
10/07/2025
এই ছবিটি হইতেছে অনেকটা জীবন, সময় ও মৃত্যু নিয়ে তৈরি একটি রূপক গল্পের মত।
যেমন : সিংহ-মৃত্যু বা সময় যা আমাদের তাড়া করছে।
*সাপ: জীবনের প্রতিকূলতা বা পাপ।
*কুমির: ভয়ানক পরিণতি বা জাহান্নামের আশঙ্কা।
*মানুষ: আমরা—জীবনের মাঝামাঝি ঝুলে আছি, চারদিক বিপদে ভরা।
(রূপক অর্থে):বাঁচার উপায়
১. আত্মসমালোচনা ও আত্মচিন্তা – বুঝতে হবে জীবন ক্ষণস্থায়ী, এবং সময় সীমিত।
2. আল্লাহর প্রতি ভরসা (তাওয়াক্কুল) – চারদিকে বিপদ থাকলেও একমাত্র রক্ষা করতে পারেন আল্লাহ।
3. তওবা ও ইবাদত – পাপ ও দুনিয়ার ফাঁদ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায়।
4. জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তা – সিদ্ধান্ত নিতে হবে ঠান্ডা মাথায়, না হলে পতন অবধারিত এবং অবশ্যম্ভাবী।
তবে কথা হচ্ছে এই ধরনের পরিস্থিতি কাল্পনিক, তবে যদি বাস্তবে কখনো এমনটা ঘটে তাহলে কি হতে পারে!!!!!
#প্রথমেই গাছের ডাল দিয়ে ধীরে ধীরে অন্য কোন ডালে নতুবা শাখায় পৌঁছানোর ট্রাই করা।
#যদি গাছে আরেকটি ডাল থাকে যেইটা মাটির দিকে না গিয়ে পাশে যায়, তাহলে সে ওইদিকে দিয়া যেতে পারে।
#এরপর দ্বিতীয় টিপস হলো :গাছ থেকে কিছু ফেলে কুমিরদের মনোযোগ অন্যদিকে সরানো
যদি সে কিছু নিচে ফেলা সম্ভব হয় আরকি।(জুতা, ঘড়ি, বেল্ট হতে পারে), কুমিররা নরমালি নড়াচড়া করলে সে অন্যদিকে ঝাঁপ দিয়ে পার হতে পারবে ।
#তৃতীয় টিপস হলো: সাপকে নাড়াচাড়া না করে নিঃশব্দে অপেক্ষা করা। কেননা অনেক সময় সাপ তখনই কামড়ায়, যখন ভয় পায় বা উত্তেজিত হয়।
#এরপর পানিতে ঝাঁপ দিয়ে দ্রুত সাঁতারে পাড়ে পৌঁছানো। যদিও কুমির পানির উপর মুখ তুলে রেখেছে, কিন্তু তাদের গতির সীমাবদ্ধতা আছে। পানিতে ঝাঁপ দিয়ে যদি খুব দ্রুত সাঁতার কাটে অন্য পাড়ে যাওয়া যায়, তবে বেঁচে যেতে পারে। অনেক বিপজ্জনক কিন্তু সম্ভাব্য।
#ফাইনালি কারও সহায়তা (যদি কাছাকাছি কেউ থাকে) দড়ি ছুঁড়ে মারা, নৌকা ইত্যাদি
#যাই হোক, এমন পরিস্থিতি বাস্তবে হলে বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ, কিন্তু আল্লাহর উপর ভরসা, মানসিক স্থিরতা আর তাৎক্ষণিক সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে অলৌকিকভাবে হয়তো বাঁচাও সম্ভব।
(collected)