03/09/2025
শোনা যায়, চে গুয়েভারাকে যখন তার আস্তানা থেকে বিশ্বাসঘাতক এক রাখালের সহযোগীতায় ধরা হয়, তখন এক সৈনিক বিস্ময়ে সেই রাখালকে প্রশ্ন করেছিল
“কীভাবে তুমি এমন একজন মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারলে,যিনি সারা জীবন তোমার অধিকার ও স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছেন?
রাখাল নির্লিপ্তভাবে উত্তর দিয়েছিল—
“তার যুদ্ধ আমার ভেড়াগুলোকে ভয় পাইয়ে দিত।
এর বহু বছর আগে মিশরে মহান সেনানায়ক মোহাম্মদ করীম নেপোলিয়নের ফরাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন।
শেষ পর্যন্ত তিনি বন্দি হলেন এবং আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিল।
কিন্তু নেপোলিয়ন তাঁকে ডেকে বলল—
“আমি এমন একজন বীরকে হত্যা করতে চাই না, যিনি সাহসের সঙ্গে নিজের মাতৃভূমি রক্ষা করেছেন। ইতিহাস যেন আমাকে বীর-ঘাতক হিসেবে না চেনে। তাই আমি তোমাকে ক্ষমা করব, যদি তুমি আমার সেনাদের ক্ষতির জন্য দশ হাজার স্বর্ণমুদ্রা ক্ষতিপূরণ দিতে পারো।”
করীম হেসে উত্তর দিলেন—
“আমার কাছে এত অর্থ নেই। তবে ব্যবসায়ীরা আমাকে এক লক্ষেরও বেশি স্বর্ণমুদ্রা ধার দিয়েছে।”
নেপোলিয়ন তাঁকে কিছু সময় দিল। এবং করীমকে শৃঙ্খলিত অবস্থায় সৈন্যদের পাহারায় বাজারে আনা হলো, আশায় যে যাদের জন্য তিনি জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তারা এগিয়ে আসবে।
কিন্তু কোনো ব্যবসায়ী সাহায্যের হাত বাড়াল না। বরং তারা অভিযোগ করল যে আলেকজান্দ্রিয়ার ধ্বংস ও তাদের দুর্দশার জন্য করীমই দায়ী।
মনোবল ভেঙে যাওয়া করীম নেপোলিয়নের কাছে ফিরে গেলেন। তখন নেপোলিয়ন বলল—
“আমি তোমাকে হত্যা করব না এজন্য যে তুমি আমাদের বিরুদ্ধে লড়েছ, বরং এজন্য যে তুমি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছ এক কাপুরুষ জাতির জন্য, যারা স্বাধীনতার চেয়ে ব্যবসাকে বেশি ভালোবাসে।”
মোহাম্মদ রশীদ রিদা এ ঘটনার সারমর্ম এভাবেই ব্যক্ত করেছিলেন—
“যে মানুষ অজ্ঞ জনগণের জন্য দাঁড়ায়, সে যেন অন্ধদের পথ দেখাতে নিজের শরীরকে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।
Collected.
আমরাও সেইরকম হতভাগ্য অকৃতজ্ঞ জাতি।
( সংগৃহীত)
ছবিতে শৃঙ্খলিত অবস্থায় চে'