05/07/2025
"বিয়ে হয়নি, কিন্তু প্রেগন্যান্সি টেস্ট পজিটিভ?"
(আপনার একটি শেয়ারে হয়তো বেঁচে যাবে একটি জীবন)
অনেক সময় দেখা যায়, একজন অবিবাহিত মেয়ের হঠাৎ মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। ডাক্তার দেখাতে গেলে প্রথমেই বলা হয়, “প্রেগনেন্সি টেস্ট করে আসেন।”
পরিবারের কেউ হয়তো বলে বসে-
“এখনও তো মেয়ের বিয়ে হয়নি, প্রেগনেন্সি কীভাবে?”
ডাক্তার তখন স্পষ্ট জানিয়ে দেন -
“প্রেগনেন্সি টেস্ট ছাড়া দেখবো না।”
যাই হোক, টেস্ট হয়। রিপোর্ট পজিটিভ!!
পরিবার হতবাক। মেয়ে অজ্ঞান।
এবার শুরু হয় প্রশ্ন, কাঁন্না, অস্বীকার-
রোগী বলছে, “আমি কিছু করিনি।”
পরিবার বলছে, “তাহলে পজিটিভ টেস্ট আসলো কীভাবে?”
কেউ কেউ বলে - “জীনের ব্যাপার!”
তবে ডাক্তার তখন আসল কাজ শুরু করেন - “চলুন, আলট্রাসনোগ্রাফি করা যাক।”
আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে দেখা যায় — গর্ভে কোনো বাচ্চা নেই।
তাহলে? প্রেগনেন্সি টেস্ট পজিটিভ হলো কেন?
এই যে স্ট্রিপ দিয়ে টেস্ট করা হয়, ওটা আসলে “বাচ্চা শনাক্ত করার যন্ত্র” না।
এই টেস্টে চেক করা হয় শরীরে HCG (human chorionic gonadotropin) হরমোনের উপস্থিতি।
এই হরমোন গর্ভাবস্থায় শরীরে তৈরি হয় ঠিকই, কিন্তু একই হরমোন কিছু টিউমারের ক্ষেত্রেও নিঃসৃত হতে পারে, যেমন:
Choriocarcinoma
Germ cell tumor
Hydatidiform mole
Teratoma (with choriocarcinoma)
Seminoma
Islet cell tumor ইত্যাদি।
অর্থাৎ, হরমোন বাড়লেই আপনি গর্ভবতী বিষয়টি এমন নয়। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, এই ধরণের ভুল বোঝাবুঝি থেকে অনেক মেয়ে চরম মানসিক আঘাত পায়। অনেকে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার কথা ভাবে। কারও চরিত্র নিয়ে চলে অযথা বিচার সমালোচনা।
একটা রিপোর্ট আসার পর সবকিছু ভেঙে পড়ার আগে একটু ভাবুন, ডাক্তার দেখান, পুরো ঘটনা বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি সচেতন থাকলে, হয়তো কোনো একদিন কাউকে একটা বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারবেন।
সংগৃহীত