StoryLine - গল্পের লাইন

StoryLine - গল্পের লাইন নিয়মিত রোমান্টিক গল্প পড়তে চাইলে পেজটি ফলো লাইক দিয়ে সাথেই থাকুন
ধন্যবাদ

16/07/2025

# # # 🌸 **"তুমি আমার ঘর"** 🌸

*(জয় ও নিভৃতির প্রেমভরা দাম্পত্যের গল্প)*

জয় আর নিভৃতির বিয়ে হয়েছে তিন বছর।
না, এটা কোনো প্রেমের বিয়ে না।
পাত্র-পাত্রী দেখার অনুষ্ঠানে জয় চুপচাপ বসে ছিল, নিভৃতি শুধু একবার তাকিয়েছিল…
আর সেদিন রাতেই জয় তার মাকে বলেছিল:
**“মা, এই মেয়েটাকেই আমার ঘরের বউ বানিয়ে দিও।”**

আর সত্যি তাই হলো।

বিয়ের শুরুতে তাদের মধ্যে খুব একটা কথা হতো না।
নিভৃতি ভদ্র, নরম স্বভাবের। জয় ব্যস্ত, সারাদিন অফিসে থাকে।
তবে নিভৃতি জানত— এই সংসারটা কেবল তার নয়, **তাদের দুজনের।**

প্রথম মাসে একদিন রাতে জয় ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফিরল। নিভৃতি চুপচাপ এক গ্লাস গরম দুধ দিয়ে বলল,
– “আজ খুব টায়ার্ড মনে হচ্ছে তোমাকে।”
জয় চমকে তাকাল।
এটাই ছিল তাদের সম্পর্কের প্রথম স্পর্শ… **যত্নের স্পর্শ।**

এরপর প্রতিদিন নিভৃতি তার জন্য অপেক্ষা করত।
একদিন জয় ঘরে ঢুকেই হেসে বলল,
– “আজ তুমি আমার ঘরটা আলাদা করে সাজিয়েছো, তাই না?”
নিভৃতি মাথা নিচু করে বলল,
– “আজ তোমার পছন্দের রান্না করেছি… তোমার জন্য সাজতেও ইচ্ছে করল।”

জয় একটু থেমে গিয়ে বলল,
– “তুমি জানো, আজ অফিসে সারাদিন আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছিল— আমি তাড়াতাড়ি ফিরতে চাই… কারণ, **তুমি অপেক্ষা করছো।**”
নিভৃতি প্রথমবার স্বামীর বুকে মাথা রাখল।

এরপর সময় গড়াতে লাগল,
ভালোবাসা গভীর হলো।

এক সন্ধ্যায় নিভৃতি বলল,
– “তুমি কোনোদিন আমায় ভালোবাসি বলো না কেন?”
জয় মুচকি হেসে বলল,
– “ভালোবাসি বলতে হলে প্রতিদিন হাজারটা কথা বলতাম।
তুমি দেখো না? আমি কথা না বলে কেমন করে প্রতিদিন তোমার গায়ে চাদরটা ঠিক করে দিই…
যখন তুমি ঘুমিয়ে পড়ো, আমি তোমার কপালে আলতো করে চুমু খাই…
ভালোবাসি তো আমি প্রতিদিন… কিন্তু শব্দগুলোকে একটু ধীর করে বলি।”

নিভৃতির চোখে জল, মুখে হাসি।

সেই রাতটা তারা ছাদে কাটাল।
নিভে আসা শহরের আলো আর উজ্জ্বল চাঁদের নিচে তারা দুজন বসে বলল,
– “এই সংসারটা কোনো দায়িত্ব নয়… এটা আমাদের প্রেমের সবচেয়ে সুন্দর জায়গা…”

---

# # # 🥀 **শেষ কথায় ছোঁয়া থাকুক প্রেমের…**

**ভালোবাসা মানে সারপ্রাইজ নয়, একে অপরকে বোঝা।
ভালোবাসা মানে শব্দ নয়, স্পর্শের গল্প।
ভালোবাসা মানে— একসাথে বাঁচা, একই ছাদের নিচে চিরকাল…** 🏡❤️

**"তোমার ঘরে এমন নিভৃতি আছে তো?" 💬
কমেন্টে জানাও, কে তোমার ভালোবাসার মানুষ?

29/01/2025

বুঝেনি কিসের এত দুঃখ বিলাশ..!!🙂❤️‍🩹
কিসের এত কষ্ট'''একটাই তো জীবন..!❤️‍🩹
এভাবে না হয় করে দিব নষ্ট..!!😊❤️‍🩹😅

24/01/2025

(১)আমি বাঁচতে চাই দুঃখ ছাড়া
দুঃখ বাঁচে না আমায় ছাড়া😅💔

(২)তুমি আমাকে দেখেছো.....!
- আমার মন দেখো নাই......!
- তুমি জানো আমার মন আছে.....!
- কিন্তু মনের ভিতর তুমি আছো সেটা জানো না......!
(৩)নারীদের কান্না বিশ্বাস করতে নেই কারন তারা মিলনের মতো সুখের সময় ও কান্না করে.... 😄

(৪)যার মায়া এক বার হৃদয় ছুয়ে যায় 😔
–তাকে কি কখনো ভুলে থাকা যায়..!😅💔

(৫)চোখের পাতায় স্বপ্ন জমা😌
অন্তরে বিচ্ছেদের ছায়া💔
শখের মানুষ নিজেও জানে না😓
~কত ভয়ংকর তার মায়া💔🥺❤️‍🩹

(৬)মৃত্যুর মতো এতো স্নিগ্ধ 🙂
এতো গভীর সুন্দর 🥰
আর কিছু নেই
কারন মৃত্যু অনিবার্য 🥲
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করো 🥲
গ্রহন করো 😅
বরন করে নাও 😅🫁❤️‍🩹

10/10/2024

"আপনাকে এই মূহুর্তে চেপে ধরে যদি একটা চুমু খাই তবে আপনার ফিলিংস জন্মাবে?"

সামনে বসা স্বল্প পরিচয়ের সুদর্শন পুরুষটির মুখে এহেন কথা শুনে ইভানা চোখ বড় বড় করে তাকাল।
বিদেশী গোছের ছেলেটি ঠোঁট টিপে হাসল ইভানার মুখাবয়ব দেখে। ইভানা তা বুঝতে পেরে কপট রেগে গিয়ে বলল,
"আপনি এবার সত্যি সত্যি পশ্চিমাদের মত ব্যবহার করছেন মিস্টার আবরার ফাইয়াজ।"
লোকটি পুনরায় হাসল। বলল,
"আপনি তো মানছেন না ব্যাপারটা। তাই বাধ্য হচ্ছি আমি।"
"আপনি পাবলিক প্লেসে বসে চুমু-টুমু, হাতা-হাতি,জড়াজড়ি যাই বলুন না কেন আমি রাজি হচ্ছি না।"
আবরার চোখ বড় বড় করে তাকাল। বিস্ময়ের সহিত বলল,
"হুয়াট ডু ইউ মিন বাই জড়াজড়ি অর হাতা_হাতি?"
ইভানা চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলল।
"ঠিক এজন্যই আমি চাইনা এরকম পশ্চিমা টাইপ ছেলে। আমি চাই একজন পিওর বাঙালিকে বিয়ে করতে।"
আবরার শার্টের কলার উঁচিয়ে গর্বের সঙ্গে বলল,
"আমি আপাদমস্তক বাঙালি ইভানা।"
ইভানা নিজের নাম পর পুরুষটির কণ্ঠে শুনে খানিকটা সময় চুপ থেকে বলল,
"আচ্ছা তাই! একটা বৈশিষ্ট্য বলুন তো আপনার বাঙালি চরিত্রের।"
আবরার সময় নিল না। প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলল,
"আমি রাতে লুঙ্গি পরে ঘুমাই।"
ইভানা কিঞ্চিৎ সময় চুপ করে রইল। পরক্ষণেই শরীর কাঁপিয়ে হেসে উঠল। আবরারের ঠোঁটের কোণেও তখন মৃদু হাসির রেশ।
ইভানার হাসির শব্দে রেস্টুরেন্টের বাকি সদস্যরা আড়চোখে তাকাল। হয়তো বিরক্তও হলো। বুঝতে পেরে ইভানা নিজেকে সামলে নিল।
আবরার পুনরায় বলল,
"এবার করবেন তো আমাকে বিয়ে?"
ইভানা কিছুটা সময় নিয়ে কথা গুছিয়ে নিল। হুটহাট কথা সে গুছিয়ে বলতে পারে না।
আবরার উৎসুক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইভানার দিকে।

"আপনি বাঙালি হলেও বহু বছর আগে চলে গেছেন দেশ ছেড়ে। মনে প্রাণে বাঙালি হলেও বাইরের আবরণটা কিন্তু পশ্চিমাদের দখলেই চলে গেছে। হয়তো তাদের কালচারেই অভ্যস্থ। কিন্তু আমি মোটেই এরকম কাউকে চাই না। আমি চাই আগাগোড়া বাঙালি একজন পুরুষ। যার প্রথম ও শেষ প্রায়োরিটি থাকব আমি। হ্যা অবশ্যই বাবা মায়ের পর। বাবা মায়ের পর তার একান্ত আপন মানুষটা যেন আমিই হই। তাকে নিয়ে যেন আমি ইনসিকিউর ফিল না করি। উঠতে বসতে খেতে শুতে সব সময় তাকেই আমার চাই। আমি বাঙালিয়ানা শুধু মনে মনে ধারণ নয়, রীতিমতো লালন করি। আপনি পারবেন? পারবেন না। আপনি জানেন, বাঙালি মেয়েরা বিয়ের পর স্বামী ব্যতীত আর কারো কথা ভাবতে পারে না। সবার উর্ধ্বে স্বামী। তাই আমি এমন একজন কে চাই যাকে এক ডাকেই আমার শিওরে অপেক্ষমান দেখতে পাব।"

আবরার রসিকতার সুরে বলল,
"এককথায় অন ডিউটি হাসবেন্ড চাই, রাইট?"
ইভানা মাথা নেড়ে হাসল। সম্মতি সূচক ইশারা পেয়ে আবরার মৃদুস্বরে বলল,
"ঠিক আছে। আমি যদি অন ডিউটি হাসবেন্ড হয়ে যাই তবে বিয়ে করবেন?"
ইভানা মলিন কণ্ঠে বলল,
"আমি সোজা কথা বলছি আপনি বুঝতে পারছেন না? আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই না। তার একমাত্র এবং অন্যতম কারণ হচ্ছে আপনি ইতালি প্রবাসী। আপনাকে বিয়ে করলে আমাকে দেশ ছাড়তে হবে। সেটা আমি ইহজন্মে পারব না। আবার পতিধর্ম বলেও একটা ব্যাপার আছে। সেটাও এড়াতে পারব না। কোনটা করব আমি? আপনি বলছেন অন ডিউটি হাসবেন্ড হবেন। কিন্তু আমি তো দেশ ছাড়ব না। আপনিও দেশে ফিরবেন না। এদিকে আপনার ছুটি মাত্র পনেরো দিন। বিয়ের ধুমধাম শেষ হতেই সপ্তাহ কেটে যাবে। এসেছেন দুদিন আজ। নয়দিন হলো। বাকি ছয়দিন। ছয়দিনের একদিন গোছগাছ করতেই লাগবে। রইল পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিন আপনি অন ডিউটি হাসবেন্ড হবেন? এরকম ক্ষণিকের আনন্দ আমি চাই না। আমি বিলাসিতা চাই না। চাই না আরামদায়ক জীবনযাপনের সুযোগ। দেশের মাটিতে দুমুঠো খেয়ে রাত হলে স্বামীর বাপাশে একটু জায়গা হলেই আমি খুশি। আপনি পারবেন দিতে? পারলে বলুন। আমি নিজে গিয়ে সব আত্মীয়ের বাড়িতে কার্ড বিলি করে আসব।"
আবরার অবাক হয়ে তাকিয়ে রইল। এমনও মেয়ে হয়?

ইভানা আফরোজ। পাবলিক ইউনিভার্সিটি থেকে গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছে চলতি বছরেই। লম্বা, ফর্সা ছিমছাম গোছের মেয়ে। ছেলে পক্ষের প্রথম দেখায় পছন্দ হয়ে যাওয়ার সব গুণাবলি নিয়েই তার জন্ম। চরিত্রটা বাঁধিয়ে রাখার মত। সময়ের তুলনায় মানসিকতা বেশিই পরিপক্ব তার। অন্য পাঁচটা মেয়ের মত আরামদায়ক জীবনযাপন চায় না সে। চায় এক টুকরো সুখ, শান্তি।আর চায় প্রিয়জনের সঙ্গ। তেইশ বছরের জীবনে একটা প্রেম ঘটিত জটিলতায় সে জড়ায়নি। চেয়েছে কেবল একজনেরই হাত। অপেক্ষা করেছে তার। হবু স্বামী। তাই তো বিয়েতে এত বাছবিচার তার।

আবরার ফাইয়াজ লাল রঙা বেনারসি শাড়ির আঁচলে হাত বুলিয়ে মা ফাহিমা করিমের দিকে তাকিয়ে বলল,
"মা, ওমন বউ কোত্থেকে পছন্দ করলে বলো তো। একেবারে নাটরের কাঁচাগোল্লার মত ।"
ফাহিমা করিম ছেলের মতিগতি বোঝার চেষ্টা করে বলল,
"তোর পছন্দ হয় নি?"
আবরার এক প্রস্ত হেসে বলল,
"হয় নি আবার। বললাম না কাঁচা গোল্লার মত বউ। কাঁচাই খেয়ে ফেলা যাবে।"
শেষোক্ত কথাগুলো বিরবির করে বলল আবরার।
ফাহিমা করিম মুচকি হেসে মনোযোগ দিলেন শাড়ি গোছানোর দিকে। আবরার নিজে পছন্দ করে কিনে এনেছে সব। আধুনিক সাজ পোশাক ছেড়ে লাল রঙা বেনারসিটার উপর নজর আঁটকে গিয়েছিল তার। ইভানা কি ভাববে, না ভাববে চিন্তা না করেই টুক করে কিনে নিয়ে চলেন এসেছিল। ইভানার রুচিবোধ সম্পর্কে তার বিন্দুমাত্র ধারণা তখন ছিল আর না এখন আছে। কেবল ছবি দেখেছিল দুটো। তাতেই বিয়ের মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে আবরার।

তবে আজ রেস্টুরেন্টের ক্ষণিক সাক্ষাতের পর মনে হচ্ছে আরও আগে কথা বলা উচিৎ ছিল। শেষ পর্যায়ে এসে জানতে পারল মেয়েটা বিয়ে করতে রাজি নয়। কারনটা তার প্রফেশন। আবরার তাচ্ছিল্য হাসল। এই নাকি সুখী হওয়ার জন্য কারি কারি টাকা লাগে। তবে সে কেন টাকা দিয়ে এক রমণীর মন কিনতে পারল না।
তার দামী মনটার জন্য কি ভালবাসা প্রয়োজন? তবেই কিনতে পারবে অমূল্য অদৃশ্য মনটা?

ইভানা চোখ মুখ কুঁচকে ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে আছে বহুক্ষণ সময় নিয়ে। সামনে বসে আছে তার মা মাকসুদা খানম এবং বাবা ইয়াসিন মোন্তাজ। মেয়ের বিরক্ত মাখা মুখের দিকে তাকিয়ে মাকসুদা খানম নিজেও বিরক্ত হলেন।
ইভানা সময় নিয়ে ধীরে ধীরে বলল,
"আমি বিয়ে করব না মা। এই ছেলে কে তো নয়ই।"
বিয়ে ঠিক হওয়ার পর থেকে ইভানার এই কলের পুতুলের মত বিয়ে করব না, বিয়ে করব না শুনতে শুনতে বিরক্ত মাকসুদা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন।
চিবিয়ে চিবিয়ে বললেন,
"তোর কি অন্য কোথাও সম্পর্ক আছে? থাকলে বল। বিয়ের দিন কোনো কেলেঙ্কারি ঘটালে আমি কিন্তু গলায় দড়ি দেব। "
ইভানা বিরক্ত ভঙ্গিতে নিশ্বাস ফেলল। এই মহিলার কথায় কথায় গলায় দড়ি দেওয়ার কথা শুনে বিরক্ত ইভানা। বিরক্ত ইয়াসিন মোন্তাজ এমনকি ক্লাস টেনে পড়ুয়া ছেলে ইভানও।
"আমার কোনো সম্পর্ক নেই মা। থাকলে আমি নিজেই পালাতাম এই অত্যাচার থেকে। আফসোস। বড্ড আফসোস হচ্ছে। এতগুলো প্রপোজাল লিস্ট থেকে একজন কে সিলেক্ট করা উচিৎ ছিল।"
মাকসুদা খানম কড়া চোখে তাকালেন। ইয়াসিন মোন্তাজ মুখ টিপে হেসে হাত চাপা দিলেন মুখের উপর। মাকসুদা দেখে ফেললে সর্বনাশ হয়ে যাবে।
ইভানা পুনরায় বলল,
"মা তুমি একটা রিকশাওয়ালার সাথে বিয়ে দিয়ে দাও। আমি দ্বিমত করব না। কিন্তু এই ছেলেটা না। দয়া করো।"
ইয়াসিন মোন্তাজ এবার সিরিয়াস হলেন। বললেন,
"কি হয়েছে ইভা মা আমার? এই ছেলের কি সমস্যা? এর চেয়ে তুমি রিকশাওয়ালা কে বিয়ে করতে চাইছো। খুলে বলো। না বললে বাবা বুঝবে কি করে?"

ইভানা টলমল চোখে বাবার দিকে তাকাল। বাবাকে ঝাপটে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে উঠল।
"আমি তোমাদের ছেড়ে যেতে পারব না। আর না পারব এই দেশ ছাড়তে। এই বিয়ে করলে আমি দেশ ছাড়তে বাধ্য বাবা। কি করব আমি? আমার দম বন্ধ হয়ে আসে বাবা। তুমি বলো না এই বিয়ে ভেঙে দিতে।"
ইয়াসিন মোন্তাজ মেয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন,
"আমার ফোনে ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেছে। তুমি তোমার ফোনটা দাও তো। আমি কথা বলি আবরারের সাথে। আমার মেয়েকে কাঁদায় সে। কি এমন চাকরি করে যে আমার গুনবতি মেয়েটার জন্য তা ছেড়েছুড়ে আসতে পারবে না। দাও ফোন। আমি কথা বলছি। এমন ছেলের সাথে আমি আমার মেয়ের বিয়ে কিছুতেই দেব না। কদাপি নহে।"
ইভানা চোখ মেলে বাবার মুখের দিকে তাকাল। মাকসুদা খানম পারে না বাবা মেয়েকে গিলে খেয়ে নেয়।

মিনিট পাঁচেক পর ইয়াসিন মোন্তাজ রুমে ফিরে এলেন। ইভানা তখনো সোফায় বসে আছে নির্বিকার ভঙ্গিতে। মাকসুদা খানম কটমট করে তাকাল বারান্দা হতে ধীর পায়ে এগিয়ে আসা ইয়াসিন মোন্তাজের দিকে।
ইয়াসিন সাহেব মন খারাপ করে বলল,
"মা রে আমিতো মহা বিপদে ফেঁসে গেছি।"
ইভানা বাবার মুখের দিকে তাকাল। অসহায় দেখাচ্ছে তাকে। কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম দেখা যাচ্ছে
নিজের চিন্তা ভুলে গেল সে। বাবার জন্য উদ্বিগ্ন হলো। কপালে হাত রেখে জ্বর পরীক্ষা করে বলল,
"কি হয়েছে বাবা? শরীর খারাপ লাগছে?"
ইয়াসিন মোন্তাজ মৃদু স্বরে বললেন,
"শরীর ঠিক আছে। মনটা ঠিক নেই। আমার ভুলের জন্য কতগুলো মানুষের সম্মান রাস্তায় মিশে যাচ্ছে। আমার নিজের সম্মান তো বাদই দিলাম।"
ইভানা ভ্রু কুঁচকে তাকাল। তার বাবাও কি মায়ের মত ড্রামা করছে কিনা বুঝতে চেষ্টা করল। কিন্তু নিজ পিতার মুখাবয়বে ছলচাতুরীর লেশমাত্র পেল না।
ইভানা নরম কণ্ঠে শুধালো,
"কি হয়েছে বাবা? এরকম ভাবে বলছো কেন? তোমার জন্য অন্য লোকের মানসম্মান কেন যাবে?"
ইয়াসিন মোন্তাজ ধীর গলায় বলল,
"বিয়ের কার্ড বিলি করা হয়ে গেছে। দু একদিনের মধ্যে আত্নীয় স্বজন চলে আসবে আবরারের বাসায়। এখন তুমি বলছো বিয়ে করবে না। এতে মান সম্মান যাবে না? আমাদের নাহয় আত্নীয় স্বজন কম। কিন্তু ওদের তো এই বিয়ে নিয়ে অনেক প্ল্যানিং। যা চলছে গত ছয়মাস ধরে। আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারছি না। বিয়েটা তো আমার মতামতেই ঠিক হয়েছিল। যাই হোক কি আর করা যাবে। তুমি তো রাজি না।"
ইভানা চোখ বন্ধ করে বড় করে শ্বাস নিল। বাবার হাত ধরে বলল,
"আমাকে একটু সময় দাও বাবা।"
ইয়াসিন মোন্তাজ কণ্ঠে আদর মিশিয়ে বললেন,
"ঠিক আছে মা। সময় নাও। ছেলেটা কিন্তু খারাপ না।"
ইভানা হাসল। মলিন হাসি। যার শব্দ হয় না। কেবল ঠোঁটের কোণটা একটুখানি প্রসারিত হয়।

বিছানায় চিৎপটাং হয়ে পড়ে থাকা আবরারের ফোনটা বিকট শব্দে চেঁচিয়ে উঠলো। বিরক্ত হয়ে ফোনের স্কিনে তাকাল। কিন্তু স্কিনে প্রিয় ঠিকানার নাম্বার দেখে মুচকি হাসল। বলল,
" হ্যা আংকেল বলুন।"
ইভানা ফোঁত করে নিশ্বাস ছেড়ে বলল,
"আংকেল নই। আংকেলের মেয়ে। অ্যাপয়েনমেন্ট দেয়া যাবে?"
পরবর্তী সকল পার্ট আমার পেজ এ দিয়ে দিছি এখুনি পড়তে চাইলে LBD SFIAN 👈এই নীল লিখায় চাপ দিয়ে পেজ লাইক/ফলো করে পড়ে নিন, পেজ লাইক/ফলো না করে খুজলে পাবেন না, অনলি ফলোয়ার'রাই পাবেন)

#চলবে_______________

#পার্টঃ_১ম_______

#গল্পের_নামঃ_সেদিন_বসন্ত_ছিল

রাহনুমা_রাহা
সুচনা_পর্ব

চলবে...

05/10/2024

_একজন লোক, তার স্ত্রীকে ন*গ্ন করে বেডের সাথে দু'l*পা বেধে,সোজা করে শুইয়ে
_ লোকটা তার প্যান্টের বেল্ট খুলে - মহিলার জরা*য়ুর ওপর বেল্ট দিয়ে প্রচন্ডভাবে পেটা*চ্ছিলো।
_বেল্টের একেকটা আঘাতে জরা*য়ু যেন কাঁপছিলো।
র*ক্তে বিছানা লাল হয়ে গিয়েছে,
নরম কোমল জায়গায় এত শক্ত চা*মড়ার বেল্টের আঘাত- সেই অংশের মাং*স বেল্টের সাথে লেগে লেগে উঠে যাচ্ছিলো।

বেল্টের মারের শব্দে -রুমের এক কোণায় দাঁড়িয়ে মহিলার ছেলে ভয়ে কেঁপে উঠছিলো।

মা*রতে মা*রতে লোকটি বলছিলো- "বুড়ি হয়ে গেছিস,তবুও তোর তেজ কমে না"

রুমের কোণায় দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিই -
আমি উইলহেম ছিলাম,আর লোকটি আমার বাবা ছিলো।
সেই রাতেই আমার মা আত্ম*হত্যা করেছিলো।

আমার বাবা কেমিস্ট ছিলেন,পুতুল বানাতেন।
বাবার থেকেই আমার এই কেমিস্ট্রি বিশ্লেষণ শেখা।
বাবা পরবর্তীতে কিছু বছর পর আবার বিয়ে করে, বাবার নতুন স্ত্রী অন্যরকম ছিলো।
দেখতেও সুন্দর ছিলো।

আমার বয়স তখন সতেরো হবে।
বাবার স্ত্রী প্রায় আমার সামনে লোভনীয় ভাবে বসে থাকতো,একবার ন*গ্ন অবস্থায় সামনে এসেছিলেন।

আমি এড়িয়ে যাই,মহিলার একটা মেয়েও আছে আমার বয়সী।
বাবার সাথে রাতে ঘুমাতো মেয়েটা।
দরজার খোলা রেখেই,আবার কখনো সোফায় অবাধ মেলামেশা হচ্ছিলো।

সেদিন রাতে বাবাকে আর মেয়েটাকে একসাথে দেখে,আমি আর সহ্য করতে পারিনি, বাবার গলায় ছু*ড়ি ঢুকিয়ে দিলাম।
মেয়েটা ভয় পেয়ে যায়,মেয়েটাকে শুইয়ে,ঠিক সেই একই ভাবে বেল্ট দিয়ে জরায়ুর ওপর পিটি*য়েছি।
তারপর যৌ*নাঙ্গে ছু*ড়ি ঢুকিয়ে মোচড়াতে থাকি।

দুজনেই মা*রা যায়।
বাসায় কেউ নেই,কি করবো লা*শ,
বুঝতে পারছিলাম না।

বাহিরে কুকু*র ঘে*উ ঘে*উ করছে,এত বড় দেহ কিভাবে লুকাবো,বুঝছিলাম না।

তারপর কি যেন ভাবলাম,লা*শ গুলোকে কুঁ*পিয়ে টুক*রো টু*করো করলাম,কু*কুরকে দিলে -কু*কুর কাঁ*চা মাং*স খা*চ্ছে না।

ঠিক কিভাবে লা*শ গুলো গায়েব করবো, বুঝছিলাম না।
হঠাৎ বুদ্ধি এলো, মৃ*ত দে*হ দুটোকে পিস পিস করে কে*টে নিলাম, তারপর প্রচুর স্বাদ করে ভেঁজে নিয়েছি।
আর হাঁড় গুলো থেত*লে -মিশ করে,বাসার পেছনে বালুর সাথে মিশিয়ে দিয়েছি।

মাং*স গুলো ফ্রাই করার পর দারুণ ঘ্রাণ আসছিলো,কু**কুর গুলো আবার ডাকছিলো,মাং*স গুলোর কয়েক পিস কু**কুরকে দিতেই খেয়ে নিলো।

তারপর আরো দিলাম,কু*কু*রকে যত দিচ্ছি ততই খাচ্ছে, -নিজের অজান্তেই এক পিস ভাজা মাং*স মুখে নিলাম।
দাঁতের মাঝখানে রেখে চাপ দিতেই,মশলা মাখানো স্বাদ পুরো জিহ্বে লেগে গেলো,আমার চোখে যেন নে*শা লেগে গেলো,পরে আরো এক টুকরো মুখে ভরলাম।

দ্রুত চাবাতে লাগলাম। কি যেন মনে করে,কু*কুরকে আর একটা মাং*সের টুকরোও দিলাম না।
টেবিলে বসে বসে মজা করে খাচ্ছিলাম।

এরপর একদিন বাবার দ্বিতীয় স্ত্রীকেও শে*ষ করে দিলাম। এতদিনেও আমি সেই বেল্টের শব্দ ভুলতে পারিনি।

আমি ছোট বেলা থেকেই-
ভ্রম,মায়া,প্রলুব্ধ করতে পারতাম-
যেমন একবার এক মধ্যবয়সী মহিলাকে-
ব্যাংক হতে বের হতে দেখে -
তার সামনে গিয়ে দাড়াতেই -
মহিলা আমাকে তার সব টাকা তুলে দিয়ে চলে লাগলো।

যদিও কাজ টা এমনি এমনি হয়নি, প্রচন্ড রোদে হলুদ রঙের পোশাক চোখে ইলিউশান ধরায়।
আমি এসে মহিলার সামনে রোদে দাঁড়ালাম,
মহিলার চোখের মণি বরাবর তাকালাম,
মহিলা তার চোখের মণি যেদিকে ঘুরাচ্ছিলো,
আমিও সেদিকেই আমার নজর ঘুরাচ্ছিলাম।

এর পর মহিলা আমার দিকে তার নজর স্থির করে ফেললো,
বিষয়টা এমন হয় যে, আপনি মোবাইলে পোর্ট্রেইট মোডে ছবি তুললে-
আপনাকে ফোকাস রেখে যেমন পেছনের ব্যাক গ্রাউন্ড ঘোলা/ব্লার হয়ে যায়,ঠিক এভাবেই চোখের ইলিউশান করা হয়।

মানে আপনার সামনের ব্যক্তির -চোখের সামনে -আপনাকে ফোকাস করাতে হবে এবং বাকি সব ব্লার।
আর তারপর সে আপনার দিকে ফোকাস করতে গিয়ে সে তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাবে।

রেস্টুরেন্টে খেয়ে বিল না দিয়ে কতো বিল নিয়ে এসেছি তার হিসেবে নেই।

একবার ইউনিভার্সিটি লাইফে এক মেয়েকে পছন্দ হয়েছিলো, কিন্তু মেয়েটা উদ্ভুত ভাবে আমাকে প্র*ত্যাখ্যান করেছিলো, আমার রাগের কিনারা করার ক্ষমতাও ওই মেয়ের নেই।।

পরের দিন মেয়েটা ক্লাসে আসে,পুরো ক্লাস ফাঁকা -
আমি সামনের সিটে বসে আছি, ওই মেয়েটা ক্লাসে ঢুকেছে-
অসম্ভব সুন্দর ছিলো মেয়েটা -
ওর কোঁকড়া চুক গুলোর জন্যে।

কোঁকড়া চুল, গাঢ় খয়রি রঙের লিপস্টিকের ঠোঁট আর ফর্সা চামড়ার নগ্ন শরীর কেমন হয় দেখবেন?
মেয়েটার নাম ছিলো অপ্সরা, হয়ত ভারতীয় হবে।

আমি ক্লাস রুমে বসে ছিলাম,মেয়েটাকে ক্লাস রুমে আমার দিকে তাকাতে বললাম,
মেয়েটা আমার দিকে তাকাতেই স্থির হয়ে গিয়েছে,
- "অপ্সরা, এই রুমে কেউ নেই, তোমার উচিৎ পোশাক খুলে ফেলা"

অপ্সরা দৃঢ় চোখে আমার দিকে তাকিয়ে নিজের পোশাক খুলে ফেলছে,অপ্সরা লম্বা ঢিলা রাজকীয় পোশাক পড়েছিলো,ভেতরের ছোট পোশাক খুলতেই অপ্সরাকে বললাম, -
"এখানে অনেক মানুষ সবাইকে তোমাকে দেখছে,"

এটি বলতেই অপ্সরা যেন ঘুম থেকে জেগে উঠলো।
অপ্সরা মাঠের দাঁড়িয়ে আছে চারদিকে মানুষ,সবাই তাকিয়ে আছে, আমি হাসতে হাসতে চলে এলাম।
হিপনোটিজম মানেই আপনি যেখানে আছেন ভাবছেন আসলে সেটা মিথ্যে।

হিপনোটিজম পৃথিবীর অন্য আরেকটা দুনিয়া,এটা আপনার ব্রেইনকে ঘুম পাড়িয়ে শরীরকে সচল রাখে,
এটি মূলত "স্লিপিং ওয়াক" প্রাকৃতিক অভ্যাস থেকেই অনুপ্রাণিত।।

অপ্সরাকে হিপনোটাইজ করতে -
অপ্সরা ইউনিভার্সিটিতে আসার আগেই
রাস্তায় কারোর মাধ্যমে সাব-কনশাস মাইন্ডে তাকে শুনিয়েছিলাম -
আজকে ক্লাস সম্পূর্ণ ফাঁকা থাকবে।

হিপনোটাইজ বা ইলিউশান সাব-কনশাস মাইন্ডের ওপর নির্ভর করে।
অপ্সরা কে এমন কিছু বলতে হবে যে বিষয়টাতে এখন কনফিউশান আছে।
ক্যাম্পাসে আসতেই -হঠাৎ করে অপ্সরার কানের কাছে গিয়ে বললাম, এখন ক্লাস পুরো ফাঁকা,
অপ্সরা আমার দিকে তাকাতেই "অপটিকাল ইলিউশান " এর দ্বারা অপ্সরার মনোযোগ আমার দিকে নিয়ে 'অডিটোরি ইলিউশান' করা শুরু করলাম।

অডিটোরি ইলিউশান এর মাধ্যমে মানুষকে নিজের কথা শোনানো যায়,এবং সে যেটা শুনবে সেটা সত্যি নয়, এমন মোহে আটকানো যায়।

আর তারপর অপ্সরাকে আমার বশে নিয়ে ন*গ্ন হতে বাধ্য করলাম,
একটু পরেই অপ্সরা হিপনোটিজম থেকে ফিরে এসে নিজেকে সবার সামনে এমন ন*গ্নতায় দেখে রুমে ঢুকে আত্মহ*ত্যা করে, আমি উল্লাসের হাসি হাসতে হাসতে চলে এলাম।

সেদিন রাতে প্রচন্ড বৃষ্টি, আমি বৃষ্টির মধ্যে স্টেশনে ট্রেনের জন্যে অপেক্ষা করছিলাম,
শুনেছি এই স্টশনে ভুতের উপদ্রব আছে,অনেকেই নাকি এখানে মা*রা গিয়েছে।।

সাড়ে বার'টা বাজে।
হঠাৎ মনে হলো, কোথাও যেন ঘন্টা পেটানোর শব্দ হচ্ছে,
একজন লোক আমার সামনে দিয়ে যাচ্ছে আর বলছে,"ওইতো শুরু হয়ে গেছে,ওরা আসতে চলেছে।"

আমি নড়ে চড়ে বসলাম, ওরা আসছে মানে!

কেমন যেন ভৌতিক কিছু ঘটবে এমন কিছু প্রত্যক্ষ করার চিন্তাই আমার মস্তিষ্ক করছিলো,
হ্যাঁ,তাই হলো।

আমি হঠাৎ তাকিয়ে দেখি একজন বৃদ্ধা রেল লাইনের ওপর বসে আছে,
আর দূর থেকে ট্রেন আসছে,ট্রেনের হেড লাইট চোখে পড়ছে,ঘন্টা বাজছে,বৃষ্টির সাথে মেঘের গর্জন কানে আসছে,
বজ্রপাতের চমকানো,সাথে ঘন্টা বাজার শব্দ সব একসাথে।

আমার ব্রেইন সব কিছু একসাথে নিতে পারছিলো না,বৃদ্ধা কেন যেন চিৎকার দিয়ে উঠলো,
পাশ থেকে একজন লোক আমার মনোযোগ নেয়ার জন্যে চিৎকার করে বলছে,
"কেউ এই বৃদ্ধাকে বাচাও,"
এত কিছু একসাথে,
আমি চোখ,মনোযোগ, শ্রবণ ঠিক রাখতে পারছিলাম না।

লোকটা জোড়ে চেঁচিয়ে বলছিলো, "এইযে ট্রেন চলে আসলো,ট্রেন চলে আসলো,কেউ বৃদ্ধা কে বাচাও।"

আমি একবার ট্রেনের দিকে তাকাই একবার আমার পাশে দাড়ানোর লোকটার দিকে তাকাই, একবার বৃদ্ধার দিকে তাকাই।

ধুম করে,ট্রেন এসে বৃদ্ধার ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।
আমি বোকার মতো তাকিয়ে আছে,লোকটা চিৎকার করে বলছে, "ট্রেনটা বৃদ্ধার ওপর দিয়ে চলে গেলো,কেউ বাচালো না।"

লোকটার কথা শুনে বৃদ্ধার দিকে তাকাতে আমি অবাক, একি বৃদ্ধা টেনে চাপা পড়লো,কিন্তু এখানে তো বৃদ্ধার লা*শ নেই।

বৃদ্ধার লা*শ উধাও,বৃদ্ধার থেকে চোখ সরিয়ে পাশে তাকিয়ে দেখি,পাশের লোকটিও উধাও।

কি হলো এটা,সত্যি কি তাহলে ভৌতিক কিছু আছে এখানে,ভাবতে ভাবতে আমার মন ভার হয়ে যাচ্ছিলো।

ব্যাপার টা ভ*য়ংকর হলেও আমি এর রহস্য দেখার আগ্রহী ছিলাম।

সেদিন আর গন্তব্যে যাওয়া হয়নি।
পরদিন দুপুরে স্টেশনে আবার আসি,স্টেশন মাস্টারকে জিজ্ঞেস করলে সে বললো,
"রাত বারটার পর এই স্টেশনে কোনো ট্রেন ই আসে না।"

শুনে অবাক লাগলো,তাহলে কাল যে এত রাতে ট্রেন আসলো, সেটা?

হঠাৎ আরো একটা চিন্তা আমার মাথায় আসলো, আমার পাশে দাঁড়িয়ে যে লোকটা চেঁচিয়ে রেইল লাইনে পড়ে থাকা বৃদ্ধাকে বাঁচাতে বলছিলো,কিন্তু সে নিজে বৃদ্ধাকে বাঁচাতে না গিয়ে আমাকে বাচাতে যেতে কেন বলছিলো?

সব বুঝতে পেরেছিলাম -যখন জানতে পারলাম এখানে এমন ভৌতিক ঘটনা শুধু বৃষ্টির রাতেই হয়ে থাকে।

এবার এটা আমাকে খুব আনন্দ দিচ্ছে-কয়েকদিন অপেক্ষা করছিলাম,হঠাৎ আরেকদিন রাতে বৃষ্টি শুরু হলো-

আমি স্টেশনে চলে এলাম।।
বার'টা বাজার ঠিক একটু পরেই, হঠাৎ ঘন্টা বাজতে শুরু করলো,একজন বৃদ্ধা লোক হেটে এসে রেল লাইনের ওপর পড়ে গেলো।

সাধারণত ঘন্টা বাজা মানেই ট্রেন আসা।
দূরে রেল লাইনের পাশে একটা বাল্ব জ্বলছে,
দেখলে মনে হবে,যেন দূর থেকে ট্রেনের হেড লাইট জ্বলছে,আর ট্রেনটি স্টেশনের দিকে আসছে।

সেদিনের মতো সব কিছু ঘটতে থাকলো, আমি কোনো কিছুইতে মনোযোগ দিচ্ছি না,হঠাৎ আমার পাশে দাঁড়িয়ে লোকটি চিৎকার করতে লাগলো,আমি তার কথারও অনুসরন করছি না,শুধু লোকটার দিকে তাকিয়ে আছি।

তারপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকটার গায়ে এক বোতল কেরসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলাম।

"কেউ বৃদ্ধাকে বাচাও " বলা বন্ধ করে,দেখলাম,লোকটা আমাকে বলতে লাগলো,"আমাকে বাঁচান"
আমি হাসছিলাম,
লোকটা ভালো ইলিউশনিস্ট,
আসলে ট্রেইন বলে কোনো কিছুই আসে না।
আর ট্রেনে কোনো বৃদ্ধাও কাটা পড়ে না।
মানুষের একসাথে সর্বোচ্চ পাঁচটি সেন্স কাজ করতে পারে মানে মানুষের ফিফথ সেন্স সরাসরি এক্টিভ থাকে।

কিন্তু অনেক গুলো কাজ একসাথে ঘটলে,
মানুষ দুই/তিন টা কাজ সজ্ঞানে করে,
বাকি কাজ সাব-কনশাস মাইন্ডে করে।
আর সাব-কনশাস মাইন্ড চোখ এবং কানের নির্দেশনায় সব কিছু ভাবতে থাকে।

লোকটি তারই সুযোগ নিয়ে, বৃদ্ধার থেকে, ট্রেনের থেকে আমার মনোযোগ উঠিয়ে নিয়েছিলো,
আর তাই লোকটি- বৃদ্ধা এবং ট্রেনের ব্যাপারে যা বলছিলো,আমি সেটাই দেখছিলাম।

এই লোকটি মানুষকে এমন ইলিউশানে ফেলতে আনন্দ পায়,তাই হয়তো প্রতি বৃষ্টির রাতে এমন করে।

লোকটির গায়ে আগুন জ্বলছিলো,তার ওপরেই আমি কতো গুলো চড় থাপ্পড় মেরে
লোকটিকে রেল লাইনে ফেলে দিয়ে আসলাম,কতো বড়ো সাহস আমাকে ইলিউশানে ফেলতে আসে।

এরপর থেকে আমি আরো ইলিউশান,হিপনোটিজমে মনোযোগ দেই।

সাইকোলজি নিয়ে আমি ধীরে ধীরে সুনাম অর্জন করতে থাকি।

বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেকবার আমাকে রেস্ট্রিকশন দেয়ার প্রস্তুতি হয়েছিলো,কিন্তু আমাকে রেস্ট্রিকশন লেটার দেয়ার আগে আমাকে ডাকা হলে,
পরে সেই রেস্ট্রিকশন লেটার আমার নামে প্রশংসা পত্র হয়ে যেত।

আমি গোপনে যত ভ*য়ংকর, প্রকাশে তত উদ্ভাসিত বাতাসের মতো প্রফুল্ল মানসিকতার।

ভ্রমের এই চাতুরায় আমি শেখরে পৌছালেও -
প্রতিরাতে এক স্বপ্ন আমার চারপাশকে উচ্ছিষ্ট বানিয়ে দিয়েছে।

আমি এখনো আমার মায়ের সেই নগ্নতা ভুলতে পারিনি,
পৈ*শাচিক তৃষ্ণা আমাকে বার বার সজাগ করে দেয়।
ঘুম আসছিলো না বলে,রাতে বাবার ল্যাবে চলে আসলাম,কেমিক্যাল নিয়ে আমার ভালো চর্চা ছিলো,বাবাকে মা*রার পর আমি নিজেই স্বাভাবিক মানের পুতুল বানাতাম,বলা যায় আমার প্রফেশন ছিলো।

হঠাৎ অবচেতন থেকে ইচ্ছে হলো-একটা স্বাভাবিক প্রকৃত মেয়ের পুতুল বানাতে- মেটেরিয়াল গুলো নিলাম,এরপর ল্যাবে ঢুকে -
যত্নে পুতুল বানাচ্ছিলাম,
বানাতে -বানাতে এক পর্যায়ে দেখলাম,
বাহ!একদম মানুষের মতো লাগছে।

মেয়েটার যো*নি ভালো ভাবে বানাতে পারছিলাম না।ঠিক লোভনীয় হচ্ছিলো না।
মাথায় আরো একটা বুদ্ধি আসলো-
কেমন হবে যদি মানুষের আসল /প্রকৃত যো*নি দিয়েই যদি পুতুল বানানো যায়-
পরবর্তী সকল পার্ট আমার পেজ এ দিয়ে দিছি এখুনি পড়তে চাইলে LBD SFIAN 👈এই নীল লিখায় চাপ দিয়ে পেজ লাইক/ফলো করে পড়ে নিন, পেজ লাইক/ফলো না করে খুজলে পাবেন না, অনলি ফলোয়ার'রাই পাবেন)

চলবে _______________

ার্টঃ_১ম,______
,
গল্পঃ Flesh /মাং*স

Written : Papilion Skyscraper
চলবে,,,,,,,,

04/10/2024

নারীকে চুল ধরে মে'রোনা.....
লোকে মন্দ কইবে.....😊😊😊

নারীকে গালে মেরোনা...
তাহার সৌন্দর্য নষ্ট হইবে...🤗🤗🤗

নারীকে কারো সামনে লজ্জা দিওনা....
তোমার আত্মসম্মান কমে যাইবে.. 😚😚😙

নারীকে হাত মুচড় দিওনা
তোমায় পিপাসার জল কিভাবে দিবে?😥😥😥

নারীকে পায়ে আঘাত করোনা!
তোমার সাথে পথ কিভাবে চলবে🙄🙄🙄

নারীকে স্বতিত্বের দাগ দিওনা!
সে অস্বতী হয়ে যাবে.....😏😏😏

নারীকে কোমরে আঘাত করোনা!
তোমার তৃপ্তি কমে যাবে....😌😌😌

নারীকে বুকে আঘাত করোনা!
তোমার সন্তান কষ্ট পাবে..😐😐😐

নারীকে ঘৃনা করোনা!
তুমি ঘৃনিত হবে....😐😐😐

নারীকে একটু ভালোবাসা দেও সে
তোমাকে স্বর্গের ভালোবাসা এনে দিবে।😍😍😘😘😘

নারী মায়ের জাত! যে পুরুষ নারী কে আঘাত দিয়ে কথা বলে সে আসলে তার নিজের মায়ের মর্যাদা বুঝতে পারে নাহ! নারী কে সন্মান করুন
ভালো লাগলে শেয়ার করে বন্ধুদের পড়ার সুযোগ করে দিন

#অনুগল্প ゚

02/10/2024

# # # ১. ভুল ফোন নম্বর
একটি মেয়ে ভুলবশত একটি ছেলের ফোনে মেসেজ পাঠাল। মেসেজে লিখেছিল, "তুমি কি আজ রাতে ডিনারে আসবে?" ছেলে মেসেজটা পড়ার পর হাসতে হাসতে উত্তর দিল, "কী! তুমি তো আমাকে চেনোই না!"

মেয়ে মজা করে বলল, "ঠিক আছে, তাহলে আমি তোমাকে চিনি। তুমি আমার চা বানানোর জন্য একদম উপযুক্ত!"

ফলে তারা ফোনে অনেকক্ষণ কথা বলে এবং পরবর্তীতে ডেটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

# # # ২. স্যান্ডউইচ প্রেম
একটা রেস্টুরেন্টে ছেলে মেয়েকে খাওয়ানোর জন্য স্যান্ডউইচ অর্ডার দিল। যখন স্যান্ডউইচ এল, মেয়ে দেখল তার স্যান্ডউইচে মাত্র একটি টুকরো টমেটো। সে বলল, "এটাই কি আমার স্যান্ডউইচ? আমি ভাবছিলাম এটা তো একবারে সাদামাটা!"

ছেলে হাসতে হাসতে বলল, "তুমি চাইলে, আমি তোমার জন্য আরো টমেটো এনে দিতে পারি। কিন্তু মনে রেখো, অতিরিক্ত টমেটো প্রেমের প্রতীক!"

# # # ৩. লিফটের আকস্মিক প্রেম
একদিন, একটি লিফটে দুটি অচেনা লোকের দেখা হলো। লিফট হঠাৎ করে আটকে গেল। মেয়ে একটু ভীত হয়ে পড়ল এবং বলল, "এখন আমি কিভাবে বাইরে যাব?"

ছেলে হেসে বলল, "নিশ্চয়ই আমার দম লাগবে, তুমি তো বেশ ভারী!" মেয়েটি তখন বলল, "তুমি যদি আমাকে বাঁচাতে না পারো, তবে আমি তোমার ওপর একদিন প্রেমের অভিযোগ করবো!"

এভাবে তারা লিফট থেকে বের হওয়ার পর একে অপরের ফোন নাম্বার নিয়ে বন্ধুত্ব শুরু করে।

এই রকম আরও গল্প চাইলে জানাও!

01/10/2024

একদিন একটি ছোট শহরে সোহেল এবং মিতা নামের দুই বন্ধু পার্কে বেড়াতে গেল। সোহেল ছিল অনেক মজার স্বভাবের, আর মিতা ছিল একটু গম্ভীর। সোহেল সিদ্ধান্ত নিল মিতাকে হাসানোর জন্য কিছু মজার কাণ্ড করবে।

প্রথমে সে মিতাকে বলল, "কী হবে যদি আমি বলি, আমি জাদুকর?" মিতা একটু হাসল, কিন্তু বিশেষ পাত্তা দিল না। সোহেল তখন বলে উঠল, "আমি এখন হাতির মতো বেসুরো গান গাইব!" আর সে বেসুরো গাইতে শুরু করল। আশেপাশের লোকেরা হাসতে লাগল।

মিতা বলল, "ওখানে হাতি নেই, তুই কি ভেবেছিস?"

সোহেল আরও আগ্রাসী হয়ে গানের স্টাইল বদলাল এবং বলল, "আমি তো হাতি, আমাকে এভাবে গাইতে বললে তো হবে না!" তখন সে হাতি হিসেবে নেচে নেচে গান গাইতে লাগল। মিতার মুখে একবারের জন্যও হাসি এল।

এরপর সোহেল মিতাকে বলল, "ধর, আমি একটা প্রেমের চিঠি লিখছি!" মিতা বলল, "তুই যে প্রেমে নেই, সে চিঠি কিসের?" সোহেল হেসে বলল, "প্রেমে না থাকলে কি চিঠি লেখা যায় না?"

অবশেষে সোহেল একটা চিঠি লিখল, "প্রিয় মিতা, তুমি যেন সূর্যের আলো। আমি তোমাকে পেলে আমার দিন উজ্জ্বল হয়ে যাবে।" মিতা হাসতে হাসতে বলল, "তুমি তো সত্যিই পাগল হয়ে গেছো!"

সোহেল তখন বলল, "ঠিক আছে, আমি যদি তোর সাথে এক সপ্তাহের জন্য প্রেমে পড়ি, তোর কি হবে?" মিতা হেসে উত্তর দিল, "তাহলে তো আমাকে প্রতিদিন হাসাতে হবে!"

সেই দিন থেকে সোহেল ও মিতা একসাথে হাসতে হাসতে প্রেমের গল্প শুরু করল। এবং সোহেল বুঝতে পারল, হাসিই আসলে প্রেমের সবচেয়ে বড় কূটনীতি!

01/10/2024

রোমান্টিক গল্প।চিরোচেনা সেই তুমি।

30/09/2024

রাত তিনটার দিকে প্রেমিকার ফোন ওয়েটিং..!
ফোন ধরতেই বললাম
-ওয়েটিং কেন?
তার উত্তর
-"তামিম তুমিকি আমাকে সন্দেহ করো?"
আমি বললাম,আরে না না সমস্যা থাকতেই পারে এইখানে সন্দেহের কি আছে।

কয়েকদিন আগে দেখলাম যমুনাতে ছিঁড়াফাটা প্যান্ট পরা এক ছেলের সাথে হাত ধরে ঘুরে বেরাচ্ছে এগিয়ে গিয়ে বললাম
-এই ছেলে কে?
সে উত্তর দিল -তামিম তুমিকি আমাকে সন্দেহ করো?
আমি বললাম-আরেনা ছোট ভাই ব্রাদার থাকতেই পারে এইখানে সন্দেহের কি আছে।

একদিন খুব কাছের এক ছোটভাই কল দিয়ে বললো "ভাই ভাবিরতো বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে আপনিতো ছ্যাকা খাইলেন😯
"সাথে সাথেই প্রেমিকারে কল দিয়ে কইলাম ঘটনাকি সত্যি?
সে বলে
-দেখো বিয়েটা আমার বাবার জন্য করা। বাবার হার্টের অসুখ তাই বিয়েটা করতেছি। কিন্তু আমিতো তোমাকেই ভালোবাসি। কিছুদিন পরেতো আমি তোমার কাছেই ফিরে আসব।
-আমি আমতা আমতা করে বললাম-কিন্তু..?
সে উওর দিল-দেখো আমি ভার্জিন আর তোমার কাছে আমি ভার্জিন হিসেবেই ফিরে যাবো।
আমি বললাম-কিন্তু...
আমার বলার আগেই সে উত্তর দিলো
-কিন্তু কি তুমিকি আমাকে সন্দেহ করো?
-আমি বললাম আরেনা এইখানে সন্দেহের কি আছে। সমস্যা হতেই পারে।

কিছুদিন পর প্রেমিকাকে ছোট একটা বাচ্চা কোলে নিয়ে হাটতে দেখলাম। এগিয়ে গিয়ে বললাম এই বাচ্চা কে?
-সে উত্তর দিল এই বাচ্চা আমারই। কিছুদিন আগেই হয়েছে। আমি আমতা আমতা করে বললাম-কিন্তু তুমিতো বলেছিলে...আমি বলার আগেই সে উত্তর দিলো
-দেখো তামিম হঠাৎ কি করে যেন কি হয়েগেলো।আমি আসলে বুঝতে পারিনি। বিশ্বাস করো আর কখনো এমন হবেনা এইটাই শেষ বাচ্চা। আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।তুমি আমার জন্য ওয়েট করো আমি ফিরে আসব।
আমি কিছু বলতে যাবো এর আগেই সে বলে উঠলো
-তুমিকি আমাকে সন্দেহ করো?

একটা স্কুল দিয়েছি বাচ্চাদের পড়াই। পড়াতে ভালোই লাগে।একদিন সেখানে আমার প্রেমিকা এসে উপস্থিত সাথে ৪-৫ টা বাচ্চা। দেখেই বোঝা যায় পিঠেপিঠি বাচ্চা এগুলো। কিছু বলার আগেই সে বলে উঠলো এগুলো তার বাচ্চা! স্বামি অশিক্ষিত তাই পরিবার পরিকল্পনা সম্পর্কে কোনো জ্ঞান নেই যার ফলে এই দশা।
আমি কিছু বলতে যাবো তার আগেই সে বলে উঠলো জানি তামিম তুমি কি বলতে চাও।কিন্তু বিশ্বাস করো আমি চেষ্টা করছি আর কিছুদিনের মধ্যেই আমি তোমার কাছে চলে আসবো।😔

এখন আমার বুড়ো বয়স। কোনো রকমে লাঠি নিয়ে পথচলি। বাবা-মা,ভাই-বোন কেউ নেই আর আমি প্রেমিকার আশায় এখনো বিয়ে করিনি।দেখাশুনা করার কোনো মানুষ আমার নাই।পাশের বাড়ির মতিনের ছেলে রহমান কিছুদিন ধরে বলছে সুজন আঙ্কেল এই বয়সে আপনার একটা নার্সের ব্যবস্থা করে দেই। অসুখ-বিসুখে আপনার সেবা-যত্ন করবে।
কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছি। দেখবার মতো কেউ নেই। রহমান একটা নার্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। সে-ই সেবাযত্ন করছে টুকটাক। মেয়েটা দেখতে বেশ সুন্দর।যৌবন থাকলে বিয়ে করতাম। সে খুব সেবাযত্ন করছে আমার এইযে এখন তুলে খাওয়াচ্ছে।এমন সময় ঘরে এক বৃদ্ধা মহিলার প্রবেশ জীবনে দেখছি বলে মনে হয়না।
নার্সকে বললাম তুমি কন্টিনিউ করো। এমন সময় সেই বৃদ্ধা এগিয়ে এসে বলল-
-তামিম এই ছিলো তোমার মনে?তুমি আমার জন্য ওয়েট করতে পারলানা
অবশেষে তুমি কিনা,একটা মেয়ের বয়সি মেয়েকে ছি তামিম ছিহ আমার ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে
তোমার ভালোবাসা এতোটাই নগন্য যে আর কটাদিন অপেক্ষা করতে পারলেনা।😥
কন্ঠ শুনে বুঝলাম আরে এইটাতো আমার সেই প্রেমিকা।কিছু বলতে যাবো বরাবরের মতো সেই আগে বললো.!
-এই ছিল তোমার মনে?এইজন্যই ছেলেদের বিশ্বাস করতে নেই। আমি ভুল করেছি তোমার মতো ছেলেকে ভালোবেসে। আমি তোমাকে ঘৃণা করি আই হেইট ইউ তামিম!😣
-এবার আমিও বললাম তুমিওতো বলেছিলে সেই কবে আমার কাছে তুমি ভার্জিন হিসেবেই ফিরে আসবে। কিন্তু এখনতো আমার আর কিছুই করার নেই।

-সে বলে উঠলো"-আমিতো এখনো ভার্জিন তামিম"🙂
মাথা ঘুরতে লাগলো, মনে হয় প্রেসার বেড়ে যাচ্ছে। সাইন্সের সব থিওরি উল্টে দিয়ে পাঁচটা বাচ্চার মা হওয়ার পরও আমার প্রেমিকা নিজেকে ভার্জিন দাবি করে।কিছু বলতে যাবো এর আগেই সে বরাবরের মতো বলে উঠলো-
-"তামিম তুমিকি আমাকে সন্দেহ করো"?🙉

28/09/2024

(১)

‘ভার্সিটির পরিস্থিতি রমরমা,চারপাশে ধুলো’বালি’তে ভরে গেছে!ছাত্র-ছাত্রী’রা দৌড়ে গে'ট দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে,যে পারছে সে জীবন নিয়ে পালাতে পারছে বাকিদের হয় হাত পা ভাঙছে,নয়তো শরীরে কোনো না কোনো ক্ষ'তের সৃষ্টি হচ্ছে।

‘এই বিপত্তি’র মাঝে আরিমা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে ওড়না দিয়ে বাতাস খাচ্ছে।বেশ গরম পরেছে আজ'কাল।ভার্সিটি’তে টিকা যাচ্ছে না।
মাটিতে পা রাখারও জো নেই।কখন জানি মাটি চিৎকার দিয়ে উঠে “আমাকে বাতাস কর,পানি দিয়ে ভেজা!

আরিমা বসে বসে বিরক্তি’কর শ্বাস ফেলছিলো!
‘তখনই কেউ দৌড়ে এলো তার কাছে,এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,,

-আরু বেঁচে থাকতে চাইলে জলদি পালা এখান থেকে।রাজ ভাইয়ার দলের লোকেরা ভার্সিটি’তে হামলা করেছে,যাকে পাচ্ছে তাকেই কু'পিয়ে মা'রছে।চল আরু,পিছনের গে’ট দিয়ে পালাই।

‘আরিমা ফারহা'র হাত ঝাড়ি মেরে সরিয়ে দিলো,তারপর ঝাঁঝালো কন্ঠে বলে উঠলো,,

-সর এখান থেকে,ভার্সিটি’তে নেতা কি খালি রাজ নাকি?আরেকজন আছে না?এখনই এসে পড়বে।আপাতত বাতাস খা এখানে বসে।

-কিন্তু আরু……ফারহা আর কিছু বলতে পারলো না,আচমকা তাদের উপর কেউ এসে হুমড়ি খেয়ে পরলো।

-আরে রে,পালা পালা,রাজ ভাইয়া দল'বল নিয়ে এদিকেই আসছে।

-কেনো?ওদিকে সব ধ্বংস করা শেষ?

‘আরিমা'র কথায় সিমরান তার দিকে অসহায় দৃষ্টি’তে তাকালো।সে আর চেয়েও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারলো না,তার আগেই রাজ দলবল নিয়ে হাজির।

‘সবাই চারপাশ থেকে ঘিরে ধরেছে তাদের।ফারহা বেশ ভয় পেয়ে গেলো,কিন্তু আরিমা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে’ই দাঁড়িয়ে আছে।যেনো তার কিছুই আসে যায় না।

-বাহ্,এখানে এসে লুকিয়ে আছো ফুলটুসি'রা?

‘আরিমা চোখ ছোটো ছোটো করে বললো,,,

-পালালে কি আর এখানে খুঁজে পেতেন নাকি?পা'গ'লের প্রলাপ।

‘রাজ রেগে হাত মুঠো করে ফেললো, তারপর ফিক করে হেসে দিলো।

-নাগর'কে কল দাও দেখি।কোথায় সে?তার প্রেমিকা'কে আটকে রেখেছি সে আসবে না?

-আটকে রেখেছেন আমাকে?

‘বলেই খিল'খিল করে হেসে উঠলো আরিমা,যেনো অযাচিত কিছু শুনেছে সে।ইতি'মধ্যে আফরিদ,মনির,শুভ,বেলা এসে হাজির আরিমার পাশে।সিমরান তাদের রেখেই আরিমা’দের খবর দিতে এসেছিলো।তারা দেরী'তে এলো,কিন্তু অবস্থা এদিকে যে বেগতিক, তারা বুঝতে পারেনি।

-আমাকে আটকে রাখার সাধ্য কার আছে?
তোকে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখতে এই আরিমা সময় নিবে না।হাহ্

‘রাজ দ্রুত এগিয়ে গেলো আরিমা'র দিকে।তারপর এক হাত দিয়ে তার গাল চেপে ধরলো।
বন্ধু’মহল এগোতে নিলে বাকিরা তাদের ধরে রাখলো।যার ফলে কেউ আর এগোতে পারলো না।কিন্তু ভিতরে রাগে ফুঁসছে তারা।

‘আরিমা অগ্নি’ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে রাজের পানে।যেনো এই ধারালো দৃষ্টির মাধ্যমেই ভস্ম করে দিবে তাকে।
এক ঝটকায় সে রাজের হাত সরিয়ে দিয়ে গালে ঠা'সস করে একটা থা'প্প্'ড় লাগিয়ে দিলো,।
সাথে সাথে বন্ধু'মহল সি'টি দিয়ে উঠলো।
হৈহৈ করে উঠলো তারা।

‘রাজ গালে হাত দিয়ে চোখ পাঁকিয়ে সবার দিকে তাকিয়ে আছে।

-এইইই,চোখ নামিয়ে রাখ,তোর বাপ এমপি বলে ভাবিস না ভয় পাই আমরা।তোর বাপ সাবেক হলেও আমার নেতা সাহেব রিসেন্ট এমপি। মাথায় রাখিস।কার গায়ে হাত দিয়েছিস তুই?হাত কে'টে রেখে দিবো তোর।শা'লা হা'টটটটটট।

‘রাজের শরীর কিড়’মিড়িয়ে উঠলো।এই পুচকি মেয়ে তাকে থ্রে’ট দিচ্ছে,এটা তার জন্য লজ্জা’জনক ব্যাপার।

‘রাজ এগিয়ে গিয়ে আরিমা'র গালে একটা ঠা'সস করে থা'প্প'ড় লাগিয়ে দিলো।নে এবার সামলা,কেমন লাগে।
‘থা'প্প’ড় খেয়ে আরিমা চোখ বড় বড় করে তাকালো রাজের দিকে,এবার রাজের দলের ছেলে'পেলে’রা সিটি দিয়ে উঠলো।

‘আরিমা এবার ঠা'সস ঠা'সস করে দুইটা থা'প্প’ড় লাগিয়ে দিলো।দেখ কেমন লাগে।

‘সবাই হা হয়ে গেলো,রাজ এখনো গালে হাত দিয়ে হা করে তাকিয়ে আছে আরিমার দিকে,এতক্ষ’ণ জয়ের হাসি হাসলেও এবার সে বেলুনের মতো চুপসে গেলো।
কারণ আরিমা'র পিছনে মানুষ’টাকে দেখে তার হালুয়া টাইট হয়ে গেছে।

-মা'রবি?মারবি আমাকে?আয় দেখি আয়,তোকে এবার জুতা দিবো।ভাগ্যিস আজকে কম দামি স্যান্ডেল পরে আসি'নি নইলে তোর মুখে ছুঁড়ে মা'রতাম।শা'লা ফেল্টুস।যা সর,

‘রাজ কিছু বলছে না দেখে আরিমা খানিক অবাক হলো,তারপর নিজেকে বাহবা দিলো।বাহ তাকে দেখে ভার্সিটির বড় কাল’প্রিট’টাও ভয় পায়।পরক্ষণেই তার ভাবনা বেলুনের মতো ফুসস হয়ে গেলো।

-ফারহা,আরিমা,জলদি গিয়ে গাড়ি’তে বোস।

-কিন্তু……

-যেতে বলেছি,,

‘ফায়ানের ধমকে আরিমা আর ফারহা ভোঁ দৌড় দিলো গে'টের দিকে,পিছে পিছে বাকিরাও ছুটলো!পাছে না এমপি সাহেব তাদের আ’ছা’ড় মে'রে ফেলে দেয়!

‘মোটামুটি জায়গা খালি হতেই ফায়ান তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো রাজের দিকে,রাজ কিছু'টা নড়ে'চড়ে দাঁড়ালো।সে জানে ফায়ান কেমন মানুষ, আগের’বার ঝামেলা করার কারণে তাকে ফায়ান যে'ই রাম ধুলাই দিয়েছিলো।পনেরো'দিন হসপিটালের ব্যা’ডে তড়পাতে হয়েছে তার।এই কথা কীভাবে ভুলবে সে?

‘ফায়ান কিছু’টা এগিয়ে এলো রাজের দিকে।তারপর শান্ত কন্ঠে বললো,,

-তোর ম'রার অনেক শখ তাইনা রাজ?সমস্যা নেই। সৌহার্দ্য ফায়ান খান সাধ্য’মতো সবার ইচ্ছেই পূরণ করে।তোর'টাও অচিরেই পুরণ করে দিবো!
নির্বাচন’টা শেষ হোক।তোর ডানা কা'টতে এক সেকেন্ড সময় নিবো না আমি।

-আর হ্যাঁ, লাস্ট ওয়ার্নিং দিয়ে গেলাম,আমার বাড়ির মেয়েদের গায়ে হাত দেয়া তো দূরে থাক,তাদের দিকে চোখ তুলে তাকালেও তোর চোখ উপড়ে নিবো আমি!এখন যা করলি এর শাস্তি তুই পাবি।শুধু নির্বাচন অব্দি অপেক্ষা কর।

‘রাজ ফায়ানের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।তারপর পকেট থেকে রুমাল বের করে কপালের বিন্দু বিন্দু ঘাম মুছে নিলো সে।ফায়ানের শান্ত কন্ঠের থ্রে'ট মানেই অনেক'কিছু।নির্বাচনের পরে নিশ্চয়ই তার কপালে দুঃখ আছে।

-ভাই,এমপি'কে এতো ভয় পান?

‘রাজ এক’রাশ বিরক্ত নিয়ে তাকালো তার দলের ছেলের দিকে।তারপর কন্ঠে বিরস ভাব এনে আওড়ালো,,,

-ভয় পাবো না,সাক্ষাৎ জম যে সৌহার্দ্য ফায়ান খান।জঙ্গলের বাঘের মতো।সে গর্জে উঠলে মনে হয় যেনো রয়েল বেঙ্গল টাইগার হুঙ্কার ছাড়ছে।

-তাকে তো কখনো উচ্চ কন্ঠে কথা বলতে দেখিনি।

‘'ছেলেদের মধ্যে একজন বেশ অবাক হয়ে কথা’টা ছুড়লো রাজের দিকে।

-তোরা ভাবতেও পারবি না সৌহার্দ্য ফায়ান খানের রাগ কেমন।তার দূর্বল’তা হলো খান ভীলার মেয়ে'রা আর হলো তার পদ।
সে কোনোটিই ছাড়বে না।অনেক কাহিনী আছে এতে।এখন তো আবার ভার্সিটির ভি'পি হতে চাচ্ছেন।

-ক্ষ'মতার অপ'ব্যাবহার করবেন না’তো?

‘রাজ খিক'খিক করে হেসে উঠলো,তারপর ছেলেটার কাঁধে চাপড় দিয়ে বললো,,

-আরে পা'গ'ল।সৌহার্দ্য ফায়ান খান একজন লয়্যাল নেতা।সে কখনো আমাদের মতো দুই নাম্বার’গিরি করে না।চল এবার,আজকে এখানেই থাক সব।এবার কিছুদিন নিরব থেকে পরে গোপনে কাজ সারবো।

-জ্বি ভাই।
________________

‘আরিমা নিজের রুমে শুয়ে শুয়ে ফোন টিপছে,এছাড়া আর কাজ নেই তার।ভার্সিটি থেকে এসেই বিছানায় শুয়েছে সে।আর উঠবে না,যতক্ষণ না ফায়ান আসে বাড়ি'তে।

‘ফায়ান এলে একদম ফ্রেশ হয়ে নিচে নামবে।
এটাই তার কথা, যে যে ডাকতে এসেছে,সবাইকে এক কথায় বলে তাড়িয়েছে।তাই কেউ আর বিরক্ত করতে আসেনি।

‘হঠাৎ বাহিরে গাড়ির হর্ণের আওয়াজ পেয়ে লাফ দিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠলো আরিমা।
নেতা সাহেব এসে গেছে।তড়িঘড়ি করে জামা হাতে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো সে।
জলদি গোসল সেরে বের হতে হবে।নাহলে নেতার সাথে সাক্ষাৎ করতে পারবে না।
_____________

-ফারহা,ফারহা।

‘ফায়ানের ডাকে ফারহা পা টিপে টিপে রান্না ঘর থেকে বের হয়ে এলো।মুখশ্রী’তে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। আজকে নির্ঘাত তার ভাই তাকে বকবে।এটা ভাবতেই তার আত্মা ধুক'পুক ধুক'পুক করছে।কি হবে তখন,যখন ফায়ান তাকে থা'প্প’ড় মা’রবে?মনে মনে আরিমা’কে খুঁজতে লাগলো ফারহা।বকা শুনলে দুজনেই শুনবে,সে একা কেনো?

-তুই একা কেনো?সাথের’টা কোথায়?

-এই যে নেতা সাহেব,

‘সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নামার সময় আরিমা দৌড়ের গতি থামাতে না পেরে ফায়ানের উপরে এসে পরলো।সাথে সাথে তার মনে “বোঝে না সে বোঝে না” গানের সূর বেজে উঠলো।ইচ্ছে করছে ফায়ানের দিকে সেভাবেই তাকিয়ে থাকতে।
কিন্তু তার সপ্ন আ'ছাড় মে'রে ভেঙে ফেললো ফায়ান।

‘আরিমা'কে সোজা করে দাঁড় করিয়ে দিলো সে।তারপর মুখের সামনে আঙুল নাড়িয়ে বললে,,

-নেক্সট টাইম যাতে ছুটির পর বাহিরে না দেখি।ওসব ফা'লতু ছেলে'পেলে’দের সামনে তো একদম যাবি না।

‘আরিমা এবার মুখ খুললো,তার মনে হচ্ছে সে ইচ্ছে করে কথার ফুলঝুরি খুলেছিলো ওদের সাথে।

-আপনি একটু বেশি বেশি'ই বলেন।আমাদের দোষ দিচ্ছেন কেনো,আপনার নির্বাচন’কে কেন্দ্র করেই তো বিরোধী দলের লোকেরা ঝা'মে'লা পাকিয়েছে।এতে আমাদের দোষ কি।দোষ তো আপনার।আপনার জন্যই থা'প্প'ড় খেতে হয়েছে আমার।

‘ফারহা ফায়ানের পিছন থেকে মাথা নাড়িয়ে বার'বার নিষেধ করছে যাতে আরিমা চুপ হয়ে যায়।কিন্তু আরিমা নিজের মতো প্যাক'প্যাক করেই যাচ্ছে।ফারহা একবার তার বড় ভাইয়ের দিকে তাকালো।ফায়ান শান্ত ভঙ্গিতে আরিমার কথা শুনছে।তার মানে বি'প’দ।

-ওহ্ আচ্ছা।তার মানে আমার জন্য তোকে থা'প্প’ড় খেতে হয়েছে?

-অবশ্যই,এর জন্য আপনার স্যরি বলা উচিত।তা না করে বাড়িতে এসে থ্রে’ট দিচ্ছেন আমাদের?

‘ঠা’সস করে চ’ড় মা'রার শব্দে খান ভীলা যেনো হালকা করে দুলে উঠলো।আরিমা গালে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।রাজ যে গালে থা'প্প’ড় মে'রেছে,ফায়ানও সেই গালে থা’প্প’ড় মে'রেছে।

-কি করলি এটা ফায়ান?মেয়েটা বাচ্চা,তার কথায় তুই এভাবে মা'রবি?

‘সোনালীর কথা ফায়ান পাত্তা দিলো কি'না বুঝা গেলো না।সে আরিমার দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে রেখেছে।আরিমা’ও ফায়ানের দিকে চি’লের দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।পরিবেশ রমরমা। যখন যেকোনো কিছু ঘটে যেতে পারে।

-বলছিলি না আমার জন্য তোকে থা'প্প’ড় খেতে হয়েছে?নে এবার আমিই দিলাম।কি করবি কর।

‘তারপর আরিমার দিকে হালকা ভাবে ঝুঁকে আবার বলল,,

-স্যরি মাই ফুট।সরিও বলবো না।আমি জানি তোর দৌড় কতো দূর।

‘বলেই ফায়ান টিট’কারির হাসি হাসলো।
পরিবেশকে আরো অশান্ত’ করতে আরিমা এক ভয়ানক কান্ড ঘটালো।সবাই স্তব্ধ আরিমার এহেন কান্ডে।সাহিত্য আর রামিশা সবে মাত্র বাসায় পা দিয়েছে।তখনই এরকম দৃশ্য দেখে তারা দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে গেলো।মুখের হাসি গায়েব হয়ে মুখশ্রী’তে অবাকতার রেষ এসে ভিড় করলো।

‘ফায়ান গালে হাত দিয়ে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আরিমার দিকে।তার ভাবতেই শরীর রিঁ'রিঁ করে উঠছে,আরিমা তাকে থা'প্প’ড় মে'রেছে?

‘আরিমা হালকা ঝুঁকলো ফায়ানের দিকে।তারপর তার মতোই স্টাইল নিয়ে বলল,,

-নেতা সাহেব,শুধু'মাত্র রাজ একাই আমাকে থা’প্পড় মা'রেনি,আমিও তাকে মে'রেছিলাম।হয়তো আপনি জানতেন না।সরি বলছি না আপনাকে।কি করবেন করুন।আপনার দৌড় কতো দূর,এটা আরিমা ভালো’ভাবেই জানে!

#সূচনা_পর্ব
#আমার_নেতা_সাহেব ( সিজন টু)
#লেখনীতে_আরিশা_জান্নাত_আদ্রা

(আসসালামু আলাইকুম,চলে এলাম নতুন গল্প,”আমার নেতা সাহেব সিজন টু” নিয়ে।আশা করছি সাপোর্ট পাবো।আমাকে নিরাশ করবেন না আপনারা)

Address

Katipara

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when StoryLine - গল্পের লাইন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share