09/05/2025
31 May,2024 আমার ছোট ভাইয়ের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তৎকালীন পলাশ দাদার অবস্থানরত কোয়ার্টার রমনা পুলিশ কমপ্লেক্স দুইদিন, না ৪৩ ঘন্টা, আমি, ভাই ছিলাম। আমার বোন সুস্মিতা রান্না করা এমনকি ফিল্টার থেকে জল ঢালা থেকে শুরু করে সংসারের যাবতীয় কাজ একাই করত।শুধু পূজার দায়িত্ব টা ওর শাশুড়ির ছিলো।আমি দেখেছিলাম পূজার ঘরে একজন মা বউয়ের নামে ছেলের কানে মন্ত্রণা দেয়। আমি যাওয়া মাত্রই সুস্মিতা আমাকে জড়িয়ে ধরছিলো।
পরে বলছিল আমাকে "তোরা কি আসবি, আমার শাশুমা তো ওনার বাকি দুই ছেলের আসাও পছন্দ করেনা"। বোনের একটাই সমস্যা ছিল ওর নিজের সমস্যাগুলো কাউকেই জানাতো না। এমনকি ফোন করে আমার পিসিকেও বলতে চাইতো না।
কোয়ার্টারে সুস্মিতাকে ফ্রিজ থেকে কোনো খাবার বের করার ও অধিকার দেওয়া হয়েছিলনা,মানে দৈনন্দিন রান্না ততটুকু হবে ওর শাশুড়ি যতটুকু চায়। পরীক্ষার দিন সুস্মিতাকে আমিই এক প্রকার জোর করে বাইরে নিয়ে গেছিলাম। ঐদিন বাইরে থেকে দাদা বিরিয়ানি অর্ডার করছিলো জন্য ওর শাশুড়ি সবার খাওয়া দাওয়ার পর দাদাকে বেশ বকাবকিই করছিলো। সুস্মিতা সবগুছিয়ে গেছিলো এবং বিকালের পর ফিরে আবার ও রান্নাঘরে রাতের খাবার এর জন্য গেছিলো।
পলাশ দাদা, সুস্মিতা,আমি ,ভাই আমরা দুই ঘন্টা বাইরে ছিলাম। এই দুই ঘন্টায় ও ওর শাশুড়িমা 10 min অন্তর কল করতেছিল। দাদা তখন আমাকে বলছিলো বুঝছো বৈশাখী "মা strict person, বাবার অনুপস্থিতে আমাকে বড় করছে তো।এজন্য মা কে কিছু বলতে পারিনা। Dont hurt for my mothers strict rules. Obviously I love my mom so much". । আমি হেসে বলছিলাম সমস্যা নাই দাদা নেক্সট আসব আবার সবাই মিলে,Thank you for your hospitability। দাদা বলছিলো" sure Boishakhi! See you again."যদিও আমি মনে মনে ঠিক করে নিছিলাম এখানে আমি বা আমার ফ্যামিলির কাউকে কখনোই আসতে বলবোনা।
আমি স্বভাবতঃ আসার সময় প্রণাম বা অভিবাদন করে আসি।কিন্ত আমার আসার সময় ওর শাশুড়িকে দেখছিলাম দাদাকে পূজার ঘরে এক প্রকার আটকে রাখছে যাতে দাদা আমাকে ভাইকে এগিয়ে না দেয়। তাই আর কথা ও বলছিলামনা।
এটা আমার দেখা ঐ ৪৩ ঘন্টার বর্ণনা।এক এক ঘন্টায় ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাকে অপ্রস্তুত করে তুলছিলো।
সমুদ্রে এই ছবিটা ওদের হানিমুনের উদ্দেশ্যে, উল্লেখ্য এখানেও ওর শাশুড়িমা গেছিলো।ওদের তিনমাস দেখাশোনায় বিয়ে হয়েছিল।সুস্মিতাকে ঐ তিনমাস মা লক্ষী বলতো।বারবার বলতো কোয়ার্টারে আমার ছেলেকে তো তুমিই দেখে রাখবা।
সুস্মিতা ওর স্কুল জীবন অবধি মামাবাড়িতে ছিলো। এক স্কুল সবকিছুই একসাথে। যারা চেনে ওকে জানে মেয়েটা স্বভাবে কেমন। পিসেমশাই অসুস্থ হওয়ায় ssc র পর বিয়েটা ওর বাবার বাড়ির লোকজন মিলে ঠিক করছিলো।
পলাশ দাদাকে রমনা পার্কে বলছিলাম, আমার বোন কেমন? উনি বলছিলো "fulfill soulmate". সদা হাস্যোজ্জল সেই মুখে Sure Boishakhi! see you again. আর শোনা হবেনা। সুস্মিতার মা,মামা রা তাদের মেয়েকে আনতে গেলো। মৃতদেহ তাদের ভাইরা আগেই গোপালগঞ্জ নিয়ে গেলো।
মিডিয়া ও একপাক্ষিক interview publish করলো। প্রতিটা ব্যক্তিই যদি আরেকটু ধৈর্য্যধারনক্ষমতা রাখতো কি এমন ক্ষতি হতো!..... Copy post........