কচুয়া টাইমস / Kachua Times

কচুয়া টাইমস / Kachua Times অজ্ঞতা, অন্ধকার, অসাম্য,দলীয় মতভেদ দূর করে কল্যাণের কচুয়া সবার জন্য গঠনে অংগীকারাবদ্ধ কচুয়া টাইমস ।

16/02/2025

দরবেশগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরামের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের (৭৫ বছর পূর্তিতে) প্লাটিনাম জয়ন্তী-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষ্যে স্মরণিকায় প্রকাশের জন্য

লেখা আহ্বান

সুধী
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ।
দরবেশগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন-বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী-২০২৫ উপলক্ষে স্মরণিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। সৃজনশীল কর্মে সংযুক্তির মাধ্যমে নিজেদের স্মরণীয় করে রাখতে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের অপ্রকাশিত সাহিত্যকর্ম আহ্বান করা যাচ্ছে। জমাকৃত লেখার মধ্য থেকে বোর্ডকর্তৃক নির্বাচিত রচনা নিয়ে স্মরণিকা প্রকাশিত হবে।

লেখার বিষয়বস্তু:

১. বিদ্যালয় নিয়ে স্মৃতিকথা
২. নিজস্ব ক্যারিয়ার বা পেশাগত জীবনে উল্লেখযোগ্য অভিজ্ঞতা
৩. ছোটগল্প
৪. প্রবন্ধ
৫. স্বরচিত কবিতা/ ছড়া
৬. ধর্ম/ ইসলাম বিষয়ক লেখা (কোরআন-হাদিসের আলোকে)
৭. ভ্রমণ কাহিনী
৮. ইতিহাস ঐতিহ্য আগামীর সম্ভাবনা: প্রসঙ্গ বাংলাদেশ
৯. স্বপ্ন, পরিকল্পনা ও সম্ভাবনা: দরবেশগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়
১০. আগামীর কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা
১১. চিত্রাঙ্কন: সাবেকগনের ছেলে মেয়ে, বয়স: সর্বোচ্চ ১০ বছর

লেখার নিয়ম/শর্তাবলী:
১. প্রবন্ধ/ ছোটগল্প/ স্মৃতিকথা/ অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত রচনা সর্বোচ্চ দুই হাজার শব্দ
২. কবিতা/ ছড়া সর্বোচ্চ বিশ চরণের মধ্যে রচিত
৩. ওয়ার্ড ফাইল/ পিডিএফ ( সুতন্নি এমজে ফন্ট/ ইউনিকোড)
৪. লেখার নিচে নিম্নোক্তভাবে লেখকের পরিচিতি উল্লেখ করতে হবে:
ক) নাম
খ) ব্যাচ/পাশের সন
গ) পেশা
ঘ) ফোন নম্বর
৫. স্পষ্ট অক্ষরে হাতে লেখা কিংবা কম্পোজকৃত লেখা নিম্নোক্ত ঠিকানায় জমা দেয়া যাবে।

লেখা পাঠানোর ইমেইল: [email protected]

হার্ড কপি জমা দেয়ার ঠিকানা: ডা. জি. এম. মাহবুব উল্লাহ , চেম্বার, দরবেশগঞ্জ বাজার, কাদলা, কচুয়া, চাঁদপুর।মোবাইল : 01747 05 64 96

রেজিস্ট্রেশন বুথসমূহ, এছাড়াও নিম্নোক্ত মোবাইল নম্বরসমূহে যোগাযোগ করে লেখা জমা দেয়া যাবে।

লেখা পাঠানোর শেষ তারিখ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

* হার্ড কপি জমা দিতে প্রয়োজনে যোগাযোগের মোবাইল নাম্বার সমুহ:
১. মো: জাহিদ তপাদার,ব্যাচ-
মোবাইল : 01818 15 23 68
২. মো : আবু ছালেহ, ব্যাচ-২০০২
মোবাইল : 01918 710 773
৩. মো: মাহমুদুল হাসান মজুমদার, ব্যাচ- ২০০৬
মোবাইল : 01828 79 38 28
৪. মহিউদ্দিন মিয়াজী মাসুম, ব্যাচ-
মোবাইল : 01748 59 18 62
৫. ডা: মো,: জাহিদ,ব্যাচ-
মোবাইল : 01521 33 56 68
৬. ফাহমিদা, ব্যাচ-
মোবাইল : 01820 10 30 90
৭. রাসেল আরমান, ব্যাচ,-2010
মোবাইল : 01989 05 34 54

ধন্যবাদান্তে-

মো: নুরুল আমিন মজুমদার, ব্যাচ-১৯৭৬
আহবায়ক
স্মরণিকা প্রকাশনা সাব কমিটি
(৭৫ বছর পূর্তি প্লাটিনাম জুবিলী উদযাপন)
দরবেশগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ফোরাম

'হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ' নব্বই দশকের শেষের দিকে একটা বই লিখেছিলাম, বইটির নাম ছিল ‘হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদে...
04/07/2024

'হায়দারাবাদের পথে বাংলাদেশ'

নব্বই দশকের শেষের দিকে একটা বই লিখেছিলাম, বইটির নাম ছিল ‘হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ’। আমার জানা মতে ভারতের হায়দারাবাদ দখল নিয়ে বাংলাভাষায় লেখা সেটাই ছিল প্রথম ইতিহাস গ্রন্থ। সেখানে ভারত কিভাবে হায়দারাবাদ দখল করেছিল সেই ইতিহাস তুলে ধরে আশংকা প্রকাশ করেছিলাম, বাংলাদেশের পরিণতিও কি হায়দারাবাদের পথ ধরে এগোবে! বইটি প্রকাশ করেছিল, বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ বুক সোসাইটি লি:। বইটা এখন আর বাজারে নেই, প্রিন্ট ও পাওয়া যায়না। হয়ত দরকার নেই! কারন হিসাবে পুস্তক ব্যবসায়ীরা হয়তো ভাবেন ভারত তো হায়দারাবাদ দখল করে ‘হায়দারাবাদ’ নামটাকেই আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে! কে এসব বই পড়বে!

তবে আমার বিশ্বাস ইতিহাস বিলুপ্ত করা যায়না। শীঘ্রই হায়দারাবাদের ইতিহাস হয়ত বাংলাদেশ হয়ে ফিরে আসতে যাচ্ছে। তাই হায়দারাবাদ দখলের ব্লু প্রিন্ট ইতিহাস প্রত্যেকটি বাংলাদেশীর জানা অত্যন্ত জরুরী এবং প্রয়োজনীয় ছিল। হায়দারাবাদের করুন ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষকে অনেককিছু বলতে চায়, জানাতে চায়, সতর্ক করতে চায়! ইতিহাস কোনদিন বিলুপ্ত হয়না!

কি ছিল হায়দারাবাদ ট্রাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ বইটিতে
পৃথিবীর বিস্ময়, জ্যোতির পাহাড়, ‘কোহিনুর’ হীরার জন্মদাত্রী, হীরক-আকর সমৃদ্ধ গোলকুন্ডার কন্যা হায়দারাবাদ। গোদাবরী, কৃষ্ণা, তুঙ্গভদ্রা, পূর্ণা, ভীমা, পেনগঙ্গা, ওয়ার্ধা, মুসী, প্রানহিটা নদী বিধৌত সুজলা সুফলা দেশ হায়দারাবাদ।

ইতিহাস খ্যাত অজন্তা-ইলোরা গুহা। আওরঙ্গাবাদ, ওসমানাবাদ শহর। গোলকুণ্ডা, গুলবার্গ, ওয়ারাংগাল, রাইচুর, পারেন্দা, নলদূর্গ প্রভৃতি ঐতিহাসিক দূর্গের ঐতিহ্যমণ্ডিত হায়দারাবাদ। হীরক, স্বর্ণ, লৌহ, কয়লা, অভ্র প্রভৃতি মূল্যবান আকরিক সম্পদে সমৃদ্ধ হায়দারাবাদ। মক্কা মসজিদ, চার-মিনার সৌধ মসজিদ সহ পাঁচশ বছরের মুসলিম শাসনের আভিজাত্য সম্বলিত হায়দারাবাদ ,আজ নিঝুম গোরস্থানে নিভে যাওয়া এক প্রদীপের মত, নাম নিশানাহীন, ভারতশাষিত তেলেঙ্গানা অঙ্গ-রাজ্য মাত্র!
বাংলাদেশের আয়তনের তুলনায় বড় (৮২,৬৯৬ বর্গ মাইল) বিস্তৃত দেশীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সুবিশাল রাজ্য ছিল হায়দারাবাদ। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অধীনেও একধরণের স্বাধীন রাজ্য হিসেবে বিবেচিত হত দেশটি। হায়দারাবাদের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার ছিল। নিজস্ব মুদ্রা ছিল, সেনাবাহিনী ছিল, আইন আদালত ছিল, বিচার ব্যবস্থা ছিল, হাইকোর্ট ছিল, শুল্ক বিভাগ ছিল।

নিজস্ব বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, ভাষা ছিল। নিজস্ব স্বাধীন পতাকা ছিল, জাতীয় সঙ্গীত ছিল, দেশে দেশে নিজস্ব রাষ্ট্রদূত ছিল, এমনকি জাতিসংঘে নিজস্ব প্রতিনিধি ও ছিল। অর্থাৎ একটা স্বাধীন দেশের যা যা পদমর্যাদা থাকে, সবই হায়দারাবাদের ছিল। তাছাড়াও ১৯৩৫ সালের গভর্নমেন্ট অফ ইন্ডিয়া এ্যাক্টে হায়দারাবাদকে স্বাধীন মর্যাদা দান করে বলা হয়েছিল, দেশীয় রাজ্যগুলির পদমর্যাদা এবং স্বাভাবিক কার্যাবলী, স্বাধীন ভারতের কাছে রাজ্যগুলির অনুমতি ব্যতিরেকে হস্তান্তর করা যাবেনা। তারপরও নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারত, আন্তর্জাতিক সকল আইন-কানুন নর্ম উপেক্ষা করে, হায়দারাবাদে সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে দেশটি দখল করে নেয়, কিন্তু আজও তা স্বীকার করেনা । ওরা বলে জনগনের অনুরোধে পুলিশি এ্যাকশানকরে দেশটিতে শান্তি শৃঙ্খলা সংহত করা হয়েছে!

ভারত কি ভাবে হায়দারাবাদ দখল করলো:

নাজী হিন্দুত্ববাদী ভারতের আশপাশের রাজ্যগুলি দখল করার ইতিহাস দেখলে দেখা যাবে যে ,প্রথমে তারা কিছু এজেন্টের মাধ্যমে দেশের অভ্যন্তরে বিরোধ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তারপর সেই সুযোগে দূর্বল দেশটির উপর বলপ্রয়োগের মাধ্যমে দেশটি দখল করে নেয়। ৪৭সালের পার্টিশনের সময় যেমনটা আমরা দেখেছি, ত্রিবাঙ্কুরে, যোধপুরে, ভূপালে, জুনাগড়ে এবং হায়দারাবাদে। পরে সিকিমে।

ফিরে আসি হায়দারাবাদের কথায়। মুসলিম শাসিত হায়দারাবাদের জন্মলগ্ন থেকে দেশটির জনগন কোনদিন সাম্প্রদায়িকতা কাকে বলে জানতোনা। সেই হায়দারাবাদে হিন্দু মহাসভা, আর্য্য সমাজ প্রভৃতির শাখা সৃষ্টি করে ভারত সাম্প্রদায়িকতার বীজ বপন করা শুরু করলো।
বংশ পরম্পরায় প্রচলিত জাতীয় সংগীতের বিরুদ্ধে, গান্ধীজীর নির্দেশে, তার শিষ্য রামানন্দ তীর্থ, নরসীমা রাও (ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী), ওয়াই বি চ্যবন প্রমুখ, ‘বন্দেমাতরম’ কে জাতীয় সঙ্গীত করার আন্দোলন শুরু করে দিল।

মোগল আমল থেকে প্রচলিত হায়দারাবাদের নিজস্ব জাতীয় ভাষা, উর্দুভাষার পরিবর্তে হিন্দুস্থানি ভাষা প্রচলন করার দাবিতে ভাষা আন্দোলন শুরু করা হল। ষ্টেট কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রামানন্দ তীর্থর মাধ্যমে বর্ডার এলাকা গুলোতে অস্ত্রধারী ক্যাডারদের জড় করে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে, হায়দারাবাদের সীমান্ত অঞ্চলকে ফ্রীজোন ঘোষণা করলো।

তারপর, শ্রেণী সংগ্রামী নামধারী কমিউনিস্টদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তেলেঙ্গানা বিদ্রোহ সৃষ্টি করে হায়দারাবাদ দখলের প্রস্তুতিমূলক ড্রেস রিহার্স্যাল শেষ করলো! এবার দেশটি দখলের ফাইনাল মঞ্চায়নের পালা।
প্রথম ভাগে, বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে হায়দারাবাদ কে ভিতর থেকে অস্থিতিশীল এবং জনগনকে বিভক্ত ও দূর্বল করে ফেলা হল, যাতে করে সেনাবাহিনীর সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের পতন ঘটে।

প্রিয় পাঠক! আগ্রাসী ভারতের হায়দারাবাদ দখলের নক্সা বা ব্লু-প্রিন্ট পর্যালোচনা করলে, বর্তমান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক রাজনীতির বেশ কিছু সাদৃশ্য খুঁজে পাচ্ছেননা কি?

১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট স্বাধীন পাকিস্তানের ঘোষণা দেয়া হল।ঐ একইদিনে হায়দারাবাদও স্বাধীনতা ঘোষণা করলো। বর্ণবাদী হিন্দু নেতারা হায়দারাবাদের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারলনা! জওহরলাল নেহেরু হুঙ্কার দিয়ে বললেন ‘ যদি এবং যখন প্রয়োজন মনে করবো, হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করা হবে।’ নেহেরুর এই দাম্ভিক উক্তি সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ৩০ জুলাই তৎকালীন বৃটিশ বিরোধীদলীয় নেতা উইনস্টন চার্চিল কমন্স সভায় বলেছিলেন,
“Nehru’s threat to the language, which Hi**er might have used the devouring of Austria” (B K Bawa. The last Nizam).

দেশের ভিতরে নানান বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার পর ভারত ফাইনালি হায়দারাবাদ দখলে সেনা অভিযানের পরিকল্পনা করলো। লেঃ জেঃ ই এম গোর্দাদ , জিএসও সাউর্দান কমান্ড-এর উপর আক্রমণের প্ল্যান তৈরির ভার দেয়া হল। তাকে দেয়া হল —

১) একটি আর্মাড বিগ্রেড।
২) ১৭ ডোগরা রেজিমেন্টের থার্ড ক্যাভালরি ও নবম ব্যাটালিয়ন।
৩) নবম ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন সহ আরও ৩ টি ইনফ্যান্ট্রি ব্যটালিয়ন।
৪) ৪টি অতিরিক্ত ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন।
৫) ৩রেজিমেন্ট ফিল্ড আর্টিলারি ও একটি এ্যান্টি ট্যাঙ্ক রেজিমেন্ট।
৬) ১৮ ক্যাভালরি সার্ভিস মেইনটেইনেন্স ট্রুপস।
৭) বিপুল সংখ্যক ফোরম্যান ও ষ্টুয়ার্ট ট্যাংক।
৮) রয়্যাল ইন্ডিয়ান বিমান বাহিনী!

অপর পক্ষে হায়দারাবাদের ছিল মাত্র-
১) ১২ হাজার সেনা।
২) ৮ টি ২৫ পাউন্ডের কামান।
৩) ৩ রেজিমেন্ট সেনা যানবাহন।
৪) ১০ হাজার পুলিশ ও কাস্টম বাহিনী, ও কিছু জানবাজ বেসরকারি রেজাকার বাহিনী।

১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যেদিন পাকিস্তানের প্রাণপ্রিয় নেতা কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলি জিন্নাহ ইন্তেকাল করলেন, সমস্ত মুসলমান জাতি তখন শোকে মুহ্যমান, ঠিক সেই সময়টিকে হায়দারাবাদ আক্রমণের উপযুক্ত সময় হিসেবে বেছে নিলেন ভারতীয় খলনায়করা।
১৯৪৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বাহিনী, মে: জেঃ জে এন চৌধুরির নেতৃত্বে হায়দারাবাদ অভিমুখে ত্রিমুখী অভিযান শুরু করলো। অভিযানের নাম দেয়া হল ‘অপারেশন পোলো’। ১৯৪৮ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মাত্র ৫ দিনের যুদ্ধে, হায়দারাবাদ বাহিনীর সেনাপতি মেজর জেনারেল আল ইদরুস (নিজাম কে না জানিয়ে) বেইমানী করে ভারতীয় বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করলো ।

এভাবেই চিরতরে নিভে গেল স্বাধীন হায়দারাবাদের স্বাধীনতার প্রদীপ! আজ হায়দারাবাদ নামটির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করে হিন্দুত্ববাদীরা নাম দিয়েছ তেলেঙ্গানা। শকুনের দল স্বাধীন দেশটিকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু প্রভৃতি রাজ্যের মধ্যে বিলিবন্টন করে দিয়েছে। হায়দারাবাদের নামনিশানা পর্যন্ত পৃথিবীর মানচিত্রে আর অবশিষ্ট নেই!

ভারতীয় সাংবাদিক ভি টি রাজশেখর এক প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মুসলমানদের বড় অক্ষমতা তারা নাজী হিন্দুদের মনের কথা বুঝতে সক্ষম হয়নি’। কথাটির সত্যতা বাংলাদেশের মুসলমানরা আজ হাড়েহাড়ে উপলব্ধি করার কথা থাকলেও,তারা সাপেরচাইতেও খল ভারতকে মিত্র ভেবে হাত বাড়িয়ে বসে আছে! প্রাণের কানুকে ভালবেসে আজ তারা গভীর খাদের শেষ কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে তবুও বেহুঁশ। এবার সামান্য আঘাতেই হায়দারাবাদের মত বাংলাদেশেরও নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবার পালা!
বাংলাদেশের মানুষ কি করে বিশ্বাস করে যে ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্র !
ভারত কোনদিনই বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র ছিলনা। তার বহু প্রমান আমার বিভিন্ন লেখায় তুলে ধরেছি। এখানে স্থানাভাবে তার পুনঃরাবৃত্তি সম্ভব নয়। স্মৃতি তাজা করার জন্য মাত্র দু একটা উপমা তুলে ধরতে চাই।

১৯৪৭ থকে ৫০ সাল পর্যন্ত জওহরলাল নেহেরু ৩বার পুলিশ এ্যাকশন করে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান (আজকের বাংলাদেশ) দখল করার পরিকল্পনা করেছিল। এ তথ্য ফাঁস করেছেন মিঃ নিরোদ সি চৌধুরী তাঁর এক প্রবন্ধে। জয়প্রকাশ নারায়ন সৈন্য ঢুকিয়ে পূর্ব পাকিস্তান গ্রাস করার পরামর্শ দিয়েছিলেন। শুধু কি নেহেরু- জয়প্রকাশ! প্যাটেল বলেছিলেন ‘পূর্ববাংলাকে ৬মাসের মধ্যেই আমাদের পা’য়ে এসে পড়তে হবে ‘। ‘৪৭ থেকে বর্তমান মোদির জমানা পর্যন্ত ভারত প্রতিটি পদক্ষেপে নিজেকে পররাজ্য লোভী, চরম হিন্দুত্ববাদী সাম্প্রদায়িক দেশ বলে প্রমান রেখেছে! তারপরও ৯০%মুসলমানের দেশ বাংলাদেশ বলে ভারত নাকি তার ‘নাড়ীর বন্ধু ‘!

বাংলাদেশের (ভারত নিয়োজিত) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ভারতকে যা দিয়েছি সারা জীবন মনে রাখবে"। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক স্বামী স্ত্রীর মত’!

অতএব স্ত্রীর সম্পত্তিতে তো স্বামীর অধিকার থাকা বাঞ্ছনীয়। সেজন্যই আজ বাংলাদেশের সবকটা নদী ভারতের অধিকারে! বাংলাদেশের রাস্তাগুলোতে চলছে ভারতীয় ট্রাক বহর! রেলপথ ভারতের জন্য উন্মুক্ত! সমুদ্রবন্দরে ভারতের অবাধ অধিকার প্রতিষ্ঠিত! বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূল ভারতের নজরদারিতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান থেকে মন্ত্রনালয়ের সচিব বেশিরভাগ পদ ভারতীয় র’অপারেটরদের হাতে! পুলিশ প্রশাসনে গ্রাম পর্য্যায় পর্যন্ত ভারতীয় ক্যাডারদের দৌরাত্ম। তাদের অস্ত্র মুসলমানদের ক্রশফায়ারে হত্যা করার জন্য উন্মুক্ত ভাবে কাজ করে যাচ্ছে !

দেশের মুসলমান যুবকরা বেকার, অথচ লক্ষ লক্ষ ভারতীয়রা এদেশে চাকরীকরে, ব্যবসা করে ভারতে টাকা পাচার করছে। ভারত এখন বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক রেমিটেন্স অর্জনকারী দেশে।
দেশের প্রায় সবকটা সংবাদপত্র এবং টেলিভিশন ভারতের নিয়ন্ত্রনে।
দেশের ভিতরে ‘ইসকন’, ‘হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য' ইত্যাদি নামের বেশ কিছু সংগঠন এবং এনজিও মুসলমানদের বাড়ীঘর দখল, অত্যাচার, হত্যা প্রভৃতির মাধ্যমে সংখ্যাগুরু মুসলমানদের ভিতর ত্রাস সঞ্চার করে রেখেছে। ৯৮% মুসলমান দেশে ইউনিভার্সিটি হলে গরুর গোস্ত খাওয়া নিষিদ্ধ করা হচ্ছে! মেয়েদের হিজাব নিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এসবই নিত্যদিনের খবর। তারপরও বলা হচ্ছে বংলাদেশ নাকি একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র!

বিজেপির গুরু ভিডি সাভারকর ১৯২৩ সালে হিন্দুর সংজ্ঞা দিয়ে বলেছিলেন, “হিন্দু এমন এক মানুষ যিনি সিন্ধু থেকে সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত ভারতবর্ষকে নিজের পিতৃভূমি, পূণ্যভূমি এবং তার ধর্মের জন্মস্থান বলে মনে করে।" ভারত তোষনকারী আওয়ামীলীগ নেতানেত্রীরা, ক্ষমতায় টিকে থাকবার জন্য সেই হিন্দুত্ববাদী ভারতের যতই দালালি করুক,যতইগুনগান করুক, ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র বলে যতই প্রচার করুক না কেন, ভারত বন্ধুত্বের একটা নজীরও স্থাপন করতে পারেনি।
ভারতীয় দালালরা ‘৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের উপমা টেনে জনগনের মগজ ধোলাই করতে চায়, তাদের জানিয়ে দেবার সময় এসে গেছে যে , ভারত আমাদের স্বাধীনতার জন্য ৭১ সালে সেনা অভিযান করেনি, তাদের উদ্দেশ্য ছিল, শক্তিশালি পাকিস্তান ভেঙ্গে দূর্বল করে ফেলা, এবং বাংলাদেশ নামক পূর্ববাংলাকে ১৯৪৭ এর আগের হিন্টারল্যান্ড বা ভারতের তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরিনত করা, যা আজকের বাস্তবতা।

১৭কোটি মুসলমানের দেশটাকে ভারত জল, স্থল আকাশ সমুদ্র চারিদিক থেকে ঘিরে ধরে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে। আজ প্রয়োজন নবজাগরণের, সৎ বন্ধু অন্বেষণের, এবং প্রয়োজন আত্মবাদে বলীয়ান হয়ে ওঠার। বাংলাদেশের শোষিত মানুষকে আহ্বান জানাই! বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে আত্মবলে বলীয়ান হয়ে জেগে উঠুন! আমাদের প্রিয় রাসূল (সাঃ) আমাদের শিখিয়েছেন “ক্ষমতা মদমত্ত জালেমের জুলুমবাজির প্রতিবাদে সত্য কথা বলা, ও সত্য মতের প্রচারই সর্বোৎকৃষ্ট জেহাদ।" আসুন এই রমযানে আমরা সকলে একহয়ে সেই জেহাদে প্রবৃত্ত হই। প্রিয় দেশটাকে ঘৃন্য দূর্বৃত্তের হাত থেকে রক্ষা করি! হায়দারাবাদের মত বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার আগে আমাদের আড়াই লক্ষ মসজিদের পূন্য দেশ কে ,আমাদের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমকে, হায়দারাবাদ বা তার পূণ্য চারমিনার মসজিদের মত অপরিচ্ছন্ন দূর্বিত্তের নাপাক পদস্পর্শ থেকে হেফাজত করি! ১৮ কোটি মুসলমানের ঈমানি শক্তি এক হলে আল্লাহর রহমতে যেকোন বৃহত শক্তির বিরূদ্ধে বিজয় গৌরব অর্জন কঠিন নয়।

লেখক : আরিফুল হক
বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বহু গ্রন্থের লেখক
আমার দেশ, ১৩ মার্চ ২০২৪

01/07/2024

নিজেকে সংশোধনের উপায়
□○◇□○◇□○◇□○◇□○◇□○◇

□ কী করলে নিজের দোষ-ত্রুটি নিজের কাছেই ধরা পড়বে?

》মানুষের দোষ-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা করা এবং অন্যকে সংশোধন করার পূর্বে নিজের দোষত্রুটি সংশোধন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অথচ অধিকাংশ মানুষ নিজে ভ্রান্তির মধ্যে ডুবে থাকলেও অন্যকে সংশোধন করাতে বেশি উদগ্রীব! এটি কোনো ঈমানদারের নিকট কাম্য নয়।
আল্লাহ তা'আলা বলেন:

*أَتَأْمُرُونَ النَّاسَ بِالْبِرِّ وَتَنسَوْنَ أَنفُسَكُمْ وَأَنتُمْ تَتْلُونَ الْكِتَابَ ۚ أَفَلَا تَعْقِلُونَ*
"তোমরা কি মানুষকে সৎকর্মের নির্দেশ দাও এবং নিজেরা নিজেদেরকে ভুলে যাও, অথচ তোমরা কিতাব পাঠ কর? তবুও কি তোমরা চিন্তা কর না?"
(সূরা বাকারা: ৪৪)
আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন:

*يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا عَلَيْكُمْ أَنفُسَكُمْ ۖ لَا يَضُرُّكُم مَّن ضَلَّ إِذَا اهْتَدَيْتُمْ*
"হে মু'মিনগণ, তোমরা নিজেদের চিন্তা কর। তোমরা যখন সৎপথে রয়েছ, তখন কেউ পথভ্রান্ত হলে তাতে তোমাদের কোন ক্ষতি নাই।"
(সূরা মায়িদা: ১০৫)
সুতরাং সংশোধনটা শুরু করুন নিজেকে দিয়ে। আমি, আপনি সবাই যদি নিজেকে পরিবর্তন করি তাহলে পাল্টে যাবে সমাজ ব্যবস্থা।

□ কিভাবে আমরা নিজেদের দোষ-ত্রুটি খুঁজে পাবো?

》সাধারণত: আমরা অন্যের দোষ-ত্রুটি সহজে দেখতে পেলেও নিজের দোষগুলো দেখতে পাই না! অথচ সামান্য একটু চেষ্টায় তা সম্ভব। আর সে চেষ্টাটার নাম হল, আত্ম সমালোচনা।

কেউ যদি আত্ম সমালোচনা করে অর্থাৎ নির্জনে-একান্ত একাকীত্বে নিজের দায়িত্ব-কর্তব্য, করণীয়-বর্জনীয়, সফলতা-ব্যর্থতা এবং দোষত্রুটি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা ও হিসাব-নিকাশ করে তাহলে তার কাছে তার নিজের ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়বে। আল্লাহ তা'আলা প্রতিটি মানুষকে বিবেক নামক এটি আয়না দিয়েছেন। মানুষ যদি সে আয়নার সামনে নিজেকে দাঁড় করায় তাহলে তার মধ্যে কোথায় কী সমস্যা আছে তা সে পরিষ্কার দেখতে পায়। আল্লাহ তা'আলা বলেন:

*بَلِ الْإِنسَانُ عَلَىٰ نَفْسِهِ بَصِيرَةٌ*
”বরং মানুষ নিজেই নিজের ব্যাপারে খুব ভালো জানে।”
(সূরা কিয়ামা: ১৪)

তাই তো উমর ইবনুল খাত্তাব রা. বলতেন:

*حَاسِبُوا أَنْفُسَكُمْ قَبْلَ أَنْ تُحَاسَبُوا وَزِنُوا أَنْفُسَكُمْ قَبْلَ أَنْ تُوزَنُوا فَإِنَّهُ أَهْوَنُ عَلَيْكُمْ فِي الْحِسَابِ غَدًا أَنْ تُحَاسِبُوا أَنْفُسَكُمُ الْيَوْمَ ، وَتَزَيَّنُوا لِلْعَرْضِ الأَكْبَرِ ، يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لا تَخْفَى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ*
”তোমরা নিজরা নিজেদের হিসাব নাও (পরকালে) হিসেবের সম্মুখীন হওয়ার পূর্বে এবং তোমরা নিজেরা নিজেদের মেপে নাও (পরকালে) তোমাদেরকে মাপার পূর্বে। কেননা, আজকের তোমার এই নিজে নিজে হিসাব-নিকাশ করাটা আগামী কালকে হিসাব দেয়ার চেয়ে অনেক সহজ। আর তোমরা বড় পরীক্ষা দেয়ার সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হও।

আল্লাহ বলেন:

*يَوْمَئِذٍ تُعْرَضُونَ لا تَخْفَى مِنْكُمْ خَافِيَةٌ*
“সেদিন তোমাদেরকে (আল্লাহর সামনে হিসাব-নিকাশ ও প্রতিদান প্রদানের জন্য) পেশ করা হবে, তখন তোমাদের কোনকিছুই গোপন থাকবে না”
(সূরা আল-হাক্কাহ, আয়াত নং ১৮)।”
(দ্রষ্টব্য : মুহাসাবাতুন নাফস-ইবনু আবিদ দুনইয়া, ২৯ পৃষ্ঠা, হাদিস নং ২/ আয-যুহুদ লিল ইমাম আহমাদ, ১২০ পৃষ্ঠা/ আবু নাঈম-হিলইয়া, ১ম খণ্ড, ৫২ পৃষ্ঠা/ ‍মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, ১৩ খণ্ড, ২৭০ পৃষ্ঠা/ মুআত্তা ইমাম মালিক, ২য় খণ্ড, ১১১ পৃষ্ঠা প্রভৃতি)

আরবিতে একটা প্রবাদ আছে:

*أبصر الناس من نظر إلى عيوبه*

”সবচেয়ে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন বা বিচক্ষণ মানুষ হল ঐ ব্যক্তি যে নিজের দোষ-ত্রুটি দেখে।” তাই আমাদের কর্তব্য, নিজেদের দোষগুলো অনুসন্ধান করা এবং মৃত্যু দূত আমাদের দরজায় করাঘাত করার পূর্বে তওবা করে নিজেদেরকে সংশোধন করা।

সত্যি যদি প্রত্যেকেই নিজেদের ভুল-ত্রুটি, অজ্ঞতা ও অন্যায়-অপকর্মগুলো অনুসন্ধান ও সংশোধনে ব্যস্ত থাকতাম তাহলে আমাদের জীবনটা আরও সুন্দর হত, দুনইয়ায় সাফল্য ও আখিরাতে মুক্তি লাভ করা সহজ হত এবং মানুষের দোষ ধরা, সমালোচনা করা এবং অন্যের পেছনে লেগে থাকার সময় পেতাম না। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন। আমীন।

- শাইখ আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল

---------------
IFM desk
--------------

29/11/2023

চরিত্র মাধুর্যঃ

আল্লাহর পথে যারা কাজ করে তাদের হতে হবে -

১.উদার হৃদয় ও বিপুল হিম্মতের অধিকারী,
২.সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবতার দরদী,
৩. ভদ্র ও কোমল স্বভাব সম্পন্ন,
৪. আত্মনির্ভরশীল ও কষ্টসহিষ্ণু,
৫. মিষ্টভাষী ও সদালাপী,
৬. তাদের দ্বারা কারো কোন ক্ষতি হবে এমন ধারণা কেউ পোষণ করবে না বরং কল্যান ও উপকার কামনা করবে,
৭. নিজেদের প্রাপ্যের চাইতে কমের উপর সন্তষ্ট থাকবে এবং অন্যকে প্রাপ্যের চাইতে বেশী দিতে প্রস্তুত থাকবে,
৮. মন্দের জবাব ভালো দিয়ে দেবে অথবা কমপক্ষে মন্দ দিয়ে দেবে না,
৯. নিজের দোষ ত্রুটি স্বীকার করবে এবং অন্যের গুনাবলীর কদর করবে,
১০. অন্যের দূর্বলতার প্রতি নজর না দেবার মতো বিরাট হৃদয়পটের অধিকারী হবে,
১১. অন্যের দোষত্রুটি ও বাড়াবাড়ি মাফ করে দিবে এবং নিজের জন্য কারোর উপর কোন প্রতিশোধ নেবে না,
১২. অন্যের সেবা গ্রহণ করে নয় বরং অন্যকে সেবা করে আনন্দিত হবে,
১৩. নিজের স্বার্থে নয় বরং অন্যের ভালোর জন্য কাজ করবে,
১৫. কোন প্রশংসার অপেক্ষা এবং নিন্দার তোয়াক্কা না করে নিজের দায়িত্ব পালন করবে,
১৬. খোদা ছাড়া আর কারো পুরস্কারের প্রতি দৃষ্টি দেবেনা,
১৭. তাদেরকে বল প্রয়োগে দমন আর ধনসম্পদের বিনিময়ে ক্রয় করা যাবেনা,
১৮. তাদের শত্রুরাও বিশ্বাস রাখবে যে তারা ভদ্রতা ও ন্যায়নীতি বিরোধী কোন কাজ করবে না।

( উৎসঃ
বই -- ইসলামী আন্দোলনঃ সাফল্যের শর্তাবলী)।

25/11/2023

সঠিক ইসলামী দল কোনটি ?

"যে কোন যুগে তুমি যদি সঠিক ইসলামপন্থী দলটি খুঁজে না পাও, তাহলে চিহ্নিত ইসলাম বিদ্বেষী এবং পরীক্ষিত ইসলামের শত্রুদের দিকে তাকাও। দেখো- তারা কোন দলটির প্রতি সবচেয়ে বেশি ক্ষিপ্ত?

কারণ সঠিক ইসলামী দলকে চিনতে মুসলিমরা ভুল করলেও ইসলামের শত্রুরা ভুল করেনা।"

- ইমাম ইবনে তাইমিয়া।

20/08/2023

সংবাদ সম্মেলনে মাওলানা সাঈদীর চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রশ্নে আমীরে জামায়াতের উত্তর...

আরো অনেক হোমওয়ার্ক লাগবে এধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে উত্তর দেয়া উচিত। চিকিৎসা মানে শুধু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নাম না। কীভাবে নিল, কতক্ষণে নিল, তাৎক্ষণিকভাবে কি ব্যবস্থা নিল, কোন ধরনের বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিল, ট্রিটমেন্টের বিস্তারিত তথ্য সবকিছু স্বচ্ছ ভাবে বিচার, বিশ্লেষণ করলেই বলা যাবে কি হয়েছে। এর সাথে কুরআনের আয়াতের কোন সম্পর্ক নেই। মৃত্যুর সময় আসলে মারা যাবেই। মারা যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন না। প্রশ্ন প্রদত্ত চিকিৎসা নিয়ে, চিকিৎসার পরিবেশ নিয়ে, পরিবারের সদস্যেদের সাথে দেখা করতে না দেয়া নিয়ে। এসব খুবই সিরিয়াস ম্যাটার। এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময় কুরআনের আয়াত উল্লেখ করে শুরুতেই বিষয়টা হালকা করে দেয়া সমীচীন হয়নি।

19/08/2023

সিংহ শিয়ালকে বলে - যা আমার জন্য খাবার নিয়ে আয়।
শিয়াল ঘোড়ার কাছে গিয়ে বলে- ভাইজান কেমন আছেন?
ঘোড়া চিন্তা করে- যে শিয়াল খ্যাক খ্যাক করা ছাড়া কোনো কথা বলে না- সে আজ এতো মধুর স্বরে ডাকছে কেন?
নিশ্চয়ই কোনো বদ মতলব আছে।
ঘোড়া শিয়ালের ডাকে সাড়া দেয় না।
শিয়াল এবার ময়ুরীর কাছে গিয়ে বলে- আপুমনি কেমন আছো। দেখতে খুবই মিষ্টি লাগছে।
ময়ুরীও বুঝতে পারে- শিয়ালের মুখে মিষ্টি বচন। নিশ্চয়ই লক্ষণ ভালো না।
সে ও সাড়া দেয় না।
শিয়াল এবার গাধার কাছে গিয়ে বলে- বাহ! তোমাকে খুবই হ্যান্ডসাম মনে হচ্ছে।
এরকম হ্যান্ডসাম একটা প্রাণী খেটে খেটে জীবনটা নষ্ট করে দিলো।
তোমাকে আর কষ্ট করতে হবেনা। রাজার বয়স হয়ে গেছে।
তিনি অবসরে যাবেন। আর তোমাকে রাজা বানাবেন।
চলো আমার সাথে সিংহাসনে চলো।
গাধা খুব খুশি হয়। শিয়ালের সাথে সিংহাসনে আসে।
সিংহের কাছে আসা মাত্রই সিংহের এক থাবায় গাধা তার কান দুটো হারায়।
কিন্তু কোনো রকমে পালিয়ে বাঁচে।
শিয়াল গাধার কাছে এসে বলে- এতো বোকা হলে রাজা হবে কিভাবে।
রাজা তোমার মাথায় মুকুট পরাবে। কিন্তু দুপাশে দুটো কান থাকলে কি রাজমুকুট ঠিকমতো মাথায় বসবে।
তাইতো তোমার কান দুটো তোলে নেয়া হয়েছে।
কিছু বুঝনা অবুঝ প্রাণী- এটাকে গ্রুমিং বলে।
চলো চলো আমার সাথে চলো। দেরি হলে অন্য কেউ আবার রাজা হয়ে যাবে।
গাধা আবার সিংহের কাছে আসে। এবার সিংহের আরেক থাবায় তার লেজখানা খসে পড়ে।
কিন্তু এবারও পালিয়ে বাঁচে।
শিয়াল যথারীতি গাধার কাছে এসে বলে- আবারও ভুল করলে।
লেজ থাকলে রাজ সিংহাসনে বসবে কিভাবে।
তাই তোমার লেজটা খসানো হয়েছে।
অবুঝ প্রাণী দূরদর্শী চিন্তা করতেই পারোনা।
এটা হলো আলট্রা গ্রুমিং। মানে একেবারে ফাইনাল টাচ।
চলো চলো তাড়াতাড়ি সিংহাসনে চলো।
গাধা আবারও সিংহাসনে আসে।
এবার আর সে বাঁচতে পারে না।
সিংহের থাবায় তার ক্ষত বিক্ষত দেহ খানা মাটিতে পড়ে আছে।
সিংহের দাঁতে মুখে রক্তের দাগ।
শিয়াল সিংহকে বলে - মহারাজ এতো কষ্ট করে আপনি খাবেন।
মাথাটা আমাকে দেন। সুন্দর করে প্লেটে সাজিয়ে দেই।
শিয়াল গাধার ব্রেণটুকু খেয়ে মাথার অবশিষ্ট অংশ সিংহকে দেয়।
সিংহ বলে- ব্রেণ কোথায়।
শিয়াল বলে- মহারাজ যে বারবার ধোকা খেয়েও আপনার কাছে এসেছে- আপনি কি মনে করেন তার ব্রেণ বলে কিছু আছে।
গাছের ডালের উপর থেকে ময়ুর বলে-
তার ব্রেণ ঠিকই আছে। কিন্তু অতি সহজ সরল হওয়ায় প্রতারকদের বুঝতে পারেনি।
প্যাঁচা তার সন্তানকে বলে -এই ঘটনা থেকে তোমরা কি শিখলে।
শিখলামঃ
হঠাৎ করে কেউ যদি বড় আপন হয়ে ওঠে, বুঝতে হবে তার গোপন দূরভিসন্ধি আছে।
এটাও শিখলাম- যার যে কাজ তাকে সেটাই করতে হয়। অন্যের কুমন্ত্রণা শুনতে হয়না।
লোভের ফল কখনো মিষ্টি হয়না।
সাদাসিদা হওয়া ভালো। কিন্তু বোকা হওয়া ভালো না।
সবচেয়ে বড় জিনিসটা শিখলাম তা হলো- প্রতারকদের একবার বিশ্বাস করা যায়। কিন্তু বারবার বিশ্বাস করা যায় না।
অতি বিশ্বাস করে সে ঠকেছে। আর নিজের জীবন দিয়ে তার বিশ্বাসের মর্মন্তুদ পরিসমাপ্তি ঘটেছে।

🪶 সংগ্রহীত (তুর্কীয় গল্প অবলম্বনে)

সুখরঞ্জন বালি একজন বহুদেববাদী সনাতন ধর্মাবলম্বী কিন্তু সত্য ন্যায়ের উপর তার ঈমানী জজবা ছিল ইস্পাত-দৃঢ়।গতকাল ও জানাজা কাল...
16/08/2023

সুখরঞ্জন বালি একজন বহুদেববাদী সনাতন ধর্মাবলম্বী কিন্তু সত্য ন্যায়ের উপর তার ঈমানী জজবা ছিল ইস্পাত-দৃঢ়।গতকাল ও জানাজা কালে বেঈমান জালিমের সেবাদাসী উচ্ছিষ্টভোগী প্রশাসনের হাতে মৃত্যুঝুকি উপেক্ষা করে সবার সম্মুখে হাত তুলে আবার স্বাক্ষ্য দিয়েছেন আল্লামা সাঈদি নির্দোষ তার উপর জুলুম করা হয়েছে।

সংউরি মসজিদে (দক্ষিণ কোরিয়া) আল্লামা সাঈদীর (রাহিঃ) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত।
16/08/2023

সংউরি মসজিদে (দক্ষিণ কোরিয়া) আল্লামা সাঈদীর (রাহিঃ) গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত।

13/08/2023

♦️ইংরেজিতে বকাঝকা করুন♦️

● তুমি বদমাশ
You scoundrel

● তুমি ভন্ড
You hippocrates

● সীমা ছাড়িয়ে যেওনা
Don't cross your limit

● গলা নামিয়ে কথা বলো
Keep your voice down

● চোখ নামিয়ে কথা বলো
Keep your eyes down

● আমার দিকে চোখ পাকিয়ো না
Don't show your temper to me

● তোমাকে পচা পানিতে চুবিয়ে দেব
I will dip you into dirty water

● তোমাকে উচিত শিক্ষা দিবো।
I will teach you a good lesson

● তোমাকে লাথি দিয়ে বের করে দেব এখান থেকে
I will kick you out from here

● কত বড় শয়তানরে বাবা!
What a big devil.

done.............

☎️ : 01708039446

"" ইন্না বাতশা রাব্বিকা লা- শাদীদ্ ""সূরা- বুরুজ।
09/08/2023

"" ইন্না বাতশা রাব্বিকা লা- শাদীদ্ ""
সূরা- বুরুজ।

Address

Kachua, Chandpur
Kachua

Telephone

+8801631356121

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কচুয়া টাইমস / Kachua Times posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share