08/12/2024
ছোটবেলার আমার অনেক সুন্দর মেমোরিবল কোনো স্মৃতি মনে নেই। যা সব মনে আছে সব কষ্টের, হেরে যাওয়া, আনডিসাপয়েন্টেড আর বিরক্তিকর। এজন্যে বোধহয় আমি আমার ছোটবেলার কোন কিছু এখন আর মনে আনি না। আনি না বলতে আসে না!
এখন বলছি কারন আছে বলা হবে না আর কোন দিন তাই । হয়তো আমি না ও থাকতে পারি আর।
খেলার মাঠ থেকে শুরু করে পড়ালেখা কোনটাতে আমি বরাবরে মোটামুটি লেভেলেরও ছিলাম না বোধহয়, তবু ও মোটামুটি খেলতে পারতাম কোনরকম ফুটবল খেলাতে আমি কখনো মিডেলে কিংবা সামনে গিয়ে খেলতে পারিনি। শুধু গোলকিপারের আগে আমিও একটা গোলাকিপার হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। মনে করতাম আমার হাতে সব দায়িত্ব..
স্কুলে কখনো কোন ক্লাসমেট বা বন্ধু ব্যাগ রেখে আমার জন্যে লাস্টব্যাঞ্চের সেই রাজকীয় টুলে সিট রাখবে তেমন কোন স্মৃতি আমার মনে নেই।
হইতো আমি লাস্ট ব্যাঞ্চের ও লাস্টে একলা বসে নিজের সাথেই আনন্দ করতাম।
লাকের ব্যাপারে বলতে গেলে, পরীক্ষার হলে আমার কখনো একেবারে লাস্টের দিকে সিট পড়েছে এমন কোন নজির নেই। হয়তো একেবারে স্যারের সামনে মাথা গুজ করে লিখার ভান ধরে বসে আছি, নইতো মাঝখানে এমন কারো সাথে সিট পড়ছে যাকে আমার কাছে "থ্রি ইডিয়ট" এর সাইলেন্সার মনে হতো। শালাই খাতার চারদিকে চারটা পারমাণবিক বোমা ফিট করে রেখেছে। একটা দেখতে যাবো "বুম"..
পরীক্ষার মার্ক কত আসত তা বলে লজ্জা পেতে চাই না, বাদ দেই!
বাবা মায়ের আদরের ছেলেটা ক্লাস ওয়ান থেকে টুপ করে যখন ক্লাস থ্রি তে একলাফে উঠে গেল, সেই সাথে সেই আদরটাও টুপ করে অন্যের সন্তানের কাছে চলে গেল। একটু বেশি বড় লাফ দিয়ে ফেলেছিলাম হোঁচট খেয়ে সোজা খালে পড়ে গেলাম!
ক্লাস ওয়ান এর যখন আমার রোল ২ হলো আর ইংরেজি মেডাম এর মেয়ে ও আমাদের সাথে পরতো ওই সময় মেডাম এর মেয়ের রোল নম্বর হয় ৪ সেখানে আমার রোল ৪ দিয়ে সে নিজের মেয়ের রোল ২ দিয়ে দেয় এর পর থেকে ।
ক্লাস ওয়ানের ফাস্ট বয় থেকে একেবারে সোজা ক্লাস থ্রি লাস্ট বয়। এটা দেখে আদর টা কমতে কমতে একেবারে নাই হয়ে গেল। তবুও অনেক চেস্টা করেছি ওনাদের খুশি করতে, তবুও পারিনি! হয়তো বিগড়ে গেছিলাম এজন্যে... 💔
ক্লাসমেটদের পকেটে কেও ২০ টাকা দেখাতো, আর আমি এক কোণে দাঁড়িয়ে ১০ টাকাটা দেখতাম। বাবা আমাকে মাঝে মাঝে ২০ টাকা দিয়েছে ।
বাবা সব সময় ২০ টাকাই দিতে চাইতো কিন্তু ব্যবসায় বিরাট বড় লস খেয়েছিল ওই সময় । সে তার সাধ্য অনুযায়ী সব সময় আমাকে ভালবেসেছে।
যখন আমার রোল দুই থেকে চার দিয়েছিল আমার মন অনেক খারাপ ছিল তখন বাবা আমার জন্য একটা হেলিকপ্টার কিনে নিয়ে এসেছিল খেলনার
তাকে আমি দারুণ খুশি ছিলাম।
এর পর স্কুল ছুটির পর ওই ১০ টাকা দিয়ে স্কুল থেকে বের হয়ে তিন রাস্তার মোড়ে এক ফুচকা ওয়ালা মামার থেকে ফুচকা কিনে খেতাম। আর ওটা ছিল আমার প্রতিদনকার ফুচকা ওয়ালা মামা এর ফাইভ স্টার টিফিন।
আসলে জীবন কেমন কঠিন, আর নিজেকে একা একা কতটা বড় করতে হবে তা ক্লাস ওয়ানের পর থেকে বুঝে ফেলেছিলাম। কিন্তু উপরওয়ালা আমাকে হারিয়ে দেননি, নিজেকেও হারতে দেয়নি।
আসলেই আমার ছোটবেলাটা অনেকের মতো মসৃণ ছিল না। ছিলো একটা দুঃস্বপ্নের মতোই কিছুটা...
এখন হয়তো অনেক কিছু বদলাতে পারি, কিন্তু তখন ছোট ছিলাম কিছুই চেঞ্জ করতে পারিনি।
পারিনি মিডফিল্ড থেকে বল নিয়ে দৌড়ে গিয়ে গোলাকিপারে হাতের বাইরে দিয়ে গোল করে সবার করতালি শুনতে। এজন্যে আর আমার কখনো মাঝখানে খেলা হয়নি..
আসলে একটা সময় আমি জীবনে কিছুই ছিলাম না.. হতে পারিনি!
আজ - ৯/১২/২০২৪ রাত ৩:২৯
কিন্তু সময় সকল কিছু বদলে দেই, আজ থেকে ৫ বছর পড় কে আমার জীবন থেকে চলে যাবে বা থাকবে তা দেখার অপেক্ষায়।😌
When i look back to my past about those days, i thought about my losernees. But sadness will not last forever. My Happier day's are on the way. Just have to keep clam, smile and move on! 😊