
07/05/2025
"আমার ব্রেকআপ চাই"
ফিহাল বলল, থাপ্পর চিনিস থাপড়িয়ে গাল লাল করে ফেলব বেয়াদব মেয়ে কোথাকার ।
পুষ্প রাগে ফুঁসে উঠে আবার বলল, আসছে থাপ্পর মারতে তুই থাপ্পড় চিনিস না চিনলে আয় চিনিয়ে দেই অসভ্য পুরুষ হুহ ।
ফিহাল পুষ্প কে পাত্তা না দিয়ে বলল, দেখ আর যাই কর ব্রেকআপ জীবনে পাবি না । ঝগড়া করতে চাস কর কিন্তু ব্রেকআপের কথা মুখেও আনবি না ভালোবাসি তোকে কোনো ফাজলামো করতাছি না । তুই আমার কোনো খনিকের মোহ না যে এই শুরু তো এই শেষ । তুই আমার জীবনের প্রথম ও শেষ নারী। তুই আমার রাত্রি ফুল।
পুষ্প এবার একটু শান্ত হলো এবং ফিহালের কাঁধে মাথা রেখে পড়ন্ত বিকেলের নদীর পাড়ের প্রকৃতির সৌন্দর্যের দিকে চেয়ে রইল,বেশ কিছুক্ষণ নিরবতার পর ফিহাল আবার বলল , কি হইছে জান বলনা এরকম আপসেট হয়ে আছিস কেন কেউ কিছু বলেছে ।
এবার পুষ্প ফুঁপিয়ে উঠলো ফিহাল আঁকড়ে ধরে বলল , আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচবো না প্লিজ কিছু করো আমি পারছি না এত স্ট্রেস নিতে । পাপা তোমার আর আমার বেপারে জেনে গেছে এবং বলে দিয়েছে তোমাকে মেনে নিবে না কারন তুমি স্টুডেন্ট বেকার তার উপর সমবয়সী।পাপা আমার কলেজ যাওয়াও বন্ধ করে দিয়েছে। আমি লুকিয়ে এসেছি আজকে ।আমার জন্য অন্য জায়গায় সমন্ধ দেখছে । আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কাওকে মানতে পারবো না । প্লিজ কিছু করো।
ফিহাল পুষ্পের অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার কথা শুনে বুকটা ধক করে উঠলো পুষ্প কে আরো গভীরভাবে জরিয়ে ধরে বলল , আরে পাগলী কাঁদছিস কেনো আমি আছি না আমার উপর বিশ্বাস রাখ সব ঠিক করে দিবো আমি । কাঁদিস না জান প্লিজ । তুই কাঁদলে যে আমার বুকের মধ্যে গিয়ে লাগে কাঁদিস না রাত্রি ফুল।
ফিহাল পুষ্প কে বুক থেকে সরিয়ে পুষ্পর কপালে ওষ্ঠ ছোঁয়ালো । তারপর পুষ্প কে বুঝিয়ে শুনিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে চিন্তায় মগ্ন হলো কিভাবে তার রাত্রিফুল কে হালাল করে নিতে পারবে ।গত তিন বছরের তাদের এই প্রনয়নের সম্পর্ক ।
বেশকিছু দিন পার হয়ে গেল রোজার মাস চলছে
। পুষ্প আর ফিহাল দুজনেই পরিবারের সাথে যুদ্ধ করছে একে অপরকে পাওয়ার জন্য । দুজনেই প্রায় নাওয়া খাওয়া ভুলে গেছে । প্রতিনিয়ত পরিবারকে মানানোর চেষ্টায় আছে। এরমধ্যেই ফিহাল জানালো তার পরিবার মেনে নিয়েছে তাদের সম্পর্ক । তারা বলেছেন আকদ্ করিয়ে রাখতে তারা রাজি কিন্তু তারা পড়াশোনা শেষে উঠিয়ে নিয়ে যাবে । কিন্তু পুষ্পর পরিবার মানছে না। রোজার প্রায় শেষ হতে চলল । পুষ্প প্রতিনিয়ত না খেয়ে থাকার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে শরীরের হাড় বেরিয়ে এসেছে । পুষ্প এখন বেশিরভাগ সময়ই শুধু আল্লাহর কাছে তার একান্ত মানুষটিকে চায় হালাল রূপে । ফিহালের সাথেও প্রায় তার যোগাযোগ বন্ধ কারন তার ফোন নিয়ে নেওয়া হয়েছে । রোজার আর কয়েকদিন বাকি পুষ্প ইফতারের শুধু একটু পানি মুখে দিয়ে রোজা খুলে বিছানায় এসে উপুড় হয়ে শুয়েছিল , হঠাৎ তার মা ঘরে এসে পুষ্প কে বলল, কিরে শুয়ে আছিস কেন ? তাড়াতাড়ি উঠে জামাকাপড় ছেড়ে ভালো জামা কাপড় পরে রেডি হয়ে নে । তোকে ছেলের বাড়ি থেকে দেখতে আসবে ।
পুষ্প তৎক্ষণাৎ মাথা উঁচু করল এবং চোখ টলমল করছে যেকোনো মুহূর্তে পানি গড়িয়ে পড়বে।তার মাকে বলল, আম্মু এটা কিভাবে পারছো তোমরা। তোমরা খুব ভালোমতো জানো আমি ফিহালকে ভালোবাসি আমার পক্ষে ফিহাল ব্যতিত অন্য কাওকে বিয়ে করা সম্ভব না ।চলে যাও এখান থেকে আমি কোথাও যাব না ।
পুষ্পর মা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, দেখ এত কথার সময় জলদি তৈরি হো । নাহলে কিন্তু তোর পাপা আসবে । শুধু শুধু সিনক্রিয়েট করে আমাদের মান সম্মান নিয়ে টানাটানি করিস না। এখানে শাড়ি আর গয়না রাখা আছে সুন্দরভাবে তৈরি হয় নিচে আয় ।
পুষ্প তার মায়ের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চিৎকার করে বলল,যাকে খুশি তাকে ডাকুন আপনাদের কাছে আপনাদের মেয়ের থেকে আপনাদের মান সম্মান বড় আপনাদের চোখে আমার কষ্টটা চোখে পড়ছে না আমার বুকের হাহাকার আপনাদের চোখে পড়ছে না।
পুষ্প চিৎকার করতে করতে তার মায়ের আনা শাড়ি গয়না গুলো নিচে ছুড়ে ফেলছিল তখনই তার পাপা দরজার সামনে এসে বলে, কি হচ্ছে এগুলো এটা কি কোন ভদ্র মানুষের বাড়ি । চুপচাপ তৈরি হয়ে নিচে নেমে আসো আমি তোমার সাথে কোন প্রকার চিল্লাচিল্লি করতে চাই না। তুমি খুব ভালোমতোই জানো আমি কি করতে পারি তাই যা বলছি চুপচাপ মেনে নাও। পুষ্পর মায়ের দিকে ঘুরে বলল , মেয়েকে তৈরি করে নিয়ে আসো তারা অপেক্ষা করছে।
তারপর পুষ্পের মা পুষ্পকে জোর করে তৈরি করে নিচে নিয়ে গেল। পুষ্প যেন এক পুতুল হয়ে গেছে। তাকে পাত্রপক্ষের সামনে নিয়ে বসানো হলো। কিন্তু পুষ্পর দৃষ্টি মাটিতে এক দৃষ্টিতে নিচে চেয়ে আছে। তার আশেপাশে কি হচ্ছে তার সামনে কে আছে না আছে সবই তার ভাবনার বাইরে । কিছু মুহূর্ত পর পাত্রপক্ষ ও পুষ্পর বাড়ির লোকজন ওদের দুজনকে আলাদা কথা বলতে পাঠালো। কিন্তু পুষ্প তখনও ছিল অনুভূতি শূন্য। সে তখনও পাত্রের দিকে চেয়ে দেখেনি। পুষ্পকে তার মা বলল তার ঘরে নিয়ে যেতে পাত্রকে সেখানে গিয়ে কথা বলতে পুষ্প তাই নিয়ে গেল।
পুষ্প পাত্রের না তাকিয়ে তাকে বলল,দেখুন আমি এই বিয়েতে একদম রাজি না আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি এবং তাকে ছাড়া অন্য কাউকে আমার স্বামী হিসেবে মেনে নেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না।
পাত্র এইবার বলল, আমাকে না দেখেই রিজেক্ট করে দিচ্ছেন মিস ।একটু অন্তত দেখে নিন পড়েনা আবার আফসোস করতে হয় ।
পাত্রের কণ্ঠস্বর শুনে পুষ্প তৎক্ষণাৎ পাত্রের মুখের দিকে চাইলো। এবং সে হতভম্ব হয়ে গেল। সে বলল, তুমি?
ফিহাল এইবার হেসে বলল, তা কি ভেবে ছিলেন মিস এত সহজেই আপনাকে ছেড়ে দেবো এত সহজে আপনাকে অন্যের হয়ে যেতে দিব এতই সস্তা বুঝি।
পুষ্প তৎক্ষণাৎ ফিহালের উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো তাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল আর কাঁদতে লাগলো আর বলল , আই মিস ইউ সো মাচ আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়ে ছিলাম ভেবেছিলাম আর বুঝি তোমাকে পাওয়া হবে না।
হঠাৎ পুষ্প কান্না থামিয়ে এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করলো ।ফিহাল হতভম্ব নেত্রে পুষ্প আটকানোর চেষ্টা করলো ,সে বুঝতে পারছিলো না পুষ্পের এরকম অচরনের মানে , এরমধ্যেই পুষ্প পা পিছলিয়ে ফিহালের উপরে পড়লে ফিহাল টাল সামলাতে না পেরে বিছানায় গিয়ে পড়ল আর পুষ্প তার বুকের উপর। এখনো পুষ্পের মার দেওয়া থেমে নি । এইবার ফিহাল খুব শক্ত করে পুষ্প কে দুহাতে আঁকড়ে ধরল। পুষ্প এবার আর পুরুষালি শক্তির সাথে পেরে উঠল না। ফিহাল বলল, কি হয়েছে এরকম করছিস কেন আমাকে কি আর ভালো লাগতেছে না
পুষ্প ভেজা চোখে বলল, তুমি জানো আমার কি অবস্থা হয়েছিল তুমি আমাকে একবার জানালে না কেন ? আমার কত কষ্ট হচ্ছিল।
ফিহাল মুচকি এসে বলল, আরে বাবা বলে দিলে কি আর সারপ্রাইজ থাকতো তুমি এভাবে সারপ্রাইজড হয়ে যেতে
পুষ্প বলল, হয়েছে সারপ্রাইজ দেওয়া আমিও সারপ্রাইজড হয়ে গেছি এখন উঠতে দেও কেউ দেখে ফেলবে ।
ফিহাল এইবার দুষ্টুমির স্বরে বলল, থাকো না এভাবেই ভালই তো লাগছে আর কে দেখবে আর দেখলে দেখুক আমি আবার বউয়ের কাছে আছি আমি ও বলে দেবো ।
পুষ্প হেসে বলল , না মশাই এখন আপনার বউ হইনি আগের দিন কবুল হলে বউ হবে গ্রহণ করুন তারপর বউ বলে অধিকার ফলাতে আসবে না এর আগে নয়।
পুষ্প এই বলেই ফিহালকে কিছুটা ধাক্কা দিয়েই সরিয়ে উঠে বসলো।
এবার কিছুটা সিরিয়াস মুডে ফিহালকে বললো, সবই তো বুঝলাম কিন্তু পাপাকে কিভাবে ম্যানেজ করলে। আমাকে তো তুমি কিছুই জানালে না। বলো না কিভাবে কি হলো
ফিহাল ও বলল, এখন এসব বাদ দাও কিভাবে কি হলো না হলো তা পরে জানা যাবে এখন শুধু আমাদের বিয়েতে কন্সেন্ট্রেট করো । বিয়ের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি তৈরি হয়ে নিন ম্যাডাম এবার আর কোন লুকোচুরি নয় একদম সকলের সামনে দিয়ে আপনাকে তিন কবুল বলে নিজের করে নেব ।
পুষ্প ফিহালের কথা শুনে কিছুটা হাসলো।
_______________
আজ পুষ্পর ফিহালের বিয়ে সম্পূর্ণ হলো দীর্ঘ ৩ বছরের ভালোবাসা আজ পূর্ণতা পেল। আজকে ওদের শুধু আকদ্ হল দুজনেরই পড়াশোনা শেষে আবার বড় করে অনুষ্ঠান করে বিয়ে হবে। আজকে যেহেতু ওদের আকদ্ হয়েছে। তাই পুষ্পের বাসাতেই আজকে ফিহালকে থাকতে দেওয়া হয়েছে । পুষ্প কাজিনরা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে। পুষ্প সেখানে চুপটি করে লাল বউ সেজে তার স্বামীর জন্য অপেক্ষা করছে। আজ তার মনে এক আলাদা অনুভূতি। একদিকে নিজের ভালোবাসার মানুষকে সারা জীবনের জন্য হালাল রূপে পাওয়া। অন্যদিকে নতুন জীবনের জন্য এক অজানা আতঙ্ক সব মিলেমিশে এক অদ্ভুত অনুভূতি তৈরি হচ্ছে তার মনে।
এরই মধ্যে দরজার আওয়াজ পেলো পুষ্প বুঝলো ফিহাল এসেছে।ফিহালের মনেও আজ আনন্দের এক আলাদা অনুভূতি অনুভূত হচ্ছে গত তিন বছরের ভালোবাসা কে আজ সে হালাল রূপে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে পেরেছে হাজারো লড়াইয়ের পরে। পুষ্পর কাছে গিয়ে খাটে বসলো আস্তে করে পর ঘোমটাটি সরালো । পুষ্পর থুতনিতে হাত দিয়ে মুখটি তুললো এবং তার মুখ দিয়ে অস্ফুট স্বরে বের হয়ে এলো, "মাশাল্লাহ"
পুষ্পকে যেন আজ সকল অজানা লজ্জা ঘিরে ধরেছে তার মুখটি লাল আভায় ঘিরে উঠলো । পুষ্পর কপালে নিজের ওষ্ঠের প্রথম হালাল ছোঁয়া দিল। ফিহাল পুষ্প কে বলল, রাত্রি ফুল চেঞ্জ করে আসো আজ আমাদের ভালোবাসা পূর্ণতা পেয়েছে আল্লাহ দরবারে তার শুকরিয়া জানাতে হবে তো। নফল নামাজ এই ভারি জামা কাপড় ছেড়ে হালকা জামা কাপড় পড়ে আসো।
পুষ্প হ্যাঁ বোধক মাথা নেড়ে ওয়াশরুমে চলে গেল চেঞ্জ করতে। চেঞ্জ করে এসে দুজনেই আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করল। তারপর দুজনেই বারান্দায় গেল কিছুক্ষণ চন্দ্র বিলাস করতে। ফিহাল বসে আছে তার বুকে এই পিঠ ঠেকিয়ে পুষ্প তাকিয়ে আছে সেই দূর আকাশের চাঁদের দিকে আর ফিহাল তাকিয়ে আছে তার রাত্রি ফুলের দিকে ।
নীরবতা ভেঙে পুষ্প বলল, এবার তো অন্তত বলো কিভাবে পাপাকে মানালে ।
ফিহাল মুচকি সে বলল ,জানাই লাগবে?
পুষ্প হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ল।
ফিহাল বলতে শুরু করলো, আমি তোমার বিরহে আর থাকতে পারছিলাম না সবকিছু দম বন্ধ লাগছিল ইচ্ছে করছিল সবকিছু ছেড়েছুড়ে তোমাকে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু তাও পারছিলাম না তাই তোমাকে দেখতে যাওয়ার দুদিন আগেই সিদ্ধান্ত নেই তোমার বাবার সাথে আমি নিজে একান্তে দেখা করবো। আর তাই করলাম সেদিন আমি তার অফিসে গিয়ে.......
পুষ্পর পাপা গম্ভীর মুখে বসে আছে, তার সামনে বসে আছে ফিহাল। পুষ্প পাপা নিরবতা ভেঙ্গে বললেন , বলো কি বলতে চাও । আমার অফিসে কেনো এসেছো ।
ফিহাল এইবার কিছুটা সাহস পেয়ে বলতে লাগল , দেখুন আঙ্কেল আপনার দিক থেকে আপনি একদম ঠিক আছেন । প্রত্যেক বাবাই চায় তার মেয়েকে যোগ্য পাত্রের হাতে তুলে দিতে । কিন্তু আঙ্কেল কখনো কখনো সন্তানের ইচ্ছেকেও প্রাধান্য দিতে হয় । কারন তার খুশি ঠিক কোথায় সেটা সেই বলতে পারবে । আমি আপনার মেয়েকে ভালোবাসি । আমার জীবনে আমার মায়ের পরেই সেই প্রথম নারী যাকে আমি আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবাসি । আপনার মেয়ে আর আমি চাইলেই পালিয়ে যেতে পারতাম । কিন্তু আমারা সেটা চাই না আমরা চাই বাবা মায়ের দোয়া নিয়ে পবিত্র বন্ধনে আবদ্ধ হতে। আমি জানি আমি যোগ্য নই় আমরা সমবয়সী কিন্তু আমি আপনাকে ওয়াদা করছি আপনার মেয়ের যোগ্য হতে যা করা লাগে আমি সব করতে রাজি। যে করেই হোক আমি নিজেকে যোগ্য করে তুলব তবুও দয়া করে আমার রাত্রি ফুলকে আমার হাতে তুলে দিন। আমি সারা জীবন আপনার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব । আমি যে আমার রাত্রি ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ।
পুষ্পর পাপা ফিহালের কথা সবই শুনলেন মনোযোগ দিয়ে এবং বললেন, যদি এ সম্পর্ক আমি মেনে না নেই কি করবে তাহলে যদি আমি পুষ্প কে অন্যত্র কোথাও বিয়ে দিয়ে দেই ।
ফিহালের না পেরে পুষ্পর পাপার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধে স্বরে ভেজা কন্ঠে বলল, আঙ্কেল আমি জানিনা আমি কি করবো? জানিনা বাঁচতে পারব কিনা তাও জানিনা। আঙ্কেল আমি যে রাত্রি ফুল ছাড়া অসম্পূর্ণ সেই রাত্রিফুলকে যদি না পাই তাহলে হয়তো আমার বাচা সম্ভব নয় আর যদিও বেঁচে যাই সেই বাচাকে বাঁচা বলা হবে না জীবন্ত লাশ হয়ে থাকতে হবে । আঙ্কেল দয়া করে আমার রাত্রিফুলকে আমার কাছে দিয়ে দিন আমি কথা দিচ্ছি সারা জীবন ওর গায়ে একটা ফুলের টোকাও লাগতে দিবনা খুব আগলে রাখবো খুব যত্নে রাখবো কথা দিচ্ছি আমি।
পুষ্পর পাপা এইবার মুচকি হেসে ফিহালের হাত ধরে বললেন , যাও দিয়ে দিলাম তোমার রাত্রিফুলকে বাবা মাকে নিয়ে এসো তাদের সাথে কথা বলে তোমাদের কাবিনের দিনটি ঠিক করব ।
ফ্লাসব্যাক শেষ
------------------------
পুষ্প খুব অবাক হয়ে বলল , আপাতত সহজেই মেনে গেল কই আমি যে এতবার করে বোঝালাম এত কান্নাকাটি করলাম কই মানলো না তো।
ফিহাল হেসে বলল , তোমার পাপা অনেক আগেই মেনে গিয়েছিল কিন্তু সে চেয়েছিল যেন আমি নিজে গিয়ে তোমার পাপার কাছে রিকোয়েস্ট করি । তোমার পাপা তার মেয়ের কষ্ট দেখে এই অধমের প্রতি ভালোবাসা দেখে অনেক আগেই গলে গিয়েছিল । একমাত্র আদরের মেয়ে কি না তারপরও সে বাবা যাচাই-বাছাই তো করতেই হবে তাই আর কি এত কিছু।
পুষ্প ও এইবার হেসে উঠলো ফিহাল এর সাথে । ফিহাল এইবার পুষ্প চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলো। পুষ্প খানিকটা কেঁপে উঠলো । ফিহাল পুষ্পকে আরেকটু ভালোভাবে আঁকড়ে ধরে চুলে মুখ ঢুবিয়ে রেখেই নেশালো কন্ঠে বলল, জান শুধু চন্দ্র বিলাস আর গল্প করে কি রাতটা কাটাবো।
পুষ্প কে সকল লজ্জা ঘিরে ধরল সে কিছুই বলবো না চুপ করে রইল ফিহাল আরো গভীরভাবে নিঃশ্বাস নিয়ে পুষ্পর কাঁধ থেকে চুল সরিয়ে ওষ্ঠ ছোঁয়ালো নেশালো কন্ঠে আবারো বলল, জান নিরবতাই কি সম্মতির লক্ষণ হিসেবে ধরে নেব ।
পুষ্প লজ্জায় কিছুই বলতে পারল না নিজের সম্মতি বোঝাতে ফিহালের বুকে মাথা লুকিয়ে তাকে আঁকড়ে ধরে বুঝিয়ে দিল। ফিহ়াল সম্মতি পেয়ে পুষ্পকে পাঁজা কোলে করে তুলে নিল এবং বারান্দা থেকে বেরিয়ে রুমের উদ্দেশ্যে গিয়ে পুষ্পকে খাটে নিয়ে শুইয়ে তার উপর নিজের হালাল ছোঁয়ায় ভরিয়ে দিতে শুরু করুন। ফিহাল তার রাত্রে ফুলকে হালাল ভাবে নিজের অধিকার করে নিলো ☺️।
. সমাপ্ত..
#তোমাতে_আমি_সম্পূর্ণ
আমি একজন পাঠিকা । লেখালেখি জগতের সম্পর্কে আমার ধারণা খুবই কম। আমি এখানে নতুন শখের উপর সেই অনু গল্পটি লেখা যদি কোন ভুলত্রুটি থেকে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। এবং আপনাদের যদি অনুগল্পটি ভালো লেগে থাকে তাহলে প্লিজ আপনাদের উৎসাহমূলক কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন আমি এর পরে আরো ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।