আছরাঙ্গা দিঘীর সংক্ষিপ্ত ইতিহাস..
আছরাঙ্গা দীঘি বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নে রসুলপুর মৌজায় তুলসীগঙ্গা নদীর পাড়ে অবস্থিত।[১]
★ইতিহাস:
দীঘিটির সঠিক কোন ইতিহাস লিপিবদ্ধ না থাকলেও জানা যায় তৎকালীন রাজশাহী জেলার তাহিরপুর আদি রাজবংশের পুর্বপুরুষ ভট্টনারায়ণের ১৩শ বংশধর মৌন ভট্ট ৯ম শতকে এই দীঘিটি খনন করেন। জনশ্রুতি আছে যে আদিকালে অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধানের ক্ষেত পেকে
লাল রঙ ধারণ করত বলেই এই এলাকার নাম ক্ষেতলাল হয়েছে।
★পরিচয়:
মোট আয়তন ২৫.৫০ একর । ধারণা করা হয় প্রায় ১২০০ বছর পূর্বে ১১০০ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ১০৭০ ফুট প্রস্থ বিশিষ্ট এ দিঘীটি খনন করা হয়। ১৯৯২ সালে এ দিঘীটি পুনরায় খনন করা হয় এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতে দিঘীটিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে উদ্বোধন করেন। এ দিঘীটি খনন কালে ১২ টি মূর্তি পাওয়া গেছে যা বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। বর্তমানে দিঘীটির চর্তুদিকের পাড়ে একটি পাকা রাস্তা তৈরির কাজ চলছে ।
★প্রাকৃতিক সৌন্দর্য:
দীঘিটির চারপাশে চারটি বাধাই করা ঘাট আছে। শীতকালে বিভিন্ন প্রকার অতিথি পাখির আগমনে দীঘিটি হয়ে উঠে কলকাকলিতে ভরপুর।দিঘীটির চারদিকের অসংখ্য গাছ-পালা এবং এর স্বচ্ছ পানি এক মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি করেছে যা সকলকে আকৃষ্ট করে। প্রতি বছর অসংখ্য ভ্রমণ পিপাসু লোকের এখানে সমাগম ঘটে।
তথ্য :উইকিপিডিয়া।
Alerts
Be the first to know and let us send you an email when ক্ষেতলালের ঐতিহাসিক আছরাঙ্গা দিঘী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.