16/10/2025
বাংলাদেশ পুলিশ: সমালোচনা, ত্যাগ ও সেবার মহৎ অঙ্গীকার
বাংলাদেশ পুলিশ—একটি বাহিনী, যার নাম শুনলেই জনমানসে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একদিকে যেমন এর বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি আর অন্যায়ের অভিযোগ ওঠে, তেমনি অন্য পিঠে লুকিয়ে থাকে এক কঠিন বাস্তবতা, যা সাধারণত উপেক্ষিত থেকে যায়।
ঘুষ নেওয়া এটা সম্পূর্ণ একজন ব্যাক্তির উপর নির্ভর করে।। পুরো বাহিনীর উপর নয়। এমন লাখ লাখ মানুষ পুলিশে রয়েছে যারা ঘুষ খায় না
পুলিশের কাজকে প্রায়শই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়, অথচ দেশের অন্য কোনো পেশায় এমন চরম ত্যাগের দৃষ্টান্ত সহজে মেলে না। এই বাহিনীতে নেই কোনো নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা। দিন হোক বা রাত, ঝড় হোক বা বন্যা, হরতাল হোক বা উৎসব—দেশের নিরাপত্তার প্রয়োজনে তাদের ডিউটি শুরু হয়, কিন্তু শেষ হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট সময় থাকে না। সাধারণ সরকারি কর্মচারীরা যেখানে নিয়মিত ছুটি ভোগ করেন, সেখানে পুলিশ সদস্যদের জন্য ছুটি যেন এক বিলাসী স্বপ্ন।
অতুলনীয় কর্মঘণ্টা, নিরন্তর মানসিক চাপ এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও তাদের বেতন কাঠামো প্রায়শই তাদের ত্যাগের তুলনায় অনেক কম। এর চেয়েও কষ্টের বিষয় হলো, এত ত্যাগের বিনিময়েও তারা জনগণের কাছ থেকে সম্মান কম এবং গালি ও তীব্র সমালোচনা বেশি পান। সমাজের একটি অংশের ভুল কাজের দায়ভার বহন করতে হয় গোটা বাহিনীকে।
তবে এই সবকিছুর ঊর্ধ্বে একটি গভীর সত্য লুকিয়ে আছে: পুলিশের চাকরি হলো জনগণের সেবা করার এক মহৎ সুযোগ। এই পেশার মাধ্যমেই সরাসরি মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়ানো যায়, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এটি এমন একটি পেশা, যেখানে সামান্য ভালো কাজও হাজারো মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে পারে।
আসুন, সমালোচনার আগে একবার ভাবি—এই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখেও যারা প্রতিদিন নিজেদের জীবন বাজি রেখে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছেন, তাদের ত্যাগ ও নিরলস সেবার মনোভাবকে অন্তত একবার হলেও সম্মান জানানো উচিত। তাদের কাজের মূল্যায়ন হোক; সমালোচনা নয়, বরং গঠনমূলক পরামর্শ ও শ্রদ্ধাই তাদের মনোবল বাড়াতে পারে।
আমি গর্বিত বাংলাদেশ পুলিশ এর একজন সদস্য হয়ে।।।
যারা আমার বাহিনী এবং আমাকে নিয়ে নোংরা কথা বলবে তাদের কখনো কোন ক্ষমা নেই সে আমার যতই কাছের মানুষ হোক