Journey To Jannah

Journey To Jannah আসসালামু আলাইকুম
প্লিজ সবাই লাইক,ফলো,শেয়ার আর ইনভাইট দিয়েন

27/10/2024

ফজরের স্নিগ্ধ বাতাসে মন ভরে যায়
আলহামদুলিল্লাহ 💚🌺

শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফিঃ) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
08/10/2024

শায়েখ আহমাদুল্লাহ (হাফিঃ)
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

05/10/2024

যারাই কা-লেমার পতাকার ভালোবাসা
অন্তরে লালন করে তারাই আমার বন্ধু।
শাইখুনা মুফতী হারুন ইজহার হাফি.

16/05/2024

দ্বীনে ফেরা যুবকদের জন্য সুখবর!!!

✅ আপনি কি দ্বীনি শিক্ষা অর্জনে আগ্রহী অথবা নিজেকে একজন দাঈ হিসাবে গড়ে তুলতে আগ্রহী?
✅ দুনিয়ামুখী জীবন থেকে ইসলামের পথে আসার পর অধিকাংশ যুবক একঘরে হয়ে যায়। ডাঃ শামসুল আরেফীন শক্তি ভাইয়ের বক্তব্য অনুসারে এরা হলো-“সংখ্যালঘু”। তাদের প্রধান সমস্যা হলো তিনটিঃ একাতীত্ব, দ্বীনি জ্ঞাণ স্বল্পতা, আলেম অভিভাবক না থাকা।
✅ আপনি যদি মনে করেন উপরিউক্ত সমস্যায় আপনিও বিপদগ্রস্ত তাহলে আমাদের সাথে পথচলা শুরু করতে পারেন। উপরিউক্ত সমস্যা সমাধানে আমাদের ফজর প্রজন্ম সংগঠন আপনার সাথে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আমাদের সাথে নিম্নোক্ত সুবিধা আপনি পাবেনঃ

🔹মুসলিম ভ্রাতৃত্বঃ দ্বীনে ফেরার পর অধিকাংশ যুবক প্রথম যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তাহলো উপযুক্ত একটা টিমের সঙ্গ না পাওয়া। কারণ দ্বীনে ফেরার পর তার পূর্বের বন্ধুমহল থেকে সাধারণত কোন সহযোগীতা পায়না।
এমতবস্থায় তার দ্বীনে উপর অবিচল থাকা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। তাই আমাদের ফজর প্রজন্ম টিমের সাথে থেকে আমাদের ভাই হয়ে দ্বীনে ফেরার পরের ধাপ সহজেই পাড়ি দিতে পারেন।
আমাদের সাথে থাকলে যেসকল সুবিধা পেতে পারেনঃ
• আমাদের টিমে থাকা ইসলামিক ভাইদের সাথে আপনি পথ চলতে পারবেন। যাদের অধিকাংশ আপনার মতো নতুন দ্বীনে ফেরা যুবক।
• আমাদের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ফজর সালাতে জুম্মার সালাতের সমান উপস্থিতি। এই বিষয়ে সদস্যরা একে অপরকে সহযোগীতা করবে।
• আমরা যেহেতু হক্কানী আলেম-ওলামাদের সোহবতে থেকে কাজ করার চেষ্টা করি তাই আপনিও আমাদের মাধ্যমে সহজেই আলেম-ওলামাদের সোহবতে যেতে পারবেন। তাদের পরামর্শে নিজের ইসলামিক জীবন গড়ে তুলতে পারবেন।
• আমাদের নির্ধারিত সিলেবাস অনুযায়ী আপনি ধারাবাহিকভাবে পড়াশোনা করে ইসলাম ও বিশ্ব সম্পর্কে প্রয়োজনীয় জ্ঞাণ অর্জন করতে পারবেন ( আমাদের নিকট থেকে বই নিয়ে পড়তে পারবেন )।

🔹 বয়স্ক দ্বীনি শিক্ষাঃ খুলনার দাওয়াতী কাজের কেন্দ্রীয় মাদ্রাসা সমূহে (একাধিক মাদ্রাসা আছে আমাদের সাথে সুসম্পর্ক) বয়স্ক দ্বীনি শিক্ষা বিভাগে ভর্তি হয়ে আপনি কুরআন তেলাওয়াত, মাসায়ালা-মাসায়িল, আকীদা, আরবী ভাষা সহ প্রয়োজনীয় দ্বীনি জ্ঞাণ অর্জন এবং ইসলাহ ( তাজকিয়া/ আত্তশুদ্ধি ) করতে পারেন।
• আপনি চাইলে সকালে বা সন্ধ্যায় অল্প সময় নিয়ে আসতে পারেন।
• অথবা কিছুদিনের জন্য ১৫/৩০/৬০দিন বা সুবিধা অনুযায়ী উক্ত শাখায় আবাসিক থাকতে পারেন (স্বল্প খরচে)।
• পড়াশোনা বা কর্মজীবন চলমান অবস্থায় এখানে থেকে দ্বীনি শিক্ষা অর্জনের সুযোগ আছে।

🔹 তাফসীর প্রোগ্রাম ও ভাষা শিক্ষাঃ যদি আপনার উপরিউক্ত বিষয় অংশগ্রহনের সময় বা সুযোগ না থাকে তাহলে আপনার জন্য আছে সাপ্তাহিক প্রোগ্রামে অংশগ্রহনের সুযোগ। খুলনার সাচিবুনিয়া মসজিদে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার সন্ধ্যায় কুরআনের তাফসীর আলোচনা এবং আরবী/উর্দু ভাষা শিক্ষার সাথে মাসায়ালা শিক্ষা ক্লাস চালু হয়েছে। উক্ত প্রোগ্রামে শরীক থেকে আপনি নিজের প্রাথমিক ফরজ ইলম শিক্ষা করতে পারেন। পরবর্তীতে মাদ্রাসার সাথেও সময় দিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন সময় গুরুত্বপূর্ণ ইসলাহী মাজলিস ও মাসিক ইসলাহী মাজলিস সমূহে আপনি অংশগ্রহণ করতে পারেন।

🔹 উপরিউক্ত যে কোন বিষয়ে আপনার আগ্রহ থাকলে পেজে ইনবক্স করতে পারেন অথবা ফোনে যোগাযোগ করতে পারেন।
📞 01754-277273, 01781-554488, 01977-656051.

(ট্রান্সজেন্ডারবাদ বিকৃত মানসিকতা)       ان الحمد لله والصلاة والسلام على من لا نبي بعده اما بعدفأعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ ا...
28/01/2024

(ট্রান্সজেন্ডারবাদ বিকৃত মানসিকতা)

ان الحمد لله والصلاة والسلام على من لا نبي بعده اما بعد
فأعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ بِسْمِ الله الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ
وَّ لَاُضِلَّنَّهُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّهُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا
وعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏
صدق الله العلي العظيم و صدق رسوله النبى الكريم
ونحن على ذالك لمن الشاهدين والشاكرين والحمد لله رب العلمين
প্রিয় মুসল্লীয়ানে কেরাম! আজকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। যে বিষয়টি সকলেরই জানা উচিৎ। আপনাদের সচেতন হওয়া জরুরি। নিজেদের পারিবারিক অবকাঠামো ও সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য জেগে ওঠা জরুরি হয়ে পড়েছে। সুন্দর এ পারিবারিক ও সমাজ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। শয়তানি এজেন্ডা বাস্তবায়নের নীল নকশা তৈরি করা হয়েছে। এতদিন যেটা গোপনে তারা করতো, সেটাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। আপনার আমার আদরের সন্তানদেরকে বিপথগামী করতে সকল প্রকার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পথে।

শব্দের মারপ্যাঁচে ফেলে কোমলমতি শিশুদের মন মস্তিষ্কে জঘন্য এক অপরাধকে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। বিষয়টি আমি সংক্ষিপ্ত আকারে সহজভাবে বুঝানোর চেষ্টা করছি গভীর মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করুন বোঝার চেষ্টা করুন।

আমরা জানি মানুষের জৈবিক চাহিদা মিটানোর জন্য। আল্লাহ তাআলা একটি নিয়ম করে দিয়েছেন। অর্থাৎ বিবাহের মাধ্যমে নারী ও পুরুষের মিলন। একজন পুরুষ ও একজন নারী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিজেদের যৌন চাহিদা পুরণ করতে পারবে। এটাই হলো সকল ধর্মের স্বতসিদ্ধ নিয়ম। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক কোনো ধর্মেই মেনে নিবে না।

কিন্তু আরেকটি চরম জঘন্যতম কুকর্ম হলো, সমকামিতা তথা পুরুষে পুরুষে মেলামেশা এবং মেয়ে মেয়ে মেলামেশা করা। এভাবে যৌন চাহিদা পুরণ করা কোনো ধর্মেই নেই। এমনকি কোনো সভ্য সমাজ এটা মেনে নিতে পারেই না। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য। এই সমকামীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বে এগুলো তো মহামারী রূপ ধারণ করেছে। আমার দেশেও লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই সমকামিতাকে এদেশে নরমল করার জন্য বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্র ও ছলচাতুরীর আশ্রয় নেয়া হয়েছে। কোটি কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে এই সমকামিতাকে প্রমট করার জন্য।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হলো, পাঠ্যপুস্তকেও শব্দের মারপ্যাঁচে শিশুদের মন মগজে অতি সন্তর্পণে এই মতবাদ ঢুকানো হচ্ছে। এটা নিয়ে গতবছরও তুমুল প্রতিবাদ হয়েছিলো। যার ফলে বিতর্কিত বিষয় বাদ দেয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবছর আবারও স্কুলের পাঠ্য বইয়ে কৌশলে সমকামিতাকে প্রমোট করা হচ্ছে।

আসুন আপনাদেরকে সেই পাঠ্য বই খুলে সরাসরি পড়ে শোনাচ্ছি। সপ্তম শ্রেণী "ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান" পৃষ্ঠা নম্বর ৩৯-৪০। এখানে একটা গল্প লেখা হয়েছে, গল্পটা হলো একজন শরীফ নামক ব্যাক্তির শরীফা হওয়ার গল্প। এই গল্পের মধ্যে থার্ড জেন্ডার ও হিজড়া শব্দ এনে হিজড়াদের প্রতি মানুষের যেই সহানুভূতি সেই সহানুভূতির আড়ালে অন্য একটি মতবাদ পুশ করা হয়েছে। সেটা বুঝতে হলে গল্পের শুরুটা মনোযোগ দিয়ে শুনুন!

"পরের ক্লাসে খুশি আপা একজন অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে এলেন। তিনি বললেন ইনি ছোটবেলায় তোমাদের স্কুলে সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছেন। আজ এসেছেন, নিজের স্কুলটা দেখতে। সুমন জানতে চাইলো আপনার নাম কি? তিনি বললেন আমার নাম শরীফা আক্তার।

শরীফা বললেন, যখন আমি তোমাদের স্কুলে পড়তাম তখন আমার নাম ছিল শরীফ আহমেদ। আনুচিং অবাক হয়ে বলল, আপনি ছেলে থেকে মেয়ে হলেন কী করে? শরীফা বললেন আমি তখনও যা ছিলাম এখনও তাই আছি। নামটা কেবল বদলেছি। ওরা শরীফার কথা যেন ঠিকঠাক বুঝতে পারলো না।

আনাই তাকে জিজ্ঞেস করল, আপনার বড়ি কোথায়? শরীফা বললেন, আমার বাড়ি বেশ কাছে। কিন্তু আমি এখন দূরে থাকি। আনাই মাথা নেড়ে বললো, বুঝেছি, আমার পরিবার যেমন অন্য জায়গা থেকে এখানে এসেছে, আপনার পরিবারও তেমনি এখান থেকে অন্য জায়গায় চলে গিয়েছে। শরীফা বললেন, তা নয়। আমার পরিবার এখানেই আছে। আমি তাদের ছেড়ে দূরে গিয়ে অচেনা মানুষদের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছি। এখন সেটাই আমার পরিবার। তাদের অবাক হতে দেখে শরীফা এবার নিজের জীবনের কথা বলতে শুরু করলেন। ছোটবেলায় সবাই আমাকে ছেলে বলতো। কিন্তু আমি নিজে এক সময়ে বুঝলাম, আমার শরীরটা ছেলেদের মত হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে। আমি মেয়েদের মত পোশাক পরতে ভালবাসতাম। কিন্তু বাড়ির কেউ আমাকে পছন্দের পোশাক কিনে দিতে রাজি হত না। বোনদের সাজবার জিনিস দিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে সাজতাম। ধরা পড়লে বকাঝকা, এমনকি মারও জুটত কপালে। মেয়েদের সঙ্গে খেলতেই আমার বেশি ইচ্ছে করত। কিন্তু মেয়েরা আমাকে খেলায় নিতে চাইতো না। ছেলেদের সঙ্গে খেলতে গেলেও তারা আমার কথাবার্তা, চালচলন নিয়ে হাসাহাসি করত। স্কুলের সবাই, পাড়া-পড়শি এমনকি বাড়ির লোকজনও আমাকে ভীষণ অবহেলা করত। আমি কেন এরকম এ কথা ভেবে আমার নিজেরও খুব কষ্ট হতো, নিজেকে ভীষণ একা লাগত।

একদিন এমন একজনের সঙ্গে পরিচয় হলো যাকে সমাজের সবাই মেয়ে বলে কিন্তু সে নিজেকে ছেলে বলেই মনে করে। আমার মনে হলো, এই মানুষটাও আমার মতন। সে আমাকে বললো, আমরা নারী বা পুরুষ নই, আমরা হলাম তৃতীয় লিঙ্গ (থার্ড জেন্ডার)। সেই মানুষটা আমাকে এমন একটা জায়গায় নিয়ে গেলো, যেখানে নারী পুরুষের বাইরে আরো নানারকমের মানুষ আছে। তাদের বলা হয় 'হিজড়া' জনগোষ্ঠী।"

প্রিয় মুসল্লীয়ানে কেরাম! লক্ষ্য করুন এই বাক্যে- "আমি তখনও যা ছিলাম এখনও তাই আছি। নামটা কেবল বদলেছি।" আরো লক্ষ্য করুন- "আমার শরীরটা ছেলেদের মত হলেও আমি মনে মনে একজন মেয়ে"

ভেজাল শুরু হয়েছে এই বাক্য থেকে। এটা হলো ট্রান্সজেন্ডারবাদকে প্রতিষ্ঠা করার প্রথম ধাপ। একটা ছেলে সে পুরাপুরি সুস্থ। তার লিঙ্গগত কোনো সমস্যা নেই; তবুও সে মনে মনে ভাবছে সে মেয়ে। অনুরুপ একটা সুস্থ মেয়ে সে মনে মনে ভাবছে সে ছেলে এটা কেমন কথা! এটাতো বিকৃত মানসিকতা। কিন্তু এটাকেই এই গল্পে থার্ড জেন্ডার বলে হিজড়া বলে তালগোল পাকিয়ে শিশুদেরকে গেলানো হচ্ছে।

এখানে আমাদের হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে।
হিজড়া হলো আল্লাহ প্রদত্ত সৃষ্টি। মনে মনে মেয়ে বা ছেলে ভাবার মতো নয়; বরং তারা জন্মগত ত্রুটি নিয়েই জন্মগ্রহণ করে। অথবা জন্মের পরে সমস্যা দেখা দেয়।

আর ট্রান্সজেন্ডার হলো- একজন পুরাপুরি সুস্থ মানুষ যার কোনো শারীরিক সমস্যা নেই। কিন্তু নিজেকে মনে মনে মেয়ে বা ছেলে ভাবে। সেভাবেই চলাফেরা করে। অর্থাৎ একজন সুস্থসবল পুরুষ; কিন্তু নিজেকে নারী বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন নারী। সমাজ ও আইন তাকে নারী হিসেবেই বিবেচনা করবে।

অনুরূপ কোনো সুস্থসবল নারী; কিন্তু নিজেকে পুরুষ বলে মনে হয়, তাহলে সে একজন পুরুষ। সমাজ ও আইন তাকে পুরুষ হিসেবেই বিবেচনা করবে।
তাদের এই মনে হওয়ার ভিত্তিতে, অপারেশনের মাধ্যমে কাটাকুটি করে, নিজেদের শরীরকে বদলে ফেলার অধিকার দিতে হবে। আর তাই হচ্ছে। বহির্বিশ্বে এমন ট্রান্সজেন্ডার অসংখ্য অগণিত রয়েছে। সেই বিষ এখন এদেশে আমদানির ষড়যন্ত্র চলছে। অলরেডি আমদানি হয়েও গিয়েছে। এখন শুধু রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে বৈধতা দেয়ার অপেক্ষা।

একটু চিন্তা করে দেখুন! কতোবড় সমাজ বিধ্বংসী একটা মতবাদ! এই মতবাদকে কতো সহজে সন্তর্পণে শব্দের মারপ্যাঁচে ফেলে এই দেশে প্রতিষ্ঠা করার পায়তারা চলছে। ইবলিশ শয়তানতো একথাই বলে এসেছে।
رَبِّ بِمَاۤ اَغۡوَیۡتَنِیۡ لَاُزَیِّنَنَّ لَهُمۡ فِی الۡاَرۡضِ وَ لَاُغۡوِیَنَّهُمۡ اَجۡمَعِیۡنَ
সে বলল, হে আমার রব! আপনি যে আমাকে বিপথগামী করলেন সে জন্য অবশ্যই আমি যমীনে মানুষের কাছে পাপকাজকে শোভনীয় করে তুলব এবং অবশ্যই আমি তাদের সবাইকে বিপথগামী করব। (হিজর: ৩৯)

অত্র আয়াতে কারিমায় ইবলিশ আল্লাহ তাআলাকে বলছে- আমি দুনিয়াতে মানুষের কাছে পাপাচরকে সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলবো শোভনীয় করে তুলবো। আজ দেখুন তাই হচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডারবাদের মতো একটা পাগলামি মতবাদ, সমাজ ব্যবস্থা বিধ্বংসী মতবাদ। একশ্রেণির খবিশ মার্কা মানুষের কাছে ইবলিশ সৌন্দর্যমণ্ডিত করে তুলেছে।

ইবলিশ আরো বলে এসেছে, যে কথা আল্লাহ তাআলা আমাদের অবগত করে সতর্ক করে দিয়েছেন-
وَّ لَاُضِلَّنَّهُمۡ وَ لَاُمَنِّیَنَّهُمۡ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُبَتِّکُنَّ اٰذَانَ الۡاَنۡعَامِ وَ لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰهِ ؕ وَ مَنۡ یَّتَّخِذِ الشَّیۡطٰنَ وَلِیًّا مِّنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ فَقَدۡ خَسِرَ خُسۡرَانًا مُّبِیۡنًا

আমি অবশ্যই তাদেরকে পথভ্রষ্ট করব; অবশ্যই তাদের হৃদয়ে মিথ্যা বাসনার সৃষ্টি করব, আর অবশ্যই আমি তাদেরকে নির্দেশ দেব, তাদেরকে নির্দেশ দেব, ফলে তারা পশুর কান ছিদ্র করবে। আর অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেব, ফলে তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে। আর আল্লাহর পরিবর্তে কেউ শয়তানকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করলে সে স্পষ্টতঃই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। (নিসা: ১১৯)

এই দেখুন ইবলিশ কি করবে- لَاٰمُرَنَّهُمۡ فَلَیُغَیِّرُنَّ خَلۡقَ اللّٰهِ অবশ্যই তাদের নির্দেশ দেবো, তারা আল্লাহর সৃষ্টি বিকৃত করবে।

আজ তাই হচ্ছে, একজন ছেলে মনে মনে মেয়ে ভেবে নিজেকে মেয়ে দাবি করে, মেয়েদের মতো বেশভূষায় চলাফেরা করছে। আরো একধাপ এগিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে অপারেশনের মাধ্যমে কাটাকুটি করে নিজের দেহকে মেয়েদের মতো করে ফেলছে। (নাউজুবিল্লাহ)

এটাকেই সপ্তম শ্রেণীর এই বইয়ে "থার্ড জেন্ডার অর্থাৎ হিজড়া" বলে চালিয়ে দিচ্ছে। আসলে তা নয়। আমাদের সচেতন হতে হবে। এই ঘৃণিত মতবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। ট্রান্সজেন্ডারদেরকে হিজড়ার আড়ালে প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। মুলত ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস।

√হিজড়া হলো- জন্মগত সমস্যা। ল্যাব টেস্ট করে এটি প্রমান করা যায়।

√আর ট্রান্সজেন্ডার হলো- মানসিক অবস্থা যার সাথে জন্মগত লিঙ্গের কোনো সম্পর্ক নেই। একজন ছেলে বা মেয়ে নিজেকে ভুল দেহে আটকা পড়েছে বলে মনে করে। এটা ল্যাব টেস্ট করে প্রমাণ করা যায়না, স্বঘোষিত ব্যাপার।

আমাদের অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে, ট্রান্সজেন্ডারদের হিজড়া হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। জন্মগত হিজড়াদের ব্যাপারে থাকা সহানুভূতিকে কাজে লাগিয়ে বিকৃত মানসিকতা বিকৃত যৌনতাকে বৈধতা দেয়ার অপচেষ্টা চলছে।

ট্রান্সজেন্ডারবাদ প্রতিষ্ঠার সমস্যা:
° সমকামিতা চালু হওয়া, সমকামিতাকে বৈধতা দেয়া।
ধরুন একটা ছেলে নিজেকে মেয়ে দাবি করলো। মেয়েদের মতো বেশভূষা ধারণ করলো বাহ্যিক দৃষ্টিতে সে মেয়ে কিন্তু ভিতরে ভিতরে সে পুরুষ। এখন এই মেয়ে রূপী পুরুষ বিয়ে করছে একজন পুরুষকে। তাহলে কান্ডটা কি ঘটলো। দেখতে মনে হচ্ছে মেয়ে ছেলের বিবাহ। আসলে কিন্তু পুরুষে পুরুষে বিবাহ হলো। এবার তারা এভাবেই মেলামেশা করছে। তাহলে পুরুষে পুরুষে মেলামেশা হচ্ছে এটাই হলো সমকামিতা। অনুরূপ মেয়ের ক্ষেত্রেও।

° এরপর দেখুন ধরুন আমার বোন কোনো ভার্সিটিতে নারী হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। সেখানে ঐরকম একজন ট্রান্সজেন্ডার যে পুরুষ হয়েও নিজেকে নারী দাবি করে। সেও যখন ঐ ভার্সিটিতে ঐ হোস্টেলে থেকে পড়তে চাইবে। তাকে নারী হোস্টেলে থাকার সুযোগ দেয়া হবে। কেননা সে মনে মনে নারী সেই অনুযায়ী বাহ্যিক বেশভূষা নারীর। তাহলে চিন্তা করুন ঐ হোস্টেলে আমার বোনের সাথে একই রুমে, এই পুরুষালী মেয়েও থাকবে। ভেতরে যার পুরুষাঙ্গ আছে। এটাকি আমি আপনি কেউ মেনে নেবো? এটাতো নারীদের সংরক্ষিত স্থানে একজন পুরুষকেই থাকতে দেয়া হচ্ছে। ভাবা যায় কি এক জঘন্য মতবাদ!

কোনো শেয়াল যদি বলে, আমি শেয়াল হলেও মনে মনে আমি মুরগী তাই আমাকে মুরগির খামারে থাকতে দেয়া হোক। কেউ এটা মেনে নিবে? কখনোই না। কারণ মুরগী দাবীদার এই ট্রান্সজেন্ডার শেয়াল খামারে ঢুকেই মুরগী খাওয়া শুরু করবে। ঠিক এদের অবস্থাও তাই।

° এই বিকৃত মানসিকতা সম্পন্ন, ট্রান্সজেন্ডারদের কারণে প্রকৃত হিজড়াগন সুবিধা বঞ্চিত হবে। আসল হিজড়াগন অবহেলিত থাকবে। আবার নারী দাবি করার কারণে পুরুষ হয়েও নারীদের সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। যা মূলত প্রকৃত নারীদেরকেই ঠকানো হবে। কি এক জঘন্য মানসিকতা।

° পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। বংশপরম্পরা নষ্ট হয়ে যাবে। পারিবারিক আইনের ক্ষেত্রেও মারাত্মক বিশৃঙ্খলা দেখা দিবে।

এদের ক্ষেত্রে করনীয় হলো- মানসিক চিকিৎসা করানো। এরা সব মানসিক রোগী। এরা সবগুলো সাইকো। কিন্তু কি আশ্চর্য! এদেরকে আরো লাই দেয়া হচ্ছে। এইসব মানসিক রোগে আক্রান্ত ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য আইন করা হচ্ছে। আস্তাগফিরুল্লাহ! তাই আমাদের সোচ্চার হতে হবে। বিকৃত ঘৃণিত এ মতবাদকে কোনো অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠিত হতে দেয়া হবে না।

দেখুন এই সমস্যা যেন না ঘটে সে জন্য নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগে থেকেই এমন এক মূলনীতি বলে দিয়েছেন। যেটা মেনে চললে গোড়া থেকেই এ ঘৃণ্য মানসিকতা উপড়ে ফেলা যাবে।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمُتَشَبِّهِينَ مِنَ الرِّجَالِ بِالنِّسَاءِ، وَالْمُتَشَبِّهَاتِ مِنَ النِّسَاءِ بِالرِّجَالِ‏
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন যারা নারীর বেশ ধরে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধরে। (বুখারী: ৫৮৮৫)

চিন্তা করুন! হাদিসে স্পষ্ট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নারী হয়ে পুরুষের বেশ ধরতে এবং পুরুষ হয়ে নারীর বেশ ধরতে। বরং এদের উপর লা'নত করেছেন। সেখানে এরা পুরোদস্তুর একটা মতবাদ তৈরি করে ফেলছে। তাহলে এদের অবস্থা আরো কতো জঘন্য হবে তা আল্লাহ তাআলাই ভালো জানেন। আমরা আমাদের সন্তানদেরকে লা'নত প্রাপ্তদের দলে দেখতে চাই না। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বুঝার তাওফিক দান করেন। আমল করার তাওফিক দান করেন। আমিন
وآخر دعوانا أن الحمد لله رب العالمين

08/01/2024
@highlightআলহামদূলিল্লাহমহিউদ্দিন হাসান (খান সাহেব)  এর সাথে দেখা।
16/11/2023

@highlight
আলহামদূলিল্লাহ
মহিউদ্দিন হাসান (খান সাহেব) এর সাথে দেখা।

29/10/2023

বয়ান:মিজানুর রহমান আজহারী সাহেব

27/10/2023

2023

Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Journey To Jannah posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Journey To Jannah:

Share