Live in Canada

Live in Canada আমি কাজী হালিমা আফরীন। আমার কানাডিয়ান জীবনের অভিজ্ঞতা ও অন্যান্য বিষয় আপনাদের জন্য শেয়ার করি।

বড়োই চিন্তার কথা!আমি কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। হেডিংটা ছিল কানাডায় আসার আগে ভাবুন। সেই পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম অ...
22/08/2025

বড়োই চিন্তার কথা!

আমি কয়েক দিন আগে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম।

হেডিংটা ছিল কানাডায় আসার আগে ভাবুন। সেই পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম অনেকেই কানাডায় আসার পর চাকরি মেনেজ করতে পারেন না বা কষ্ট হয়। এইসব ছিল আরকি।

সেই পোস্টে এক মূর্খ এসে সরাসরি তুই দিয়ে স্টার্ট করে কমেন্টে লিখলেন, "কানাডা অনেক ভালো দেশ তুই হিংসুক তাই চাস না আর কোন বাংলাদেশই আসুক"। হুবহু এইটা ওনার কমেন্ট ছিল।

আমিও তাঁকে কড়া একটা জবাব দিয়েছিলাম। ফলে এক পর্যায়ে আমি তাঁকে ব্লক করে দিয়েছি।

কানাডার বাস্তবতা মানে যোগ্য-অযোগ্যরা চাকরি খুঁজে পান না ইত্যাদি নিয়ে লিখলে একদল আসেন ঐরকম ভাষায় গালি দিতে।
আবার কানাডার যেসব ফেডারেল সুবিধা আছে সেগুলো যদি জানাই কারোর জানার জন্য আরেকদল এসে গালি দেয়।

আসল কথাটা হলো, কানাডায় সুবিধা-অসুবিধা দুটোই আছে। যেমন পৃথিবীর সব দেশেই থাকে। অনেকেই অভিযোগ করেন যে অনেকেই নাকি ভাবেন কানাডায় আসলে কিচ্ছু করা লাগবে না।
কানাডার সরকার নাকি তাদের সবকিছু করে দেবেন।

এই কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। সরকারের বেনিফিটস যাদের ইনকাম নেই বা কম তাদের জন্য। তারাই সব ধরণের সুবিধা পান। আর আমরা যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সারা জীবন চাকরি করে যাচ্ছি আমরা কিন্তু এ টু জেট সুবিধা পাই না। কিছু কিছু পাওয়া যায় যেমন OHIP বা হেল্থ বেনিফিটটা। অথচ আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিমাসে সরকারের ট্যাক্স পে করি $1,040 CAD। আর আমার হাসবেন্ডও এর চেয়ে বেশি।

সুতরাং কানাডায় যারা চাকরি করেন বা মোটামুটি ভালো আছেন তাদের সবাইকেই সরকারকে ট্যাক্স দিতে হয়। অনেক কষ্ট করতে হয়।

সবাইকেই কষ্ট করতে হয়।

এখন আসেন বাস্তব একটা উদাহরণ শোনেন:

গতকাল আমার হাসবেন্ড আমাদের বাড়ির পাশের মসজিদে যখন যোহরের নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন, তখন সেইসময় একটা জানাযার নামাজের আয়োজন হয়।

একজন বাঙালির লা* শ ছিল ওটা। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তো জানাযা শেষে হুজুর ঘোষণা দিলেন যে যদি কেউ এই ব্যক্তির কাছে কিছু দেনা পান বলুন, বা কোনো দুঃখ পেয়ে থাকেন তাহলে ক্ষমা করুন।

তখন আরেকজন বাঙালি দাঁড়িয়ে বললেন, আমি এখন খুবই কষ্ট পাইতেছি যে, গত বছর এই ছেলেটা আমার কাছে সাহায্য চেয়েছিল কিন্তু সেটা আমার ক্ষমতা বাইরে ছিল। এখন আমি খুবই কষ্ট পাচ্ছি সাহায্য করতে না পারার জন্য। তিনি বলেছেন, এই ছেলেটা নাকি খুই মেন্টাল স্ট্রেসে ছিলেন।

গতকালকে যাঁর লা*শ জানাযা হলো তিনি একজন বাঙালি যার বয়স চল্লিশ বছর। তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছিলেন কানাডায় গত বছর।

ইনি কী ভিসায় এসেছিলেন বা কীভাবে কী করেছেন এসব কিছুই জানাযায় আলোচনা হয় নি।

যেহেতু তিনি গত বছর এসেছিলেন এবং খুবই মেন্টাল স্ট্রেসে ছিলেন তাতে ধারণা করাই যায় হয়তো আসার পর এ্যাসাইলাম সিক করতেও পারেন। ইমিগ্রান্ট হবেন সেটাও শিওর না। কীভাবে মা*রা গেলেন তাও সঠিক জানি না। অনেকে হয়তো জানেন বা বলতে পারবেন।

তবে এটা তো শিওর জীবনযুদ্ধে পরাজিত এক সৈনিক হতে হয়েছে তাঁকে। আজ তাঁর লা*শটা পর্যন্ত বাংলাদেশে যাচ্ছে না। কীভাবে যাবে? অনেক খরচ তো। আবার এখানে যে দাফন হচ্ছে তার ও অনেক খরচ। সেসব নাকি বাঙালি কমিউনিটিরা জোগাড় করেছেন বা করতেছেন।

যিনি চলে গেছেন তো গেছেনই। তিনি আর ফিরতে পারবেন না।

এই যাওয়ার আগে তাঁর কি কোনো ভুল ছিল সিদ্ধান্তে?

হতে পারে। আমি জানি না তিনি কোন ভিসায় বা কীভাবে এসেছেন। যদি ধরেন সবার মতো তিনি ভিজিট ভিসায় এসে এ্যাসাইলাম সিক করেছেন। তাহলে তো তাঁর এটাই ভুল ছিল শুরুতেই। আসার বিমানের খরচ থেকে শুরু করে দালালের টাকা, এখানে এ্যাসাইলাম আবেদন করতে যে উকিল নামের দালাল থাকেন তাদের টাকা, আছে প্রতিটা পদক্ষেপেই খরচ। করতে হয়েছে অনেক টাকা ব্যয়।

এখানেই তো শেষ না। বাড়ি থেকে আসার সময় এত্তগুলো টাকা মেনেজ করেছিলেন সেগুলোও তো হয়তো ধার-দেনা করতে হয়েছে। জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এখন উনি মা*রা গেছেন দেশে রেখে আসা পরিবারের কী হবে? ঐসব দেনা কে শোধ করবে? ঐত্তগুলো টাকা দিয়ে কি দেশে কিছু করা যাইতো না। গ্রামে কিছু হইত না?

এখন তো ঐ হিংসুক বলা ব্যক্তির মতো কেউ কেউ আমাকে বলতে আসবেন, আপনি চান না কেউ আসুক। আসুন। কে নিষেধ করেছে আসতে? এসে এভাবে মরবেন তাও কেউ একটু পরামর্শ দিলে তাকে নগ্ন ভাষায় গালি দেবেন।

টরন্টোর যে মেয়র অলিভিয়া সে তো এক যন্ত্রণার কারণ হয়ে গেছেন। এই অলিভিয়াকে বাঙালিরাই কিন্তু জেতায়ছেন। এখন বাঙালিরা বুঝবেন মজা। এই অলিভিয়া কথায় কথায় প্রোপার্টি ট্যাক্স বাড়ায় দেন। কিছুদিন আগে প্রোপার্টি ট্যাক্স বাড়ায়ছেন। আবার গতকাল ঘোষণা দিয়েছেন যে এ্যাসাইলামদের টানতে গিয়ে $107 মিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার ঘাটতি পড়েছে।

অলিভিয়া কার্নির কাছে এই অর্থ চেয়েছেন। আর যদি কার্নি না দেন তাহলে অলিভিয়া আবারো একটা বিগ সাইজ প্রোপার্টি ট্যাক্স বাড়িয়ে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। হইছে তো? অলিভিয়াকে বাঙালিরা তো জিতিয়ে আনলেন। অথচ ডাগ ফোর্ডের ভাই রোব ফোর্ড যখন ছিলেন তিনি কখনোই এইসব বাড়াতেন না।

আর এদিকে ডাগ ফোর্ড বলেছেন, এ্যাসাইলামদের কেন হোটেলে বসিয়ে খায়াচ্ছো? তাদের এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ওয়ার্ক পারমিট দিয়ে দাও তারা কাজ করে খাবেন।

যাই হোক, কানাডায় আসার আগে ভাবুন। আপনি কতোটুকু স্ট্রেস নিতে পারবেন। কীভাবে নিজেকে দক্ষ বানাবেন কাজে টিকে থাকতে।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

আগস্ট ২২, ২০২৫

আমার এক প্রিয় বান্ধবী তার নাম হলো বকুল। সে অতীতের স্মৃতি তুলে ধরে কিছু পুরোনো ফটোকে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছিল কয়দিন আগে। ...
21/08/2025

আমার এক প্রিয় বান্ধবী তার নাম হলো বকুল। সে অতীতের স্মৃতি তুলে ধরে কিছু পুরোনো ফটোকে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়েছিল কয়দিন আগে। কারণ, তার কাছে ফোনের মধ্যে সফট কপি নেই। তাই ফটোর ওপরে ফটো তুলেছে।

আমরা তখন হোম ইকোনোমিক্সে অনার্স পড়তাম। বেশ কয়জন ছিলাম আমরা খুব লাগোয়া। সব সময় এক সঙ্গে মিশতাম, বসতাম, সিদ্ধান্ত নিতাম অনেক কিছু। আমাদের একটা গ্রুপ ছিল আরকি।

সেই জীবনের ছুটি। সবাই দেশেই থাকে এই গ্রুপটার শুধু আমি অন্য দেশে।

বকুল খুবই আন্তরিক। সে সব সময় মনে রাখতে চায় বান্ধবীদের, ফেসবুকে পুরোনো ছবি দিয়ে স্মৃতির পাতা ভাসমান রাখতে চায়। জাগিয়ে রাখতে চায় অতীতকে।

ছবিতে আপনারা পাঁচজনকে দেখতেছেন। আমিও আছি। কোনটা আমি আপনারাই বের করে নেবেন।

বাকিরা সবাই খুব ভালো প্রফেশনে আছে দেশে। তাদের স্বামীরাও খুব ভালো পজিশনে আছেন।

যাই হোক, এই ছবিতে সবাইকে যেমনটা দেখা যাচ্ছে এখন পাল্টে গেছে কিছুটা অবয়ব বা শারীরিক কাঠামো। তবে চেহারায় আমূল কোনো পরিবর্তন নেই কারোর।

যে কারোর অতীত স্মৃতিগুলো মনকে কীভাবে নাড়া দেয় ভাবুন! যেকোনো স্মৃতির জগতে ঢুকে পড়লে শুধু চলতেই থাকে স্মৃতি রোমন্থন বা পুরোনো দিনের অনেক ঘটনার পুনরায় চর্বণ, জাবর কাটা।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

21/08/2025

জীবনে আর যাই করেন টেকনিক‍্যাল বিষয়ে জ্ঞানার্জন ও নিজের দক্ষতা বাড়ান। সেই সঙ্গে নিজের বুদ্ধিও বাড়াতে হবে। তাহলে জীবনযুদ্ধে অনেক সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন । মানুষ আপনার ভুল খোঁজার জন্য রেডি আছে ।

পৃথিবীতে দেখবেন, নিজের দোষটা অনেকেই স্বীকার না করে অন‍্যকে সেই দোষের দোসর বানিয়ে দেয়। নিজের দোষ প্রকাশ করে না, কিন্তু আপ...
20/08/2025

পৃথিবীতে দেখবেন, নিজের দোষটা অনেকেই স্বীকার না করে অন‍্যকে সেই দোষের দোসর বানিয়ে দেয়। নিজের দোষ প্রকাশ করে না, কিন্তু আপনি করলে আপনার নাম ধরে বলে দেবে। আপনার নামে অন‍্যর কাছে লাগাবে।

আপনি দোষী না হলে আপনার মনে সাহস থাকবে নিজের অবস্থান তুলে ধরার। তাই সব সময় সতর্ক থাকতে হবে কোনো দোষের কিছু না করা। আর নির্দোষ হলে কখনোই নিজেকে দোষী বলে মেনে নেবেন না।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা

20/08/2025

কতো সুন্দর শিক্ষা! অপরিচিত কাউকে দেখলে তারা মনে করে তারা এদের ক্ষতি করবে। সবকিছুই বুঝতে পারে। তাদের মালিক কারোর সঙ্গে কথা বললে এরা ভেবে নেয় তারা পরিবারের মানুষ ।

নিউইর্য়কের সেই বাঙালি পুলিশ অফিসার দিদারুলের তৃতীয় ছেলে সন্তান হয়েছে । আলহামদুলিল্লাহ! কয়েকদিন আগেই তার বাবাকে পৃথিবীতে...
20/08/2025

নিউইর্য়কের সেই বাঙালি পুলিশ অফিসার দিদারুলের তৃতীয় ছেলে সন্তান হয়েছে । আলহামদুলিল্লাহ! কয়েকদিন আগেই তার বাবাকে পৃথিবীতে থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। এটাই আল্লাহর বিধান লেখা ছিল। আল্লাহই ঐ পরিবারকে সহ‍্য করার ক্ষমতাও দিয়ে দেবেন। এটাও আল্লাহর বিধান । সবকিছু মেনে নেওয়া হলো ঈমানের পরীক্ষা ।

“নিউ ইয়র্কে ভয়াবহ গণগুলি ঘটনায় নিহত এনওয়াইপিডি কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামের পরিবারে এসেছে নতুন অতিথি। নিহত কর্মকর্তার স্ত্রী জামিলা আক্তার তৃতীয় সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে আরহাম, যার অর্থ আরবি ভাষায় “সবচেয়ে দয়ালু।”

রবিবার রাতে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালে শিশুটির জন্ম হয়। নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “গতকাল হাসপাতালে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছি। তখন মা প্রসব বেদনায় ছিলেন। আজ আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, তিনি এক সুস্থ ও সুন্দর সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।”

মেয়র অ্যাডামস বলেন, “আমরা চাই শিশুরা জানুক, ঈশ্বর রহস্যময়ভাবে কাজ করেন। দিদার ও তার পরিবার কেবল এনওয়াইপিডির নয়, সমগ্র নিউ ইয়র্ক সিটির পরিবার।” তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, শহর প্রশাসন এই পরিবারকে সবসময় পাশে রাখবে।

এনওয়াইপিডি কমিশনার জেসিকা টিশ আবেগঘন এক্স পোস্টে লেখেন, “দুঃখ আর শোকের মাঝেও নতুন জীবন পৃথিবীতে এসেছে। আহিয়ান, আজান এবং আরহাম—তারা একসঙ্গে তাদের বাবার সাহস, দায়িত্ববোধ ও সেবার উত্তরাধিকার বহন করবে। দিদারুলের পরিবার সবসময় এনওয়াইপিডির অংশ হয়ে থাকবে।” কমিশনার টিশ শিশুটির ছবি এবং তার দুই বড় ভাই আহিয়ান (৭) ও আজানকে (৫) নিয়ে শেয়ার করা আনন্দঘন মুহূর্ত তুলে ধরেন।

৩৬ বছর বয়সী দিদারুল ইসলাম গত ২৮ জুলাই ম্যানহাটনের ৩৪৫ পার্ক অ্যাভিনিউতে এনএফএল সদর দপ্তরের ভবনে অনুমোদিত নিরাপত্তা দায়িত্ব পালন করছিলেন। এসময় ২৭ বছর বয়সী বন্দুকধারী শেইন তামুরা এআর-১৫ রাইফেল নিয়ে ভবনের লবিতে প্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি চালায়। নিহত হন দিদারুল ইসলামসহ চারজন। পরে বন্দুকধারী নিজেও আত্মহত্যা করে।” নিউজ ও ছবি সোশ‍্যাল মিডিয়া।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা

ছবিতে যাদের দেখছেন তারা হলো নানি ও নাতনী। নানির বয়স হলো ১০৬ বছর। নাতনী তাঁকে টেককেয়ার করে। তো কয়েকদিন আগে নাতনী তার নানি...
20/08/2025

ছবিতে যাদের দেখছেন তারা হলো নানি ও নাতনী। নানির বয়স হলো ১০৬ বছর। নাতনী তাঁকে টেককেয়ার করে। তো কয়েকদিন আগে নাতনী তার নানিকে একটা ইনডোর পার্কে নিয়ে আসে ঘুরতে, বিভিন্ন রাইডে চড়াতে। ঠিক যেন ছোট একটা শিশুর মতো।

নাতনী আমাকে রিকোয়েস্ট করে তাদের যেন আমি কিছু ফটো ও ভিডিও করে দিই।

আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ারের জন্য ফটো তুলতে চাইলে নাতনী ভীষণ খুশি হয় ও নানিকে নিয়ে বিভিন্নভাবে পোজ দিয়ে দাঁড়ায়। বলে অবশ্যই তুমি শেয়ার করবা তোমার বন্ধুদের সঙ্গে।

নানি পাকা ১০৬ বছর বয়স। দিব্যি তিনি হেঁটে হেঁটে পার্কে ঘুরতেছিলেন ও বিভিন্ন রাইডে উঠতেছিলেন। এতটুকু পর্যন্ত তাঁর হুঁশ বেহুঁশ হয় নি। তিনি কোনো হুইল চেয়ারে বসেন নি। নানি অনেকটাই সুস্থ শরীরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন এই বয়সে যা দেখলে অনেক অবাক হতে হয়। আমার মনে হলো নানির খুব শক্ত মনোবল এখনো অটুট আছে।

এমনকি ছবিটা ভালো করে দেখেন নানির কানে কানের দুল আছে। আমি তো কানের দুল দেওয়ারই সময় বা যে একটা উইশ থাকে সেটাই পাই না বেশিরভাগ সময়।

আল্লাহ কাকে কতোদিন বাঁচিয়ে রাখবেন সেটা সম্পূর্ণ আল্লাহর হাতে। আর মনোবল ধরে রাখাটা হলো অনেক শক্ত একটা ব্যাপার।

আমরা এ বয়সে নানির মতো শক্ত মনোবল ধরে রাখতে পারি না। অল্প কিছুতেই আমরা ভেঙ্গে পড়ি। শারীরিকভাবে শক্তি পাই না।

১০৬ বছর পর্যন্ত সুস্থভাবে বেঁচে থাকার কল্পনাও আমরা করতে পারি না স্বাভাবিকভাবে যদি কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।

আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি অন্তত ছেলেমেয়েদের একটা নিজেদের চলার ক্ষমতাটা হোক। তারপর যা হওয়ার তাই হবে।

আমার মা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখো ততদিন, যতদিন আমার ছোট মেয়েটা নিজে চলতে পারে।' আমি ছিলাম সেই ছোট মেয়ে।

সেই আমি বড়ো হয়েছিলাম। পড়াশোনা শেষ করেছিলাম। বিয়ে হয়েছে। তারপর কানাডায় পাড়ি জমিয়েছি। তারপর আমার তিনজন বাচ্চাকে মা ও আব্বা চোখে দেখেছেন। তারপর আমার ছোট মেয়ে হওয়ার আগেই আব্বা মারা যান। তিনি আমার ছোট মেয়েকে দেখতে পান নি। আর আমার ছোট মেয়ে যেদিন হলো মা তার ফটো দেখলেন। তার তিন দিন পরে তিনি অসুস্থ হয়ে গেলেন। হাসপাতালে গেলেন।

আমার মাকে হাসপাতালে রাখতে হয়েছিল এক মাসের বেশি। সেই এক মাসের বিশ দিনের বেশি ওনার জ্ঞান ছিল না। তারপর ঠিক যখন আমার মেয়ের বয়স এক মাস হলো সেদিন মা আল্লাহর কাছে চলে গেলেন।

আমিও দোয়া করি আল্লাহ যেন আমার ছোট মেয়েকে সেই পর্যন্ত নিয়ে যান আমি ও আমার হাসবেন্ড দেখে যেতে পারি। আমাদের অবর্তমানে যেন সে বা অন্য ছেলেমেয়ে কেউই নিজেদের অসহায় না ভাবে। বিপদে না পড়ে।

এই পৃথিবীতে ছেলেমেয়েদের ভালো-মন্দ একমাত্র বাবা-মাই চিন্তা করেন। যদিও অনেক সন্তানই বড়ো হয়ে থাকবে না সঙ্গে। সম্মান দিয়ে পর্যন্ত কথা বলবে না। অনেক সময় তারা বাবা-মাকে দেখতে পর্যন্ত আসার সময়ও পাবে না।

সবই ঠিক আছে। তারপরেও প্রতিটা বাবা-মায়ের একটাই চাওয়া থাকে জগতে যেন তাঁদের সন্তানরা অসম্মানিত না হয়। বিপদে না পড়ে। তাদের মাথার ওপরে যেন ছাদ থাকে। তারা যেন নিজের যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।
আগস্ট ২০, ২০২৫

কানাডার বিরোধী দলীয় নেতা পেয়ার পলিয়েভ (পিপি) রেফার্ডে পাশ করে সংসদে ফিরে এসেছেন। পিপি গেল ফেডারেল নির্বাচনে পাশ করতে পার...
19/08/2025

কানাডার বিরোধী দলীয় নেতা পেয়ার পলিয়েভ (পিপি) রেফার্ডে পাশ করে সংসদে ফিরে এসেছেন। পিপি গেল ফেডারেল নির্বাচনে পাশ করতে পারেন নি। ফলে এতদিন তিনি হাউস অফ কমন্সে যেতে পারেন নি।

ফলে তাঁর দল তাঁকে রেফার্ডে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ করে দেন। সেটা হলো বাই ইলেকশন।

ঐ যে আছে না শহর থেকে গ্রামে গিয়ে রোডে গাড়ি চালিয়ে লাইসেন্স বাড়ি আনা সেইরকম ব্যাপার।

তো ওনার জন‍্য Battle River–Crowfoot, in the province's eastern region থেকে একজন পদত্যাগ করেন পিপিকে জেতানোর জন‍্য।

তো পিপি এই বাই ইলেকশনে জিতে খুব খুশি হয়েছেন। পাশে ওনার বউ আছেন। এই সেপ্টেম্বরে তিনি পার্লামেন্টে যাচ্ছেন।

কানাডায় ডেকেয়ারে বাচ্চা ফ্রি রাখা যায় কিনা!গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই পোস্টে বলেছিলাম কানাডায় যাদের ইয়ারলি কম বেতন ...
19/08/2025

কানাডায় ডেকেয়ারে বাচ্চা ফ্রি রাখা যায় কিনা!

গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেই পোস্টে বলেছিলাম কানাডায় যাদের ইয়ারলি কম বেতন তারা ডেকেয়ারে বাচ্চা ফ্রি রাখতে পারবেন।

এই পোস্টে একজন ফলোয়ার আপা কমেন্টে বলেছেন, ডেকেয়ার ফ্রি না, তবে সাবসিডি আছে।

এখানে দুইটো কথাই একই। যে লাউ, সেই কদু। যে যেভাবে বলেন। তাছাড়া অনেকেই সাবসিডি কথাটার সঙ্গে পরিচিত নাও থাকতে পারেন। তাই আমি ফ্রি লিখেছিলাম।

আমি ঐ আপাকে যে উত্তরটা দিয়েছিলাম সেটা হলো এই

'এখন আসেন সাবসিডির ব‍্যাপারে।

আমি সাবসিডির ব্যাপারে বেশ ভালোই জানি। আমার তিনজন বাচ্চাকে ডেকেয়ারে রেখেছি দীর্ঘদিন ধরে। তাছাড়া আমি নিজেই তিন বছর একটা লাইসেন্স ডেকেয়ারের সুপারভাইজার ছিলাম। সুতরাং সাবসিডি কী ও কীভাবে হয়, কারা পায় বা পায় না, কতো দিন লাগে তা আমার বেশ জানা আছে।

আমি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করি নি পোস্ট অনেক বড়ো হবে বলে।

যখন কেউ বাচ্চা রাখেন ডেকেয়ারে তাদের একটা ফি থাকে। এই ফিটা যদি সরকার পে করেন তাহলে সেটাকে বলে সাবসিডি।
এর জন‍্য সাবসিডি অফিসে আবেদন করে রাখতে হয়। এটা অনেক সময় লাগে। ডিফেন্ড করে কতোজন লাইনে আছে সাবসিডি অফিসে। এক বছরও লাগতে পারে। আমি বাচ্চা হওয়ার কয়েক মাস আগেই আবেদন করে রাখতাম। তারপর তো ধরেন এগারো মাস ম‍্যাটার্নিটিতে থাকতাম। আমি ডেট উল্লেখ করে দিতাম এই বছরে এই মাসে দরকার। তাই সেই মাসের আগেই তারা আমাকে ইন্টারভিউয়ের জন‍্য ডাকত।

তারপর লাস্ট ইয়ারের ট‍্যাক্সের পেপারের ওপর ভিত্তি করে ইনকাম রেট যাচাই করে একটা এমাউন্ট বলে দিত আমাকে কতো টাকা মাসে মাসে পে করতে হবে। আর একটা অংশ সরকার দেন। যেটা সরকার দেন সেটা সাবসিডি, বাকিটা নিজের ।

যেমন, যদি একটা infant ডেকেয়ারে রাখতে মাসে ২০০০ কানাডিয়ান ডলার পে করতে হয়, আর সরকার যদি ফ‍্যামিলি ইনকাম ও সদস্য সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এ‍্যাসেসমেন্ট করে ১,৮০০ কানাডিয়ান ডলার পে করেন এই ১,৮০০ ডলার হলো সরকারি সাবসিডি। বাকি দুই শত নিজের। সরকার ডেকেয়ারে পে করে দেয়। আর প‍্যারেন্টরাও তাদের এমাউন্ট মাসে মাসে ডেকেয়ারে দেন।

যাদের ২০,০০০ কানাডিয়ান ডলারের নিচে বা এরকম একটা এমাউন্ট বছরের ফ‍্যামিলি ইনকাম তারা পুরো সাবসিডি পান। অর্থাৎ ঐ ২,০০০ কানাডিয়ান ডলারের পুরোটাই সরকার দেন ডেকেয়ারে । প‍্যারেন্ট দেন জিরো। অর্থাৎ আপনি ফ্রিতে ডেকেয়ারে বাচ্চা রাখতে পারবেন।

আর ডেকেয়ারের সিটের জন‍্য অনেক আগেই আবেদন করে রাখতে হয়। গেলেই সব সময় সিট পাওয়া যায় না। লাইনে থাকতে হয়। ডেকেয়ার থেকেই কল করে ডাকে যখন তাদের সিট খালি হয়।' এইটা ছিল আমার উত্তর।

তো যাই হোক, সরকার যখন আপনার হয়ে ডেকেয়ারে পে করে দেয়, তখন আপনাকে ডেকেয়ারে পে করতে হয় না। আপনি পুরো সাবসিডি পান। বা আপনি ফ্রিতে বাচ্চা রাখতে পারবেন। আপনাকেই কিছুই পে করা লাগবে না।

এখানে কিন্তু পুরো সাবসিডি কিন্তু সবাই পান না। আগেই বলেছি সরকার একটা রেট নির্ধারণ করে দিয়েছেন বছরে সেটার নিচে ফ্যামিলি ইনকাম হলেই সরকার আপনাকে পুরো সাবসিডি দেবেন। অর্থাৎ আপনার ১৮ মাসের নিচের বাচ্চা যদি ডেকেয়ারের বিল 2000 কানাডিয়ান ডলার হয় তার পুরোটাই সরকার আপনাকে সাবসিডি দেবেন। আপনি হয়ে যাবেন ফ্রি।

আর যদি বাৎসরিক ইনকাম বেশি হয় তাহলে সেই অনুপাতে ডেকেয়ারের বিল যত তার কিছুটা সরকার দেবেন আর বাকিটা প্যারেন্ট দেবেন ডেকেয়ারে। প্যারেন্টের ভাগের অংশ কম-বেশি হতে পারে। সবকিছু ইনকাম ও ফ্যামিলি সাইজের ওপর নির্ভর করে কতো সাবসিডি পাবেন।

যেমন, আমি ও আমার হাসবেন্ডের দুইজনের ফ্যামিলি ইনকামের রেটের ওপর ভিত্তি করে আমাকে ডেকেয়ারে পে করতে হতো $1600 CAD প্রতিমাসে। পরের বছর আলাদা রেট।

সাবসিডি একটা ফ্যামিলি রেট দেয়। অর্থাৎ হিসেব করে যতটুকু প্যারেন্টকে দিতে বলে সেইটা হলো ফ্যামিলি রেট।

এটা এভাবে ব্যবহার হয় যে, ধরেন সাবসিডি অফিস আপনাকে বলেছিল প্রতিদিনের একটা রেট। যা হিসেব করে মাসে দাঁড়ায় $1,600 CAD। আমার তিনজন বাচ্চা ডেকেয়ারে যাইত তখন। এখন কথা হলো, এই যে $1,600 কি একটা বাচ্চার ফি, না তিনটা বাচ্চার ফি? এটা ফ্যামিলি ফি। মানে ফ্যামিলি থেকে যতগুলো বাচ্চা ডেকেয়ারে যাবে ঐ একটাই বিল। একটা গেলেও 1,600 আর তিনটা গেলেও $1,600 আর দশটা গেলেও ঐ একই রেট।

এই রেট প্রতিবছর ইনকাম ট্যাক্স এ্যাসেসমেন্ট করে কমে বা বাড়ে। ইনকাম বেশি হলে ডেকেয়ারে টাকার রেট বেশি হবে। সরকার কম সাবসিডি দেবেন। আর ইনকাম কম হলে সরকার বেশি সাবসিডি দেবেন। আপনি দেবেন কম। আর ইনকাম নির্দিষ্ট রেটের কম থাকলে আপনি সম্পূর্ণ ফ্রি মানে পুরোটা সরকার দেবেন। আর একটা নির্দিষ্ট রেটের বেশি হলে সরকার কোনো সাবসিডি দেবেন না। পুরোটাই আপনি দেবেন।

এই ছিল সিস্টেম 2024 সালের ডিসেম্বর বা এরকম সময়ে। কিন্তু সিস্টেম এখন পাল্টে গেছে।

ট্রুডো তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বলেছিলেন, যদি তিনি তৃতীয়বারের মতো জেতেন তাহলে ডেকেয়ারের কস্ট ফেডারেলভাবে দিনে $10 পে করে দেবেন।

সেইটা ট্রুডো থাকতেই চালু হয়েছিল কিছু প্রভিন্সে। অন্টারিওতে শুরু হয়েছে 2025 সালের ১লা জানুয়ারি থেকে। তবে অন্যান্য প্রভিন্সের ডেকেয়ারে $10 দিনে পে চালু হলেও অন্টারিওতে এখনো পর্যন্ত চালু আছে দিনে $22 CAD রেট। পরে দিনে $10 CAD রেট হবে অন্টারিওতে।

এটার মানে হলো, যারা দিনে $22 CAD এর বেশি দিতেন তাদের এখন শুধু $22 CAD দিলেই হবে ছয় বছরের নিচে যে কোনো বয়সী বাচ্চার জন্য। সেই রকম যেসব প্রভিন্সে $10 CAD চালু আছে তাদেরও ঐ একই সিস্টেম। এটার জন্য কোনো আবেদন করা লাগবে না।

এটাকে বলে Canada-wide Early Learning and Child Care system (CWELCC)

তবে যেসব ডেকেয়ারে CWELCC চালু করেছে সেইসব ডেকেয়ারে এই সুবিধা পাওয়া যাবে।

আপনাদের একটা উদাহরণ দিই। এদেশের ডেকেয়ারের ফি বিভিন্ন বয়সী বাচ্চার রেট বিভিন্ন ধরণের। শুরু থেকে ১৮ মাস বয়সী বাচ্চা বা ইনফ্যান্টের রেট বেশি। যেমন তাদের বিল দিনে$90 CAD বা তার বেশি ছিল। যে প্যারেন্ট সাবসিডি পাইতেন না তাকে দিনে $90 CAD এর বেশি ডেকেয়ার বিল দিতে হতো। এখন $10 CAD বা অন্টারিও হলে $22 CAD দিলেই হবে।

তাছাড়া বলা হয়েছেএর চেয়ে কমাতে হলে সাবসিডি অফিসে যোগাযোগ করতে হবে তারা এ্যাসেসমেন্ট করে দেখবেন।

আর যারা $10 CAD এর কম দেবেন তারা অবশ্যই সাবসিডি অফিসে আবেদন করবেন। মানে আপনারা একদম ফ্রি।

ডেকেয়ার ভেদে রেটের একটু তারতম্য আছে। এমনকি অনেক ডেকেয়ারে CWELCC করলেও রেট দিনে একটু কমিয়ে রেখেছে।

সুতরাং আপনারা আসা মাত্রই সাবসিডি অফিসে যোগাযোগ করে আপনার বাচ্চার নাম লিস্টে দিয়ে রাখবেন। আর ডেকেয়ারও খুঁজে রাখবেন।

অন্টারিওর সাবসিডি একটা নম্বর হলো 416-338-8888 বা আরো থাকত পারে।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন

টরন্টো, কানাডা

আগস্ট, ১৯, ২০২৫

মেক্সিকোতে গা*জাতে নিপীড়ন বন্ধের জন্য হিসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে হাজার হাজারে মানুষ জড়ো হয়েছে। পৃথিবীর ১৪৭ টা...
19/08/2025

মেক্সিকোতে গা*জাতে নিপীড়ন বন্ধের জন্য হিসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলে হাজার হাজারে মানুষ জড়ো হয়েছে।

পৃথিবীর ১৪৭ টার বেশি দেশ ফিলিস্তিনির পক্ষে আছে। এতোগুলো দেশ একটা শয়তানের লেজ কাটতে পারতেছে না। কারণ, শয়তানের আছে শয়তান বাপ।

ভোর বেলা গিয়ে গাছ থেকে তুলেছি এগুলো। একজন স্টুডেন্টের স্ন‍্যাকস দেওয়ার জন‍্য প‍্যাকেট করেছি। এর মধ্যে আছে শসা ও টমেটো এই...
19/08/2025

ভোর বেলা গিয়ে গাছ থেকে তুলেছি এগুলো। একজন স্টুডেন্টের স্ন‍্যাকস দেওয়ার জন‍্য প‍্যাকেট করেছি। এর মধ্যে আছে শসা ও টমেটো এই দুইটা আমার লাগানো। আর আছে নাশপাতি, এইটা আমার হাসবেন্ডের লাগানো। আলহামদুলিল্লাহ!

গত দুইদিন ধরে কিন্তু শীতের পরশ অনুভব হচ্ছে। মানে সামারের যত উৎসব-উদ্দিপনা তার সমাপ্তি ঘটবে সুন।

কানাডায় গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুবিধা পাবেন আসার পরেই:আপনি যদি লিগ্যাল ওয়েতে আসেন মানে যারা ইমিগ্রান্ট হয়ে আসবেন তাদের কথা বল...
18/08/2025

কানাডায় গুরুত্বপূর্ণ যেসব সুবিধা পাবেন আসার পরেই:

আপনি যদি লিগ্যাল ওয়েতে আসেন মানে যারা ইমিগ্রান্ট হয়ে আসবেন তাদের কথা বলছি, তাহলে অন্টারিওতে আপনি হেল্থ ইন্সুরেন্সের আওতায় পড়বেন। সে আপনি চাকরি করেন আর না করেন। আপনার চাকরি নেই তাই আপনাকে OHIP এর আওতায় ফেলা হবে না এমন কিন্তু কোনো নিয়ম-পলিসি নেই।

আপনি আসা মাত্রই OHIP এর জন্য আবেদন করে দেবেন। বর্তমানে আরো বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে আগের চেয়ে। সেটা কী রকম? এই যে ধরেন আমরা যখন ২০০৭ সালে এসেছিলাম তখন কিন্তু এই হেল্থ কার্ডটা হাতে পেতে তিন মাসের মতো সময় লাগত। অপেক্ষা করতে হবে। এর মধ্যে অসুস্থ হইলে নিজের পকেট থেকে যেত।

কিন্তু বর্তমানে কী সুবিধা হয়েছে? আবেদন করার মাত্র চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে কিন্তু আপনি হেল্থ কার্ডটা হাতে পেয়ে যাবেন। তারপর আপনার যেকোনো সমস্যার জন্য আপনি ডাক্তারের কাছে চলে যেতে পারবেন। কোনো বিল দেওয়া লাগবে না।

এখন তো অনেকেই আমাকে ধুতে আসবেন এই বলে যে, আমাদের বেতন থেকে তো ট্যাক্স কাটে। হ্যাঁ, ট্যাক্স তো কাটবেই। তো কাদের কাটে? যারা চাকরি করেন তাদের পে স্টাব থেকে তো একটা এমাউন্ট কাটে? কিন্তু কথা আছে। এই ট্যাক্স সবার বেতন থেকে সমান কাটে না।

এদেশে যার যত বেতন বেশি তত ট্যাক্স কাটা হয়। আর যাদের বেতন বছরে বিশ হাজার কানাডিয়ান ডলারের বেশি তাদের থেকে কাটে।

আর চাকরি না করলেও হেল্থ কার্ড পাওয়া যায়, যে কোনো চিকিৎসা পাওয়া যায়। বিনা পয়সায়। আর আপনার যদি কোনো প্রাইভেট ইন্সুরেন্স না থাকে তাহলে আপনার ২৫ বছরের নিচে সন্তানের জন্য ৫,০০০ ক্যাটাগরির মেডিসিন ফ্রি। আপনি শুধু ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন দেবেন ফার্মাসিতে তারা আপনাকে ঔষধ তৈরি করে দেবে বিনা পয়সায়।

ডেন্টাল:

আপনি আসার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রি ডেন্টালের কাছে যেতে পারবেন। এটার শর্ত হলো আপনাকে অবশ্যই কানাডার নাগরিক হতে হবে ও পাস্ট ইয়ারের ট্যাক্স ফাইল করতে হবে। আর আপনার ফ্যামিলি ইনকাম বছরে অবশ্যই ৯০,০০০ নিচে হতে হবে। এটাকে বলে The Canadian Dental Care Plan (CDCP)।

এখানেও আপনি চাকরি না করলেও এই CDCP বেনিফিটস পাবেন।। অনলাইন গুগলে CDCP বলে সার্স দিলেই আবেদন করার ফর্ম পেয়ে যাবেন। এটা কিন্তু গোটা কানাডার বেনিফট।

চাইল্ড বেনিফিটস:

এটা একটা বিশাল সাপোর্ট। আপনি কাজ না করলে আরো বেশি মানে পুরোটা পাবেন। একটা নির্দিষ্ট এমাউন্টের নচে থাকলে সবাই পাবেন কম-বেশি। এটা যেহেতু ফ্যামিলি ইনকাম ও পরিবারের সদস্যের সংখ্যার ওপর নির্ভর করে।

এটা এ বছর এটার রেট একটুখানি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি বলি শোনেন, উইকিপিডিয়ার তথ্যানুযায়ী
For each child: under 6 years of age: $7,997 per year ($666.41 per month) 6 to 17 years of age: $6,748 per year ($562.33 per month)-Jun 6, 2025

মানে ৬ বছর পর্যন্ত বাচ্চার জন্য বছরে পাবেন $৭,৯৯৭ কানাডিয়ান ডলার। মাসে হবে $৬৬৬.৪১ সর্বোচ্চ। ৬-১৭ বছরের বাচ্চাদের জন্য বছরে $৬,৭৪৮ সর্বোচ্চ ও মাসে $৫৬২.৩৩ কানাডিয়ান ডলার সর্বোচ্চ। সবাই এক রকম পাবেন না। এটার ক্যালকুলেশন জটিল আছে। যে তবে যা পাবেন তাও অনেক।

স্কুলে ভর্তি:

আপনি আসার সঙ্গে সঙ্গে আপনি যে এরিয়ায় বাসা নেবেন সেই এরিয়াতে আপনার ১৮ বছরের নিচের বাচ্চাদের পাবলিক স্কুলে ভর্তি করে দিতে পারবেন। না লাগবে ভর্তির ফি, না লাগবে মাসে মাসে বেতন বা টিচারের কাছে টিউশনি পড়া বা নির্দিষ্ট দোকান থেকে বই-পুস্তক কেনা। একদম আপনি মুক্ত।

বাচ্চাদের দুইটা ভাষার মধ্যে যেটা আপনি চান সেই ভাষাতেই স্কুলে পড়াতে পারবেন। এক, ইংরেজি দুই, ফ্রেঞ্চ।

কোনো ভাষার জন্য আপনাকে পে করতে হবে না। ফ্রেঞ্চ ভাষা আছে জুনিয়র কিন্ডারগার্টেন থেকে। অনেকেই ফ্রেঞ্চ ভাষায় পড়ায় এদেশে বেশি ভাষা জানা থাকলে চাকরি ভালো পাওয়া যাবে বিশেষ করে ফ্রেঞ্চ। স্কুলেই বাচ্চারা শিখে ফেলে। আমার সব কয়জন বাচ্চা ফ্রেঞ্চ মিডিয়ামে পড়ে।

স্টাডি লোন: অন্টারিওতে আপনি আসার সঙ্গে সঙ্গে লোন নিয়ে পড়াশোনা করতে পারবেন। এই লোনের কোনো ইন্টারেস্ট নেই। তবে ফ্যামিলি ইনকাম ও পরিবারের সদস্য সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে এই লোন দেন সরকার। অনেক বেশি লোন পান অনেকেই। আবার একটি অংশ গ্রান্টও থাকে। পরে লোন মাসে মাসে শোধ করতে হলেও ঐ গ্রান্ট শোধ করা লাগেনা।

লোনের ইন্টারেস্টের ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে সেটা হলো;

“You will be charged interest on the Ontario portion of your loan during your six-month grace period. This interest will be added to your loan principal (the balance of money you borrow).

Effective April 1, 2023, no charge interest on the federal portion of an OSAP loan.”

ডেকেয়ারের সুবিধা : সরকার আপনাকে ডেকেয়ারে বাচ্চা রাখার সব খরচ বহন করবেন। আপনি শুধু বাচ্চা ডেকেয়ারে রেখে চাকরি বা পড়তে চলে যাবেন। তবে বেতন যদি ২০,০০০ এর কম হয় বছরে তাহলে একদম ফ্রি। আপনার টাকা দেওয়া লাগবে না। আর যদি একটু বেশি হয় বা যত বেশি হবে ইনকাম তার ওপর ভিত্তি করে ডেকেয়ারে আপনাকে কিছু পে করতে হতে পারে। তবে সেটা বেশি না।

তাছাড়া এখন দিনে $10 CAD দিয়ে রাখার পলিসি চালু আছে। অন্টারিওতে এখনো পর্যন্ত দিনে $22 CAD। আপনি যদি চাকরি বা পড়তে না যান তাহলে নিজের পকেট থেকে এই এমাউন্ট দিলেই বাচ্চা রাখা যাবে। আর সম্পূর্ণ ফ্রি নিতে হলে আপনার বাৎসরিক ইনকাম টার্গেট পয়েন্টে থাকতে হবে। আর আপনাকে চাকরি না হলে পড়তে হবে।

আরো অনেক কিছু আছে যার সবই আপনারা ইনজয় করতে পারবেন।

আল্লাহ আপনাদের সুস্থ রাখুন।

কাজী হালিমা আফরীন
টরন্টো, কানাডা।

Address

Satkhira
Khulna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Live in Canada posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category