22/10/2025
২০০১ সালে বিএনপি জোট সরকার ক্ষমতায় এসেছিলো। বিএনপি ১৯৩ টি আসন পেয়েছিলো। বিএনপি সরকার গঠন করার পর যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার বাংলাদেশে আসেন।প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার খালেদা জিয়ার সাথে বৈঠক করেন। খালেদা জিয়াকে অনুরোধ করেন আফগানিস্থানে সৈন্য মোতায়েনের জন্য। বেগম খালেদা জিয়াকে বিশাল আর্থিক সহায়তার কথা ও বলেছেন।
কিন্তু খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেন। খালেদা জিয়া জানিয়ে দিলেন বাংলাদেশ শুধুমাত্র জাতিসংঘের অধীনে শান্তিরক্ষা মিশনে সৈন্য পাঠাতে পারে,ন্যাটোর অধীনে নয়। বাংলাদেশ অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার সহযোগী দেশ গুলোর সাথে তালেবানদের ২০ বছর যুদ্ধ হয়। ২০ বছর পর মার্কিনরা আফগানিস্তান ছেড়ে যায়। ২০ বছরে এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বিলিয়ন ডলার ব্যায় হয়।
বেগম খালেদা জিয়া কে অনুরোধ করার পরেও এই যুদ্ধে ন্যাটের পক্ষে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী পাঠায় নাই। বেগম জিয়ার দূরদর্শিতা দেখুন। বেগম জিয়া ২০ বছর আগেই বুঝেছিলো। সেই জন্য বাংলাদেশের সেরাবাহিনী পাঠায় নাই। আমোরিকা ও তার সহযোগিরা ঠিক পরাজিত হয়ে আফগান ছেড়েছে।
বেগম খালেদা জিয়া ঐ দিন যদি রাজি হয়ে যেতেন,হয়তো ১/১১ মত ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু বেগম জিয়া কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেনি। আমোরিকা ও আফগান যুদ্ধে আমোরিকার পক্ষে যায়নি।
২০০১ সালে বেগম জিয়ার সরকারে জামাত ও ছিলো। এই জামাত বর্তমানে বিএনপি কে ইসলাম বিদ্বেষী বলে!! কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার ঐ সিদ্ধান্তের কারনে হাজার হাজার হ**ত্যা বাংলাদেশের সেনাবাহিনী কে বা বাংলাদেশ কে উনি জড়াইনি।
বেগম খালেদা জিয়ার প্রজ্ঞা দেখুন,বিচক্ষণতা দেখুন।
আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
© Mohammed Fahad