
03/08/2025
একটা ছোট ঘর।
আলো কম, চারদিক নিস্তব্ধ।
তিনজন চোখ বেঁধে বসানো হলো।
তাদের বলা হলো, আপনাদের নিয়ে এখন একটা ডু অর ডাই গেম খেলা হবে, যে জিতবে সে পাবে ১০০ মিলিয়ন ডলার সাথে বিলাসবহুল বাড়ি ও গাড়ি। তাঁরা রাজি এই খেলায়।
খেলা টা শুরতেই বলে দেওয়া হলো - একটা ভয়ংকর ব্লাক-মাম্বা বিষধর সাপ রাখা আছে সামনে। এখন যাদেরকে স্পর্শ করা হবে, তারা সাপের কামড় খাবে এবং বিষক্রিয়ায় শরীরে প্রতিক্রিয়া শুরু হবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই কারণ এটাই পৃথিবীর সব থেকে বিষধর সাপ। কাউন্ট ডাউন করে খেলা শুরু হয়ে গেলো।
তাদের কিছু না জানিয়েই প্রত্যেকে কিছুটা গরম একটা সুঁই দিয়ে হালকা করে খোঁচা দেওয়া হলো।
কিন্তু ঘটনাটা এখানেই শেষ না।
প্রথমজন চিৎকার দিয়ে উঠে দাঁড়াল, কাঁপতে লাগল।
দ্বিতীয়জন ঘামছে, গলার স্বর বন্ধ হয়ে আসছে।
তৃতীয়জন… নিঃশ্বাস নিতে নিতে… নিথর হয়ে গেল।
জরুরি ভাবে মেডিক্যেল টিম ট্রিট্মেন্ট করা শুরু করলো।
আসল ঘটনা?
❌ কোনো সাপ ছিল না।
❌ বিষও না।
❌ এমনকি কামড়ও না — শুধু একটা হালকা গরম ধাতব সূচ।
বলেন তো, কী কারণে এমন হলো?
👉 Autopsy তে কোনো বিষ পাওয়া যায়নি।
👉 কোনো রক্ত ক্ষরণ হয়নি।
👉 কোনো সাপ কামড়ায়নি।
তবু সেখানে একজন মারা গেল।
শুধু একটা বিশ্বাস থেকে , সে বিশ্বাস করেছিল, সে মরতে যাচ্ছে। তার ব্রেইন তার শরীরকে সেইরকমই সিগন্যাল দিয়েছিল। হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়ে, cardiac failure।
এটাই বিজ্ঞানীরা বলেন - Nocebo Effect বা Voodoo Death।
🧠 যখন মন বিশ্বাস করে শরীর ধ্বংস হতে যাচ্ছে, তখন শরীর ঠিক সেটাই ঘটায়।
🧪 এই ঘটনা গল্প না, সত্য: রেফারেন্স সহ ৩টা প্রমাণ
1. Voodoo Death – Walter Cannon (1942)
Harvard Physiologist Walter Cannon তার গবেষণায় দেখান, extreme belief (অতর্কিত ভয়) মানুষের sympathetic nervous system এতটাই সক্রিয় করে যে, সেটা মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
🧾 Reference: Cannon, W.B. (1942), American Anthropologist
2. Nocebo Effect – Benedetti Study (2007)
রোগীকে যদি বলা হয় যে এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে — এমনকি ওটা শুধু চিনি হলেও, অনেকেই মাথা ঘোরা, গা গুলানো, এমনকি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
🧾 Reference: Benedetti, F. et al. “Nocebo and placebo effects...” Trends in Pharmacological Sciences, 2007
3. Burn Illusion Experiment – Beecher (1955)