16/08/2025
মাইগ্রেন মাইগ্রেন বলে মায়া কাঁন্না কাঁদেন,
মাইগ্রেন কেন হয় সেটা জানেন? হয়তো জানেন না, আমি বলি, শুনুন।
আজকাল "মাইগ্রেন" শব্দটা যেন আমাদের জীবনের এক অংশ হয়ে গেছে। কেউ কাজের চাপ সামলাতে না পেরে মাথা ধরে বসে থাকে, কেউ আবার একটু বেশি ভাবলেই চোখের চারপাশ কুঁচকে ব্যথায় কুঁকড়ে যায়। কিন্তু এই মাইগ্রেনের আসল কারণ কি শুধু জেনেটিক না বাতাসের চাপ? নাকি এর পেছনে লুকিয়ে আছে আমাদের জীবনযাপনের অদৃশ্য কিছু মানসিক এবং আচরণগত কারণ?
সাইকোলজিক্যাল গবেষণা বলছে।
একটানা ৬ ঘণ্টার বেশি মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার করলে মানুষের চোখ ও মস্তিষ্কে প্রবল চাপ পড়ে। চোখের পেছনের স্নায়ু থেকে শুরু হয় সামান্য মাথা ব্যথা, যা ধীরে ধীরে রূপ নেয় মাইগ্রেনে। মোবাইলের নীল আলো (Blue Light) আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে এবং দীর্ঘমেয়াদী মানসিক অবসাদ তৈরি হয়। এভাবে একদিকে ঘুম কমে, অন্যদিকে চাপ বাড়ে আর সেই চাপ থেকেই জন্ম নেয় মাইগ্রেন।
আরেকটা কারণ হলো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা ও চাপগ্রস্ত জীবন-যাপন। আপনি কী খেয়াল করেছেন, মাথাব্যথা কখন বাড়ে? যখন আপনি ভেতরে ভেতরে অস্থির, ক্লান্ত, অথবা বিষণ্ন থাকেন। কারণ, মস্তিষ্কে স্নায়বিক উত্তেজনা ও কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে তা সরাসরি মাথায় প্রভাব ফেলে। সাইকো-সোম্যাটিক ডিসঅর্ডার হিসেবে মাইগ্রেনের সম্পর্ক আছে মানসিক পীড়নের সাথে।
এছাড়াও কিছু অতিপরিচিত অথচ অবহেলিত কারণ রয়েছে। যেমন:
🔺অনিয়মিত খাবার খাওয়া ও পানি কম পান।
🔺অতিরিক্ত শব্দ বা আলোয় বেশি সময় থাকা।
🔺হরমোনাল পরিবর্তন, বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে।
🔺অতিরিক্ত ঘুম বা ঘুমের অভাব।
🔺পারফেকশনিজম বা অতিরিক্ত দায়িত্ববোধ।
সুতরাং।
মাইগ্রেন শুধু মাথার ব্যথা নয়, এটা একরকম মানসিক চিৎকার, যেটা আপনি হয়তো মুখে বলতে পারছেন না। তাই নিজের অনুভূতির যত্ন নিন, কারণ একমাত্র আপনিই জানেন আপনার ভেতরের ব্যথা কতটা গভীর।
Collect