Muhammad Tarek Abdur Rahman

Muhammad Tarek Abdur Rahman আস সালামু আলাইকুম।

05/10/2025

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যা ঘটেছে, তা পূর্বের সকল অপকর্মকে ছাড়িয়ে গেছে। নির্ভার চিত্তে ঠোঁটে শিস বাজাতে বাজাতে কুরআন পদপিষ্ট করার ভিডিওটি যারাই দেখেছেন, সবারই নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা।

কেউ কেউ অপূর্ব পালকে মানসিক রোগী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন। পূর্বেও অনেক ইসলাম অবমাননাকারীকে মানসিক রোগী বলে বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

কথা হলো, একজন মানসিক রোগী কীভাবে দেশের নামকরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে!

তাছাড়া মানসিক রোগীরা কেন বারবার ইসলাম ধর্মের ওপরই আক্রমণ করে!

মনে রাখতে হবে, ক্লাসে হাদিসের উদাহরণ আনায় উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে ইতোপূর্বে বহিষ্কার করা হয়েছে। অথচ কুরআন অবমাননার ঘটনা ভাইরাল হওয়ার আগ পর্যন্ত তারা অপূর্ব পালের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

তাই বিশ্ববিদ্যালয়-প্রশাসনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। এমন কুলাঙ্গার ছাত্রকে প্রশ্রয় দেয়ার অপরাধে তাদেরকে ক্ষমা চাইতে হবে।

এদেশের অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামবিরোধী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে। ধর্মপ্রাণ মানুষের দেশে এটা কোনোভাবেই হতে দেয়া যায় না।
অপূর্ব পাল যা করেছে, এটা ধর্মীয় দাঙ্গা বাধানোর সুস্পষ্ট উস্কানি। আমরা অবিলম্বে তার দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।

পাশাপাশি সরকারের প্রতি আমাদের দাবি—অবিলম্বে ধর্মঅবমাননা বিষয়ে কঠোর ও সুস্পষ্ট আইন তৈরি করে এর বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে হবে।

নতুবা দেশের শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা নষ্টকারী ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা বারবার ঘটতেই থাকবে।

সৌদি আরব আর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি বিষয়ে যারা অতি উল্লাস প্রকাশ করছেন, তারা এখনও বৈশ্বিক রাজনীতির অ আ রপ্ত করতে প...
24/09/2025

সৌদি আরব আর পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা চুক্তি বিষয়ে যারা অতি উল্লাস প্রকাশ করছেন, তারা এখনও বৈশ্বিক রাজনীতির অ আ রপ্ত করতে পারেন নাই।

আফগানিস্তানকে কাবু করাই পশ্চিমা যায়োনবাদের মূল লক্ষ্য। আরবদের বিন্দুমাত্র খায়েশ নাই যে তারা তাদের পশ্চিমা বাবাদের সাথে লড়াই করবে। সেই জনবল, রসদ কিংবা দক্ষতা, কোনটাই তাদের নাই। নিরাপত্তার জন্য যখন থেকে তারা আল্লাহ রব্বুল আ'লামীনের দেখানো পথ ছেড়ে পশ্চিমাদের উপরে তাওয়াক্কুল করা শুরু করেছে, তখন থেকেই তাদের দিন শেষ। হাতেগোনা কয়েকটা দিন মাত্র।

পুতুল নবাব হয়ে থাকা ছাড়া তাদের আর কোন উপায় নাই। বিনি সুতোয় গাঁথা। যেমনি নাচায় তেমনি নাচে। আর তারই ধারাবাহিকতায় দক্ষিন এশিয়ায় নব্য যায়োনবাদের উত্থান হবে সৌদি আরবের হাত ধরেই। স্পষ্ট করে বললে, তাদের ব্যবহার করে।

টিস্যু পেপার যতই দামী হোক, ব্যবহারের পর তার আর কোন মূল্য থাকে না। সৌদি আরবের অবস্থাও তেমন। ফিলিস্তিন শেষ। এখন লক্ষ্য দক্ষিন এশিয়া।

আজকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হইছে জানেন?ভাইভা শুরুর আগে, সেমিনার রুমে গিয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা আসলো—"কেউ যেন ন...
24/09/2025

আজকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে কী হইছে জানেন?
ভাইভা শুরুর আগে, সেমিনার রুমে গিয়ে মেয়েদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা আসলো—"কেউ যেন নিকাব পড়ে ভাইভা রুমে না ঠুকে। সবার মুখ খুলে ঢুকতে হবে।"
মেয়েরা ভেবেছে গতানুগতিক এনাউন্সমেন্ট, সুতরাং এতটা কেয়ার করার কিছু নাই। নতুন বাংলাদেশে এমন ঔদ্ধত্য দেখানোর সাহস আছে কাউর?

যথাক্রমে ভাইভা শুরু হইলো। কয়েকজন বোন নিকাব পড়ে ঢুকলো। ঢুকা মাত্রই তাদেরকে নিকাব খুলতে বাধ্য করা হইলো।

এর মধ্যে একজন বোন নিকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে 'জিরো মার্কস' দেওয়ার হু'ম'কি দেওয়া হয়!
ইন্টারেস্টিং ব্যাপার কী জানেন? নেকাব খুলতে বাধ্য করে নারীর প্রাইভেসি লঙ্ঘন করা আজকের এই পুরো জ'ঘ'ন্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ ঘটনার নেপথ্যের নায়ক—নুরুল করিম (ছবিতে সংযুক্ত) কিন্তু বেগম রোকেয়ার কোনো শিক্ষক না, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। এখানে এক্সটার্নাল টিচার হিসেবে আসছে।
আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার শুনবেন?

বহিরাগত একজন টিচার যখন নিকাব খুলতে বাধ্য করে নারীর প্রাইভেসি লঙ্ঘন করছিলো, তখন ক্যাম্পাসের শিক্ষকরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু কেউ একটা 'টু' শব্দও করেননি।
আর নেকাব খুলতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে 'জিরো মার্কস' দেওয়ার হু'ম'কি দিয়েছে কে, জানেন? বেগম রোকেয়ারই সেই ডিপ্টের (ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ) টিচার—অধ্যাপক ইউসুফ।

এছাড়া, ভাইভা রুমে কিন্তু কোনো নারী শিক্ষক রাখা হয় নাই। সবাই ছিলো পুরুষ শিক্ষক।
আচ্ছা, এটা কী শ'হী'দ আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয় না?

আসেন, নাকে তেল দেই আরেকটু। এই ফাঁকে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠুক ভার্সিটির ই'স'লা'মো'ফো'বগং।

পার্বত্য চট্টগ্রামে আ'ঘা'ত হানুক, মূল্যবোধে হাতুড়ি পড়ুক। দেশ পরাশক্তিগুলোর অন্তর্দ্বন্দ্বের বলির পাঠা হোক।

সিস্টেম নয়, কেবল গদির পরিবর্তনই আমাদের ভাগ্য।
কপি পেস্ট

৩০টা দেবে কেন? মাত্র ৩টা দিয়েই তো জমাতের চেয়ে ডের বেশি হুজুর পাওয়া যাচ্ছে। দাঁড়িও লম্বা, শরীরজুড়ে গোল জুব্বা, সেই নুরানি...
23/09/2025

৩০টা দেবে কেন? মাত্র ৩টা দিয়েই তো জমাতের চেয়ে ডের বেশি হুজুর পাওয়া যাচ্ছে। দাঁড়িও লম্বা, শরীরজুড়ে গোল জুব্বা, সেই নুরানি চেহেরা মাশাআল্লাহ। ৩টি দিয়ে যেখানে এতো এতো আসল হুজুরই পাওয়া যায়, সেখানে ৩০টা দিয়ে জমাতের নকল ও অর্ধমোল্লাদের পেছনে দৌড়ার কোনো মানে আছে বিএনপির?

মির্জা ফখরুল সাহেব একটা কথা ঠিক বলেছেন, “জমাত যতো না বড়ো শক্তি, আমরা অকারণে তার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি।” মির্জা ফখরুল সাহেবরা বুঝেছেন যে, দেশের আসল শক্তি হচ্ছে কওমিরা। যখন ওলামা সম্মেলনের তরফে কওমি সমর্থনের নিশ্চয়তা পেলেন তখনই সাক্ষাৎকার দিয়ে জমাতে “না” করে দিলেন।

এ রকমটা শেখ হাসিনার আমলেও হয়েছিল। জমাতের বিচার শুরু হবে হবে অবস্থা। ভরসা পাচ্ছিল না হাসিনা। সেই ২০১২ সালেই একদল ওলামা হযরাত শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাৎ করেন। হাসিনা ‍হুজুরদের পা ছুঁয়ে সালাম করে, বাপ ডাকে; নিজের বাবা-মাকে হারানোর কথা কান্না মিশিয়ে হুজুরদের সামনে তুলে ধরে এবং হুজুররাই তার “বাপ-মা সব” একথা বলে নিজের মেয়ে মনে করে সহযোগিতার কামনা করে। নিজেকে একজন নিষ্ঠাবান ও ইবাদতগুজার আল্লাহর বান্দী দাবি করে শেখ হাসিনা ইসলাম, মুসলিম স্বার্থ, শরীয়ত ও কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কিছু করবে না বলে দৃঢ়তার সাথে ওয়াদা করে।

হৃদয়বান হুজুরদেরও মনে গলে যায়। কয়েকটা সতর্কবাণী, ওয়াজ-নসীহত ও স্নেহভরা কথা বলে চলে আসেন। সেই থেকে লাই পেয়ে গেল হাসিনা। শুরু করে কথিত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার। একে একে ফাঁসি দেয় বিরোধী দলীয় নেতাদেরকে। হ্যাঁ, হাসিনা কিন্তু হুজুরদের সাথে ওয়াদা ঠিকই রক্ষা করেছিল। দাবি অনুযায়ী ফতওয়া বিরোধী হাইকোর্টের রায় বাতিল করেছিল। ইসলামের খেদমতও করেছে বেশ; থানায় থানায় মসজিদ নির্মাণ করেছে, কওমি মাদরাসার স্বীকৃতি দিয়েছে, হাইকোর্ট থেকে মুর্তি সরিয়েছে এবং ধোলাইখালের নিজের বাপের ‍মূর্তি নির্মাণ বন্ধ করেছিল। এমনকি কাদিয়ানিদেরকে অমুসলিম ঘোষণার জন্যও প্রস্তুতি নিয়েছিল এবং এর জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ আয়োজন করে সরকারের ওপর “চাপ প্রদর্শনে”র আয়োজনও করতে বলেছিল। যাতে আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝতে দিতে পারে, জনগণের চাপের মুখে কাদিয়ানিদেরকে অমুসলিম ঘোষণা করতে হয়েছে, করার কিছু ছিল না।

আর হুজুরদের খুশি করার জন্য বেশি কিছু লাগে না। একটা ধবধবে সাদা পাঞ্জাবি পরে আসবেন, মাথায় কওমি ধারার টুপি দেবেন, বক্তব্যের শুরুতে শুদ্ধ করে বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম পাঠ করবেন, বক্তব্যের মাঝখানে একট-আধ চরণ উর্দু কবিতা পড়বেন। হেই মাশাআল্লাহ, সুবহানাল্লাহ। নেতা চাই তো এমনই, ওয়াহ ওয়াহ। এসব করে ওলামা সম্মেলন থেকে একটা লাইসেন্স তারা পেয়ে গেল। সেই লাইসেন্সের নতীজা কী? “চরমোনাই ভণ্ড”। এই হচ্ছে ওলামায়ে কেরামের সমর্থনের ফল।

জমিয়তের নাম ধারণকারী কিছু কুলঙ্গারের মনে যেন ঈদের আনন্দ বইছে বিএনপির আত্মস্বীকৃত চাঁদাবাজ নেতা অ্যানি কর্তৃক “চরমোনাই ভণ্ড” আখ্যয়িত করায়। চরমোনাইয়ে ভণ্ড কে? এখানে সাইয়েদ ইসহাক (রহ.) আছেন, আছেন সাইয়েদ ফজলুল করীম (রহ.)। তাঁরা কি আল্লাহর অলী নন? আল্লাহর অলীদের সাথে যারা যুদ্ধ করে তাদের বিরুদ্ধে তো স্বয়ং আল্লাহ যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এই জমিয়তিরা কোন ইসলাম ধারণ করে? হযরত মুহাম্মদুর রসূলুল্লাহ (সা.)-এর ইসলাম কি সেই শিক্ষা দেয়? তাহলে এদের মনে এতো আনন্দ কীসের?

জমিয়তের গণ্ড মূর্খগুলো জমাতিদের ছড়ানো একটা পত্রিকা কাটিং শেয়ার করে চরমোনাইকে মওদূদীবাদী বানিয়ে দিতে চায়। এসব মূর্খদের জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই যে, ঘটনা সত্য, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে চরমোনাইয়ের দাদা হুজুর সাইয়েদ এসহাক (রহ.) জমাতের এমপি প্রার্থী মাওলানা আবদুর রহীম সাহেবের নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়েছিলেন। কারণ সাইয়েদ ইসহাক (রহ.) ছিলেন তৎকালীন আসল “জমিয়তে ওলামায়ে ইসরাম ও নেজাম ইসলাম পার্টি”র পূর্ব-পাকিস্তান প্রাদেশিক সিনিয়র নায়েবে আমীর। জমাত প্রার্থীর প্রচারণায় গিয়েছিলেন তার কারণ হচ্ছে, সেই নির্বাচনে জমাত ও নেজামে ইসলাম পার্টি জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করেছিল।

কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, আজকের জমিয়ত নামধারী কংগ্রেসিরা সেই নির্বাচনে জোট করেছিল আওয়ামী লীগের সাথে। ১৯৬৯-৭২ সালের এই জমিয়তের রাজনীতি ছিল মুজিববন্দনায় ভরপুর। শেখ মুজিব যখন ভারতীয় প্রেসক্রিপশন সংবিধানে “ধর্মনিরপেক্ষতা” প্রক্ষেপ করে তখন এই জমিয়তিরা তার সমর্থনে কিতাবও লিখেছিল। কথা সত্য না মিথ্যা তা কবি মুসা আল-হাফিয লিখিত “মুক্তিযুদ্ধ ও জমিয়ত: জ্যোতির্ময় অধ্যায়” কিতাবটি পড়লেই বুঝতে পারবে, তারা সেই সময় কী পরিমাণ মুজিবপুজোয় লিপ্ত ছিল। একসময় মুজিব, তারপর এরশাদ সরকারে গিয়ে তাকে আমিরুল মুমিনীন ঘোষণা, অতঃপর বিএনপি। এদের পুরা ইতিহাসই তো লেজুড়বৃত্তির।

আপনারা বোধোয় খেয়াল করেননি, অ্যানি বলেছে যে, “ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩০ দফা সংস্কারপ্রস্তাব দিয়েছেন। উচ্চকক্ষ হবে। যেসব দল সংসদে নির্বাচিত হতে পারেন না তাদেরকে বিএনপি উচ্চকক্ষে পাঠাবেন।” তারপর বলল, “চরমোনাই ভণ্ড।” কেন? কারণ কী? চরমোনাইয়ের পীর সাহেব মাথা নত করেননি, সারাদেশের কোটি কোটি দীনপ্রেমক সংগঠিত মানুষের মাথা তিনি বিক্রি করে দিতে পারেননি নিজে বা তাঁর পরিবারের কয়েক ব্যক্তিবিশেষের জন্য বিএনপির আসননিশ্চয়তার প্রলোভনে। এটা হতো সাংঘাতিক রকমের প্রতারণা ইসলামি জনতার প্রতি। এই জনতা সংঘটিত হয়েছে পীর সাহেব বা জনকয়েক ব্যক্তিবিশেষের আসনপ্রাপ্তির জন্য নয়। এটা মর্যাদাপূর্ণ নয়, এটা সম্মানজনক নয়। এই ভিক্ষা পীর সাহেব নিতে পারেন না।

মরহুম পীর সাহেব হুজুর বলে গিয়েছেন, “ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করি না। আমরা শরীয়া চাই, যদি শরীয়া দেন, তবে একটা আসনও দেওয়া লাগবে না। আর যদি শরীয়া না দেন তবে দুনিয়ার সকল এমপি-মিনিস্ট্রি দিয়েও কোনো লাভ হবে না।” এই হলেন সৈয়দ ফজলুল করীম (রহ.)। বর্তমান পীর সাহেবগণ তাঁরই উত্তরসূরি, যোগ্য উত্তরসূরি। এই সাদাতের বংশ হারাম খাবেন না। দুঃখ হয় ওলামায়ে কেরাম সম্মেলন করে বিএনপিকে “ব্লাংক চেক” দিয়ে দিয়েছেন। কোনো শর্তারোপ করেননি তাদের প্রতি, কোনো সুনির্দিষ্ট দাবি-দাওয়া পেশ করেননি। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া এই সম্মেলনের কোনো বার্তা কি আছে? আ্যানির ধৃষ্টতার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সম্মেলন দায় নেবে নাকি আনন্দ উদ্‌যাপন করবে? এই তাহলে আলেমদের শান-মান?

বর্তমান উলামায়ে উম্মতের প্রয়োজনীয় ৫টি বিষয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে!১আধুনিক ফিলোসোফি। ২আধুনিক অর্থনীতি।৩...
23/09/2025

বর্তমান উলামায়ে উম্মতের প্রয়োজনীয় ৫টি বিষয়ে কাজ করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে!


আধুনিক ফিলোসোফি।

আধুনিক অর্থনীতি।

আধুনিক রাজনীতি।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান।

আধুনিক আইন শাস্ত্র ও দণ্ডবিধি।

কোরআন ও সুন্নাহের আলোকে এ সকল বিষয়ে উম্মতকে সঠিক রাহনূমায়ী করা উলামায়ে কেরামের জিম্মাদারী।
এজন্য প্রথমে এ সকল বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ পড়াশোনা করে এরপর ইসলামের আলোকে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ পেশ করা।

কিছু কাজ হচ্ছে আল্লাহর রহমতে। কিন্তু যে পরিমাণ হওয়া দরকার তার সিকি ভাগও হচ্ছে না।

পঠন পাঠন ও গবেষণাকে নিজের জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে সঁপে দেওয়ার মানুষের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।
সবাই বক্তা হতে চায়, আলোচক হতে চায়, আলোচিত থাকতে চায়।
বিদগ্ধ মুহাক্কিক হতে চায় না। কারণ এতে বাহ্যিকভাবে তেমন নাম নেই, যশ নেই, খ্যাতি নেই, কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থের সরবরাহ নেই।

কিছু মেধাবী আলেমদেরকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল তারা হবেন আমাদের বাংলাদেশের ইলিম ও গবেষণা জগতের এক নতুন উজ্জ্বল নক্ষত্র।
কিন্তু দুর্ভাগ্য তারাও ছুটছেন বাহ্যিক চাকচিক্য ও যশ খ্যাতির দিকে।

তবু আশায় বুক বাঁধি: আল্লাহ তার দ্বীনকে নতুন রিজাল তৈরি করিয়ে টিকিয়ে রাখবেন, দালিলিকভাবে বিজয়ী রাখবেন ইনশাআল্লাহ।

এটা কি ব্রেইনওয়াশ প্রকল্পের অংশ? ফেরত আসার পর কি জী হুজুরে পরিণত হবে? এই উপমহাদেশের লোকরা বিদেশ সফরকে প্রেস্ট্রিজ হিসেবে...
22/09/2025

এটা কি ব্রেইনওয়াশ প্রকল্পের অংশ? ফেরত আসার পর কি জী হুজুরে পরিণত হবে? এই উপমহাদেশের লোকরা বিদেশ সফরকে প্রেস্ট্রিজ হিসেবে দেখে। এর বিনিময়ে বিলিয়ে দেয়ার মানসিকতাও তৈরি হয়। ব্রিটিশ কলোনাইজাররা এরকম 'পুরুষ্কার' দিয়ে মানসিক গোলাম বানাতো।

কুরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশকে দল মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করে জনসমুদ্রে পরিণত ...
21/09/2025

কুরআন অবমাননাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশকে দল মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করে জনসমুদ্রে পরিণত করুন!

বজ্রকন্ঠে আওয়াজ তুলুন!
মুসলমানের এ বাংলায়!
কুরআন অবমাননাকারীর ঠাঁই নাই!

খুব অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এই সংবাদটা এড়িয়ে গেল। কেউ গুরুত্ব দিয়ে এই নিউজটা প্রচার করার প্রয়োজন বোধ করল...
03/09/2025

খুব অবাক হয়ে লক্ষ করলাম, মেইনস্ট্রিম মিডিয়া এই সংবাদটা এড়িয়ে গেল। কেউ গুরুত্ব দিয়ে এই নিউজটা প্রচার করার প্রয়োজন বোধ করল না। কেন?
কারণ, ধ*র্ষ*ণ করা হয়েছে এক মুসলিম মেয়েকে, আর ধ*র্ষ*ক হলো এক হিন্দু যুবক।
ঢাকা ভার্সিটিতে একজনকে ধ*র্ষ*ণের হুমকি দেওয়াতে, গোটা বুদ্ধিজীবী ও নারীবাদী মহল ক্ষেপে উঠেছিল। কিন্তু লক্ষ্মীপুরে ইতিমধ্যেই ধ*র্ষ*ণের শিকার নারীকে নিয়ে তারা একটি শব্দও উচ্চারণ করল না। কেন?
কারণ, ধ*র্ষ*ণ করা হয়েছে এক মুসলিম মেয়েকে, আর ধ*র্ষ*ক হলো এক হিন্দু যুবক।
শাহবাগী নারীর টিপ নিয়ে কথা বললে সাথে সাথে অ্যাকশন শুরু হয়ে যায়। কিন্তু মুসলিম নারীকে দিনের-পর-দিন ধ*র্ষ*ণ করে মুমূর্ষু অবস্থায় রাস্তায় ফেলে গেলেও প্রশাসন কঠোরভাবে তা দমন করছে না। কেন?
কারণ, ধ*র্ষ*ণ করা হয়েছে এক মুসলিম মেয়েকে, আর ধ*র্ষ*ক হলো এক হিন্দু যুবক।
এই দেশ, এই রাষ্ট্র, এই সমাজের কাছে মুসলিম রমণীর ইজ্জতের কোনো মূল্য নেই। তাই, এই সমাজের রাজনীতিবিদদের কাছে এটাকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু মনে হয়নি।

এই বাংলা‌দে‌শের প‌রিবর্তন খুব স‌ন্নিক‌টে ইংশা-আল্লহ।
03/09/2025

এই বাংলা‌দে‌শের প‌রিবর্তন খুব স‌ন্নিক‌টে ইংশা-আল্লহ।

আপ‌নি এ‌জিওগ্রাম ক‌রে‌ছেন কি!
02/09/2025

আপ‌নি এ‌জিওগ্রাম ক‌রে‌ছেন কি!

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে সরকার একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবীকে...
02/09/2025

আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে সরকার একদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ইসলাম ধর্ম শিক্ষক নিয়োগে জনগণের দীর্ঘদিনের দাবীকে উপেক্ষা করে অযাচিতভাবে সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগের ঘোষণা প্রদান করেছে, অন্যদিকে কোটার ভিত্তিতে তৃতীয় লি/ঙ্গ তথা (সমআকামী) ট্রা/ন্সযেন্ডারদের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আমরা অবিবেচনাপ্রসূত এই সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

দেশে ৬৫ হাজার ৫০০+ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ৩.৫ লক্ষ শিক্ষক। প্রতিস্কুলে প্রায় ৫ জন শিক্ষক। গানের শিক্ষকের কোটা স্কুল ভেদে ১৫-২০%.

সম্প্রতি ওয়েভ ফাউন্ডেশনের জরিপে দেখা গেছে, দেশের প্রাথমিক শিক্ষায় ভয়াবহ সংকট বিদ্যমান। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে—
১০.২৮% ছেলে ও ৮.৭১% মেয়ে বাংলা বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না।
১৩.৬২% শিশু এক অঙ্কের সংখ্যা পর্যন্ত চিনতে অক্ষম।
১৬.৭৮% ছেলে ও ১৫.২২% মেয়ে ইংরেজি বইয়ের একটি বর্ণও পড়তে পারে না।

এই ভয়াবহ চিত্র প্রমাণ করে যে, প্রাথমিক স্তরে মৌলিক শিক্ষা (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) অর্জনই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

অথচ এই অবস্থায় সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে এবং সাম্প্রতিক গেজেট অনুযায়ী সরকারি নিয়োগে ১% কোটা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করেছে।

উল্লেখ্য যে, ৬ অক্টোবর ২০২৪ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম মিলন দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠান। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এ নোটিশ পাঠানো হয়। বিগত একবছরেও সরকার এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।

আমরা মনে করি—

মৌলিক শিক্ষায় যখন ভয়াবহ ঘাটতি, তখন সংগীতের শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া শিক্ষানীতির সাথে সাংঘর্ষিক এবং অগ্রাধিকারভিত্তিক জাতীয় স্বার্থবিরোধী।

বাংলাদেশের ৯২% মুসলিম জনগোষ্ঠী থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিক স্তরে ইসলাম শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট শিক্ষক নেই। অথচ সংগীতের মতো বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ স্পষ্টতই জাতীয় চাহিদা ও সাংস্কৃতিক বাস্তবতার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

তৃতীয় লিঙ্গ কোটার মাধ্যমে শিক্ষাব্যবস্থায় বিতর্কিত সামাজিক এজেন্ডা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যার আইনগত সংজ্ঞাও এখনো অস্পষ্ট। এটি শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন দ্বন্দ্ব ও বিভাজন তৈরি করবে।

৬৫ হাজার ৫০০+ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ৩.৫ লক্ষ শিক্ষক। প্রতিস্কুলে প্রায় ৫ জন শিক্ষক। গানের শিক্ষকের কোটা  ১৫%৯০% মুসলমান...
02/09/2025

৬৫ হাজার ৫০০+ সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ৩.৫ লক্ষ শিক্ষক। প্রতিস্কুলে প্রায় ৫ জন শিক্ষক। গানের শিক্ষকের কোটা ১৫%
৯০% মুসলমান কি গান শেখানোর জন্য ট্যাক্স দেয়? ১০০ জনে কত জন বাবা-মা তাদের সন্তানকে গান শেখাতে ইচ্ছুক?

মুসলমানের বাচ্চা-কে কেন বাপমা আলাদা করে হুজুর রেখে কুরআন শেখাতে হচ্ছে? রাষ্ট্রের কাজটা কি তাহলে? গান শেখানো নাকি কুরআন শেখানো? কেন রাষ্ট্র আমার সন্তানকে কুরআন শেখানোর দায়িত্ব নেবে না? কেন আমার সন্তানকে গান শিখতে বাধ্য করবে? প্রশ্ন করুন, রাগুন, চোখে চোখ রেখে চিৎকার করুন।

এই নাচ-গানের নট-নটী আর টিকটকার তৈরির কারিকুলাম ও প্রতিষ্ঠান বয়কট করুন। সন্তানকে কমপক্ষে প্রথম ৫ বছর মাদরাসায় পড়ান।

Address

Kalapara

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Muhammad Tarek Abdur Rahman posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Muhammad Tarek Abdur Rahman:

Share

Category