শূন্যার্ত তৃষ্ণালিপি

শূন্যার্ত তৃষ্ণালিপি Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from শূন্যার্ত তৃষ্ণালিপি, Magura, Khulna.
(9)

"কেবল শব্দ'ই নয়, অনুভবই মানুষের মূল চরিত্র।"

শব্দ যখন আত্মার পিপাসা হয়ে উঠে, তখন জন্ম নেয় তৃষ্ণালিপি। কিছু শূন্যতা আছে, যা কেবল লেখায় বোঝানো যায়।
লেখার ভেতর লুকানো শূন্যতা, অনুভবের ভাষা তৃষ্ণায় ভেজা "শূন্যার্ত তৃষ্ণালিপি"....

12/08/2025

জীবনে এমন একজন থাকুক, যে আপনার অকারণ গল্পগুলোও আগ্রহে আর ভালোবাসায় শুনে যাবে। ❤️

12/08/2025

কক্সবাজারে রয়েছে ৪শ বছরের পুরনো আজব এক গুহা

জনবিরল সৈকতে সাগর থেকে রোজ উঠে আসে এক পরি। অপূর্ব সুন্দরী এই পরির নাম হিমপরি। সাগরের পাশেই খাড়া পাহাড়ের ঝরনায় সখীদের নিয়ে জলকেলিতে মেতে ওঠে হিমপরি। আর তার নামেই ঝরনার নামকরণ ‘হিমপরির ঝরনা’। সেই হিমপরির ঝরনাকেই লোকে বলে হিমছড়ি। হিমছড়ির খুব কাছেই ঘন জঙ্গল।

একদিন সেখানে এসেই উপস্থিত হয় আরব বণিক শাহেনশাহ। তার বাণিজ্যতরিটি এই উপকূলেই ডুবে গেছে। ক্লান্ত–শ্রান্ত শাহেনশাহ হিমপরিকে দেখেই প্রেমে পড়ে যায়। হিমপরির রূপে মুগ্ধ আর বশীভূত হয়ে জঙ্গলে হারিয়ে যায় সে। শিকার হয় হিংস্র বন্য প্রাণীর আক্রমণের। আর আক্রমণ থেকে বাঁচতে সে আশ্রয় নেয় একটা গুহায়। সেই গুহাই আজকের শাহেনশাহ গুহা।

৪০০ বছর ধরে কক্সবাজারে এই লোককথা মানুষের মুখে মুখে ফিরছে। কক্সবাজারের কলাতলী থেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে ছয় কিলোমিটার গেলে ‘দরিয়ানগর ট্যুরিজম ইকোপার্ক’। তবে সবাই চেনে ‘দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি’ নামে। সেখানেই এক পাশে হিমছড়ি পাহাড়, আরেক পাশে ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রাকৃতিক গুহা। এই গুহাই লোককথার শাহেনশাহ গুহা। পাহাড়ের নিচে সাপের মতো আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে যেতে হয় গুহায়। ভেতরে ঢুকলেই একটা ঠান্ডা হাওয়ায় শরীর জুড়িয়ে যায়। গুহার ভেতরের পাথরের ভাঁজের ফাঁক দিয়ে দেখা যায় পাহাড়ের ওপরের জঙ্গল। কানে আসে সাগরের গর্জন আর গাছের পাতার মর্মর। হিমপরি আর শাহেনশাহের গল্প হঠাৎই যেন অনেক জীবন্ত মনে হয়। আনমনা হয়ে গুহার বাইরে তাকিয়ে থাকলে মনে হয়, কেউ পেছনে এসে হাত রেখেছে কাঁধে।

এমন অপার্থিব অভিজ্ঞতার লোভে গুহাটি দেখতে কয়েক বছর আগেও প্রতিদিন শত শত পর্যটকের সমাগম ঘটত। এখন হাতে গোনা কয়েকজন দর্শনার্থী আসেন। গুহাটি সংস্কারের উদ্যোগ না নেওয়া এবং নিরাপত্তাহীনতা এর অন্যতম কারণ।

কক্সবাজারের কবি কামরুল হাসানের কাছে শাহেনশাহ গুহা একটা বিশেষ স্থান। তাঁর মতে, এখানে ঐতিহ্য, প্রকৃতি আর লোককথা মিলেমিশে এক হয়ে গেছে। তিনি বলেন, একটা সময় এই শাহেনশাহ গুহাকে ঘিরে দেশ-বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের মেলা বসত। কবিরা পাহাড়চূড়ার টংঘরে বসে লেখালেখি করতেন। দেশ-বিদেশের শতাধিক কবি-সাহিত্যিককে নিয়ে দরিয়ানগর পর্যটনপল্লিতে বার্ষিক সম্মেলন হতো। এখন সেই পরিবেশ নেই।

দরিয়ানগর গুহার ফটকে স্থাপন করা হয়েছে ইটপাথরের বিশাল একটি হাঙর ভাস্কর্য। মুখ হাঁ করে থাকা হাঙর দেখে দর্শনার্থীরা থমকে দাঁড়ান। ভাস্কর্যটির সঙ্গে ছবি তোলেন। এরপর পাহাড়ের দিকে কিছু দূর গেলেই সামনে পড়ে একটি সিঁড়ি। ওপরে টাঙানো একটি সাইনবোর্ড, তাতে লেখা, ‘আমরা এখন দরিয়ানগরে’। এর কিছু দূরে পাহাড়চূড়ায় নির্মিত একটি ভবন, যেখানে শৌচাগার-বিশ্রামাগার রয়েছে। ভবন থেকে দক্ষিণ দিকে গুহায় যেতে হয় পাহাড়ি রাস্তায় হেঁটে। সব মিলিয়ে এক অন্য রকম যাত্রা। তবে গুহাটির বর্তমান অবস্থা হতাশ করছে পর্যটকদের।

দিন কয়েক আগে গিয়ে দেখা গেল, গুহার মুখ থেকে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পুরো পথটি ময়লা-আবর্জনায় ভরা। গুহার দুই পাশ ও ওপর থেকে মাটি খসে পড়ছে। গাছপালা ভেঙে পড়ে আছে গুহার মুখে। এসব মাড়িয়েই সুড়ঙ্গটি অতিক্রম করতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। গুহার ভেতরে পলিথিন, ক্যান, সিগারেট ফিল্টার, প্লাস্টিকের বোতল—কী নেই? ময়লা-আবর্জনা এবং মশা-মাছির উৎপাত চারদিকে।

সুড়ঙ্গসহ পর্যটনকেন্দ্রটি দেখভাল করেন কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হক। সুড়ঙ্গসহ পল্লির বেহালের কারণ জানতে চাইলে হাবিবুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বরাদ্দ নেই বলে সুড়ঙ্গ সংস্কার ও মেরামত করা যাচ্ছে না। গাছ ভেঙে সুড়ঙ্গে পড়লে কিংবা সুড়ঙ্গে ময়লা-আবর্জনা জমে থাকলে সেসব পরিষ্কার করার দায়িত্ব ইজারাদারের। পর্যটকের নিরাপত্তার দায়িত্বও ইজারাদারের। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ইজারার মেয়াদ শেষ হবে। তখন সুড়ঙ্গের ঝুঁকিপূর্ণ অংশ সংস্কার, যাতায়াতের রাস্তা তৈরি করা হবে।

12/08/2025

আমার স্বভাবই এমন— কোনো কিছুই হালকাভাবে নিতে পারি না। দিনের শেষে সবকিছুই মাথায় ঘুরপাক খায়, এমনকি তুচ্ছ বিষয়ও মনটাকে ভারী করে দেয়।

11/08/2025

আজ রাতের যে কষ্টের কারণ, একদিন তাকেই আর চাইবেন না। ❤️

11/08/2025

মানুষের জীবনে কিছু ব্যাক্তিগত দুঃখ থাকে, যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না—
কাউকে বলা যায় না, কাউকে বোঝানোও যায় না।
শুধু বুকের ভেতর কেমন যেন এক অদ্ভুত চাপা হাহাকার জমে থাকে,
যা মাঝে মাঝে নিজের কাছেই নিঃশ্বাস আটকে দেয়।

05/08/2025

সমুদ্রের পাড়ে
[]

সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকে একলা বিকেল,
ঢেউয়েরা আসে, যায়—নিয়ে যায় অভিমানের রেল।
চোখের পাতায় লেগে থাকে নোনা হাওয়া,
মনে হয়—কে যেন দূর থেকে ডাকছে, খুব চাওয়া।

বালির নিচে হারিয়ে যাওয়া পায়ের ছাপ,
যেন কোনো গল্প বলছে—নিঃশব্দ, চাপা চাপা।
ঝিনুকের মতো গোপন থাকে অনেক ব্যথা,
তবুও সমুদ্র হাসে—আকাশকে ভালোবেসে যথার্থ।

পেছনে শহর, সামনে বিস্তীর্ণ নীল জল,
আমি মাঝখানে—তোমার স্মৃতির এক পথচল।
হয়তো তুমি নেই, তবু ঢেউগুলো বলে,
"সে একদিন এসেছিল, খুব গভীর দলে দলে।"

Address

Magura
Khulna

Telephone

+8801306930350

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শূন্যার্ত তৃষ্ণালিপি posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share