14/04/2024
♦️🎙️তারাবির রাকাত সংখ্যা নিয়ে ডিবেট টি মনোযোগ দিয়ে শুনেছিলাম। ভক্তরা বিশ্লেষণ ছারা নিজেদের পছন্দনীয় বিতার্কিক কে সার্টিফাইড করছে।
উক্ত ডিবেটে আমার যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে তা হলো উভয়ের সংযত আচরণ, একে অপরের প্রতি সম্মান, শ্রদ্ধবোধ প্রদর্শন, উত্তেজিত ও ব্যক্তিগত আক্রমণ না করা।
আমার নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ ও বিশ্লেষণে মাওলানা আলি হাছান ওসামা এগিয়ে আছেন। কয়েকটি পয়েন্ট উল্লেখ করছি।
১, ইসলামি শরীয়ায় যাবতীয় বিধিবিধান আরবী ভাষায় বিধৃত। ইসলাম সম্পর্কে পাণ্ডিত্য ও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে হলে আরবি ভাষায় পারঙ্গমতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। সেই বিবেচনায় ব্রাদার রাহুলকে ওসামা সাহেবের সামনে শিশু মনে হলো।
২, ৮ রাকাতের পক্ষে কয়েকটি দলিল দেয়া হয়েছে তার মোকাবেলায় ২০ রাকাতের পক্ষে বহু দলিল দেয়া হয়েছে। যদিও দলিলগুলোর অধিকাংশ দুর্বল ও মুরসাল পর্যায়ের। যয়ীপ দলিলের সপক্ষে যদি বিভিন্ন সনদে একাধিক দলিল থাকে তাহলে যয়ীপ হাদিসটির মান সহীহ হয়ে যায়। উসূলে হাদিসের এ মূলনীতিটি ব্রাদারকে বারবার বুঝানোর পরও তিনি বুঝতে চাননি। এ ক্ষেত্রে উসূলে হাদিসের জ্ঞান রাহুল সাহেবের অপরিপক্ক মনে হলো।
৩, ব্রাদার রাহুল ৮ রাকাতের সপক্ষে দলিল দেখিয়েছেন কিন্তু সাহাবা, তাবেঈন ও আইম্মাদের আমল কি ছিল তা দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু ওসামা সাহেব ২০ রাকাতের সপক্ষে দলিলের সাথে সাথে সাহাবা, তাবেঈন ও আইম্মাদের ২০ রাকাতের আমলও বিভিন্ন কিতাবের রেফারেন্স দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
৪, ব্রাদার রাহুল তার দলিলগুলো আরবী ইবারতের পরিবর্তে স্কিন সর্ট ও কয়েকটি কিতাবের বাংলা অনুবাদ পাঠ করেছেন। যা শরয়ী কোন হুকুম প্রমানে যথেষ্ট নয়। পক্ষান্তরে ওসামা হযরত বহু কিতাবের সাবলীল আরবী ইবারত, রেফারেন্স পৃষ্ঠা নাম্বার অর্থসহ দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করেছেন।
উপসংহারঃ
ব্রাদার রাহুল একজন নওমুসলিম। তিনি ইসলামকে জেনে,বুঝে,ভালোবেসে মুসলমান হয়েছেন। তার ইসলাম বিষয়ে জানা শেখার প্রবল আগ্রহকে আমি রেসপেক্ট করি। কোন বিষয়ে তার খটকা থাকলে তিনি কোন বিজ্ঞ আলেমের শরণাপন্ন হবেন। কিন্তু তাই বলে কোন আলেমকে কোন বিষয়ে চ্যালেঞ্চ দেয়া এক ধরনের বেয়াদবি বা গোস্তাখি। ওসমা হযরত বা আহলে হাদিসের কোন বিজ্ঞ আলেমের সাথে না বসে ব্রাদার রাহুলের সাথে বসতে গেলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।মহান আল্লাহ হক কে সর্বদা বিজয়ী করুক।