Razib Paul

Razib Paul Teacher | Entrepreneur

Founder & CEO of ATReads

আমি বাংলাদেশ ডাক বিভাগে কাজ করি।
"সেতুবন্ধন: প্রজন্মের হৃদয় সংযোগ চ্যালেঞ্জ"
এখানে আমি কথা বলি প্রবীণদের একাকিত্ব, মানসিক স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যসেবা ও টেককেয়ার নিয়ে।
তরুণরা শিখছে, প্রবীণরা পাচ্ছেন শ্রবণ, সঙ্গ আর ভালোবাসা।
চলুন, ভালোবাসার সেতু গড়ি! 🌉💛
#সেতুবন্ধন

03/09/2025

সাহিত্যের জগতে হারিয়ে যেতে চান?
আহমাদ মোস্তফা কামালের এক অনবদ্য প্রবন্ধ থেকে আমরা তুলে এনেছি একটি গল্প-ভিত্তিক সাহিত্য যাত্রা। গল্পের আবেগ, চরিত্রের গভীরতা এবং জীবনের অনুভূতি একসাথে অনুভব করতে আমাদের পডকাস্ট।
শ্রোতার জন্য প্রতিটি এপিসোড একটি নতুন চিন্তার খোরাক।
#সাহিত্য #গল্প #পডকাস্ট #আহমাদমোস্তফাকামাল

আমি মূলত বইপড়ার অভ্যাস তৈরী করা ও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কথা লিখে থাকি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যত বেশি বইয়ের সঙ্গে ঘন...
03/09/2025

আমি মূলত বইপড়ার অভ্যাস তৈরী করা ও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন কথা লিখে থাকি। কারণ আমি বিশ্বাস করি, মানুষ যত বেশি বইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়, তত বেশি নিজের ভেতরের আলো জ্বালাতে পারে। বই আমাদের শুধু গল্প শোনায় না, আমাদের নতুন দৃষ্টিভঙ্গি শেখায়, চিন্তার পরিসর বাড়ায়।

আজকের এই দ্রুতগতির সময়ে বই পড়া অনেকের কাছে হয়তো পুরোনো অভ্যাসের মতো মনে হয়। অথচ সত্যি বলতে— যতই প্রযুক্তি এগিয়ে যাক, বইয়ের পাতা উল্টে পড়ার আনন্দকে কোনো কিছুতেই মাপা যায় না। একেকটা বই যেন একেকটা দরজা, যার ওপারে অপেক্ষা করছে নতুন এক জগত।

কেউ বলে, সময় নেই বলে বই পড়া হয় না। কিন্তু আসল কথা হলো— সময় আমাদের তৈরি করে নিতে হয়। দিনে ১০ মিনিট হলেও যদি বই পড়া শুরু করা যায়, সেটা ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়। তারপর দেখবেন, সেই ১০ মিনিটই একসময় ঘণ্টার পর ঘণ্টা হয়ে যাচ্ছে।

বইপড়ার অভ্যাস মানুষকে গভীর করে তোলে। আমরা যখন গল্প পড়ি, তখন চরিত্রগুলোর সঙ্গে হাঁটি, হাসি, কাঁদি— এই অভিজ্ঞতা আমাদের সহমর্মী করে তোলে। আবার কোনো প্রবন্ধ বা গবেষণামূলক বই আমাদের যুক্তি ও বিশ্লেষণের ক্ষমতা বাড়ায়।

তাই আমি সবসময় বলি— জীবনে যদি কিছু গড়ে তুলতে চান, তবে বইপড়ার অভ্যাসটা গড়ে তুলুন। এটা আপনার জ্ঞান, মন, হৃদয়— সবকিছু সমৃদ্ধ করবে। আর বই পড়তে শুরু করলে একদিন নিজেই বুঝবেন— বই আসলে শুধু সময় কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং নিজেকে গড়ে তোলার এক অনন্য শক্তি।
#বইপড়ারঅভ্যাস
#পড়াশোনা
#জীবনেরপাঠ
#বইপ্রেমী
#অভ্যাসগড়ে_তুলুন
#জ্ঞানএরআলো
#লাইফস্টাইল
#পাঠাগার
#মননচর্চা
#বইয়েরজগৎ

আমরা যা বলি, সবসময় তা আমাদের মনের আসল প্রতিফলন নয়। অনেক সময় আমরা শুধু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কথা বলি, ভদ্রতা রক্ষার...
03/09/2025

আমরা যা বলি, সবসময় তা আমাদের মনের আসল প্রতিফলন নয়। অনেক সময় আমরা শুধু পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য কথা বলি, ভদ্রতা রক্ষার জন্য বলি, কিংবা এমন কিছু বলি যা অন্যকে আঘাত না করে। অথচ মনের ভেতর লুকিয়ে থাকে একেবারেই ভিন্ন অনুভূতি। সত্যিই, এমন অনেকেই আছেন যারা কখনোই নিজের মনের কথা প্রকাশ করতে চান না— হয়তো ভয় থাকে, হয়তো সংশয়, হয়তো বিশ্বাসের অভাব।

মানুষের ভেতরের জগৎটা আসলে অনেক গভীর। বাইরে থেকে হাসি, গল্প, সহজ কথাবার্তা—এসব দিয়ে সেটাকে বোঝা যায় না। কেউ হয়তো ভেতরে দুঃখে ভেঙে পড়ছে, অথচ বাইরে শক্ত ও স্বাভাবিক থাকার অভিনয় করছে। কেউ আবার ভালোবাসা অনুভব করেও প্রকাশ করতে পারে না, কারণ প্রত্যাখ্যানের ভয় তাকে আটকে রাখে। আবার কারো মনে অজস্র প্রশ্ন জমে থাকে, কিন্তু মুখ খোলার সাহস হয় না।

আসলে মনের কথা প্রকাশ করতে না চাওয়ার পেছনে নানা কারণ থাকে—নিজেকে সুরক্ষিত রাখা, অতীতের কষ্টকর অভিজ্ঞতা, অথবা মানুষকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করতে না পারা। কিন্তু সত্য এটাই যে, আমরা যত কম প্রকাশ করি, তত বেশি আমাদের ভেতরের জগৎটা ভারী হয়ে ওঠে।

তবু সব মানুষ একই রকম নয়। কেউ সহজেই মনের কথা বলে হালকা হয়ে যায়, আবার কেউ নিজের ভেতরের কষ্ট, ভালোবাসা কিংবা আশা গোপন করেই জীবন কাটিয়ে দেয়। এই ভিন্নতাই হয়তো মানুষের মনকে রহস্যময় করে তোলে। তাই যখন আমরা কারো কথা শুনি, তখন শুধু শব্দ নয়—তার চোখের দৃষ্টি, তার নীরবতা, তার থেমে যাওয়া নিঃশ্বাস—এসব থেকেও মনের আভাস পাওয়া যায়।

শেষ পর্যন্ত কথার বাইরেও একটা দুনিয়া আছে, যেখানে মনের আসল সত্য লুকিয়ে থাকে। আর সেটাই মানুষকে বোঝার সবচেয়ে কঠিন, আবার সবচেয়ে সুন্দর দিক।

#মনেরকথা #নীরবতা #মানুষওমন #চিন্তাধারা #দর্শন #আত্মজিজ্ঞাসা #মানুষবোঝা #শব্দওনীরবতা #অন্তর্জগৎ #মননশীল

03/09/2025

রাহুল সাংকৃত্যায়ন ছিলেন এক বহুমাত্রিক চিন্তাবিদ, যিনি শুধু লেখকই নন—ভ্রমণকারী, দার্শনিক, ইতিহাসবিদ, সমাজ সংস্কারক এবং যুগসন্ধিক্ষণের এক অনন্য ব্যক্তিত্ব। তাঁকে বলা হয় “যুগচার্য”, কারণ তিনি নিজেকে শুধু এক জায়গা বা চিন্তার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি; বরং সারাজীবন শিখেছেন, ঘুরেছেন, ভেবেছেন এবং মানুষকে নতুন পথে অনুপ্রাণিত করেছেন।

তিনি তিব্বত, শ্রীলঙ্কা, সোভিয়েত ইউনিয়ন, ইউরোপ—অসংখ্য দেশে ভ্রমণ করেছেন এবং সেখান থেকে জ্ঞান, সংস্কৃতি ও অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে ভারতীয় সমাজকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য ছিল, তিনি জীবনকে দেখেছেন শেখার এক দীর্ঘ যাত্রা হিসেবে।

সাংকৃত্যায়নের লেখা “দার্শনিক রাহুল”, “ভোলগা থেকে গঙ্গা”, “মধ্য এশিয়ার ইতিহাস” আজও আমাদের ভাবতে শেখায়—মানুষ, ইতিহাস আর সমাজ আসলে কত গভীরভাবে জড়িত। তিনি একদিকে বৌদ্ধ দর্শনের অনুসন্ধান করেছেন, অন্যদিকে মার্কসবাদকে গ্রহণ করেছেন; একদিকে ভারতীয় ঐতিহ্যের খোঁজ করেছেন, অন্যদিকে আধুনিকতার যুক্তি তুলে ধরেছেন।

রাহুল সাংকৃত্যায়ন আমাদের শিখিয়েছেন—ভ্রমণ শুধু বিনোদন নয়, ভ্রমণ মানে নতুন পৃথিবীকে চিনে নেওয়া। শিক্ষা শুধু বইয়ে নয়, অভিজ্ঞতায় লুকিয়ে আছে।

তিনি ছিলেন এমন এক পথিক, যিনি নিজের জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন—মানুষ যত বেশি জানে, তত বড় হয় তার দিগন্ত।

#রাহুল_সাংকৃত্যায়ন #যুগচার্য #ভোলগা_থেকে_গঙ্গা #ভ্রমণকারীর_চিন্তা

মানুষের মনকে বোঝা আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অথচ আকর্ষণীয় কাজগুলোর একটি। আমাদের প্রতিদিনের আচার-আচরণ, কোনো ঘটনার প্রতি প্র...
03/09/2025

মানুষের মনকে বোঝা আসলে পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল অথচ আকর্ষণীয় কাজগুলোর একটি। আমাদের প্রতিদিনের আচার-আচরণ, কোনো ঘটনার প্রতি প্রতিক্রিয়া, অন্যদের সঙ্গে সম্পর্কের ধরণ কিংবা প্রকৃতির নানা পরিবর্তনের মধ্যে যে অনুভূতি জাগে—এসবই মনের ভেতরের গোপন পরতগুলো উন্মোচন করে। আমরা প্রায়ই বলি, মানুষকে চিনতে সময় লাগে; কিন্তু সেই সময়টুকু মূলত তার আচরণ, সম্পর্ক আর প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের চোখে ধরা দেয়।

একজন মানুষ কীভাবে হঠাৎ ঘটে যাওয়া পরিস্থিতি সামলায়, কিংবা সম্পর্কের ওঠানামায় কেমন প্রতিক্রিয়া জানায়—এসব থেকেই বোঝা যায় তার ভেতরের শক্তি বা ভঙ্গুরতা। উদাহরণস্বরূপ, কারও সামান্য সমালোচনায় ভেঙে পড়া মানসিক স্থিতিশীলতার ঘাটতি বোঝায়, আবার কেউ সমালোচনাকে আত্মোন্নতির সুযোগ হিসেবে নেয়, যা দৃঢ় মনের পরিচয় বহন করে। সম্পর্কের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য—কেউ সহজে ক্ষমা করতে পারে, কেউ আবার দীর্ঘদিন ক্ষোভ বয়ে বেড়ায়।

প্রকৃতির ঘটনাগুলোর প্রতি মানুষের প্রতিক্রিয়াও মনের আলাদা রঙ ফুটিয়ে তোলে। যেমন, তুমুল বৃষ্টি—একজন মানুষের কাছে তা আনন্দ আর উল্লাসের প্রতীক, অন্যের কাছে শুধু অসুবিধা আর বিরক্তির কারণ। কেউ আবার বৃষ্টিতে ভিজে পুরনো স্মৃতির আবেশে ডুবে যায়, আর কেউ নির্লিপ্তভাবে তাকিয়ে থাকে। একই ঘটনাকে ঘিরে এত ভিন্ন অনুভূতির জন্ম হওয়া আমাদের শেখায়—প্রত্যেক মানুষের মানসিক গঠন একান্তই অনন্য।

তাই মানুষের মন বোঝার চেষ্টা আসলে মানুষের বহুমাত্রিকতা বোঝার চেষ্টা। একদিনের অভিজ্ঞতায় মনকে ধরা যায় না, প্রয়োজন হয় দীর্ঘ পর্যবেক্ষণ। কথার চেয়ে কাজ বেশি সত্যি বলে, আর আচরণের মধ্যে লুকিয়ে থাকে অজস্র অজানা ইঙ্গিত। মনের স্বচ্ছ প্রতিচ্ছবি পাওয়া যায় তখনই, যখন আমরা তাকে বিচার না করে, কেবল বোঝার চেষ্টা করি।

#মানুষ #মনোবিজ্ঞান #সম্পর্ক #জীবন #চিন্তাধারা

মুনশী আবদুল করিমের প্রিয় কাব্য লায়লী-মজনু, দৌলত উজির খাঁর সৃষ্ট এক অপূর্ব সাহিত্যকীর্তি, বাংলার প্রেমময় সাহিত্যের অমুল্য...
02/09/2025

মুনশী আবদুল করিমের প্রিয় কাব্য লায়লী-মজনু, দৌলত উজির খাঁর সৃষ্ট এক অপূর্ব সাহিত্যকীর্তি, বাংলার প্রেমময় সাহিত্যের অমুল্য নিদর্শন। এই পুথি শুধু এক শৈল্পিক রচনা নয়, বরং বাংলা ভাষা ও বাঙালি হৃদয়ের কোমলতা, সরলতা, এবং প্রেমপ্রবণ ভাবনার এক জীবন্ত আকার। সুযোগ্য উত্তরাধিকারী আহমেদ শরীফ পিতৃব্য এই পুথি সম্পাদনা করে শুধু রচনার সংরক্ষণই করেননি, তিনি বাঙালি পাঠকের জন্য ভাষার কোমল ললিত সরসতার উৎস হিসেবে এক সমৃদ্ধ সাহিত্যিক স্বাদও প্রতিষ্ঠা করেছেন।

পুথির বিবরণী সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমরা এখানে পাতার সংখ্যা, লিপি বা কাগজের ধরন জানি না। তবুও, পুথিটি নিজেই পাঠের মাধ্যমে প্রাণ পায়। বিশেষ পাঠের বর্ণনা যেমন,
"ইহার ভাষা বৈষ্ণবকোবিদকুলকুহরিত দূরাগত নৈশানিল সমাগত সঙ্গীত ধ্বনিবৎ সুমিষ্ট সেই ব্রজবুলি"—
এখানেই প্রকাশ পায় সেই ব্রজবোলি, যা প্রেমপ্রবণ বাঙালি হৃদয়ের এক গভীর অভিব্যক্তি। এই ভাষা শুধু শব্দ নয়, এটি প্রেমের অনুভূতি, যন্ত্রণার কোমল স্পন্দন, এবং মনের গভীর আভাসের এক অনুপম প্রতিচ্ছবি।

লায়লী-মজনু কাব্যের মূলভাব বিয়োগান্ত, কিন্তু এখানেই পাঠের মাহাত্ম্য। মজনু ও লায়লীর দুঃখ, বিচ্ছেদ, যন্ত্রণার সেই মর্মস্পর্শী অভিব্যক্তি বাঙালির হৃদয়ে এক প্রাকৃতিক সংবেদন জাগায়। বাস্তবিকভাবে, যে বাঙালি পাঠক প্রেম ও দুঃখকে অনুভব করতে জানে, তার জন্য এই পুথির পাঠ এক ধরনের আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা, যা শুধু কাহিনী না শুনিয়ে, হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়।

পাঠের গুরুত্ব এখানে দ্বিগুণ। প্রথমত, পুথির ভাষার কোমলতা ও সরল ললিত রীতি পাঠককে এক অন্য জগতের প্রেমময় অনুভূতির সঙ্গে পরিচয় করায়। দ্বিতীয়ত, পাঠের মাধ্যমে আমরা বাঙালি হৃদয়ের প্রেমপ্রবণ প্রকৃতি ও মর্মভেদী যন্ত্রণার স্বাদ পাই। এই পুথি পাঠের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্য ও ভাষার ইতিহাসে প্রেম, বিয়োগ, এবং সংবেদনশীলতার একটি অমূল্য সংযোগ স্থাপিত হয়।

অতএব, লায়লী-মজনু কেবল একটি কাব্য নয়, এটি পাঠের মধ্য দিয়ে জীবন্ত হয়। পুথি নিজে হয়তো কাগজে, লিপিতে সীমাবদ্ধ, কিন্তু এর প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ পায় পাঠকের অন্তর্গত অনুভূতি ও হৃদয়সংবেদনায়। তাই যারা সত্যিকারের সাহিত্যিক স্বাদ, কোমল প্রেমের অনুভূতি ও বাঙালি সংস্কৃতির গভীরতা চায়, তাদের জন্য এই পুথি পাঠের মাধ্যমে এক নীরব, কিন্তু গভীর আলাপ।

পাঠক বন্ধুদের কাছে আহ্বান: সময় বের করুন, লায়লী-মজনুর পুথি খুলুন, প্রতিটি শব্দ, প্রতিটি লাইনকে মন দিয়ে পড়ুন। পুথি আপনাকে কেবল কাহিনী শুনাবে না, এটি আপনাকে ভাষার সরল কোমলতা এবং হৃদয়ের সংবেদনশীলতার এক গভীর অভিজ্ঞতায় নিমজ্জিত করবে।

#লায়লী_মজনু #বাংলা_সাহিত্য #পুথি_পাঠ #ভাষার_সৌন্দর্য #প্রেম_ও_বিয়োগ #বাঙালি_হৃদয় #কবিতা_প্রেম

“সে দেশের ভারী দূর্ভাগ্য, যে দেশের মেয়েরা অভুক্ত থেকে পুরুষদের খাওয়াতে পায় না, সঙ্গে বসে খেতে হয়।” — বিজয়া (দত্তা)শরৎচন্...
02/09/2025

“সে দেশের ভারী দূর্ভাগ্য, যে দেশের মেয়েরা অভুক্ত থেকে পুরুষদের খাওয়াতে পায় না, সঙ্গে বসে খেতে হয়।” — বিজয়া (দত্তা)

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের দত্তাতে বিজয়ার এই সংলাপ শুনলেই বোঝা যায়, প্রেম কখনও কেবল পাওয়া নয়, বরং উদারতার এক অন্য নাম। বিজয়া বলছেন— আগে পুরুষ খাবে, তারপর স্ত্রী। আজকের চোখে দেখলে হয়তো অনেকেই এটাকে বৈষম্য মনে করবেন, কিন্তু বিজয়ার কাছে এটি ভালোবাসারই প্রকাশ। যাকে সে নিজের প্রাণের মানুষ মনে করেছে, তাকে আগে তৃপ্ত হতে দেখা— এ যেন তার নিজেরই তৃপ্তি।

প্রেমের যে রূপ শুধু অধিকার দাবি করে না, বরং নিঃশব্দে আত্মসমর্পণ করে— সেটাই বিজয়ার প্রেম। তার চোখে সংসার মানে কর্তব্য নয়, বরং মমতা। নিজের ক্ষুধার আগে প্রিয়জনের তৃপ্তি, নিজের স্বার্থের আগে প্রিয়জনের শান্তি— এ এক এমন আবেগ, যা কেবল সত্যিকার ভালোবাসা দিয়েই বোঝা যায়।

শরৎচন্দ্র তাঁর কলমে এমনই নারীর ছবি এঁকেছেন, যে ভালোবাসাকে ভিক্ষে নয়, বরং দান হিসেবে দেখতে জানে। তাই দত্তা শুধু একটি প্রেমকাহিনী নয়, এটি ভালোবাসা আর আত্মত্যাগের অদ্বিতীয় দলিল।

#দত্তা #শরৎচন্দ্র #বিজয়া #নরেন্দ্র #প্রেমেরগল্প #বাংলাসাহিত্য #চিরন্তনপ্রেম #ভালোবাসা #উদারতা #আত্মত্যাগ

02/09/2025

গত বছর আমি আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে গিয়েছিলাম ধানমন্ডির এক বিখ্যাত চিকিৎসক—ডা. রফিকুল ইসলামের চেম্বারে। সহকর্মীর কিছু শারীরিক সমস্যা ছিল, তাই একটু বিস্তারিত পরীক্ষা করানো দরকার। ডা. রফিকুল ভেতরে রোগী দেখায় ব্যস্ত, আর আমরা বাইরের লাউঞ্জে বসে অপেক্ষা করছিলাম।

ঠিক সেই সময় ঢুকলেন জার্মান দূতাবাসের দুই নারী কর্মকর্তা। বয়স আনুমানিক ত্রিশের কোঠায়। দু’জনকে দেখে মনে হলো তারা যেন একে অপরের পরিপূর্ণ বিপরীত। একজন লম্বা, স্লিম, চশমাধারী—চেহারায় স্মার্টনেস টলমল করছে। আরেকজন খাটো, গোলগাল, হাসলেই গালদুটো টোল পড়ে ভরা মিষ্টি ডোনাটের মতো।

আমার সহকর্মী ফিসফিস করে আমার কানে বলল—
“দেখ, একজন তো সিনেমার নায়িকা, আরেকজন মনে হচ্ছে বিশাল পাউরুটির থলে! জার্মানরা কেমন অদ্ভুত রে!”

আমি থতমত খেয়ে চুপ করে রইলাম। কিন্তু যত নিচু গলায়ই বলুক না কেন, গোলগাল অতিথি শোনে ফেললেন। তিনি মৃদু হাসি দিয়ে সরাসরি বাংলায় ভাঙা উচ্চারণে বললেন—
“আমি বেশি খাই… তাই পাউরুটি হয়ে গেছি।”

আমার সহকর্মী তো লজ্জায় মুখ নামিয়ে ফেলল। আমি একচোট শুকনো হাসি দিলাম, মনে হলো বাতাসটাই গুমোট হয়ে গেছে।

কিছুক্ষণ পর তারা ভেতরে গিয়ে ডা. রফিকুলের সঙ্গে আলাপ সেরে বেরিয়ে এলেন। সহকর্মী সাহস সঞ্চয় করে গিয়ে ক্ষমা চাইতেই গোলগাল অতিথি হাসিমুখে উত্তর দিলেন—
“স্থূল আমি, এটা সত্যি। কিন্তু সত্যের জন্য ক্ষমা কেন? আর পাউরুটি মানে তো সবার পেট ভরায়। আমাকে যদি পাউরুটি বলেন, তবে তো সেটা প্রশংসাই হলো।”

তাঁর কথা শুনে পুরো লাউঞ্জ হাসিতে ফেটে পড়ল। আমার সহকর্মী লজ্জায় লাল হয়ে গেলেও আমি মনে মনে ভেবেছিলাম—কী অসাধারণ! আমরা যেটা নিয়ে অপ্রস্তুত হলাম, সেটাকেই তারা পরিণত করলেন মজা করে।

ইংরেজিতে অতীতকালের সহজ বাক্য। অতীতে কিছু বোঝাতে আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি was এবং were।Was ব্যবহার হয় I, He, She, It ...
31/08/2025

ইংরেজিতে অতীতকালের সহজ বাক্য। অতীতে কিছু বোঝাতে আমরা সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি was এবং were।
Was ব্যবহার হয় I, He, She, It বা একবচনের ক্ষেত্রে, আর Were ব্যবহার হয় You, We, They বা বহুবচনের ক্ষেত্রে।

উদাহরণ:
আমি গতকাল বাসায় ছিলাম → I was at home yesterday.
সে অসুস্থ ছিলো → He was sick.
তুমি স্কুলে ছিলে → You were at school.
আমরা ক্লাসে ছিলাম → We were in the class.
তারা খুশি ছিলো → They were happy.

একটি ছোট কথোপকথনও দেখা যাক।
A: Where were you yesterday?
B: I was at my friend’s house.
A: Were they with you?
B: Yes, they were.

আজকের অনুশীলন হলো নিজের দিন নিয়ে অন্তত পাঁচটি বাক্য বানানো, যেখানে was / were ব্যবহার করতে হবে।

30/08/2025

এখনো পড়তে ও লিখতে জানে না দেশের ১৮ জেলার ২৫ শতাংশের বেশি মানুষ। স্বাধীনতার অর্ধশতক পার হলেও এই পরিসংখ্যান আমাদের ভাবায়, কষ্ট দেয়, আবার দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেয়।

যে সময়ে আমরা বিশ্বজয়ের স্বপ্ন দেখি, ডিজিটাল বাংলাদেশ ও স্মার্ট সমাজ গড়ার কথা বলি, সেই সময়ে দেশের অনেক মানুষ এখনো একটি চিঠি পড়তে পারে না, নিজের নাম লিখতে পারে না কিংবা কোনো কাগজপত্র বুঝে স্বাক্ষর করতে পারে না। শিক্ষার এই সীমাবদ্ধতা শুধু ব্যক্তিগত জীবনের নয়, বরং সামাজিক ও জাতীয় অগ্রগতির বড় বাধা।

দারিদ্র্য, সামাজিক বৈষম্য, অবকাঠামোগত দুর্বলতা আর অকার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা—এসব কারণেই নিরক্ষরতা থেকে যাচ্ছে। যারা স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায় না, তারা জীবনের শুরুতেই কাজের বাজারে নেমে পড়ে। আর যারা স্কুলে যায়, তাদেরও অনেকেই মানসম্মত শিক্ষা পায় না। ফলে তারা পরিসংখ্যানের খাতায় “সাক্ষর” হলেও বাস্তবে দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে না।

কিন্তু শিক্ষা শুধু একটি দক্ষতা নয়, এটি একটি শক্তি। শিক্ষা মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে, নিজের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। নিরক্ষরতার অন্ধকারে রাখা মানে কেবল একজন মানুষকে নয়, পুরো জাতিকে পিছিয়ে রাখা।

অতএব, আমাদের সবার দায়িত্ব শিক্ষার আলো সবার ঘরে পৌঁছে দেওয়া। প্রত্যেকে যদি একটি করে শিশুর পাশে দাঁড়ায়, একটি করে পরিবারকে উদ্বুদ্ধ করে, তবে এই অন্ধকার একদিন দূর হবেই।

#শিক্ষাইশক্তি #নিরক্ষরতামুক্তবাংলাদেশ #সবারজন্যশিক্ষা

30/08/2025

বাংলাদেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬.০৮ শতাংশ। এর মানে দাঁড়ায়, এখনো প্রায় ২৪ শতাংশের বেশি মানুষ নিরক্ষর রয়ে গেছে, যাদের বয়স সাত বছরের বেশি। সংখ্যাটা যতই ছোট মনে হোক না কেন, বাস্তবে এটি একটি বিশাল জনগোষ্ঠী। শুধু তাই নয়, প্রায়োগিক সাক্ষরতার হার আরও কম। অনেক সূত্র বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ, ফলে নিরক্ষরতার হার দাঁড়ায় ২৩.১ শতাংশে। আবার আরেকটি সূত্র অনুযায়ী, বাস্তব প্রয়োগে সাক্ষরতার হার মাত্র ৬২.৭৭ শতাংশ। অর্থাৎ যারা পড়তে-লিখতে পারেন বলেই গণনায় ধরা হয়, তাদের অনেকেই আসলে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র, সরকারি কাগজপত্র, ওষুধের প্রেসক্রিপশন কিংবা সামান্য হিসাব-নিকাশ বোঝার ক্ষেত্রে অক্ষম।

বাংলাদেশে নিরক্ষরতার এই অবস্থার পেছনে আছে দীর্ঘদিনের দারিদ্র্য, অকার্যকর শিক্ষা ব্যবস্থা, লিঙ্গ বৈষম্য এবং গ্রামীণ অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা। দরিদ্র পরিবারে অনেক শিশু স্কুলে যাওয়ার আগেই জীবিকার জন্য কাজে নেমে যায়। যাদের স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়, তারাও অনেক সময় মানসম্মত শিক্ষা পায় না। মেয়েদের মধ্যে এখনো শিক্ষার সুযোগে বৈষম্য দেখা যায়। আর গ্রামের অনেক জায়গায় ভালো স্কুল, পর্যাপ্ত শিক্ষক কিংবা উপযুক্ত শিক্ষা পরিবেশের অভাব বিদ্যমান।

শিক্ষা কেবল পড়া-লেখার দক্ষতা নয়, শিক্ষা মানুষকে তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে, আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে, স্বনির্ভর হতে শেখায় এবং সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়। নিরক্ষর মানুষ শুধু তার নিজের জীবনে নয়, গোটা জাতির উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার এক বড় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই নিরক্ষরতা দূরীকরণ এখন সময়ের সবচেয়ে জরুরি কাজগুলোর একটি।

বাংলাদেশের উন্নয়নের পথে শিক্ষা হতে পারে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার। প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ জায়গা থেকে অবদান রাখে—একটি শিশুকে স্কুলে ভর্তি করানো, কিংবা কোনো প্রাপ্তবয়স্ককে পড়া-লেখা শেখানোর উদ্যোগ নেয়—তাহলেই পরিবর্তন সম্ভব। শিক্ষা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, বরং সবার দায়িত্ব। কারণ, যে জাতি যত বেশি শিক্ষিত, সে জাতি তত বেশি শক্তিশালী।

#শিক্ষাইশক্তি #নিরক্ষরতাদূরকরুন #বাংলাদেশ #সবারজন্যশিক্ষা

চার হাজার বছর আগের দাঁতে মিলল পান খাওয়ার প্রমাণ!থাইল্যান্ডে পাওয়া গেছে ৪,০০০ বছর আগের এক নারীর দাঁতের চাপে পান খাওয়ার প্...
03/08/2025

চার হাজার বছর আগের দাঁতে মিলল পান খাওয়ার প্রমাণ!

থাইল্যান্ডে পাওয়া গেছে ৪,০০০ বছর আগের এক নারীর দাঁতের চাপে পান খাওয়ার প্রমাণ! গবেষকরা বলছেন, এই আবিষ্কারই এখন পর্যন্ত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় পান-সুপারি খাওয়ার সবচেয়ে পুরনো এবং সরাসরি প্রমাণ।

থাইল্যান্ডের এক প্রাচীন কবরস্থানে পাওয়া ওই নারীর দাঁতের শক্ত আবরণ (প্লাক) পরীক্ষা করে পান-সুপারির রাসায়নিক উপাদান পাওয়া গেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, তারা ‘আরেকোলিন’ ও ‘আরেকাইডিন’ নামের দুইটি উপাদান শনাক্ত করেছেন, যেগুলো সুপারিতে পাওয়া যায়।

এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয় আধুনিক এক পদ্ধতি—লিকুইড ক্রোমাটোগ্রাফি-ম্যাস স্পেকট্রোমেট্রি (LC-MS), যা দাঁতের জমে থাকা পদার্থ বিশ্লেষণ করে ভিতরের উপাদান খুঁজে বের করে।

এই গবেষণায় অংশ নিয়েছেন থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক অনেক বিজ্ঞানী। রাসায়নিক পরীক্ষা করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে।

গবেষকরা বলছেন, প্রাচীন মানুষদের জীবন, খাদ্য ও সামাজিক অভ্যাস বোঝার জন্য দাঁতের প্লাক অনেক তথ্য দেয়। এখন পর্যন্ত ওই জায়গা থেকে ১৫৬টি কঙ্কাল পাওয়া গেছে। ভবিষ্যতে আরও বিশ্লেষণ করে প্রাচীন সমাজে পান খাওয়ার রীতি কেমন ছিল, তা জানা যাবে।

গবেষণার এক সদস্য বলেন, এখন হয়তো শহরে পান খাওয়ার চল কমে গেছে, কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এখনও এটি সামাজিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর দাদী-নানীও পরিবারের সঙ্গে গল্প করার সময় পান খেতেন।

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, শুধু পান নয়—এই গবেষণাপদ্ধতিতে আরও অনেক প্রাচীন খাবার ও উদ্ভিদ সম্পর্কেও তথ্য জানা যাবে।

📰 সূত্র: সিএনএন

#প্রাচীনইতিহাস #পান_সুপারি #থাইল্যান্ড #গবেষণা #দাঁতেরপ্লাক #চারহাজারবছর #সংস্কৃতি #পৃথিবীরগল্প

Address

Khulna

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Razib Paul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Razib Paul

রাজীব পাল এক জন শিক্ষা বিষয়ক উদ্যোক্তা। তিনি Atreads.com এর প্রধান। শিক্ষা বিষয়ক কতিপয় কার্যক্রম এর সাথে সম্পৃক্ত। তিনি বাংলাদেশ ডাক বিভাগের খলিশখালী পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার।