Rose Roksana

Rose Roksana ভালোবাসা কারো জীবনে অভিশাপ আবার কারো জীবনে আশির্বাদ। তুমি না হয় আমার জীবনে সেই অভিশাপ হয়েই থাকলে।

With Highlights – I just got recognized as one of their top fans! 🎉
19/06/2025

With Highlights – I just got recognized as one of their top fans! 🎉

12/05/2025

কি যেনো বলেছিলি তুই?? আবার বল।। দেয়ালের সাথে দুই হাত চেপে ধরে বলল তূর্য…

~আমি ডিভোর্স চাই…

“ তোর সাহস হলো কি করে আমার কাছে ডিভোর্স চাওয়ার বলেই ঠাসসস ঠাসসস করে করে দুটো থাপ্পড় পড়লো রিদির গালে।

~ দেখুন আমাদের বিয়েটা যেই পরিস্থিতিতে হয়েছে তাতে আমারা কেউই এই বিয়ে মানি না। আপনি আমাকে বউ হিসেবে মানেন না আর আমি আপনাকে স্বামী হিসেবে মানি না। আর না আমাদের দুই ফেমেলির কেউ জানে আমাদের এই বিয়ের ব্যপারে।

– যে পরিস্থিতিতেই হোক না কেনো আর আমি মানি আর নাই মানি তুই ডিভোর্স পাবি না।

রিদি এই লোকটিকে ভয় পায় প্রচুর ভয় পায় তবুও একটু সাহস জোগাড় করে বললো..
#গল্পফ্যাক্ট #নতুন_গল্প

23/04/2025

কিছু পার্সোনাল প্রবলেমের কারনে গল্প লিখতে পারি নাই এখন কি লেখিকা ব্যাক করবে কি না তা আপনাদের কমেন্টের উপর নির্ভর করবে যদি আপনাদের সারা পাই তাহলে ব্যাক করবো

 #তোমার_আমার_প্রেম #পর্ব_১৪ ~~বাধ্য নই। আই রিপিট আমার কাজের কৈফিয়ত আমি কাউকে দিতে বাধ্য নই। এখন এসব বাদ দিয়ে ওদের কাছে প...
15/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_১৪


~~বাধ্য নই। আই রিপিট আমার কাজের কৈফিয়ত আমি কাউকে দিতে বাধ্য নই। এখন এসব বাদ দিয়ে ওদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

নিহান, নেহা,হিয়া সবাই মাহির চিন্তায় নাজেহাল অবস্থা এদিকে রাতের যেনো কোনো হেলদোল নেই। রাত লোকেশন ট্র্যাক করে দেখলো বিশ জন মেয়ে যে গাড়ীতে করে নেওয়া হচ্ছে তা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রোডে যাচ্ছে। হাত তালি দিয়ে রাত সকলের এট্যানশন নিলো…

~~ আজকের অপারেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবাইকে এলার্ট থাকতে হবে। যেকোনো সময় সবকিছু উলট পালট হয়ে যেতে পারে। এখানে বিশ জন মেয়ের জীবন জীরত হয়তো আরো অনেকে আছে যা আমরা জানি না। তাই শত্রুকে কখনো দূর্বল ভাবলে চলবে না। এখন কিডন্যাপারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে। বাকি প্ল্যান সময় মতো বলে দেবো। তোমরা সবাই রেডি তো??

~~ জ্বী বস। আমরা সবাই রেডি। সবাই একসাথে কথা বলে তারাও রওনা দিলো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে।

~~~~~~~~

রাত প্রায় ১টা…

মাহি ও তার সাথে উনিশ জন মেয়েকে একটা পরিত্যক্তগোডাউনে বন্দি করে রাখা হয়েছে। সবাই অজ্ঞান অবস্থায় পরে আছে। মাহির জ্ঞান ফিরতেই অনুভব করলো মাথাটা কেমন ভার হয়ে আছে। নিজের অবস্থান বুঝতে পেরে তৎক্ষনাৎ শুয়া থেকে দাড়িয়ে পরলো। আর ভাবছে প্যানিক হওয়া যাবে না। যা করার ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। আগে বুঝতে হবে এখানে কতজন আছে আর তারা কি ধরনের হাতিয়ার ব্যবহার করছে। এসব ভাবতে ভাবতে চারপাশে চোখ বুলালো অল্প আলোতে যা,দেখলো তাতে তার চোখ বেড়িয়ে আসার উপক্রম। প্রায় দু'শ এর বেশি মেয়েরা এখানে অজ্ঞান হয়ে পরে আছে। মাহি তার শরীর চেক করে কাংখিত জিনিস টি পেয়ে ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠলো।

রাত চট্টগ্রামে গ্রামে আসার সময় সেখানকার লোকাল পুলিশ স্টেশনে ইনফর্ম করে। রাত হিয়াকে বললো..
~~ হিয়া তুমি সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে আগে মাহি আর মেয়েগুলোকে খুঁজে তাদের সেখলি বের করে আনবে। আর নিহান, নেহা তোমরা আমার সাথে ডিফেন্সে থাকবে।

চট্টগ্রামের লোকাল পুলিশ পুরো গোডাউন গিরে ফেলেছে। রাত নিহান নেহা হিয়া খুব সাবধানে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করলো। প্রায় ২০ জনের মতো ছেলে আছে তাদের প্রত্যেকের হাতে গান। রাত হিয়াকে ইশারা করতেই সে তাদের থেকে সরে গেলো। রাত, নিহান,হিয়াদের সাথে গুন্ডা ছেলেগুলো গুলাগুলির সংঘর্ষ হয়। ছেলে গুলো প্রায় ধরায়ি তখন একজন পেছেন থেকে রাতকে টার্গেট করে গুলি ছুড়ে। হঠাৎ রোদ রাতকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে নিতে টাল সামলাতে না পেরে রাতের উপর পরে যায়। রাত রোদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ছেলেটির কাপাল বরাবর শুট করে দেয়। ছেলে গুলো ধরাশায়ী হলে মাহি আর হিয়া মেয়েগুলোকে হালকা পানির ছিটা দিয়ে জ্ঞান ফেরায়। জ্ঞান ফিরতেই মেয়েগুলো ভয় পেয়ে যায়।নেহা বলে উঠলো ভয় নেই আমরা তোমাদের এখন থেকে নিয়ে যেতে এসেছি। পুলিশের হেফাজতে মেয়েগুলোকে দিয়ে পুলিশ স্টেশন থেকে বেরোতে বেরোতে নিহান বললো..

~~ রাত তুই কি রায়মান আদনান রোদ কে আসতে বলেছিস??

এত ঝামেলার মধ্যে রাতের রোদের কথাটা মনেই ছিলো না। িেনিহান বলাতে মনে হলো আর সাথে সাথে ৩৬০° এ্যাঙেলে রাগ উঠতেই ঠাস ঠাস করে রোদের দুগালে দুটো থাপ্পড় পড়লো। সবাই অবাকের শেষ সীমা ছাড়িয়ে গেছে। কোনো কথা ছাড়াই রাত রোদকে মেরে দিলো। রাগে চিৎকার করতে করতে বললো..
~~ এই তোকে বলেছিলাম আমাকে ফলো করবি না। আমি মানুষটা সুবিধার না। তবুও আমাকে ফলো করে এখানে এসেছিস কেনো?? এখানে তোর কিছু হলে তোর ফেমেলিকে কে কৈফিয়ত দিতো। কান খুলে শুনে রাখ রাত আহসান কাউকে কৈফিয়ত দেয় না। আজকে দুটো থাপ্পড় মারলাম নেক্সট টাইম আমাকে ফলো করলে জ্যান্ত ক*বর দিবো বলে দিলাম।

নিহান, নেহা, হিয়া, মাহি সবাই রাত কে সামলানোর চেষ্টা করছে। হিয়া রাত থামো আর তোমাকে ফলো করবে না। শান্ত হও তুমি। দেখো ফজরের আজান পড়ে গেছে এখনি ভোর হয়ে যাবে আমাদের ঢাকায় ফেরা উচিত। রোদ এতক্ষণ কোনো কথা বলে নাই চুপচাপ রাতে সব সহ্য করেছে। না কোনো রাগ, না কোনো অভিযোগ। রাতের এত রাগের মধ্যে সে তার ভালোবাসা খুজতে ব্যস্ত। কতটা ভালোবাসলে এরকম পাগলের মতো আচরণ করতে পারে এটা ভেবেই রোদ মুচকি একটা হাসি দিলো।

নিহান পরিস্থিতি সামলাতে রোদকে বললো..
~~ রায়মান আদনান রোদ ইউ য়্যা সরি। একচুয়লি আপনারও উচিত হয়নি আমাদের ফলো করা এটা একটা সিক্রেট মিশন ছিলো। আর আমরা সবাই স্পেশাল ফোর্স অফিসার। আর রাতের রাগটা একটু বেশি। সো কিছু মনে করবেন না। এখন আমাদের যেতে হবে। আপনি কি আপনার গাড়িতে যাবেন নাকি আমাদের সাথে যাবেন।

~~তোমাদের সাথেই যাবো।আমার গাড়ি ড্রাইভারকে দিয়ে আগেই পাঠিয়ে দিয়েছি।

নিহান,রাত,রোদ,হিয়া,মাহি,নেহা সবাই গাড়তে বসলো। নিহান নিজে ড্রাইভ করছে।রাত গাড়ীতে উঠেই ড্রাগস নিতে শুরো করলো। কেউ কেনো বাধা না দেয়ায় রোদ অনেক অবাক হলো। সবাই এমন করছে যেনো এটা স্বাভাবিক। রোদ যেনো এভার কিছুতেই কোনো হিসাব মেলাতে পারছে। সব কিছু তার কাছে যেনো এক গোলক ধাঁধা। সে যতই মেঘের কাছে যেতে চাইছে ততই যনো গোলকধাঁধায় আটকা পরলে। রোদের মাথায় অনেক প্রশ্ন আসছে এগুলোর উওর কার কাছ থেকে নিবে এসব ভাবতে ভাবতে রোদের মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। মাথা ব্যাথার থেকে মনের ব্যাথাটাই অনেক বেশি। অনেক ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিলো পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে সে নিজে মেঘের সাথে কথা বলবে।

চলবে ইনশাআল্লাহ….

(৪০০০+ শব্দ লিখা কেউ বলবে না ছোট করে দিছি। লাস্ট কিছুদিন ধরে যেনো ঘুম আমাকে ছাড়তাছে না। তাই লিখা কনটিনিউ করতে পারছি না))

 #তোমার_আমার_প্রেম #পর্ব_১৩  ~~ যদি হয় ব্যক্তিগত নারী তারপর বিয়ে করা বউ তাহলে শুধু হাত না আরও অনেক কিছুই ধরতে পারি দেখতে...
13/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_১৩


~~ যদি হয় ব্যক্তিগত নারী তারপর বিয়ে করা বউ তাহলে শুধু হাত না আরও অনেক কিছুই ধরতে পারি দেখতে চাও নাকি…

~ দেখুন….
~~দেখাও আমি দেখতেছি। তা এখানে দেখাবা না বেডরুমে। ইউ নো হোয়াট আমি আবার নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না।

~ আপনাকে আমি জেন্টেলম্যান ভাবতাম একটা মেয়ের হাত ধরে টানাটানি করা এসব কোন ধরনের ভদ্রতা রায়মান আদনান রোদ।

~~ মেঘলা তালুকদার ওরফে মিসেস রায়মান আদনান রোদ আপনি পুরুটাই আমার ব্যক্তিগত সম্পত্তি সো শুধু হাত ধরা না মাথা থেকে পা পর্যন্ত সব কিছুই ধরতে পারি। রোদ রাতের সমস্ত শরীরে নজর ভুলিয়ে চোখ টিপ দিয়ে কথাটা বললো।

~ ফাস্ট অফ অল আই'ম নট মেঘলা তালুকদার অর মিসেস রায়মান আদনান রোদ বাট আই এম রাত আহসান। কুইন ইন দ্যা ওয়ার্ল্ড। সেকেন্ড অফ অল আপনার সো কোল্ড এসিস্ট্যান্ট কে বলবেন আমাকে ফলো না করতে কখন মারা পরে যাবে অস্তিত্বও খুজে পাবেন না। থার্ট অফ অল একবার কিডন্যাপ করার ট্রাই করছেন মাফ করে দিলাম নেক্সট টাইম আর মাফ পাবেন না কস রাত আহসান কাউকে দ্বিতীয় সুযোগ দেয়না। লাস্ট এন্ড মোস্ট ইম্পর্টেন্ট আমার আশেপাশেও যেনো আপনাকে না দেখি আমি কিন্তু এটাও ভালো না। আর আপনার মতো আপনার সো কোল্ড চিন্তা ভাবনাও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন তাতে আপনারই ভালো।

তখন রাতের ফোনে একটা কল এলো। রাত ফোন হাতে নিতেই দেখলো নিহান কল করেছে কল রিসিভ করতেই মেঘে চোয়াল শক্ত হয়ে গেলো রাগে তার ফর্সা মুখ অসম্ভব পরিমাণে লাল হয়ে গেছে। রাত নিহানের কল কেটে রোদের হাত থেকে নিজের হাত এক ঝাটকায় ছুটিয়ে চলে গেলো ভার্সিটির পেছন গেটের দিকে।

_____

সময় বিকেল ৫টা ভার্সিটির অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে অনেকক্ষণ আগেই। ইতিমধ্যে ভার্সিটি প্রায় খালি হওয়ার পথে। অল্প সংখ্যক ছাত্রছাত্রী রয়েছে। গরমের সময় হওয়াতে চারপাশে গরমের বাষ্পাতাপে অতিষ্ঠ সবাই। চারদিকে কোনো বাতাস নেই সবকিছু যেনো ঘোমট বেধে আছে। কেউ উৎ পেতে আছে নিজেদের অবৈধ কাজগুলো পূর্ণতা দেয়ার আবার কেউ উৎ পেতে আছে সেগুলো ভেস্তে দিয়ে আসল কালপ্রিট কে ধরার। যেনো এক হাইড এন্ড সিক খেলায় মেতে উঠেছে দুটো দল।রাত পিছনের গেটে এসে দেখে নিহান, হিয়া, নেহা দাঁড়িয়ে আছে।

~ নিহান আপডেট বল। কত জন নিয়ে গেছে। রাতের এমন ঠান্ডা কন্ঠে কথা বলায় সবাই শুকনো ঢোক গিললো।

~~ বিশ জন মেয়েকে কিডন্যাপ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা একটুর জন্য ওদের ধরতে পারি নি। হিয়া ভয়ে ভয়ে কথাটা বললো

~~ এই বিশ জনের মধ্যে মাহি একজন। ওর ফোন সুইচ অফ। কোথা থেকে কি হলো আমরা কিছু বুঝতে পারি নি। কান্না করতে করতে নেহা কথাটা বললো।

~~~ স্টপ ( ধমকে কথাটা বললো রাত) আমাদের প্রফেশনে ইমোশনের কোনো জায়গা নেই। বিপদ সব দিক দিয়েই আসতে পারে তার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আর তোরা কি ঘাস কাটতেছিলি তোদের চোখের সামনে থেকে বিশ মেয়েকে নিয়ে গেছো কই ছিলি তোরা। কি বলেছিলাম আমি তোদের। শেষ কথাগুলো রাত চিৎকার করে বললো। ওকে আমি তোদের কিছু কনফেস করতে চাই। এখন মনে হয় তোদের জানা দরকার। আর মাহিকে নিয়ে গেছে এজন্য ভালোই হয়েছে সহজে কালপ্রিটকে ধরতে পারবো।

~ মানে কি বলতে চাও তুমি। মাহি কিডন্যাপ হয়েছে আর তুমি ভালো বলছো আবার খুশিও হচ্ছো কি কনফেস করবে তুমি। হিয়া কথাটা রাগের সাথে বললো।

~~ ডোন্ট প্যানিক। মাহি একজন প্রসিক্ষণ প্রাপ্ত স্পেশাল ফোর্স অফিসার এমন কি আমারা সবাই প্রশিক্ষণ নেয়া। কিভাবে নিজেকে সেফ করতে হবে তা মাহি ভালো করেই জানে। আর কনফেসটা হলো আমাদের সবার শরীরে জিপিএস ট্রেকার লাগানো আছে। ইনফ্যাক্ট মাহির শরীরেও আছে। তোদের অজান্তেই তোদের সেফটির জন্য লাগিয়েছিলাম। আগে বলার প্রয়োজন মনে করি নি তাই বলি নি আর এখন যেহেতু মাহি ওদের সাথে আছে তাই আমরা সহজেই ওদের লোকেশন ট্র্যাক করতে পারবো।

নিহান, নেহা,হিয়া সবাই আবাক হয়ে রাতের দিকে তাকিয়ে আছে। আমাদের শরীরে ট্র্যাকার লাগলো আছে আমারা কেউই জানতাম না। কবে, কিভাবে কখন লাগিয়েছো তুমি আমাদের কিছু বলো নি কেনো? নেহা কথাটা বললো

~~ আমার কাজের কৈফিয়ত আমি কাউকে দিতে বাধ্য নই। আই রিপিট আমার কাজের কৈফিয়ত আমি কাউকে দিতে বাধ্য নই। এখন এসব বাদ দিয়ে ওদের কাছে পৌঁছাতে হবে।

চলবে ইনশাআল্লাহ….

 #তোমার_আমার_প্রেম #পর্ব_১২   রাতের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস আজও তার কোনো ব্যতিক্রম হয় নি। ভোর ৫.০০টা রাত ঘুম থেকে...
11/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_১২


রাতের সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস আজও তার কোনো ব্যতিক্রম হয় নি। ভোর ৫.০০টা রাত ঘুম থেকে উঠে ওযু করে নামাজ শেষ করে কফি নিয়ে বেলকনিতে এসে দাঁড়ায়। সূর্য উঠা দেখা তার প্রতিদিনের অভ্যাস আজও তার ব্যতিক্রম হয় নি। যারা প্রকৃতি উপভোগ করতে জানে তারা এই সময়টাতে যেনো সব ভুলে প্রকৃতিতে মনযোগ দেয়। হঠাৎ ফোনের আওয়াজে রাতের ধ্যান ভাঙে। ফোন হাতে নিতেই এক চিলতে হাসি ফুটে উঠে রোদের ঠোঁটে। কল রিসিভ করে কানে নিতেই এক অভিমানি সুর ভেসে আসে..

– দেশে গেছে একদিন ও হয় নাই এখনই আমাকে ভুলে গেছে। আমি কল না দিলে তো কারো মনেই পরে না আমাকে। এই বুড়োটা কি আদো বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে।

এবার রাত শব্দ করে হেসে দিলো..
~ এই বাচ্চামো করে ছাড়বে বলোতো ডারলিং। আমি কি তোমার কখনো ভুলে যেতে পারি। তুমি কি ভাবছো আমি তোমাকে মিস করি না। একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই কল করতে পারি নি তুমি তো জানো। আর একদিন যদি তোমার মুখে ঐ মরার কথা শুনি তাহলে ভালো হবে না কিন্তু।

__ জানি জানি আমার ছোট বউ বলে কথা সে
কি কখনো আমাকে ভুলে যেতে পারে। এবার যেনল একটু অন্তরে শীতলা অনুভব করলেন তিনি। তা তোমার নাকি কারা এ্যাটাক করে ছিলো?

~~ হুম,,তোমার নাত জামাই কিডন্যাপ করে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু যাদের পাঠিয়েছে তারা আমার নখ ছোয়ারও যোগ্য না তুমি চিন্তা করো না।

এরই মধ্যে নিহান এসে উপস্থিত হলো।কি রে কার সাথে কথা বলিস।
__ ঐ হতছাড়া টা কি তোমার সাথে। ঐ হাতছাড়া টা কে কলটা দাও

রাত আর কিছু না বলে নিহানের কাছে ফোন টা দিয়ে দিলো। নিহান ও কিছু না বলে ফোন টা কানে নিতেই

__ ঐ হাতছাড়া বদমাশ কোথায় থাকিস তুই?? তুই থাকতে আমার ছোট বউয়ের উপর হামলা হয় কিভাবে?

নিহান কিছু না বুঝে বোকার মতো রাতের দিকে তাকিয়ে থাকলো কিছুক্ষণ।

~ আরে সকাল সকাল এই বুড়ো কি শুরু করলে তুমি। তোমার ছোট বউ কেমন তুমি জানো না। সে কি কারো কথা শুনে।
কিছু দুষ্ট মিস্টি ঝগড়া করে সকালটা উপভোগ করে। ওহ আপনাদের তো বলা হয় নি কে কল করেছিলো উনি হলেন রাতের দাদু নিহাল আহসান। তার নিহান নিহাল আহসাম এর একমাত্র নাতি। একমাত্র কেনো বললাম তা গল্পের মধ্যেই ক্লিয়ার হবে। আর নেহা, হিয়া, মাহি ওরা হলো রাত, আর নিহানের টিম মেড।

~~~~~~

ভার্সিটিতে আজ ফাইনাল ইয়ারের রেজাল্ট তাই কিছু চিফ গেস্ট আমন্ত্রণ করা হয়েছে। তার মধ্যে রায়ামান আদনান রোদ, আজাদ আদনান, রাত আহসান অন্যতম। তাদের বরণ করে নেবে ফাস্ট ইয়ারের মেধাবী ছাত্রীরা। নিহান, হিয়া, মাহি,নেহা তারা আগেই চলে এসেছে রাতের কিছু কাজ থাকয় পরে আসবে। রোদ তার কালো মার্সিডিস গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করেই সবাই হা করে তাকিয়ে আছে। কালো শার্ট, কালো প্যান্ট, হাতে কালো ডায়ালের দামি ঘড়ি এক হাতে ব্লেজার তার ফর্সা গায়ে অসম্ভব সুন্দর মানিয়েছে। সব মেয়েরা যেনো ছোট খাটো একটা হার্টঅ্যাটাক মিস করে ফেলেছে। এগিয়ে আসতেই তাকে ফুল দিয়ে বরন করে স্টেজে নিয়ে যাওয়া হলো। রোদ অপেক্ষা করছে মেঘ কখন আসবে।

বেশ কিছুক্ষণ পর রাত তার সেই কালো বাইক নিয়ে হাজির হলো ভার্সিটিতে। সাদা টি শার্ট এর উপরে কালো শার্ট কালো প্যান্ট পায়ে কালো লেডিস শো হাতে রোলেক্সের ঘড়ি মুখে কোনো প্রসাধনি নেই তবু অসম্ভব সুন্দর লাগছে যেনো আকাশ থেকে কোনো পরী নেমে এসেছে। হেলমেট খুলে বাইকে রেখে বাইক থেকে নেমে দাঁড়াতেই ৫ বছর আগের অতীত যেনো চোখের সামনে ভেসে উঠলো। অতীত মনে পরতেই চোখ দিয়ে দু ফোটা পানি গড়িয়ে পরলো। খুব যত্ন করে পানি মুছে এগিয়ে গেলো ভিতরের দিকে এগিয়ে যেতেই তাকে ভিআইপি অভ্যর্থনা জানিয়ে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হলো। রাত স্টেজে না গিয়ে আগে নিহান, হিয়া, মেঘ, নেহা তাদের সাথে দেখা করলো।

~~ টিম বি কেয়ারফুল। চারদিকে ভালোভাবে নজর রাখতে হবে। ছোট থেকে ছোট ক্লুও যেনো মিস না হয়। আর আমি যতটুকু জানি আজ এখান থেকে বেশ কয়েক জন মেয়ে তুলে নিয়া যাওয়া হবে। একটুও যেনো মিস না হয়। আই রিপিট একটু যেনো মিস না হয়।

~~ সবাই এক সাথে বলে উঠলো ওকে। উই আর রেডি ফর ইভরি মোমেন্ট।

রাত চলে যেতেই নেহা বলে উঠলো রায়মান আদনান রোদ হাউ কিউট ইয়ার এন্ড সো হ্যান্ডসাম। আ'ম ফল ইন লাভ হার। লাইক এস এ চকলেট বয়।

নিহান মাথায় ঘাট্টা মেরে বললো..
~ যা বলেছিস এখানেই শেষ দ্বিতীয় বার আর বলিস না। রায়মান আদনান রোদের ব্যাকগ্রাউন্ড সমন্ধে আগে জেনে নিস নয়তো মারা পরবি। আর রোদের দিকে না নজর দিয়ে মিশনে নজর দেন কাজে লাগবে নয়তো পেনসনলর পরিবর্তনে ফায়ার হয়ে যাবে।

রাত স্টেজে উঠতেই যেনো রোদ আকাশ থেকে পড়লো। মেঘের এত পরিবর্তন এটা কি করে সম্ভব। কি এটিচিউট, পারসোনালিটি হাউ ইজ পসসিবল। যাই হোক এভার আর তোমাকে কোথাও যেতে দেবো না মায়াবতী। প্রয়োজনে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখবো তবও আর কোথায়ও যেতে দেবো না। তৈরি হও আমার অন্যরকম ডার্কসাইড দেখার জন্য। ৫ বছর আমাকে কষ্ট দেয়ার শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।

রাত স্টেজে উঠে রোদকে দেখতেই যেনো রাতের মনের উপর দিয়ে ছোট খাটো একটা ঝড় বয়ে গেলো তবুও নিজেকে স্বাভাবিক রেখে স্টেজে উঠে নিজের আসন গ্রহন করলো। রোদের দৃষ্টি যেনো রাতের উপর দিয়ে সরছেই না।

প্রিন্সিপাল রাতের সমন্ধে কিছু বলতে যাবে তখই..

~~ প্রিন্সিপাল ডোন্ট??

_ বাট

~~ ওকে আমি চলে যাচ্ছি তাহলে

— না না ম্যাম আমি আপনার এবাউ কিছু বলবো না তবুও যাবেন না

রোদের যেনো বিস্ময় এবার আকাশ ছুলো। কি হচ্ছে এসব। মেঘ কাউকে কিছু বলতে দিচ্ছে না কেনো আর এতটা রোড। হাউ ইস পসিবল। পুরো অনুষ্ঠানে রাত কিছুই বললো না তবে রোদ টেলেন্ট ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানালো।

অনুষ্ঠান শেষ হতেই রাত নিহান কে এসএমএস করলো বি এলাট। মেসেজ টা করে রাত অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নিয়ে বেড়িয়ে গেলো রাতের পিছু পিছু রোদও বেড়িয়ে গেলো। রাত করিডোরে আসতেই রোদ রাতের হাত টেনে ধরলো হাত ধরতেই রাত ঠাস ঠাস করতে থাপ্পড় মেরে দিলো রাতের গালে।

~ এ কেমন অসভ্যতা রায়মান আদনান রোদ। যেখানে সেখানে মেয়েদের হাত ধরে টানাটানি করা কোন ধরনের কাজ।

~~ যদি হয় ব্যক্তিগত নারী তারপর বিয়ে করা বউ তাহলে শুধু হাত না আরও অনেক কিছুই ধরতে পারি দেখতে চাও নাকি…

ইনশাআল্লাহ চলবে….

( প্রায় ৫০০০+ শব্দ লিখেছি। এখন থেকে সপ্তাহে ৩ দিন গল্প আসবে। আমার মনে হয় আমি অনেক আমি গল্প টা অনেক ফাস্ট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি তাই এখন থেকে একটু সময় নিয়ে লিখবো। আর কেমন হলো তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না)

 #তোমার_আমার_প্রেম #পর্ব_১১ #রোজ_রোকসানা ~ আমাকে না মেঘলা তালুকদার মেঘ কে কিডন্যাপ করতে চাইছে।। নেহা অনেক ভেবে চিন্তে হঠ...
09/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_১১
#রোজ_রোকসানা

~ আমাকে না মেঘলা তালুকদার মেঘ কে কিডন্যাপ করতে চাইছে।।

নেহা অনেক ভেবে চিন্তে হঠাৎ বলে উঠলো

~’’ তোর আর মেঘলা তালুকদার এর মধ্যে কানেকশন কি??

নিহান নেহার প্রশ্ন এড়িয়ে যেতে সবাইকে তাড়া দিয়ে বললো..
~~ রাত অনেক হয়েছে সবাই যার যার রোমে গিয়া ঘুমা।। কাল অনেক কাজ আছে?? ভার্সিটিতে ইনভাইট করেছে সবাইকে কাল যেতে হবে।। রাত তোকে স্পেসালি ইনভাইট করেছে। তোর মাস্টবি থাকা লাগবে।

কেউ আর কিছু না বলে নিজেদের রোমে চলে গেলো।

_________
রোদ ছাদে বসে মেঘের ছবির দিকে তাকিয়ে বিরবির করছে..
~ আচ্ছা মেঘপাখি এত অভিমান কেনো করলে আমার উপর। তুমি যতই অভিমান করো আমাকে ছেড়ে যাওয়ার শাস্তি তোমাকে পেতেই হবে সোনা। তবে তোমার শাস্তি হবে একটু অন্য রকম।

পিছন থেকে আকাশ ডেকে বললো …

“” স্যার কালকে ভার্সিটি যেতে হবে। আপনাকে ইনভাইট করা হয়েছে

~~ ক্যানসেল করে দাও ‘

“” রাত মেম আসবে। উনাকেও ইনভাইট করা হয়েছ

~~ ও রাত না ও হলে মেঘ আমার মেঘপাখি আমার মায়াবতী। স্টুপিড শেষের কথাটা ধমকে বললো রোদ।।

“” ওকে স্যার তাহলে ক্যানসেল করে দেই। ভয়ে ভয়ে কথাটা বললো আকাশ।

~~ থাপ্পড় দিয়ে গাল লাল করে ফেলব স্টুপিড। ইনভাইটেশন কনফার্ম করো আমি যাবো।

ওকে বলে আকাশ চলে যায়। আর রোদ বিরবির করতে থাকে। এবার পালাবে কোথায় মেঘপাখি।

রাত ২:৩০ মিনিট….

অন্ধকার রোমে মাথার উপর সামান্য একটু হলদেটে আলো। কেমন যেনো গা শিউরে উঠার মতে পরিবেশ। রোম বললে ভুল হবে যেনো কোনো ভৌতিক পরিত্যক্ত গোডাউন। চেয়ারে বেধে রাখা হয়েছে দুইটা মানব দেহ। দেখে বুঝা যাচ্ছে এদের আদর যত্ন খুব ভালো ভাবে করা হয়েছে। সারা শরীরে অসংখ্য মারের দাগ। কপাল ঠোঁট কেটে রক্ত গড়িয়ে পরছে। দরজা দিয়ে প্রবেশ করলো দুটো ছায়া। প্রবেশ করতেই একজন গার্ড দ্রুত চেয়ার এগিয়ে দিলো।

~ আমার মেহমানরা ঘুমালো কেনো?? ওদের কি আদর যত্ন করা হয় নাই…

কথাটা বলার সাথে সাথে দুইজন গার্ড দৌড়ে দুই বালতি গরম পানি এনে ওদের মুখে ছুড়ে মারলো। গরম পানির ছ্যাকায় যেনো চামড়া জ্বলসে যাবে এমন জ্বালা পোড়ায় ধরফরিয়ে উঠলো লোক দুটো। জ্ঞান ফিরতেই বললো..

“” আমাদের মাফ করে দেন। আমরা কিছু জানি না। এমন কি আমারা মেঘ নামের কাউকে চিনি না।(ওরা ওই দুটো প্রফেশনাল কিলার যারা মেঘকে মারতে গিয়েছিলো..)

~~ চিনিস না তাহলে মারতে গিয়েছিলি কেনো??

লোক দুটের একজন কান্না করতে করতে বললো.

“ আমরা সিরিয়াল কিলার। টাকার বিনিময়ে কাজ করি। একটা প্রাইভেট নাম্বার থেকে কল দিয়ে আমাদের মেঘ মারার কথা বলেছিলো। আর আমাদের একাউন্টে টাকা দিয়েছিলো। আমাদের মাফ করে দেন। আমরা জীবনেও কাউকে মারবো না।

~ কেনো মারবি না? অন্য কে মারতে তো বেশ মজা পাশ তাহলে নিজের জীবন ভিক্ষা চাস কনো?? ওরাও তো জীবন ভিক্ষা চায় তাহলে ওদের জীবন ভিক্ষা দেস না কেনো??

“ ভুল হয়ে গেছে মা মাফ করে দেন। বউ বাচ্চা নিয়া অনেক দূরে চলে যাবো।ভিক্ষা করে খাবো তবুও কাউকে মারা তো দূর মুখেও আনবো না।

~~ তোদের মতো নর্দমার কিডকে আমি কখনো ক্ষমা করি না বলে টেবিল থেকে দুটো নাইফ নিয়ে একজনের দুই চোখের ভিতর ঢু*কিয়ে দেয়। লোকটার চিৎকার ছড়িয়ে পরে সবজায়গায়। চোখ বেয়ে নেমে আসে রক্তের নালা। তোরা যত বশি চিৎকার করবি আমি তত আনন্দ পাবো। অপর পাশের লোক টি ভয়ে যেনো শ্বাস নিতে ভুলে গেছে। তোকো কি করি বলতো। জানিস আমার না হাত প্রচুর চুলকায় তোদের মতো পাপিষ্ঠদের মারার জন্য। ওকে তোকে না হয় একটু কম যন্ত্রণা দিলাম বলে একটা প্লাস হাতে নেয়। লোকটির একটা একটা নক তুলে তাতে মরিচের গুঁড়ো দেয় লোকটি অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারায়। শালারা ননীর পুতুল হয়ে আসছে মানুষ মারতে। এদের টুকরো টুকরো পিস করে মাটি চাপা দিয়ে দাও এদের অস্তিত্ব যেনো কেউ খুঁজে না পায়। পেলে তোদের অস্তিত্ব আমি নিজ হাতে বিলীন করবো কথাটা গার্ডদের উদ্দেশ্যে বলে চলে যায় ছায়া দুটো। যেনো কোনো কিছুই হয় নি।

ইনশাআল্লাহ চলবে…

( যারা গল্প পড়েন তারা আপনার মতামত কমেন্ট করবেন প্লিজ। আপনার কমেন্ট আমার কাছে অনেক দামি)

09/04/2025

অনেকেই আছে যারা গল্প পড়ে কিন্তু পেজে ফলো, পোস্টে লাইক, কমেন্ট করে না আবার ইনবক্সে নক করে তাই আমার অবাধ্য মন জানতে চায় তারা কি প্রতিবন্ধি। কেউ কিছু মনে করবেন না প্লিজ। কষ্ট করে গল্প লিখি যদি পাঠক পাঠিকার রেসপন্স না পাই তাহলে লিখতে ভালো লাগে না। দয়া করে জানাবেন গল্প কেমন হয়েছে তাহলে লিখতে উৎসাহ পাই। কারন আপনার একটা কমেন্ট আমার কাছে অনেক দামি।

#রোজ_রোকসানা
#রিকোয়েস্ট_পোস্ট

08/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_১০
#রোজ_রোকসানা

রাত ( আপনাদের মেঘ), হিয়া, মাহি, নেহা আর নিহান একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এমন সময় ২টা বখাটে এসে বিরক্ত করতে থাকে তাদের। ওরা কিছু না বলে চলে যেতে নিলে বখাটেদের একজন হিয়ার হাত ধরে…

~ তোদের মধ্যে মেঘ কে?? তারাতাড়ি বল নয়তো সব কটা এখানেই মেরে ফেলবো।।

এদের দেখে রাত বুঝলো এরা প্রফেশনাল কিলার।( মেঘকে এখন থেকে রাত বলা হবে) নিহান বলে উঠলো

~~ আপনাদের কোথায়ও ভুল হচ্ছে। ওহলো রাত, ওর পরে হিয়া, এ হচ্ছে মাহি, আর ও হলে নেহা, আমি নিহান। এখানে মেঘ বলে কেউ নেই আর আমরা এই নামে কাউকে চিনি না।

রাতের চোখ পরলো দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কালো একটা গাড়ির দিকে। সকাল থেকে এই গাড়িটি রাতকে ফলো করছে। রাত নিহানকে কিছু একটা ইশারা করলো। প্রফেশনাল কিলার দের মধ্যে আবার একজন বলে উঠলো

“” বেশি চালাকি করবি না। আমাদের কাছে খবর আছে তোদের মধ্যে একজন হলো মেঘ।

~~ আগে ওর হাতটা ছাড়ুন। আর তোরা সবাই যার যার এনআইডি কার্ড দে। তাহলে ভাইয়ারা বুঝবে আমরা কেউ মেঘ নই।

সবাই রাতের কথায় সম্মতি দিয়ে সবার এনআইডি কার্ড দেখালো। জানে রাত সবকিছু শান্ত মাথায় সব ডিসিশন নেয়। সবাই রাতকে খুব ভরসা করে। সবাই জানে রাতের সিধান্ত ভুল হয় না। আর রাত তাদের সাথে থাকলে তারাও আগ বাড়িয়ে কোনো কথা বলে না।তারপর লোকগুলো যেতে যেতে বললো..

~ বসকে কল দে। বল এখানে মেঘ বলে কেউ নেই আর ঐ মাইয়ার ছবি দিতে বল। ময়তো এভাবে জনে জনে জিজ্ঞেস করলে আমরা ফেঁসে যাবো।

____

রাফি, রাহাত,রাদিফ, আশিক এক সাথে বসে আছে। তারা সবাই এখন যার যার মতো সেটেল্ড। তাদের আড্ডাও আগের মতো জমে না। তারা সবাই তাদের কাজের জন্য গিল্টি ফিল করে।

~~আচ্ছা রোদ কি কখনো আর আমাদের সাথে কথা বলবে না। অনেক মিস করি রোদ কে। রাদিফ কথাটা বলে একটা দীর্ঘ শ্বাস ছাড়লো।

~ ও তো কারো সাথেই কথা বলে না। রিতু বললো ওর মাকেও নাকি হুমকি দিছে। রাফি বললো

~~ আচ্ছা তোদের কি মনে মেঘ কি আদো বেঁচে আছে?? আবারও রাদিফ বললো

~ রোদ যেভাবে ওর আঘাতের কথা বললো তাতে আমার মনে হয় না ও বেঁচে আছে। তবে রোদ আর মেঘের উপর যারা আক্রমণ করেছিলো শুনেছি তাদের নাকি কেউ খুব জঘন্য ভাবে খুন করেছে।

তাদের কথার মধ্যে আশিক বলে উঠলো আমি যা দেখছি তোরাও কি তাই দেখছিস।

রাহাত বলে উঠলো আরে বা*ল হেয়ালি না করে বল কি দেখছিস??!!

আশিক জোরে বলে উঠলো..
~মেঘ বেচে আছে
সবাই আশিকের নজরে দিকে তাকিয়ে ৪৪০ ভোল্টেজের জাটকা খায়। তারা যেনো নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারতাছে না। ঐ দেখ পিছনে আকাশের গাড়ি দাড়িয়ে। তার মানে রোদের বিশ্বাসই ঠিক ছিলো মেঘ বেঁচে আছে। তারা নিজের মধ্যে নিজেরা কথা বলতে থাকে।

নিহান তুই ওদের নিয়ে বাসায় যা আমি একটু পর আসছি। আর হ্যা মেহমানদের একটু ভালোভাবে খাতির যত্ন করার ব্যবস্হা কর। আমি এসে বাকিটা সামলে নেবো। বলে রাত নিজের বাইক নিয়ে চলে যায়। নিহান ও মাহি, নেহা, হিয়াকে নিয়ে তাদের এপার্টমেন্টে চলে আসে।

রাত লোকিং গ্লাসে তাকিয়ে দেখে কালো গাড়িটা এখনো তাকে ফলো করছে।

~~ স্যার মেম তো বাইক নিয়ে লং ড্রাইবে বেড়িয়েছে বলে মনে হয়। এখন কি করবো।

~~ কিডনাপ করে নিয়ে আসো?? বাকিটা আমি দেখতেছি।

রোদের কথা মতো আকাশ কিছু ভারা করা ছেলেদের পাঠালো মেঘকে কিডন্যাপ করতে। একটা মেয়েকে কিডন্যাপ করা এমনকি কাজ। রাত কিছু একটা বুঝতে পেরে মুচকি হেসে একটা নির্জন জায়গায় বাইক দাঁড় করায়। আর ভাবতে থাকে এরা আবার কোন কম্পানির মাল যে উড়ে এসে জুড়ে বসলো। আগে এদের ক্লাস নেই বাকিটা পরে দেখবো। বলে বাইক থেকে নেমে বাইকে হেলান দিয়ে রাস্তায় দাঁড়ায়। ৫ জন ছেলে এসে রাতকে গিরে দাঁড়ায়। কিছু বলার আগেই রাত সবকটাকে মেরে আধমরা করে ফেলে..

~ সবাই একসাথে বলে উঠে মা আর মেরো না। আমরা শুধু টাকার জন্য তোমাকে কিডন্যাপ করতে এসেছিলাম। বলেই ছেলেগুলো মাফ চাইতে থাকে।

~~ কে পাঠিয়েছে তোদের??

~ চিনি না। ফোনে আপনার ছবি দিয়ে বলেছিলো কিডন্যাপ করে এই লোকেশনে নিয়ে যাই।

~~ ওকে.. কনটাক্ট নাম্বার দে আর কোনোদিন আমার সামনে আসবি না আসলে জানে মেরে ফেলবো।

~~স্যার প্লেন ফেল হয়ে গেছে সব কটা মেম এর হাতে মার খেয়ে রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে।

~রিডিকিউলাস!! এতজন মিলে একটা সাধারণ মেয়েকে তুলতে পারলো না। আবার এটা বড় গলায় বলছে। রাগের সাথে কথাটা বললো রোদ

~ স্যার মেম কোনো সাধারণ মেয়ে না..
~ স্টুপিড আর একটা কথা বললে তোমাকে এখন মেরে হসপিটাল রেখে আসবো। কথাটা বলে রোদ কল কেটে দেয়।

মেঘপাখি আমি নিজে আসছি এবার। দেখি তুমি কত পালাতে পারো। ওয়েলকাম টু মাই ডার্কসাইট।

_____

রাত বাসায় এসে কনটাক্ট নাম্বারের সকল ডিটেইলস বের করলো। নেহান বলে উঠলো..

!! কালকে দেশে আসতে না আসতেই তোকে কিডন্যাপ করার এত প্লেনিং। আর রায়মান আদনান রোদ তোকে কিডন্যাপ করতে চাইছে কেনো??

~ আমাকে না মেঘলা তালুকদার মেঘ কে কিডন্যাপ করতে চাইছে।।

ইনশাআল্লাহ চলবে….

( সব কেমন যেনো জগাখিচুরি পাকিয়ে যাচ্ছে.. তবুও ৩০০০+ লিখলাম.. সবার লাইক কমেন্ট চাই)

 #তোমার_আমার_প্রেম #পর্ব_০৯ #রোজ_রোকসানা ৫বছর পর…সময় কারো জন্য থেমে থাকে না তোমনই থেমে নেই কারো জীবন। তবে সময়ের সাথে সাথ...
07/04/2025

#তোমার_আমার_প্রেম
#পর্ব_০৯
#রোজ_রোকসানা

৫বছর পর…

সময় কারো জন্য থেমে থাকে না তোমনই থেমে নেই কারো জীবন। তবে সময়ের সাথে সাথে পরিবর্তন হয়েছে অনেককিছু। কারো জীবন আর আগের মতো নেই ফাটলে ধরছে সম্পর্কেের মাঝেও। আবার পরিবর্তন এসেছে কর্মক্ষেত্রেও। রোদ কারো সাথে কথা বলে না। কেউ কিছু বললে হুটহাট রেগে যায়। সকাল সকাল রোদ অফিস যাওয়ার জন্য রেডী হয়ে নাস্তার টেবিলে বসে। তখনই আফসানা আদনান বলে…

“ রোদ তোমাকে কিছু বলার ছিলো??
~........

“ দেখো যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন সব ভুলে গিয়ে আবার নতুন করে জীবন সাজাও।

আফসানা আদনান আর কিছু বলার আগেই ঝনঝন করে কাচ ভাঙার শব্দে ডাইনিং এ থাকা সবাি আঁতকে উঠল। রোদ যেনো তার চোখ দিয়ে সব জ্বালিয়ে পুরিয়ে শেষ করে দেবে। রাগের কারনে হাতের রগ গুলো সব ফুলে উঠেছে। যেনো ছিঁড়ে বেড়িয়ে আসবে। চোখ মুখ অসম্ভব রকমের লাল হয়ে গিয়েছে। রোদের দিকে তাকিয়ে সবাই ভয় পেলো এবার।

~~আজ ছেড়ে দিলাম আফসানা আদনান। নেক্সট টাইমে এই ধরনের কথা বললে আমি ভুলে যাবো আপনি আমার জন্মদাত্রি। মনে থাকে যেনো!!

কথাটি বলে রোদ লম্বা লম্বা পায়ে হেটে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গেলো। সবাই একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রোদের যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকলো। রোদের দাদি আমেনা খান আফসানা আদনানকে বললো..

~ বউমা খাবার টেবিলে এ কথাগুলা না বললেও পারতে। তোমার চিন্তা হয় ছেলের জন্য আমাদেরও হয় কি করবো বলো এমন একটা ঘটনা ঘটে গেলো…

“” আর কত দিন এভাবে চলবে মা ৫ বছর কেটে গেলো দিন দিন কেমন হয়ে যাচ্ছে রোদ। আমি মা হয়ে যে আর এসব সহ্য করতে পারছি না। কান্না করতে করতে আফসানা বেগম কথাটা বললো..

সবাই টুকিটাকি কথা বলে যার যার কাজে চলে গেলো। রোদ নিজে নিজেই এক্সপোর্ট ইমপোর্ট এর ব্যবসা দাঁড় কারায়। রাফি রাদিফ, আশিক, রাহাত কারো সাথে কোনো যোগাযোগ করে না। তারা কথা বলতে আসলেও এড়িয়ে চলে।

রোদ তার গাড়িতে বসে আছে ট্রাফিক জেমের মধ্যে আর মেঘের কথা ভাবছে। কেনো এমন হলো কেই বা তাদের উপর আক্রমণ করলো কোনো কিছুর হিসাব মেলাতে পারছে না। যেই ছেলেগুলো তার উপর আক্রমণ করেছিল সে খুঁজ নিয়ে দেখে তার আগেই কে যেনো তাদের নৃশংস ভাবে খুন করেছে। এসব ভাবতে ভাবতে বাহিরে একটা বাইকের উপর নজর পরলো। বাইক চালকটি তার হেলমেট আস্তে আস্তে খুলছে রোদও মনযোগ দিয়ে দেখছে বাইক রাইডার হেলমেট হাতে নেওয়ার পর যেনো রোদ নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে তার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে বা তার হ্যালুয়েশন হচ্ছে.. নিজে অজান্তেই উচ্চারণ করলো..
~~মেঘ!!
ততক্ষণে জ্যাম ছেড়ে দিয়েছে। রোদ শুধু বাইকটি যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে। সে কি করবে না করবে কিছু ভেবে পেলো না। বলে না হঠাৎ এমন কিছু দেখলে মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দেয় তেমনি হলো রোদের ক্ষেত্রেও খানিক সময়ের জন্য তার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। রোদের এসিস্ট্যান্ট আকাশে ডাকে সে চমকে উঠে। রোদের চমকে যাওয়া দেখে আকাশ কিছু টা ভয় পেলো।

– স্যার আর ইউ ওকে!!

~~ ইয়াহ, আই এম ওকে.।।

বলে গাড়ি থেকে নেমে সে তার অফিস রোমে এসে দাঁড়ায়। আর বিরবির করে বলে..

~~কেনো মায়াবতী কেনো এভাবে চলে গেলে। এতটাই অভিমান কেনো করলে আমার উপর??

আকাশ দরজায় নক করে বললো..

– মে আই কাম ইন স্যার
~ ইয়েস কাম.. এন্ড শো দিস ফটো। ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল ইনফরমেশন আমার চাই আর যেখানেই পাবে তুলে নিয়ে আসবে। গট ইট!!

আকাশ রোদের কথা শুনে যেনো সে আকাশ থেকে পড়লো। যে কিনা মেয়েদের দু চোখে সহ্য করতে পারে না সে একটা মেয়ের ছবি দিয়ে বলছে তুলে নিয়ে আসতে। আদো কি এটা সম্ভব।

~ হোয়াট হেপেন্ড??
জোরে ধমক দিয়ে বললো রোদ।

__ কিছু না স্যার।

~ আমি কোনো এক্সকিউজ শুনতে চাই না আর একটা কথা ফিরে এসে যদি বলো মেয়েটা বেঁচে নেই তাহলে আগে আমি তোমার জীন্দা কবর দেবো তারপর আমি নিজে বের হবো ওকে আনতে।

ঠান্ডা গলার এমন হুমকি শুনে আকাশ কেঁপে উঠল। সে বিগত ৩ বছর যাবৎ রোদের সাথে আছে আর সে জানে এই লোক যা বলে তাই করে। আর এটাও বুঝতে পারে অতীতে এমন কিছু হয়েছে যা এই মেয়ে নিয়ে।

– ওকে স্যার

আমি জানি মেঘ তুমি বেঁচে আছো আমি আজ তোমাকে দেখে আমি সিউর হয়ে গেলাম। তুমি যদি ইচ্ছে করে আমার থেকে লুকিয়ে থাকো তাহলে এই রোদের তাপ তো তোমাকে সহ্য করতে হবে বেইবি। নিজে নিজে কথাটা বলে রোদ একটা ডেভিল হাসি দেয়। তুমি যেখানেই থাকো না কেনো জানপাখি আমার কাছে তো তোমাকে ফিরতেই হবে।

____
– স্যার মেয়েটাকে পেয়েছি.? কি করবো তুলে নিয়ে আসবো নাকি??

~~ ডোন্ট টাচ হার। লোকেশন পাঠাও আমি নিজে আসছি আর নজর রাখো..

– ওকে স্যার

রাত ( আপনাদের মেঘ), হিয়া, মাহি, নেহা আর নিহান একসাথে বসে আড্ডা দিচ্ছিলো। এমন সময় ২টা বখাটে এসে বিরক্ত করতে থাকে তাদের। ওরা কিছু না বলে চলে যেতে নিলে বখাটেদের একজন হিয়ার হাত ধরে….

চলবে…

18/06/2024
16/06/2024

পুঁচকির রমজান ।। ゚viral Bangladesh

Address

Kazipara

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rose Roksana posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rose Roksana:

Share