01/08/2025
অনেক জল্পনাকল্পনার পর অলরেডি কয়েকটা সেরা সংস্কার মোটামুটি কনফার্ম! ,👍
1.
বিএনপির বিরোধিতা সত্ত্বেও পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ। সিদ্ধান্ত জানালো ঐকমত্য কমিশন।
এতে করে সংসদে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে!
সংসদে সবসময় একটা ফাইট হবে।
আগে দেখতাম হাসিনা যেটা বলতো সবকয়টা চোর ঠিক ঠিক বলে চিল্লাইয়া ওঠতো।
2.
এক ব্যক্তি জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন। এই সিদ্ধান্ত স্বৈরাচার হয়ে ওঠার প্রথম ব্যর্থতা।
কেউ চাইলেই ১০ বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।
3.
যেকোন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক চুক্তির অনুমোদন, সংশোধন ইত্যাদি সংসদের উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয় থেকে পাশ করিয়ে নিতে হবে।
কোনরূপ আলোচনা না করেই, জনগনকে না জানিয়েই হাসিনার মতো ট্রানজিট দিয়ে দিতে পারবে না।
মানে চুপি চুপি দেশ বিক্রি কিংবা জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কিছু করবে সেই চান্স নাই।
4.
স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আর থাকছে না। ফলে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের স্থানীয় পর্যায়ের মাদকাসক্ত, গুন্ডা পান্ডাদের পরিবর্তে যোগ্য, শিক্ষিত, মার্জিত লোকজন স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে উঠে আসবে।
প্রতীক বানিজ্য নিজেদের মধ্যে কামড়াকামড়ি কিছুটা বন্ধ হবে।
আগে দেখতাম যে নৌকা প্রতীক পাইতো সেইম চেয়ারম্যান কনফার্ম ছিলো এবার এই সুযোগটা বন্ধ হয়ে যাবে।
5.
সংসদে বিরোধী দলের গুরুত্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। এখন থেকে ডেপুটি স্পিকার পদে বিরোধী দল থেকে মনোনয়ন হবে।
মানে দলীয় স্পিকারকে কাউন্টার করার মতো বিরোধী দল থাকবে এখন থেকে সংসদে মততাজের গান হয়তো আর চলবে না।
6.
স্বাধীন পুলিশ কমিশন হচ্ছে। এটার ইতিবাচক ইমপ্যাক্ট হবে হিউজ। প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুলিশকে আর রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো যাবে না।
তারা চাইলেই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারবে।জনগণের হয়ে কাজ করতে পারবে।
হাসিনার মতো কুকামে আর ব্যবহার করতে তারা বাধ্য থাকবে না।
7.
গণহত্যা ও ভোট জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠিত হচ্ছে।
মানে সামনে যারা ভোট জালিয়াতি করার প্ল্যান বানাবে তাদের জন্য দৃষ্টান্ত হবে তাদের বিচার।
8.
নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আলাদা সচিবালয় হচ্ছে।
তাহলে জুডিশিয়ারি হবে স্বাধীন , দলীয় আধিপত্য কিছুটা কমে আসবে। আইনজীবীরা চাইলে জনগণ সঠিক বিচার পাবে।
9.
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় নিয়োগ কমিশন (Judicial Appointments Commission-JAC) গঠিত হচ্ছে।
এবার দরকার খু' নির বিচার, জুলাই ঘোষণাপত্র ,জুলাই সনদ।
তারপর একটা সুষ্ঠু ,নিরপেক্ষ নির্বাচন।
©