হেরার রশ্মি

  • Home
  • হেরার রশ্মি

হেরার রশ্মি Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from হেরার রশ্মি, Magazine, .

05/09/2023

"অতঃপর তাদের পর এলো অপদার্থ পরবর্তীরা তারা সালাত হারালো,আর লালসার বশবর্তী হলো।তারা শীঘ্রই ধ্বংসের সম্মুখীন হবে।"(সূরা মারইয়াম-৫৯)

 #মীর_কাশেম_আলীপ্রেরণার বাতিঘর ইসলামী ব্যাংক, দিগন্ত টেলিভিশন, ইবনে সিনা ট্রাস্ট এর মতো আরো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্...
03/09/2023

#মীর_কাশেম_আলী
প্রেরণার বাতিঘর
ইসলামী ব্যাংক, দিগন্ত টেলিভিশন, ইবনে সিনা ট্রাস্ট এর মতো আরো অনেক বড় বড় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি।
দেশকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির পথে অগ্রসর করা সংকল্পে বিভোর ছিলেন তিনি।
এই দ্বীনের মহান সিপাহসালার আজকে #শাহাদৎবার্ষিকী।
মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন। ❤❤আমিন❤❤

27/05/2023

"তাদের পরে আসলো এমন একটি উত্তর প্রজন্ম যারা বিনষ্ট করে দেয় সালাত এবং অনুগামী হয় কামনা-লালসার।তারা অচিরেই কুকর্মের শাস্তি ভোগ করবে।"
(সূরা মারইয়াম-৫৯)

27/05/2023

হাদীস অস্বীকারকারী কুরআনিয়্যুন সম্প্রদায়।
প্রফেসর ড. মো: ময়নুল হক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়. কুষ্টিয়া।
আলী রা. ও মুয়াবিয়া রা. এর দ্বন্দ মীমাংসায় যখন দু’জনকে সালিস মানা হলো আলী রা. এর সমর্থনকারী একটি গ্রুপ বেরিয়ে গেলো এই বলে যে, তারা কুরআনের ফয়সালার বাইরে কোন মানুষের ফয়সালা মানবে না-এদেরকেই বলা হয় খারেজী সম্প্রদায়। যুগ পরিক্রমায় তারা নাম পাল্টিয়ে সমাজে ফিতনার বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে এবং নিজেদের দাবী করছে তারা আহলুল কুরআন বা কুরআনিয়্যুন- কুরআন ছাড়া তারা অন্য কিছু মানবে না।
হাদীস অস্বীকারকারী কুরআনিষ্টগণ কান পেতে শোন কুরআন কী বলছে:
وَمَا يَنْطِقُ عَنِ الْهَوَى * إِنْ هُوَ إِلَّا وَحْيٌ يُوحَى
এবং তিনি নিজ প্রবৃত্তি থেকে কিছু বলেন না, যা কিছু বলেন তা তার প্রতি প্রত্যাদেশ (ওহি) মাত্র । (সূরা আন নাজম-৩-৪)।
তোমাদের ইলমে কী আছে-ইলমুন নুবুওয়্যাতের দুটো ধারা-
এক. আল-কুরআন- ওহি মাতলু যা সালাতে পাঠ করা হয় ইবাদাতের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে।
দুই. সুন্নাহ ও হাদীস ওহি গায়রে মাতলু যা আল কুরআনের ব্যাখ্যা স্বরূপ।
কুরআনুল কারীম সঠিকভাবে বুঝতে হলে সুন্নাহ ও হাদীসে রাসূল অত্যাবশ্যকীয় এবং তার উপর আমল করা ওয়াজিব-শুধু জানতে হবে হাদীস ও সুন্নাহ যা আমল করা হচ্ছে তা সহীহ বা বিশুদ্ধ কী না। ইসলামী শরীআতের এটি দ্বিতীয় উৎস, সালাত, সাওম, যাকাত ও হজ্জের বিস্তারিত বিধানাবলী, মানুষের পাষ্পারিক লেন-দেন, জীবন ও জীবিকার হালাল-হারামের বিধানাবলীর আধার হাদীস ও সুন্নাহ যা ছাড়া একজন মুসলিম ইসলামকে বাস্তব জীবনে প্রতিপালন করতে পারে না। হাদীস অস্বীকার করে কুরআনের বিধানাবলী বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কুরআন ও হাদীস পরষ্পর সম্পূরক, অবিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছেদ্য যার ঘোষণায় আল্লাহ তা’আলা বলেন: وَأَقِيمُوا الصَّلَاةَ وَآتُوا الزَّكَاةَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ
এবং তোমরা সালাত কায়েম করো, যাকাত আদায় করো এবং আনুগত্য করো রাসূলের যাতে তোমরা করুণা লাভে ধন্য হতে পারো। (সূরা নূর-৫৬), যহোরের সালাত চার রাকাআত, মাগরিব তিন রাকাআত, ফজর দু’রাকাআত এটাতো জানলাম হাদীস থেকে, যদি হাদীস অস্বীকার করো তাহলে কী সালাত পালন সম্ভব?
হে হাদীস অস্বীকারকারী সম্প্রদায়!
অনুধাবন করো কিভাবে কুরআন আল্লাহর আনুগত্য ও রাসূলের আনুগত্যকে একই ধারায় বিবৃত করছেন:
﴿ مَّن يُطِعِ الرَّسُولَ فَقَدْ أَطَاعَ اللَّهَ ۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَا أَرْسَلْنَاكَ عَلَيْهِمْ حَفِيظًا﴾
যে ব্যক্তি রাসূল সা. এর আনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো। আর যে মুখ ফিরিয়ে নিলো হে রাসূল সা. আমি আপনাকে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণকারী হিসেবে প্রেরণ করি নি। (সূরা নিসা-৮০)
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা আদেশ মান্য করো আল্লাহ তা’আলার, তাঁর রাসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে লিপ্ত হও তা হলে তা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের দিকে প্রত্যাবর্তন করো (অর্থাৎ আল্লাহর কিতাব ও রাসূল সা. এর সুন্নাহ থেকে ফয়সালা গ্রহণ করো) যদি তোমরা আল্লাহ ও শেষ দিবসের প্রতি বিশ্বাস রাখো, আর এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর ও পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম। (সূরা নিসা-৫৯)
হাদীস অস্বীকার অর্থ রাসূল সা. এর নাফরমানী করা। আর এ কাজে যারা লিপ্ত তাদের পরিণতি সহীহুল বুখারীতে আবূ হুরায়রা রা. কর্তৃক বর্ণিত হাদীস-عن أبي هريرة رضي الله عنه أن النبي ﷺ قال: من أطاعني فقد أطاع الله ومن عصاني فقد عصى الله
যে আমার অনুগত্য করলো সে আল্লাহর আনুগত্য করলো, আর যে আমার নাফরমানী করলো সে আল্লাহর নাফরমানী করলো।
অপর হাদীসে রাসূল সা. বলেছেন:كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى قيل يا رسول الله ومن يأبى؟ قال من أطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد أبى আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে আমাকে অস্বীকারকারী ব্যতিত। রাসূল সা. কে বলা হলো হে আল্লাহর রাসূল! আপনাকে কে অস্বীকার করবে? তিনি বল্লেন: যে আমার আনুগত্য করলো সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমার নাফরমানী করলো সে আমাকে অস্বীকার করলো। তা হলে তোমাদের মতো হাদীস অস্বীকারকারীদের ঠাই কোথায় হবে ভেবে দেখেছো তো?
হে পথ হারানো সম্প্রদায়!
তোমরা শুধুমাত্র কুরআন অনুসরণ করবে বলছো, সেই কুরআন তোমাদেরকে ঈমান হারানোর কথা বলছে, যদি তোমরা রাসূল সা. এর আনুগত্য না করো এবং তাকে ফয়সালাকারী হিসেবে মান্য না করো:
فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِىٓ أَنفُسِهِمْ حَرَجًا مِّمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسْلِيمًا
আপনার প্রভু /রবের শপথ, অবশ্যই তারা মু’মিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আপনাকে তাদের বিরোধ মিমাংসায় ফয়সালাদানকারী হিসেবে মেনে না নিবে, আপনার ফয়সালায় তারা অন্তরে কোন কষ্ট অনুভব করবে না এবং সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে নেবে। (সূরা নিসা-৬৫)
فَلْيَحْذَرِ الَّذِينَ يُخَالِفُونَ عَنْ أَمْرِهِ أَنْ تُصِيبَهُمْ فِتْنَةٌ أَوْ يُصِيبَهُمْ عَذَابٌ أَلِيمٌ
যারা রাসূলের আদেশের বিরোধিতা করে তাদেরকে সতর্ক হতে হবে যে, তারা ফেতনায় নিপতিত হবে অথবা যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি তাদেরকে পাকড়াও করবে। (সূরা নূর-৬৩)
হে পথভ্রষ্টের দল উপলব্ধি করতে চেষ্টা করো কুরআন কী বলছে: وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا
এবং রাসূল যা তোমদেরকে দেন তা গ্রহণ করো এবং যা থেকে তিনি নিষেধ করেন তা বর্জন করো। (সূরা হাশর-০৭) এ আয়াতে আল্লাহ তা’আলা এ কথাই বলছেন- রাসূল সা. শরীআত প্রবর্তক এবং তার আদেশ-নিষেধ মেনে চলা প্রতিটি মুসলমানের উপর ফরয। আর এজন্যই রাসূল সা. বলেছেন: ألا إني أوتيت الكتاب ومثله معه সাবধান হও! আমাকে কিতাব ও তার অনুরূপ জিনিস দেয়া হয়েছে। (আর তা হলো হাদীস)।
হে কুরআনিয়্যুন সম্প্রদায়!
তোমাদের কাছে হাদীস বা সুন্নাহ হচ্ছে জাল হাদীস ও পরিত্যাজ্য বিষয়াবলীতে ভরপুর। তোমরা কী জানো- কীভাবে রাসূল সা.এর সুন্নাহ ও হাদীস কে সংরক্ষণ করা হয়েছে? কীভাবে এর বিশুদ্ধতাকে নিশ্চিত করা হয়েছে? ইরাকের বসরায় বসে একজন একটি হাদীস শুনেছেন যার কাছে তাকেই জিজ্ঞেস করছেন এটি আপনি কার কাছে শুনেছেন -উনি কী বিশ্বস্ত? উত্তরে বলেছেন আপনি মক্কায় চলে যান উনাকে পাবেন। হাদীস শ্রবণকারী মক্কায় গিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করছেন আপনি যার কাছ থেকে এ হাদীস শুনেছেন তিনি কী বিশ্বস্ত? উত্তর পেলেন আপনি মদীনায় চলে যান ওখানে উনাকে পাবেন। মদীনায় গিয়ে একই প্রশ্ন করলে উত্তর পেলেন আপনি শামে চলে যান। সেখানে গিয়ে হাদীস শ্রবণকারী জানতে পারলেন-যিনি হাদীসের বর্ণনাকারী তিনি বলছেন: তিনি রাসূল সা. থেকে এ হাদীস শুনেননি এবং এ হাদীস তিনি বর্ণনাও করেন নি। আপত দৃষ্টিতে মনে হতে পারে বসরা থেকে মক্কা, মক্কা থেকে মদীনা, মদীনা থেকে শাম ঘোরা ঘুরি হয়েছে ফল শুণ্য কিন্তু না- এটি রাসূল সা. এর হাদীস ও সুন্নাহকে পরিশুদ্ধ মানদণ্ডে দাঁড় করানোর অক্লান্ত পরিশ্রমের নমুনা মাত্র যার ফসল হিসেবে আমরা পেয়েছি বুখারী, মুসলিম, নাসাঈ, সুনানু আবি দাউদ, মুয়াত্তার মতো হাদীস গ্রন্থ। কল্পনা করুন তো ইমাম বুখারী একটি হাদীস লেখার পূর্বে দু’রাকাআত নফল সালাত আদায় করেছেন, ইস্তেখারা করে অন্তর চক্ষু দিয়ে দেখেছেন এর বিশুদ্ধতাকে, কাবা ঘরের দেয়ালের পাশে বসে বসে ষোল বছরের সাধনায় মাত্র চার হাজার এর উপর বিশুদ্ধ হাদীস ঠাই দিয়েছেন সহীহুল বুখারীতে, মদীনায় রাসূল সা. এর মাকবারাহ ও মিম্বরের মাঝখানে বসে বসে তৈরী করেছেন অধ্যায় ও পরিচ্ছেদ, বুখারাতে গিয়ে বাধাই করে সে গ্রন্থ কাধে করে নিয়ে গেছেন বাগদাদ বসরাসহ বিভন্ন শহরে, উপস্থাপন করেছেন সে যুগের বিখ্যাত হাদীস বিশারদসহ হাজার হাজার মানুষের সামনে, যারা সবাই একবাক্যে বলেছেন এতে সব বিশুদ্ধ হাদীস ঠাই পেয়েছে। হাদীস স্কলার ও হাদীসেরজ্ঞান পিপাসুদের কাছে স্বীকৃতি পেয়েছে- আল্লাহর কিতাব আল-কুরআনের পরে এ কিতাব সবচেয়ে বিশুদ্ধ গ্রন্থ হিসেবে। আপনি এক লোহমায় বলে দিলেন হাদীস কোন অথেনটিক সোর্স নয়। আপনি কী জানেন হাদীসকে বিশুদ্ধ মানদণ্ডে দাড় করানোর জন্য এ উম্মত কী পরিমাণ কষ্ট স্বীকার করে লক্ষ লক্ষ হাদীস বর্ণনাকারীর জীবন চরিত রচনা করেছেন? তাহলে শুনুন একজন কাফের ওরিয়েন্টালিশ ড. সপ্রীংগার এর মুখে: “পৃথিবীতে মুসলিম জাতির মতো এমন কোন জাতি খুঁজে পাওয়া যাবে না যারা পাঁচ লক্ষাধিক হাদীস বর্ণনাকারীর জীবন ইতিহাস লিখে গেছেন”। শুধুমাত্র হাদীসকে যাচাই বাছাই করার জন্য বর্ণাকারীদের জীবন ইতিহাস লেখা হয়েছে কী আশ্চার্য ?
ওহে হাদীস অস্বীকারকারী! জেনে রাখো তোমাদের মতো মানুষদের জন্যই রাসূল সা. ভবিষ্যত বাণী করে গেছেন:
يوشك أن يقعد الرجل متكئاً على أريكته يحدث بحديث من حديثي فيقول بيننا وبينكم كتاب الله ، فما وجدنا فيه من حلال استحللناه ، وما وجدنا فيه من حرام حرمناه ، ألا وإن ما حرم رسول الله مثل ما حرم الله
রাসূল সা. বলেন: অচিরেই মানুষ খাটে হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় যখন কেউ তার কাছে আমার কোন হাদীস বর্ণনা করবে সে বলবে- আমাদের ও তোমাদের মাঝে রয়েছে আল্লাহর কিতাব, আমরা যা কিছু এ কিতাবে হালাল হিসেবে পাবো সেগুলোকে হালাল এবং যা কিছু হারাম পাবো সেগুলোকে হারাম করে নেবো। সতর্ক হও! রাসূল সা. যা হারাম করেন তা আল্লাহ যা হারাম করেন তার সমতুল্য । (বুখারী, মুসনাদে আহমদ. ইবনু মাজা, তিরমিযী)।
ধিক! তোমাদের মতো কাফিরদের জন্য যারা রাসূল সা.কে অস্বীকার করে জাহান্নামের পথে হাটছো। আল্লাহ তোমাদের হেদায়েত দান করুন। সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার তৌফিক দান করুন। আর না হয় তোমাদের ফয়সালা করুন, যাতে সমাজে ফিতনা তৈরীর কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।

শহীদি কাফেলার সেনাপতি    -----------------------------------------------শহীদ নিজামী তুমি মুজাহিদদের সরদার,             প...
11/05/2023

শহীদি কাফেলার সেনাপতি
-----------------------------------------------
শহীদ নিজামী তুমি মুজাহিদদের সরদার,
পাইলে আল্লাহর দিদার।
যারা তোমায় দিলো ফাঁসি,
করলো তারা অবিচার।
সত্যের পথে ছিলে নির্ভিক,
রাসূলের আদর্শের সৈনিক।
মনে ছিলো শুধু তোমার ভাবনা,
মানবীয় মতবাদ আর রবে না।
তুমি গেছো চলে যে পথ ধরে,
আমরা আজো আছি সে পথে পড়ে।
বাতিলের রক্ত চক্ষু ভয় করিনা,
আমরা আছি এখনো তৈয়ার।
হলে শহীদ তাইতো তুমি ভাগ্যবান,
সে কথাটি সাক্ষ্য দিচ্ছে আল কুরঅান।
শহীদ হওয়ার ভাগ্য সকলের নয়,
শহীদ করার ইচ্ছা আল্লাহর নিশ্চয়।
তাইতো নিশ্চয় করেছে আল্লাহ তোমায় জান্নাতী,
হে আল্লাহ কবুল করো মোদের এই মিনতি।
তোমার রক্ত যাবেনা বৃথা আমরা শপথ করি,
তোমার মতো আমরা যেন শহীদ হতে পারি।
তোমার রক্ত ঝরা পথ বেয়ে,
ইসলামী সমাজ একদিন হবেই হবে।
জান্নাতেরই ওয়ারিশ হয়ে,
পাবে তুমি সুবিচার।
জান্নাতে তার সাথী বানাও,
ওগো পরোওয়ার দিগার।

01/05/2023

"জ্ঞানের সীমা চিরদিন ছিলো, অজ্ঞতার সীমা কোন দিন ছিলো না। মানুষ শুধু চেষ্টা করতে পারে,জ্ঞানের সীমা একটু একটু করে বৃদ্ধি করার।"

(শায়েখ আবু তাহের মিসবাহ হাফিঃ)

15/04/2023

★দারসুল হাদিস★

কিয়ামতের দিন পাঁচটি প্রশ্ন সংক্রান্ত হাদিস

★আরবী এবারত★

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا حُصَيْنُ بْنُ نُمَيْرٍ أَبُو مِحْصَنٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ قَيْسٍ الرَّحَبِيُّ، حَدَّثَنَا عَطَاءُ بْنُ أَبِي رَبَاحٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لاَ تَزُولُ قَدَمَا ابْنِ آدَمَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ عِنْدِ رَبِّهِ حَتَّى يُسْأَلَ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِهِ فِيمَا أَفْنَاهُ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيمَا أَبْلاَهُ وَمَالِهِ مِنْ أَيْنَ اكْتَسَبَهُ وَفِيمَ أَنْفَقَهُ وَمَاذَا عَمِلَ فِيمَا عَلِمَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ الْحُسَيْنِ بْنِ قَيْسٍ ‏.‏ وَحُسَيْنُ بْنُ قَيْسٍ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي بَرْزَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ ‏.‏
হাদিস নং ২৪১৬
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

★অর্থ★

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা:) নবী করীম (সা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন আদম সন্তানকে পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এক কদম ও স্ব স্থান হতে নড়তে দেওয়া হবে না।
১) তার জীবন কাল কি ভাবে অতিবাহিত করেছে,
২) যৌবনের সময়টা কিভাবে ব্যয় করেছে,
৩) ধন সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছে,
৪) তা কিভাবে ব্যয় করেছে,
৫) সে দ্বীনের যতটুকু জ্ঞান অর্জন করেছে সেই অনুযায়ী আমল করেছে কিনা।

★রাবির পরিচয়★

ইসলাম প্রচারের প্রাথমিক অবস্থায় যে কয়জন মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ (রা:) ছিলেন তাদের একজন। তিনি আবিসিনিয়ায় হিজরত করেছিলেন এবং নবীকরিম (সা:) এর মদিনায় হিজরতের পর মদিনায় চলে আসেন। তিনি সর্বদা রাসূল (সা:) এর খেদমতে নিয়োজিত থাকতেন, এবং ছায়ার মত তাকে অনুসরণ করতেন। হযরত আবু মুসা আশরারী বলেন, “আমরা ইয়েমেন থেকে এসে বহুদিন পর্যন্ত ইবনে মাসুদ (রা:) কে নবী পরিবারের লোক বলে মনে করতাম।”
হযরত আব্দুল্লাহর ইবনে মাসুদ (রা:) একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন। তিনি কোরআন, হাদিস, ইত্যাদি সব বিষয়েই সমান পারদর্শী ছিলেন। মদিনার যে কয়জন সাহাবী ফতোয়া দিতেন তিনি ছিলেন তাদের অন্যতম, কোরআন শিক্ষায় তিনি বিশেষ পারদর্শী। নবী করিম (সা:) বলেন: “কুরআন শরীফ যে ভাবে নাজিল হয়েছে হুবহু সে ভাবে যদি কেহ পড়তে চায় সে যেন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদের কাছে যায়।”
এই জ্ঞানের বিশাল মহিরুহ হিজরী ৩২ সালে মদিনায় ইন্তেকাল করেন। তার বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা ৮৪৮ টি। ইমাম বুখারী ও মুসলিমের ঐক্যমতের হাদিস ৬৪টি, তাছাড়া বুখারী ২৬৪টি এবং মুসলিম ৩৫টি হাদিস বর্ণনা করেছেন।

★হাদিসের গুরুত্ব★

আলোচ্য হাদিসে মানুষের নৈতিক চরিত্র সংশোধন কল্পে আখিরাতের জবাব দিহির অনুভূতি জাগ্রত করার প্রয়াস পেয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের মধ্যে খোদাভীতি ও পরকালের জবাবদিহি অনুভূতি জাগ্রত না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত নৈতিক চরিত্র সংশোধনের আশা করা বৃথা, কারণ আমাদের এ জীবনের পর অনন্ত কালের এক জীবন আছে এবং সে জীবনের সাফল্য এবং ব্যর্থতা সম্পূর্ণরুপে নির্ভর করে এ জীবনের কর্ম ফলের উপর; আর প্রতিটি কর্মেরই সুক্ষ্মভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে একমাত্র এই অনুভূতিই মানুষকে মহৎ হতে বাধ্য করে।
তাছাড়া পার্থিব জীবনের আচার আচরণ সম্বন্ধেও ইংগিত প্রদান করা হয়েছে এ হাদিসের মধ্যে। তাই প্রতিটি মুসলমানের জীবনে এ হাদিসটির গুরুত্ব অনস্বীকার্য।

★ব্যাখ্যা★

(১) মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে শুধুমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য, যেমন কুরআনে বলা হয়েছে
অর্থ: “আমি মানুষ ও জ্বীনকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদত করার জন্য।”
ইবাদত করতে প্রতিটি মানুষ অথবা জ্বীনকে জন্ম হতে মৃত্যু পর্যন্ত আল্লাহর দাসত্ব বা গোলামী করার কথা বলা হয়েছে। কারণ ইয়াবুদুন শব্দটি আবদুন শব্দ হতে নির্গত আর আব্দুন শব্দের অর্থ হলো গোলাম বা দাস। কাজেই দাসত্ব বা গোলামী জীবনের কোন একটি সময় বা মুহুর্ত পর্যন্ত সীমিত নয় বরং সমস্ত জীবন ব্যাপী এ দায়িত্ব।
অন্যত্র বলা হয়েছে
অর্থ: “তোমরা কি মনে করেছ আমরা তোমরাদেরকে অকারনেই সৃষ্টি করেছি। আর তোমাদেরকে কখনই আমার নিকট ফিরে আসতে হবে না। (মুমিনুন-১১৫)
তাই দেখা যায় পৃথিবীর প্রতিটি চাকচিক্য ময় বস্তু মানুষের পরীক্ষার জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আর এ পরীক্ষার সফলতা বা ব্যর্থতার কেন্দ্র করেই শুরু হবে পরকালের জীবন। সত্যি কথা বলতে কি ছোট্র একটি প্রশ্নের উত্তর সমস্ত জীবন ব্যাপী বিস্তুৃত।

(২) প্রতিটি বস্তুরই একটি উৎকৃষ্ট অংশ থাকে আর জীবনের উৎকৃষ্ট অংশ হচ্ছে যৌবন কাল। নিম্নে চারটি গুণের পরিপূর্ণ সমাবেশ ঘটে এই যৌবনে।
১. চিন্তা শক্তি
২. ইচ্ছা শক্তি
৩. মনন শক্তি
৪. কর্ম শক্তি

অতএব দেখা যাচ্ছে ভাল অথবা মন্দ যে কাজই করা হোকনা কেন যৌবন-ই তার প্রধান উদ্যোক্তা। কারন মানুষ চুরি, ডাকাতি, জুলুম-নির্যাতন, অহংকার ইত্যাদি সব কিছুই করে যৌবন কালে দেখা যায়। যৌবনের দুধর্ষ এক লোক বার্ধক্যের কষাঘাতে নেহায়েত গোবেচারায় রুপান্তরিত হয়। কারন বার্ধক্য মানুষকে নিরীহ করে দেয়। তাই বার্ধক্য যেমন অন্যায় অত্যাচারের পথ রুদ্ধ করে দেয় তদ্রুপ যতো সৎ নিয়ত এবং প্রচেষ্টাই থাকে না কেন বার্ধক্য আসার পর কোন একটি ভাল কাজও সুচারু রুপে সম্পন্ন করা সম্ভব নয়, এখানে বার্ধক্য তার প্রধান অন্তরায়। এজন্য যৌবন এত গুরুত্বপূর্ণ।
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে
“পাঁচটি বস্তুকে গণিমতের মাল বলে মনে করতে হবে। তার একটি হলো বার্ধক্য আসার পূর্বে যৌবনের।” (মিশকাত)
অনেকেই মনে করে যৌবন যা কিছু মনে চায় করে বার্ধক্য আসার পর আল্লাহর নিকট তওবা করে সৎকাজে মনোনিবেশ করবো। এই ধারনাই মানুষকে স্বৈরাচারী করে তোলে। তাই হাদিসে এর প্রতিবাদ করা হয়েছে। এ জন্যই পরকালের প্রশ্নাবলীর মধ্যে যৌবন সংক্রান্ত প্রশ্নটি অন্যতম।

(৩) মানুষ পৃথিবীতে ভোগের জন্য সর্বদা পাগল পারা। তার একটা লক্ষ্য ধন সম্পদের স্তুপে সুখের সন্ধান করা। এ জন্য চুরি, ডাকাতি, অপরের সম্পদ হরণ অথবা ধোকাবাজী যা কিছু হোকনা কেন তাতে পরওয়া নেই। আর এভাবে যদি কোন সমাজ চলে তবে সে সমাজের ধ্বংস অনিবার্য। তাই বিশ্ব প্রভু সমাজের ভারসাম্য বজায় রেখে একটি সুখী সমৃদ্ধশীল সমাজ কায়েমের লক্ষে ধন-সম্পদ আয় এবং তার ব্যয়ের মধ্যেও শর্তারোপ করেছেন। যাতে সমাজের কারো কোন অধিকার ভোগ করতে পারে। নিম্নে সম্পদ অর্জনের মৌলিক বিধি নিষেধ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
১. কারও অধিকার নষ্ট করে সম্পদ অর্জন করা যাবে না। যেমন মিরাসের অংশ না দিয়ে অথবা মহরের প্রাপ্ত টাকা না দিয়ে ভোগ করা এতিমের মাল ভোগ করা ইত্যাদি।
২. ব্যভিচার বা কোন প্রকার দেহ ব্যবসার মাধ্যমে ও সম্পদ অর্জন করা যাবে না।
৩. চুরি, ডাকাতি, হত্যা, লুন্ঠন, ইত্যাদির মাধ্যমেও জীবিকা বা সম্পদ অর্জন করা যাবে না।
৪. কাউকে ধোকা দিয়ে বা ঠকিয়ে ধন সম্পদ অর্জন করা যাবে না।
৫. গান, বাজনা, অভিনয় ইত্যাদিকেও জীবনের পেশা হিসাবে গ্রহণ করা যাবে না।
৬. হারাম মালের দ্বারা ব্যবসার মাধ্যমে
৭. মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দ্রব্য সামগ্রী ৪০ দিনের অধিক জমা রেখে ঐ মুনাফা লব্ধ টাকার মাধ্যমে।
৮. সুদ অথবা ঘুষের মাধ্যমে সম্পদ আহরন বা বর্ধিত করা যাবে না।
৯. জুয়া, হাউজি, ভাগ্যগণনা, লটারী ইত্যাদির মাধ্যমেও সম্পদ অর্জন করা যাবে না।
১০. ওজনে কম দেওয়া।

উপরের বিধি গুলি সামনে রেখে উপার্জন করতে হবে। ব্যয়ের মৌলিক খাত সমূহ নিম্নে দেওয়া হলো।
১. ব্যক্তিগত ও পারিবারিক প্রয়োজনে ব্যয় করার অবাধ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে কিন্তু শর্তারোপ করা হয়েছে অপচয় না করার।
২. নেছাবের মালিক হলে যাকাত দিতে হবে।
৩. ছাদকা
৪. নিকট আত্মীয়ের হক
৫. ইয়াতিমের হক
৬. মিসকীনের হক, ভিক্ষুকের হক
৭. জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ
৮. বিভিন্ন ধরনের কাফ্ফারা আদায়
৯. পথিক বা পর্যটকের হক।

বস্তুত প্রত্যেকটি বনী আদমকেই প্রশ্ন করা হবে যে উপরোক্ত শর্তাবলীই পালন করেই সে সম্পদ আয় ও ব্যয় করেছে কি না?

(৪) বিশ্ব বাসীকে লক্ষ্য করে রাসূল (সা:) এর মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের প্রথম ফরমান-
“পড় তোমার প্রভুর নামে যিনি তোমাকে সৃষ্টি করিয়াছেন।”

এই আয়াতের তাৎপর্য হলো রবকে জানা বা বুঝার উদ্দেশ্য পড়তে হবে, অন্য কথায় দ্বীনের সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। মহানবী (সা:) বলেছেন:
“মুসলমান প্রতিটি নরনারীর উপর জ্ঞান অর্জন করা ফরজ”
স্রষ্টা-সৃষ্টি ও বিশ্ব জাহান সম্বন্ধে জ্ঞানার্জনের মাধ্যমেই প্রতিটি লোক তার নিজের এবং স্রষ্টার সম্বন্ধে জানতে ও বুঝতে পারে এবং সেই সাথে আরও বুঝতে পারে স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির সম্পর্ক কি আর তার দায়িত্ব ও কর্তব্য কি? এমনিভাবে মানুষ যখন তার স্রষ্টাক জানতে ও বুঝতে পারে তখন স্রষ্টার দেওয়া দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন তার জন্য সহজ হয়ে যায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কালামে ইরশাদ করেন
“আল্লাহ ঈমানদারের বন্ধু। তিনি মানুষকে অন্ধকার হতে আলোর দিকে পথ দেখান।”

তবে আল্লাহর উপর ঈমান আনতে হবে তাগুতকে অস্বীকার করে। সুরা বাকারার অন্যত্র বলা হয়েছে

“যে তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর পথে ঈমান আনল সে এমন একটি মজবুত রশি ধারণ করল যা কখনও ছিড়বে না।”

সংগৃহীত

11/04/2023

হিন্দুদের যেমন অসংখ্য মা তাওহীদ থেকে দূরে রেখেছে, তেমনি আজ মুসলমানদের ঈমান আমল নষ্ট করছে অসংখ্য বাবা।

09/04/2023

মুহতারাম উস্তাদ প্রফেসর ড. Syed Maksudur Rahman স্যার এর ওয়াল থেকে

১৭ই রমজানে বদরের যুদ্ধ:একটি পর্যালোচনা

----প্রফেসর ড. সৈয়দ মাকসুদুর রহমান

ভূমিকা:
আমরা বদরের বা গাযওযাতে বদর নিয়ে অনেক আলোচনা পেয়েছি। অনেক বর্ণনা এবং ফলাফল কিছুটা কাল্পনিকভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আলোচ্য প্রবন্ধে বদরের যুদ্ধ বিষয়ক আলোচনা কুরআন ও হাদীস এর আলোকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আশা করি পাঠকগণ সঠিক ইতিহাস জানতে পারবেন এবং সামাজিক ও ব্যক্তিগত জীবনে উপকৃত হবেন। বদর যুদ্ধ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
﴿إِذْ هَمَّتْ طَائِفَتَانِ مِنْكُمْ أَنْ تَفْشَلَا وَاللَّهُ وَلِيُّهُمَا وَعَلَى اللَّهِ فَلْيَتَوَكَّلِ الْمُؤْمِنُونَ - وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ﴾
অর্থ: "যখন তোমাদের দু'টি দল সাহস হারাবার উপক্রম হলো, অথচ আল্লাহ তাদের সাহায্যকারী ছিলেন, আর আল্লাহর উপরই ভরসা করা মুমিনদের উচিত।" (আলে ইমরান: আয়াত: ১২২-১২৩) আল্লাহ তা’আলা আরো ইরশাদ করেন,
إِذْ تَقُولُ لِلْمُؤْمِنِينَ أَلَنْ يَكْفِيَكُمْ أَنْ يُمِدَّكُمْ رَبُّكُمْ بِثَلَاثَةِ آَلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُنْزَلِينَ - بَلَى إِنْ تَصْبِرُوا وَتَتَّقُوا وَيَأْتُوكُمْ مِنْ فَوْرِهِمْ هَذَا يُمْدِدْكُمْ رَبُّكُمْ بِخَمْسَةِ آَلَافٍ مِنَ الْمَلَائِكَةِ مُسَوِّمِينَ﴾
অর্থ: "হে নবী! স্মরণ করুন যখন আপনি বিশ্বাসীগণকে বলেছিলেন, এটা কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের প্রতিপালক তিন হাজার ফেরেশতা পাঠিয়ে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন?" (আলে ইমরান: আয়াত: ১২৪-১২৫) এ আয়াতের তাফসীরে এসেছে,
﴿ وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ ﴾.
الوجيز في تفسير الكتاب العزيز للواحدي: ﴿ ولقد نصركم الله ببدرٍ وأنتم أذلَّةٌ ﴾ بقلَّة العدد وقلَّة السِّلاح ﴿ فاتقوا الله لعلكم تشكرون ﴾؛ أَيْ: فاتقونِ فإنه شكر نعمتي.
تفسير البغوي "معالم التنزيل": قَوْلُهُ تَعَالَى: ﴿ وَلَقَدْ نَصَرَكُمُ اللَّهُ بِبَدْرٍ ﴾، وَبَدْرٌ مَوْضِعٌ بَيْنَ مَكَّةَ والمدينة وهو اسم موضع، وَعَلَيْهِ الْأَكْثَرُونَ، وَقِيلَ: اسْمٌ لِبِئْرٍ هُنَاكَ، وَقِيلَ: كَانَتْ بَدْرٌ بِئْرًا لِرَجُلٍ يُقَالُ لَهُ بَدْرٌ، قَالَهُ الشَّعْبِيُّ، وَأَنْكَرَ الْآخَرُونَ عَلَيْهِ، يَذْكُرُ اللَّهُ تَعَالَى فِي هَذِهِ الْآيَةِ مِنَّتَهُ عَلَيْهِمْ بِالنُّصْرَةِ يَوْمَ بَدْرٍ، ﴿ وَأَنْتُمْ أَذِلَّةٌ ﴾، جَمْعُ: ذَلِيلٍ، وَأَرَادَ بِهِ قِلَّةَ الْعَدَدِ فَإِنَّهُمْ كَانُوا ثَلَاثَمِائَةٍ وَثَلَاثَةَ عَشَرَ رَجُلًا فَنَصَرَهُمُ الله مع قلة عددهم وعددهم ،﴿ فَاتَّقُوا اللَّهَ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ﴾

বদর যুদ্ধ প্রথম প্রধান যুদ্ধ
মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত ইসলামের ইতিহাসে প্রথম প্রধান যুদ্ধ। বদরের যুদ্ধ যাকে আরবি ভাষায় (غزوة بدر‎‎) বলা হয়। যে যুদ্ধের নেতৃত্ব স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদান করেন। অনেকেই বলেছেন, যে যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অংশ গ্রহণ করেন তাকে গাযওযাত বলে। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি অংশ গ্রহণ করেনি সেটাকে সারিয়্যাহ। এ বিষয়ে কিছু তথ্য প্রদান করা হলো-
﴿تعرف المعركة بالعموم على أنّها قتال بين طرفين بغض النظر عن أديانهم أو أعراقهم أو أهدافهم، وتندرج الغزوة والسرية تحت مفهوم المعركة، أما الغزوة فهي المعركة التي حدثت في عهد الرسول عليه الصلاة والسلام وشارك فيها، وأما السريّة فهي المعركة التي حدثت في عهد الرسول عليه الصلاة والسلام ولم يشارك فيها﴾
২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত হয়। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এতে জয়ের ফলে মুসলিমদের ক্ষমতা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন,
﴿وَقُلْ جَاءَ الْحَقُّ وَزَهَقَ الْبَاطِلُ ۚ إِ الْبَاطِلَ كَانَ زَهُوقًا﴾
অর্থ: “আর বলুন, ‘হক এসেছে ও বাতিল বিলুপ্ত হয়েছে; ‘নিশ্চয় বাতিল বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।” (সূরা আল ইসরা :আয়াত ৮১)

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ:
বদর যুদ্ধ মুসলিম ও কুরাইশ এর মধ্যে সংঘটিত হয়। এখানে হাদীসের সারসংক্ষেপ হলো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের পূর্বে কোনো অত্যাচার ও নির্যাতনের উত্তর দেননি। যেমন, শুরুতে কুরাইশগণ মল্ল যুদ্ধের আহ্বান জানায় হামজা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আলি আলী রাদি আল্লাহ তা’আলা আনহু কর্তৃক মুসলিম বাহিনীর অংশ গ্রহণ করার জন্য। তারা আহবান জানালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লম অনুমতি দেন।

তারিখ ১৭ রমজান ২ হিজরি / ১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ (অবস্থান মদিনার দক্ষিণ পশ্চিমে ৮০ মাইল অদূরে বদর উপত্যকা ৩১৩জন পদাতিক, ২টি ঘোড়া, ৭০টি উট।

বদর যুদ্ধের ফলাফল
মুসলিমদের (বিজয়) যুদ্ধমান পক্ষ মদিনার মুসলিম মক্কার কুরাইশ সেনাধিপতি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু, উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু, হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু, আলি ইবনে আবি তালিব রাদিয়াল্লাহু আনহু, কাফেরদের নেতৃত্ব দেয় আবু জাহল। আল্লাহ তায়ালার বাণী-
﴿قَدْ كَانَ لَكُمْ آيَةٌ فِي فِئَتَيْنِ الْتَقَتَا ۖ فِئَةٌ تُقَاتِلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَأُخْرَىٰ كَافِرَةٌ يَرَوْنَهُم مِّثْلَيْهِمْ رَأْيَ الْعَيْنِ ۚ وَاللَّهُ يُؤَيِّدُ بِنَصْرِهِ مَن يَشَاءُ ۗ إِنَّ فِي ذَٰلِكَ لَعِبْرَةً لِّأُولِي الْأَبْصَارِ﴾
অর্থ: “নিশ্চয়ই দুটো দলের মোকাবিলার মধ্যে তোমাদের জন্য নিদর্শন ছিল। একটি দল আল্লাহর পথে যুদ্ধ করেছিল। আর অপর দল ছিল অবিশ্বাসী। এরা বিশ্বাসীদেরকে দ্বিগুণ দেখছিল এবং এর ফলে কাফেররা ভীত হয়ে পড়েছিল। আর আল্লাহ যাকে ইচ্ছে করেন নিজের সাহায্যের মাধ্যমে শক্তি দান করেন। নিশ্চয়ই এতে অন্তর্দৃষ্টি সম্পন্নদের জন্য অনেক শিক্ষা রয়েছে।" (আলে ইমরান, আয়াত: ১৩)

কাফেরদের মধ্যে উতবা ইবনে রাবিয়া এবং উবাই ইবনে খালাফ, ৯৫০জন পদাতিক, ১০০টি ঘোড়া, ১৭০টি উট আমিরূল মুমিনুন উমার ইবন খাত্তব রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত-
﴿من حديث عمر ابن الخطاب رضي اللهُ عنه قال: لَمَّا كَانَ يَوْمُ بَدْرٍ نَظَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم إِلَى الْمُشْرِكِينَ وَهُمْ أَلْفٌ وَأَصْحَابُهُ ثَلَاثُ مِائَةٍ وَتِسْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا، فَاسْتَقْبَلَ نَبِيُّ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم الْقِبْلَةَ، ثُمَّ مَدَّ يَدَيْهِ فَجَعَلَ يَهْتِفُ بِرَبِّهِ: "اللَّهُمَّ أَنْجِزْ لِي مَا وَعَدْتَنِي، اللَّهُمَّ آتِ مَا وَعَدْتَنِي، اللَّهُمَّ إِنْ تُهْلِكْ هَذِهِ الْعِصَابَةَ مِنْ أَهْلِ الْإِسْلَامِ لَا تُعْبَدْ فِي الْأَرْضِ﴾
অনুরূপ বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহাবীগণ পরস্পর আলোচনা করতাম যে, বাদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সহাবীদের সংখ্যা তালুতের সঙ্গে যারা নদী পার হয়েছিলেন তাদের সমানই ছিল এবং তিনশ’ দশ জনের অধিক ঈমানদার ব্যতীত কেউ তাঁর সঙ্গে নদী পার হতে পারেনি। (সহীহ মুসলিম, খন্ড-৯, পৃ. ২১৪) হাদীস নং ৩৩০৯ হাদীসে এসেছে-
﴿بَاب عِدَّةِ أَصْحَابِ بَدْرٍ عَبْدُ اللهِ بْنُ رَجَاءٍ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيْلُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ كُنَّا أَصْحَابَ مُحَمَّدٍ نَتَحَدَّثُ أَنَّ عِدَّةَ أَصْحَابِ بَدْرٍ عَلَى عِدَّةِ أَصْحَابِ طَالُوْتَ الَّذِيْنَ جَاوَزُوْا مَعَهُ النَّهَرَ وَلَمْ يُجَاوِزْ مَعَهُ إِلَّا مُؤْمِنٌ بِضْعَةَ عَشَرَ وَثَلَاث﴾
অর্থ: “বারা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহাবীগণ পরস্পর আলোচনা করতাম যে, বাদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সহাবীদের সংখ্যা তালুতের সঙ্গে যারা নদী পার হয়েছিলেন তাদের সমানই ছিল এবং তিনশ’ দশ জনের অধিক ঈমানদার ব্যতীত কেউ তাঁর সঙ্গে নদী পার হতে পারেনি। হাদীস নং [৩৯৫৭] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদেরর যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী সকলের জন্য সুসংবাদ প্রদান করেন,
﴿أن أهلها مغفور لهم، روى الإمام أحمد في مسنده من حديث أبي هريرة رضي اللهُ عنه وأصله في الصحيحين أن النبي صلى اللهُ عليه وسلم قال: "إنَّ اللَّهَ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ"[ قال ابن حجر: "وهي بشارة عظيمة لم تقع لغيرهم﴾

হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিহত ১৪ (শহীদ হন):
এ যুদ্ধে ১৪ জন সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম শাহাদত বরণ করেন। (বদরের যুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিচয় হলঃ
﴿وفي الصحيحين عن ابن عمرو أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : “من قتل دون ماله فهو شهيد” ، وكان سبب هذه الغزوة أن قريشاً كانت تعامل المسلمين بقسوة ووحشية منعدمة النظير مما حدا بالمسلمين إلى الهجرة من مكة المكرمة إلى المدينة المنورة ، لكن قريشاً لم تكُف اليد عن إيذاء المسلمين بل لجأت إلى مصادرة أموالهم ونهب ممتلكاتهم ، واستمرت في مواقفها التعسفية هذه تجاه المسلمين حتى اُخبر النبي ( صلى الله عليه وآله وسلم) بأن القافلة التجارية الكبرى لقريش المحملة بمختلف البضائع والأموال ، والتي تقدر قيمتها بخمسين ألف دينار ، والمحملة على ألف بعير سوف تمرّ بالقرب من المدينة ، وهي في طريق عودتها إلى مكة المكرمة قادمة من الشام ، عندها قرر النبي ( صلى الله عليه وآله وسلم ) أن يقابلهم بالمثل ، ويحاول من أجل استرداد شيء مما نهبه كفار قريش من المسلمين ، وذلك عن طريق مصادرة أموال المسلمين التي كانت بحوزة قريش بالإغارة على قافلتهم ومصادرتها. ﴾হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি নিহত ১৪ (শহীদ হন):
এ যুদ্ধে ১৪ জন সাহাবী রাদিয়াল্লাহু আনহুম শাহাদত বরণ করেন। (বদরের যুদ্ধে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিচয় হলঃ
﴿وفي الصحيحين عن ابن عمرو أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : “من قتل دون ماله فهو شهيد” ، وكان سبب هذه الغزوة أن قريشاً كانت تعامل المسلمين بقسوة ووحشية منعدمة النظير مما حدا بالمسلمين إلى الهجرة من مكة المكرمة إلى المدينة المنورة ، لكن قريشاً لم تكُف اليد عن إيذاء المسلمين بل لجأت إلى مصادرة أموالهم ونهب ممتلكاتهم ، واستمرت في مواقفها التعسفية هذه تجاه المسلمين حتى اُخبر النبي ( صلى الله عليه وآله وسلم) بأن القافلة التجارية الكبرى لقريش المحملة بمختلف البضائع والأموال ، والتي تقدر قيمتها بخمسين ألف دينار ، والمحملة على ألف بعير سوف تمرّ بالقرب من المدينة ، وهي في طريق عودتها إلى مكة المكرمة قادمة من الشام ، عندها قرر النبي ( صلى الله عليه وآله وسلم ) أن يقابلهم بالمثل ، ويحاول من أجل استرداد شيء مما نهبه كفار قريش من المسلمين ، وذلك عن طريق مصادرة أموال المسلمين التي كانت بحوزة قريش بالإغارة على قافلتهم ومصادرتها. ﴾

এই বুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে হাদীসে এসেছে
﴿روى البخاري في صحيحه من حديث أنس بن مالك رضي اللهُ عنه: أَنَّ أُمَّ الرُّبَيِّعِ بِنْتَ الْبَرَاءِ وَهِيَ أُمُّ حَارِثَةَ بْنِ سُرَاقَةَ أَتَتِ النَّبِيَّ صلى اللهُ عليه وسلم فَقَالَتْ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ: أَلَا تُحَدِّثُنِي عَنْ حَارِثَةَ؟ وَكَانَ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ، أَصَابَهُ سَهْمٌ غَرْبٌ، فَإِنْ كَانَ فِي الْجَنَّةِ صَبَرْتُ، وَإِنْ كَانَ غَيْرَ ذَلِكَ اجْتَهَدْتُ عَلَيْهِ فِي الْبُكَاءِ، قَالَ: "يَا أُمَّ حَارِثَةَ! إِنَّهَا جِنَانٌ فِي الْجَنَّةِ، وَإِنَّ ابْنَكِ أَصَابَ الْفِرْدَوْسَ الْأَعْلَى﴾
১. হযরত ওবায়দা ইবনে হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু - মুহাজির।
২. হযরত ওমায়ের ইবনে আবু ওয়াক্কাস রাদিয়াল্লাহু আনহু - মুহাজির।
৩. হযরত যুশ-শিমালাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু মুহাজির।
৪. হযরত আকিল ইবনে বুকাইল রাদিয়াল্লাহু আনহু - মুহাজের।
৫. হযরত মাহজা ইবনে সালেহ রাদিয়াল্লাহু আনহু মুহাজির। তিনি ছিলেন হযরত ওমর ইযনুল রাদিয়াল্লাহু আনহু এর আযাদকৃত ক্রীতদাস।
৬. হযরত সাফওয়ান ইবনে বায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু মুহাজির।
৭. হযরত সাদ ইবনে খায়সামা রাদিয়াল্লাহু আনহু - আনসার।
৮. হযরত মুবাশ্বর ইবনে আবদুল মুনযির রাদিয়াল্লাহু আনহু আনসার।
৯. হযরত ওমায়ের ইবনে হুমাম রাদিয়াল্লাহু আনহু আনসার।
১০. হযরত ইয়াযিদ ইবনে হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু - আনসার।
১১. হযরত রাফি ইবনে মুয়াল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু আনসার।
১২. হযরত হারিছা ইবনে সুরাকা রাদিয়াল্লাহু আনহু - আনসার।
১৩. হযরত আওফ ইবনে হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু - আনসার।
১৪. হযরত মুআওবিয ইবনে হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু আনসার।

শূহাদা বদর এর কবরের পাদদেশে দাঁড়িয়ে আছেন লেখক
আল্লাহ তায়ালার বাণী-
﴿الَّذِينَ تَوَفَّاهُمُ الْمَلَائِكَةُ ظَالِمِي أَنْفُسِهِمْ قَالُوا فِيمَ كُنْتُمْ قَالُوا كُنَّا مُسْتَضْعَفِينَ فِي الْأَرْضِ قَالُوا أَلَمْ تَكُنْ أَرْضُ اللَّهِ وَاسِعَةً فَتُهَاجِرُوا فِيهَا فَأُولَئِكَ مَأْوَاهُمْ جَهَنَّمُ وَسَاءَتْ مَصِيرًا﴾
অর্থ: "যারা নিজের ওপর অত্যাচার করেছে, তাদের প্রাণ হরণের সময় ফেরেশতারা বলবে তোমরা কি অবস্থায় ছিলে? তারা উত্তরে বলবে, আমরা আমাদের শহরে অসহায় ছিলাম। ফেরেশতারা বলবে, আল্লাহর পৃথিবী কি প্রশস্ত ছিল না? তোমরা হিজরত করতে পারতে। অতএব, এদের বাসস্থান হলো জাহান্নাম এবং তা অতি মন্দ স্থান।" (সূরা নিসা, আয়াত:৯৭)
﴿الْمُسْتَضْعَفِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ وَالْوِلْدَانِ لَا يَسْتَطِيعُونَ حِيلَةً وَلَا يَهْتَدُونَ سَبِيلًا- فَأُولَئِكَ عَسَى اللَّهُ أَنْ يَعْفُوَ عَنْهُمْ وَكَانَ اللَّهُ عَفُوًّا غَفُورًا﴾
অর্থ: "কিন্তু পুরুষ, নারী ও শিশুদের মধ্যে যারা অসহায় এবং মুক্তির জন্য কোন উপায় বের করতে পারে না এবং কোন পথও জানে না।" (সূরা নিসা, আয়াত::৯৮) কাফিরদের মধ্যে নিহত ৭০জন। তাদের মধ্যে অন্যতম, বন্দী ৭০। আল-হাদীস এসেছে-
﴿روى مسلم في صحيحه من حديث ابن عباس رضي اللهُ عنهما قال: بَيْنَمَا رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ يَوْمَئِذٍ يَشْتَدُّ فِي أَثَرِ رَجُلٍ مِنَ الْمُشْرِكِينَ أَمَامَهُ، إِذْ سَمِعَ ضَرْبَةً بِالسَّوْطِ فَوْقَهُ، وَصَوْتَ الْفَارِسِ يَقُولُ: أَقْدِمْ حَيْزُومُ[3]؛ فَنَظَرَ إِلَى الْمُشْرِكِ أَمَامَهُ فَخَرَّ مُسْتَلْقِيًا، فَنَظَرَ إِلَيْهِ فَإِذَا هُوَ قَدْ خُطِمَ أَنْفُهُ، وَشُقَّ وَجْهُهُ كَضَرْبَةِ السَّوْطِ، فَاخْضَرَّ ذَلِكَ أَجْمَعُ، فَجَاءَ الْأَنْصَارِيُّ فَحَدَّثَ بِذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم فَقَالَ: "صَدَقْتَ، ذَلِكَ مِنْ مَدَدِ السَّمَاءِ الثَّالِثَةِ"، فَقَتَلُوا يَوْمَئِذٍ سَبْعِينَ، وَأَسَرُوا سَبْعِينَ﴾
আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
﴿ قُلْ لِلَّذِينَ كَفَرُوا سَتُغْلَبُونَ وَتُحْشَرُونَ إِلَى جَهَنَّمَ وَبِئْسَ الْمِهَادُ ﴾
অর্থ: “যারা আমার নিদর্শনকে অবিশ্বাস করেছে তাদেরকে বলুন, শীঘ্রই তোমরা পরাজিত হবে এবং তোমাদেরকে জাহান্নামে জড়ো করা হবে। জাহান্নাম খুবই নিকৃষ্ট।" (আলে ইমরান, আয়াত:১২)

যুদ্ধের পূর্বে ৬২৩ থেকে ৬২৪ সালের মধ্যে মুসলিম ও কুরাইশদের মধ্যে বেশ কিছু খন্ডযুদ্ধ হয়। বদর ছিল দুই বাহিনীর মধ্যে প্রথম বড় আকারের যুদ্ধ। যুদ্ধে সুসংগঠিত মুসলিমরা মক্কার সৈনিকদের সারি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়। যুদ্ধে মুসলিমদের প্রধান প্রতিপক্ষ আবু জাহল নিহত হয়। মুসলিমদের বিজয়ের অন্যদের কাছে বার্তা পৌছায় যে মুসলিমরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এর ফলে নেতা হিসেবে মুহাম্মাদ এর অবস্থান দৃঢ় হয়।

পটভূমি
বদর যুদ্ধের মানচিত্র কী ছিল। এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে-
﴿من حديث جابر رضي اللهُ عنه: أَنَّ عَبْدًا لِحَاطِبٍ جَاءَ رَسُولَ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم يَشْكُو حَاطِبًا، فَقَالَ، يَا رَسُولَ اللَّهِ لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ، فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم: "كَذَبْتَ لَا يَدْخُلُهَا، فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ﴾
বদরে যাত্রা সম্পাদনা মুহাম্মাদ এর সাথে মুসলিম বাহিনীতে ছিলেন আবু বকর, উমর ইবনুল খাত্তাব, আলি ইবনে আবি তালিব, হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব, মুসআব ইবনে উমাইর, যুবাইর ইবনুল আওয়াম, আম্মার ইবনে ইয়াসির ও আবু যার আল-গিফারী। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে উসমান ইবনে আফফান যুদ্ধে যেতে পারেননি।

সালমান ফারসি এসময় অন্যের দাস ছিলেন তাই তিনিও যুদ্ধে অংশ নেননি। বাহিনীতে সৈনিক সংখ্যা ছিল ৩১৩জন। এর মধ্যে মুহাজির ছিলেন ৮২জন এবং আনসারদের মধ্যে আওস গোত্রের ছিলেন ৬১জন ও খাজরাজ গোত্রের ছিলেন ১৭০জন। মুসলিমদের সাথে ৭০টি উট ও দুইটি ঘোড়া ছিল। ফলে তাদের সামনে পায়ে হেটে যাওয়া বা প্রতি দুই বা তিনজনের জন্য একটি উট ব্যবহার ছাড়া উপায় ছিল না। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
﴿وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ثُمَّ تُوَفَّى كُلُّ نَفْسٍ مَا كَسَبَتْ وَهُمْ لا يُظْلَمُونَ﴾
অর্থ: “কোন নবীর পক্ষেই অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করা সম্ভব নয়। যে অন্যায়ভাবে কিছু গোপন করে কেয়ামতের দিন অর্থাৎ বিচার দিবসে সে তা নিয়ে আসবে। প্রত্যেক ব্যক্তি যা অর্জন করেছে তার পূর্ণ প্রতিফল তাকে দেয়া হবে এবং কারো ওপর জুলুম করা হবে না।" (আলে ইমরান, আয়াত:১৬১)

ইমাম তিরমিজি এ আয়াতের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে হাদীস উপস্থাপন করেন,
﴿روى الترمذي في سننه من حديث ابن عباس - رضي الله عنهما - قال: نزلت هذه الآية ﴿ وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ﴾ في قطيفة حمراء افتقدت يوم بدر، فقال بعض الناس: لعل رسول الله - صلى الله عليه وسلم - أخذها، فأنزل الله: ﴿ وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ﴾ إلى آخر الآية
একটি উটে পালাক্রমে দুই বা তিনজন আরোহণ করতেন। এই ব্যবস্থায় মুহাম্মাদ , আলি ইবনে আবি তালিব ও মারসাদ ইবনে আবি মারসাদের জন্য একটি উট বরাদ্দ হয়েছিল। হাদীসে এসেছে-
﴿روى الإمام أحمد في مسنده من حديث ابن عباس رضي اللهُ عنهما قال: "قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى اللهُ عليه وسلم حِينَ فَرَغَ مِنْ بَدْرٍ: عَلَيْكَ الْعِيرَ لَيْسَ دُونَهَا شَيْءٌ. قَالَ: فَنَادَاهُ الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ: إِنَّهُ لَا يَصْلُحُ لَكَ، قَالَ: "وَلِمَ؟" قَالَ: لِأَنَّ اللَّهَ عزَّ وجلَّ إِنَّمَا وَعَدَكَ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ، وَقَدْ أَعْطَاكَ مَا وَعَدَكَ﴾
মুহাম্মাদ সার্বিক নেতৃত্বের জন্য মুসআব ইবনে উমাইরকে একটি সাদা পতাকা প্রদান করেন। মুহাজিরদের ও আনসারদের জন্য একটি করে কালো পতাকা যথাক্রমে আলি ইবনে আবি তালিব এবং সাদ ইবনে মুয়াজকে প্রদান করা হয়। বাহিনীর ডান ও বাম অংশের প্রধান হিসেবে যথাক্রমে যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও মিকদাদ ইবনে আমরকে নিযুক্ত করা হয়। মুসলিম বাহিনীতে থাকা দুইটি ঘোড়ায় তারা আরোহণ করেছিলেন। পেছনের অংশের প্রধান হিসেবে কাইস ইবনে আবিকে নিয়োগ দেয়া হয়। মুহাম্মাদ সমগ্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।কুরাইশ কাফেলা
আক্রমণের আশঙ্কায় কুরাইশ কাফেলার নেতা আবু সুফিয়ান-
﴿عادى الإسلام والمسلمين، وكان على رأس غزوتي بدر وأحد، واشترك في حصار المدينة في غزوة الخندق. هادن المسلمين في صلح الحديبية، ثم أسلم عند فتح مكة، ورفع النبي من شأنه، فأمن كل من يدخل داره، وولاه على نجران. ثم خرج مع المسلمين في فتوحهم وغزواتهم. فاشترك في حنيناً والطائف، ففقئت عينه يوم الطائف، ثم فقئت الأخرى يوم اليرموك، فعمي. توفي عن 88 سنة في العام 31 هـ﴾.
যাত্রাপথে সাক্ষাত লাভ করা বিভিন্ন কাফেলাগুলির কাছ থেকে মুসলিম বাহিনীর সম্ভাব্য অভিযানের ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছিলেন। ফলে তিনি মুসলিমদের আক্রমণের খবর পান। তাই সাহায্য চেয়ে জমজম ইবনে আমর গিফারিকে বার্তা বাহক হিসেবে মক্কা পাঠানো হয়। সে দ্রুত মক্কা পৌছায় এবং তৎকালীন আরব রীতি অনুযায়ী উটের নাক চাপড়ায়, আসন উল্টিয়ে দেয়, নিজের জামা ছিড়ে ফেলে এবং উটে বসে ঘোষণা করে যে মক্কার কাফেলা মুসলিমদের হাতে পড়তে পারে।
মক্কার বাহিনী
কুরাইশগণ, কাফেলা আক্রান্ত, কাফেলা আক্রান্ত। আবু সুফিয়ানের সাথে তোমাদের সম্পদ রয়েছে, তার উপর আক্রমণ চালানোর জন্য মুহাম্মাদ ও তার সঙ্গীরা এগিয়ে আসছে। তাই আমার মনে হয় না যে তোমরা তা পাবে। তাই সাহায্যের জন্য “এগিয়ে চলো, এগিয়ে চলো” মক্কায় পৌঁছানোর পর জমজম ইবনে আমর গিফারির আহ্বান-
﴿ضمضم بن عمرو الغفاري هو رجل بعثه أبو سفيان بن حرب إلى قريش يستفزهم إلى نصرة رجالهم وأموالهم عندما علم أن النبي أرسل بعض رجاله له ولقافلته، فبعثه إلى مكة، وأمره أن يأتي قريشا فيستنفرهم إلى أموالهم، ويخبرهم أن محمدا قد عرض لها في أصحابه , فخرج ضمضم بن عمرو سريعا إلى مكة , فلما وصل إلى قريش استقر ببطن الوادي يصرخ واقفا على بعيره قد جدع بعيره وحول رحله وشق قيمصه، وهو يقول : يا معشر قريش، اللطيمة اللطيمة، أموالكم مع أبي سفيان قد عرض لها محمد في أصحابه لا أرى أن تدركوها الغوث الغوث. ﴾
এই খবর শোনার পর মক্কায় আলোড়ন শুরু হয়। দ্রুত ১,৩০০ সৈনিকের এক বাহিনী গড়ে তোলা হয় এবং আবু জাহল বাহিনীর প্রধান হন। এই বাহিনীতে অসংখ্য উট, ১০০ ঘোড়া ও ৬০০ লৌহবর্ম‌ ছিল। নয়জন সম্ভ্রান্ত কুরাইশ রসদ সরবরাহের দায়িত্ব নেন। বাহিনীর জন্য দৈনিক কখনো ৯টি এবং কখনো ১০টি উট জবাই করা হত। আবু জাহল, উতবা ইবনে রাবিয়া, শাইবা ইবনে রাবিয়া, আবুল বাখতারি ইবনে হিশাম, হাকিম ইবনে হিজাম, নওফেল ইবনে খুয়াইলিদ, হারিস ইবনে আমির, তুয়াইমা ইবনে আদি, নাদার ইবনে হারিস, জামআ ইবনে আসওয়াদ ও উমাইয়া ইবনে খালাফসহ মক্কার অনেক অভিজাত ব্যক্তি মক্কার বাহিনীতে যোগ দেন। এর কয়েকটি কারণ ছিল। কেউ কাফেলায় নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, অন্যরা ইবনে আল-হাদরামির মৃত্যুর বদলা নিতে চেয়েছিলেন। এছাড়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহজে জয়ী হওয়া যাবে এই বিশ্বাসেও কেউ কেউ যোগ দেয়।আবু লাহাব নিজে যুদ্ধে অংশ না নিয়ে তার কাছে ৪,০০০ দিরহাম ঋণগ্রস্থ আসি ইবনে হিশাম ইবনে মুগিরাকে ঋণের বিনিময়ে পাঠায়। উমাইয়া ইবনে খালাফ প্রথমে যুদ্ধে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় উকবা ইবনে আবু মুয়াইত তাকে নারী হিসেবে সম্বোধন করে। এর ফলে উমাইয়া ইবনে খালাফ লজ্জিত হয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। তবে কুরাইশদের মধ্যে বনু আদি গোত্রের কেউ এই যুদ্ধে অংশ নেয়নি।

অন্যদিকে আবু সুফিয়ান ক্রমাগত খবরাখবর সংগ্রহ করছিলেন। বদরের নিকটে পৌছার পর মাজদি ইবনে আমর নামক এক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। তাকে তিনি মদিনার বাহিনী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মাজদি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। তবে জানান যে দুইজন উষ্ট্রারোহীকে তিনি টিলার পাশে উট বসিয়ে মশকে পানি পূর্ণ করতে দেখেছেন। তাই আবু সুফিয়ান সতর্কতা হিসেবে সেখানে যান এবং উটের গোবর ভেঙে দেখেন। গোবর থেকে প্রাপ্ত খেজুরের বিচি দেখে বুঝতে পারেন এগুলি মদিনার খেজুর ফলে মুসলিমদের আগমনের ব্যাপারে তিনি সন্দেহমুক্ত হন। এরপর তিনি কাফেলাকে নিয়ে সমুদ্র উপকূলের দিকে ইয়ানবুতে চলে যান। মক্কার বাহিনী জুহফা নামক স্থানে পৌছার পর আবু সুফিয়ানের প্রেরিত বার্তা বাহক এসে জানায় যে কাফেলা নিরাপদ আছে তাই আর অগ্রসর না হয়ে ফিরে যাওয়া উচিত।

এই খবর পাওয়ার পর মক্কার বাহিনীর অধিকাংশ ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু বাহিনীর প্রধান আবু জাহল যুদ্ধ না করে ফিরে যেতে এরপর বনু জুহরা গোত্রের মিত্র ও গোত্রটির সেনাপ্রধান আখনাস ইবনে শারিক ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অধিকাংশ তার পক্ষে সায় না দেয়ায় তিনি বনু জুহরা গোত্রের ৩০০ সদস্য নিয়ে মক্কা ফিরে আসেন। এর ফলে মক্কার বাহিনীতে সেনাসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১,০০০। পরবর্তীতে বনু জুহরা গোত্রের সদস্যরা আখনাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে আনন্দ প্রকাশ করেছিল।

একইভাবে বনু হাশিমও মক্কায় ফিরে যেতে চায়। কিন্তু আবু জাহলের জেদের কারণে তারা যুদ্ধে অংশ নেয়। মক্কার বাহিনী অগ্রসর হয়ে বদর উপত্যকার একটি টিলার পেছনে আশ্রয় নেয়। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
﴿فَكُلاًّ أَخَذْنَا بِذَنْبِهِ فَمِنْهُمْ مَنْ أَرْسَلْنَا عَلَيْهِ حَاصِباً وَمِنْهُمْ مَنْ أَخَذَتْهُ الصَّيْحَةُ وَمِنْهُمْ مَنْ خَسَفْنَا بِهِ الأَرْضَ وَمِنْهُمْ مَنْ أَغْرَقْنَا وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيَظْلِمَهُمْ وَلَكِنْ كَانُوا أَنْفُسَهُمْ يَظْلِمُونَ ﴾
অর্থ: “এবং আমি সংহার করেছিলাম কারুন, ফেরাউন ও হামানকে; মূসা ওদের নিকট স্পষ্ট নিদর্শনসহ এসেছিল, তারপরও তারা দেশে অহংকার ও দম্ভ করেছিল; কিন্তু ওরা আমার শাস্তি এড়াতে পারেনি।" (সূরা আনকাবুল, আয়াত: ৩৯)

লেখকের পিছনে রয়েছে মাসজিদুল আরীশ যেখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের পরামর্শ করেছিলেন।
মুসলিম পরিকল্পনা
এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
﴿وَإِذْ يَعِدُكُمُ اللَّهُ إِحْدَى الطَّائِفَتَيْنِ أَنَّهَا لَكُمْ وَتَوَدُّونَ أَنَّ غَيْرَ ذَاتِ الشَّوْكَةِ تَكُونُ لَكُمْ وَيُرِيدُ اللَّهُ أَنْ يُحِقَّ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَيَقْطَعَ دَابِرَ الْكَافِرِينَ﴾
অর্থ: “আর স্মরণ করো, আল্লাহ তোমাদের প্রতিশ্রুতি দেন যে দুই দলের এক দল তোমাদের আয়ত্তে আসবে। অথচ তোমরা চাইছিলে যে নিরস্ত্র দলটি তোমাদের আয়ত্তে আসুক, আর আল্লাহ চাইছিলেন সত্যকে তার বাণী দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং অবিশ্বাসীদেরকে নির্মূল করতে।” (সূরা আল-আনফাল, আয়াত: ৭)

মুসলিমরা মক্কার বাহিনীর অগ্রযাত্রার খবর পায়। মুসলিম বাহিনীটি মূলত কাফেলা আক্রমণের জন্য গঠিত হয়েছিল, ব্যাপক যুদ্ধের জন্য তারা প্রস্তুত ছিল না। মুসলিমরা এসময় কুরাইশদের মুখোমুখি না হয়ে ফিরে যেতে পারত কিন্তু এর ফলে কুরাইশদের ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেত এবং তারা অগ্রসর হয়ে মদিনা আক্রমণ করতে পারত। অন্যদিকে বাহিনীতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মদিনার আনসাররা আকাবার বাইয়াত অনুযায়ী মদিনার বাইরে গিয়ে যুদ্ধ করতে বাধ্য ছিল না এবং অভিযানের ব্যয়ভার তাদের উপর বেশি ছিল। তাই উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনার জন্য মুহাম্মাদ যুদ্ধসভার আহ্বান করেন। সভায় মুহাজির, আনসার সকলেই কুরাইশদের মুখোমুখি হওয়ার ব্যাপারে মত দেয়। এরপর মুসলিমরা অগ্রসর হয়ে বদরের নিকটে পৌঁছায়।

এখানে পৌঁছার পর মুহাম্মাদ ও আবু বকর প্রতিপক্ষের খবর সংগ্রহের জন্য বের হন। এসময় এক বৃদ্ধ লোককে তারা দেখতে পান। মুহাম্মাদ তাকে মুসলিম ও কুরাইশ উভয় বাহিনী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। ঐ ব্যক্তি দুই বাহিনী সম্পর্কেই সঠিক তথ্য দেয়। সেদিন সন্ধ্যায় আলি ইবনে আবি তালিব, যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাসকে তথ্য সংগ্রহের জন্য প্রেরণ করা হয়। তারা বদরের কূয়ায় দুইজন পানি সংগ্রহরত ব্যক্তিকে বন্দী করেন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা জানায় যে তারা মক্কার বাহিনীর সদস্য এবং বাহিনীর জন্য পানি সংগ্রহ করছিল। মুহাম্মাদ এসময় নামাজরত ছিলেন। উপস্থিত মুসলিমরা তার কথার সত্যতা সম্পর্কে সন্দিহান ছিল। তাই তারা তাদের মারধর করে পুনরায় একই প্রশ্ন করে। এরপর তারা জবাব দেয় যে তারা কুরাইশ বাহিনীর নয় বরং আবু সুফিয়ানের কাফেলার লোক।

একথা জানতে পেরে মুহাম্মাদ ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন যে তারা সত্যই বলছিল অথচ এরপরও তাদের মারধর করা হয়েছে। এরপর তিনি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তারা উপত্যকার শেষ প্রান্তের টিলা দেখিয়ে বলে যে কুরাইশরা তার পেছনে অবস্থান করছে এবং প্রতিদিন নয় বা দশটি উট তাদের জন্য জবাই করা হয়। একথা শোনার পর মুহাম্মাদ বলেন যে তাদের সংখ্যা ৯০০ থেকে ১,০০০ হবে। এরপর বন্দীরা বাহিনীতে আগত সম্ভ্রান্ত কুরাইশ নেতাদের নাম বলে-
﴿المحتوى هنا ينقصه الاستشهاد بمصادر. يرجى إيراد مصادر موثوق بها. أي معلومات غير موثقة يمكن التشكيك بها وإزالتها. (فبراير 2016(
كُتبت مئات الكتب والدراسات في سيرة النبي وشمائله وفضائله وصفاته، هذه قائمة بأهم هذه الكتب قديماً وحديثاً:

سيرة ابن هشام. الشفا بتعريف حقوق المصطفى، تأليف القاضي عياض. الروض الأنف في شرح سيرة ابن هشام، لأبي القاسم السهيلي. الفصول في اختصار سيرة الرسول ، لابن كثير. الرحيق المختوم، صفي الرحمن المباركفوري. نبي الرحمة، محمد مسعد ياقوت. زاد المعاد في هدي خير العباد، ابن القيم. محمد كأنك تراه، عائض القرني. فقه السيرة ، محمد الغزالي. فقه السيرة، محمد سعيد رمضان البوطي. السيرة النبوية كيف نبني دولة قوية، محمد مسعد ياقوت. المنهج الحركي للسيرة، منير الغضبان. السيرة النبوية، عرض وقائع وتحليل أحداث، علي محمد الصلابي. ﴾
বদরের যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য তাদের মর্যাদার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ
﴿قال سيدنا البراء رضى الله عنه : حَدَّثَنِي أَصْحَابُ مُحَمَّدٍ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِمَّنْ شَهِدَ بَدْرًا: «أَنَّهُمْ كَانُوا عِدَّةَ أَصْحَابِ طَالُوتَ، الَّذِينَ جَازُوا مَعَهُ النَّهَرَ، بِضْعَةَ عَشَرَ وَثَلاَثَ مِائَةٍ» قَالَ البَرَاءُ: «لاَ وَاللَّهِ مَا جَاوَزَ مَعَهُ النَّهَرَ إِلَّا مُؤْمِنٌ» . صحيح البخاري 5/ 73
وفضل أهل بدر معلوم ومعروف ، فقد أكرمهم الله أن كانوا في أول غزوة للنبي وينتصروا فيها انتصارا ساحقا على المشركين﴾ .

ومن هذا الفضل : أن الله غفر لجميع أهل بدر .
ففي حديث سيدنا حاطب بن أبى بلتعة الذى بعث برسالة للمشركين يعلمهم بقدوم النبي - صلى الله عليه وسلم – فقال سيدنا عمر : يَا رَسُولَ اللَّهِ دَعْنِي أَضْرِبْ عُنُقَ هَذَا المُنَافِقِ، قَالَ: " إِنَّهُ قَدْ شَهِدَ بَدْرًا، وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يَكُونَ قَدِ اطَّلَعَ عَلَى أَهْلِ بَدْرٍ فَقَالَ: اعْمَلُوا مَا شِئْتُمْ فَقَدْ غَفَرْتُ لَكُمْ " . (صحيح البخاري 4/ 60 .
ومن فضائل أهل بدر أيضا : أن الله لا يدخلهم النار .
فعن سيدنا جابر : أَنَّ عَبْدًا لِحَاطِبٍ جَاءَ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَشْكُو حَاطِبًا فَقَالَ: يَا رَسُولَ اللهِ لَيَدْخُلَنَّ حَاطِبٌ النَّارَ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كَذَبْتَ لَا يَدْخُلُهَا، فَإِنَّهُ شَهِدَ بَدْرًا وَالْحُدَيْبِيَةَ» . صحيح مسلم 4/ 1942 .

وأهل بدر هم خيار الناس .
فعن سيدنا أبى رافع قال : جَاءَ جِبْرِيلُ -أَوْ مَلَك- إِلَى النَّبِيِّ -صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ- فَقَالَ: "مَا تَعُدُّونَ مَنْ شَهِدَ بَدْرًا فيكم؟ قالوا: خيارنا، قال: ذلك هم عندنا خيار الملائكة". المنتخب من مسند عبد بن حميد 1/ 341
وكان الخلفاء عندما يقسمون الغنائم يعطون أهل بدر النصيب الأوفر ، اعترافا منهم بفضلهم ومكانتهم . وهناك الكثير من الفضائل التي تخص أهل بدر أخذنا بعضا منها فقط .فرضى الله عن أصحاب رسول الله - صلى الله عليه وسلم - عامة ، وعن أهل بدر خاصة . هذا إذا كان الحال كما ورد بالسؤال ، وصلى الله على سيدنا محمد وعلى آله وصحبه وسلم .) نور اليقين في

উপসংহার
উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারছি যে, আল্লাহ তাআলা মূসলিম জাতির সামাজিক অবহেলা থেকে মুক্তি প্রদান করা। আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-
﴿لَوْ يَعْلَمُ الَّذِينَ كَفَرُوا حِينَ لَا يَكُفُّونَ عَن وُجُوهِهِمُ النَّارَ وَلَا عَن ظُهُورِهِمْ وَلَا هُمْ يُنصَرُونَ﴾
অর্থ: “যদি কাফেররা ঐ সময়টি জানত, যখন তারা তাদের সম্মুখ ও পৃষ্ঠদেশ থেকে অগ্নি প্রতিরোধ করতে পারবে না এবং তারা সাহায্য প্রাপ্ত হবে না। এভাবে সকল জুলুম নির্যাতন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে। মুসলমানদের মনোবল বৃদ্ধি পায়।” (সূরা হজ্ব, আয়াত: ৩৯)

আল্লাহ আমাদেরকে বদরের যুদ্ধ থেকে উপযুক্ত শিক্ষা গ্রহণ করার তাওফীক দান করুন। আমীন।

Address


Telephone

+8801701468057

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হেরার রশ্মি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to হেরার রশ্মি:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share