20/08/2025
ছোটখাটো ঘরোয়া আকদ, ছেলের বাড়িতে ওয়ালিমা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। এলাকার সবচেয়ে পুরাতন মসজিদে জুম্মাবাদ আয়োজন করা হয়েছে বিয়ের। দু'পরিবারের সবার উপস্থিতি যেন এক শুভ উৎসবের প্রাণহেতু। কাজি সাহেব এসে পরেছেন ইতিমধ্যে, আগে মেয়ের সম্মতি এবং সাক্ষর গ্রহণ করে অতঃপর ছেলের নিকট অগ্রসর হবেন তিনি। মসজিদের মহিলা কামরায় ফুল আবৃত এক ডিভানে জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে বিয়ের কনে। সফেদ লেহেঙ্গার দোপাট্টাটা একহাতে ধরে রেখে ভীরু দৃষ্টে চারিদিক অবলোকন করছে সে। দৃষ্টি জুড়ে চাতকিনীর ন্যায় উৎপীড়ন, তবে অস্থির নয় সে। এতো আড়ষ্টতার মাঝেও মুখশ্রী জুড়ে খেলা করছে প্রাপ্তির সেই নিগূঢ় হাসি। ঠিক সে সময় রেজিস্ট্রি খাতা নিয়ে এগিয়ে এলেন কাজি সাহেব। ফুলের তৈরি নমনীয় দেয়ালের অপরপ্রান্তে নববধূর মুখোমুখি হয়ে বলতে লাগলেন,
“ তেজওয়ার খানের বড় পুত্র আনভির সায়ান রিক্ত খানের সাথে ত্রিশ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করিয়া…….
বাক্য সম্পূর্ণ কারার আগেই কাজি সাহেবকে মাঝ পথে থামিয়ে দিলো স্বয়ং কনে। চোখ তুলে স্থির চেয়ে বধু বেশে কনে বলে উঠলো….
“ দেনমোহর ত্রিশ লক্ষ নয়। একটাকা লিখুন কাজি সাহেব”।
কনের এহেন কথায় হতচকিয়ে গেলো সকলে। কাজি সাহেব নিজেও হতবাক। কনের মা তড়িঘড়ি করে এগিয়ে এসে মেয়েকে চোখ রাঙিয়ে বলেন,
“একি করছিস উপমা ! এটা কি ছেলে খেলা? বিয়ে হচ্ছে এখানে, বড়রা যা ঠিক করেছেন তাই শুনতে হয়”।
মায়ের কথায় কর্ণপাত করে না উপমা। চোখ ঘুরিয়ে ভাইয়ার পানে দৃষ্টিপাত করে বলে উঠে….
“দেনমোহর হিসেবে আমার রিক্ত ভাইকে চাই। তুমি গিয়ে জিজ্ঞেস করো ভাইয়া, সে এ প্রস্তাবে রাজি কি না।
এতক্ষণে কেটে গেলো সকলের গোমোট ভাব। উপমার কথায় মৃদু হসে উঠলো সকলে। আনন্দ উল্লাসে ভরে উঠলো মসজিদ প্রাঙ্গন, পাঞ্জাবীর হাতা ঘুটিয়ে বর পক্ষের কামরার দিকে যেতে যেতে ইফাদ বললো…
“এক্ষুনি জেনে আসছি দাঁড়া”।
( নোট:- অনেকেই আছেন বইটই থেকে গল্প পড়তে চান কিন্তু পড়তে পারেন না। তাদের জন্য বইটই থেকে নিয়ে ফেসবুকে আপলোড দিলাম। অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করবে কিন্তু যারা গল্প প্রমী বই কিনে পড়তে পারে না তাদের দিক টা বিবেচনায় রেখে গল্প টার একাংশ আপলোড দিলাম। যদি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট জানাবেন।)
#অষ্টাদশীর_অন্তরালে
#লেখিকা_সুরাইয়া_রাফা
#সংগৃহিত_বইটই