27/02/2025
রিভার ওয়ে এ শর্ট ট্রীপ ................................
পড়ন্ত বিকেল, বন্ধু আমার বাড়িতে এসে যায়। অনেক দিন পর, যদি ও একসাথে কলেজে পড়ার সময় পাশাপাশি দুটি বাসায়।কি যে খুশি আজ আমার মন। গল্প গুজব তো অনেক হলো আর ঘোরাঘুরি। তারপর সে চলে যাবে, বলে কি চলো আজ তুই ও যাবি। অনেক আবদার,বাবা মাকে ও জানিয়ে দিল। যদিও সেকেন্ড ইয়ার চলমান ছিল। নাছোড়বান্দা বন্ধু যেতে যে হবে। ঠিক তাই হলো, গেলাম।সে থাকত বড় ভাইয়ের বাড়িতে,বড় ভাই আর ভাবী সহজ সরল সত্যিই।ঐ দিন আর ঘোরাঘুরি হলো তার গ্রামে কারণ সন্ধ্যা নিকটবর্তী। পরেরদিন তার গ্রামের বন্ধুবান্ধবের কাছে নিয়ে গেল পরিচয় করালো আমায়।বেশ আড্ডায় জমে গেছি। খাওয়া দাওয়া তো মোটামুটি হয়েছে। ঠিক সন্ধ্যে বেলায় চট্টগ্রামে থাকা আরেক বন্ধুর মামা সতীর্থ সহ হাজির। সাথে এনেছেন একটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। উনার ভাগ্নে সহ সবাইকে দেখালেন,কেউ ইচ্ছুক থাকলে বলতে পারেন ও জানিয়ে দিলেন। আমরা দুই বন্ধু চলে গেলাম আর রাতে দুজনে আলাপ আলোচনা করলাম, কেমন হবে!!
এটুকুই রাত ফুরিয়ে সকালে আগের মতো উপস্থিত হলাম কয়েক জন মিলে। এই সবাই আগ্রহ করছে সাথে আমরা দুই জন, মোটমাট আটজন। আমি মনে মনে খুশি হলাম এই ভেবে যে আমি তখনও চট্টগ্রামে যায়নি। এখন রেডি তো হতে হবে তাইনা!!
সময় বেশি নয় মাত্র তিন দিন, তাতে যেতে চাইলে পয়সা কড়ি জোগাড় করতে তো হবেই হবে। বন্ধুকে বিদায় জানিয়ে বিকেলে বাড়িতে এসে গেলাম। অভাবের টানপোড়েনের সময় তবুও কোনমতে টাকা জোগাড় হলো।
যাবার সময় উপস্থিত সকলে গাড়ির অপেক্ষায় আছি, গাড়ি এসে গেল, সোজা খাগড়াছড়ি। এবার শান্তি কাউন্টারে গাড়ির টিকিট নিলাম। বিকাল ৪:৩০ এর মাঝামাঝি সময়ে চট্টগ্রামে পৌঁছলাম। তারপর আবার লোকাল বাসে চড়ে আগ্রাবাদ। হাল্কা জলপান করে বোর্ডিংয়ে আশ্রয় নিলাম সবাই। রাতে জমজম হোটেলে খাওয়া ছেড়ে নিলাম। এবার ক্লান্ত দেহে শুধু ঘুম আর ঘুম প্রশান্তি।
তারপর............❤️