Tapan Chakma Story

Tapan Chakma Story Tapan Chakma

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Kanchan Tripura, Shanti Chakma, Sergio Ro...
01/11/2025

আমার নতুন ফলোয়ারদের স্বাগত জানাই! আপনাদের ফলোয়ার হিসাবে পেয়ে আমি খুবই খুশি! Kanchan Tripura, Shanti Chakma, Sergio Romero, Birstì Chākmã Bibritê, সু ভাগ্য লাল, Miyaj Miya, Subuj Chakma, Koheli Chakma Koheli, Bipul Chalma, Dhormo Mohon Chakma, Pintu Chakma, পাহাড়ের অতন্দ্র প্রহরী, Zumman Zumman

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ঘেরা গ্রামগুলোয় প্রতিদিন বিকেলে বসে এক বিশেষ হাট। সেটি হলো পিঁপড়ার ডিমের হাট। বাঁশে...
01/11/2025

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গারো পাহাড়ঘেরা গ্রামগুলোয় প্রতিদিন বিকেলে বসে এক বিশেষ হাট। সেটি হলো পিঁপড়ার ডিমের হাট। বাঁশের লম্বা লাঠিতে জাল বেঁধে গ্রামের মানুষরা সকাল থেকেই পাহাড়ে ঘুরে বেড়ান ডিম সংগ্রহের আশায়। গাছের উঁচু ডাল থেকে পিঁপড়ার বাসা নামিয়ে, কামড় সহ্য করে ডিম আলাদা করেন তাঁরা। এরপর ঝুড়িতে করে সেগুলো নিয়ে আসেন বাজারে। বিকেলে বউবাজার, বাঁকাকুড়া, গজনি, নয়ারাংটিয়া ও বটতলা গ্রামে এই হাট বসে, যেখানে প্রতি কেজি ডিম বিক্রি হয় ১,০০০ থেকে ১,২০০ টাকায়। অনেকের কাছে এই ডিমই সংসার চালানোর একমাত্র ভরসা।

এই ডিমের প্রধান ক্রেতা মূলত বড়শি দিয়ে মাছ ধরা শিকারিরা। মাছের টোপ হিসেবে পিঁপড়ার ডিমের বেশ চাহিদা রয়েছে। দিনে গড়ে একজন সংগ্রাহক ৪০০ থেকে ৭০০ গ্রাম ডিম পান, যা পরে মহাজনের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হয়। সন্ধ্যা নাগাদ সংগ্রাহকদের ওজন অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা হয়। স্থানীয়রা জানান, আগে ডিম অনেক বেশি পাওয়া যেত, কিন্তু এখন কমে গেছে। নয়ারাংটিয়ার যতীন্দ্র কোচ বলেন, “পিঁপড়ার কামড় খাইয়া কষ্ট হয় ঠিকই, কিন্তু এই ডিমেই তো সংসার চলে।”

এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন প্রায় শতাধিক পরিবার। বাঁকাকুড়ার মোশারফ হোসেন জানান, তিনি প্রায় ২৫ বছর ধরে এই পেশায় আছেন এবং রাজধানীতে নিয়মিত ডিম পাঠান। বর্ষা ও শীতকালে লাল পিঁপড়ার ডিমের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। কঠোর পরিশ্রম, পিঁপড়ার কামড় আর ঝুঁকি পেরিয়েও গারো পাহাড়ের এই মানুষগুলো তাদের এই শ্রমে জীবনের চাকা ঘোরাচ্ছেন, যেন একেকটা ডিমে লেখা আছে টিকে থাকার গল্প।

Team Science Bee

স্পেনের বায়োপার্ক ভ্যালেন্সিয়া চিড়িয়াখানায়, এক শিম্পাঞ্জি মা নাতালিয়া জন্ম দিয়েছিল এক ছেলেশিশুকে।কিন্তু জন্মের মাত্র দুই...
01/11/2025

স্পেনের বায়োপার্ক ভ্যালেন্সিয়া চিড়িয়াখানায়, এক শিম্পাঞ্জি মা নাতালিয়া জন্ম দিয়েছিল এক ছেলেশিশুকে।
কিন্তু জন্মের মাত্র দুই সপ্তাহ পরেই তার সন্তান মারা যায়।

তবু নাতালিয়া তা মেনে নিতে পারেনি।
সে পুরো সাত মাস ধরে নিজের মৃত সন্তানটিকে বুকে জড়িয়ে রেখেছিল —
তার দেহ পরিষ্কার করত, বৃষ্টির হাত থেকে আগলে রাখত,
আর এমনভাবে আঁকড়ে ধরত যেন তার মায়া হয়তো আবার জীবন ফিরিয়ে দেবে।

চিড়িয়াখানার কর্মীরা বলেছিলেন —
সেই দৃশ্য দেখে পুরো পার্ক নিস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল।
একজন মা হাঁটছিলেন, কিন্তু সন্তানের সঙ্গে নয় —
একটি স্মৃতির সঙ্গে।

অবশেষে যেদিন নাতালিয়া তার সন্তানটিকে মাটিতে শুইয়ে রাখল,
দেখে থাকা কর্মীরাও চোখের জল আটকাতে পারেনি।

এটা কেবল প্রাণীর প্রবৃত্তি ছিল না —
এটা ছিল শোক। গভীর, কোমল, আর ভীষণ মানবিক।

নাতালিয়া আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছে এক চিরসত্য —
ভালোবাসা শুধু মানুষের নয়।
এটা বয়ে চলে প্রতিটি জীবের মধ্যে —
তীব্র, নরম, আর অসীম।

01/11/2025

গুইমারা রামেসু বাজারে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে যা বললেন ডাকসু হেমা চাকমা Highlights

যেই দেশে ৫ দশকের স্বাধীনতার পরও শুধু আদিবাসীদের অধিকার হনন হচ্ছে, আদিবাসীদের জমি দখল, আদিবাসী মেয়েদের ধর্ষণ হচ্ছে, সেনা...
01/11/2025

যেই দেশে ৫ দশকের স্বাধীনতার পরও শুধু আদিবাসীদের অধিকার হনন হচ্ছে, আদিবাসীদের জমি দখল, আদিবাসী মেয়েদের ধর্ষণ হচ্ছে, সেনা শাসন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে আর আদিবাসীদের জনসংখ্যা হ্রাস করার সরকারি পরিকল্পনা চলছে, সেই দেশে কি আদিবাসী প্রধান মন্ত্রীর স্বপ্ন দেখা যায়?

In a country where even after 5 decades of independence, the rights of indigenous people are being violated, their land is being illegally seized, indigenous women are being r***d, military rule has been imposed, and government plans are underway to reduce the population of indigenous people, can the dream of an indigenous prime minister be seen in that country?

খাগড়াছড়িতে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পরবর্তী সহিংস ঘটনাবলীর তথ্যানুসন্ধান রিপোর্টগত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে একটি মারমা কিশোরী ...
31/10/2025

খাগড়াছড়িতে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পরবর্তী সহিংস ঘটনাবলীর তথ্যানুসন্ধান রিপোর্ট

গত ২৩ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে একটি মারমা কিশোরী মেয়ের ধর্ষণকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়িতে সাধারণ নাগরিকের উপর নিপীড়ন করা হয়। এতে তিনজন মারমা যুবককে হত্যা করা হয় এবং প্রচুর দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্থ হয়। উদ্ভুত এই ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য গত ৯ অক্টোবর গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে একটি নাগরিক দল খাগড়াছড়িতে তথ্যানুসন্ধানের জন্য অবস্থান করে। তথ্যানুসন্ধানে যাওয়ার পূর্বে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য, তথ্যানুসন্ধানের ঘোষনা দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে নানারকম বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্যদের পক্ষে এই তথ্যানুসন্ধান দলে ছিলেন: ড: হারুন উর রশীদ, সত্যজিত বিশ্বাস, আবদুল্লাহ কাফী রতন, মোশরেফা মিশু, নজরুল ইসলাম, সায়েদুল হক নিশান, রজত হুদা এবং মারজিয়া প্রভা। উল্লেখ্য যে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির এই তথ্যানুসন্ধান চলাকালে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতৃবৃন্দের একটি প্রতিনিধি দলও উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করেন।

প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে ধর্ষণের ভুক্তভোগী মারমা কিশোরী ও তার পরিবার, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, জাতীয় আইনগত সংস্থা, স্বনির্ভর ও রামসু বাজারের ক্ষতিগ্রস্থ দোকানদার, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী এবং গুইমারার নিহত তিনজনের পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তাদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়।

তথ্যানুসন্ধানের পর প্রতিনিধিদলের বক্তব্য:

১। ভুক্তভোগীর পরিবার এখনো আতংকে
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষ থেকে আমরা প্রথমেই ধর্ষণের শিকার মারমা কিশোরীর বাসা (সিংগিনালা)তে যাই। সেখানে গিয়ে প্রথমে ভুক্তভোগীর পরিবার আমাদের সাথে কথা বলতে চাচ্ছিলো না। এর কারণ তারা জানিয়েছিলো যে, এর পূর্বে খাগড়াছড়িতে বিভিন্ন সাংবাদিক এসে তাদের ভিডিও করা, জোর করে কথা বলানো এবং ভুক্তভোগীর মেয়ের পরিচয় প্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলো। যার কারণে ভুক্তভোগী পরিবার শংকাবোধ করছে এবং তাদের ন্যায়বিচার প্রাপ্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা প্রকাশ করেছে।

২। ওসি কর্তৃক ধর্ষণের ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে ডিসচার্জ রিপোর্ট ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা, পরিবারকে দেওয়া হয়নি প্রেসক্রিপশন:
ধর্ষণের ঘটনার পরেই যখন রক্তাক্ত অবস্থায় ফসলের ক্ষেত থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়, তখনই তাকে অচেতন অবস্থায় খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিনই রাত ১২ টায় ভুক্তভোগির মেডিকেল টেস্টের জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়। পরদিন সকালে মেডিকেল টেস্ট করার জন্য গাইনোকলজিস্ট বিশেষজ্ঞ জয়া চাকমা আসে এবং পুলিশ মেয়েটির জবানবন্দি নেয়। মেয়েটির ক্ষত স্থান নিরাময়ের জন্য মলম ও ব্যাথার ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্ত ২৫ তারিখ হাসপাতাল থেকে মেয়েটিকে ডিসচার্জ ফরম দেবার পরে ওখানে অবস্থিত ওসি (পুলিশ সদস্য) মেয়েটির পরিবারের কাছ থেকে ডিসচার্জ রিপোর্ট কেড়ে নেয়। এমনকি সেটার ছবিও তুলতে দেয়নি। এমনকি ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছে কোন প্রেসক্রিপশন, মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট কিছুই দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ মেয়েটির পরিবারের কাছে হাসপাতাল থেকে প্রদান করা মেডিকেল ডকুমেন্টস নেই এবং ডিসচার্জ ফরম ওসি কেড়ে নিয়েছে।

৩। ধর্ষণের আলামত পরীক্ষার রিপোর্ট আগে প্রকাশ করে একটি টিভি চ্যানেল, পরে জানানো হয়েছে পরিবারকে
ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা জানতে পারি, মেডিকেল টেস্টের আলামত প্রতিবেদন তারা যমুনা টিভির প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানে। প্রকাশিত সংবাদের পরদিন ওসি এসে তাদেরকে পরীক্ষার রেজাল্ট জানায়।

৪। অভিযুক্ত একজন পূর্বেই ধর্ষণের ভুক্তভোগীকে স্কুলে যাওয়ার পথে যৌন হয়রানি করতো
অভিযুক্ত ও গ্রেফতারকৃত সয়ন শীল পুর্বেই ভুক্তভোগীকে স্কুলে যাবার পথে নানাবিধভাবে যৌন হয়রানি করতো বাজে ইঙ্গিতের মাধ্যমে। সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে আমাদের বলা হয়, মারমা কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলনের প্রথমার্ধে নয়ন শীলের গ্রেফতার চাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে সয়ন শীলের গ্রেফতার চাওয়া হয়। এই বক্তব্য আমাদেরকে ম্যানুপুলেটিভ করার জন্য বলা হয়েছে বলে মনে করি। কারণ ভুক্তভোগীর কাছ থেকে আমরা সয়ন শীলের নামটাই শুনে এসেছি। জ্ঞান ফেরার পরে ভুক্তভোগী তাকেই চিহ্নিত করতে পেরেছিলো।

৫। ধর্ষণের আলামত নিয়ে একটি টিভি চ্যনেলের প্রপাগান্ডা: আলামতের পরীক্ষায় সূচক থাকে ত্রিশটি, তারা ১০টা সূচক দিয়ে রিপোর্ট করেছে।
যমুনা টিভিতে প্রকাশিত সংবাদ জানিয়েছে যে মেডিকেল পরীক্ষার ১০টি সূচকে আলামত পাওয়া যায়নি। সিভিল সার্জন মারফত আমরা জেনেছি যে, মেডিকেল পরীক্ষায় ৩০টি সূচক থাকে। তবে যমুনা টিভি কোন ১০টি সূচকের কথা বলেছে তা তিনিও জানেন না। মেয়েটি পুলিশের কাছে দেয়া জবানবন্দিতে বলেছে তার যোনিপথে রক্ত থাকার কারণেই তাকে প্রথমে কবিরাজ এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এছাড়াও তার শরীরের উপরিভাগে ক্ষত থাকার জন্য তাকে মলম প্রদান করা হয়েছে। সিভিল সার্জন আমাদের জানিয়েছে যে তাদের রিপোর্টে ‘Sign of no forceful sexual intercourse’ বলা হয়েছে। কিন্ত যোনিপথে রক্ত এবং শরীরের ক্ষত কেন ফোর্সফুল সেক্সচুয়াল ইন্টারকোর্সের চিহ্ন হবে না তার কোন সদুত্তর তিনি দেননি। এক্ষেত্রে আমাদের সাথে থাকা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডঃ হারুন উর রশীদ জানিয়েছেন, মেডিকেল জুরিসপ্রুডেন্স হিসেবে ‘Mere touch of valve’ কেই ধর্ষণ বলে আখ্যায়িত করা হয়। এই বাদে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আমাদের জানিয়েছে, ‘অবিবাহিত বা সেক্সুয়াল এক্সপোজ না হওয়া কোন নারীর জন্য, বডিতে সিমেন (বীর্য) না থাকলে, ফরেনসিকে তার সাথে সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স প্রমাণ করা কষ্টকর।

৬। ফরেনসিক পরীক্ষার পরে ডিএনএ টেস্ট এখনো বাকি
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ফরেনসিকের পাশাপাশি ডিএনএ টেস্টের জন্য সোয়াব সংরক্ষণ করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। তাই কেবল ফরেনসিকের ভিত্তিতে মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়নি এই সরলীকরণ একটি ম্যানুফেকচার্ড প্রোপাগান্ডা।

৭। কিভাবে ধর্ষণের আলামত টেস্টের রিপোর্ট মিডিয়ার হাতে গেলো?
নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ অনুযায়ী, ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ একটি আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। কিন্ত আমরা দেখেছি যমুনা টিভি ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশ করে তার ধর্ষণের আলামত টেস্টের রিপোর্ট প্রচার করেছে। কিভাবে এই রিপোর্ট মিডিয়ার কাছে গেলো তা আমরা সিভিল সার্জন এবং পুলিশ সুপারের কাছে জানতে চেয়েছি। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ২৯ তারিখ সকাল ১১টায় এ তাঁর কাছে রিপোর্ট আসে, এই রিপোর্ট সিলগালা করে তিনি ১১:১০ এ তিনি পুলিশ সুপারের কাছে দেন। তিনি জানান, খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে এই রিপোর্ট মিডিয়ার কাছে যায় নি। এমনকি তাঁকে মিডিয়া থেকে অসংখ্যবার ফোন দিলেও তিনি ধরেন নি। তবে নিয়মানুযায়ী পুলিশ সুপারের কাছে দায় বর্তায়। পুলিশ সুপার প্রথমে সিভিল সার্জনকে দায়ী করতে চাইলেও, পরে ওখানে উপস্থিত জানায় যমুনা টিভি হয়ত কোন মুন্সির কাছ থেকে এই রিপোর্ট পেয়েছে। আমরা দেখতে পেয়েছি, কেউই এর সদুত্তর দিতে পারছে না যে কার কাছ থেকে এইরকম অতি কনফিডেনশিয়াল রিপোর্ট পাচার হয়েছে। তারা একে অপরের গায়ে দোষ দিয়েছে কিন্ত চিহ্নিত ব্যক্তিটিকে এখনো খুঁজে বের করেনি।

৮। ‘স্বনির্ভর বাজারে বহুবছর যাবৎ বাঙালি এবং আদিবাসী দোকানদার ব্যবসা করে, কিন্ত কখনও এরূপ লুটপাট ও ভাংচুর হয়নি’- ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি দোকানদার
প্রায় ১৩টি বাঙালি দোকানের মধ্যে স্বনির্ভর বাজারে ২৮ তারিখে ধর্ষণবিরোধী অবরোধের সময় ৬টি দোকান লুটপাট করা হয়। এইসময় কেউই দোকানে ছিলো না। দোকানগুলোর মধ্যে আছে মুদির দোকান, মোবাইল যন্ত্রপাতির দোকান, পোশাকের দোকান এবং হোটেল। আমরা প্রতিটি দোকানে ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি, তারা জানিয়েছে এর আগে কখনোই স্বনির্ভর বাজারে এই ধরণের লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেনি। উল্লেখ্য স্বনির্ভর বাজারের কাছেই পুলিশ চেকপোস্ট। তবে পুলিশের উপস্থিতিতে এই ভাংচুর কিভাবে হয় তা এলাকাবাসীর প্রশ্ন। তা বাদেও এলাকাবাসী কেন এখনো চিহ্নিত অপরাধীকে ধরা যাচ্ছে না তা নিয়ে সন্দিহান। স্থানীয় অনেকে মনে করেন স্বনির্ভর বাজারের ঘটনা তৃতীয় কোন শক্তির ইন্ধনে করা হয়েছে। এই তৃতীয় শক্তি- কারা তা রাষ্ট্রকে বের করতে হবে। স্থানীয় জনতা জানায়, সেদিন স্বনির্ভর বাজারে পুলিশের উপস্থিতি ও নীরবতায় এই ঘটনা ঘটতে দেয়া হয়েছে। সেনাবাহিনীর তরফ থেকে এক লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে ক্ষতিগ্রস্থদের, তাতে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্থ বাঙালি দোকানদার ৮ হাজার টাকা পেয়েছে। যা তাদের ৮-৯ লাখ ক্ষতির কাছে খুবই অপ্রতুল।

৯। ঘটনাবলী সম্পর্কে জেলা প্রশাসকের বক্তব্য
জেলা প্রশাসকের সাথে আমরা এক ঘন্টার একটি মিটিং করেছি। এই মিটিং এ আমাদের পক্ষ থেকে বেশ কিছু প্রশ্ন ছিলো। আমরা তাকে ধর্ষণের ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ডিসচার্জ ফর্ম কেড়ে নেওয়া এবং মিডিয়ায় ভুক্তভোগীর নাম প্রকাশ ও ধর্ষণ পরীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি এই ব্যাপারে নিন্দা প্রকাশ করেছেন এবং দেখবেন জানিয়েছেন। তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনে সেনা মোতায়েন, ১৪৪ ধারা জারি করা কেন হয়েছিলো? তিনি উত্তরে জানান, “আর্মি এবং পুলিশ খাগড়াছড়িতে কোলাবরেটেভলিভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। ধর্ষণবিরোধী অবরোধের সময় পুলিশ নিজেই আর্মি রিকুইজিশন দিয়েছিলো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য”। ভুমি সমস্যার প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘এইটা দেশের টপ লেভেল, পলিসি লেভেল ইস্যু’। কিন্ত পাহাড়ি জাতিসত্তার ভুমির স্বকীয়তা বজায় রাখতে তারা একটা ডিজিটালাইজড উদ্যোগ নিয়েছে। আমাদের প্রতিনিধিদল প্রেরণের সংবাদ তাকে জানানো হয়েছিলো পূর্বে। এরফলে তার কাছে কোন একটি পক্ষ আমাদের আসার বিরোধিতা করে চিঠি দেয়। তিনি জানিয়েছিলে যে, আমাদের সেদিন ‘বিতর্কিতহীন অক্ষতভাবে ঢাকায় ফিরে যাওয়াটা চ্যালেঞ্জের’।

১০। ঘটনা সম্পর্কে সিভিল সার্জনের বক্তব্য
সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ২৪ তারিখেই ভুক্তভোগীর আলামত সংগ্রহ করা হয় (২৪ ঘন্টার মধ্যে)। এবং সিভিল সার্জনকে রেখে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়। এই কমিটিতে অন্যান্য দুইজন ছিলো ডাঃ জয়া চাকমা এবং ডাঃ নাহিদ। ডাঃ জয়া চাকমা জেন্ডার বেইজড ভায়োলেন্স সংক্রান্ত একজন মাস্টার ট্রেইনার বলে জানান সিভিল সার্জন। তিনি কিভাবে রেপ ভিকটিম হ্যান্ডেল করতে হয় তা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রশিক্ষিত এবং মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে অন্য গাইনোকোলজিস্ট ডাক্তারদেরকে প্রশিক্ষণ দেন। তিনি ২৫ তারিখের মধ্যেই রিপোর্ট সম্পন্ন করেন। কিন্ত কেন সেইটি প্রকাশ হতে ২৯ তারিখ লেগেছিলো সে ব্যাপারে সিভিল সার্জনের বক্তব্য হল এই যে, ডাঃ নাহিদের সন্তান অসুস্থ থাকার কারণে তিনি চট্টগ্রাম ছিলেন। তার সই ব্যতীত রিপোর্ট প্রকাশ করা যাচ্ছিলো না। ডাঃ নাহিদের সই নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ হতে ২৯ তারিখ পর্যন্ত সময় যায়।
এক্ষেত্রে ভুক্তভোগীর মামীর কথা উল্লেখযোগ্য। তিনি জানিয়েছেন, “যদি রিপোর্ট এ ধর্ষণের আলামত নাই পাওয়া যায়, নেগেটিভ ই আসে তবে সেইটা আগে প্রকাশ হলে এতোগুলো মানুষ মারা যেতো না”। কেবলমাত্র একজন ডাক্তারের পেশাদারিত্বের অভাবে এইটি যে ঘটেছে তা সিভিল সার্জনও স্বীকার করেছেন।

১১। ভাইবোনছড়ায় ত্রিপুরা ভুক্তভোগীর ধর্ষণের বিষয়ে সিভিল সার্জন অবগত নন
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে খাগড়াছড়িতে ভাইবোনছড়ায় ৮ম শ্রেণীর এক ত্রিপুরা মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। তার কোন মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়নি। ঢাকা থেকে প্রেরিত একটি নাগরিক দল পুলিশ সুপারকে অবগত করলেও এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরা মেয়েটির মেডিকেল টেস্ট করা হয়নি। এই প্রশ্নে সিভিল সার্জনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অবগত নয় জানান। এখানে ভুক্তভোগীর পরিবার ও একটিভিস্টদের সাথে আলাপে আমরা জেনেছি, পাহাড়ে আদিবাসী নারীর ধর্ষণের ঘটনায় সচরাচর মেডিকেল টেস্ট হয় না। খাগড়াছড়িতে এখন পর্যন্ত কোন ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস নেই। সিভিল সার্জন জানিয়েছেন নতুন বিল্ডিং হলে ওয়ান স্টপ সেন্টার স্থাপিত হবে। তিনি চেষ্টারত।

১২। খাগড়াছড়ি জেলা লিগ্যাল এইড
খাগড়াছড়ি জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারকে মারমা ভুক্তভোগির বিষয় নিয়ে আমরা সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি। কিন্ত তারা প্রথমে দেখা করতে চান নি। আমরা জোরপূর্বক সাক্ষাৎ করলে অবগত হই যে, খাগড়াছড়ি জেলা লিগ্যাল এইড নাকি মারমা ভুক্তভোগী এবং পূর্বোক্ত ত্রিপুরা ভুক্তভোগী কিশোরীর ধর্ষণের ঘটনা জানেন না। পরবর্তীতে আমাদের সাক্ষাতের ফলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন যে সবরকম আইনি সহায়তা তারা এই ঘটনা দুইটিতে দিবেন। পরবর্তীতে গত ১২ অক্টোবর তাদের মারফত আমরা জানতে পারি যে, খাগড়াছড়ি ন্যাশনাল লিগ্যাল এইড মারফত একজন আইনজীবী নিয়োগ হয়েছে এবং ভুক্তভোগীর সকল আইনি খরচ তারা বহন করবে। তবে এই বিষয়ে পুনর্বার ফলোআপের প্রয়োজন।

১৩। লাশ সৎকার নিয়ে হয়রানি, এবং পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি
২৮ সেপ্টেম্বর ধর্ষণবিরোধী সমাবেশে প্রথমার্ধে শান্তিপূর্ণ অবরোধ ছিলো। সেনাবাহিনী এই অবরোধ নিয়ে অবগত ছিলো এবং জুম্ম ছাত্র জনতার আন্দোলনকারীকে জানিয়েছিলো তাদের শান্তিপূর্ণ অবরোধে তারা কোন বাঁধা দিবে না। কিন্ত যখন অবরোধ শেষ হতে দেড় ঘন্টার মতো বাকি তখন হুট করে শান্তিপূর্ণ অবরোধ পালনকালেই সেনাবাহিনী অবরোধকারী ছাত্র জনতার ওপর বিনা উস্কানিতে হামলা চালালে ধাওয়া—পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এভাবে হামলার সূত্রপাত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীর মতে এলাকার পরিচিত সেটেলার বাহিনী লাঠি, দা নিয়ে মারামারি করতে আসে। সেদিন রামসু বাজারে সবাই দোকান বন্ধ রেখেছিলো। কিন্ত আক্রমণের সময়ে পাড়া বাঁচাতে মারমা সম্প্রদায়বাসী নেমে আসে। সেইসময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী গুলি ছুঁড়ে। এর ফলে তিনজন মারমা যুবক নিহত হন। তাদের নামঃ থোয়াইচিং মারমা (২৫), আখ্র মারমা (২৪) এবং আথুইপ্রম্ন মারমা (২৬)। এরমধ্যে থোয়াইচিং মারমার স্ত্রী ৬ মাসের গর্ভবতী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিহতদের গুলি ছোঁড়ার পরেও তারা জীবিত ছিলেন। কিন্ত এরপর এলাকার পরিচিত সেটেলার বাঙালীদের উপর্যুপরি মারধোর ও নিপীড়নের ফলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাদের মৃত্যু ঘটে। নিহত হবার পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে পরিবারের সদস্যদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে পোস্টমর্টেমের পর লাশের মুখ দেখতে দেওয়া হলেও পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়নি, বরং সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথবাহিনী নিজ উদ্যোগে মৃতদেহের সৎকার করে। এখন পর্যন্ত পরিবার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রাপ্ত হয়নি।

এই গুলির ঘটনায় ১৬ জন মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ আহত হন। তাদের খাগড়াছড়ি জেলা কমপ্লেক্সে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। উলাপ্রু নামক একজন মারমা ব্যক্তি আমাদেরকে তার গুলিবিদ্ধ পায়ের আহত স্থান প্রদর্শন করায়। গুইমারা একটি আশ্রয়কেন্দ্রের প্রধান ও বৌদ্ধ ভান্তে জ্যোতি ছড়া জানান, আশ্রম বানানোর জন্য ৬০-৭০ জন এলাকাবাসী কাজ করছিলেন সেদিন। রামসু বাজার প্রতিরক্ষার নিমিত্তে তারা কাজ ছেড়ে দৌড়ে যায়।

রামসু বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ অন্তত ৮৫টি দোকান ও বাড়ি, পাঁচটি এনজিও অফিস এবং একটি হলুদ গুদাম। স্থানীয় সূত্রের মতে, প্রাথমিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ কোটি টাকা। (প্রতিবেদন, ১ অক্টোবর ২০২৫)। রামসু বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে পাহাড়ি এবং বাঙ্গালিরা উভয়ই। জেলা প্রশাসক পরিদর্শন করে গিয়েছে। তবে এখনও নিহত পরিবার এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সহায়তা পায়নি।

১৪। গুইমারায় হতাহতের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামায় ৩০০ জন আসামী, মারমা সম্প্রদায় আতংকে
গুইমারার হতাহত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অজ্ঞাতনামায় ৩০০-৭০০ জন কে আসামী করা হয়েছে। তাই গণগ্রেফতারের ভয়ে আছে গুইমারার সিংগুলি পাড়ার সাধারণ মানুষ। তারা জানিয়েছে প্রতি রাতে ড্রোন উড়িয়ে তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। সেনাবাহিনীর ট্রুপ সন্ধ্যা হলেই টহল দিচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। আমরাও ফিরতি পথে সেনাবাহিনীর টহল গ্রুপ দেখেছি। রামসু বাজারে সেনাবাহিনীর ট্রুপ দেখেছি। পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা এবং ‘সাংবাদিকবেশী’ সন্দেহভাজন ব্যক্তিবর্গ রামসু বাজারকে ঘিরে রয়েছে প্রতিনিয়ত।

১৫। কতিপয় সংবাদমাধ্যমের মিথ্যাচার
গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি তদন্ত সেরে ফিরে আসার পর ১০ই অক্টোবর থেকে কতিপয় সংবাদমাধ্যম মিথ্যাচার করছে নানাবিধ সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে। তারা জানাচ্ছে আমাদের দলটি বাঙালি ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেনি। এর মধ্যে পাহাড়ের খবর, সাউথ এশিয়ান জার্নাল উল্লেখযোগ্য। অথচ সত্য হলো, আমরা স্বনির্ভর বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ৬টি বাঙালি দোকান এবং রামসু বাজারে ক্ষতিগ্রস্থ নোয়াখালি রুরাল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শন করেছি এবং বাঙালি ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলেছি। কিন্ত এই ধরণের সংবাদমাধ্যম ইচ্ছাকৃতভাবে মিথ্যা সংবাদ কেন প্রকাশ করছে তা নিয়ে আমরা সন্দিহান।

আমাদের দাবি:
১। অবিলম্বে খাগড়াছড়ির ধর্ষণ ভুক্তভোগী মারমা কিশোরীর ডিসচার্জ ফর্ম পরিবারকে দিতে হবে, বাকি দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে এবং ন্যায্যতা প্রাপ্তির লক্ষ্যে ডিএনএ টেস্ট করতে হবে। এ মামলা কোনভাবেই যাতে দীর্ঘসুত্রায়িত এবং প্রভাবিত না হয় সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। একইভাবে গত জুন মাসে ভাইবোনছড়ার ত্রিপুরা কিশোরীর ডিএনএ টেস্ট করানো এবং বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে স্বচ্ছ, প্রভাবমুক্ত, দ্রুততর বিচারকার্য চালাতে হবে। বর্তমান সংশোধিত নারী নির্যাতন দমন ২০০০ আইনের আওতায় ৯০ দিনের মধ্যে এই মামলার নিস্পত্তি আমরা দাবি করছি।
২। অবিলম্বে সংশোধিত নারী নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর আওতায় ভুক্তভোগীর পরিচয় প্রকাশের কারণে দায়ী টিভি চ্যানেলকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। কিভাবে মেডিকেল রিপোর্ট গণমাধ্যমের কাছে গেলো তা বাংলাদেশ পুলিশকে জনসম্মুখে তুলে ধরার দাবি জানাচ্ছি।
৩। গুইমারার হতাহতের ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
৪। গুইমারায় হতাহতের ঘটনার পোস্টমর্টেম রিপোর্ট অবিলম্বে প্রকাশ করতে হবে এবং লাশ সৎকার নিয়ে হয়রানি বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে।
৫। নিহত মারমা পরিবার, স্বনির্ভর বাজার, ইয়ংবোদ বৌদ্ধবিহার, রামসু বাজার, মহাজনপাড়াসহ সকল ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়ি এবং বাঙ্গালীদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
৬। নিহত মারমা পরিবারের গর্ভবতী নারীকে চিকিৎসার খরচ দিতে হবে।
৭। গুইমারার অধিবাসীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। গণগ্রেফতারের, মিথ্যা মামলা, হামলা, হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

পূর্ণাঙ্গ রিপোর্টটি পড়তে চাইলে ক্লিক করুনঃ
https://drive.google.com/file/d/1uDwGxmz_Ny4aWs1uC7UDVCFeAPtlK3hl/view?usp=sharing

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির এখতিয়ার সরকারের নাই"জুলাই জাতীয় সনদে সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়গুলো কার্যক...
30/10/2025

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারির এখতিয়ার সরকারের নাই

"জুলাই জাতীয় সনদে সন্নিবেশিত সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত বিষয়গুলো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সরকার ‘জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ-২০২৫’ শিরোনামে একটি আদেশ জারি করবে। এরূপ প্রস্তাবিত আদেশের একটি খসড়া সংযুক্তি-২ এবং সংযুক্তি-৩ এ সংযোজিত করা হয়েছে। সংবিধানের ১৫২ নম্বর অনুচ্ছেদের সংজ্ঞা অনুসারে ‘আদেশ’ আইনের মর্যাদাপ্রাপ্ত, অতএব সেটি জারি করা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সরকারের এমন আদেশ জারির এখতিয়ার নাই।"

বণিক বার্তা জানুয়ারি ২২, ২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের বরাত দিয়ে মেট্রোরেলে মানহ...
30/10/2025

বণিক বার্তা জানুয়ারি ২২, ২০২০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) যন্ত্রকৌশল বিভাগের বরাত দিয়ে মেট্রোরেলে মানহীন বিয়ারিং প্যাডের ব্যবহার নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ।

প্রতিবেদনে বলা হয় :
মেট্রোরেলের উড়ালপথ নির্মাণের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ ‘বিয়ারিং প্যাড’। বিশেষ ধরনের রাবার দিয়ে তৈরি এ প্যাড বসাতে হয় পিয়ার ও ভায়াডাক্টের (উড়ালপথ) সংযোগস্থলে। নির্মীয়মাণ উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেল প্রকল্পেও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে বুয়েটের ল্যাবে পরীক্ষা চালিয়ে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের দুটি প্যাকেজের জন্য আমদানি করা বিয়ারিং প্যাডের মান খারাপ পাওয়া গেছে। এসব বিয়ারিং প্যাড সরবরাহ করেছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইতাল-থাই।

মেট্রোরেলে ব্যবহারের আগে বুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগে এসব বিয়ারিং প্যাডের কারিগরি মান পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, একাধিক বিয়ারিং প্যাডের মান যথাযথ নয়। সম্প্রতি সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক সভায়ও বিষয়টি উঠে আসে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বলছে, বিয়ারিং প্যাড নিয়ে জটিলতার কারণে প্রকল্পের সময়ক্ষেপণ হয়েছে। পাশাপাশি এ কারণে বরাদ্দকৃত টাকার একটা অংশ অব্যবহূত থাকছে। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) চন্দন কুমার দে বণিক বার্তাকে বলেন, বিয়ারিং প্যাডের বিষয়টি নিয়ে আমরা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চেয়েছি। কোথায়, কবে, কয়টি বিয়ারিং প্যাড কারিগরি মান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তা জানতে চেয়েছি। পাশাপাশি মানহীন বিয়ারিং প্যাড সরবরাহের জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ আমাদের এসব প্রশ্নের উত্তর বিস্তারিতভাবে দেয়নি।

ঝাঁকুনি প্রতিরোধের পাশাপাশি সেতু বা ফ্লাইওভারকে টেকসই করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিয়ারিং প্যাড। দীর্ঘদিন ব্যবহারের কারণে সেতু বা ফ্লাইওভারের অবকাঠামোর যে ক্ষয় হয়, বিয়ারিং প্যাড সেটিকেও প্রতিরোধ করে। নির্মীয়মাণ মেট্রোরেলের গুরুত্বপূর্ণ এ উপকরণ মানহীন হলে তা গোটা অবকাঠামোটিকেই ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে বলে মনে করছেন বুয়েটের ব্যুরো অব রিসার্চ, টেস্টিং অ্যান্ড কনসালট্যান্টের (বিআরটিসি) পরিচালক ড. সামছুল হক।

বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, সেতু, ফ্লাইওভারের মতো অবকাঠামোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ এ বিয়ারিং প্যাড। এটির মান খারাপ হলে কাঠামোগত ত্রুটি দেখা দেবে। এর প্রভাবে চলাচলের সময় ঝাঁকুনি অনুভূত হতে পারে। এমনকি এটা পিয়ারের ফাউন্ডেশনেরও ক্ষতি সাধন করতে পারে। কিন্তু আমাদের দেশে এটি ব্যবহারের দিকে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয় না।

বনানী ফ্লাইওভারের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এ ফ্লাইওভার দিয়ে চলার সময় গাড়িগুলো অন্তত ১৮টি স্থানে ঝাঁকুনির মধ্যে পড়ছে। বিয়ারিং প্যাড কাজ না করার কারণেই সেখানে এমনটি হচ্ছে। মেট্রোরেলে নিম্নমানের প্যাড ব্যবহার হলে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হবে। পাশাপাশি অবকাঠামোরও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি হতে পারে।

নির্দিষ্ট সময় পরপর বিয়ারিং প্যাড বদলানোর নিয়ম রয়েছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এর একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ থাকে। মেয়াদ শেষ হলে সেটি বদলে নতুন প্যাড বসাতে হয়। কিন্তু আমাদের এখানে এ চর্চা নেই বললেই চলে।

30/10/2025

বর্মাছড়ি আর্য কল্যাণ বন বিহারের মহা সংঘদান অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ডঃ জিনবোধী ভান্তের স্বদর্ম দেশনা Highlights

লক্ষীছড়ির বর্মাছড়ি আর্য কল্যান বনবিহারে বর্মাছড়ি সত্তা এলাকার সর্বস্তরের শ্রদ্ধাবান দায়ক-দায়িকার উদ্যোগে প্রথম বারের মত ...
29/10/2025

লক্ষীছড়ির বর্মাছড়ি আর্য কল্যান বনবিহারে বর্মাছড়ি সত্তা এলাকার সর্বস্তরের শ্রদ্ধাবান দায়ক-দায়িকার উদ্যোগে প্রথম বারের মত মহা সংঘদান উপলক্ষে মহতী পূণ্যানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর ২০২৫) আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি রয়েল চাকমার সঞ্চালনায় দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথম পর্ব শুরু হয় সকাল ৯টায় ও দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয় বেলা ১:০০টায়।

প্রথম পর্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আর্য কল্যাণ বন বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি কপিল সেন চাকমা। দ্বিতীয় পর্বে বক্তব্য রাখেন ফটিকছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান উষাতন চাকমা।

অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা প্রদান করেন বিশুদ্ধানন্দ মহাস্থবিব, ড. জিনবোধি মহাথের ও মানিকছড়ি উপজেলা থেকে আগত এক মারমা ভান্তে।



#পূণ্যানুষ্ঠান #বর্মাছড়ি #লক্ষীছড়ি #খাগড়াছড়ি

29/10/2025

সাজেকের ভূয়োছড়িতে সেনা সদস্য কর্তৃক যৌন নিপীড়নের শিকার নারীর ঘটনা বর্ণনা Highlights

“লোকে কী বলবে?” — এক অর্থহীন প্রতিধ্বনি...লোকে কী বলবে?এই শব্দটা যেন জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কানে ঢুকে যায়,আর মরে গেলেও কবর ...
28/10/2025

“লোকে কী বলবে?” — এক অর্থহীন প্রতিধ্বনি...

লোকে কী বলবে?
এই শব্দটা যেন জন্মের সঙ্গে সঙ্গে কানে ঢুকে যায়,
আর মরে গেলেও কবর পর্যন্ত পিছু ছাড়ে না।

জীবিত অবস্থায় আমরা হাঁটছি, হাসছি, ভালোবাসছি,
কিন্তু মনের ভেতর একটা অদৃশ্য চোখ—
যে সারাক্ষণ প্রশ্ন ছোঁড়ে,
“লোকে কী বলবে?”

মৃত্যুর পরও সেই চোখ থামে না।
লোকেরা তখনও বলে—
তোমার পোশাক নিয়ে, তোমার পছন্দ নিয়ে,
তুমি কেমন মানুষ ছিলে, সেটা নিয়েও।

অদ্ভুত না?
আমরা জীবনটা কাটিয়ে দিই তাদের ভাবনার ভয়ে,
যারা নিজেদের জীবন নিয়েই বোধহয় ভাবার সময় পায় না।

এই “লোকে কী বলবে” আসলে কোনো প্রশ্ন নয়—
এটা এক মানসিক রোগ,
যার কোনো ওষুধ নেই, কোনো ডাক্তারও না।
আর “লোক” হলো এমন এক ভাইরাস,
যার সংক্রমণ আমরা নিজের হাতে ছড়াই প্রতিদিন—
পরের জীবন নিয়ে ফিসফাস করে,
আর নিজের হাসিখুশি জীবনটা'ই যেনো হারিয়ে ফেলি।

লোকটা কে জানো?
আমি, তুমি, আমরা সবাই।
আমাদের পরিবার, আমাদের বন্ধুবৃত্ত,
আর সেই চিরপরিচিত "পাশের বাড়ির আন্টি"।

তাই পরিবর্তন শুরু হোক এখান থেকেই—
তোমার আমার ভেতর থেকে।
না পারলে অন্তত একটুকরো সাহস রাখো,
এই "লোকে কি বলবে" শব্দকে উপেক্ষা করার।

কারণ জীবন তো একটাই,
আর “লোকে কী বলবে”—
তা কোনোদিনই থামবে না।

#সংগৃহীত

Address

Village: Kutubchari Para, 3 No Barmachari Up, Lokkhichari
Khagrachari

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Tapan Chakma Story posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Tapan Chakma Story:

Share