24/02/2024
অনেকদিন আগে একটা গল্প শুনেছিলাম। গল্পটা হলো, বিড়ালকে কাঁচামরিচ খাওয়ানো নিয়ে। গুরু তার তিন শিষ্যের পরীক্ষা নিচ্ছে। ফাইনাল পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় যে পাশ করবে সে হবে পরবর্তী গুরু।
শিষ্যদের প্রত্যেককে একটা করে কাঁচা মরিচ দেওয়া হল। খাচায় পুরে আনা হল বিড়াল। গুরু বললেন, যাও বিড়ালটিকে কাঁচা মরিচ খাওয়াও। যে পারবে সেই হবে আমার যোগ্য উত্তরসূরি।
প্রথম শিষ্য বিড়ালের মুখের সামনে নিয়ে কাঁচামরিচ হাতে নানা কায়দা কানুন করলো, বিড়াল ফিরেও তাকালোনা।
দ্বিতীয় শিষ্যও একইভাবে চেষ্টা করলো। ফল হচ্ছেনা দেখে ঘাড় ধরে জোর করে খাওয়াতে গেল, বিড়াল দিল খামচি।
তৃতীয় শিষ্য প্রথম দুইজনের ব্যর্থতা দেখে নতুন কায়দা বের করলো। সে একবাটি দুধ নিয়ে এল তারপর দুধের মধ্যে কাচামরিচটা চুবিয়ে দিয়ে বিড়ালকে খেতে দিল। বিড়াল চুকচুক করে দুধটুকু খেল, তবে কাঁচামরিচ কাঁচামরিচের জায়গাতেই পড়ে থাকলো।
তিন শিষ্যের ব্যর্থতা দেখে গুরু বেশ হতাশ হলেন। তিনি ভৎসনার সুরে শিষ্যদের উদ্দেশ্য করে বললেন, এত দিন ধরে তবে এই শিখলে!
"দেখ কিভাবে বিড়ালকে কাঁচামরিচ খাওয়াতে হয়!'- এই বলে গুরু কাঁচামরিচটাকে ভেঙ্গে ভালমত বিড়ালের পশ্চাৎদেশে ঘষে দিলেন। একটু পর বিড়ালের পশ্চাতদেশে প্রচন্ড জ্বলুনি শুরু হলো। জ্বলুনি থেকে মুক্তি পেতে বিড়ালটা পাগলের মত মত জিভ দিয়ে ওই জায়গাটা চাটতে শুরু করলো।
গুরু তিন শিষ্যের দিকে তাকিয়ে গম্ভীরগলায় বললেন, দেখ বিড়াল কাঁচামরিচ খাচ্ছে কিনা?
তিন শিষ্য বিমর্ষচিত্তে মাথা দুলাতে দুলাতে বললো, ‘আজ্ঞে গুরু, খাচ্ছে!’..
তো এইটা একটা গল্প। নিছকই একটা গল্প। তবে এই গল্পটার সাথে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার বেশ মিল আছে।
জাতি হিসাবে পাকিস্তান ছিল আপাদমস্তক বোকচোদ একটা জাতি। মাথা মোটা। তারা জোর করে বাঙ্গালিকে তাদের ভাষা আর সংস্কৃতি গেলাতে চেয়েছিল। বিড়ালকে কাঁচা মরিচ খাওয়াতে চাওয়া আর কি। বলাই বাহুল্য তারা ব্যর্থ হয়েছে। কামড় টামড় খেয়ে হাসপাতালে ছুটতে হয়েছিল।
ভারত আবার উলটো! তারা মাশাল্লাহ তাদের টিভি সিরিয়ালের কূটনি ক্যারেক্টারগুলোর মতই প্রতিভাবান! তারা করলো কি, গল্পের গুরুর মত জোর টোর না করে স্রেফ কাঁচা মরিচটা ভেঙ্গে আমাদের ইয়েতে ঘষে দিয়েছে। তারপর চুপচাপ তাকিয়ে থেকে মজা দেখতেছে।
আমরা এখন হিন্দি ভাষা চাটতেছি। হিন্দি সংস্কৃতি চাটতেছি। আমাদের এমন কোন অনুষ্ঠান নেই বোধহয় যেটা হিন্দি গান ছাড়া সম্পন্ন হয়। আমরা এখন ইন্ডিয়ান হোলি খেলি। আমাদের