06/07/2025
নিশু বন – এক ভৌতিক কাহিনী
গ্রামের এক প্রান্তে ছিল এক ঘন অরণ্য – নিশু বন নামে পরিচিত। দিনের বেলাতেই সে জায়গা মানুষ এড়িয়ে চলত, আর রাত নামলেই শোনা যেত অদ্ভুত সব কান্না আর হাসির শব্দ। গ্রামের বয়স্করা বলত, বছর দশেক আগে এই বনের পাশেই এক পাগল বৃদ্ধ মারা যায়। তিনি জীবিত অবস্থায় নানারকম অদ্ভুত কাজ করতেন এবং গভীর রাতে জঙ্গলে একা ঘোরাঘুরি করতেন।
লোকেরা বিশ্বাস করত, তার আত্মা এখনও শান্তি পায়নি – সে রাত হলেই ফিরে আসে নিজের ‘বন্ধুদের’ খুঁজতে।
একদিন “ঝামেলা আনলিমিটেড” টিম সিদ্ধান্ত নিল সেই বনে রাত কাটিয়ে সত্যতা যাচাই করবে। রাত ১২টায় তাঁরা পৌঁছালেন বনজঙ্গলের ভেতরে, সঙ্গে ক্যামেরা, লাইট আর এক ভৌতিক পুতুল – ভয় বাড়াতে।
প্রথম কিছুক্ষণ সব ঠিকঠাক চলছিল। ক্যামেরায় তারা নানা দৃশ্য ধারণ করছিল, হঠাৎই পুতুলটির গলা নিজে নিজে ঘুরে গেল! সবাই ভেবেছিল এটা হয়ত বাতাসে হয়েছে, কিন্তু বাতাসই তো ছিল না।
পরক্ষণেই ক্যামেরাম্যানের হাতে থাকা লাইট হঠাৎ নিভে যায়। কেউ একজন পিছন থেকে ফিসফিস করে বলে, “তোমাদের চাই কী?”
চোখ মেলে দেখে তারা, কেউ নেই! হঠাৎই এক কিশোর ছেলেটা চিৎকার করে ওঠে – তার গায়ে কেউ বরফঠান্ডা হাত রেখে দাঁড়িয়ে ছিল!
তাড়াতাড়ি সবাই জিনিসপত্র ফেলে দৌড়ে পালাতে শুরু করে। পেছন ফিরে দেখে, তাদের বানানো ভূতের পুতুল এখন নিজেই হাঁটছে, তার চোখে লাল আগুনের মতো আলো!
টিম ফিরে এসে ভিডিও সম্পাদনা করতে গিয়ে দেখে, ক্যামেরায় পুতুলের পেছনে একটা ছায়ামূর্তি বারবার দেখা যাচ্ছে – যেটা শুটিংয়ের সময় কেউই দেখেনি!
সেই রাতের পর থেকে কেউ আর নিশু বনের নামও মুখে আনে না।
কারণ তারা জানে, কেউ একজন এখনও সেখানে অপেক্ষা করছে... নতুন ‘বন্ধু’র আশায়।