S M Nazir Ahmed

S M Nazir Ahmed I want to do something for the people as possible from my lebel best.

ইফতার গ্রহণের মানদন্ড: আযান না... সূর্যাস্ত?...........................এস, এম নাজির আহম্মেদ।বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু...
18/03/2024

ইফতার গ্রহণের মানদন্ড: আযান না... সূর্যাস্ত?...........................এস, এম নাজির আহম্মেদ।
বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কল্যাণে বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সকল দেশে সূর্যাস্তের সঠিক সময় জানা সম্ভব। এবং আমাদের জানাও থাকে। সায়িম বা রোজাদার ব্যাক্তি হাতের ঘড়ি, মোবাইল ফোন, টেলিভিশনের সংবাদ বা কোন না কোন উপায়ে জেনে যান যে, সূর্য্য অস্ত গেছে। তা সত্বেও অনেক মুসলিম গতানুগতিক ভাবে, কেউ বা অন্যের পরামর্শে, কেউ বা অতি সতর্কতার কারণে স্থানীয় মসজিদের আযানের অপেক্ষায় ইফতার গ্রহণ বিলম্বিত করে থাকেন।
কেউ বা আবার ইফতারীর সময় স্পষ্ঠভাবে প্রকাশ পাওয়ার পরও মুয়াজ্জিনকে দিয়ে আযান দেয়ার পর ইফতার গ্রহণ করাকে নিরাপদ মনে করেন। ইতোমধ্যে ইফতারের নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হয়ে কয়েক মিনিট এগিয়ে যায় ঘড়ির কাটা। স্বাভাবিকভাবেই এক প্রজন্মের এ অবস্থা দেখে পরবর্তী যে কেউ মনে করতে পারে যে, ইফতারের জন্য আযান একটি অপরিহার্য্য বিষয়।
আমাদের এসকল কর্মকান্ডের গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু?
এ বিষয়ে আমাদের জন্য অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব রাসুলুল্লাহ(সা.) কি করেছেন তা জেনে নেয়া যাকঃ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ বুখারী শরীফ ৩য় খন্ডের ২৬৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত ১৮৩২নং হাদীসঃ মুসাদ্দাদ(র.)....আব্দুল্লাহ ইবনে আবু আওফা(রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ(সা.) এর সঙ্গে রওয়ানা দিলাম এবং তিনি রোজাদার ছিলেন। সূর্য্য অস্ত যেতেই তিনি বললেনঃ তুমি সওয়ারী থেকে নেমে আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ(সা.)! আর একটু সন্ধ্যা হতে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ(সা.)! এখনো তো আপনার সামনে দিন রয়েছে। রাসুলুল্লাহ(সা.) বললেনঃ তুমি নেমে যাও এবং আমাদের জন্য ছাতু গুলিয়ে আন। তারপর তিনি সওয়ারী থেকে নামলেন এবং ছাতু গুলিয়ে আনলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ(সা.) আঙ্গুল দ্বারা পূর্বদিকে ইশারা করে বললেনঃ যখন তোমরা দেখবে যে, রাত এদিক থেকে আসছে, তখনই রোজাদারের ইফতারের সময় হয়ে গেল।
[ই.ফা.বা কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ মুসলিম শরীফ ৩য় খন্ডের ২৫২৬, ২৪২৭, ২৪২৮নং হাদীসেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে]
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ বুখারী শরীফ ৩য় খন্ডের ২৬৮ পৃষ্ঠায় বর্ণিত ১৮৩৩নং হাদীসঃ আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ(র.).....সাহল ইবনে সা‘দ(রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ(সা.) বলেছেনঃ লোকেরা যতদিন যাবৎ ওয়াক্ত হওয়ামাত্র ইফতার করবে, ততদিন তারা কল্যাণের উপর থাকবে।
[ই.ফা.বা কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ মুসলিম শরীফ ৩য় খন্ডের ৪১৯ পৃষ্ঠায় ২৫২১নং হাদীসেও অনুরুপ বর্ণনা রয়েছে]
ই.ফা.বা কর্তৃক প্রকাশিত সহীহ মুসলিম শরীফ ৩য় খন্ডের ৪১৯ পৃষ্ঠায় বর্ণিত ২৫২৩নং হাদীসঃ ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া ও আবু কুরায়ব মুহাম্মদ ইবনুল আলা(র.)..... আবু আতিয়্যা(র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ও মাসরুক(র.) আয়েশা(রা.) এর নিকট গেলাম এবং তাঁকে বললাম, হে উম্মুল মুমিনীন! মুহাম্মদ(সা.) এর সাহাবীদের দুই ব্যাক্তির মধ্যে এক ব্যাক্তি ইফতার ও সালাতে ত্বরান্বিত করে এবং অন্য এক ব্যাক্তি ইফতার ও সালাতে বিলম্ব করে। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, সে কোন ব্যাক্তি যে ইফতার ও সালাতে ত্বরান্বিত করে? আমরা বললাম আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রা.)। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ(সা.) এরুপই করতেন। আবু কুরায়ব বলেন, অপরজন হলেন, আবু মুসা(রা.)।
উল্লিখিত হাদীসগুলি স্ব-ব্যাখ্যায়িত। যেখানে নবী মুহাম্মদ(সা.) সূর্য্যাস্তের পর ইফতার গ্রহণে বিলম্ব করাকে মেনে নেন নি। বরং কল্যাণের উপর থাকার জন্য সূর্য্যাস্তের সাথে সাথে, অনতিবিলম্বে ইফতার গ্রহণকে অপরিহার্য্য বলে ঘোষণা করেছেন।
বন্ধুগণ! আল্লাহ তায়ালা সুরা ৩ আল ইমরাণ আয়াত ৩১-এ আল্লাহকে ভালবাসার উপায় হিসেবে রাসুলুল্লাহ(সা.)কে অনুসরণ করার কথা বলেছেন। সুরা ৩৩ আহযাব আয়াত ২১-এ “যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।” বলে ঘোষণা দিয়েছেন। তারপরও কিসের মোহে আমরা রাসুলুল্লাহ(সা.)কে অনুসরণ করা আবশ্যক মনে না করে অন্য কারো দেখানো-শেখানো পদ্ধতিকে উত্তম জ্ঞানে তাই-ই করে যাচ্ছি?
মুমিন বন্ধুগণ! ভেবে দেখবেন কি?

Address

Vill: Niklapur PO-Rupsa East-9241 Rupsa Upojila
Khulna

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S M Nazir Ahmed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share