসী আছে সেখানেই সংবাদ প্রকাশ করতে অথবা সংবাদ খুজতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমাদের সাথে যোগ দিন। ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, কলেজ, স্কুল, মাদ্রাসা, থানা, হাসপাতাল, সহ দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রবাসে আমাদের প্রতিনিধি খুজছি, আপনি যদি আমাদের এই প্রচেষ্টাকে ভালো মনে করেন, যদি আপনার এলাকার যে কোন খবর, তথ্য বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে চান তাহলে আমাদের সাথে যোগ দিন, আসুন ঝিনাইদহকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরি, ঝিনাইদহের সকল মানুষের কাছে সকল সংবাদ পৌছে দিই। আপনার মোবাইল নাম্বারসহ আমাদের সাথে ইনবক্সে যোগাযোগ করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন ঝিনাইদহের সাথে থাকুন ঝিনাইদহের পাশে থাকুন www.newsjhenaidah.com