স্বপ্ন ময়ী

স্বপ্ন ময়ী একটা ফলো এবং লাইক করে দিবেন।
Please Like and Follow My Page.
👇👇Like👇👇

20/08/2025

কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের পর
হাসিনার কাছে প্রথম যে কলটি এসেছিল সেটি ছিল জাতিসংঘের মহাসচিব "বানকি মুনের "। হাসিনাকে নিষেধ করা হয়, কাদের মোল্লার যেন ফাঁসি না হয়। হাসিনা ভারতের চাপে ফাঁসি দিতে বাধ্য হয়।

সাকা চৌধুরীর কথা মনে আছে? উনি নিজেও জানতেন না যে উনার আজকে ফাঁসি হবে। পরিবারের কাছে জানতে পারেন। এই সাকা চৌধুরীর কবর খোড়া হয় ২টি। উনার কবর দেওয়া নিয়ে অনেক কাহিনি করে হাসিনা বাহিনী।

গোলাম আজম, সাঈদি, মতিউর রহমান নিজামিসহ আরও অনেককে অন্যায়ভাবে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন দেওয়া হয়।

একটা জিনিস খেয়াল করেছেন? এই লোকগুলো কিন্তু চাইলে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিতে পারতেন। তাঁরা যদি রাজাকার হতো তাহলে অবশ্যই তাঁরা যুদ্ধের পর দেশ ছেড়ে পালাতে পারতো। পালায়নি কেন?

এই দিকে যারা দেশপ্রেমিক তাদের একজন লন্ডনে আর একজন ভারতে। মূলত রাজাকার কারা?
জাতির কাছে আমাদের প্রশ্ন।

#সংগৃহীত

পোস্ট টা শেয়ার করে অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। আপনার শেয়ার এর মাধ্যমে মানুষের অনেক বড় উপকার হবে।
28/06/2025

পোস্ট টা শেয়ার করে অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। আপনার শেয়ার এর মাধ্যমে মানুষের অনেক বড় উপকার হবে।

🚫সর্তকতা মূলক পোস্ট।

সরকারী ভাবে এই চান্দা মাছ টা নিষিদ্ধ হলেও,গাজীপুরের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মাছ অসৎ উপায়ে বাজারে বিক্রি করছে।

অনেক সাধারণ মানুষ না বুঝে এই ক্ষতি কারক মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। যেটা খাইলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে

আমরা এই চান্দা মাছ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকি।

পোস্ট টা শেয়ার করে অন্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিন। যাতে সবাই সর্তক হতে পারে এবং এই ক্ষতি কারক মাছ থেকো নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে পারে।

আমরা সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যে বিষাক্ত মাংস খেকো মাছ থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেওয়ার উপযুক্ত ব্যবস্থা করেন।

Gm Mehedi 04

27/05/2025

😍পিচ্চি রাগী বউ 😍

➤পর্ব: ৩

সে অনেক বছর আগের কথা আপু মানে রিপনের আম্মুর বিয়ের পর যেদিন রিপন পৃথিবীতে আসে সেদিন আমি আপুকে বলেছিলাম,,

আমি:-আপু তোর ছেলেটা না খুব কিউট হইছে দেখতে একদম তোর মতো,কি সুন্দর করে আমার দিকে তাকিয়ে আছে,আর আমাকে খালামনি,খালামনি বলে ডাকছে।

আপু:-বাহ বা দেখেতো মনে হচ্ছে আমি ওর মা না তুই ওর মা,কি রে আমার ছেলেটাকে কেড়ে নিতে চাইছিস নাকি তুই।

আমি:-ধুর আপু কি যে বলিস আমি তোর ছেলেকে নিবো না তবে আমার যেদিন মেয়ে হবে সেদিন তোর ছেলেকে আমার মেয়ের জামাই বানাবো।

আপু:-ওমা কি প্লেন তোর এখনো তোর বিয়েই হলো না আর তুই মেয়ে বানিয়ে আনলি কোথা থেকে তাও আমার ছেলের বউ হিসেবে।

আমি:-আপু সিরিয়াসলি বলছি,বিয়ে হয়নি তো হবে,আর মেয়েই হবে দেখিস কারণ তোর ছেলেকে আমি অন্য কারো জামাই হতে দেখতে পারবো না।ও শুধু আমার মেয়ের জামাই হবে।

আপু:-আচ্ছা আচ্ছা সে না হয় তোর মেয়ে আসলে হবে এখন আপাতত এসব কথা বন্ধ কর।আমার ছেলে কে তুই তোর জামাই বানিয়ে নিস,

আমি:-Thank You উম্মাহহহহহ

আপু:-হয়েছে, এবার খুশি তো।

আমি:-হুম খুব খুশি।

এরপর দেখতে দেখতে আমার বিয়েটাও হয়ে যায়, রিপন তখন ৩ বছরে পা দিলো,রিপন কে ফেলে ঢাকায় আসার কোনো ইচ্ছেই আমার ছিলো না,কিন্তু নিজের সংসার টাও দেখতে হবে তাই একরকম বাধ্য হয়েই ঢাকায় আসা।

এরপর আর সিলেট যাওয়া হয়নি, নানা রকম কাজের ব্যস্ততা আর সংসার সামলিয়ে সময় হয়ে উঠেনি সিলেট যাওয়ার জন্য।আপু অনেকবার যেতে বলছিলো কিন্তু কাজের চাপ আর অন্যান্য ঝামেলায় সম্ভব হয়ে উঠেনি।

যখন রিপনের ৬ বছর পূর্ণ হয় তখনই আমার মেয়ে অনুর জন্য হয়,আমি তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাই, আপু কে বলি দেখ আপু আমার মেয়ে হয়েছে তোর ছেলেতো এবার সত্যি আমার মেয়ের জামাই হয়ে গেলো রে,আপুর তখন সে কি হাসি বলার বাইরে।

দেখতে দেখতে বর্ষা ও হাটতে শিখে আধো আধো কথা বলতে শিখে,তারপর একদিন আপু বলে......

আপু:-কি রে মেয়েতো বড় হয়ে যাচ্ছে এবার ওকে আমার ঘরের বউ করে নিয়ে আসি কি বলিস।

আমি:-হিহিহিহি তাইতো,,আপু বর্ষা টা খুব দুষ্টু হয়েছে রোজ রোজ এত্তো এত্তো বায়না করে বসে।

আপু:-করবেই তো আমার বউমা বলে কথা।যাকগে শুন পরশু দিন তো ঈদ সিলেট চলে আয় একসাথে কাটাই এইবছরের ঈদ।

আমি:-হ্যা আমারো ইচ্ছা আছে,দেখি বর্ষার আব্বু কি বলে।ওনি যেতে বললে আমরা কালকেই রওয়ানা দেবো।

আপু:-আচ্ছা রাখি তাহলে।

আমি:-আচ্ছা বাই।(টুট টুট)

পরেরদিন সকাল বেলা আমি বর্ষা আর বর্ষা আব্বু সিলেট যাই, খুব আনন্দ করে ঈদটা সেলিব্রেট করি।একদিন আপু বলে...

আপু:-দেখ বোন আমি তোর মেয়েকে সত্যি আমার ছেলের বউ করে নিতে চাই।

আমি:-আপু বর্ষার তো মাত্র ৩ বছর এখন কি করে বিয়ে হয়।ওরা বড় হোক তারপর বিয়ের কথা ভাববো,আর ওরা যদি বড় হয়ে নিজেরা লাইফ পার্টনার খোঁজে তখন কি হবে।ওদের কি এখন বিয়ে দেয়া ঠিক হবে।

আপু:-কোনো উপায় নেই।

আমি:-আপু আর ২-৩ বছর যাক পরে না হয় সময় দেখে কাজি এনে ওদের বিয়ে পড়িয়ে নিবো আপাতত এতো অল্প বয়সেনা।

আপু:-ঠিক আছে ৩ বছর সময় দিলাম, তখন কিন্তু কোনো কথা শুনবো না।

আমি:-আচ্ছা ঠিক আছে।

এরপর কেটে যায় আরো ৩ বছর, বর্ষাকে স্কুলে ভর্তি করা হয়,আর রিপন ৬ এর স্টুডেন্ট বলতে গেলে রিপন কিছুটা বুঝের কিন্তুু বর্ষা তো এক্কেবারেই অবুঝ,অতো কবুলের মানেই বুঝে না।

তারপর একদিন কাজি এনে ওদের কে কবুল পড়িয়ে বিয়ে দেয়া হয়,আর এখন যে যার মতো করে চলবে। বর্ষা সেদিনই হয়ে যায় রিপনের পিচ্চি বউ,আর এই বিয়ের সাক্ষী ছিলাম আমরা দুই পরিবার।

ওদের বিয়ের পর আমরা আবার ঢাকায় চলে আসি। বর্ষাকে ভালো ভাবে পড়াশোনা করতে দেই,অন্যদিকে রিপন ও পড়াশোনা চালিয়ে যায়। দেখতে দেখতে কেটে যায় আরো ৫ বছর।

রিপন তখন এস এস সি পাস করলো তারপর একটা ভালো কজেলে এডমিশন নিলো আর বর্ষা ক্লাস ৬ এ ভর্তি হলো।আরো ২ বছর কেটে গেলো।

বর্ষার জে এস সি পরীক্ষার পর ওকে ৯ এ ভর্তি করাই, রিপন ও দেখতে দেখতে এইচ এস সি কমপ্লিট হয়ে যায়। আমরা পূনরায় সিলেট গেলাম। বর্ষা সে বার সিলেট গিয়ে জানতে পারে রিপনের সাথে তার বিয়ে হয়েছে সেই ছোট বেলায়।যখন বর্ষা রীতিমতো অ আ জানতো না তখনই তাকে বিয়ের মালা গলায় দিতে হয়।সে যাই হোক আমরা ভেবেছিলাম রিপন আর বর্ষা যখন বড় হবে তখন ওদের বিয়ে দেবো।

তারপর.........

দিশা:-তারপর কি আন্টি?থেমে গেলেন কেনো??

এরপর রিপনের রেজাল্ট আসে,রিপন ভালো পয়েন্ট পেয়ে ভালো ভার্সিটি তে এডমিশন নেয়।নিজের টা নিজেই বুঝে নিতে শিখে,ওর এক ক্লাসমেট নিধি নামের একটা মেয়ের সাথে রিপনের সম্পর্ক হয়ে যায়, মানে ভালোবাসা।

বর্ষা যেদিন জানতে পারে রিপন অন্য একটা মেয়েকে ভালোবাসে সেদিন বর্ষা নিজেকে সামলাতে পারে না।যদি ও বয়স খুব কম তবুও নিজের বরকে অন্য কেউ কেড়ে নিবে তা দেখে যেকোনো মেয়েরই হিংসে হবে।আর তাছাড়া বর্ষা নিজেকে রিপনের পিচ্চি বউয়ের আসনে বসিয়ে রেখেছিলো,মূহুর্তেই বর্ষা কান্নায় ভেংগে পরে।নিধি সেদিন বর্ষার কাছে এসে বলেছিলো রিপন আর নিধি দুজন দুজনকে ভালোবাসে। বর্ষা আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারে না।ভাবতেই পারেনা যে কেউ তার জায়গাটা কেড়ে নিয়েছে,কেউ তার রিপন কে তার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।এইসব ভাবতে ভাবতে কাঁদতে থাকে বর্ষা ।আর চিৎকার দিয়ে বলে রিপন আমি তোমার পিচ্চি বউ, প্লিজ তুমি ফিরে আসো, তুমি এইভাবে আমাকে কষ্ট দিতে পারো না রিপন পারো না।পাগলের মতো কাদে বর্ষা । বর্ষার কান্না দেখে...
.....রিপনকে জিজ্ঞেস করা হলে রিপন কিছু না বলে চুপ করে থাকে।আমরা সেদিন ধরেই নিয়েছিলাম রিপন নিধিকে ভালোবাসে,কারন রিপনের নিরবতা বলে দিচ্ছিল যে সেও নিধিকে ভালোবাসে।

এরপর আমি বর্ষাকে নিয়ে ঢাকায় চলে আসি,আর ফিরে যাইনি সিলেট এ,আমি চাইনি আমার মেয়ে কষ্ট পাক,আমি আমার মেয়েকে শক্ত করে তুলি ওকে যতেস্ট সময় দেই আর ভুলিয়ে দিতে থাকি রিপন কে।আমি যতো ট্রাই করি রিপনকে ভুলানোর ততোই ওর মনে রিপনের প্রতি দুর্বলতা কাজ করে। আমি বুঝতে পারি আমার মেয়ে রিপন কে ভালোবেসে ফেলেছে,চাইলেও আর ওর মন থেকে রিপনকে সরাতে পারবো না,আমাদের একটা ভুল সিদ্ধান্ত আমার মেয়ের সুখটা কেড়ে নিলো।এসব ভাবলে আমার নিজের প্রতি ঘৃণা হয়,তখন বর্ষা বলতো আম্মু তুমি শুধু শুধু নিজেকে দোষারূপ করছো,আমার ভাগ্যে যা ছিলো তাই হয়েছে এতে তোমাদের কোনো দোষ নেই,আর এই দেখো আমি আজ থেকে আর কাঁদবো না।(চোখের জল মুছে)আমি রিপনকে ভুলে যাবো আম্মু।আমি ভালো ভাবে পড়াশোনা করবো অনেক দূর এগিয়ে যাবো দেখবে আমি একদিন ঠিকই রিপন কে ভুলে যাবো।

তারপর থেকে বর্ষা নিজেকে সামলাতে চেষ্টা করে,পুরোটা পারে নি এখনো মাঝে মাঝে মিন মিন করে বলে,রিপন তুমি কি পারো না তোমার পিচ্চি বউটাকে ভালোবাসতে,কেনো এমন করলে রিপন কেনো করলে।বাঙালি মেয়েরা যে একজনকেই স্বামী হিসেবে মানে সেটা বর্ষার কাছ থেকে বুঝতে পারি,ওর জীবনে যত প্রপোজাল এসেছিলো সবকটি ছেলেকে ও বলতো ওর বিয়ে হয়ে গেছে।এসব বলে ছেলেদের কে এড়িয়ে চলতো।

দিনশেষ এ আমার মেয়েটা রাতের আধারে একা একা কাঁদতো।আমি সব বুঝতে পারতাম কিন্তু বর্ষাকে বুঝতে দিতাম না যে আমি ওর কষ্ট টা বুঝতে পারি।রিপনের উপর খুব রাগ হতো যে রিপনের হাতে আমি আমার মেয়েকে তুলে দেবো ভেবেছিলাম সেই রিপন ই আমায় ঠকিয়েছে আমার মেয়েকে ঠকিয়েছে।

কিন্তু পরক্ষনেই মনে হতো যে আমার রিপন এমন করতে পারে না,কোনো কারণ ছাড়া এইভাবে রিপন আমাদেরকে ঠকাতে পারে না।

আমার ভাবনা টাই ঠিক হয়।একদিন রিপন আমাকে কল করে,,,,

রিপন:-আসসালামু আলাইকুম খালামনি কেমন আছেন?

আমি:-ভালো, কিন্তু তুমি কে?

রিপন:-খালামনি আমি রিপন।

আমি:-তুমি কেনো ফোন করেছো তোমার তো এখানে কিছু চাই না।ফোনটা রাখতে পারো।

রিপন:-খালামনি আই এম সরি,প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও,আমি বর্ষাকে কষ্ট দিতে চাইনি,আমি বাধ্য হয়েছি খালামনি এসব করতে।প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও,বিশ্বাস করো খালামনি আমি শুধু বর্ষা কে ভালোবাসি শুধুই বর্ষা কে।প্লিজ একবার ওর কাছে ফোনটা দিবে একটু কথা বলবো।প্লিজ খালামনি প্লিজ।

আমি:-ও তো কলেজে গেছে,আর তাছাড়া ও তোমার সাথে কথা বলবে না।ও তোমার থেকে দূরে থাকলেই ভালো থাকবে।

রিপন:-খালামনি আমি জানি আমার উপর অনেক রাগ তোমাদের অনেক অভিমান তাও বলছি বিশ্বাস করো আমার কোনো দোষ ছিলোনা সেদিন আমি বর্ষা কে বাঁচাতেই এমন নিরব হয়ে থাকি,একবার বুঝার চেষ্টা করো খালামনি।

আমি:-আচ্ছা ঠিক আছে কি ঘটেছিলো আমাকে সব বলো তুমি।

রিপন:-তাহলে শোন.......

এরপর আমি বুঝতে পারি যে রিপন ও পরিস্তিতির স্বীকার হয়ে এইভাবে চুপ করে ছিলো,তাই আমি রিপন কে বলি যে রিপন যেন যত তাড়াতাড়ি পারে ঢাকা চলে আসে।

বর্ষা ও এইচ এস সি দেয় আর রিপন ও ভার্সিটি তে জব পেয়ে যায় তাই খুব সহজ হয়ে যায় এখানে আসা। বর্ষা কে আমিই রাজি করিয়ে ভার্সিটি তে এডমিশন সেই ভার্সিটি ওই টিতেই করাই যেটা তে রিপন জব পায়।

এরপর রিপনের এখানে আসা সব আমার কথা অনুযায়ী হতে থাকে কিন্তুু, বর্ষা যে এখনো রিপনকে সহ্য করতে পারবে না সেটা বুঝিনি। রিপন এর হাতে সময় খুব কম এর ভেতরেই রিপন কক বুঝাতে হবে যে সেদিনের সব ঘটনা ছিলো বর্ষা কে ঘিরেই।আর বর্ষা কে ধীরে ধীরে সবটা বুঝাতে হবে নাহলে ওর মাথায় চাপ বাড়তে পারে।

দিশা:-আপনি চিন্তা করবেন না আন্টি,আমি আর স্যার তো আছিই বর্ষা কে ঠিক সুস্থ করে তুলবো,আর আমার বিশ্বাস স্যারের ভালোবাসার জয় হবেই।এটা যে পবিত্র ভালোবাসা,এই ভালোবাসা কখন ওই হারাবার নয়, আর যে হারাবে সে তো আস্তো একটা বোকা।আমি সিওর বর্ষা একদিন স্যার কে ঠিকই বুঝবে।

রিপন:-দিশা বর্ষা কে বুঝাতে হলে আমাদের ছুটো একটা নাটক সাজাতে হবে।যেটার কাজ শুরু হবে কাল থেকে,আর আমি নিশ্চিত যে এই ফাঁদে বর্ষা ঠিকই পা দেবে।

দিশা:-কি প্লেন স্যার।

রিপন:-তাহলে শুনো.....

রিপন ওর প্লেনের একটা অংশ দিশাকে বলে দেয় আর বলে সবকিছু ঠিকঠাক মতো করবে যেন কোনো সন্দেহ না থাকে আর এই প্লেন এর কথা বর্ষা যেন কোনোভাবেই জানতে না পারে।

দিশা:-ওকে স্যার কেউ জানবে না।

রিপন:-ওকে, ডান। এবার যাও তুমি খালামনিকে নিয়ে বর্ষার কাছে যাও, কাল থেকে আমাদের প্লেন মাফিক কাজ শুরু করবো।

দিশা:-জি স্যার সিওর।আমি আসছি।

এইবলে দিশা বর্ষার আম্মু কে নিয়ে বর্ষার কাছে যায়।

বর্ষার আম্মু:-কি রে মা কেমন আছিস এখন?(মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে)

বর্ষা :-হ্যা মা একটু ভালো লাগছে আগের থেকে।
বর্ষা দিশা আর বর্ষার আম্মু অনেক্ষন বসে গল্প করে। বর্ষার আম্মু দিশার থেকে কিভাবে এক্সিডেন্ট হয় সেই কথা জেনে নেন।

এরপর থেকে রিপন যত বার এসেছে ততোবার শুধু দিশার সাথেই সময় কাটাতো, এক সময় বর্ষা খুব বিরক্ত হতো,মুখ ফুটে কিছু বলতে পারতো না।কারন মেয়েদের বুক ফাটে তবু মুখ ফুটে না, বর্ষার ও সেরকম হচ্ছে,নিজের ভালোবাসার মানুষ অন্য কাউকে সময় দিচ্ছে এটা দেখে যে কোনো মেয়েই রিয়েক্ট করবে।

বর্ষা ও একদিন বলে

বর্ষা :-দিশা এইসব আল্লাদি পনা এইখানে না করে বাইরে যা না,যত্তোসব আদিক্ষেতা।

রিপন:- দিশা কারো মনে ভেতরে খুব জ্বালা করছে আমাদের দেখে।চলো তো আজ একটু বাইরে থেকে ঘুরে আসি।(দিশার হাত ধরে)

দিশা :-ওকে চলো(অনেক কষ্ট করে তুমি বলে)

রিপন আর দিশা যাওয়ার পর বর্ষা ভাবে ইশ কি করলাম নিজের পায়ে নিজেই কুড়াল মারলাম। দিশা ও হয়েছে তেমন কি দরকার অন্যের বরের সাথে ঘুরাঘুরি করার।ধুর কেনো যে ওদেরকে যেতে বললাম।আমার ভাগ্যটাই খারাপ নইলে এতো দিন পর রিপনকে পেয়েও হারাতে হতো না,উফ অসহ্য।

এইভাবে ১৫ দিন কেটে যায়। আজ বর্ষা কে রিলিজ দেয়, বর্ষা সামনে এসে বসেছে রিপন ড্রাইভ করছে আর পেছন থেকে দিশা হেসে হেসে গড়াগড়ি খাওয়ার উপক্রম।

বর্ষার সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে,রিপন এমনিতে বর্ষার কাছে থাকলে অপমান করে আবার অন্যকারো সাথে দেখলে একা একা কাঁদে।ও ভাবে রিপন আর কোনোদিন ও ওর হবে না,পরক্ষনেই ভাবে ধুর রিপনতো কখন ওই আমার ছিলো না।এসব ভাবতে ভাবতে মনকে শান্ত্বনা দেয় বর্ষা ........

চলবে.........

ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

26/05/2025

পিচ্চি রাগী বউ
পর্ব:-২

বর্ষা ভাবছে রিপনের দেয়া সারপ্রাইজ টা আসলে ঠিক কি হতে পারে যার জন্য রিপন আজকে এতো খুশি,ওর মুখ দেখেতো মনে হচ্ছে ওর জীবনে ভালো কিছু ঘটেছে যার জন্য ও আমাকে সারপ্রাইজ দিতে চায়,কিন্তু ওর দেয়া সারপ্রাইজ টা কি আমি সহ্য করতে পারবো,এসব ভাবতে ভাবতে বর্ষা আনমনা হয়ে বাইরে থাকিয়ে থাকে,
এদিকে রিপন বার বার হরন বাজিয়ে যাচ্ছে সেদিকে বর্ষার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সে তার ভাবনায় মগ্ন হয়ে আছে।

রিপন বুঝতে পারে বর্ষা কোনো ব্যাপার নিয়ে ভীষণ চিন্তায় আছে তাই রিপন বর্ষাকে আলতো করে একটা ধাক্কা মারে,

রিপন:-কিরে বর্ষা অনেক্ষন হলো ভার্সিটি তে এসেছি,সেই কখন থেকে হরন দিয়েই যাচ্ছি তুই কি কিছুই শুনতে পাসনা নাকি,কি এমন ভাবছিস যে এতো জুড়ে হরন দিচ্ছি তাও সেটা তোর কানে যাচ্ছে না।

বর্ষা:-না কিছু না এমনি কিছু ভালো লাগছে না।

রিপন:-তো আমি কি গাড়িটা ব্যাক করে বাসায় নিয়ে যাবো, তোর যখন ভালো লাগছে না থাক আজ আর ক্লাস করার দরকার নেই।

বর্ষা:-সেটা কিভাবে হয় ভার্সিটি তে এসে ক্লাস না করেই চলে যাবো। একটু কষ্ট করে ক্লাসটা করেই যাই।

রিপন:-ঠিক আছে আয়।

বর্ষা:-হুম।

রিপন:-একটু সাবধানে নামবি।

বর্ষা:-আচ্ছা।

রিপন বর্ষার হাততা ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে বর্ষাকে ওর ক্লাসে দিয়ে প্রিন্সিপাল এর কাছে যায়,

বর্ষা:-তুমি ওদিকে কোথায় যাচ্ছ?

রিপন:-তুই ক্লাসে বস আমি একটু আসছি।

বর্ষা:-ওদিকে প্রিন্সিপাল স্যারের কক্ষ।

রিপন:-হ্যা, আমি স্যারের সাথে ই কথা বলতে যাচ্ছি।

বর্ষা:-স্যার কে তুমি কিভাবে চিনো,আর স্যারের সাথে তোমার কিসের দরকার?

রিপন:-সেটা একটু পরই বুঝতে পারবি,তুই ক্লাসে বস।

বর্ষা ক্লাসে বসে ভাবছে রিপন আসলে ঠিক কি জন্য এখানে এসেছে,এমন সময় দিশা এসে বর্ষা কে বলে।

দিশা:-কি রে বর্ষা কি ভাবছিস তখন থেকে ডেকেই যাচ্ছি কোনো সাড়াই তো দিচ্ছিস না।

বর্ষা:-ওহ তুই,(কিছু টা অবাক হয়ে)

দিশা:-হ্যা আমি, কি ভাবছিলি তুই আর তকে এতো আনমনা লাগছে কেনো, কি হয়েছে?

বর্ষা:-নারে কিছু না, মাথায় একটু ব্যাথা করছে।

দিশা:-ওহ এটা ঠিক হয়ে যাবে,চিন্তা করিস না।

একটু পর প্রিন্সিপাল স্যার ক্লাসে এসে সবার উদ্দ্যেশে কিছু কথা বলেন।প্রিয় ছাত্র ছাত্রীরা আজ এই ভার্সিটি তে ম্যাথের নতুন স্যার জয়েন করবেন তোমরা সবাই স্যার কে সম্মান দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে,আর মনে রাখবে স্যার কে কোনো ভাবেই যেন অপমানিত হতে না হয়,আর স্যারের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে, বুঝতে পেরেছো তো কি বললাম।

ছাত্র ছাত্রী :-জি স্যার,

প্রিন্সিপাল :-এক্সকিউজ মি স্যার আপনি একটু ভেতেরে আসুন।(নতুন স্যার কে উদ্দেশ্য করে)

এরপর রিপন এসে ক্লাসে প্রবেশ করে,তখন প্রিন্সিপাল স্যার আবার বলেন

প্রিন্সিপাল :-ইনি হলেন তোমাদের নতুন ম্যাথ টিচার রিপন আহমদ ।

(রিপন কে দেখে বর্ষা এতোটাই অবাক হয় যে খুশিতে ওর চোখে পানি চলে আসে তবুও রিপনের উপর হাল্কা অভিমান নিয়ে মুখবার করে ক্লাসে বসে থাকে)

ছাত্র ছাত্রী:-আসসালামু আলাইকুম স্যার,কেমন আছেন আপনি?

রিপন:-ওয়ালাইকুম আসসালাম।আলহামদুলিল্লাহ ভালো,তোমরা কেমন আছো?

ছাত্র ছাত্রী :-জি স্যার ভালো।

প্রিন্সিপাল :-তাহলে স্যার আপনি ক্লাস নিন আমি আসছি।

রিপন:-ওকে স্যার, আসসালামু আলাইকুম।

প্রিন্সিপাল স্যার চলে যাওয়ার পর রিপন এক এক করে সবার সাথে পরিচিত হয়।শেষে বর্ষাকে জিজ্ঞেস করে তখন বর্ষা ওর পরিচয় দেয়, কিছুটা রাগি রাগি ভাব নিয়ে,এমন ভাবে কথা বলে যেন সে রিপন কে আজই প্রথম দেখছে।

এরপর রিপন সবার সাথে কিছুটা সময় গল্প করে কাটিয়ে দেয়,এরপর রিপন ওদের ক্লাস নেয়,প্রথম দিন তাই একটু পড়াশোনার দিকে সবাইকে নজর দিতে বলে।আর এই ভার্সিটির সম্পর্কে কিছু আলোচনা করে সবার থেকে জেনে নেয়।

ক্লাস শেষ করে বর্ষা কিছু না বলেই দিশাকে সাথে নিয়ে ক্লাস থেকে বেরিয়ে যায়, রিপন কিছু বলতে যাবে সেই সময়টাই বর্ষা ওকে দেয়নি,রাগ নিয়ে বেরিয়ে যায়।

বর্ষা আর দিশা কিছুক্ষণ একসাথে বসে গল্প করে,ঠিক তখনই রিপন এসে ওদের সামনে দাঁড়ায় আর বলে,,

রিপন:-তো মিসেস রিপন আহমদ , কেমন দিলাম আজকের সারপ্রাইজ টা।

বর্ষা:-.........(চুপ)

রিপন:-কি হলো চুপ করে আছো কেনো আমি কি কোনো অন্যায় করেছি।

বর্ষা:-...........(চুপ)

রিপন:-তুমি আমার সাথে কথা বলবে না,দেখো বর্ষা আমি তো তোমাকে খুশি দেখতে চেয়েছিলাম তাই আজ এইভাবে তোমাকে সারপ্রাইজ দেয়ার প্লেন করি,বিশ্বাস করো আমি তোমাকে একটু ও কষ্ট দিতে চাইনি।

বর্ষা:-........(চুপ)

রিপন:-ঠিক আছে তুমি যদি না চাও তাহলে আমি এই জব ছেড়ে সিলেট চলে যাব।

বর্ষা:-অনেক বলেছেন স্যার আপনি আর না, কি ভাবেন নিজেকে আপনি, আর আমাকেই বা কি ভাবেন আজ এতোগুলো দিন পেরিয়ে এসে আপনি আমাকে সারপ্রাইজ দিচ্ছেন,কেনো কি চাই আমার কাছে,আমি তো আপনার কেউ না,তাহলে আপনি কেনো এখানে এসেছেন,আমি তো আপনাকে এখানে আসতে বলিনি।ফিরে যান না আপনার ওই জীবনে যেখানে আমার কোনো মুল্য কোনো কালেই ছিলো না।আমি এখানে ভালোই আছি।শুধু শুধু কষ্ট করে এখানে কেনো আসলেন(অনেক কষ্টে কথা গুলো শেষ করে বর্ষা)

রিপন:-আমি জানি বর্ষা আমার উপর তোমার অনেক রাগ অভিমান, কিন্তু তুমি সেদিন আমাকে ভুল বুঝেছিলে,আমাকে কিছু বলার ও সুযোগ দাওনি তুমি।

বর্ষা:-আমি সেদিন ঠিকই ভেবেছিলাম আমি কোনো ভুল দেখিনি আর ভাবিনি যে আমি তোমাকে ভুল বুঝবো,ওহ সরি আপনাকে ভুল বুঝবো

রিপন:-বাহ বর্ষা বাহ আজ আমি তোমার এতোটা পর হয়ে গেলাম,আমি ভেবেছিলাম আজকে তোমাকে এই সারপ্রাইজ টা দিয়ে তোমার সাথে কিছু সময় একা কাটাবো বলে,তোমার সেদিনের দেখা সেই ভুলটা ভাঙিয়ে দিবো বলে কিন্তু না তুমি সেই সুযোগ টাই তো আমাকে দিচ্ছোনা।প্লিজ একবার আমার সাথে চলো আমার তোমার সাথে অনেক কথা আছে।

বর্ষা:-সরি আমি কোথাও যাব না আমাকে বাসায় যেতে হবে।

দিশা এতক্ষন নিরব শ্রোতার মতো ওদের কথা শুনেই যাচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না।

দিশা:বর্ষা ইনি কে, তোর সাথে এনার কি সম্পর্ক আর ইনি তোকে মিসেস রিপন আহমদ বলে কেনো ডাকলেন।কি রে উত্তর দে কথা বল আমার সাথে আমি কিছু জিজ্ঞেস করছি তোকে।(একটু জুড়ে ধাক্কা দিয়ে)

বর্ষা:-কেউ না,ওনি আমার কেউ হন না কোনো সম্পর্ক নেই আমার ওনার সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।(কাঁপা কাঁপা গলায় কথাগুলো বলে যেন আর একটু হলেই কান্না করে দিবে)

বর্ষা দিশাকে কে জুড়ে ধাক্কা দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে রাস্তায় চলে যায়।কোনো দিকেই খেয়াল না থাকায় খুব জুড়ে একটা ধাক্কা খেয়ে রাস্তার পাশে পরে থাকে, ধাক্কা খাওয়ার সাথে সাথেই রিপন বলে জুড়ে একটা চিৎকার দেয়।আর সাথে সাথেই জ্ঞান হারায়।

রিপন ওর গলার আওয়াজ শুনে খুব দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখে বর্ষা সারা শরীর রক্তে মাখামাখি, আর অচেতন অবস্তায় পড়ে আছে।

রিপন ওকে কোলে তুলে গাড়িতে বসিয়ে দেয় সাথে দিশা ও যায়, রিপন গাড়ি ড্রাইভ করছে আর বিড়বিড় করছে তোমার কিছু হবে না বর্ষা কিছু হবে না আমি তোমার কিছুই হতে দেবো না আমার প্রান থাকতে ও না।

দিশার কোলে মাথা রেখে আছে বর্ষা,আর দিশা বলছে কেনো এমন পাগলামি করলি বর্ষা,কি এমন কষ্ট তোর যার জন্য এইভাবে ছুটতে ছুটতে রাস্তা পার হচ্ছিলি,এমন কেউ করে।

রিপন ওকে গাড়ি থেকে নামিয়ে কোলে নিয়ে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে। ডাক্তার কে ডাক দেওয়ার পর ডাক্তার আসে।

রিপন:-ডাক্তার যে করেই হোক আপনি আমার বর্ষাকে বাচান,ওর কিছু হলে আমি বাঁচতে পারবো না।ও যে সবকিছু আমার রিদরের স্পন্দন, প্লিজ ডাক্তার ওকে বাচান,যতো টাকা লাগে আমি দেবো তবুও আপনি ওকে বাচিয়ে তুলুন ডাক্তার।(হাউমাউ কিরে কাদতে থাকে রিপন)

ডাক্তার:-নার্স এক্ষুনি ও টির ব্যবস্থা করুন, ইম্মিডিয়েট অপারেশন করতে হবে নাহলে পেসেন্টকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে যাবে,Go fast.

ডাক্তার বর্ষাকে অপারেশন থিয়েটার এ নিয়ে যায় আর ওদের কে বাইরে অপেক্ষা করতে বলে।

একজন নার্স এসে রিপনকে একটা কাগজ দেয়।

নার্স:-আপনি রোগীর কি হোন।

রিপন:-Husband.

নার্স:-এই কাগজে সই করুন।অপারেশন চলাকালিন সময়ে পেসেন্টের কিছু হলে এই হাসপাতাল বা ডাক্তার কেউই দায়ী থাকবে না।

রিপন:-ঠিক আছে দিন আমি সই করছি।

নার্স চলে যায়, তখন দিশা বলে...

দিশা:-স্যার আপনি শান্ত হোন ওর কিছু হবে না ও ঠিক হয়ে যাবে, আল্লাহ ওকে এই ভাবে আমাদের থেকে কেড়ে নিতে পারেন না।(শান্তনা দেয়ার চেষ্টা)

রিপন:-ওর কিছু হলে আমি নিজেকে ক্ষমা করতে পারবো না,আমার উপর ওর অনেক অভিমান জমে আছে আমি জানি কিন্তু আমি এটাও জানি বর্ষা আমাকে নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসে।আমার একটা ভুলের সাজা ও আমাকে এইভাবে দিতে পারে না।ও কেনো বুঝেনা ওকে ছাড়া আমি যে বড্ড অসহায়।(কেঁদে কেঁদে)

দিশা:-আপনি কাঁদবেন না স্যার ছেলেদের এইভাবে কান্না সাজে না,আপনাকে সুস্থ হতে হবে,স্যার আমি আজো জানিনা আপনার সাথে বর্ষার কি সম্পর্ক বর্ষার মুখে কোনোদিন ও আপনার কথা শুনিনি সেটা না শুনেছি অনেক বার তবে আপনাদের মাঝে কি সম্পর্ক জানতাম না,তবে আজ আমি বুঝতে পারলাম আপনারা স্বামী-স্ত্রী।আর আমি এতোক্ষনে এটা বুঝতে পেরেছি যে আপনি বর্ষাকে খুব ভালোবাসেন।আর সত্যিকারের ভালোবাসা কখনো হারায় না স্যার,আপনি নিজেকে শক্ত রাখেন দেখবেন বর্ষা ঠিক সুস্থ হয়ে যাবে এটা আমার বিশ্বাস।

রিপন:-তাই যেন হয় দিশা।আমি ওকে সত্যি অনেক ভালোবাসি।

হঠাৎ অপারেশন থিয়েটার কক্ষের আলো নিভে গেলো আর ডাক্তার বাইরে বেড়িয়ে এলো,ডাক্তারের মুখটা মলিন হয়ে আছে।রিপন বুঝতে পারলো যে অপারেশন শেষ, ও দৌড়ে ডাক্তারের কাছে যায়।

রিপন:-ডাক্তার সাহেব বর্ষার কি অবস্তা ও ঠিক আছে তো,কিছু তো বলুন ডাক্তার কি হলো আপনি চুপ করে আছেন কেনো?(ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করে রিপন)

ডাক্তার:-অপারেশন সাকসেসফুল তবে....

রিপন:-তবে কি ডাক্তার, প্লিজ চুপ করে থাকবেন না।

ডাক্তার:-দেখুন মি.রিপন ওনি মাথায় খুব বেশি আঘাত পেয়েছেন যার ফলে ওনার মাথায় বেশি চাপ লাগে ওনি সুস্থ হবেন তবে মানসিক ভাবে কিছুটা ডিপ্রেশন এ ভুগবেন।

রিপন:-কি বলছেন ডাক্তার এসব,ও কি পুরোপুরি ঠিক হতে পারবে না।(কেঁদে কেঁদে)

ডাক্তার:-হতে পারবেন তবে অনেক সময় লাগবে,ওনাকে বেশি দুর্বল হতে দিবেন না সবসময় খেয়াল রাখবেন যাতে ওনি হাসিখুশি থাকেন।ওনাকে প্রচুর টাইম দিবেন আর একটু যত্ন নিবেন ধীরে ধীরে ওনি এই চাপটা কাটিয়ে উঠবেন আমার বিশ্বাস।

রিপন:-Thank you doctor,thank you so much.

ডাক্তার:-এখন ওনাকে কেবিনে শিপট করা হবে,২ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরবে।আপনি চাইলে একটু পর ওনার সাথে দেখা করতে পারেন।

রিপন:-ওকে।(একটু খুশি হয়ে)

দিশা:-বলেছিলাম না স্যার ওর কিছু হবে না আপনি শুধু শুধু এতো টেনশন করছিলেন।আপনি বরং এখন ওর কাছে যান আমি আন্টিকে কল করে বলছি বর্ষার অপারেশন ঠিকঠাক মতো হয়েছে।

রিপন:-আচ্ছা ঠিক আছে আমি যাচ্ছি।

দিশা কল দেয় বর্ষা আম্মুর কাছে।

দিশা:-হ্যালো আন্টি আপনি চিন্তা করবেন না অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে আর বর্ষা এখন ঘুমাচ্ছে, আপনি চাইলে বিকেলে একবার আসবেন। আর রিপন স্যার তো আছেন ই বর্ষা সাথে।

বর্ষার আম্মু:-আচ্ছা মা আমি আসবো আমার বর্ষার খেয়াল রেখো আমি বরং তোমাদের জন্য হাল্কা নাস্তা নিয়ে আসছি।

দিশা:-আন্টি কিছু লাগবে না আমরা বাইরে থেকে আনিয়ে নেবো।

বর্ষার আম্মু:-চুপ বেয়াদব মেয়ে বড়দের কথা অমান্য করতে নেই।

দিশা:-আচ্ছা আন্টি আপনার ইচ্ছা,আমি যে আপনার কথা ফেলতে পারিনা সেটা আপনি ভালো ভাবেই জানেন।আন্টি একটা কথা জানার ছিলো।

বর্ষার আম্মু:-হ্যা মা বল?

দিশা:-আন্টি আপনি কি জানতেন যে রিপন ই আমাদের কলেজের স্যার,আর ওনি আজ আমাদের ভার্সিটি তে জয়েন করবেন।

বর্ষার আম্মু:-হ্যা মা জানতাম আর ওই জন্যেই তো বর্ষাকে ওই ভার্সিটি তে এডমিশন এর জন্য জোর করি।

দিশা:-কিন্তু আন্টি কেনো?

বর্ষার আম্মু:-আমি এসে তোকে সবটা বলবো, তুই একটু অপেক্ষা কর।

দিশা:-আচ্ছা আন্টি রাখি তাহলে আর আপনি সাবধানে আসবেন কিন্তু।

বর্ষার আম্মু:-হ্যা মা আসবো তুই চিন্তা করিস না।

দিশা:-আচ্ছা আন্টি রাখছি।বাই(টুট টুট) কল কেটে দিশা ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসে,ওর সারাগায়ের রক্ত এতোক্ষনে জমাট বেধে গেছে।সেটা ধুতেই ওয়াশ রুমে যায়।

একটা কেবিনে বর্ষাকে নিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়।রিপন গিয়ে ওর মাথার কাছে একটা চেয়ার টেনে বসে,বর্ষার মাথায় হাত বুলাতে থাকে আর নিজে নিজে বলে উঠে,,

আজ আমার জন্য তোর এই হাল,আমি তোর ক্ষতি করতে চাইনি বর্ষা আমি বুঝতে পারিনি আমার উপর রাগ করে তুই এমন ভাবে রিয়েক্ট করবি।তুই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যা তোর সাথে অনেক কথা আছে,অনেক কিছু বলার আছে তোকে,সবটা জেনে তুই আর আমার উপর রাগ করে থাকতে পারবি না।

কিছুক্ষণ পর বর্ষার জ্ঞান ফিরে বর্ষা খুব জুড়ে চিৎকার দিয়ে উঠে,রিপনকে দেখে আরো বেশি রেগে যায়।

বর্ষার চিৎকার শুনে দিশা দ্রুত কেবিনে ডুকে দেখে বর্ষা রিপন কে নানা রকম ভাবে অপমান করছে আর কথা শুনাচ্ছে।

কথাগুলো ছিলো এরকম...

বর্ষা:-আপনি এখানে কেনো, কি চান আমার কাছে, চলে যান এখান থেকে।আমার সাথে কোনো কাজ নেই আপনার, আমি আপনার কেউ না চলে যান আপনি এইখান থেকে,আমি আপনাকে সহ্য করতে পারছি না।আর আপনি আমার গায়ে হাত দিলেন কোন সাহসে, কোন অধিকারে আপনি আমাকে স্পর্শ করছেন,আপনার তো সাহস বেড়েই গেছে দেখছি।চলে যান এইখান থেকে আমি আপনার মুখও দেখতে চাইনা আর।(খুব জুড়ে জুড়ে বলে)

রিপন:-প্লিজ বর্ষা শান্ত হও এইভাবে পাগলামি করো না,তুমি এখনোও অসুস্থ।প্লিজ বর্ষা নিজের জন্য হলেও একটু শান্ত হও।

বর্ষা:-আপনি কি যাবেন নাকি আমি(ছুরি দেখিয়ে)

রিপন:-ওকে তুমি যা চাও তাই হবে, কিন্তু সেটা তোমার সুস্থ হওয়ার পর।

এই বলে রিপন বাইরে বেরোয়। আর দিশা কেবিনে যায়। দিশা, বর্ষা কে অনেক কষ্টে শান্ত করে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে রিপনের কাছে যায়, তারপর দিশা রিপন কে বলে.

দিশা:-স্যার আপনি মন খারাপ করবেন না।ডাক্তার কি বলেছিলেন মনে আছে নিশ্চয়ই।

রিপন:-এজন্য ই কিছু বলিনি আমি জানি ওর ভুলটা একদিন ভাংবেই আর ও আমার কাছে ফিরবে।ও নিজেই এসে বলবে এই রিপন দেখো আমি তোমার পিচ্চি বউ।তোমার কাছে ফিরে এসেছি আমি।

দিশা:-পিচ্চি বউ মানে...(অবাক হয়ে)

বর্ষার আম্মু:-হ্যা রে মা পিচ্চি বউ(ওদের কাছে এসে)

দিশা:-আমি কিছুই বুঝতে পারছি না,এই নাম টা আগে কখনো বর্ষার মুখে শুনিনি।(জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে আছে বর্ষা মায়ের দিকে)

বর্ষার আম্মু:-তাহলে শুন মা........

চলবে......

ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।

আল্লাহ হাফেজ সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
পরের পর্ব খুব তারাতাড়ি নিয়ে আসবো।

25/05/2025

...পিচ্চি রাগী বউ...
...পর্ব:১...

আজ বর্ষার ভার্সিটির প্রথম দিন,সকাল হতে না হতেই ওর বেষ্ট ফ্রেন্ড দিশা ওকে কল করে ভার্সিটি তে আসতে বলে। বর্ষা নাস্তা সেরে রেডি হয়ে ভার্সিটি যাওয়ার জন্য পা বাড়ালো,তখনই ওর আম্মু ওকে থামিয়ে বললেন,,,,,,

বর্ষার আম্মু:- আজ ভার্সিটি না গেলে হয় না।

বর্ষা:- কি বলো আম্মু আজ আমার ভার্সিটির প্রথম দিন আর আজকেই যেতে বারণ করছো।

বর্ষার আম্মু:-না আসলে আজতো রিপন আসবে তাই বলছিলাম তুই যদি ওকে ষ্টেশন এ আনতে যাস।

বর্ষা:-রিপন আসবে তাতে আমার ভার্সিটি না যাওয়ার কি কারণ আর আমি ওকে আনতে যাবো কেনো? ওকি নিজে আসতে পারে না,নাকি কিডন্যাপ হয়ে যাবে এই ভয়ে একা আসতে পারছে না।আজ কাল শহরের যা হাল যে কেউতো যখন তখন কিডন্যাপ হয়ে যেতে পারে,তাই না(মুচকি হেসে)

বর্ষার আম্মু:-দেখ না করিস না তো, ও একা আসতে পারবে না।

বর্ষা:-আমার খেয়ে ধেয়ে কাজ নেই তো জেনো আমি ওকে আনতে ষ্টেশন যাবো। পারবো না আমি যেতে ওকে একা আসতে বলো,ও তো আর কচি খোকা না যে আসতে পারবে না।আমি গেলাম আমার দেরী হয়ে যাচ্ছে।

বর্ষা আম্মু:-আরেহ শোন না আমার কথা....

কে শোনে কার কথা বর্ষা চলে গেলো ভার্সিটি তে, আর যাকে নিয়ে এতো কথা সে হলো রিপন মানে বর্ষার খালামনির এক এবং একমাত্র ফাজিল ছেলে। বর্ষা ইচ্ছে করেই ওকে আনতে যায় নি,কারন বর্ষা জানে রিপন এর সাথে দেখা হলেই রিপন বাঁদরামি শুরু করবে, আস্তো একটা বদ,সেই ছোট বেলা থেকে বর্ষার পেছনে লাগছে,আর বর্ষা হাপিয়ে উঠেছে।তো এবার মূল গল্পে আসা যাক।

রিপম অনেক্ষন অপেক্ষা করে ও বর্ষার কোনো পাত্তা পেলো না পাবেই বা কি করে বর্ষা তো ওকে আনতেই যায় নি।রিপন ওর খালামনির নাম্বারে কল দিয়ে জানতে পারে বর্ষা ভার্সিটি চলে গেছে।রিপন মনে মনে ভাবছে আজ তো একাই ভার্সিটি গেলি কাল থেকে আমি থাকবো তোর সাথে,আমাকে অপেক্ষা করিয়ে রাখা তাই না,দেখাবো মজা।

খালামনির থেকে ঠিকানা নিয়ে বাসায় চলে যায়, কলিংবেল বাজার সাথে সাথেই দরজা খুলে দেন বর্ষার আম্মু।

রিপন:-কেমন আছো খালামনি?

বর্ষার আম্মু:-ভালো আছি বাবা তুই কেমন আছিস?

রিপন:-এইতো খালামনি ভালো।

বর্ষার আম্মু:-কত্তোবড় হয়ে গেছে আমাদের রিপন বাবা।এইভাবে শুকিয়ে গেলি কেন রে খাওয়া দাওয়া করিস না নাকি?

রিপন:-খালামনি কি যে বলো না তুমি আমি আবার শুকাইলাম কই,ঠিকই তো আছি,বরং আগের চেয়ে মটু হয়ে গেছি।

বর্ষার আম্মু:-দেখতেই পাচ্ছি কি রকম মোটা তুই,এভাবে দাড়িয়ে থাকবি নাকি আয় ভেতরে আয়।

রিপন:-হুম।

বর্ষার আম্মু:-যা রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে আমি খাবার রেডি করছি ততক্ষনে।

রিপন:-আচ্ছা।

রিপন ফ্রেশ হতে চলে যায়,, এরপর একটু বিশ্রাম নেয়।

অন্যদিকে বর্ষা ক্লাসে গিয়ে জানতে পারে কাল নাকি ভার্সিটি তে নতুন ম্যাথ টিচার আসবে।আজ কে ম্যাথ ক্লাস হবে না কাল থেকে শুরু হবে,
তারপর বর্ষা আর দিশা বাসায় চলে আসে।

বর্ষা ফ্রেশ হয়ে খাওয়ার টেবিলে গিয়ে অবাক,

বর্ষা:-আম্মু আম্মু কই তুমি আর এই লোকটা কে,এখানে কেনো?(ফাজলামি করে)

রিপন:-ওই ডাইনী আমাকে চিনতে পারিস না,আমি তোর..........(আটকে গেলো)

বর্ষা :-কি বললে তুমি,তুমি আমার কি বলো বলো তাড়াতাড়ি বলো।

রিপন:-আমি তোর ছোটবেলার বন্ধু, খেলার সাথী।আর......(আবারো)

বর্ষা:-আর কি বলো।।

রিপন:-কিছু না,বেশি কথা না বলে তাড়াতাড়ি খেয়ে নে তোর সাথে ঘুরতে যাবো।

(আসলে রিপন বর্ষার থেকে প্রায় ৬ বছরের বড় তাই রিপন ওকে তুই করে বলে আর বর্ষা তুমি করে সম্বোধন করে,ছোটবেলার অভ্যাস টা চেঞ্জ করতে পারে নি রিপন তাই এইভাবেই বলে)

বর্ষা কিছু না বলে খেতে বসে পরে,বর্ষার আব্বু দেশের বাইরে থাকে বাসায় বর্ষা আর বর্ষার আম্মু,একটা কাজের মেয়ে আছে ও এসে ঘরের সব কাজ করে দিয়ে যায়, তাই বর্ষাকে কিছুই করতে হয় না।

খাওয়া দাওয়া সেরে, রিপন বর্ষাকে রেডি হতে বলে নিজে গিয়ে রেডি হয়, রিপন প্রায় রেডি কিন্তু বর্ষার আসার নামই নেই।অনেক্ষন পর বর্ষা একটা কালো ড্রেস পরে বেরোলো,রিপন দেখে হা হয়ে তাকিয়ে থাকে,তাই বর্ষা নিজেই রিপন কে ধাক্কা মারে।

বর্ষা:-তুমি ঠিক আছোতো?মুখে মশা ডুকে যাবে ওইভাবে কেউ তাকায় নাকি।

রিপন:-রিপন লজ্জা পেয়ে মাথা নিচু করে ফেলে।

বর্ষা:-চলো, এতোক্ষন তো অনেক তারা দিচ্ছিলে এখন কোথায় হারালে।

রিপন:-কই কিছুনা তো, চলো।

বর্ষা আর রিপন একটা রিক্সা নিয়ে পার্কের দিকে যায় ,

অনেক্ষন বসে আছে কেউ কোনো কথা বলছে না,নিরবতা ভেংগে রিপন ই মুখ খুলে।

রিপন:-আমাকে আনতে যাস নি কেনো?

বর্ষা:-ভার্সিটি তে প্রথম ক্লাস ছিলো তাই।

রিপন:-তা ক্লাস হলো?

বর্ষা:-না, কাল নতুন টিচার আসবে তাই আজ আর ক্লাস হয় নি।

রিপন:-অহ, তা নতুন টিচারের নাম জানিস।

বর্ষা:- নাহ, কাল যেনে নিবো।

রিপন:-যাক বাবা বাচা গেলো,(মনে মনে)

বর্ষা:-কিছু বললে?

রিপন:-না না কিছু না।

বর্ষা:-অহ আচ্ছা।

অনেক সময় আড্ডা দেয়ার পর রিপন ওর জন্য আইসক্রিম আনে, বর্ষা বলে...

বর্ষা:-তোমার এখনো মনে আছে সেই ছোট বেলায় আইসক্রিম এর জন্য বায়না ধরতাম আর তুমি আইসক্রিম নিয়ে আসতে, যতক্ষণ না আইসক্রিম পাই ততোক্ষণ কান্না করতেই থাকতাম।

রিপন:-হুম তোর কান্না কেনো জানি সহ্য করতে পারতাম না।তাই হয়তো এতো পাগলামি করতাম।যাক সেসব কথা সন্ধ্যে হয়ে আসছে চল উঠি।

বর্ষা:-হুম, চলো।

দুজনে বাসায় চলে আসে,

রাতটা রিপনের কাটে নির্ঘুম ভাবে, কখন সকাল হবে , কখন বর্ষা ভার্সিটি যাবে, কখন রিপন ওকে সারপ্রাইজ দেবে এইসব ভেবে।

সকাল বেলা রিপনের ঘুম ভাংগে বর্ষার ডাকে।
রিপন, বর্ষার দিকে অপলক দৃষ্টি তে তাকিয়ে থাকে,বর্ষা লজ্জা পেয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিয়ে বলে,তাড়াতাড়ি আসতে নাস্তা রেডি। বর্ষা এই বলে রুম থেকে বেরিয়ে যায়।

রিপন ফ্রেশ হয়ে এসে বর্ষার সাথে নাস্তা খেতে বসে।আর বলে....

রিপন:-কি রে ক্লাসে যাবি না।

বর্ষা:-হ্যা এইতো একটু পর,কেনো?

রিপন:-আমি তোর সাথে যাবো।

বর্ষা:-কেনো?

রিপন:-গেলেই দেখবি।

বর্ষা:-কি?এখন বলো।

রিপন:-না, সারপ্রাইজ।

বর্ষা:-কার জন্য?আর কিসের সারপ্রাইজ?

রিপন:-সেটা তো বলা যাবে না ম্যাম।আগে ভার্সিটি যাই তারপর তুই নিজেই দেখবি।

বর্ষা:-আচ্ছা ঠিক আছে।

এইবলে বর্ষা রুমে গিয়ে একটা ডায়রি আর পেন সাথে নিলো আর নিজের পার্সটাও নিলো।
ড্রাইভার চাচাকে আসতে দেয়নি রিপন,ও নিজেই ড্রাইভ করছে। বর্ষা সামনে বসে ভাবছে কি হতে পারে রিপনের দেওয়া সারপ্রাইজ,যেটা ও বাসায় বললো না,আচ্ছা এমন কিছু হবে নাতো যা আমি সহ্য করতে পারবোনা বা মেনে নিতে পারবোনা।অন্যদিকে রিপন ভাবছে আর একটু অপেক্ষা কর সব জানতে পারবি।এতোদিন পর তোর অপেক্ষার প্রহর শেষ হবে রে পিচ্চি বউ।হ্যা তুই তো আমার বিয়ে করা পিচ্চি বউ। আর অপেক্ষা করাবো না তোকে,সব অপেক্ষার অবসান এইবার ঘটবে।

এই যে আপনারাও অপেক্ষা করেন নেক্সট পর্ব আসা পর্যন্ত। আর লাইক কমেন্ট করে জানাবেন কেমন হলো।

চলবে....

বিদ্র: কেমন লাগছে গল্পটা যানাতে ভুলবেন না। আপনাদের মতামতের উপর ভিত্তি করে পরের পর্ব দিব।ভালো থাকবেন সবাই।

মনে কি আছে ২০১৩ সালের ৫ই মে এর কথা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার হত্যা কাণ্ডে সেইদিন হেফাজত ইসলাম এর উপর নির্মম গণহত্যা চালায় ...
05/05/2025

মনে কি আছে ২০১৩ সালের ৫ই মে এর কথা। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার হত্যা কাণ্ডে সেইদিন হেফাজত ইসলাম এর উপর নির্মম গণহত্যা চালায় হাজার ও মানুষকে এক রাতের ভিতরে শেষ করে দিয়েছিল। ইয়া আল্লাহ ৫ই মে হেফাজতের সকল শহীদদের জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন।

দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে ২ টি চবি বাংলার সাহসী সন্তানেরা শুধু প্রতিবাদেই থেমে থাকেনি। ভারতীয় বিএসএফের বুকে পা দিয়ে চেপে ধর...
29/04/2025

দুই সপ্তাহের ব্যাবধানে ২ টি চবি

বাংলার সাহসী সন্তানেরা শুধু প্রতিবাদেই থেমে থাকেনি। ভারতীয় বিএসএফের বুকে পা দিয়ে চেপে ধরে বুঝিয়ে দিয়েছে। সময় বদলে গেছে।

অতীতের অন্যায় আদেশ ও দাদাগিরি আর এই মাটিতে চলবে না।
এখনই সময়, প্রতিবেশী শক্তির অযাচিত আধিপত্যের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দেওয়ার। এই ভূমিতে আর নয় অন্যায়ের অধিকার!

আলহামদুলিল্লাহ আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজায়,গু*লি করে মুসল্লি ফোরকান হ'ত্যাকারী, চকরিয়ার শীর্ষ স।ন্ত্রাসী বাইট্টা জ...
27/04/2025

আলহামদুলিল্লাহ আল্লামা সাঈদীর গায়েবানা জানাজায়,গু*লি করে মুসল্লি ফোরকান হ'ত্যাকারী, চকরিয়ার শীর্ষ স।ন্ত্রাসী বাইট্টা জাফর
রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে আটক।..

Collected

নীল তিমির লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৮ মিটার। নীল তিমির অণ্ডকোষের ওজনই প্রায় ৫০ কেজি করে, যা ইঙ্গিত দেয় প্রচুর পরিমাণ বী*র্য উৎপা...
21/04/2025

নীল তিমির লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ২.৮ মিটার। নীল তিমির অণ্ডকোষের ওজনই প্রায় ৫০ কেজি করে, যা ইঙ্গিত দেয় প্রচুর পরিমাণ বী*র্য উৎপাদন করতে পারে। বী*র্যপাতের সময় এটি প্রায় ২০-৩০ লিটার বীর্য নির্গত করে। এর মধ্যে মাত্র ১-২ লিটার প্রয়োজন হয় স্ত্রী তিমিকে সফলভাবে গর্ভধারণ করানোর জন্য। যখন আপনি সমুদ্রসৈকতে পানির স্বাদ নিচ্ছেন, তখন বাকি ২৯ লিটার এর কথা মনে রাখবেন।

©️ Md Mahadi Himu

তেমন কিছু না, আমরা বাঙালি রা তো সবই ভুলে যাই😅💔
21/04/2025

তেমন কিছু না, আমরা বাঙালি রা তো সবই ভুলে যাই😅💔

জুলাইয়ের এ দেশপ্রেমিক ভাইয়ের কথা মনে আছে?  তাদের জন্যই আজকের বাংলাদেশ। বাংলার সোনার ছেলেরা💝💝      Ten Unknown Facts Abou...
21/04/2025

জুলাইয়ের এ দেশপ্রেমিক ভাইয়ের কথা মনে আছে? তাদের জন্যই আজকের বাংলাদেশ। বাংলার সোনার ছেলেরা💝💝
Ten Unknown Facts About
1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.
2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.
3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.
4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.
5. Global Presence: BMW is a global automotive Company
6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.
7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.
8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.
9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.
10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons,
゚ ゚ ゚ ゚ ゚

Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when স্বপ্ন ময়ী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share