26/09/2023
খবর বের হয়েছে যে বিশ্বকাপে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ পাঁচ ম্যাচ খেলতে পারবেন বলে বিসিবিকে জানিয়েছেন। এবং এই খবর শুনে ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান এতটাই অসন্তুষ্ট যে, এভাবেই যদি দল সিলেক্ট হয় তাহলে তিনি বিশ্বকাপে অংশ নেবেন না বলে হুমকি দিয়েছেন।
সত্যি বলতে তামিমের ফিটনেস নিয়ে সংশয় আমারও ছিল, তবে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার ব্যাটিং দেখে আমি ভূয়সী প্রশংসা করেছিলাম এবং আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু এই খবরটা যদি সত্যি হয়, তাহলে অন্তত এই পরিস্থিতিতে ক্যাপ্টেন সাকিবের অসন্তোষের প্রতি পূর্ণ সম্মতি জানাতে হয়। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই যদি কোন প্লেয়ার বলেন যে তিনি সর্বোচ্চ পাঁচ ম্যাচ পর্যন্ত সার্ভিস দিতে পারবেন, তাহলে সেই অনিশ্চয়তাকে মাথায় নিয়ে সেই প্লেয়ারকে দলে ইনক্লুড করে নেয়া মানে অবশ্যই বোঝা বহন করার মতন ব্যাপার। আপনি কখনোই এইরকম একজন প্লেয়ারকে দলে অন্তর্ভুক্ত করে বিশ্বকাপের মতন আসরে ভালো করতে পারবেন না।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স যাই হোক না কেন, তাদের নয় ম্যাচ খেলতে হবে। তামিমের ফিটনেসের অবস্থা যদি আসলেই এমন হয়, তাহলে বাকি চার ম্যাচের জন্য বাংলাদেশ কি পরিকল্পনা করবে? একই সাথে ফিল্ডিং এর ক্ষেত্রেও তামিমকে প্রায়ই রেস্ট দিতে হয়, অথচ বিশ্বকাপ দলে প্লেয়ার মাত্র ১৫ জন. দলের ফাস্ট বোলারদেরকে ফ্রেশ রাখার জন্য তাদেরকেও ফিল্ডিং থেকে একটু পরপর রেস্ট দেয়াটা বেশ প্রচলিত ব্যাপার। নয় ম্যাচের লম্বা যাত্রা হওয়ায় এখানে ১৫ জনের স্কোয়াডে আগে থেকেই হাফ ফিট একজন প্লেয়ারকে বহন করা খুব কঠিন কাজ।
ফর্ম যেমনই হোক না কেন, কোন কিছু বিবেচনায় নিয়েই শুধুমাত্র অর্ধেক টুর্নামেন্ট খেলতে সক্ষম এটা প্লেয়ারকে কোন ক্যাপ্টেনই নিতে চাইবে না। কারণ এরকম একজন প্লেয়ারকে নিয়ে বিশ্বকাপের মতন আসরের জন্য ক্যাপ্টেন, কোচ বা ম্যানেজমেন্ট এর পরিকল্পনার সাজানো টা খুবই কঠিন। তাই ক্যাপ্টেন হিসেবে সাকিব আল হাসানের অসন্তোষ প্রকাশের সাথে আমি পুরোপুরি সম্মান জানাই। যদি তামিম ইকবাল পুরো বিশ্বকাপ খেলার মতন ফিট হয় তাহলে আমার মনে হয় না তাকে নিয়ে কারোরই কোন আপত্তি থাকবে। কিন্তু অর্ধেক টুর্নামেন্ট খেলার জন্য ফিট একজন প্লেয়ারকে বহন করাটা যেকোনো দলের জন্যই অনেক বেশি ঝুকিপূর্ণ।