27/05/2025
~তোমাকে যা কিছু বলতে ইচ্ছা করে, তা এখন আর তোমাকে বলি না। ডায়েরির পাতায় নোটপ্যাডে, সেই সব কথাদের জমা করে রাখি। কখনো বা তোমার ইনবক্সে লিখে আবার ব্যাকস্পেসে মুছে ফেলি সব। কী লাভ তোমাকে জানিয়ে? তুমি বুঝবে সে সব শব্দের লুকায়িত আর্তনাদ। তুমি কী কখনো খুজবে সে সব কথার মানে। রাত জাগার গল্প, তুমিহীন বিষন্নতার গান। জানি এইসব কথাদের কোন মানে হয় না, কোন মানে হয়না তোমার জন্য কষ্ট পাওয়া আমার অনূভুতিদের। সেটা আমি বুঝি টের পায়। কী বিধ্বস্ত এক অনূভুতি অথচ কী নির্মম সত্যি, তাই না বলো।
বাংলায় কিছু শব্দ আছে জানো, খুব গভীর যেমন মায়া, পিছুটান কিংবা অপেক্ষা। কত মানুষ আছে ঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে করতে ঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারে না। সেসবে আমাকে খুব ভোগাই।আমার মাঝে মাঝে মনে হয় তোমাকে আর কষ্ট না দিয়ে আমার ভুলে যাওয়া উচিত কিন্তু তোমার সাথে চলা সেই পথ আর ভুলতে পারি কই, তোমার আঁকা সেই ছবির দিকে না চেয়ে থাকতে পারি কই, তোমার জন্য লিখতে থাকা সেই লাইন গুলো বন্ধ করি কই, জ্বরের ঘোরে তোমার নাম আর ভুলতে পারি কই।
জানো, আমার এ শহর বড় নিষ্ঠুর, একাকী। বৃষ্টি নামলে যেন আরো একটু বেশিই নিষ্ঠুর হয়ে যায়। আলো-আঁধারির মাঝে ভিজে রাস্তায় আমার আশেপাশে ভেসে বেড়ায় তোমার সৃতি। আমি হাত বাড়াই, ভাবি হয়তো বৃষ্টির ফোঁটার সাথে ছোঁয়া পাবো তোমার কিন্তু না, ধরাছোঁয়ার বাইরে তুমিটাকে আর ছুঁতে পায় না, দেখা হয় না সুনয়না দুটি চোখকে।
~নৈঃশব্দ্য কবিয়াল