21/04/2025
প্রথম পর্বঃ
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ২০৩৭
তারিখ: ১৮ মার্চ ২০৩৭
ভোর ৫টা ৪৫ মিনিট
বিশ্ব যখন ঘুমিয়ে ছিল, তখন হঠাৎ একটানা তিনটা শব্দ পুরো ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে—
“Blackout Protocol Initiated.”
চীন, রাশিয়া আর উত্তর কোরিয়া একসাথে একটা সাইবার হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা আর ইউরোপের ওপর।
মার্কিন ডলারের সব ডিজিটাল রিজার্ভ ৪ মিনিটে হ্যাক হয়ে যায়।
ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট শুন্য, ইন্টারনেট বন্ধ, বিদ্যুৎ বিভ্রাট শুরু।
২০৩৭ সালের যুদ্ধ শুরু হয়—বন্দুক দিয়ে না, কোড দিয়ে।
আর তারপরে শুরু হয়… ড্রোন স্ট্রাইক।
বেজিংয়ের আকাশে হঠাৎ করে ৩০০টা অটোনোমাস ড্রোন দেখা যায়।
মিনিটখানেকের মধ্যে নিউ ইয়র্কের স্কাইলাইনের উপর দিয়ে উড়ে যায় শব্দের থেকেও দ্রুতগতির মিসাইল—
“Hypersonic Firestorm-3.”
এদিকে ভারত, জাপান, আর দক্ষিণ কোরিয়া নিরপেক্ষ থাকতে চেয়েছিল।
কিন্তু যুদ্ধ নিরপেক্ষ কাউকে থাকতে দেয় না।
কাশ্মীর সীমান্তে হঠাৎ পাকিস্তানের তৃতীয় জেনারেশন কমব্যাট রোবটদের দেখা মেলে।
ভারতের AI-মিলিটারিরা তখন এক নতুন অস্ত্র ব্যবহার করে—
“SAND: Smart Autonomous Nano Drones.”
চোখে দেখা যায় না, কিন্তু মারাত্মক!
২৯ মার্চ, ২০৩৭
রাশিয়া একটা ছোট্ট দ্বীপে নিউক্লিয়ার টেস্ট চালায়।
সেই বিস্ফোরণ এতটাই ভয়ানক যে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র নড়ে যায়।
সেটাই ছিল যুদ্ধের নতুন অধ্যায়— Geo-Warfare।
তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সবচেয়ে ভয়ানক দিক ছিল—মানুষ মারেনি মানুষকে, মারছে মেশিন।
কারণ যারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, তারা সব ‘বাঙ্কার’ এ বসে নিরাপদে ছিল।
কিন্তু সাধারণ মানুষ?
তারা শুধু একটাই শব্দ শুনেছে:
"Evacuate."
শেষ কথাঃ
এই যুদ্ধ ৩ মাস ২ দিন স্থায়ী হয়েছিল।
কিন্তু পৃথিবীকে ৩০ বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
মাটি এখনো বিষাক্ত,
আকাশ এখনো ধোঁয়াচ্ছন্ন,
আর মানুষ এখনো বোঝে না—
যুদ্ধ আসলে কেউ জেতে না।
এই ছিল ‘তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ: ২০৩৭’।